Sunday, March 9, 2014

দুর্নীতিকে যাদুঘরে রাখার দৃঢ় শপথ নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী’র নির্বাচনী প্রচারণা

ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত উপজেলা গড়া ও দুর্নীতিকে যাদুঘরে রাখার দৃঢ় শপথ নিয়ে পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাস্তব প্রতিষ্ঠাকরণ পার্টির (স্বঘোষিত) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি জিএম আবদার রশীদ রবি। 

তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী ৬ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে নিজেকে কবি, লেখক, নৃ-বিজ্ঞানি, ডাক্তার, সাংবাদিক, আইনপ্রনেতা, বিশ্বরত্ম, দেশরত্ম, ভেটেনারী, সার্ভেয়ার, টাইপিষ্ট, কম্পিউটার প্রশিণপ্রাপ্তসহ অসংখ্য গুনে গুণান্বিত ও নিজেকে যোগ্য প্রার্থী দাবী করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে (চিংড়ী মাছ) প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন।

উল্লেখ্য, চলতি উপজেলা নির্বাচনে অন্য সকল প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণাসহ নির্বাচনী কাজে কর্মী সমর্থকদের সহায়তা থাকলেও কবি আবদার রশীদ নিজেই নিজের কর্মী, নিজেই প্রচারম্যান। এমনকি নিজের প্রতীকের পোষ্টারগুলো নিজেই বিভিন্ন স্থানে টাঙ্গিয়ে দিচ্ছেন। তিনি যখনই কোথায় পোষ্টার লাগাচ্ছেন অথবা কোথাও বক্তব্য দিচ্ছেন তখন তার বক্তব্য শোনার জন্য উৎসুক জনতা সেখানেই ভীড় জমাচ্ছে।

সবমিলিয়েই প্রতিদ্বন্দ্বী এ প্রার্থী নির্বাচনী এলাকার মানুষের আনন্দের খোরাক হয়ে দাড়িয়েছেন।

পাইকগাছায় পরিত্যক্ত অবস্থায় হাতবোমা ও বন্দুকের কার্তুজ উদ্ধার

পাইকগাছায় পুলিশ পরিত্যাক্ত অবস্থায় ৪টি হাতবোমা ও বন্দুকের ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে।

থানা পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সকালে হরিঢালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই বজলুর রহমান উপজেলার উত্তর সলুয়া গ্রামের মৃত আলীমুদ্দিন সরদারের পুত্র আব্দুস সামাদ ওরফে নেজমত সরদারের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে বাড়ীর পিছনে কবুতরের খুপড়ী থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪টি হাতবোমা ও বন্দুকের ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আব্দুস সামাদের পুত্র আব্দুল হালিমকে আটক করা হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে এস.আই বজলুর রহমান জানান, উদ্ধারকৃত ৪টি ককটেল ও বন্দুকের কার্তুজ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিপক্ষের কেউ কাউকে ফাঁসানোর জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

কয়রায় গ্রাজুয়েটস স্কুলে দুর্ধর্ষ চুরি; মালামালসহ ২ চোর আটক

কয়রা উপজেলার গ্রাজুয়েটস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার’সহ ২ চোরকে আটক করেছে কয়রা থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন মদিনাবাদ গ্রামের ইস্রাফিল (২৭) ও শিমলার আইট গ্রামের রবিউল (২৬)।
 
পুলিশ ও স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার গভীর রাতে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের কক্ষের তালা ভেঙে চোরেরা বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত কম্পিউটার সরঞ্জামাদি’সহ বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়। 

শনিবার সকালে বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ কয়রা থানায় অবহিত করলে কয়রা থানার এস.আই ফেরদৌস ও এস.আই ইন্দ্রজিৎ’এর নেতৃত্বে পুলিশ ২ ঘণ্টার ব্যবধানে ১নং কয়রা এলাকার আবুল কাশেমের বসত বাড়ীর একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে মালামাল সহ চোর ইস্রাফিলকে আটকের পর তার স্বীকারক্তি মোতাবেক চোর রবিউলকেও আটক করে। আটককৃতদের জেল-হাজতে প্রেরণ করা করেছে।

শনিবার বেলা ১১ টায় উদ্ধারকৃত কম্পিউটার সরঞ্জামাদি’সহ মালামালগুলো কয়রা থানার ওসি সুবীর দত্ত গ্রাজুয়েটস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খগেন্দ্রনাথ মন্ডলের নিকট হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউ.পি. সদস্য মোঃ আব্দুস সামাদ মোল্লা ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ’সহ সাংবাদিকগণ।

পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৪

সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে জনসংযোগে বিভিন্ন দলের জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ


উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসলেও আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দেকে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে-ময়দানে না পেয়ে হতাশায় ভুগছিলেন সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। অবশ্য গতকাল শুক্রবার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হককে জনসংযোগে পেয়ে উজ্জীবীত হয়েছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। 

এদিকে দলীয় প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে বিএনপির স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ জোর তৎপরতা শুরু করেছেন অনেক আগে থেকেই। ইতিমধ্যে জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ পাইকগাছায় দু’বার সফর করে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন।

আগামী ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় প্রার্থী নির্ধারণের লক্ষ্যে গত ২১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় দলিল লেখক সমিতি মিলনায়তনে সংগঠনের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে এক বিশেষ সভায় মিলিত হন জেলা আ’লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক এস,এম মোস্তফা রশিদী সুজাসহ উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ।

