Friday, December 19, 2014

পাইকগাছায় ভ্যান চালিয়ে সংসার চলে জীবনযুদ্ধে সংগ্রামী নারী হেনা পারভীনের

আত্মপ্রত্যয়ী ও জীবনযুদ্ধে পাইকগাছার সংগ্রামী নারী ভ্যান চালক হেনা পারভীন ভ্যান চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন। হেনা পারভীন পাইকগাছা উপজেলার বিরাশী গ্রামের আব্দুল করিমের কন্যা। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে হেনা পিতার বাড়িতে থেকে সংগ্রামী জীবন যাপন করছেন। তার দুই সন্তানকে নিয়ে বিরাশীর একটি খাস জমিতে খুপড়ি ঘরে বসবাস করেন। তিনি পুরুষের সাথে সমান তালে ভ্যান চালিয়ে রোজগার করেন। 
 

ভ্যান চালানোর পাশাপাশি তিনি গ্রাম থেকে জ্বালানি কাঠ ও শাক-সবজি ক্রয় করে পাইকগাছা পৌরসভায় ফেরি করে বিক্রি করেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর ভূমিহীন পরিবারের এ আত্মপ্রত্যয়ী নারী জীবন যুদ্ধে অবিরাম সংগ্রাম করে চলেছেন।

Tuesday, December 16, 2014

৩য় বছরে পদার্পণ করলো 'ভয়েস অফ পাইকগাছা'

আজ ১৬ই ডিসেম্বর 'ভয়েস অফ পাইকগাছা'র ২য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। হাটি হাটি পা পা করে ২টি বছর পার হয়ে গেলো। আজকে সময় পিছু ফিরে দেখার !!!

২০১২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবসের এক রৌদ্র মাখা সকাল ছিল 'ভয়েস অফ পাইকগাছা'র জন্মলগ্ন। জন্মলগ্ন থেকেই ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনে এগিয়ে চলার চেষ্টা করেছি আমরা। ৭৩০ দিনের এই দীর্ঘ পথ চলা সহজ ছিল না। অনেক বন্ধুর পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। কিন্তু আপনাদের ভালোবাসাই আমাদের নতুন উদ্দমে পথ চলার অনুপ্রেরনা যুগিয়েছে।

একটি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম আমরা। আমাদের লক্ষ্য ছিল পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি করা, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করা এবং পাঠকের সংবাদ তৃষ্ণাকে ত্বরান্বিত করা। এই লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে গেছি।

২য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই আলোকিত ভোরে আপনি আমাদের ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ আর অভিনন্দন গ্রহণ করুন। অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। বিগত ২ বছরের মত, সামনের দিন গুলিতেও আপনাদের ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার আশা রাখি।

এই দিনে 'ভয়েস অফ পাইকগাছা'র ঘোষণা :: আমাদের প্রতিদিনের চেষ্টা থাকবে ইতিবাচক খবরকে আরও গুরুত্ব দেওয়া। ভালোই ডেকে আনবে আরও ভালোকে।

আগামীতে কেমন হওয়া উচিৎ আমাদের কার্যক্রম? দয়াকরে আপনার মূল্যবান মতামত জানাবেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ করব না আপনাদের।

ধন্যবাদ !

Friday, December 12, 2014

খুলনা-পাইকগাছা সড়কে 'গেটলক সার্ভিস' না থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ

খুলনা-পাইকগাছা সড়কে 'গেটলক সার্ভিস' না থাকায় যাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। যাত্রীবাহী লোকাল বাসে আসা-যাওয়া করতে গিয়ে একদিকে যেমন অতিরিক্ত সময় অপচয় হচ্ছে, তেমনি নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। অত্র সড়কের আঠারমাইল থেকে পাইকগাছা ৩৩ কিলোমিটার রাস্তা ভাঙ্গা থাকার কারনে খুলনা-পাইকগাছা ৬৫ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগছে কমপক্ষে ৪ ঘন্টা। কখনও কখনও এর থেকেও বেশি সময় লাগছে। সব মিলিয়ে অত্র সড়কে চলাচলরত যাত্রী সাধারণগণ বরাবরই বিভিন্নভাবে বৈষম্যের স্বীকার হয়ে আসছেন।

