Saturday, June 8, 2013

পাইকগাছায় ঝুঁকিপূর্ণ আদালত ভবন; প্রয়োজন পুনঃনির্মাণ

পাইকগাছায় ঝুঁকিপূর্ণ আদালত ভবনের আবারও সংস্কার কাজ চলছে। ভবনের ফাটল ও প্লাস্টার ধসে পড়ায় সিমেন্ট-বালির ঢালাই দিয়ে ক্ষতস্থান ঢেকে দেয়া হচ্ছে। তবে অভিজ্ঞ মহলের ধারনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ভবন ও সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ভবনের সব ক’টি কক্ষ এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ যা শুধু সংস্কার নয়, গোটা ভবন ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণ করা না হলে যেকোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের কোন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা।

গত বৃহস্পতিবার সকালে আদালত ভবন ঘুরে দেখা গেছে ভয়াবহ সব ফাটলের দৃশ্য। উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারকের মাথার ঠিক উপরে বিমে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ওই বিমেই ঝুলছে ফ্যান। জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের খাস কামরার পাশেই নকলখানার ছাদের প্লাস্টার ইতিমধ্যে ধসে পড়েছে।

সেখানে কর্মরত ষ্টেনোগ্রাফার মোল্যা গোলাম সরোয়ার বলেন, মাত্র বছর দেড়েক আগে ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে আদালত ভবনের সংস্কার কাজ করা হয়েছিল। অথচ গত ২০ মে সকালে আকষ্মিকভাবে বড় বড় প্লাস্টার ধসে পড়ে। যদিও ভাগ্যক্রমে ধসে পড়া পলেস্তার আমার গায়ে লাগেনি। তিনি বলেন, আবারও সেই একইভাবে প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। যা শুধু অর্থ অপচয় ছাড়া আর কিছুই না। সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের এজলাস ও নকলখানা করে ছাদে বড় ধরনের ফাটল রয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন সংশ্লিষ্ট বিচারকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। কখন যে ছাদ থেকে মাথায় প্লাস্টার ধসে পড়ে সকলে এই আশংকায় থাকেন সারাক্ষণ।

অনেকটা হতাশার সাথে এক কর্মকর্তা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের পাশাপাশি পর্যাপ্ত কক্ষের অভাবে আদালতের জরুরী ফাইলপত্র নিরাপত্তায় রাখা দায় হয়ে পড়েছে। নকলখানায় ফাইলপত্রে পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় কক্ষটি শুধু ফাইলের রুমেই পরিণত হয়েছে। যত্রতত্র ফাইল রাখায় যেকোনো ফাইল যে কোনো সময় খোয়া যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। সবমিলিয়ে নতুন করে নির্মাণসহ আদালত ভবনের কক্ষ বৃদ্ধি ও বড় করা অনেক জরুরী হয়ে পড়েছে বলে তিনি মনে করেন।

পাইকগাছা আইনজীবী সমিতি সভাপতি অ্যাড. আবুল হোসেন জোয়ার্দ্দার বলেন, লবণ পানির এলাকা হওয়ায় আশির দশকে নির্মিত আদালত ভবন ইতিমধ্যে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। উভয় আদালতের এজলাস কক্ষ তুলনামূলক খুবই ছোট। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় আইনজীবীদের বসতেও ব্যাপক অসুবিধা হয়। সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ অজিত কুমার মন্ডল বলেন, আদালত ভবন সংলগ্ন সামনের ছাউনিটিও ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যেখানে আদালত চলাকালীন সময়ে ১৫/২০ জনেরও বেশি বিচারপ্রার্থী অবস্থান করে থাকেন।