পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬ ডাক্তারের কাছে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নাম ব্যবহার করে জনৈক বিপ্লব নামের এক ব্যক্তি চাঁদার দাবি করেছে। মোবাইল ফোনে চাঁদার দাবি করে নানা রকমের ভয় ভীতিও দেখানো হয়েছে ডাক্তারদের। এ ঘটনার পর থেকে ডাক্তার পাড়ায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ থানায় জিডি করেছেন।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা ২টার দিকে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নাম ব্যবহার করে জনৈক বিপ্লব নামের এক ব্যক্তি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একটি নম্বর থেকে ফোন করে। সে সময় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা খুলনায় মাসিক সভায় অবস্থান করছিলেন। ফোনে জনৈক বিপ্লব নামের এক ব্যক্তি বলে, তার বসের সাথে কথা বলতে।
পরবর্তিতে তার বস পরিচয়ের ব্যক্তি বলে, তাদের দলের অনেক সদস্য বর্তমানে অসুস্থ, তাদের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার দরকার। সে কারনে ডাক্তারদের কাছে সহযোগীতা চাচ্ছে। যদি তাদেরকে টাকা না দেওয়া হয় তাহলে পরিবারের সদস্যদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে নানান হুমকি দেওয়া হয়।
পরবর্তিতে তার বস পরিচয়ের ব্যক্তি বলে, তাদের দলের অনেক সদস্য বর্তমানে অসুস্থ, তাদের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার দরকার। সে কারনে ডাক্তারদের কাছে সহযোগীতা চাচ্ছে। যদি তাদেরকে টাকা না দেওয়া হয় তাহলে পরিবারের সদস্যদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে নানান হুমকি দেওয়া হয়।
সভা শেষে নিজ কর্মস্থল পাইকগাছায় এসে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানতে পারেন কপিলমুনি হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আব্দুর রব এর নিকট বেলা ১টা ৫৭ মিনিটে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মিঠুন দেবনাথ এর নিকট বেলা ২টার দিকে, ডাঃ সঞ্জয় কুমার মন্ডল এর কাছে বেলা ২টা ১ মিনিটের দিকে, ডাঃ প্রশান্ত কুমার মন্ডল এর কাছে বেলা ২টা ৩ মিনিটের দিকে এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুজন কুমার সরকারের কাছে বেলা ২টা ৬ মিনিটের দিকে একই নম্বর দিয়ে তাদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে একই কথা বলে চাঁদা এবং তাদের চাঁদার টাকা না দিলে পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি হবে বলে নানান হুমকি দেওয়া হয়।
এরপর থেকে ডাক্তার পাড়ায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে ঘটনার পর থেকে উক্ত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।
চাঁদা দাবি, হুমকি এবং ডাক্তরদের আতঙ্কের বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ সিভিল সার্জনকে মোবাইল ফোনে অবহিত করেন। রাতেই এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ ও অন্যান্য ডাক্তারবৃন্দ উক্ত ফোন নম্বর উল্লেখ করে পাইকগাছা থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন।
থানার ওসি মোঃ আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানিয়েছেন, বিষয়টি অতি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডাক্তারদের কাছে চাঁদা দাবির বিষয়টি পাইকগাছার টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।
ডাক্তারদের কাছে চাঁদা দাবির বিষয়টি পাইকগাছার টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।