Friday, June 21, 2013

পাইকগাছা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক নির্যাতন দিবসের আলোচনা সভা

পাইকগাছা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিক নির্যাতন দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা শুক্রবার সকালে অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম আলাউদ্দিন সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পাক্ষিক গণমিছিলের সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মী এফএমএ রাজ্জাক, বক্তব্য রাখেন-সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ, যুগ্ম সম্পাদক তৃপ্তি রঞ্জন সেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিএ গফুর, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হেন্দু বিকাশ, আলাউদ্দিন রাজা, এমআর মন্টু ও এন ইসলাম সাগর।

স্বর্ণের দাম আবারও কমল ১২২৪ টাকা

আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমায় দেশের বাজারে একমাসের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম আবারও কমল। এনিয়ে চলতি বছর অষ্টম বারের মতো দাম কমালো বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)। এবার প্রতি ভরিতে দাম কমেছে এক হাজার ২২৪ টাকা করে। গতকাল শুক্রবার থেকে এই দাম কার্যকর হবে বলে বাজুস সূত্রে জানা গেছে। বাজুস সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। 

বিশ্ব বাজারের দামের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য নতুন করে এ মূল্যবান ধাতবের দাম কমানো হয়েছে বলেও তিনি জানান। নতুন দাম অনুযায়ী প্রতিভরি স্বর্ণের দাম ৪৯ হাজার ৮৪৬ টাকা। শুক্রবার থেকে দেশের বাজারে এ দাম কার্যকর হবে। এ বছর দেশে এ নিয়ে দশবার স্বর্ণের দাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে আটবারই স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৮ মে স্বর্ণের দাম কমানোর পর গত বৃহস্পতিবার স্বর্ণের দাম আবার কমানো হয়েছে।

বাকীতে তেল না দেওয়ায় ছাত্রসমাজ নেতা পেটালেন দোকান কর্মচারীকে

বাকীতে জ্বালানী তেল না দেওয়ায় পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রসমাজের আহবায়ক পিটিয়ে আহত করল এক দোকান কর্মচারীকে। এ ঘটনায় পুলিশ ছাত্রনেতা দিপুকে আটক করেছে।

মামলা ও দোকান মালিক সুত্রে জানা যায়, উপজেলা ছাত্রসমাজের আহবায়ক দিপু শেখ বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর জিরো পয়েন্টে অবস্থিত পাইকগাছা এন্টারপ্রাইজ এর জ্বালানী তেলের দোকান থেকে বাকীতে তেল দাবী করে। এ সময় মালিক না থাকায় দোকান কর্মচারী খলিলুর রহমান বাকীতে তেল দিতে অস্বীকৃতি জানালে দিপু খলিলকে বেধড়ক মারপিট করে মারাত্মক আহত করে। এ খবর পেয়ে দোকান মালিক উজ্জ্বল সরকার ও স্থানীয় লোকজন আহত খলিলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় দোকান মালিক উজ্জ্বল সরকার বাদী হয়ে শুক্রবার থানায় মামলা করলে পুলিশ দুপুরে দিপুকে গ্রেফতার করে। মামলা নং: ৪৫, তাং ২১/০৬/১৩। দোকান মালিক উজ্জ্বল আরো জানায়, দিপু ঘরের থাকা এক ব্যারেল তেলও ঢেলে নষ্ঠ করে দেয়।

ফরমালিনমুক্ত আম চেনার উপায়

দোকানে দোকানে হাজার ফলের সমাহার জানান দিচ্ছে শুরু হয়েছে মধুমাস। তাল, বাঙ্গি, তরমুজ, জাম, কাঁঠাল কোনো কিছুই বাদ নেই এর থেকে। তবে এ সময় বেশি দেখা মিলছে কাঁচা-পাকা, ছোট-বড় বিভিন্ন আমের। আর মানুষ কিনছেও সমানতালে। কিন্তু এত আমের ভিড়ে বুঝবেন কিভাবে কোন আমটি ভালো? কোনটিতে দেয়া নেই কোনো ফরমালিন বা কার্বাইড ?

এর জন্য আপনাকে জানতে হবে নিচের দেয়া তথ্যগুলো:

১. প্রথমেই লক্ষ্য করুন যে, আমের গায়ে মাছি বসছে কিনা। কারণ ফরমালিন যুক্ত আমে মাছি বসবে না।

২. আম গাছে থাকা অবস্থায় বা গাছ পাকা আম হলে লক্ষ্য করে দেখবেন যে, আমের শরীরে এক রকম সাদাটে ভাব থাকে। কিন্তু ফরমালিন বা অন্য রাসায়নিকে চুবানো আম হবে ঝকঝকে সুন্দর।

৩. কারবাইড বা অন্য কিছু দিয়ে পাকানো আমের শরীর হয় মোলায়েম ও দাগহীন। কেননা আমগুলো কাঁচা অবস্থাতেই পেড়ে ফেলে ওষুধ দিয়ে পাকানো হয়। গাছ পাকা আমের ত্বকে দাগ পড়বেই।

৪. গাছপাকা আমের ত্বকের রঙে ভিন্নতা থাকবে। গোঁড়ার দিকে গাঢ় রঙ হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কারবাইড দেয়া আমের আগাগোড়া হলদেটে হয়ে যায়, কখনো কখনো বেশি দেয়া হলে সাদাটেও হয়ে যায়।

৫. হিমসাগর ছাড়াও আরো নানান জাতের আম আছে যারা পাকলেও সবুজ থাকে, কিন্তু অত্যন্ত মিষ্টি হয়। গাছপাকা হলে এইসব আমের ত্বকে বিচ্ছিরি দাগ পড়ে। ওষুধ দিয়ে পাকানো হলে আমের শরীর হয় মসৃণ ও সুন্দর।

