Monday, June 8, 2015

পাইকগাছায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় ৩টি হাত বোমা উদ্ধার

পাইকগাছায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় ৩টি হাত বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। নাশকতার উদ্দেশ্যে উদ্ধারকৃত বোমা মজুদ করা হতে পারে বলে থানা পুলিশ ধারণা করছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশের এসআই জহুরুল ইসলাম, এসআই বিশ্বজিত অধিকারী, এসআই আবু সাঈদ, এএসআই মোমিনুর রহমান ও এএসআই আশিক সোমবার রাত ৮টার দিকে অভিযান চালিয়ে পাইকগাছা-কয়রা সড়কের আলমতলা চর মসজিদ সংলগ্ন কালভার্টের উত্তর পাশের বাবলা গাছের নিচ থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা তিনটি হাত বোমা উদ্ধার করেন। 



এ ব্যাপারে থানার সেকেন্ড অফিসার জহুরুল ইসলাম জানান, নাশকতার উদ্দেশ্যে কোন গোষ্ঠি বোমাগুলো মজুদ করে রাখতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। কারা এর সাথে জড়িত সে ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে বলে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান।

পাইকগাছায় চির নিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক স্পীকার শেখ রাজ্জাক আলী

হাজারো মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালবাসা নিয়ে জন্মস্থান পাইকগাছায় চির নিদ্রায় শায়িত হলেন পাইকগাছার কৃতি সন্তান, সাবেক স্পীকার, খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বর্ষীয়ান পার্লামেন্টারিয়ান, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষানুরাগী মরহুম অ্যাডভোকেট শেখ রাজ্জাক আলী। সোমবার আসরবাদ পাইকগাছার হিতামপুর গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পিতা-মাতার কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। 
 
বোয়ালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত মরহুমের জানাজায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আ‘লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাড. সোহরাব আলী সানা, খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা সিটি মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান, খুলনার সাবেক পৌর চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. স ম বাবর আলী। 

আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা এ্যাড. এস আর ফারুক, ফকরুল আলম, অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম, বিজিপি নেতা সিরাজউদ্দীন সেন্টু, বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান মুরাদ, এ্যাড. তফসীর আহম্মেদ, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা একরামুল কবির নাছিম, শেখ সাদী, শামছুজ্জামান চঞ্চল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদৎ হোসেন বাচ্চু, উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক গাজী মোহাম্মদ আলী, সদস্য সচিব মোঃ রশীদুজ্জামান, থানা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. জি এ সবুর, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবু সাঈদ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু, জেলা বিএনপি নেতা অধ্যাপক সেখ রুহুল কুদ্দুস, ডাঃ আব্দুল মজিদ, এ্যাড. জি এম আব্দুস সাত্তার, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ ঘোষ, উপজেলা জাপা সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, সাধারন সম্পাদক শামছুল হুদা খোকন, বিএনপি নেতা আসলাম পারভেজ, শেখ ইমাদুল ইসলাম, শেখ শামছুল আলম পিন্টু, লক্ষ্মী রাণী গোলদার, কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির এন্ড কলেজিয়েটের অধ্যক্ষ হরে কৃষ্ণ দাশ, সমীরণ সাধু, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, তৃপ্তি রঞ্জন সেনসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। 

এর আগে বেলা ১১ টায় খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

সাবেক স্পীকার শেখ রাজ্জাক আলী‘র বর্ণাঢ্য জীবন

'ভয়েস অফ পাইকগাছা'র ‪‎বিশেষ‬ প্রতিবেদন :: পাইকগাছার কৃতি সন্তান, খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বর্ষীয়ান পার্লামেন্টারিয়ান, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষানুরাগী অ্যাডভোকেট শেখ রাজ্জাক আলী ১৯৯১ সালে গঠিত পঞ্চম সংসদে প্রথমে ডেপুটি স্পিকার ও পরে স্পিকার নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর তার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির বিল পাস হয়েছিল।

জাসদ হয়ে বিএনপিতে যোগদানকারী রাজ্জাক আলী ধানের শীষ প্রতীকে একাধিকবার খুলনা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৬ সালে বিএনপি ছেড়ে অলি আহমদের সঙ্গে এলডিপি নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি। তবে কিছু দিন পরই রাজনীতি থেকে অবসরে যান এই আইনজীবী। 

শেখ রাজ্জাক আলীর জন্ম ১৯২৮ সালের ২৮ অগাস্ট খুলনার পাইকগাছা উপজেলার হিতামপুর গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ও বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পর এলএলবি ডিগ্রি নেন। আইন পেশায় যোগ দিয়ে ১৯৫৮ সালে তিনি খুলনা জেলা জজ কোর্টে ওকালতি শুরু করেন। ১৯৬৩ সালে তিনি হাই কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন।

পরের বছর তিনি খুলনা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি খুলনা ল কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন সহ-অধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করেন। এরপর তিনি ২৫ বছর ওই কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি খুলনায় সিটি ল কলেজ, সুন্দরবন আদর্শ মহাবিদ্যালয়, সবুরন্নেসা মহিলা কলেজ খুলনা, বয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, টুটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাইকগাছা ডিগ্রি কলেজ, শহীদ জিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রেডক্রসে যোগ দিয়ে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা দিয়েছিলেন।