সভায় আ’লীগের তৃণমূল পর্যায়ের কাউন্সিলরদের গোপন ভোটে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ রশীদুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মুজিবর রহমান সানা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দীপ্তি চক্রবর্তী নির্বাচিত হন।

জানা গেছে, প্রার্থী নির্ধারনের পর সাবেক সাংসদ এ্যাড. সোহরাব আলী সানা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নে এবং ১লা মার্চ চাঁদখালী ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে জনসংযোগ করেন। যদিও সাবেক সাংসদের জনসংযোগে দলীয় প্রার্থীদের খুব বেশি সুফল বয়ে আনবে কি আনবে না তা’ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন দলীয় ও সাধারণ ভোটাররা।

তবে দীর্ঘদিন পর বা শেষ মুহূর্তে হলেও বর্তমান সংসদ সদস্য এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হককে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে মাঠে পেয়ে বেজায় খুশি সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তিনি গতকাল শুক্রবার দিনভর উপজেলার লতা ইউনিয়নে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন। সংসদ সদস্যের আগমনে দীর্ঘদিন ঝিমিয়ে থাকা আ’লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন নেতাকর্মীরাও বেশ চাঙ্গা হয়েছেন বলে দলের একাধিক নেতাকর্মী জানিয়েছেন।

এদিকে বিএনপি তথা ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী বিএনপি নেতা ও সাবেক সাংসদ এ্যাড. স,ম বাবর আলী, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা জামায়াত আমীর আলহাজ্ব মাওঃ শেখ কামাল হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রাবেয়া হোসেনের বিজয় নিশ্চিত করতে খুলনা মহানগর বিএনপি সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও জেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক এ্যাড. শফিকুল আলম মনাসহ উর্ধতন নেতৃবৃন্দ একাধিকবার পাইকগাছায় সফর করেছেন। যার ফলে এখানকার ত্রিধারায় বিভক্ত বিএনপি এখন (দৃশ্যতঃ) অবিভক্ত হয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন বেশ
জোরেসোরে।

একটি মাত্র ব্রীজ খুলনা-পাইকগাছার দূরত্ব কমাবে ২৬ কিলোমিটার

একটি মাত্র ব্রীজ পাইকগাছা থেকে খুলনার দূরত্ব কমাবে ২৬ কিলোমিটার। সোলাদানাস্থ শিবসা নদীতে ব্রীজ বা ফেরি স্থাপিত হলে দূরত্ব কমার পাশাপাশি সাশ্রয় হবে সময় ও অর্থ। উন্নয়নের এক ধাপ এগিয়ে যাবে সুন্দরবনের কোল ঘেষা দক্ষিণাঞ্চল। নির্বিঘ্নে এ পথে যাতাযাতে প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছা, সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।

সূত্রমতে, খুলনা জেলার সবচেয়ে দূরত্বে সুন্দরবনের কোল ঘেষে অবস্থিত অবহেলিত দুই উপজেলা পাইকগাছা ও কয়রা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই দুই উপজেলার লাখো মানুষের জেলা শহরে যাতাযাতের এক মাত্র মাধ্যম ছিল নদীপথ। সময়ের সাথে সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, আধুনিক যানবাহনের ভিড়ে এবং নাব্যতা সংকটের কারনে নদী পথ বন্ধ হয়ে গেলে সড়ক পথই একমাত্র ভরসা হয়ে দেখা দেয়।

বর্তমানে জেলা সদর থেকে কয়রার দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার এবং পাইকগাছার ৬৬ কিলোমিটার। কয়রা-খুলনা সড়কটির সংস্কারের অভাবে হয়েছে বেহাল অবস্থা। খুলনা-পাইকগাছার মধ্যবর্তী কপিলমুনি ও তালা সংলগ্ন এলাকায় বিগত কয়েক বছর বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় পানি উঠে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় ২/৩ মাস বিচ্ছিন্ন থাকছে।

এ সময় বিকল্প রুট হিসেবে এলাকাবাসী পাইকগাছা-সোলাদানা-দেলুটি হয়ে বটিয়াঘাটার মধ্য দিয়ে খুলনায় যাতাযাত শুর করে। বিকল্প এ পথে দূরত্ব কম, অর্থ ও সময় সাশ্রয়। পাইকগাছা থেকে এ পথের মোট দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। যা বর্তমান সড়কের চেয়ে ২৬ কিলোমিটার কম।

এ পথের দূরত্ব কম হলেও সোলাদানা থেকে দারুনমল্লিক নদী পারাপার এবং দারুনমল্লিক থেকে ফুলবাড়ী বাজার পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা থাকায় যাতাযাতে চরম ভোগান্তি পেতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। নদী পারাপারের কারনে সরাসরি কোনো যানবাহন চলতে পারছে না।

এই পথের যাত্রী সমীর, বিপ্লব ও মিতা জানান, সোলাদানা চেয়ারম্যানের ঘাট, গড়ইখালী ও দারুনমল্লিক নোয়াই এলাকায় শিবসা নদীতে একটি ব্রীজ বা ফেরি স্থাপন করলে বদলে যাবে এ অঞ্চলের যোগাযোগসহ আর্থসামাজিক অবস্থা। দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান সমর কান্তি হালদার Voice of Paikgacha'কে বলেন, বিকল্প এ পথে এক দিকে দূরত্ব কম, অপরদিকে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।

সর্বগুণে গুণান্বিত !!!