Saturday, February 8, 2014

শুভ কামনা !

আগামীকাল ৯ ফেব্রুয়ারী থেকে এস.এস.সি পরীক্ষা-২০১৪ শুরু হচ্ছে। পাইকগাছা এর সকল এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের জন্য Voice of Paikgacha’র পক্ষ থেকে শুভ কামনা রইল।


পাইকগাছা পাবলিক লাইব্রেরী ও যাদুঘর নানা সমস্যা জর্জরিত

গত বছর অর্থাৎ ২০১৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী Voice of Paikgacha‘তে সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে (ছোট পরিসরে হলেও) একটি স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। আজ ১ বছর ৪ দিন পর আবার একই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হল।

পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী পাবলিক লাইব্রেরী ও যাদুঘরটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত ঝলসে ওঠা প্রতিষ্ঠানটি আজ প্রয়োজনীয় জনবল, অবকাঠামো সংস্কার, আসবাবপত্র ও বই সংকটের কারণে ঝিমিয়ে পড়েছে। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পাঠকরা। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় এর কোন অভিভাবক, ধারক কিংবা বাহক বলতে কিছুই নেই।

পাইকগাছাবাসীর তথ্য ও জ্ঞান অর্জনের জন্য ১৯৮৫ সালে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী প্রতিষ্ঠা করেন পাইকগাছা পাবলিক লাইব্রেরী যাদুঘর। যার প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয় শহীদ এম,এ গফুর মিলনায়তনের একটি কক্ষে।

১৯৮৫ সালে ৭ মার্চ স্থানীয়ভাবে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৮৭ সালে ডিসেম্বরে তৎকালীন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ নুরুল ইসলাম ৭২-৩০ ফুটের ২ কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ভবনের কাজ উদ্বোধন করেন। যার ১টি কক্ষ লাইব্রেরী ও আর ১টি কক্ষ যাদুঘর বা সংগ্রহ শালা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।

লাইব্রেরীটি পরিচালনার জন্য ১৯৮৮ সালে একজন গ্রন্থাগারিক নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি ১৯৯১ সালের জাতীয় বেতন স্কেল মোতাবেক বেতনভাতা ভোগ করছেন। অদ্যাবধি কর্তৃপক্ষ তার বেতন স্কেলের কোন পরিবর্তন করেননি। বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন গ্রন্থাগারিক কল্লোল কুমার মল্লিক।

উপজেলা পট পরিবর্তনের কারণে ১৯৯৯ সালে অত্র প্রতিষ্ঠানটি পৌরসভা কর্তৃক পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়। পৌরসভার বাজেটে লাইব্রেরীর জন্য বাজেট ঘোষণা করা হলেও বাস্তবে লাইব্রেরীর অনুকুলে কোন বরাদ্দ থাকে না। অবকাঠামো সংস্কারের অভাবে লাইব্রেরী ভবনটি ধসে ধসে পড়ছে।

বর্তমানে লাইব্রেরীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে নতুন বই সংযোজন করা হয় না এবং রয়েছে চেয়ার, টেবিল ও আলমারীর সংকট। ৫টি জাতীয়, ৩টি আঞ্চলিক দৈনিক, ১টি সাপ্তাহিক ও ১টি মাসিক পত্রিকা রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। লাইব্রেরীতে বর্তমানে বইয়ের সংখ্যা ৫,৩৯১টি, গড়ে প্রতিদিন ১৭০/১৭৫ জন পাঠক জ্ঞানার্জনের জন্য লাইব্রেরীতে আসেন। আজীবন সদস্য সংখ্যা ১৪৬, সাধারণ সদস্য ১৫৫ জন। পূর্বে এর সংখ্যা ছিল ৩ শতাধিক। লাইব্রেরী করুন অবস্থার কারণে পাঠক ও সদস্য সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।

অপরদিকে যাদুঘর ও সংগ্রহ শালায় রয়েছে বিশ্ববরণ্যে বিজ্ঞানী পি.সি. রায়ের তৎকালীন বৃটিশ সরকার কর্তৃৃক স্যার উপাধি পাওয়ার তরবারী। পি.সি. রায়ের পড়ার টেবিল, বাড়ীতে পূজার ব্যবহৃত ২টি বিশাল আকারের খড়গ, বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার স্বহস্তে লেখা পত্র, রায় সাহেব ললিনী কান্ড রায় চৌধুরীর তরবারী, রায় সাহেব বিনোদবিহারী সাধুর পবিত্র গীতা, ব্যবহৃত তৈজষপত্র, ১৫০ বছরের পুরানো তিমি মাছের কশেরুকা অতিকায় করাতী হাঙ্গরের ফসিল, দুর্লভ ইকোনিস মাছ, পৃথিবীর ২০০টি দেশের মুদ্রা, মোঘল আমলের মুদ্রা, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যবহৃত কামানের সেল, মংলা বন্দরে নিক্ষেপকৃত ৪০ গ গ মর্টারের সেল, গুলি বাক্সসহ ইত্যাদি।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষানুরাগী ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সংগ্রহ শালায় দেখতে বা উপভোগ করতে আসেন। প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামো সংস্কার ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।

সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে পুরাতণ প্রতিবেদন

খু.বি. শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পাইকগাছার লোনাপানি কেন্দ্র পরিদর্শন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পাইকগাছার লোনাপানি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। ১ দিনের শিক্ষা সফরের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এণ্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ৩ শিক্ষক ও ২০১৩ ব্যাচের ৪৪ শিক্ষার্থী শুক্রবার দিনভোর বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, লোনাপানি কেন্দ্রের বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম ও পরীক্ষাগার পরিদর্শন এবং কেন্দ্রের গবেষকদের সাথে মতবিনিময় করেন।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. খন্দকার আনিসুল হক, লোনাপানি কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস.বি সাহা, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোল্লা এন.এম. মামুন সিদ্দিকী, ফারাজুল ইসলাম, লেকচারার সাইফুল ইসলাম ও জয়ন্ত বীর।

কেন্দ্র সফরের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যৎ লেখাপড়া জীবনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন সফরত শিক্ষার্থী মোঃ এনামুল হক ও মার্শিদা খাতুন।

পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ১৫ মার্চ

সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা শুরু


পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ মার্চ। এদিকে তপসিল ঘোষণার সাথে সাথে আরো জোরেশোরে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান এবং (পুরুষ ও মহিলা) ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রচার-প্রচারনা শুরু করেছেন। 

নির্বাচনী মাঠে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির একাধিক প্রার্থী থাকলেও ইতোমধ্যে জামায়াত ইসলামী ও কমিউনিষ্ট পার্টি দলীয় একক প্রার্থী ঘোষনা করেছে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি দলীয়ভাবে কোন সিদ্ধান্ত না নিলেও একক প্রার্থী হিসেবে উপজেলা সভাপতি প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানা গেছে, চতুর্থ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় দফা নির্বাচনী তপসিল বৃহস্পতিবার বিকালে নির্বাচন কমিশন ঘোষনা করেছে। সে আনুযায়ী আগামী ১৫ মার্চ খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং মনোনয়ন পত্র জমা দানের শেষ তারিখ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারী এবং প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারী।

উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে উপজেলা পরিষদ গঠিত। যার মোট ভোটার সংখ্যা ১৮৫৬০৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯৩৪৬৬ জন ও মহিলা ৯২১৩৭ জন।

এদিকে তপসিল ঘোষনার সাথে সাথে আরো বেশ জোরেশোরে সম্ভাব্য উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা (পুরুষ ও মহিলা) সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও ভোটারদের সাথে মতবিনিময় করে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে এরা হলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ রশীদুজ্জামান, জেলা আ’লীগ সহ-সভাপতি গাজী মোহাম্মদ আলী, ছাত্রলীগ জেলা সহ-সভাপতি ও উপজেলা সভাপতি শেখ আবুল কালাম আজাদ।

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও দু’বারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জেলা বিএনপির উপদেষ্ঠা মন্ডলির সদস্য এড. স ম বাবর আলী এবং জেলা বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ আব্দুল মজিদ।

জেলা জাপার যুগ্ম সম্পাদক এবং উপজেলা জাপা ও পাইকগাছা নাগরিক কমিটি সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে থাকলেও জেলা জাপার সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু জানিয়েছেন দলীয়ভাবে এখনও পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচনী প্রচারনা করছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

জামায়াত ইসলামীর একক প্রার্থী হলেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এড. লিয়াকত আলী এবং কমিউনিষ্ট পার্টির একক প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও কমিউনিষ্ট পর্টির জাতীয় কমিটির সদস্য কৃষ্ণপদ মন্ডল।

অপরদিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে এরা হলেন, বিএনপি সমর্থিত সাবেক থানা ছাত্রদল সভাপতি ও প্রেসক্লাব সভাপতি মাষ্টার জি. এ গফুর, আ’লীগ সমর্থিত সংগঠনের উপজেলা দপ্তর সম্পাদক ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের জেলা যুগ্ম সম্পাদক বিজন বিহারী সরকার এবং লস্কর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আলহাজ্ব মুজিবর রহমান সানা।