ন্যাপের মাধ্যমে রাজনীতির শুরু হলেও স্বাধীনতার পর জাসদে যোগ দেন রাজ্জাক আলী। ১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসনে জাসদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন তিনি। ১৯৭৮ সালে বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে গঠিত জাগদলে যুক্ত হন রাজ্জাক আলী। পরের বছর বিএনপি গঠন হলে তাতে বিলুপ্ত হয় জাগদল, তিনিও যোগ দেন বিএনপিতে। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে খুলনা-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন রাজ্জাক আলী। ওই আসনে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৯১ সালে তিনি খালেদা জিয়ার সরকারে আইন প্রতিমন্ত্রী হন। ওই বছরই তিনি ডেপুটি স্পিকার ও পরে স্পিকার নির্বাচিত হন। সার্ক স্পিকারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও ছিলেন তিনি। ২০০২ সালে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাই কমিশনারের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। 

শেখ রাজ্জাক আলী ১৯৫৩ সালে বিয়ে করেন সমাজসেবী-লেখিক অধ্যাপক বেগম মাজেদা আলীকে। তাদের পাঁচ মেয়ের মধ্যে বড় রানা রাজ্জাক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক। দ্বিতীয় মেয়ে সাহানা রাজ্জাক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে খুলনায় কর্মরত। তৃতীয় মেয়ে জার্মানিতে কর্মরত এ্যানা রাজ্জাক আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ। চতুর্থ মেয়ে লীনা রাজ্জাক চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট এবং ছোট মেয়ে ড. জনা রাজ্জাক যুক্তরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক।

পাইকগাছার এই কৃতি সন্তান, খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক স্পিকার, বর্ষীয়ান পার্লামেন্টারিয়ান, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষানুরাগী অ্যাডভোকেট শেখ রাজ্জাক আলী আর নেই। ৭ জুন ২০১৫ রবিবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে খুলনার ফারাজি পাড়াস্থ নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি অনেকদিন ধরেই ক্যান্সারে ভুগছিলেন। 

তার প্রথম নামাজে জানাজা আগামীকাল ৮ জুন সোমবার সকাল ১১টায় খুলনার সার্কিট হাউজ ময়দানে অনুষ্টিত হবে। দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্টিত হবে মরহুমের গ্রামের বাড়ী পাইকগাছার গদাইপুরের হিতামপুর গ্রামে আসর বাদ বিকাল ৫টায়। জানাজা শেষে তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী পারিবারিক কবরস্থানে তার পিতা-মাতার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে শালতা নদী

এক সময় নদীতে ছিল স্রোতের তীব্রতা। এ নদী দিয়ে চলাচল করতো নৌকা ও লঞ্চসহ বিভিন্ন জলযান। আসতো পাখির ঝাঁক। তবে বর্তমানে নদীটি ভরাট হয়ে সরু খালে পরিনত হয়েছে। নদীটির নাম ‘শালতা’। সাতক্ষীরার তালা এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও পাইকগাছা সীমানা দিয়ে বয়ে যাওয়া শালতা নদী আজ তার স্রোতধারা ধরে রাখতে পারেনি। অস্তিত্ব সংকটে পড়ে কোন রকম বেঁচে আছে নদীটি ।

এদিকে পার্শবর্ত্তী কপোতাক্ষ নদ পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। বর্ষামৌসুমে কপোতাক্ষ সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত হলে পানি নিস্কাশন হয় শালতা নদী দিয়ে। শালতা নদীর দু’কুলে কয়েক লাখ মানুষের বসবাস। এ নদীটি ভরাট হয়ে গেলে এলাকার মানুষের দুঃখের শেষ থাকবে না।

সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ জানান, শালতা নদী খনন নিয়ে সংসদের বাজেট অধিবেশনে তিনি এ নদী খননের দাবী করেছেন। শালতা নদী না বাঁচলে কয়েক লাখ মানুষ স্থায়ী জলাবদ্ধতার কবলে পড়েবে। এজন্য শালতা নদী খনন খুব জরুরী।

এ শালতা নদী অতীতে ছিল, বর্তমানেও আছে। এ নদী দক্ষিণাঞ্চলের একটি প্রাণ। শালতা দিয়ে চলাচল করতো বিভিন্ন ধরনের জলযান। যে কারণে এলাকার ব্যবসায়ীরা শালতাকে অনেক সময় ব্যবসায়ীক পথ হিসাবে ব্যবহার করতেন। জলপথে পণ্য আনা নেওযার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেকাংশে সাশ্রয় হতো ব্যবসায়ীদের।

কিন্তু কালের বিবর্তনে শালতা নদী নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে। এ নাব্যতা হারানোর ফলে এলাকার জনগণের জীবনে নেমে এসেছে এক দূর্বিসহ জীবন। শালতা নদী ও পার্শ্ববর্ত্তী কপোতাক্ষ নদের নাব্যতা হারানো ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ। সেই জেলে সম্প্রদায়ের কাছে গেলে বোঝা যাবে কত কষ্টের মধ্যে দিয়ে তাদের জীবন চলছে। কিন্তু তাদের কষ্টের খবর কেউ রাখে না।

