Monday, September 30, 2013

পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদের দৃষ্টি আকর্ষন

অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আগামী ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে অক্টোবর-১৩ এর ৩য় সপ্তাহে পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পুরাতন স্মৃতিচারনসহ সকল ব্যাচের ছাত্রদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে এই অনুষ্ঠানে আপনার উপস্থিতি ও অংশগ্রহন একান্ত কাম্য।

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের তারিখ ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের জন্য নিবন্ধন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করুন নিন্মোক্ত মুঠফোন নম্বরে।

আয়োজক: 2008-Batch, Paikgacha Govt. High School

মিডিয়া পার্টনার:
Voice of Paikgacha

যোগাযোগ:
০১৮৪৯-৫৭৪৭৯৮ (উত্তীয় দেবনাথ)
০১৫৫২-৯৮৫৮৮৪ (সৌরভ দাশ শুভ)
০১৬৮২-০৮৩৬৩৭ (আর রাকিব বিল্লাহ)
০১৭১১-৫৭১৮৪৬ (তৌফিকুর রহমান ওরিন)
০১৭১৪-১৭৩৭৫৪ (ফয়সাল মাহমুদ অপু)
০১৯১২-৯৯৬১৫৭ (ইমরান হোসেইন রাজু)
০১৯১১-২৯০৯৮২ (রাহুর দেব ঘোষ)

নারীর অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নে পা.স.বা.উ.বি-এর মানববন্ধন

পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে নারীর অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নে মানববন্ধন কর্মসূচী পলিত হয়েছে। সোমবার সকালে বিদ্যালয়ের সামনে পাইকগাছা-বেতবুনিয়া সড়কে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সুরাইয়া বানু ডলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের অনান্য শিক্ষক মন্ডলী।


কর্মসূচীতে নারী শিক্ষা অনস্বীকার্য, যৌতুককে না বলুন, বাল্য বিবাহ ও নারী নির্যাতন বন্ধসহ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন নিয়ে বিদ্যালয়ের শতশত শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করে।

পাইকগাছা সিনিয়র মাদ্রাসায় দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত

পাইকগাছা সিনিয়র মাদ্রাসায় দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে এবং পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

জানা যায়, রোববার গভীর রাতে একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র মাদ্রাসার অফিস কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ১৭” স্যামসাং মনিটর, সিপিইউ, মাউস, কি-বোর্ড, স্পিকার, প্রিন্টারসহ অনান্য জিনিসপত্র চুরি করে পালিয়ে যায়। সোমবার সকালে পিওন আব্দুল মজিদ অফিস খোলার সময় তালা ভাঙ্গা দেখে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনোয়ার ইকবাল মন্টু ও থানার এস.আই সিরাজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বলে অধ্যক্ষ আজহার আলী জানান।

Sunday, September 29, 2013

পাইকগাছায় এক কসাইকে থানায় ডেকে নিয়ে মারপিটের অভিযোগ

পৌর বাজারের এক কসাইকে থানায় ডেকে নিয়ে চোখ বেঁধে বেদম মারপিটের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন বাজারের ব্যবসায়ীসহ সকল মহল। গতকাল শনিবার সকালে অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে। গুরুতর আহত জাকির হোসেন গাজী (৩৪) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের কসাই আঃ সবুর গাজী বলেন, অন্যান্য দিনের ন্যায় শনিবার সকালে গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করছিলাম। হঠাৎ করে থানা থেকে কয়েকজন পুলিশ এসে আমাকে ও জাকিরকে ডেকে থানায় নেয়। থানার উপ-পরিদর্শক তরিকুল ইসলামের কক্ষে নিয়ে জবাইকৃত গরু চুরি করে আনা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে আমাদের চোখ বেঁধে জাকিরকে বেদমভাবে মারপিট করে।

গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আঃ সালাম বাচ্চু বলেন, সংবাদটি শুনে আমি থানায় যাই। থানায় পৌছাবার আগেই জাকিরকে মারপিট করা হয়েছিল, পরে সবুর ও জাকিরের চোখ খুলে তাদেরকে মুক্ত করে আনি।

এ প্রসঙ্গে থানার উপ-পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম বলেন, গোপালপুর গ্রামের জনৈক ডাঃ ইয়াসিন আলীর গরু চুরি করে জবাই করে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ পেয়ে কসাই সবুর ও জাকিরকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। ইতিমধ্যে খবর আসে ডাঃ ইয়াসিনের চুরিকৃত গরুটি হরিঢালী এলাকায় জনৈক মেম্বার উদ্ধার করেছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদে উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠক চলছিল। প্রশ্ন হলো চুরি না করেও চুরির অপবাদ, থানা পুলিশের মারপিট এসবের দায়ভার কে নেবে ???

পাইকগাছায় শিশু অধিকার সংরক্ষন ফোরামের প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় শিশু অধিকার সপ্তাহ পালন উপলক্ষ্যে উপজেলা শিশু অধিকার সংরক্ষন ফোরামের এক প্রস্তুতিসভা রবিবার সকালে অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি এ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রদীপন জাগরণ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী আজমল-আল-নূর পাভেলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন শিশু অধিকার সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক এসএম আলাউদ্দিন সোহাগ, জিএ গফুর, আলাউদ্দিন রাজা, স্নেহেন্দু বিকাশ, তৃপ্তি রঞ্জন সেন, আব্দুল আজিজসহ ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

সভায় আগামী ৫ অক্টোবর শিশু অধিকার সপ্তাহ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন, কর্মজীবী শিশুদের জন্য ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প ও ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে সেমাই-চিনি বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

পরে নেতৃবৃন্দ কর্মজীবী শিশুদের বিশেষ চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার সাথে মতবিনিময় করেন।

আজ বিশ্ব হার্ট দিবস

‘হার্টকে সুস্থ রাখার পথচলা শুরু হোক শৈশব থেকেই’ এ স্লোগান নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে হৃদরোগের কারণ ও ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ২৯ সেপ্টেম্বর, রোববার পালিত হচ্ছে বিশ্ব হার্ট দিবস।

জনসাধারণের মধ্যে হৃদরোগ, হৃদরোগের কারণ ও ঝুঁকিসমূহের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হার্ট দিবস উদযাপন করা হয়। দিবসটিকে বিশেষ গুরত্ব দিয়ে পালন করবে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, প্রতিবছর বিশ্বে এক কোটি ৭৩ লাখ লোক হৃদরোগজনিত কারণে মারা যান। যার শতকরা ৮০ ভাগই স্বল্প ও মধ্য আয়ের দেশের।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে জরিপ চালিয়ে দেখতে পায়, বেশির ভাগ হৃদরোগই নিয়ন্ত্রণ, নিরাময় ও পরিবর্তনযোগ্য।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ও ইউনাইটেড ফোরাম অ্যাগেইনস্ট টোব্যাকো যৌথভাবে এ কর্মসূচি পালন করবে।

বেসম্ভব_সম্ভবকারী অনন্ত জলিল !!!

অভিনেতা হিসেবে অনন্ত জলিলকে আমি ১০ এর মধ্যে ০ (শূণ্য) দেব কিন্তু একজন ব্যক্তি অনন্ত জলিলকে ১০ এর মধ্যে ১১০ দেব। অলরেডি আমরা সবাই জানি যে , সে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে মাল্টিপ্লেক্স করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া বর্তমান চলচিত্রে যে ডিজিটালাইজড করার প্রবনতা এটা তার মাধ্যমেই শুরু হয়েছে এটা মানতেই হবে।

আজ আবার একটা খবর জানতে পারলাম, অনন্ত জলিল নাকি একাই ২ টা এতিম খানা চালায় আর ঢাকার অদুরে ২৮ বিঘা জমির উপর একটা বৃদ্ধাশ্রম খুলতে যাচ্ছে খুব শীঘ্রই। স্বাধীনতার পর এই ৪২ বছরে অনেক বড় বড় সুপার ডুপার স্টার আসছে গেছে। অনেকে অনেক বুলি আউরিয়েছে। বরং দেখা গেছে অনেকে নিজেদের ফেসভেল্যু কাজে লাগিয়ে জনপ্রতিনিধির দলে এসে উল্টো জনগণের রক্ত আরো চুষে খেয়েছে। তুলনা করলে ঠিক হবে কি না জানিনা তারপরও আজ আরেকবার মনে পড়ে গেল ভারতের সেই বিগ স্টার রজনীকান্তের কথা। যার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল একজন সামান্য কন্ডাক্টর হিসেবে।

লাইফের সাথে স্ট্রাগল করে আজ সে এই পর্যায়ে। সে তো ঠিকমত কথাই বলতে পারতো না। এখনও শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে পারে না। অথচ বলিউডের বাঘা বাঘা Actor বিগ-বি, শাহরুখ, সালমান,আমির,অক্ষয়রা তাকে স্যালুট জানাতে দ্বিধা করেনা। তাকে নিয়ে ইন্ডিয়াতে হাজার হাজার জোকস প্রচলিত থাকলেও তারা কিন্তু তার পোস্টার আর মূর্তির পুজোও করে। আর অনন্ত তার ক্যারিয়ার শুরু করে সামান্য গার্মেন্টসকর্মীহিসেবে। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে এখন তার এই অবস্থান। বর্তমানে সে নিজেই ১৯টা গার্মেন্টেস এর মালিক। (It’s Huge) এটা কিন্তু ফেলে দেবার মত কথা নয়।

অনন্তকে উদ্দেশ্য করে একটা কথাই বলবো, “ তুমি যেভাবে আছ সেভাবেই চালিয়ে যাও গুরু। তোমার ভাল Acting করতে হবেনা। তোমার সিরিয়াস ডায়লগে হো হো করে হেসে মজা নেব, তোমাকে নিয়ে জোকস বানাবো, তোমাকে সুযোগ পেলেই পচাবো। কিন্তু তোমাকে স্যালুট জানাতে ভুলবো না। ভাল Actor থেকে ভাল মানুষ অনেক ভালো।

কৃতজ্ঞতায়: Mussharraf Hossen Shoikot

Friday, September 27, 2013

ফেসবুকে এল স্ট্যাটাস সম্পাদনার সুবিধা

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর মনে যদি মনে হয় বানান বা তথ্যে ভুল আছে আর তা সম্পাদনা করা প্রয়োজন এখন থেকে সহজেই করতে পারবেন। এতদিন ফেসবুক স্ট্যাটাস এডিট বা সম্পাদনার সুযোগ না থাকায় ফেসবুক ব্যবহারকারীকে নানা অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। এবারে স্ট্যাটাস বা মন্তব্য সম্পাদনা করার সুবিধা যুক্ত করছে ফেসবুক। এর আগে ২০১২ সালে কমেন্ট বা স্ট্যাটাসের বিপরীতে লেখা মন্তব্য সম্পাদনার সুযোগ চালু করেছিল ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

যারা ডেস্কটপে ফেসবুক ব্যবহার করেন তাঁরা স্ট্যাটাসের ডান দিকে কোনটিতে ক্লিক করে স্ট্যাটাস সম্পাদনা করতে পারবেন। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে স্ট্যাটাস এডিট করার সুবিধাও যুক্ত করেছে ফেসবুক। স্ট্যাটাস এডিট করার সুবিধাটি ওয়েব ছাড়াও অ্যান্ড্রয়েডে ফেসবুক অ্যাপ ব্যবহারকারীরা পারছেন। শিগগিরই আইফোন ও আইপ্যাড ব্যবহারকারীদের জন্য এ সুবিধা উন্মুক্ত করবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সব ফেসবুক ব্যবহারকারীর কাছে স্ট্যাটাস সম্পাদনার সুবিধা পর্যায়ক্রমে পৌঁছাবে। তাই এখনও যাঁরা এ সুবিধা পাননি তাঁদের ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে বলেছে ফেসবুক।

ফেসবুকের ক্ষেত্রে স্ট্যাটাস সম্পাদনার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি ছিল চ্যালেঞ্জের। কেউ ভালো স্ট্যাটাস লিখে লাইক বা মন্তব্য পাওয়ার পর তা এডিট করে বিতর্কিত স্ট্যাটাস করে ফেলতে পারে। আবার বিতর্কিত পোস্ট ঘুরিয়ে ফেলতে পারে।