জামায়াতের দলীয় একক প্রার্থী হলেন, সংগঠনের উপজেলা আমীর মাওঃ কামাল হোসেন এবং কমিউনিষ্ট পার্টির একক প্রার্থী সংগঠনের উপজেলা সাধারন সম্পাদক সুভাষ সানা মহিম।

অন্যদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে এরা হলেন, বিএনপি সমর্থিত বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া হোসেন, আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী হলেন উপজেলা আ’লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা মহিলা আ’লীগ সদস্য দীপ্তি রাণী চক্রবর্তী, জামায়াত ইসলামীর খুলনা দক্ষিণ জেলা মহিলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য হাবিবা সুলতানা।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক মহিলা পৌর কাউন্সিলর পারুল রাণী মন্ডল’র নাম বেশ শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া আরো একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে পারে বলে একাধিক সুত্র জানিয়েছে।

নোয়াখালীর কিশোরের বীরত্বগাথা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়

নোয়াখালির বেলাল নামের এক কিশোর নিজের জীবন বাজি রেখে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে একটি হরিণ শাবকের জীবন রক্ষা করেছে। এ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশিত হয়। 

বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গণমাধ্যম ডেইলি মেইলে বাংলাদেশি কিশোরের বিস্ময়কর সাহসিকতা শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও যুক্তরাজ্যের আরো কয়েকটি পত্রিকাসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশের এই সাহসী কিশোরের গল্প উঠে এসেছে।
 
জানা যায়, একদল কিশোর খেলছিল নদীর পাড়ে। হঠাৎ তাদের চোখে পড়লো ছোট্ট একটা হরিণ শাবক খরস্রোতা নদীর পানিতে ডুবে যাচ্ছে। নদীতে তখন জোয়ারের টান। কেউই সাহস পেলো না নদীতে নামতে। সঙ্গীদের ভরসায় না থেকে ডানপিটে বেলাল একাই নদীতে ঝাঁপ দিল। নিজের জীবন বাজি রেখে হরিণ শাবকটির প্রাণ বাঁচাল বেলাল।

নোয়াখালীর তের-চৌদ্দ বছরের এই বেলালের হরিণ শাবক উদ্ধারের সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়। লন্ডনের ডেইলি মেইলসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নির্ভীক বেলালকে নিয়ে ছবিসহ প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, বেলাল হরিণের বাচ্চাটি একহাতে উঁচু করে ধরে ডুব দিয়ে দিয়ে প্রবল স্রোতের নদী পার হচ্ছে।

ঘটনাক্রমে সে সময় হাসিবুল ওয়াহাব নামের এক ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার উপস্থিত ছিলেন সেখানে। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বেলালের হরিণ শাবকটির জীবন বাঁচানোর কিছু ছবি তুলেন। পরে সেগুলো পাঠিয়ে দেন আন্তর্জাতিক কয়েকটি মিডিয়ায়।

বেলালের হরিণ শাবক উদ্ধারের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, "বেলাল জোয়ারের প্রবল স্রোতের মাঝেই নদীতে ঝাঁপ দেয়। প্রচণ্ড স্রোতের টানে সেও তলিয়ে যেতে পারতো। বেলাল শেষ পর্যন্ত উঠে আসতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহে ছিল। কিন্তু দুরন্ত সাহসিকতার সঙ্গে সে কাজটা করে। নদীর জোয়ারের পানির মধ্যে ডুব দিয়ে এক হাতে হরিণ শাবক নিয়ে আস্তে আস্তে তীরে চলে আসে।"

ফটোগ্রাফার হাসিবুল ওয়াহাব আরো বলেন, "মাত্র পাঁচ থেকে সাত জন লোক এই অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলো। ছেলেটি যখন হরিণ শাবকটিকে নিয়ে পাড়ে আসে সবাই তখন উল্লাসে মেতে ওঠে।"

এছাড়াও, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ‘আমরা ভাবছিলাম হয়ত বেলাল আর ফিরে আসবে না।'

পরবর্তীতে হরিণ শাবকটিকে সুন্দরবনে ছেড়ে দেয়া হয়। আর এরই মাঝে নোয়াখালির সাধারণ ছেলেটি তার মমত্ব আর সাহসের ফলে হয়ে উঠলো অসাধারণ এক উদাহরণ।