Friday, September 13, 2013

পাইকগাছা কলেজ আন্তবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

গতকাল অনুষ্ঠিত হল পাইকগাছা কলেজ আয়োজিত আন্তবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা। ফাইনালে পাইকগাছা কলেজ সম্মান বিভাগ প্রতিপক্ষ উচ্চ মাধ্যমিক (২য় বর্ষ) বানিজ্য বিভাগ ফুটবল একাদশকে ১-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে। সম্মান বিভাগের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন ৯নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় লাবণ্য।

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন বানিজ্য বিভাগ ফুটবল একাদশের গোলরক্ষক রাজু। ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার পান নিত্যা।

খেলা শেষে বিজয়ী সম্মান বিভাগ এবং রানার্স আপ বানিজ্য বিভাগ একাদশকে পুরস্কার প্রদান করেন পাইকগাছা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবু মিহির বরন মন্ডল। এ সময় কলেজের শিক্ষকমন্ডলী উপস্থিত ছিলেন।

(ছবিতে, বিজয়ী সম্মান বিভাগের খেলোয়াড়রা পুরস্কার গ্রহন করছেন)

STROKE (স্ট্রোক): মনে রাখুন শব্দটির প্রথম ৩টি অক্ষর: S, T এবং R

আমরা সবাই-ই যদি এই ছোট্ট সাধারণ সণাক্তকরণ উপায়টা শিখে ফেলি, তবে হয়তো আমরা স্ট্রোকের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের প্রিয়জনদের রক্ষা করতে পারবো।

একটি সত্যি গল্প: 

একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে একজন ভদ্রমহিলা হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন। উঠে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, সবকিছু ঠিক আছে, মেঝের টাইলসে তার নতুন জুতোর হীল বেঁধে যাওয়ায় তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। কেউ একজন এম্বুলেন্স ডাকার কথা বললেও তিনি তাতে রাজি হলেন না।

সবকিছু ঠিকঠাক করে, পরিস্কার করে তিনি নতুন করে প্লেটে খাবার নিলেন। যদিও মনে হচ্ছিলো যেন তিনি একটু কেঁপে কেঁপে উঠছেন। অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ সময় জুড়েই তিনি উপস্থিত থাকলেন। পরদিন দুপুরে ভদ্রমহিলার স্বামী ফোন করে জানালেন, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টার সময় তিনি মারা গেলেন।

মূল যে ঘটনা ঘটেছিল, তা হলো, তিনি অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় স্ট্রোক করেছিলেন। সেখানে যদি কেউ জানতেন, কিভাবে স্ট্রোক সনাক্ত করা সম্ভব, তাহলে হয়তো ভদ্রমহিলা আজও বেঁচে থাকতেন।

সবাই যে মৃত্যুবরণ করে, তা নয়। অনেকের ঠাঁই হয় বিছানায়, সাহায্যহীন, ভরসাহীন মূমুর্ষূ অবস্থায়। মাত্র তিনটা মিনিট সময় নিয়ে এটা পড়ে ফেলুন।
একজন মস্তিষ্কবিশেষজ্ঞ বলেছেন, যদি একজন স্ট্রোকের শিকার রোগীকে স্ট্রোক হবার তিন ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে নেয়া যায়, তবে তাকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ অবস্থায় ফেরত পাওয়া সম্ভব। শুধু আমাদের জানতে হবে কিভাবে স্ট্রোক চেনা যায়, এবং কিভাবে রোগীকে উল্লেখ্য সময়ের মধ্যে মেডিকেল কেয়ারে নেয়া যায়।

স্ট্রোককে চিনুন:

সহজ তিনটি ধাপ: S T ও R...পড়ুন এবং জানুন!