তবে, কমেন্টের মতোই স্ট্যাটাস এডিট লগ দেখার সুবিধা স্ট্যাটাসের এডিটের ক্ষেত্রেও থাকছে। স্ট্যাটাস দেওয়ার সময় যেখানে প্রদর্শিত হয় তার পাশেই স্ট্যাটাসটি সম্পাদনা করা হয়েছে কিনা বা যা পরিবর্তন করা হয়েছে সব তথ্য দেখা যাবে। এতে করে স্ট্যাটাসদাতা শুধু বানান বা তথ্যগত ভুল যাতে ঠিক করে নিখুঁত স্ট্যাটাস দিতে পারবেন।

কয়রায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

কয়রার সকল এনজিও’র সমন্বয়ে কয়রা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্দ্যোগে ইউনিয়ন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১০ টায় কয়রা সদর ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কয়রা সদর ইউ.পি চেয়ারম্যান এস.এম শফিকুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন কয়রা ইউ.পি’র সকল সদস্যবৃন্দ ও ইউনিয়ন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ।

সভায় বক্তব্য রাখেন জেজেএস, ইসলামী রিলিফ, প্রদীপন, রূপান্তর, ডিআরআর, ব্র্যাক, ক্যারল ও সুশীলনের কর্মকর্তাবৃন্দ। এ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ইসলামী রিলিফ কয়রা সদর ইউনিয়নে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নতুন করে যোগ হয়েছে।

এ বিষয়ে ইসলামী রিলিফ প্রকল্প পরিচিতি সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন পিও মিজানুর রহমান, এপিও মাহফুজ কবির, কুদরাত উল্লাহ ফারুকী এবং পিও উজ্বল কুমার কুন্ড, সভায় ইসলামী রিলিফের সিআর নিয়ে বিষদ আলোচনা করা হয়।

সভায় কয়রা সদর ইউ.পি চেয়ারম্যান সকল এনজিও’র কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট দূর্যোগ মোকাবেলায় ব্যক্তিকে সাবলম্বী না করে সমষ্ঠিতগত ভাবে এলাকা রক্ষনা বেক্ষনের উপর গুরুত্বারপ করেন এবং তিনি বিভিন্ন প্রকল্প উত্থাপন করেন।

পাইকগাছায় মোটরসাইকেল চুরির সন্দেহে দু’দিনের রিমান্ডে কঙ্কন

মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটকমোড়লকে দু’দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ গত ১৩ সেপ্টেম্বর কঙ্কন মোড়লকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। গতকাল বুধবার শুনানী শেষে আদালত দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর পুলিশ কঙ্কন মোড়লকে আটক করে।

৪০ স্থানে তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির পথসভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছা-কয়রায় কয়লা ভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে লংমার্চ সফল করার লক্ষ্যে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ গত দু’দিনে দু’উপজেলার ৪০টি স্থানে পথসভা করেছে।

উল্লেখ্য গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে শুরু হওয়া বাগেরহাটের রামপাল অভিমুখে লংমার্চটি শুক্রবার খুলনায় পৌছানোর কথা রয়েছে। এ লংমার্চে জনসমর্থন আদায়ে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির স্থানীয় শাখার নেতৃবৃন্দ বৃহস্পতিবার কয়রা উপজেলা সদর, আমাদী, ৪নং কয়রা, কালনা, ফুলতলা, আন্তবাড়িয়া, সুড়িখালী, গিলাবাড়ী, কালিনগর, বগা, হায়াতখালী, মহারাজপুর, চৌকুনি ও এর আগে বুধবার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি, কাশিমনগর, আগড়ঘাটা, হাবিবনগর, মাহমুদকাটী, নতুনহাট ও সরল বাজারসহ গত দু’দিনে কমপক্ষে ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করেন।

সমগ্র কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কমিটির স্থানীয় শাখার আহবায়ক কমরেড শেখ আব্দুল হান্নান, কয়রা সিপিবি’র সভাপতি ধীরাজ বসু, রাজীব বাছাড়, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল, মোমিন উদ্দীন, সুভাষ সানা মহিম, এ্যাডঃ প্রশান্ত মন্ডল, পলাশ দাস, রাসেল, হাবিব, দিলীপ সরকার ও মনোতোষ সরকারসহ দু’উপজেলার নেতৃবৃন্দ।

Thursday, September 26, 2013

একটি জরুরী ঘোষনা

গত ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে Voice of Paikgacha-র পক্ষ থেকে সাদা পোলো T-Shirt তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু সীমাবদ্ধতার কারনে, অনেকের আগ্রহ থাকা সত্বেও সবাইকে আমদের ক্যাম্পেইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।

তাই আগামী ঈদ-উল-আযহা ও শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে
Voice of Paikgacha-র পক্ষ থেকে Light Blue পোলো T-Shirt তৈরির উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।

আপনি যদি আমাদের এই ক্যাম্পেইনে আংশগ্রহন করতে চান তাহলে আপনার মোবাইল নম্বরসহ Message অথবা Comment-এ জানাতে পারেন।

T-Shirt-এর মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে ২০০/= টাকা।

ক্যাম্পেইনে আংশগ্রহন করতে আগামী ৩-১০-২০১৩ তারিখ পর্যন্ত নিন্মোক্ত বিকাশ একাউন্টে নির্ধারিত টাকা পাঠানো যাবে। ১১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে T-Shirt সংগ্রহ করতে হবে।

বিকাশ একাউন্ট নম্বর- ০১৮৪৯৫৭৪৭৯৮ (পার্সোনাল)

ক্যাম্পেইন সংক্রান্ত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮৪৯-৫৭৪৭৯৮

পাইকগাছায় ৫০ মন চোরাই রড উদ্ধার

পাইকগাছায় প্রায় ৫০ মন চোরাই লোহার রড উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চোরাইকৃত মাল হেফাজতে নিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে পুলিশ আটক করতে পারেনি।

এলাকাবাসী ও থানাপুলিশ সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা দাকোপ থেকে আসা প্রায় ৫০ মন চোরাইকৃত লোহার রড পাইকগাছা উপজেলার গড়ুইখালী ইউপি’র শান্তা এলাকার লিয়াকত মোড়ল ক্রয় করে তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রাখে। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় জনতা মালামাল জব্দ করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে বুধবার সকালে থানাপুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চোরাইকৃত মালামাল জব্দ করে।

এ ব্যাপারে থানার এসআই তরিকুল ইসলাম জানান, জব্দকৃত মালামাল যে ঘরে রয়েছে সেঘরটি তালাবদ্ধ থাকায় মালামালের সঠিক পরিমাণ নির্নয় করা সম্ভব হয়নি। তবে আনুমানিক ২০-২৫ মন হতে পারে বলে তিনি জানান। তবে ৮০ মন হতে পারে বলে এলাকাবাসী জানায়।

Wednesday, September 25, 2013

গ্রামীণফোনের অভিনব প্রতারণা এবং গ্রাহকসেবায় হয়রানি !

সম্প্রতি গ্রামীণফোন বেশি বেশি কথা বলায় উৎসাহিত করে তাদের গ্রাহকদের সঙ্গে একটি অভিনব প্রতারণা করেছে। দেশের সর্ববৃহৎ এই মোবাইল অপারেটর গ্রাহকদের সঙ্গে এমন প্রতারণা করতে পারে এটা আমি কখনো চিন্তাও করতে পারিনি। কিন্তু বাস্তবতা হল আমি নিজেই তাদের এই ফাঁদে পা দিয়ে ধরা খেয়েছি !!!

গত মে মাস জুড়ে রেডিও, টিভি ও পত্রিকায় প্রচারিত ও প্রকাশিত ব্যবহারের ভিত্তিতে ১০০০ টি আকর্ষণীয় স্মার্টফোন জিতে নেয়ার গ্রামীণফোনের লোভনীয় বিজ্ঞাপনের ফাঁদের পড়ে আমি তাদের উক্ত ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করি। ক্যাম্পেইনের শর্ত ছিল এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে ১০০ টাকা বা তার বেশি টাকার লোকাল ভয়েস কল করলে সর্বোচ্চ ব্যবহারের ভিত্তিতে ১০০০ জন ব্যবহারকারী পাবে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ফোর, গ্যালাক্সি এস থ্রি, গ্যালাক্সি নোট টু, সনি এক্সপেরিয়া জেড ও নোকিয়া লুমিয়া ৯২০ সহ ১০০০ টি আকর্ষণীয় স্মার্টফোন। এছাড়া প্রতিদিনের সর্বোচ্চ ৩ জন ব্যবহারকারী (লোকাল ভয়েস কল) পাবে ৩ টি করে গ্যালাক্সি এস ফোর। প্রতিদিনের বিজয়ীদের ক্ষেত্রে একবারের বিজয়ী দ্বিতীয়বারের জন্যে বিবেচিত হবে না। তবে ক্যাম্পেইন শেষে সর্বোচ্চ ব্যাবহারের ভিত্তিতে ১০০০ টি স্মার্টফোন জেতার সুযোগ তার জন্যেও প্রযোজ্য থাকবে। সঙ্গে ছিল ১০০ টি জিপি-জিপি ফ্রি এসএমএস। এই ফ্রি এসএমএস গুলি দেয়ার কথা ছিল জুন মাসে এবং স্মার্টফোন দেয়ার কথা ছিল জুলাই মাসে।

একদিনের সর্বোচ্চ ৩ জন ব্যবহারকারীর একজন হবার লক্ষ্যে গত ২৯ মে তারিখে আমি সারাদিন অবিরাম (২৪ ঘন্টা) কথা বলে প্রায় ৩ হাজার টাকার লোকাল ভয়েস কল ব্যবহার করি। এরপর ফলাফল জানতে আমি তাদের কাষ্টমার ম্যানেজারদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে (অনলাইন চ্যাট, ১২১ এ কল এবং স্ব-শরীরে গ্রামীণফোন সেন্টারে গিয়ে) যোগাযোগ করি। কিন্তু একেক কাষ্টমার ম্যানেজার একেক রকম তথ্য দিয়ে আমাকে বিভ্রান্ত করে ফেলে। তাদের কেউ বলেন প্রতিদিনের বিজয়ী একজন, কেউ বলেন একজনও না আবার কেউ বলেন তিনজন। কেউ বলেন ফলাফল বিজয়ীদের মোবাইলে এসএমএস করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, কেউ বলেন এখনো ফলাফল জানানো হয়নি।

ক্যাম্পেইনের শর্তানুসারে জুন মাসে আমার মোবাইলে ১০০ টি ফ্রি এসএমএস আসার কথা ছিল। কিন্তু ২৩ জুন তারিখ পর্যন্ত কোনো এসএমএস না পেয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা আমাকে একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। লিখিত অভিযোগ দাখিলের পর ২৬ জুন তারিখে আমার মোবাইলে ১০০ টি ফ্রি এসএমএস আসে।

এরপর জুলাই মাসে হ্যান্ডসেটের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিতে গেলে কেউ বলেন পুরস্কার দেয়া হবে হেড অফিস থেকে, কেউ বলেন গ্রামীণফোন সেন্টার থেকে আবার কেউ বলেন বড় একটি অনুষ্ঠান করে পুরস্কার দেয়া হবে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে যোগাযোগ করলে তারা বললেন পুরস্কার দেয়া হবে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে। মাঝামাঝি সময়ে যোগাযোগ করলে বললেন জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে পুরস্কার দেয়া হয়ে গেছে।

২৯ মে তারিখে ২৪ ঘন্টা অবিরাম কথা বলেও কেন আমি প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় হতে পারলাম না আর সেদিনের বিজয়ী কারা এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা আমাকে আরো একটি লিখিত অভিয়োগ দিতে বলেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে আমাকে বিভ্রান্ত করার কারণে এবং আমার সঠিক ফলাফল জানতে আমি ১৪ জুলাই তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করি। কিন্তু দুখঃজনক হলেও সত্যি যে, আজ পর্যন্ত গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ করেনি।