যাত্রীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, খুলনা-পাইকগাছা সড়কের আঠারমাইল থেকে পাইকগাছা ৩৩ কিলোমিটার পথই ভোগান্তির মূল কারণ। দীর্ঘ বছরের ভাঙ্গাচোরা রাস্তাটি গত ২০১১ সালের মে মাসে তালা ব্রীজ মোড় থেকে কাশিমনগর পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তা পানিতে নিমজ্জিত হবার পর থেকেই রাস্তাটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। যদিও এর পর কয়েক দফা সড়ক সংস্কার কাজ হয়েছে, তবে কাজের মান ভালো না হওয়ায় রাস্তা উঁচুনিচু রয়েই গেছে এবং অনেকাংশ ফের ভেঙ্গেও গেছে।

২০১১ সালের বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি চলাচল অযোগ্য হবার কারণে যাত্রীবাহী বাসসহ প্রায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। টানা আড়াই মাস পর পানি সরে গিয়ে রাস্তা কিছুটা চলাচল উপযোগি হয়ে উঠলেও যাত্রীবাহী বাস চলাচলের ক্ষেত্রে নিয়মনীতি উপেক্ষিত হতে থাকে। সেই থেকে অত্র সড়কে ’গেটলক সার্ভিস’ তো নেই , বরং যে লোকাল বাসগুলো চলাচল করছে তাও সংশ্লিষ্টদের ইচ্ছেমত চলছে।

যাত্রীদের অভিযোগ, পাইকগাছা পৌর বাসষ্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে মাত্র দু’শ’ গজ দূরে জিরোপয়েন্টে গিয়ে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করা হয় যাত্রী ওঠাবার আশায়। এরপর বোয়ালিয়া মোড়ে গিয়ে কিছুক্ষণ দেরি করার পর কপিলমুনি বাজারে গিয়ে আবারও ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করা হয়। পেছন থেকে অন্য একটি যাত্রীবাহী বাস এলে তবেই আগের বাসটি ছাড়া হয়। এভাবে পাইকগাছা থেকে খুলনা পৌছাতে ৪ ঘন্টারও বেশি সময় লাগছে।

একইভাবে খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে ছেড়ে গল্লামারী এসে ২০-২৫ মিনিট অপেক্ষা করা হয়। সেখান থেকে কোনমতে ছেড়ে আসলেও চুকনগরে এসে আবারও অপেক্ষার পালা শুরু হয়। ২০-২৫ মিনিট পর পেছনের বাস এলেই তবে ছাড়া হয় আগের বাসটি। চুকনগর থেকে ছেড়ে এসে আবার তালা বাজারে অপেক্ষা করা হচ্ছে ৫-১০ মিনিট।

অথচ পাইকগাছা-খুলনা সরাসরি যাত্রীবাহী বাসে আসা-যাওয়া করতে সর্বোচ্চ ২ ঘন্টা বা তারও কম সময় লাগার কথা। যা ’গেটলক সার্ভিস’ হলেই সম্ভব। অত্র সড়কে চলাচলরত ব্যস্ততম যাত্রীরা এক ঘন্টা পরপর হলেও খুলনা-পাইকগাছা সড়কে ’গেটলক সার্ভিস’ চালুর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Tuesday, December 9, 2014

২০১৫ সালের এসএসসি, এসএসসি (ভোকেশনাল), দাখিল ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষার সময়সূচি

২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচি ::



২০১৫ সালের এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার সময়সূচি ::



২০১৫ সালের দাখিল পরীক্ষার সময়সূচি ::



২০১৫ সালের দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষার সময়সূচি ::