বিগত আ’লীগ সরকারের (১৯৯৬) সময়ে বে-সরকারী সংস্থা উত্তরণ-এর অর্থায়নে ঝুড়ি কোঁদালে খনন করা হয় এ নদীটি। যে কারণে এখনও পর্যন্ত ৫ (চওড়া) ফুঁট মতো বেঁচে আছে শালতা নদী। তবে কয়েকবার সরকারের পক্ষ থেকে শালতা নদী খননের বিষয়টি বলা হলেও তা কোন কাজে আসেনি। নদীটি পরিদর্শন করতে এসেছে মন্ত্রি পরিষদের লোকজনও। তারা আসা যাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

নদী তীরের খলিলনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা প্রনব ঘোষ বাবলু জানান, বর্ষা মৌসুম এলে যারা একটু নিশ্চিন্তে ঘরে ঘুমাতে পারে না, তাদের অবস্থা কি? শালতা নদীতে পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন আর জোয়ার ভাটাও হয়না। ফলে প্রাকৃতিক দূর্যোাগ বন্যার কারণে প্রতি বছর প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। এতে চাষীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, তেমনি কৃষি পণ্য উৎপাদন না হওয়ায় বিপাকে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।

জেয়ালানলতা গ্রামের জেলে সম্প্রদয়ের বাসিন্দা আনসার নিকারী জানান, তাদের হাতে কোন কাজ নেই। বেকার হয়ে আছেন। একসময় এ নদীতে মাছ ধরেই তার মতো অনেকের সংসার চলতো। সবমিলিয়ে নদীটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় তাদের এখন অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাঁটাতে হচ্ছে।

তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, শালতা নদীর বিষয়টি নিয়ে তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষেরর সঙ্গে আলাপ করবেন। কারন নদীটি আমার সীমানা এলাকায়। সবার সঙ্গে আলাপ করে খননের ব্যবস্থা করতে হবে বলে তিনি জানান।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাইকগাছা উপজেলা কর্মকর্তা মো. শহিদুল্লাহ মজুমদার জানান, নদী টি পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। উর্দ্ধতন মহলের কাছে1 কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে শালতা নদী বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোন বরাদ্ধ আসেনি।

তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার জানান, নদীটি খননের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। যে কোন মূল্যে শালতা খনন করতে হবে।

কপোতাক্ষের পর অস্তিত্ব সংকটে শিবসা

পাইকগাছায় কপোতাক্ষের পর নাব্যতা হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী শিবসা নদী। শিববাঢী ব্রিজ থেকে হাড়িয়া চৌমুহনী পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার নদী ভাটার সময় সম্পূর্ণ শুকিয়ে যায়। ফলে জোয়ারের সময় কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও ভাটার সময় পারাপার থেকে শুরু করে বন্ধ হয়ে যায় নৌযান চলাচল।

পলি জমে জমে গত কয়েক বছরের মধ্যে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নদীটি খননের উদ্যোগ না নিলে, আগামী দু’এক বছরের মধ্যে গোটা পৌরসভাসহ বিস্তীর্ণ এলাকা স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নিবে বলে আশংকা করছে এলাকাবাসী।

পাইকগাছা উপজেলার নদ-নদীগুলোর মধ্যে শিবসা ও কপোতাক্ষ অন্যতম। এ দুটি নদ-নদী উপজেলার প্রাণ। ইতোমধ্যে গত কয়েক বছর আগে ভরাট হয়ে গেছে কপোতাক্ষ। কপোতাক্ষের পর এবার অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে ঐতিহ্যবাহী শিবসা। 

এক সময় এ নদী দিয়ে লঞ্চ, স্টিমার, চলাচল করত। মালামাল পরিবহন থেকে শুরু করে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম ছিল এ নদীটি। মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত শতশত পরিবার। ঐতিহ্যবাহী নদীটি আজ মৃত প্রায়। কপোতাক্ষের পথ অনুসরণ করে গত কয়েক বছরে পলি জমে কপোতাক্ষের শেষ প্রান্ত অর্থাৎ শিববাঢী ব্রিজ থেকে হাড়িয়া চৌমুহনী পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার নদী নাব্যতা হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে।

পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, নদীটি খনন করা না হলে আগামী দু’এক বছরের মধ্যে পৌরসভাসহ বিস্তীর্ণ এলাকা রূপ নেবে স্থায়ী জলাবদ্ধতায়। ফলে ব্যাপক ফসলহানিসহ দুর্ভোগে পড়বে হাজার হাজার মানুষ।

উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স ম বাবর আলী বলেন, উপজেলার সকল নদ-নদীর প্রাণ হচ্ছে শিবসা নদী। এলাকার পানি নিষ্কাশন থেকে শুরু করে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম এ নদীটি। এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এবং মানুষের জীবন যাত্রার মান স্বাভাবিক রাখতে নদীটি খনন জরুরি হয়ে পড়েছে।

নদীটি খননের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে বলে স্থানীয় এমপি এ্যাড. শেখ মো. নূরুল হক জানান।