যোগাযোগ না করার কারণ জানতে সর্বশেষ ২৮ জুলাই তারিখে আমি আবারও মতিঝিলের গ্রামীণফোন সেন্টারে যাই। এবারের কাষ্টমার ম্যানেজার (শায়লা) কম্পিউটারে রেকর্ড দেখে নিয়ে আমাকে জানালেন যে, ২৪ তারিখে আমার মোবাইলে অসংখ্যবার চেষ্টা করেও নাকি আমাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। আমি বললাম, ফোনে আমাকে না পাবার কোনো কারণ নেই। কারণ, ২৪ তারিখে আমার মোবাইল ২৪ ঘন্টাই চালু ছিল এবং আমি নিজেও সারাদিন আপনাদের ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম। এমন কি নামাজের সময়েও ফোন বন্ধ না রেখে বরং সাইলেন্ট করে রেখেছি। তবুও আপনাদের রেকর্ডে যেহেতু লেখা আছে আমাকে ফোনে পাওয়া যায়নি, সেহেতু আমি ধরেই নিলাম যে আমাকে পাওয়া যায়নি। সেক্ষেত্রে আমার অভিযোগের জবাবটিও নিশ্চয়ই আপনাদের রেকর্ডে লেখা থাকার কথা। লিখিত জবাবটি বলুন আমি শুনি। এবার তিনি কী জবাব দিবেন তা বুঝতে না পেরে ২৪ তারিখে আমার সঙ্গে যার যোগাযোগ করার কথা ছিল তার কাছে ফোন করলেন।

বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে তিনি আমার কাছে আমার কাছে জানতে চাইলেন যে, আমি আসলে কী জানতে চাই। আমি বললাম, ২৯ মে তারিখে আমি ২৪ ঘন্টা অবিরাম কথা বলেছি। বলতে গেলে একশ নম্বরের পরীক্ষায় আমি ১০০ টি পশ্নেরই সঠিক উত্তর দিয়েছি। অথচ আপনারা বলছেন যে আমি বিজয়ী হইনি। সেক্ষেত্রে আমি এই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। ব্যবহারের ভিত্তিতে ঐদিন আমার অবস্থান কততম সেটি জানতে চাই এবং ঐদিনের তিনজন বিজয়ী কারা কারা সেটিও জানতে চাই। আমি পরাজিত প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানাতেই চাই। এবার তিনি বললেন যে, তারা এক গ্রাহকের তথ্য আরেক গ্রাহককে দেন না। আর কেউ যদি বিদেশে কল করে ২৪ ঘন্টা কথা বলে থাকে সেক্ষেত্রে তারাই প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হয়েছে। আমি বললাম, আপনি তো আপনাদের ক্যাম্পেইনের শর্ত সম্পর্কে কিছুই জানেন না। ক্যাম্পেইনের শর্তে বিদেশের কল প্রযোজ্য ছিল না, ছিল শুধু লোকাল ভয়েস কলের কথা। এবার তিনি আমার কথার আর কোনো জবাব দিতে না পেরে আমার আরও কোনো অভিযোগ থাকলে তা লিখিত আকারে জমা দিতে বলেন। তার কথামতো আমি আরো একটি লিখিত অভিযোগ তার কাছে জমা দেই। ৮ আগষ্ট তারিখের মধ্যে আমার অভিযোগের জবাব দেয়া হবে বলে তিনি জানান। আর পুরস্কার বিতরণের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান যে, তাদের বিভিন্ন সেন্টারগুলো থেকে বিজয়ীদের পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। অথচ দীর্ঘসময় অপেক্ষা করেও সেখানে আমি পুরস্কার বিজয়ী কাউকেই খুঁজে পাই নি। পরে বুঝলাম এটিও তাদের মনগড়া কথা।

এখন সর্বশেষ আপডেট হচ্ছে- তাদের দ্বিতীয় প্রতিশ্রুত ৮ আগষ্ট তারিখেও তারা আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। যদিও আমি অনেকটাই নিশ্চিত ছিলাম যে এবারও তারা আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করবে না। কারণ, এপর্যন্ত আমার কোনো প্রশ্নেরই সন্তোসজনক জবাব তারা দিতে পারেননি।

পুরো ঘটনা থেকে আমি এখন পুরোপুরি নিশ্চিত যে, প্রকৃতপক্ষে দামী এই স্মার্টফোনগুলি গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ কখনোই কাউকে দেয়নি এবং দেবেও না। আর যদি লোক দেখানোর জন্যে দু’একজনকে দিতেও হয় তবুও সেটা তাদের নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে বলেই আমার ধারণা। ফলাফল জানতে আমার মতো যারাই যোগাযোগ করেছে, তাদের সবাইকে একটি কথাই বলে দেয়া হয়েছে, ‘বিজয়ীদের মোবাইলে এসএমএস করে ফলাফল জানিয়ে দেয়া হয়েছে। আপনি যেহেতু এসএমএস পাননি, সেহেতু আপনি পুরস্কার জিতেননি’. তাদের সবার এই একটিমাত্র বাক্য ছাড়া আর একটি বাক্যেও কারোর সঙ্গে কারোর মিল আমি খুঁজে পাইনি।

লেখক: হুমায়ুন কবির বিদ্যুৎ, ব্লগার, প্রথম আলো ব্লগ

বৃষ্টিপাতের খবর নেই, ভ্যাপসা গরম, নিম্নচাপের সম্ভাবনা

বৃষ্টিপাতের আপতত কোন খবর নেই আবহাওয়া বিভাগের কাছে। বিচ্ছিন্নভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাময়িকভাবে বৃষ্টিপাত হলেও এই প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমের অবসানে যে ধরনের বৃষ্টিপাত দরকার তার আভাস নেই। কিন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.৭ ডিগ্রীতে পৌঁছায় এখন বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

এদিকে গতকয়েক দিনে খুলনাসহ সারা দেশে প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম অনুভুত হচ্ছে। সে সাথে বিদ্যুতের লোডশেডিং জনজীবনে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।

আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ গুজরাট, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিম বঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারীভাবে সক্রিয় রয়েছে। ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।

যদি থাকে সুন্দর মন, এসো বাঁচাও সুন্দরবন !


Tuesday, September 24, 2013

পাইকগাছায় মৃদু ভূ-কম্পন অনুভূত

পাইকগাছায় মৃদু ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার কোথাও কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। 

প্রত্যক্ষদর্শীসুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৬ টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুকুর, জলাশয়ের পানি দিক-বিদিক আঘাত হানলে এসময় যারা পুকুর ও জলাশয়ের নিকটে ছিল তারাই সর্বপ্রথম বুঝতে পারে ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে। পরে বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী জিয়াউর রহমান ও সুব্রত মন্ডল জানান ঘটনার সময় তারা পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় পুকরের পানি অস্বাভাবিক আচারণ করছিল।

পাইকগাছায় পল্লীবিদ্যুতের লোডশেডিং; ২০ হাজার গ্রাহকের সীমাহীন দুর্ভোগ

লোডশেডিংয়ের কারণে খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অধিনস্থ পাইকগাছা জোনাল অফিসের আওতাধীন (পাইকগাছা-কয়রা) প্রায় ২০ হাজার গ্রাহকগণের জীবনযাত্রা মারাত্মক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন-ঘন ট্রিপ ও দীর্ঘস্থায়ী লোডশেডিংয়ের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে যেমন ধস নেমেছে, তেমনি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াসহ সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

পৌর বাজারের কম্পিউটার কম্পোজ ও ষ্টুডিও ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবদি ঘন-ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে। দিনভর বিদ্যুৎ না থাকায় দোকানে আয় করতে পারছি না। বাজারের মোবাইল ফোন মেকানিক জি,এম শুকুরুজ্জামান ক্ষোভের সাথে বলেন, সারাদিন বিদ্যুৎ ট্রিপ করছে। এই আসে এই যায় অবস্থা। ফলে কোন কাজ ধরে শেষ তুলতে পারছি না।

পৌর বাজারের ওষুধের দোকানীরা বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে অনেক ওষুধ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যে ওষুধগুলি ফ্রিজে রাখতে হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের প্যাথলজী ব্যবসায়ীরা বলেন, বিদ্যুতের অভাবে রোগীদের পরীক্ষা নীরিার কার্যক্রম সময়মত করতে পারছি না। ফলে গুরুত্বপূর্ণ রোগীদের ভীষণভাবে চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে লোডশেডিংয়ের কারণে। ফলে অভিভাবক মহল দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে।

স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমে এমনিতেই মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। তার ওপর বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ের কারণে বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। দিনভর পল্লী বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিং থাকা সত্ত্বেও প্রত্যহ সন্ধ্যা থেকে অনেক রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টি যেন রুটিনে পরিণত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ পাইকগাছা জোনাল অফিসের নবাগত ডিজিএম বদরুল আনাম হতাশার সাথে বলেন, "লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের অফিসিয়াল অনেক কাজ করতে পারছি না।"

প্রেস রিলিজ

সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে গ্রেডিং পদ্ধতিতে প্রমোশন সহ অন্যান্য বিষয়ে নিয়ম-নীতি যুগোপযোগী ও আধুনিকীকরণ করার লক্ষে বিদ্যমান রেগুলেশন সংশোধন করে নিম্নবর্ণিত রেগুলেশন করেছে-

BA, BSS এবং BBS এর ক্ষেত্রে:


১ম বর্ষ থেকে ২য় বর্ষে প্রমোশনের জন্য কমপক্ষে ৩টি তত্ত্বীয় কোর্সে ন্যূনতম D grade, ২য় বর্ষ থেকে ৩য় বর্ষে ৫০% কোর্সে অর্থাৎ ন্যূনতম ৩টি তত্ত্বীয় কোর্সে D grade, ৩য় বর্ষ থেকে ৪র্থ বর্ষে প্রমোশনের জন্য ৫০% কোর্সে অর্থাৎ ন্যূনতম ৪টি তত্ত্বীয় কোর্সে D grade পেতে হবে।

B.Sc এর ক্ষেত্রে:


১ম বর্ষ থেকে ২য় বর্ষে প্রমোশনের জন্য কমপক্ষে ৩টি তত্ত্বীয় কোর্সে ন্যূনতম D grade, ২য় বর্ষ থেকে ৩য় বর্ষে প্রমোশনের জন্য কমপক্ষে ৩টি তত্ত্বীয় কোর্সে ন্যূনতম D grade, ৩য় বর্ষ থেকে ৪র্থ বর্ষে প্রমোশনের জন্য কমপক্ষে ৪টি তত্ত্বীয় কোর্সে ন্যূনতম D grade পেতে হবে।

অন্যান্য বিধান:

১ম, ২য়, ৩য় বা ৪র্থ বর্ষে F গ্রেড পাওয়া কোর্সগুলো ভর্তির ছয় শিক্ষাবর্ষের মধ্যে অবশ্যই D বা উচ্চতর গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। তবে F গ্রেড প্রাপ্ত কোর্স পরীক্ষার মাধ্যমে উন্নীত করার ক্ষেত্রে ফলাফল যাই হোক না কেন, একজন পরীক্ষার্থী সর্বোচ্চ B+ গ্রেড এর বেশী প্রাপ্য হবে না।

উল্লেখ্য যে, কোন কোর্সে F গ্রেড থাকলে পরীক্ষার্থী অনার্স ডিগ্রী পাবে না। তবে রেজিস্ট্রেশন মেয়াদ শেষে কোন পরীক্ষার্থী একাধিক F গ্রেডসহ ন্যূনতম ১০০ credit অর্জন করলে তাকে পাস ডিগ্রী প্রদান করা হবে।

২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষের পর থেকে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষের প্রত্যেক তত্ত্বীয় কোর্সের ১০০ নম্বরের মধ্যে ইন-কোর্স পরীক্ষা ২০% নম্বর এবং তত্ত্বীয় ফাইনাল পরীক্ষা ৮০% নম্বর এবং ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের জন্য ৩য় ও ৪র্থ বর্ষে, ২০১০-১১ ও ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষের তত্ত্বীয় কোর্সে প্রতি ১০০ নম্বরের মধ্যে ইন-কোর্স পরীক্ষা ২০% নম্বর এবং তত্ত্বীয় ফাইনাল পরীক্ষা ৮০% নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেক বর্ষের ক্লাস শুরু থেকে ১৫ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি কোর্সের অর্ধেক পাঠ্যসূচী শেষ করে পঠিত অংশের উপর কোর্স শিক্ষককে একটি ইন-কোর্স পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