সর্বশেষ আপডেট :: গত ২৮ অক্টোবর ২০১৪ তারিখ মঙ্গলবার খসড়া সময়সূচি প্রকাশ করে মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। উক্ত সময়সূচী অপরিবর্তিত রেখে সর্ব সম্মতিক্রমে ১৮ নভেম্বর সোমবার পুনরায় এই সূচী প্রকাশ করা হয়।

আজ ঐতিহাসিক কপিলমুনি মুক্ত দিবস

জনতার রায়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ১৫৬ রাজাকারের মৃত্যুদন্ডের দিন


আজ ৯ ডিসেম্বর, ঐতিহাসিক কপিলমুনি মুক্ত দিবস। পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিবাসীর জন্য এক গৌরবময় আনন্দের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে কপিলমুনির মুক্তিকামী দামাল ছেলেরা পাকহানাদের পরাজিত করে এলাকাটি শত্রুমুক্ত করে। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ও মার্তৃভুমির টানে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার অকুতভয় দামাল ছেলেরা। যুদ্ধকালীন সময়ে ও তার পুর্বে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি'সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় পাক হানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস্ এবং শান্তি কমিটির দালালরা লুটপাট থেকে শুরু করে ধর্ষণ ও নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় নিরীহ মানুষের উপর। 

সেদিনের লোমহর্ষক ও বর্বোরোচিত ঘটনার কথা আজও ভুলিনি এলাকার মানুষ। ভয়ংকর রাতের স্মৃতি আর হানাদার বাহিনীর তান্ডবলীলা এখনও প্রবীনদেরকে শিউরে তোলে। উপজেলা সদর হতে ১২ কিঃমিঃ উত্তরে কপোতাক্ষের তীরবর্তী ঐতিহ্যবাহী কপিলমুনির অবস্থিত। প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু। সে সময় রায় সাহেবের বিশালাকৃতির বাড়ীটি রাজাকাররা সুরক্ষিত দুর্গ হিসাবে বেঁছে নিয়েছিল। মান্দাতা আমলের ঐতিহ্যবাহী এ বাড়িটিকে ঘিরে যুদ্ধের অনেক স্মৃতিচিহ্ন আজও বহন করে চলেছে।

রাজাকাররা তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রাচীর বেষ্টিত দ্বিতল এ ভবনটি তাদের ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত মনে করে গড়ে তুলেছিল রাজাকার ঘাঁটি। প্রায় ২০০ জন রাজাকার সর্বদা নিয়োজিত থেকে যুদ্ধ করেছিল। এলাকার হিন্দু ও নিরীহ লোকদের ধরে এনে নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে আজও শিহরিত হন প্রবীনরা।

১৯৭১ সালে ১১ জুলাই লেঃ আরিফিনের নের্তৃত্বে সরদার ফারুক আহমেদ, আবুবক্কার, শাহজাহান, মাহতাব, লতিফ, আনোয়ার, মনোরঞ্জনসহ আরোও অনেকে কপিলমুনি রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমন চালায়। রাত ৩টা থেকে পরদিন বেলা ৩টা পর্যন্ত চলে একটানা যুদ্ধ।

ঐ সময় খাদ্য, পানীয় ও স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতার অভাবে প্রথমবারের অভিযানে রাজাকার ঘাটির পতন ঘটানো সম্ভব হয়নি। এরপর সমন্বিত মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যমতে শুরু হয় নতুন পরিকল্পনা। আর এরই মধ্যে রাজাকারদের নিষ্ঠুর নির্যাতনের মাত্রা আরো বৃদ্ধি পায়। কথিত আছে, কপিলমুনি বাজারের কৃষ্ণচুড়া বৃক্ষের নীচে জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করা হতো নিরীহদেরকে। 

রায় সাহেবের বিশালাকৃতির বাড়ীটি রাজাকাররা সুরক্ষিত দুর্গ হিসাবে বেঁছে নিয়েছিল
এদিকে যুদ্ধের নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর মুক্তি বাহিনীর দক্ষিণ খুলনার সমস্ত ক্যাম্প কমান্ডারদের একত্রিত করে তাদের মতামত ও যুদ্ধের কলাকৌশল নির্ধারণ করে পুনরায় শুরু হয় যুদ্ধ। ঐ সময় চুড়ান্ত পরিকল্পনায় অংশ নেন গাজী রহমত উল্লাহ দাদু, স. ম. বাবর আলী, ইউনুচ আলী, শাহাদাৎ হোসেন বাচ্ছু, আঃ সালাম মোড়ল, আবুল কালাম আজাদসহ আরোও অনেকে।

