Monday, February 27, 2017

পাইকগাছায় শিশু ধর্ষনের ঘটনায় আটক ১

পাইকগাছায় চতুর্থ শ্রেণীর এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ধর্ষককে আটক করেছে। রোববার সন্ধ্যায় পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সরল এলাকায় ধর্ষনের এ ঘটনা ঘটে।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় গোপালপুর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির ৪র্থ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে বাড়ীর পাশের একটি দোকানে যায়। এ সময় সরল গ্রামের চাঁদ আলীর ছেলে আহম্মদ আলী গাজী (৩৫) শিশুটিকে ফুসলিয়ে আল-আমিন মসজিদ সংলগ্ন বিলের ভিতর নিয়ে ধর্ষন করে। এ ঘটনায় আক্রান্ত শিশুর পিতা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেছেন। 

ওসি মারুফ আহম্মদ জানান, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আহম্মদকে আটক করা হয়েছে।

এম‌পি নুরুল হক'কে ঢাকায় পা‌র্টি অ‌ফিসে তলব

পাইকগাছায় আ’লীগ নেতার বাড়ির চারপাশে উঁচু দেয়াল তুলে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ মো. নুরুল হক'কে ঢাকায় আওয়ামী লীগের পা‌র্টি অ‌ফিসে তলব করেছেন সড়ক প‌রিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রবিবার দুপুরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ওই এম‌পিকে ঢাকায় পা‌র্টি অ‌ফিসে তলব করে‌ছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আমি ওই দেয়াল ভেঙে ফেলতে পু‌লিশকে নির্দেশ দিয়ে‌ছি, রাতেই বে‌শিরভাগ অংশ ভাঙা হয়েছে।


খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অবরুদ্ধ দেয়াল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও বিষয়টি নজরদারি করা হয়, যে কারণে রোববার দেয়াল ভেঙে দেওয়া হয়।

গত ক’দিন ধরে ‘উঁচু দেয়াল তৈরি করে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা’ গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের ফলে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে পৌছালে খোদ আ’লীগ ও প্রশাসন বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। সর্বশেষ শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশনায় পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফকরুল হাসানের উপস্থিতিতে আলোচিত এ দেয়াল অপসারণ করা হয়।

গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ায় ইতোমধ্যে সংসদ সদস্যের অনুসারীরা পড়েছেন বিপাকে।

এমপিপুত্রের তোলা দেয়াল ভাঙলো ভ্রাম্যমাণ আদালত

পাইকগাছায় আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি ঘিরে দলেরই সংসদ সদস্য শেখ মো. নুরুল হকের ছেলে মনিরুল ইসলামের তোলা সেই দেয়াল ভেঙে ফেলেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফকরুল হাসানের উপস্থিতিতে এ দেয়াল অপসারণ করা হয়। এসময় স্থানীয় বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড় ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য থানা পুলিশের পাশাপাশি দাঙ্গা পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল। 



পাইকগাছার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফকরুল হাসান জানান, তারা এসে আবদুল আজিজের দলিলপত্র দেখেছেন এবং বিরোধীপক্ষের বক্তব্যও শুনেছেন। এরপর দেয়াল ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নেন। 

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল আজিজের বাড়ির চারপাশে উঁচু দেয়াল তৈরি করে বাড়িটিতে যাওয়া-আসার রাস্তা বন্ধ করে দেন এমপিপুত্র মনিরুল। ফলে মই দিয়ে দেওয়াল টপকে কিংবা দেওয়ালের নিচ দিয়ে করা সুরঙ্গ দিয়ে আসা-যাওয়া করতেন ওই বাড়ির বাসিন্দারা। এর ফলে এক প্রকার বন্দিদশায় জীবন কাটাচ্ছিলেন আবদুল আজিজসহ তার পরিবারের সাত সদস্য।



'ভয়েস অফ পাইকগাছা'সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অবরুদ্ধ দেয়াল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও বিষয়টি নজরদারি করা হয়, যে কারণে রোববার দেয়াল ভেঙে দেওয়া হয়।

পাইকগাছা থানার ওসি মারুফ আহমেদ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এমপিপুত্রের তোলা দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ভুক্তভোগী আজিজ গোলদারের শ্রমিকরা দেয়াল ভেঙে বাড়িতে প্রবেশে পথ বের করেছেন। অবৈধভাবে দেয়া পুরো দেয়াল ভেঙে ফেলার কাজ চলছে বলে জানান তিনি।



পাইকগাছা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ গোলদার বলেন, এখানে তার জমির পরিমাণ ২০ দশমিক ৭৫ শতক। প্রায় ৭০ বছর ধরে বাড়িটিতে তারা বসবাস করছেন। “কিন্তু গত জানুয়ারি মাসে সংসদ সদস্য শেখ মো. নুরুল হকের ছেলে শেখ মনিরুল ইসলাম জমির মালিকানা দাবি করে জমি ছেড়ে দিতে বলেন।” তিনি বলেন, বিভিন্ন মিডিয়ায় অবরুদ্ধ থাকার খবর প্রকাশের পর রোববার দেয়াল ভেঙে দেওয়ায় তিনি স্বস্তি পেয়েছেন। এর কারণে গণমাধ্যম ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান আজিজ গোলদার।



জমির প্রকৃত মালিক ঠাকুর দাশ হালদার জানান, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তাদের দখলে ছিল। ১৯৯৬ সালের দিকে জমিটি খাস তালিকাভূক্ত হয়ে খাস খতিয়ানে যায়। এ অবস্থায় গত বছরের শুরুতে জমিটি উদ্ধার করার জন্য স্থানীয় এমপির সহযোগিতা কামনা করা হয়েছিল। সে সময় জমিটি মুক্ত করার সুবিধার্থে এমপিপুত্র শেখ মনিরুল ইসলামের নামে বিনা অর্থে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেওয়া হয়েছিল।

সংসদ সদস্য শেখ মো. নুরুল হক জানান, প্রাচীর ভেঙে পথ বের করার বিষয়টি শুনেছি। সেখানে বিকল্প একটি পথ থাকলেও জনস্বার্থে আরও ২টি জায়গা থেকে পথ বের করলেও আমার কিছু বলার নেই।

আরও পড়ুন ::  'উঁচু দেওয়াল তুলে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন এমপি'