একইভাবে পরবর্তী ১৫ সপ্তাহের মধ্যে পাঠ্যসূচীর বাকী অর্ধেক শেষ করে এ অংশের উপর আর একটিসহ মোট ২টি ইন-কোর্স পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। অভ্যন্তরীণভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে ইন-কোর্স পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের এক কপি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এর নিকট প্রেরণ করতে হবে এবং এক কপি সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানের অফিসে সংরক্ষন করতে হবে।

Monday, September 23, 2013

ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পাইকগাছাবাসী

পাইকগাছায় সরকারের শেষ সময়ে ঘন ঘন লোডশেডিং এর কবলে পড়েছে এলাকাবাসী। গত কয়েকদিন যাবৎ এ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। সরবরাহ কম থাকায় এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ দাবী করেছে।

জানা যায়, গত কয়েকদিন যাবৎ ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারনে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার গ্রাহকরা। বিরুপ প্রভাব পড়েছে ব্যবসা-বানিজ্যে। বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে আইস ফ্যাক্টরিগুলো। বরফ সংকটের কারনে গত কয়েকদিন বিপাকে রয়েছেন চিংড়ী চাষী ও ব্যবসায়ীরা। ব্যাহত হচ্ছে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া। সবচেয়ে চরম বিপাকে রয়েছেন মিডিয়াকর্মীরা।

এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাইকগাছা জোনাল অফিসের সদ্য যোগদানকৃত ডিজিএম মোঃ মঞ্জুরুল আলম জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে যাওয়ায় এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় চাহিদার তুলনায় ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ রয়েছে বলে তিনি জানান। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে এ প্রতিনিধিকে তিনি আশ্বস্ত করেন।

পাইকগাছায় জামায়াতের দু’নেতা আটক

পাইকগাছায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাস ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জামায়াত নেতাকে আটক করেছে। আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ২টার দিকে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী নগর শ্রীরামপুর গ্রামের ওয়াজেদ হাজরার পুত্র এইচ,এম, আবুল কাশেম ও সোলাদানা ইউনিয়ন সেক্রেটারী ভিলেজ পাইকগাছা গ্রামের তরিক বিশ্বাসের পুত্র মিজানুর রহমানকে আটক করে।

আটক দু’নেতাকে সোমবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃতরা বাস ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত ছিল বলে ওসি এম. মশিউর রহমান জানান।

পাইকগাছায় জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান শীর্ষক সভা

পাইকগাছায় জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান শীর্ষক এক সভা সোমবার সকালে উপজেলার লতা ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি চেয়ারম্যান কাজলকান্তি বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত)এসএম শহীদুল্লাহ। বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য অসীম রায়, দেবাশীষ রায়, বীরেন্দ্র নাথ মন্ডল, জগদীশ মন্ডল, স্বপন মন্ডল, অনাথ বন্ধু মন্ডল, প্রকাশ বিশ্বাস, সঞ্জয় রায়, মিনা রাণী মন্ডল, লক্ষ্মীরাণী গোলদার, শিক্ষক সূর্যকান্ত সরকার, কালিদাশ রায়, তপন রায়, ইব্রাহিম গাজী ও তপন মন্ডল।

পাইকগাছায় সড়ক সংস্কারের দাবীতে নাগরিক কমিটির মানববন্ধন

পাইকগাছায় দারুনমল্লিক-ফুলবাড়ী সড়ক সংস্কারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। দেলুটি নাগরিক কমিটির উদ্যোগে সোমবার বিকালে দারুনমল্লিক বাজারে ইউপি সদস্য জহিরউদ্দিন শেখের সভাপতিত্বে মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর।

Sunday, September 22, 2013

পাইকগাছা কলেজ জাতীয়করনের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ঐতিহ্যবাহী পাইকগাছা কলেজ জাতীয়করনের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে প্রধান সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। 


কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করে একাত্মতা পোষন করেন কলেজে কর্মরত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে কয়রার এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাইকগাছার একটি কলেজ জাতীয়করনের ঘোষনা দেন।

পাইকগাছায় মটরসাইকেল চোরাই সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য আটক

পাইকগাছায় থানাপুলিশ আবারও মটরসাইকেল চোরাই সিন্ডিকেটের সদস্য সন্দেহে এক যুবককে আটক করেছে। তাকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটক যুবকের কাছ থেকে এ ঘটনায় জড়িত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম বেরিয়ে এসেছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশের ধারাবাহিক আটক অভিযানে এলাকায় গ্রেফতার আতংকে রয়েছে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

থানা পুলিশসুত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৮ টার দিকে এসআই সিরাজুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে পৌর বাজার থেকে বাতিখালী গ্রামের মাহতাব গাজীর পুত্র আবুল হোসেন (৩০) কে আটক করে। আটক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার তাকে ১৫ এপ্রিল তারিখে একটি মটরসাইকেল চুরি মামলায় ৭দিনের রিমান্ড আবেদন চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে ওসি এম মসিউর রহমান জানান আটক আবুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মটরসাইকেল চুরি কাজে জড়িত রয়েছে এমন এলাকার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম বলেছে। এলাকায় তাদের যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে এছাড়াও মটরসাইকেল উদ্ধারের ব্যাপারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি এলাকায় মটরসাইকেল চুরির প্রবনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত পুলিশ জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করে।

ফেনসিডিল, ইয়াবা ও ভারতীয় টিভি চ্যানেল

ভারতীয় চ্যানেল দেখার সময় সংঘবদ্ধ দর্শক গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক। এরকম খবর কবে গণমাধ্যমে দেখা যাবে? অপেক্ষায় আছি এ ধরনের খবর প্রচারের।

যেভাবে ইয়াবা ও ফেনসিডিল বিক্রেতাকে আটক করা হয়, কিংবা এই দুই মাদকে আক্রান্তদের যেভাবে নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হয়, ঠিক সেই আচরণ ভারতীয় চ্যানেলে আসক্ত দর্শকদের সঙ্গে কবে থেকে শুরু করা হবে, অপেক্ষায় আছি সেই দিনটিরও।

আমরা ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা ফেনসিডিলের কথা জানি। নব্বইর দশকের গোড়া থেকে সারাদেশ ফেনসিডিলে সয়লাব হয়ে যেতে শুরু করে। তরুণ-তরুণীরা ফেনসিডিলে দলে দলে আসক্ত হতে থাকে। অফুরান চাহিদা সামাল দিতে বাংলাদেশ সীমান্তের নিকটবর্তী ভারতের এলাকাগুলোতে ফেনসিডিলের কারখানা চালু হবার খবর আছে। ফেনসিডিল বিক্রি করতে ও চোরাইপথে তা আনতে যতো উদ্যোগই নেয়া হোক, এর বিপণনকারীরা নতুন নতুন ফন্দি বের করেছে এর সরবরাহে।

কাঁঠালের ভেতর, মাছের ভেতর, চালের বস্তায় নানা ফন্দি-ফিকিরে ফেনসিডিল বিপণন চলছেই। এর সঙ্গে গত পাঁচ বছরে বেড়েছে ইয়াবার সরবরাহ।

তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ইয়াবা সেবনের মাত্রা বেড়েছে। ইয়াবা বিক্রি’র সংগে যুক্ত হয়ে পড়েছে বিনোদন জগতের মানুষ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারা। মাল্টিলেভেল ব্যবসার অনুকরণে চলছে ইয়াবার ব্যবসা। আসক্তে’র সংখ্যাও বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। তবে গণিত-জ্যামিতির সব হিসাব ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের দর্শকদের ভারতীয় চ্যানেলে আসক্তি।

ভারতীয় চ্যানেলে যতো বাংলাদেশি দর্শক আসক্ত, এতোটা আসক্তি কোনো মাদকের প্রতিও নেই। সমস্যা হলো এই নেশায় বুঁদ হয়ে আছে আড়াই বছরের শিশু থেকে আশি বছরের বৃদ্ধ-বৃদ্ধা পর্যন্ত।

ধারণা জরিপ বলে- ভারতীয় চ্যানেলে মেয়েরাই বেশি নেশাতুর হয়ে আছে। ছেলেরা যে খুব পিছিয়ে আছে তা বলা যাবে না স্টার প্লাস, সনি, কালারস, স্টার গোল্ড, লাইফ ওকে, স্যাটম্যাক্স, এম টিউন, বি ফর ইউ, চ্যানেল এক্স, জি মিউজিক, এস সংগীত, মুভিস ওকে, স্টার জলসা, জলসা মুভি, জিবাংলা, ইটিভি বাংলা, সনি আট, জিবাংলা মুভিজ, তারা মিউজিক গোগ্রাসে হজম করছে পরিবারের সবাই মিলমিশ করেই।

মাদকের নেশা’র যেমন সামাজিক ও শারীরিক ক্ষতি হয়, তেমনি ভারতীয় চ্যানেলের নেশা’তেও সামাজিক ও শারীরিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। পরিবারের কোন সদস্যের মাদকে আসক্তি একটি পরিবারকে কিভাবে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে বা দিচ্ছে তার উদাহরণ এখন আশপাশে তাকালেই পাওয়া যায়। কারো পরিবার, কারো শিক্ষা জীবন এবং অনেক প্রতিভাই অংকুরে পচে গেছে মাদকের নীল ছোবলে।

একইভাবে ভারতীয় চ্যানেলের প্রভাবে দেখা দেয়া সামাজিক ক্ষতগুলো এখন রূপ নিয়েছে কর্কট রোগে। প্রথমত, শিশু থেকে কিশোর বয়সীরা ভিন্ন সংস্কৃতি ও ভাষাকে অনুসরণ করতে শুরু করেছে। চলন-বলনে এবং পোশাকে তারা ভারতীয় চ্যানেলের পাত্রপাত্রীদের অনুকরণ করে। তাদের বাবা-মা এবং অভিভাবকরা আরেক ধাপ এগিয়ে পোশাক-অলংকার এবং সামাজিকতায় ভারতীয় আদল নিয়ে এসেছে। এর সংগে যোগ হচ্ছে দূরশিক্ষণের মাধ্যমে কূটচাল,পরকীয়া, সহিংসতা’র মতো বিষয়গুলো শিক্ষা নেয়া। এই শিক্ষণগুলোর চর্চা এখন পুরোদমে চলছে পরিবার ও সমাজে। কিন্তু যে নেশা একবার পান করা হয়ে গেছে তা কি ছাড়া সম্ভব? সম্ভব নয় বলেই এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া’র উদাহরণগুলো দেখার পরও নেশার ডোজ দিনকে দিন বাড়ছে, কমছে না এক মিনিটও। কারণ এ নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা এদেশের দর্শকদের যেনো নেশা না কাটে, সেজন্য ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলো নতুন নতুন উপকরণের নিয়মিত যোগান দিয়েই যাচ্ছে।

ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোর নিত্যনতুন উপকরণের যোগানের সঙ্গে পেরে উঠতে পারছে না আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। পারছে না এর একটি সঙ্গত কারণ হলো বহুভাষা ও রাজ্যের ওই দেশটিতে কলাকুশলী অফুরন্ত। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের সেই সংখ্যক কলাকুশলী যোগান দেয়ার সাধ্য নেই। সেই সংগে ভারতের জনসংখ্যা অনুপাতে পণ্য ও বিজ্ঞাপনের বাজারের কাছে বাংলাদেশের দু’টি বাজারই খড়কুটো তুল্য।

ফলে ভারতের চ্যানেলের সংগে পাল্লা দেয়ার কোন দিক থেকেই সামর্থ্য বাংলাদেশের নেই। তবে স্মরণ করা যেতে পারে, ভারতে টেলিভিশন চ্যানেলের বিস্ফোরণ ঘটার আগে, বাংলাদেশের বিটিভি’র অনুষ্ঠান কিন্তু ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় ছিল। বিটিভির অনেক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল, যেগুলো এখন ভারতীয় চ্যানেলগুলোতে জমকালো করে উপস্থাপিত হয়। বলা যেতে পারে রিয়ালিটি শো’র কথাই। বিটিভিই নতুন কুঁড়ি শুরু করেছিল। এখন আমরা ইন্ডিয়ান আইডলে মাত হচ্ছি। তার কুঁড়ি কিন্তু নতুন কুঁড়ি থেকেই। বাংলাদেশে এখন শত শত নাটক তৈরি হচ্ছে। টেলিফিল্ম তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এই আয়োজন গুলো দেখছে কে? লঞ্চঘাট থেকে প্রাসাদ্যম ফ্ল্যাট সর্বত্রই সকাল থেকে রাত রিমোর্ট খুঁজে ফেরে ভারতীয় টিভি চ্যানেল। 