৬ ডিসেম্বর রাতে আক্রমণ করা হয় কপিলমুনি রাজাকার ঘাটি। দফায় দফায় চলে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ। স্থানীয় প্রতাপকাটি কাঠের ব্রীজের উপর ৮ জন রাজাকার, তার একটু পেছনে আরো ৫ জন রাজাকার যুদ্ধে মারা যায়। একেরপর এক মরতে থাকে পাক দোসর রাজাকারদলের সদস্যরা। ৭ ও ৮ ডিসেম্বর একটানা যুদ্ধের পর ৯ ডিসেম্বর সকাল ১১ ঘটিকায় ১৫৫ জন রাজাকার আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়। 


রাজাকারদের পতন ও কপিলমুনি হাইস্কুল মাঠে আত্মসমর্পন এর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে চতুর্দিক থেকে জড়ো হতে থাকে জনতা। উপস্থিত জনতার সমন্বয়ে একটি গন আদালত গঠন করে ১৫৬ জন রাজাকারের মৃত্যুদন্ড ঘোষনা করা হয়। কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দীরের মাঠে দুপুর ২টায় প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে মৃত্যুদন্ড কার্যকর কারার মধ্যদিয়ে মুক্ত হয় পাইকগাছার কপিলমুনি।

উল্লেখ্য, কপিলমুনি মুক্ত দিবসের সঠিক তারিখ ৭ ডিসেম্বর না ৯ ডিসেম্বর এই বির্তক রয়ে গেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের এক অংশ এতদিন বলেছে ৭ ডিসেম্বর কপিলমুনি মুক্ত দিবস। জানা যায়, ১৯৯২ সালে কপিলমুনি মক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী সহ-অধিনায়ক প্রয়াত মোড়ল আব্দুস সালাম প্রথম এই মুক্ত দিবস পালনের উদ্যোগ নেন এবং ৭ ডিসেম্বর সাড়ম্বরে পালিত হয় ঐতিহাসিক কপিলমুনি মুক্ত দিবস। 

এই মাঠেই জনতার রায়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ১৫৬ রাজাকারের মৃত্যুদন্ড কার্যকর কারা হয়

পরবর্তীতে কপিলমুনি মুক্ত দিবসের তারিখ নিয়ে তৎকালীন পাইকগাছা থানা আ‘লীগের সাধারন সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত এ্যাড. স,ম ইউসুফ আলী পত্রিকায় বিবৃতি দেন কপিলমুনির মুক্ত দিবসের সঠিক তারিখ ৯ ডিসেম্বর। ফলে বির্তকের সৃষ্টি হয় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে। ফলে দু’টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েন মুক্তিযোদ্ধারা। স্ব স্ব কর্র্মসূচি নিয়ে ৭ ও ৯ ডিসেম্বর কপিলমুনি মুক্ত দিবস পালিত হয় কয়েকবার।

ঐ সময় মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী এক পক্ষের দাবী ছিল, ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর শনিবার রাত ৩ ঘটিকায় অতর্কিতে কপিলমুনি রাজাকারদের এই শক্ত ঘাটিতে আক্রমণ শুরু হয়। ৫ ও ৬ ডিসেম্বর যুদ্ধ চলে। ৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজাকাররা আত্মসমর্পনে বাধ্য হয়।

তবে মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম জানান, মুক্ত দিবসের তারিখ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে এতদিন যে বিরোধ ছিল তার অবসান ঘটেছে। সবাই বসে তারিখ ঠিক করেছেন ৯ ডিসেম্বর কপিলমুনি মুক্ত দিবস।