মাঝে মাঝে স্ট্রোকের উপসর্গ সনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের অজ্ঞতার কারণেই নেমে আসে যাবতীয় দুর্যোগ। স্ট্রোকের শিকার রোগীর মস্তিষ্কে যখন ভয়ানক রকম ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, পাশে দাঁড়ানো প্রিয়জনটিই হয়তো বুঝতে পারছে না, কি অপেক্ষা করছে তাদের কাছের মানুষের জীবনে।

সহজ উপায়ে স্ট্রোক সনাক্ত করার উপায়, সহজ তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুনঃ

S – Smile রোগীকে হাসতে বলুন।
T – Talk রোগীকে আপনার সাথে সাথে একটি বাক্য বলতে বলুন। উদাহরণঃ আজকের দিনটা অনেক সুন্দর।
R – Raise hands. রোগীকে একসাথে দুইহাত উপরে তুলতে বলুন।


এর কোনো একটিতে যদি রোগীর সমস্যা বা কষ্ট হয়, তৎক্ষণাৎ দেরি না করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এবং চিকিৎসককে সমস্যাটি খুলে বলুন। (রোগী বলতে স্ট্রোকের শিকার সন্দেহ করা ব্যক্তি বোঝানো হয়েছে)

সনাক্তকরণের আরেকটি উপায় হচ্ছে, রোগীকে বলুন তার জিহবা বের করতে। যদি তা ভাঁজ হয়ে থাকে, বা অথবা যদি তা বেঁকে যেকোনো একদিকে চলে যায়, সেটাও স্ট্রোকের লক্ষণ। তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

একজন খ্যাতনামা হৃদবিশেষজ্ঞ বলেছেন, যদি আমরা সবাই-ই এই সহজ ব্যাপারগুলো জেনে রাখি, তবে আমরা একজনের হলেও জীবন বাঁচাতে পারবো।

সুতরাং, আপনি শিখলেন, আপনার বন্ধু ও প্রিয়জনদেরও শেখান !!!!

“আপনারা কেমন আছেন ? একটি অন্তঃরঙ্গ সংলাপ”

পাইকগাছায় বক্তারা বলেছেন, সরকার উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নারী উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইভটিজিং প্রতিরোধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজার বিধান এবং এ বিচার ব্যবস্থায় তাৎক্ষনিক জামিনের ব্যবস্থা না থাকায় বর্তমানে দেশে ইভটিজিং-এর প্রবণতা কমেছে। এরপরও পরিবারের অসচেতনতা, সুশিক্ষার অভাব ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় ব্যহত হচ্ছে নারীর অগ্রযাত্রা। বন্ধ হচ্ছে না, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ, ধর্ষণ ও এসিড নিক্ষেপের মত সামাজিক অপরাধ।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বক্তারা প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও জনসচেতনা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। বক্তারা বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত “আপনারা কেমন আছেন ? একটি অন্তঃরঙ্গ সংলাপ” অনুষ্ঠানের উন্মুক্ত আলোচনায় এ সব কথা বলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিয়ূর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড. মোঃ আব্দুল হাকিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নার্গিস ফাতেমা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (গাজীপুর) সাবিনা ইয়াসমিন মালা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল।

বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, মিহির বরণ মন্ডল, প্রধান শিক্ষক অপু মন্ডল, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি গাজী সালাম, সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজ, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, রেবা আক্তার কুসুম, লিলিমা খাতুন, মাহবুবা খাতুন, ইউপি সদস্য দিপ্তি চক্রবর্তী, ইতিকা চক্রবর্তী ও সাধনা রাণী। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানে বর্তমান সামাজিক অবস্থার উপর “কুসুমের আত্মকথা” ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

পাইকগাছায় ই.এন.ও. কার্যালয়ে অটো টেম্পু শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচী

পাইকগাছায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে পাইকগাছা-কপিলমুনি রুটে অবিলম্বে অটো টেম্পু ও অটো রিক্সা চলাচলের দাবী জানিয়েছে ভূক্তভোগী শ্রমিকরা। প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় অবস্থান নেয়ার পর প্রশাসনের আশ্বস্তের প্রেক্ষিতে কর্মসূচী প্রত্যাহার করা হয়।