আমি যে অবস্থান থেকে লিখছি, তাতে আমি সুবিধাজনক অবস্থানেই আছি। কারণ আমি নিউজ চ্যানেলে কাজ করছি। ভারতের টিভি চ্যানেলের সংগে আমার সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। ঈদে-পার্বণে যখন বিশেষ কোন অনুষ্ঠান তৈরি করি, তখন ভাবনায় পড়ি এই অনুষ্ঠানটি কি দর্শকরা দেখবেন? তবে দু:শ্চিন্তায় থাকি প্রতিদিনই কোন খবরটি বা টক শোটি যে দর্শকরা দেখছেন।

অনেকের কাছ থেকে এ কথা শুনতে প্রায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি-উফ নিউজটি বা টকশোটি দেখা হয়নি, কারণ বাসায় স্ত্রী বা মেয়ে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সিরিয়াল দেখছিল। কোনো  কোনো দিন বেশ গর্ব করেই কেউ কেউ বলে বসেন-তার মেয়ে বা ছেলেটি ভারতীয় চ্যানেলের কোনো না কোন অনুষ্ঠান দেখছিল। আবার অনেকের ঢং’এ ভরা অনুযোগ-অভিযোগও শুনতে পাই- বাসায় তাকে কোন একটা কিছু কিনে দিতে হয়েছে, যে আবদারটি এসেছে ভারতীয় চ্যানেল দেখে।

এই যখন অবস্থা তখন আমাদের তৈরি খবর কয়জনা দেখছে তা নিয়ে দু:শ্চিন্তায় না পড়ে উপায় আছে? তবে সান্ত্বনা খুঁজি অনুষ্ঠান নির্ভর চ্যানেলগুলোর কথা ভেবে। তাদের উদ্যোগের প্রায় ষোল আনাই তো মিছে হয়ে যায় ভারতীয় টিভি চ্যানেলের প্লাবনে। বাংলাদেশে যখন পিক আওয়ার তখন সবাই তার সেরা অনুষ্ঠানটিই দেখান। কিন্তু ওদিকে সীমানার ওপাড়ে তখন সেখানকার পিক আওয়ারের অনুষ্ঠানগুলোও শুরু হয়ে গেছে। কোন দর্শক হয়তো করুনা করে নিজের দেশের টেলিভিশনে কিছুক্ষণ যাত্রা বিরতি দেন। তাতেই ধন্য হতে হয়। তার উপর নির্ভর করেই কোন কোন অনুষ্ঠানের ঠাঁই হয় টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি)তে।

টিআরপি’র প্রায় ৬০ শতাংশ যখন ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলের দখলে তখন বিজ্ঞাপণদাতারা দেশী চ্যানেলকে ফেলে এখন ভারতীয় চ্যানেলমুখি হতে শুরু করেছে। ফলে বিজ্ঞাপনের বাজারে দেখা দিয়েছে মন্দা। ব্যয় অনুযায়ী বিজ্ঞাপণ থেকে আয় করতে পারছে না চ্যানেলগুলো। এরই মধ্যে কোন কোন চ্যানেলে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। কোন কোন চ্যানেল হয়ে পড়ছে রুগ্ন। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো’র রুগ্ন হবার কারণ একটাই, সেটা হলো এদেশের দর্শকদের ভারতীয় চ্যানেলের নেশায় আসক্ত হয়ে থাকা। এই আসক্তিরোধে সরকারে হস্তক্ষেপ চাওয়া হচ্ছে।

বলা হচ্ছে সিরিয়াল, ছবি এবং গান প্রচার হয় ২৪ ঘণ্টা এমন ভারতীয় চ্যানেল বন্ধের উদ্যোগ নিতে। দু’একবার এই উদ্যোগ নিয়েও সরকার তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। কিন্তু একথা সরকারকে মানতেই হবে সেদিন খুব দূরে নেই যেদিন তাদের ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল কোথায় দেখা হচ্ছে, তার খোঁজে অভিযান চালাতে হবে। ইয়াবা এবং ফেনসিডিলের আদলেই।

ফুটনোট: মুক্ত আকাশ সংস্কৃতির যুগে আমি এমন বাঁধনের পক্ষপাতি নই। তাই ভারতীয় অন্যান্য শিক্ষামূলক, খেলা ও সংবাদভিত্তিক চ্যানেল মুক্ত রাখার পক্ষে। যেহেতু আলোচ্য চ্যানেলগুলো আমাদের পরিবার,সমাজ ও অর্থনীতির উপর নীল ছায়া ফেলেছে, তাই এই চ্যানেলগুলোর বাংলাদেশে সম্প্রচার বন্ধের পক্ষে। এতে ফায়দা সুনিশ্চিত। যেমনটি ডোরিমনের সম্প্রচার বন্ধের পর পাওয়া গেছে।

তুষার আবদুল্লাহ: বার্তা প্রধান, সময় টেলিভিশন

আজ থেকে শুরু হচ্ছে পাইকগাছা-কাশিমনগর রাস্তার সংস্কার কাজ

অবশেষে খুলনা-পাইকগাছা সড়কের পাইকগাছার সীমান্ত কপিলমুনির কাশিমনগর থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত সংস্কার কাজ শুরু হচ্ছে আজ ২২ সেপ্টেম্বর থেকে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য এড. সোহরাব আলী সানা গতকাল শনিবার সকালে সড়ক ও জনপদ বিভাগ খুলনাঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী আঃ রাজ্জাককে সাথে নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন শেষে জরুরী ভিত্তিতে চলাচল অযোগ্য রাস্তাটি সংস্কারের নির্দেশ দেন। নির্বাহী প্রকৌশলী আজ থেকে মেরামত কাজ শুরু করার আশ্বাস প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, মাত্র কয়েক মাস আগে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয়ে অত্র সড়কের আঠারমাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত সংস্কার কাজ করা হয়েছিল। যা ইতোমধ্যে ভেঙে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

হরিণ কেনা-বেচার গোপন হাট !

সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় একটি প্রচলিত প্রবাদ আছে, ``বাঘের লাফ কুড়ি হাত, হরিণের লাফ একুশ।`` অর্থাৎ লাফিয়েই বাঘ মামার থাবা থেকে নিস্তার মেলে হরিণের। কিন্তু বাস্তবতা হলো বাঘের থাবা থেকে মাঝে মধ্যে রক্ষা পেলেও শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না সুন্দরবনের মায়াবী চিত্রল হরিণ।

বনদস্যু ছাড়াও অবৈধ শিকারি ও কাঠ পাচারকারী চক্র এখন বেপরোয়া সুন্দরবনে। বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ, বিষ টোপ এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে হরিণ শিকারে।

বনসংলগ্ন এলাকার লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হরিণ শিকারি পেশাদার ব্যবসায়ী ও বিশেষ সিন্ডিকেট। আর এসব ব্যবসায়ীরা পেশাদার শিকারিদের অগ্রিম দাদন দিয়ে নানা কৌশলে মাংস এনে বিক্রি করছে লোকালয়ে।

আর বনসংলগ্ন বেশ কিছু গ্রামে নিয়মিত বসছে হরিণের মাংস বেচাকেনার গোপন হাট। দামটাও বেশ কম। কেজি প্রতি ৩/৪শ’ টাকায় এসব হাটে মিলবে হরিণের মাংস।

সুন্দরবন সংলগ্ন মংলা উপজেলার জয়মনী, চিলা, বাঁশতলা, বৌদ্ধমারী, বাণীশান্তা মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ঝিউধরা, গুলিশাখালী, সন্ন্যাসী, শরণখোল উপজেলার আমড়াতলা, ধানসাগর, তাফালবাড়ী, চালিতাবুনিয়া, বগি খুলনার দাকোপের ঢাংমারী, খাজুরা প্রভৃতি এলাকায় সুযোগ বুঝে শিকারিরা অনেকটা প্রকাশ্যেই হরিণের মাংস বিক্রি করে থাকে।

সূত্র মতে, মাংস, চামড়া ও শিংয়ের ব্যাপক চাহিদার কারণেই পেশাদার শিকারিরা হরিণ নিধনে মেতে ওঠে। এছাড়া এক শ্রেণীর ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তি নিতান্তই শখের বশে হরিণ শিকার করে থাকেন।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের খুশি করতেও তদবির/উপটোকন হিসেবে হরিণের মাংস সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এসব কারণেই প্রধানত লোকালয়ের অনেক লোকই হরিণ শিকারকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। হরিণ শিকারিরা একটি মাঝারি আকৃতির হরিণ শিকার করেই তা কয়েক হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারে।

অনুসন্ধানে জানান যায়, বন সংলগ্ন এলাকার অভাবী ও গরিব লোক অনেকেই দারিদ্রের কারণে হরিণ শিকারকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। এছাড়া লোকালয়ের অনেক লোক শখের বশেও হরিণ শিকার করে থাকে।

বনসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র মতে, সুন্দরবনে সবচেয়ে বেশি হরিণ শিকার হয় ঈদ, পূজা ও সুন্দরবনের রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শরণখোলার একজন সাবেক জন প্রতিনিধি জানান, আগের তুলনায় হরিণ শিকার ও প্রকশ্যে বিক্রি এখন অনেক কমেছে। তবে সামনে কোররানি ঈদ ও পূজার মৌসুমে বাড়তে পারে হরিণ শিকার। কারণ এসময় চাহিদা বেশি থাকায় শিকারিরা বেশি দাম পায়।

তিনি জানান, এসব মৌসুমে এক কেজি হরিণের মাংস হাজার ১২শ’ টাকায়ও বিক্রি হয়।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, শিকারি চক্রের সদস্যরা মাছধরা জেলেদের ছদ্মবেশে বনের গহীনে গিয়ে হরিণ শিকার করে তা গোপনে লোকালয়ে নিয়ে আসে। পরে শিকার করা হরিণ কৌশলে লোকালয় থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হয়। এজন্য সংঘবদ্ধ শিকারি চক্রের লোকালয়ে নির্দিষ্ট এজেন্ট নিয়োজিত রয়েছে। এসব এজেন্টের মাধ্যমে ৩/৪শ’ টাকা করে কেজি দরে হরিণের মাংস সংগ্রহ করা যায়।

ক্ষেত্র বিশেষে টাকা বেশি হলে এজেন্টরা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে গিয়ে এ মাংস পৌঁছে দিয়ে আসে। এছাড়া প্রভাবশালী ধনাঢ্য ব্যক্তিরা অস্ত্র নিয়ে হরিণ শিকার বা শিকারের উদ্দেশে গহীন সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন এমন নানাবিধ ঘটনা ইতোপূর্বে ঘটেছে।

মংলাস্থ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লে. কমান্ডার মহিউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, নিয়মিত টহলের সময় ও অভিযানের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় তারা জেলেদের কাছ থেকে হরিণে মাংস উদ্ধার করেছেন। এ ব্যাপারে কোস্টগার্ড তাদের নজরদারি অব্যাহত রেখেছেন।

শিকারীদের তৎপরতার কথা অস্বীকার না করলেও পূর্ব সুন্দরবন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) চৌধুরী আমির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা হরিণের মাংস বিক্রি বা পাচার রোধে আগের চেয়ে মনিটরিং আরও বাড়িয়েছি। বনজীবীদের নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি বন ও আশপাশের এলাকায় এ ধরনের খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।’

এসময় তিনি আরো বলেন, ‘বন ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নের জন্য সুন্দরবনকে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমের (জিপিএস) আওতায় আনার জন্য কাজ চলছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বন ব্যবস্থাপনায় আরও গতি আসবে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে বনকর্মীদের কাজের গতিবিধি। ফলে সুন্দরবন এলাকার দস্যু, চোরা শিকারি, গাছ পাচারকারী ও অবৈধ জেলে-বাওয়ালীদের তৎপরতা কমে আসবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বনবিভাগের কোনো কর্মকর্তা এধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকজন বনকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

পাইকগাছায় চলাচল অনুপযোগী সড়ক ২ দিনের মধ্যে সংস্কারের নির্দেশ

চলাচল অনুপযোগী পাইকগাছা-খুলনা রুটের প্রধান সড়ক পরিদর্শন শেষে সড়ক ও জনপদ বিভাগকে ২ দিনের মধ্যে সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় এমপি এ্যাড. সোহরাব আলী সানা।

উল্লেখ্য, পাইকগাছা ও কয়রা থেকে জেলা সদর ও রাজধানীতে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়ক ও জনপদ বিভাগের জনগুরুত্বপূর্ণ পাইকগাছা থেকে কাশিমনগর প্রায় ১৭ কিলোমিটার সড়ক চলতি বর্ষা মৌসুমে বড় বড় খানা খন্দে পরিনত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

শুক্রবার স্থানীয় এমপি ঢাকা থেকে নিজ এলাকায় আসার সময় সড়কের বেহাল অবস্থা দেখে নিজেই হতভম্ব হয়ে পড়েন। এরপর শনিবার সকালে সড়কটি পরিদর্শন করে উপস্থিত সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাককে ২ দিনের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন।

Friday, September 20, 2013

নৌকার বিনিময়ে ভোট !!!

