নারী কর্মচারীকে মারপিট করার অভিযোগ
কয়রা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার (ইউএফপিও) চৌধুরী হাসমত আলীর বিরুদ্ধে একই অফিসের নারী কর্মচারীকে মারপিট, অশ্লীল গালিগালাজ ও অসদাচরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী মনিরা খাতুন, সংশ্লিস্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় পরিচালক ও উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী মনিরা খাতুন সংশ্লিষ্ট অফিসে যোগদানের পর অফিসের হিসাব শাখাসহ গুরুত্বপূর্ণ দু’টি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা পরিবার পরিককল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরি হাসমত আলী কাজের অজুহাত দেখিয়ে অনেক রাত পর্যন্ত তাকে অফিসে থাকতে বাধ্য করেন।
তিনি বেশিরভাগ সময় অফিস না করে খুলনায় অবস্থান নেয়ার ফলে অফিসিয়াল কাজকর্ম জট লেগে যায়। পরবর্তীতে ফাইল সই স্বাক্ষর করাতে গেলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ তার সাথে রাত্রে বাসায় থাকতে বলেন। এ প্রস্তাবে মনিরা রাজি না হওয়ায় চাকুরীচুত্য করার ভয়ও দেখান। সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে সরিয়ে দিতে তিনি ইউনিয়ন পরিদর্শক এসএম হেনরী কিসিঞ্জারের যোগসাজসে মনিরার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করে দেন।
তিনি গত ২৭ আগষ্ট তার কক্ষে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন কাগজসহ কয়েকটি সাদা কাগজের নিচে মনিরাকে দিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করে নেন। এ সময় মনিরা স্বাক্ষর করতে রাজী না হলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ এমনকি মারপিটও করেন।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী মনিরা খাতুন জানান, স্যার অধিকাংশ সময় খুলনায় অবস্থান করেন। যখন অফিসে আসেন তখন আমাকে রাত ১০টা পর্যন্ত অফিসে থাকতে বাধ্য করেন। আমি একজন নারী হিসাবে যাতায়াতের দুরত্ব ও অসুস্থ মায়ের কথা বললে তিনি প্যান্ট-শার্ট পরে অফিসে যাওয়ার কথা বলে এবং প্রয়োজনে খুলনার বাসায় যাওয়ার কথা বলেন। এছাড়াও তার পরিধেয় কাপড়-চোপড় পরিস্কার করে নেন। সর্বশেষ গত ২৭ আগস্ট মারপিট করার ফলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা হাসমত আলী জানান, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাকে সরানোর জন্য এ ধরণের অভিযোগ করা হয়েছে।