জানা যায়, গত প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে বাসশ্রমিকদের নিষেধাজ্ঞার ফলে পাইকগাছা-কপিলমুনি রুটে অটো টেম্পু ও অটো রিক্সা চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ সময়কালে ভূক্তভোগী অটো টেম্পু শ্রমিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। না পারছে পরিবারের আহার যোগাতে, না পারছে গাড়ীর টাকার কিস্তি পরিশোধ করতে।

ইতোমধ্যে ভূক্তভোগী শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ, স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করলেও বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দুপুরে শত শত অটো টেম্পু শ্রমিকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অবস্থান নিলে বিপাকে পড়েন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড. আব্দুল হাকিম, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নার্গিস ফাতেমা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিয়ূর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চু, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি গাজী সালাম আশ্বস্ত করলে ভূক্তভোগী শ্রমিকরা অবস্থান কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নেয়।

বিরাজমান এ সমস্যাটি নিয়ে বাস ও অটো টেম্পু শ্রমিকদের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সমস্যাটি দ্রুত সমাধান না হলে যে কোন মুহুর্তে দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

পাইকগাছায় বিকাশের ভুয়া এসএমএস-এ টাকা উত্তোলনকালে আটক ১

পাইকগাছায় ভুয়া এসএমএস’র মাধ্যমে বিকাশ কেন্দ্র থেকে টাকা উত্তোলনের সময় সুজিত মন্ডল নামে এক ব্যক্তিকে হাতে-নাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। একটি প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় এ ধরণের কাজ করে আসছে।

জানা যায়, উপজেলার খড়িয়া ভড়েঙ্গারচক গ্রামের অটল মন্ডলের পুত্র সুজিত মন্ডল (৪১) বোয়ালিয়াস্থ ব্লুস্টার হ্যাচারীতে কর্মচারী হিসেবে কর্মরত রয়েছে। ঘটনার দিন, বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে একই এলাকার (প্রতিবেশী ভাই) বিমল মন্ডলের পুত্র প্রভাত ওরফে কিনা ঢাকা থেকে সুজিতকে ফোন করে বিকাশ কেন্দ্র থেকে ১৬ হাজার টাকা উত্তোলনের কথা বলে।

পরবর্তীতে সে উপজেলা সদরস্থ হক মার্কেটের সহিল এন্টারপ্রাইজ (বিকাশ কেন্দ্র) পৌছালে ঢাকা থেকে প্রভাত নামের ঐ ভাই ০১৮৪২-২২২১২১ নম্বর থেকে সহিল এন্টারপ্রাইজের ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বরে ১৬ হাজার টাকার এসএমএস পাঠায়। পরে টাকা উত্তোলনের সময় এসএমএসটি ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় জনতা সুজিতকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

এ ব্যাপারে এসএমএস-এ ১৬ হাজার টাকা থাকলেও ব্যালেন্সে কোন টাকা যোগ হয়নি বলে এন্টারপ্রাইজের নাজমুল হোসেন জানান।

ইতোপূর্বে কেশবপুরের এক ব্যক্তি এভাবেই ১০ হাজার টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করে বলে তিনি জানান। এ রিপোর্ট লেখাপর্যন্ত আটক সুজিত থানা হেফাজতে ছিল।

পাইকগাছায় আবারো ব্যবসায়ী নেতার মটরসাইকেল চুরি

পাইকগাছায় আবারো মটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। ইউপি চেয়ারম্যান পুত্রের পর এবার ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতার মটরসাইকেলটি চুরি হয়।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম তার ব্যবহৃত ১০০ সিসি ডিসকভার মটরসাইকেলটি কপোতাক্ষ মার্কেট চত্ত্বরে রেখে মার্কেটের উপরে সমিতির কাজ করার সময় নিচে রাখা মটরসাইকেলটি চুরাই সিন্ডিকেটের লোকেরা চুরি করে পালিয়ে যায়।

সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটনায় উপজেলা সদরে সর্বত্রই এখন মটরসাইকেল চুরি আতংক বিরাজ করছে।