এখনই শিবসা নদী খনন না করলে, খুব শীঘ্রই আমাদেরও নৌকায় চড়তে হবে। তাই, ভাবছি আগামী নির্বাচনে ভোট চাইতে আসলে নেতাদের কাছে নৌকা চাইবো।
নৌকার বিনিময়ে ভোট !!!


বি.দ্র.: আনুগ্রহ করে কেউ জানতে চাইবেন না, ধানের শীষ, দাড়িপাল্লা, লাঙল কেন চাইবো না। অর্থাৎ এই পোস্টের সাথে কোন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ঠতা খুজবেন না। 


দুর্গা পূজার নির্ঘণ্ট- ২০১৩

অনন্ত জলিল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন !!

 ....চমকে গেলেন ? প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, “আওয়ামী লীগকে হারানো অসম্ভব।”

আর আপনারাতো জানেন, অসম্ভবকে সম্ভব করাই অনন্তের কাজ। কাজেই বিএনপি নিশ্চয় চাইবে অনন্তকে দলে নিতে।

(এইটা কোন খবর না, ফেসবুক থেকে সংগৃহীত স্ট্যাটাস অবলম্বনে চ্যানেল আইয়ের মিডিয়া পার্টনার প্রিয় থেকে)

স্ট্যাটাস সূত্র: (https://www.facebook.com/shafi.abdullah)

একটি মানবিক আবেদন

পাইকগাছায় অর্থাভাবে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে মেধাবী শিক্ষার্থী আলেয়ার। সে উপজেলার পুরাইকাটি গ্রামের আব্দুল জব্বার শেখের একমাত্র কন্যা। তার হতদরিদ্র পিতা দুরারোগ্য ব্যাধিতে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী রয়েছে। মা সখিনা বেগম দিনমজুরের কাজ করে কোনমতে সংসার চালালেও মেয়ের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

মেধাবি শিক্ষার্থী আলেয়া আক্তার ২০১৩ সালে ফসিয়ার রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়েও অর্থাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে সে ইংরেজী ও আইন বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছে।

►সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা:


নাম- আলেয়া আক্তার, পিতার নাম- আব্দুল জব্বার শেখ, সাং- পুরাইকাটি, পোঃ- গদাইপুর, থানা- পাইকগাছা, জেলা- খুলনা।

আলেয়া আক্তার, সঞ্চয়ী হিসাব নং- ১৯১০৯,
ইসলামী ব্যাংক পাইকগাছা শাখা, খুলনা।
মোবাইল নং-০১৭১১-৩৯৮৭৬৭।

Tuesday, September 17, 2013

বুধ ও বৃহস্পতিবার জামায়াতের হরতাল

মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসির দণ্ডাদেশের প্রতিবাদে আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াত। 

মঙ্গলবার দুপুরে দলটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন, গণহত্যা, গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও আব্দুল কাদের মোল্লাসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মুক্তি এবং কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্বহালের দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক হরতাল পালনের আহ্বান করা হচ্ছে।

ইবিতে ভর্তি পরীক্ষা ১৬ নভেম্বর

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা ১৬ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরীক্ষা চলবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত।

মোবাইল অপারেটর টেলিটক-এ SMS এর মাধ্যমে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর হতে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন জমা নেয়া হবে। ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাবলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট www.iubd.netwww.iu.ac.bd এ জানা যাবে।

উল্লেখ্য, এ বছর ২২টি বিভাগের ৮টি ইউনিটে ১৪৬৫ আসনে ভর্তির জন্য পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে বলে একাডেমিক অফিস সূত্রে জানা গেছে।

পাইকগাছায় মৎস্য ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম

পাইকগাছায় সন্ত্রাসীরা এক মৎস্য ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে। আহত ব্যবসায়ী অরুন বিশ্বাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

জানা যায়, উপজেলার রাড়ুলী বাগ গ্রামের অক্কুর বিশ্বাসের পুত্র অরুন বিশ্বাস (৫০) ঘটনার দিন রোববার রাত ৯টার দিকে বাজার থেকে সাইকেলযোগে বাড়ী ফেরার সময় বালিস পুকুর নামকস্থানে পৌছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ৬/৭ জন মুখোশধারী সন্ত্রাসী অরুনের উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে।

এ সময় সে চিৎকার দিলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ওই রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আহত’র পক্ষে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

আধুনিক চিংড়ি চাষ ব্যবস্থাপনায় সফল হাদিউজ্জামান

পাইকগাছা উপজেলার লক্ষীখোলা গ্রামের রউফ ফকিরের পুত্র হাদিউজ্জামান একজন মধ্যবৃত্ত কৃষক পরিবারের সন্তান। সংসার ও লেখাপড়ার খরচ চালাতে গিয়ে তার পিতা ঋনগ্রস্থ হয়ে পড়ে এমনকি তাদের বিলান ৪-৫ বিঘা জমি অন্যের কাছে বন্ধক রাখতে হয়। এদিকে হাদিউজ্জামান বি এ পাশ করে বেকারত্ব জীবন কাটায়। একদিন সে পরিকল্পনা করে তাদের নিজ জমিতে চিংড়ি চাষ শুরু করবে। 

বিগত ২-৩ বছর সে তেমন সফল হতে পারেনি। অবশেষে ২০১২ সালে অ্যাকুয়া কালচার ফর ইনকাম এন্ড নিউট্রিশন (এ আই এন) প্রকল্পের চিংড়ি চাষী গ্রুপে অর্ন্তভূক্ত হয় এবং প্রকল্পের প্রতিটি প্রশিক্ষনে উপস্থিত হয়ে আধুনিক চিংড়ি চাষ ব্যবস্থাপনার উপর যথেষ্ঠ জ্ঞান লাভ করে সেই অনুযায়ী ঘের পরিচালনা করে এবং চিংড়ি চাষে কোন সমস্যা হলে প্রকল্পের সম্প্রসারন সহায়ক বৃন্দের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহন করে।

ভাল চাষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সে এ বছর ২৯৭ শতক জমিতে এই পর্যন্ত ৪৭০ কেজি বাগদা ৩৭৫ কেজি সাদা মাছ পেয়েছে যার মূল্য ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। তিনি আশা করেন আরো ৮০-৯০ হাজার টাকার বাগদা ও সাদা মাছ পাবেন। ফলে সকল খরচ বাদে প্রায় ২ লক্ষ টাকা লাভ হবে বলে তার ধারনা।

হাদিউজ্জামান বলেন, তার গ্রপের ৩০ জন সদস্যের অধিকাংশ চাষীরাই বিঘা প্রতি (৩৩ শতক) গড়ে প্রাই ৩০-৪০ হাজার টাকার বাগদা উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের মধ্যে লক্ষীখোলা গ্রামের সামিউল, ইমরান, হাবিবুর রহমান, হাশেম মিস্ত্রি, রবিউল বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।

হাদিউজ্জামান জানান, সকল চিংড়ি চাষী যদি আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করে তাহলে তার মত অন্যান্যদেরও চিংড়ির উৎপাদন বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে এবং এই চাষ পদ্ধতি দারিদ্র বিমোচন ও বেকারত্ব দুরিকরনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

পাইকগাছায় ফেনসিডিলসহ দু’মাদক ব্যবসায়ী আটক

পাইকগাছায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৮ বোতল ফেনসিডিলসহ দু’মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। 

থানাপুলিশ সুত্রে জানা যায়, রোববার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার পুরাইকাটি গ্রামের মুনসুর মোড়লের পুত্র আব্দুল মোড়ল (২৩) ও বাবর আলী খানের পুত্র মোঃ সবুর খান (৫২) ঘটনার দিন সীমান্তবর্তি জেলা সাতক্ষীরা থেকে ফেনসিডিল নিয়ে পাইকগাছায় আসার সময় রাড়ুলী-বোয়ালিয়া খেয়াঘাটে পৌছালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাড়ুলী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আব্দুল হাই অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দু’মাদক ব্যবসায়ীকে ১৮ বোতল ফেনসিডিলসহ হাতেনাতে আটক করে।

এসময় তাদের ব্যবহৃত খুলনা-হ-১১-৩৮৭৩ নং সিঙ্গার মটরসাইকেলটি জব্দ করে। ওসি এম মসিউর রহমান জানান, মাদক ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসাবে এরুটটি ব্যবহার করে আসছে। আটককৃতরা ২টি ইলাস্টিক এ্যাকলেটের মধ্যে ফেনসিডিল বহন করছিল বলে তিনি জানান। এ ঘটনায় সোমবার মাদক আইনে পাইকগাছা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে যার নং-২৩।

পাইকগাছায় দলিতদের প্রত্যাশা শীর্ষক সংলাপ সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় দলিত জনগোষ্ঠির মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষাকরণ প্রকল্পের উদ্যোগে সরকারি সেপটিনেট কর্মসূচী ও দলিতদের প্রত্যাশা শীর্ষক সংলাপ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিত্রান এরিয়া অফিস খুলনার উদ্যোগ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহায়তায় সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউপি সদস্য শেখ জাকির হোসেন লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চু। 

পরিত্রানের এপিসি আসাফুল ইসলাম কাজলের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক এসএম আলাউদ্দিন সোহাগ, যুগ্ম সম্পাদক তৃপ্তি রঞ্জন সেন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক স্নেহেন্দু বিকাশ, সাংবাদিক এন ইসলাম সাগর, সুকুমার দাশ, অনিমা দাশ, শুধা রাণী, বিষ্ণু, গোপাল দাশ, তাপস দাশ, হৃদয় সরকার, আনোয়ারা, ময়না, অঞ্জনা, ঝর্ণা, ববিতা, পূর্ণিমা, তৃষ্ণা সরকার, সীমা সরকার, দানিয়েল ও পরিত্রানের এ্যাডভোকেসি অর্গানাইজার বিজয় দাশ।

অতিদরিদ্র শিশুর নিয়মিত উপস্থিতি বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অতিদরিদ্র শিশুর নিয়মিত উপস্থিতি বিষয়ক স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচী ও এ্যাডভোকেসি ফর সোস্যাল চেইঞ্জ এর উদ্যোগে সোমবার সকালে মানিকতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহফুজুল হক কিনুর সভাপতিত্বে ও সামাজিক ক্ষমাতায়ন কর্মসূচী প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক মোহাঃ মুনতাসির রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন, শিক্ষক আলি মুনসুর খান, খালেদা খাতুন, চুমকি রায়, স্বর্নলতা গাইন, অভিভাবক সদস্য মিজানুর রহমান, মুজিবুর রহমান, বাবর আলী সরদার, হারুন-অর-রশিদ, ফাইমা বেগম, আরিফা বেগম, ব্র্যাকের সংগঠক আবু সাঈদ ও রেহানা বেগম।

