Monday, July 31, 2017

থ্রি কোয়ার্টার ও সানগ্লাস পরা নিয়ে কপিলমুনি কলেজে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষ

পাইকগাছার কপিলমুনি কলেজে বহিরাগত মেহেদি নামের এক যুবকের প্রবেশাধিকার নিয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩ জন আহত হয়েছ। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ ও পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিলে খবর পেয়ে কপিলমুনি ফাঁড়ির পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ দাবি করেছে।


পুলিশ, কলেজ কতৃপক্ষ ও ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, সোমবার দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে কপিলমুনি কলেজে ছাত্রলীগের কলেজ কমিটির একটি অংশের সাথে ক্যাম্পাসে যায় উপজেলার রামনাথপুর এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মেহেদি নামের এক যুবক। এসময় তার পরনে থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট ও চোখে সানগ্লাস থাকায় তা দৃষ্টি কটু মনে হওয়ায় ছাত্রলীগের কপিলমুনি ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি রাসেল তার গ্লাস খুলতে ও ভবিষ্যতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শালিনতা বজায় রেখে ক্যাম্পাসে আসতে বলে।

এসময় তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে মেহেদি কলেজের দ্বিতীয় তলার ২নং কক্ষে প্রবেশ করলে উভয় গ্রুপের বাক-বিতন্ডা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌছালে খবর পেয়ে কলেজের উপাধ্যক্ষ ত্রিদিব কান্তি মন্ডল ঘটনাস্থলে যান। এমন অবস্থায় তিনি তাদের উভয় পক্ষকে গোলযোগ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করলে তারা তার কোন কথায় কর্ণপাত না করে ধাক্কা-ধাক্কি করতে করতে নিচে নেমে আসে।

এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের কলেজ ও ইউনিয়ন কমিটি উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র এখলাচুর রহমান আশিক নামের একজন গুরুতর আহত হয় বলে দাবি করেছে ইউনিয়ন কমিটি।

অন্যদিকে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম দাবি করেন যে, আকরাম শেখ ও মুন্না নামে তাদের ২ জন আহত হয়েছে। আহতদের পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত আশিক ও মুন্নাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।


কপিলমুনি ইউনিয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র রাসেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তিনি আহত সহপাঠীকে নিয়ে খুলনায় আছেন, পরে কথা বলবেন।

কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে বলেন, বহিরাগত ইস্যু নিয়ে অপর গ্রুপ আকষ্মিক তাদের উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে আকরাম ও মুন্না নামে তাদের দু’সহপাঠীকে আহত করে। এনিয়ে তারা থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।


কলেজের উপাধ্যক্ষ ত্রিদিব কান্তি মন্ডল ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দু’টি গ্রুপের সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে বলেন, একটা সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে পুলিশকে খবর দিলে কপিলমুনি ফাঁড়ি পুলিশ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।

কপিলমুনি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুল্যা বাহার জানান, শারীরিক অসুস্থ্যতার কারণে সোমবার তিনি কলেজে উপস্থিত ছিলেননা। তবে মারামারির ঘটনা শুনেছেন।

--শেখ দীন মাহমুদ, কপিলমুনি, পাইকগাছা।