খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় দ্বিতীয় দিনের মতো
অব্যাহত রয়েছে পরিবহণ ধর্মঘট। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী।
আঞ্চলিক রুটে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও দূরপাল্লার কোনো গাড়ি ছাড়েনি।
বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ ১৩ দফা দাবিতে সোমবার সকাল থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ
শ্রমিক ফেডারেশনের খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটি অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘটের
ডাক দেয়। রোববার মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে শ্রমিকরা এ নিয়ে বৈঠক করেন।
বৈঠকে কোনো সমাধান না হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘটের ডাক দেয়। ধর্মঘটি রুটের জেলাগুলো হলো বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, খুলনা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, মেহেরপুর, নড়াইল এবং সাতক্ষীরা।
বাংলাদেশ পরিবহণ সংস্থা শ্রমিক সমিতির সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু জানান, শ্রমিকরা দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের বেতন ও খোরাকি বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। প্রায় তিন মাস আগে এ নিয়ে আলটিমেটামও দেন তারা। রোববার মালিক সমিতির নেতারা শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায়ও বসেছিলেন। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সে সভা শেষ হয়। এজন্য শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে সোমবার সকাল থেকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে ঢাকাগামী সব পরিবহণ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। তবে অন্যান্য রুটে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলেও শ্রমিক নেতা মিন্টু উল্লেখ করেন।
তিনি আরো জানান, শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ পরিবহণ সংস্থা শ্রমিক সমিতিরি সাধারণ সম্পাদক মোর্ত্তজা হোসেন জানান, চট্রগ্রাম রুটে একই পরিবহণ মালিকরা চালককে যাওয়া-আসা বাবদ বেতন-ভাতা মিলিয়ে এক হাজার ২০০ টাকা দেন। সুপারভাইজার পান ৩৫০ টাকা আর হেলপার পান ৩৭০ টাকা। এছাড়া তারা বিনামূল্যে খাবার পান। সেখানে যশোর-খুলনা অঞ্চলের পরিবহণ চালকরা পায় মাত্র ৯৫০ টাকা, সুপারভাইজার ৩৫০ আর হেলপার ৩৭০ টাকা। আমরা চালকদের ২০০ টাকা এবং সুপাভাইজার ও হেলপারের বেতন-ভাতা ১০০ টাকা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছি।
তবে আন্তঃজেলা বাস মালিক সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক ও ঈগল পরিবহণের স্বত্তাধিকারী পবিত্র কাপুড়িয়া জানান, চট্রগ্রাম রুটে কোনো ফেরি নেই। অথচ খুলনা-ঢাকা রুটে গাড়িপ্রতি চার হাজার টাকা ফেরি চার্জ পরিশোধ করতে হয়। তারপরও আমরা চালক প্রতি ট্রিপে ১৭৫ টাকা, সুপারভাইজার ও হেলপার প্রতি ৫০ টাকা বাড়াতে রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু শ্রমকিরা তাতে রাজি হয়নি। এখন শ্রমিকদের দাবি পুরোপুরি মানলে প্রতি ট্রিপে লোকসান গুণতে হবে।
বাংলাদেশ পরিবহণ সংস্থা শ্রমিক সমিতির সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু জানান, শ্রমিকরা দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের বেতন ও খোরাকি বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। প্রায় তিন মাস আগে এ নিয়ে আলটিমেটামও দেন তারা। রোববার মালিক সমিতির নেতারা শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায়ও বসেছিলেন। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সে সভা শেষ হয়। এজন্য শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে সোমবার সকাল থেকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে ঢাকাগামী সব পরিবহণ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। তবে অন্যান্য রুটে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলেও শ্রমিক নেতা মিন্টু উল্লেখ করেন।
তিনি আরো জানান, শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ পরিবহণ সংস্থা শ্রমিক সমিতিরি সাধারণ সম্পাদক মোর্ত্তজা হোসেন জানান, চট্রগ্রাম রুটে একই পরিবহণ মালিকরা চালককে যাওয়া-আসা বাবদ বেতন-ভাতা মিলিয়ে এক হাজার ২০০ টাকা দেন। সুপারভাইজার পান ৩৫০ টাকা আর হেলপার পান ৩৭০ টাকা। এছাড়া তারা বিনামূল্যে খাবার পান। সেখানে যশোর-খুলনা অঞ্চলের পরিবহণ চালকরা পায় মাত্র ৯৫০ টাকা, সুপারভাইজার ৩৫০ আর হেলপার ৩৭০ টাকা। আমরা চালকদের ২০০ টাকা এবং সুপাভাইজার ও হেলপারের বেতন-ভাতা ১০০ টাকা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছি।
তবে আন্তঃজেলা বাস মালিক সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক ও ঈগল পরিবহণের স্বত্তাধিকারী পবিত্র কাপুড়িয়া জানান, চট্রগ্রাম রুটে কোনো ফেরি নেই। অথচ খুলনা-ঢাকা রুটে গাড়িপ্রতি চার হাজার টাকা ফেরি চার্জ পরিশোধ করতে হয়। তারপরও আমরা চালক প্রতি ট্রিপে ১৭৫ টাকা, সুপারভাইজার ও হেলপার প্রতি ৫০ টাকা বাড়াতে রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু শ্রমকিরা তাতে রাজি হয়নি। এখন শ্রমিকদের দাবি পুরোপুরি মানলে প্রতি ট্রিপে লোকসান গুণতে হবে।