Monday, September 16, 2013

দীর্ঘ এক বছরেও স্কুল শিক্ষক ভগবান হত্যা মামলার কিনারা হয়নি

দীর্ঘ এক বছরেও পাইকগাছা উপজেলার স্কুল শিক্ষক ভগবান মন্ডল হত্যা মামলার কিনারা হয়নি। রহস্য উন্মোচন হয়নি। আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে এবং মামলার বাদী ও তার পুত্র-কন্যাকে খুন-জখমসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের হাউলি গ্রামের স্কুল শিক্ষক ভগবান মন্ডলের সাথে একই গ্রামের নিমাই চন্দ্র মন্ডল গংদের জমাজমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে দীর্ঘদিনের। এরই জের ধরে গত ০৬-০৪-১২ তারিখ নিমাই মন্ডল দলবল নিয়ে বৃদ্ধ শিক্ষক ভগবান মন্ডলকে বাড়ির সামনে ফেলে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। এসময় তাকে উদ্ধার করতে এলে তার স্ত্রী শ্লীলতাহানি ঘটানো হয়। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে নিমাই মন্ডলকে প্রধান আসামী করে ৬জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১২, তাং-০৬-০৪-১২, জি,আর-১৯২/১২।

অভিযোগ রয়েছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস,আই আসাদুল মামলার গুরুত্বপূর্ণ ধারা বাদ দিয়ে ৩০-০৫-১২ তারিখে আদালতে শুধুমাত্র ৩২৩ ধারায় আসামীদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দাখিল করেন। মামলার বাদী পুলিশের রিপোর্টের বিরুদ্ধে ১-০৭-১২ তারিখে আদালতে নারাজী দেন।

ইতিমধ্যে আহত ভগবান মন্ডল চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বছরের ২০ আগস্ট মারা যান। মৃত্যুর পর গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর উক্ত মামলার বাদী একই আসামীদের বিরুদ্ধে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ভগবান মন্ডলকে হত্যার অভিযোগে ফের মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি জি,আর-১৯২/১২ মামলার সাথে নথিভুক্ত রাখেন এবং পূর্বের মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন।

আদালতের নির্দেশে থানার এস,আই সিরাজ মামলাটির পুনঃতদন্ত করছেন বলে জানা গেছে। মামলার বাদী অনিমা রানী মন্ডল বলেন, আসামীরা আমাকে ও পুত্র হিমাংশু মন্ডলসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ সাক্ষীদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে মামলা তুলে নেয়ার জন্য। স্বামীর ন্যায় একমাত্র পুত্র হিমাংশু মন্ডলও প্রতিপক্ষের দ্বারা হত্যার শিকার হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন তিনি। চরম ভীতিকর অবস্থার মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে তিনি জানান।

প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

পাইকগাছায় অর্পিত ও দেবোত্তর সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা আইন ‘১৩ সম্পর্কিত বিল প্রত্যাহারের দাবীতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য ও পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ। 

রোববার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে দু’টি সংগঠনের পক্ষ থেকে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপির মাধ্যম সংগঠনের নেতারা জানান অর্পিত সম্পত্তি জটিলতা নিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগণের দূর্ভোগ দীর্ঘদিনের। ভূক্তভোগীদের প্রত্যাশা ছিল বর্তমান সরকারের মেয়াদকালেই অর্পিত ও দেবোত্তর সম্পত্তি জটিলতা অবসান হবে।

২০১১ থেকে ১৩ সালের মে মাস পর্যন্ত ৪টি সংশোধনী জটিল থেকে জটিলতার সৃষ্টি করেছে। জটিলতার কারনে ইতোমধ্যে সারাদেশে গঠিত ট্রাইবুন্যালে ৫ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। ধীরগতির কারনে নিষ্পত্তির সময় অর্ধশতবছর অপেক্ষা করতে হতে পারে বলে সংগঠনের নেতারা আশংকা প্রকাশ করেছে।

সংগঠনের নেতারা স্মারকলিপির মাধ্যমে (ক) অর্পিত সম্পত্তির প্রর্ত্যাপন আইনে বে-আইনীভাবে সংযোজিত (খ) তপশীল (ঘ) অব্যাহত গেজেট প্রকাশে ধারাবাহিকতা বাতিল ও দেবত্তোর সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা আইন ‘১৩ সম্পর্কিত বিল সর্বশেষ সংসদ অধিবেশনে উপস্থাপন না করে প্রত্যাহারের দাবী জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রতন কুমার ভদ্র, সমীরণ সাধু, আনন্দ মোহন বিশ্বাস, মুরারী মোহন সরকার, প্রাণকৃষ্ণ দাশ, প্রমথ মন্ডল, উত্তম দাশ, শংকর দেবনাথ, সুনীল মন্ডল, দেবব্রত রায়, সুভাষ বিশ্বাস, সাংবাদিক স্নেহেন্দু বিকাশ, ভূধর চন্দ্র বিশ্বাস, দুলাল বিশ্বাস, জগদীশ রায়, দীপক মন্ডল, মধুসুদন কর্মকার, সুবাস চন্দ্র মন্ডল, সঞ্জীব কুমার মন্ডল ও কৃষ্ণ রায়।

অতি দরিদ্র শিশুর নিয়মিত উপস্থিতি বিষয়ক ফলোআপ মিটিং অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অতিদরিদ্র শিশুর নিয়মিত উপস্থিতি বিষয়ক স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাথে ফলোআপ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচী ও এ্যাডভোকেসি ফর সোস্যাল চেইঞ্জ এর উদ্যোগে রোববার সকালে দক্ষিণ গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, এ্যাডভোকেসি ফর সোস্যাল চেইঞ্জ এর জেলা ব্যবস্থাপক মোহাঃ মুনতাসির রহমান, ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন, শিক্ষক আকবার আলী, তাছলিমা বেগম, আলি মুনসুর খান, লুৎফর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক সানা, এবাদুল ইসলাম, রিজিয়া বেগম, ময়না বেগম, আফসার আলী, সাহেদ আলী, ব্র্যাকের আবু সাঈদ ও রেহানা বেগম। 


সভায় উপস্থিতির হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের অগ্রগতি ও খন্ডকালিন বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়।

Sunday, September 15, 2013

Talk of the Upazila-য় পরিণত হয়েছে "মোটরসাইকেল চুরি"

মাত্র ১৫ ঘন্টার ব্যবধানে পাইকগাছা পৌর ও কপিলমুনি এলাকা থেকে ফের দু’টি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল Voice of Paikgacha-তে “পাইকগাছায় মোটরসাইকেল চোরদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু সেই সংবাদ সকলের দৃষ্টিগোচর হওয়ার আগেই ঘটলো আবারও মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা। এবার বাসাবাড়ির গ্রীল কেটে বারান্দা থেকে মোটরসাইকেল দু’টি চুরি হয়েছে।

ভুক্তভোগীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, গত শুক্রবার গভীর রাতে পৌর সদরের বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন মৃত আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী গাজীর পুত্র হারুন-আর-রশিদের (সাহেব আলী) বাসাবাড়ীর বারান্দায় রাখা ১২৫ সিসি (লাল-কালো রঙের) ডিসকভার মোটরসাইকেল চুরি হয়।

একই রাতে কপিলমুনি কলেজ রোডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী তোহিদুজ্জামান মুকুলের ব্যবহৃত হিরোহোন্ডা সিভিজেড মোটরসাইকেলটি কে বা কারা চুরি করে নেয়।

এ ঘটনায় এলাকায় মটরসাইকেল চুরির আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। সর্বপরি, মোটরসাইকেল চুরি বিষয়টি Talk of the Upazila-য় পরিণত হয়েছে।

এ সংক্রান্ত পূর্ববরর্তী পোস্টের লিংক:


পাইকগাছায় সংখ্যালঘু পরিবারের উপর নির্যাতনের অভিযোগ

পৌর এলাকায় এক সংখ্যালঘু পরিবারের উপর নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাড়ির সীমানার গাছপালা কেটে সাবাড় করে দেয়াসহ নানভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডস্থ বাতিখালী গ্রামের ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সুশান্ত মন্ডল বলেন, তাদের সাথে প্রতিবেশি আঃ মান্নান গাজীর সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ হয়ে আসছে। সর্বশেষ গতকাল শনিবার ভোরে বাড়ির সীমানার বেশ কয়েকটি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে সুশান্ত মন্ডল জানিয়েছেন।

তবে আঃ মান্নান গাজী গাছ কাটার কথা অস্বীকার বলেন, আমার দু’কাঠা জমি তাদের সীমানায় রয়েছে, একাধিকবার সালিশী বৈঠক হলেও তারা গায়ের জোরে ভোগদখল করছে। এ প্রসঙ্গে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি।

পাইকগাছায় আবারও মোটরসাইকেল চুরি

পাইকগাছা পৌরসদরে মোটরসাইকেল চুরির হিড়িক পড়েছে। গতকাল Voice of Paikgacha-য় “পাইকগাছায় মোটরসাইকেল চোরদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু সেই সংবাদ সকলের দৃষ্টিগোচর হওয়ার আগেই ঘটলো আবারও মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা। সর্বশেষ শুক্রবার গভীর রাতে বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন এক বাসাবাড়ী থেকে ১২৫ সিসি একটি ডিসকভার মটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, গত শুক্রবার গভীর রাতে পৌরসদরের বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন মৃত আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী গাজীর পুত্র হারুন-আর-রশিদের (সাহেব আলী) বাসাবাড়ীর বারান্দায় রাখা ১২৫ সিসির ডিসকভার
মোটরসাইকেল চুরি হয়।

এ ঘটনায় এলাকায়
মোটরসাইকেল চুরির আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

পাইকগাছায় শাপলা কাব এ্যাওয়ার্ডের জাতীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় শাপলা কাব এ্যাওয়ার্ড এর জাতীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে পাইকগাছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খানজাহান আলী মুক্ত কাব স্কাউট গ্রুপের শাপলা কাব এ্যাওয়ার্ড (প্রধানমন্ত্রী এ্যাওয়ার্ড) এর ২৮ জন কাব সদস্য অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে।


পরীক্ষা কেন্দ্রে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিয়ুর রহমান, জাতীয় পর্যায়ের প্রতিনিধি ফারুক আহম্মেদ, বাংলাদেশ স্কাউটস্ এর পরিচালক গাজী খালেদ মাহমুদ, খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম, এয়ার অঞ্চলের শীতল মিত্র।

১২ সরঃ প্রাথঃ বিদ্যালয়ে বিতর্কিত নিয়োগ বাতিলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ

পাইকগাছার আলোচিত সমালোচিত ১২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম-প্রহরী পদে বিতর্কিত নিয়োগ বাতিল করে পুনঃ নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহনের জন্য খুলনা জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জ্যোতির্ময় বর্মন। এ ঘটনায় ভেঙ্গে পড়েছে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও নিয়োগপ্রাপ্তরা। বিষয়টি নিয়ে গত ৬ মাস ধরে নিয়োগ কমিটি, প্রশাসন, রাজনৈতিক ব্যক্তির মধ্যে চিঠি চালাচালি ও টানপোড়ন চলে আসছে।

জানা যায়, উপজেলার ২৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আউট সোর্সিং এর ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের নিমিত্তে গত ২৩/০৬/১৩ তারিখ মৌখিক পরীক্ষা শেষে বিদ্যালয় নিয়োগ কমিটি ৩ জনের প্যানেল তালিকা প্রনয়নের পর মোটা অংকের টাকা ও অনিয়মের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীকে উপেক্ষা করে অযোগ্য প্রার্থীকে প্যানেল তালিকায় প্রথম করা হয়েছে এমন অভিযোগে ১২টি বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে উপেক্ষিত প্রার্থীরা অভিযোগ করলে ১৮ জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে শুনানিতে পুনঃ প্যানেল তালিকা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশনা প্রদান করলে শিক্ষকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি জেলা প্রশাসকের দপ্তরে ন্যস্ত করেন। এদিকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রধান শিক্ষকরা ১৩ আগষ্ট তারিখে বিতর্কিত নিয়োগ প্রদান করলে ১২ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ করেন।

অপরদিকে বিতর্কিত নিয়োগ বাতিল পূর্বক পুনঃ নিয়োগের জন্য স্থানীয় এমপি এ্যাড. সোহরাব আলী সানা ২০ আগষ্ট সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ডিও পত্র প্রদান করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ০১ সেপ্টেম্বর ৯৭১ স্মারকে অভিযুক্ত মৌখালী, ঘোষাল বান্দিকাটি, পাইকগাছা মডেল, কুমখালী, পাইকগাছা ভিলেজ, লক্ষ্মীখোলা, গজালিয়া, বোরহানপুর, মঠবাটি, কেডিএস, সলুয়া গোলাবাটি ও গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১২ টি বিদ্যালয়ের বিতর্কিত নিয়োগ বাতিল করে পুনঃ নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহনের জন্য খুলনা জেলা প্রশাসক মেজবাহউদ্দিনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

