Thursday, August 27, 2015

জাতীয় কবির ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

‘আমি চিরতরে দূরে চলে যাব, তবু আমারে দেব না ভুলিতে’ 


আজ ১২ই ভাদ্র (২৭ আগস্ট)। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৯তম প্রয়াণ দিবস। ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের আজকের এই দিনে (১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কবির ইচ্ছানুযায়ী কবিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়।

যে দিনটিতে কবি চলে গিয়েছিলেন সেদিন খ্রিস্ট্রীয় ক্যালেন্ডারে তারিখ ছিল ২৯ আগস্ট। কিন্তু বাংলাদেশে বাংলা পঞ্জিকার তারিখগুলো স্থির হয়ে যাওয়ার পর থেকে ২৭ আগস্টকেই তার প্রয়াণ দিবস হিসেবে পালিত হয়েছে আসছে। 

পাইকগাছা পৌরসভার অভ্যন্তরে মরণফাঁদ

কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় পাইকগাছা পৌরসভার অভ্যন্তরে বেশ কিছু ‘মরণফাঁদ’ তৈরী হয়ে আছে। যা দেখে যে কারোরই মনে হতে পারে কাউকে দুর্ঘটনায় ফেলাবার জন্যই হয়তো এধরনের ফাঁদ তৈরী করে রাখা হয়েছে। যেকোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে অনাকাঙ্খিত কোন দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এসব মৃত্যুকূপগুলো রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে কারো যেন কোন মাথাব্যথা নেই।

এমনই এক ফাঁদে পড়ে দু’মহিলার পা ভেঙ্গে যাওয়া এবং অনেকের আহত হওয়ায় এ সংক্রান্ত সংবাদ গত এপ্রিলে 'ভয়েস অফ পাইকগাছা'য় প্রকাশিত হলে পৌর বাজার অভ্যন্তরের খেয়াঘাট রোড এলাকায় নির্মিত ড্রেনে স্লাব ও বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন সরল কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি মন্দিরের পশ্চিম পাশের রাস্তা সংলগ্ন সীমানা পাঁচিলটি মেরামত করা হয়েছে। যদিও শহর অভ্যন্তরে এখনও অনেকগুলো এ ধরনের ‘মরণফাঁদ’ রয়েছে। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পাইকগাছা কলেজের দক্ষিণ পার্শে (বাজার-বাসষ্ট্যান্ড) ব্যস্ততম বাইপাস সড়কের উপর পানির লাইনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে গেটবাল্বের হাউজ। দীর্ঘ এক বছরের আগে হাউজটি নির্মাণ করা হলেও অদ্যবধি স্লাব বা ঢাকনা দেয়া হয়নি। উক্ত হাউজ সংলগ্ন পাঁচিলের সাথে লাগানো রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের মিটার। 

স্থানীয় বাসিন্দা খালিদ জাহাঙ্গীর পথিক ক্ষোভের সাথে বলেন, পানির হাউজে স্লাব না থাকায় এবং বিদ্যুতের মিটারটি শিশুদের নাগালের মধ্যে হওয়ায় যেকোন মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। বিষয়টি বিদ্যুৎ ও পৌর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করা হলেও সমাধানের ব্যাপারে কেউ এগিয়ে আসেনি। 

এদিকে ৮নং ওয়ার্ডস্থ বাতিখালী গ্রামের (সরকারি গোরস্থানের পূর্ব পার্শে) চৌরাস্তা মোড়ে রাস্তার উপর টেলিফোনের খুঁটিতে একটি স্পাতের এ্যাঙ্গেল লাগোনো রয়েছে মানুষের মাথা বরাবর। সেখানকার বাসিন্দা সুভাষ সানা মহিম বলেন, কেউ একটু বেখেয়ালীভাবে হাটলেই ওই এ্যাঙ্গেলে মাথা বা চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

ওদিকে প্রধান সড়ক সংলগ্ন (উর্ম্মীলা কমপ্লেক্সের দক্ষিণ পাশে) ত্রিমোহিনী মোড়ে ঠিক রাস্তার উপরেই নির্মিত পানির লাইনের গেটবাল্বের হাউজে স্লাব বা ঢাকনা দেয়া হয়নি। শহরের একাধিক স্থানে রাস্তার পাশে পানির লাইনের গেটবাল্বের হাউজ বা ড্রেন রয়েছে। যার বেশিরভাগই এখনও ঢাকনা দেয়া হয়নি। 

ঝুঁকিপূর্ণ এসব বিষয়গুলি সমাধানের ব্যাপারে কারো কোন মাথাব্যাথা আছে বলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়না। ‘গ’ থেকে ‘খ’ শ্রেণীতে উন্নীত হলেও খুলনা জেলার প্রথম পৌরসভা পাইকগাছায় নাগরিক সেবার মানের তেমন উন্নয়ন হয়নি। বরং নানা অব্যবস্থাপনার কারনে নাগরিক দুর্ভোগ যেন দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।

--এম,আর মন্টু, পাইকগাছা।