Saturday, September 14, 2013

পাইকগাছায় মোটরসাইকেল চোরদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি

পাইকগাছায় মোটরসাইকেল চোরদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চুরি হচ্ছে এখানে। প্রকাশ্যে দিবালোকে জনসম্মুখ থেকে মুহূর্তের মধ্যেই চুরি হয়ে যাচ্ছে মটর সাইকেলগুলো।

পৌর বাজার, হাসপাতালের মধ্যে থেকে এমনকি খোদ আদালত প্রাঙ্গন থেকেও মোটরসাইকেল চুরি হবার ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীরা। গত চার মাসে ৭ থেকে ৮টি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটলেও খোয়া যাওয়া একটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

সর্বশেষ গত ১২ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে পাইকগাছা ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি নেতা মিরাজুল ইসলাম মিরাজের ব্যবহৃত (১০০সিসি) ডিসকোভার নীল রঙের মটরসাইকেলটি পৌর বাজারের কপোতাক্ষ মার্কেট চত্বর থেকে কে বা করা চুরি করে নিয়ে যায়।

গত ৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের সামনে ডিসকোভার (১০০সিসি) লাল-কালো রঙের মোটরসাইকেলটি রেখে গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান পুত্র কাজী বাপ্পি তার শিশুপুত্রকে ডাক্তার দেখাতে যায়। ডাক্তার দেখিয়ে ফিরে এসে দেখেন কে বা কারা মটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়েছে।

গত ১২ আগষ্ট উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের খালিয়ারচক গ্রামের মৃত গোবিন্দ মন্ডলের পুত্র প্রহাদ মন্ডল ও তার স্ত্রী আদালত প্রাঙ্গনে একটি লাল রঙের অলটন মোটরসাইকেল রেখে আদালতে হাজিরা দেয়। মাত্র ২৫/৩০ মিনিটের ব্যবধানে আদালত চত্বর থেকে কে বা কারা মেটিরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায়।

গত ২৫ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে উপজেলার লতা ইউনিয়নের শামুকপোতা গ্রামের জনৈক দীলিপ কপালী তার ব্যবহৃত লাল রঙের হিরোহোন্ডা (স্পিলিন্ডার-১০০সিসি) মোটর সাইকেলটি আদালত প্রাঙ্গনে রেখে জনৈক আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে যান। মাত্র ১০/১৫ মিনিটের ব্যবধানে মোটরসাইকেলটি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়।

গত ৪ এপ্রিল সকাল সোয়া ১০টার দিকে একইভাবে আদালত প্রাঙ্গন থেকে একটি ডিসকোভার (১৩৫সিসি) মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যায়। ভুক্তভুগী মোটরসাইকেল মালিক গদাইপুর গ্রামের জনৈক হাকিম গাজী বলেন, ইঞ্জিন ও ঘাড়ের লক দিয়ে কোর্টের বারান্দার ঠিক সামনে মোটরসাইকেলটি রেখেছিলাম। দু’চার মিনিটের ব্যবধানে শ’ শ’ লোকের উপস্থিতিতেই মোটরসাইকেলটি কে বা কারা চুরি করে নেয়।

এর ৪/৫ দিন আগে পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের সামনে থেকে সকাল ১০টার দিকে অনেকগুলো মোটরসাইকেলের মধ্যে থেকে (১৩৫সিসি) একটি ডিসকোভার মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যায়।

তার একদিন পর উপজেলার রাড়ূলী ইউনিয়নের ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক মনিরুল ইসলামের গ্লামার মোটরসাইকেলটি দিনে দুপুরে রাস্তার উপর থেকে চুরি হয়ে যায়।


চুরি হয়ে যাওয়া এ সকল মোটরসাইকেলের কোন হদিস মিলছে না বলে ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন। এদিকে গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের রামনগর গ্রাম থেকে কাগজপত্র বিহীন একটি ডিসকোভার ও একটি হিরোহোন্ডা মোটর সাইকেল উদ্ধার ও দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।

পাইকগাছায় অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

পাইকগাছা উপজেলার পাটকেলপোতা এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার একটি পাইপগান ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) বিভূতি ভুষণ ব্যনার্জী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাইকগাছা উপজেলার পাটকেলপোতা গ্রামের জাকি শিকারীর বাড়ির সামনে কেওড়া বাগানে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।

পাইকগাছা-টু ১৮ মাইল সড়কের অবস্থা ভয়াবহ

পাইকগাছার গোলাবাটি থেকে ১৮ কিঃ মিঃ পর্যন্ত ২০ কিঃ মিঃ সড়কের উপর পানি সহ রাস্তায় বড় বড় খাদের সৃষ্টি হওয়ায় পরিবহন সহ ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। সড়কটি মেরামত না করলে যে কোন মুহূর্তে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে পাইকগাছার সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ। 

সড়কের এতটা ভয়াবহতা আগে কখনও দেখেনি এই জনপদের মানুষ। বর্তমান মাহাজোট সরকারের সাড়ে ৪ বছরেও কোন সংস্কারের কাজ হয়নি। সড়কের করুন পরিনতির জন্য এলাকাবাসী তালা-কলারোয়া সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়র শেখ মুজিবুর রহমানও খুলনা-৬, কয়রা-পাইকগাছা সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এডঃ সোহরাব আলী সানাকে দায়ী করছে। তাদের কারনে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ৩টি উপজেলার পায় ৭ লাখ মানুষ।

অভিযোগ আছে, তালা-কলারোয়া সংসদ তার সময়ে এলাকার মাত্র ১৬ কিঃমিঃ সড়কের কোন সংস্কার করতে পারেননি। সয়ং যোগাযোগ মন্ত্রী সরেজমিনে এসে সড়কের করুন অবস্থা দেখে তা দ্রুত চলাচলের উপযোগী করার নির্দেশ দিলেও সড়ক জনপদ বিভাগ তা বাস্তবায়নে কাজ আজও করেনি। এতে করে সড়কটি সংস্কারে নতুন করে কাদের কাছে দাবি তুলবে তাও জানেন না এই জনপদের মানুষ।

১৮ মাইল থেকে কপিলমুনির গোলাবাটি পর্যন্ত ২০ কিঃ মিঃ সড়কের সব টুকু খানাখন্দে ভরা এবং চলাচলের অনুপযোগী। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কিছু কিছু যানবাহন চললেও আশংকা করা হচ্ছে যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে পাইকগাছা-টু ১৮ মাইল পর্যন্ত যানবাহন চলাচল।

Friday, September 13, 2013

পাইকগাছা কলেজ আন্তবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

গতকাল অনুষ্ঠিত হল পাইকগাছা কলেজ আয়োজিত আন্তবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা। ফাইনালে পাইকগাছা কলেজ সম্মান বিভাগ প্রতিপক্ষ উচ্চ মাধ্যমিক (২য় বর্ষ) বানিজ্য বিভাগ ফুটবল একাদশকে ১-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে। সম্মান বিভাগের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন ৯নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় লাবণ্য।

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন বানিজ্য বিভাগ ফুটবল একাদশের গোলরক্ষক রাজু। ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার পান নিত্যা।

খেলা শেষে বিজয়ী সম্মান বিভাগ এবং রানার্স আপ বানিজ্য বিভাগ একাদশকে পুরস্কার প্রদান করেন পাইকগাছা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবু মিহির বরন মন্ডল। এ সময় কলেজের শিক্ষকমন্ডলী উপস্থিত ছিলেন।

(ছবিতে, বিজয়ী সম্মান বিভাগের খেলোয়াড়রা পুরস্কার গ্রহন করছেন)

STROKE (স্ট্রোক): মনে রাখুন শব্দটির প্রথম ৩টি অক্ষর: S, T এবং R

আমরা সবাই-ই যদি এই ছোট্ট সাধারণ সণাক্তকরণ উপায়টা শিখে ফেলি, তবে হয়তো আমরা স্ট্রোকের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের প্রিয়জনদের রক্ষা করতে পারবো।

একটি সত্যি গল্প: 

একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে একজন ভদ্রমহিলা হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন। উঠে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, সবকিছু ঠিক আছে, মেঝের টাইলসে তার নতুন জুতোর হীল বেঁধে যাওয়ায় তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। কেউ একজন এম্বুলেন্স ডাকার কথা বললেও তিনি তাতে রাজি হলেন না।

সবকিছু ঠিকঠাক করে, পরিস্কার করে তিনি নতুন করে প্লেটে খাবার নিলেন। যদিও মনে হচ্ছিলো যেন তিনি একটু কেঁপে কেঁপে উঠছেন। অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ সময় জুড়েই তিনি উপস্থিত থাকলেন। পরদিন দুপুরে ভদ্রমহিলার স্বামী ফোন করে জানালেন, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টার সময় তিনি মারা গেলেন।

মূল যে ঘটনা ঘটেছিল, তা হলো, তিনি অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় স্ট্রোক করেছিলেন। সেখানে যদি কেউ জানতেন, কিভাবে স্ট্রোক সনাক্ত করা সম্ভব, তাহলে হয়তো ভদ্রমহিলা আজও বেঁচে থাকতেন।

সবাই যে মৃত্যুবরণ করে, তা নয়। অনেকের ঠাঁই হয় বিছানায়, সাহায্যহীন, ভরসাহীন মূমুর্ষূ অবস্থায়। মাত্র তিনটা মিনিট সময় নিয়ে এটা পড়ে ফেলুন।
একজন মস্তিষ্কবিশেষজ্ঞ বলেছেন, যদি একজন স্ট্রোকের শিকার রোগীকে স্ট্রোক হবার তিন ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে নেয়া যায়, তবে তাকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ অবস্থায় ফেরত পাওয়া সম্ভব। শুধু আমাদের জানতে হবে কিভাবে স্ট্রোক চেনা যায়, এবং কিভাবে রোগীকে উল্লেখ্য সময়ের মধ্যে মেডিকেল কেয়ারে নেয়া যায়।

স্ট্রোককে চিনুন:

সহজ তিনটি ধাপ: S T ও R...পড়ুন এবং জানুন!

মাঝে মাঝে স্ট্রোকের উপসর্গ সনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের অজ্ঞতার কারণেই নেমে আসে যাবতীয় দুর্যোগ। স্ট্রোকের শিকার রোগীর মস্তিষ্কে যখন ভয়ানক রকম ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, পাশে দাঁড়ানো প্রিয়জনটিই হয়তো বুঝতে পারছে না, কি অপেক্ষা করছে তাদের কাছের মানুষের জীবনে।

সহজ উপায়ে স্ট্রোক সনাক্ত করার উপায়, সহজ তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুনঃ

S – Smile রোগীকে হাসতে বলুন।
T – Talk রোগীকে আপনার সাথে সাথে একটি বাক্য বলতে বলুন। উদাহরণঃ আজকের দিনটা অনেক সুন্দর।
R – Raise hands. রোগীকে একসাথে দুইহাত উপরে তুলতে বলুন।


এর কোনো একটিতে যদি রোগীর সমস্যা বা কষ্ট হয়, তৎক্ষণাৎ দেরি না করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এবং চিকিৎসককে সমস্যাটি খুলে বলুন। (রোগী বলতে স্ট্রোকের শিকার সন্দেহ করা ব্যক্তি বোঝানো হয়েছে)

সনাক্তকরণের আরেকটি উপায় হচ্ছে, রোগীকে বলুন তার জিহবা বের করতে। যদি তা ভাঁজ হয়ে থাকে, বা অথবা যদি তা বেঁকে যেকোনো একদিকে চলে যায়, সেটাও স্ট্রোকের লক্ষণ। তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

একজন খ্যাতনামা হৃদবিশেষজ্ঞ বলেছেন, যদি আমরা সবাই-ই এই সহজ ব্যাপারগুলো জেনে রাখি, তবে আমরা একজনের হলেও জীবন বাঁচাতে পারবো।

সুতরাং, আপনি শিখলেন, আপনার বন্ধু ও প্রিয়জনদেরও শেখান !!!!