৬. আম নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে শুঁকে কিনুন। গাছ পাকা আম হলে অবশ্যই বোটার কাছে ঘ্রাণ থাকবে। ওষুধ দেয়া আম হলে কোনও গন্ধ থাকবে না, কিংবা বিচ্ছিরি বাজে গন্ধ থাকবে।

৭. আম মুখে দেয়ার পর যদি দেখেন যে কোনো সৌরভ নেই, কিংবা আমে টক/ মিষ্টি কোনো স্বাদই নেই, বুঝবেন যে আমে ওষুধ দেয়া।

৮. আম কেনা হলে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এমন কোথাও রাখুন যেখানে বাতাস চলাচল করে না। গাছ পাকা আম হলে গন্ধে মৌ মৌ করবে চারপাশ। ওষুধ দেয়া আমে এই মিষ্টি গন্ধ হবেই না।

সাহাপাড়া খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রীজের ভাগ্য অনিশ্চিত

ঠিকাদার ও উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সমন্বয়হীনতা

ঠিকাদার ও উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সমন্বয়হীনতার কারণে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর-ওড়াবুনিয়া গ্রামের সীমান্ত সাহাপাড়া খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রীজের নির্মাণ কাজ থমকে দাঁড়িয়েছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের আশংকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ওড়াবুনিয়া গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক বাসীন্দা।

বর্ষাকালে বিশেষ করে এলাকার গৃহবধূরা তাদের পরিবারের খাবার পানি সংগ্রহ ও ছেলেমেয়েদের স্কুলে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে কি উপায় হবে তা নিয়ে রীতিমত দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন। তবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বর্ষা মৌসুমের আগে ব্রীজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানালেও অদ্যাবধি নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়নি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সাহাপাড়া খালের উপর প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে পাকা কাঠের পোল (ছোট ব্রীজ) নির্মাণ কাজ শুরু হয় বিগত ২০১২ সালের মার্চ মাসে। সে হিসাবে গত ১৫ মাসে ঠিকাদার শুধুমাত্র পাকা পিলার গেঁথে কাঠামো নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে রেখেছে। এখন বাকি রয়েছে কাঠের পাটাতন তৈরীর কাজ।

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার শেখ ফজলুর রহমান বলেন, দরপত্রের সিডিউল অনুযায়ী যে কাঠের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি কাঠ প্রয়োজন হচ্ছে। বিষয়টি এলজিইডি দপ্তরে জানিয়েছি। কাঠের সমাধান হলেই খুব শীঘ্রই ব্রীজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে জানালেও ঠিকাদার কথা রাখতে পারেনি। গতকাল ১৭ জুন পর্যন্ত নির্মাণ কাজে হাত দেয়নি ঠিকাদার।

এদিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অধ্যুষিত ওড়াবুনিয়া গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক বাসিন্দা রয়েছেন উৎকন্ঠার মধ্যে। কেননা বর্ষা মৌসুম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ব্রীজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় সাহাপাড়া খাল পার হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই গ্রামের গৃহবধূরা ক্ষোভের সাথে বলেন, আমাদের খাবার পানি সংগ্রহ করতে হয় খাল পার হয়েও অনেক দূরে কৃষ্ণনগর গ্রামে গিয়ে। কাদামাটির রাস্তায় কলস ভর্তি পানি নিয়ে হাঁটাচলা অনেক দূরহ ব্যাপার। আমরা বড়রা যাহোক কোনমতে চলাচল করতে পারলেও এই গ্রামের অনেক কোমলমতি ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা স্কুল-মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে। তাদের স্কুলে আসা-যাওয়া করতে গিয়ে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। ব্রীজের কাজ শেষ না হওয়ায়, বিশেষ করে খালটি পার হওয়া ছোট-বড় সকলের ক্ষেত্রে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, গত বছরের এপ্রিলে উক্ত পাকা পোলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। অনেক আগেই এর নির্মাণ কাজ শেষ হবার কথা। তবে দরপত্রের সিডিউল অনুযায়ী বাস্তবতার মিল না থাকায় সেটি সমন্বয়ের জন্য ঠিকাদার আপাততঃ কাজ বন্ধ রেখেছে। জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রীজটির নির্মাণ কাজ যাতে দ্রুত শেষ হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।

কপিলমুনি প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন

কপিলমুনি প্রেসক্লাব নিবাচন’১৩ এর নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার বিকালে প্রেসক্লাব ভবনস্থ নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে চুড়ান্ত বিজয়ীদের নাম ঘোষনা করা হয়। এতে ৯টি পদে একটি করে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হন প্রার্থীরা।

নির্বাচিরা হলেন, সভাপতি পদে শেখ সালাম, সহ-সভাপতি পদে এস এম আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক পদে মুন্সি রেজাউল করিম মহব্বত, সহ-সম্পাদক পদে আমিনুল ইসলাম বজলু, কোষাধ্যক্ষ পদে পলাশ কর্মকার, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জি এম মোস্তাক আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক জি এম হাসান ইমাম ও কার্যকরী দু’সদস্য পদে মহাদেব চন্দ্র সাধু ও এস এম লোকমান হেকিম।
 
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কপিলমুনি কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ শহর আলী গাজী বিজয়ীদের নাম ঘোষনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী নির্বাচন কমিশনার ও কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশ এবং মেহেরুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা আক্তার শম্পা।

প্রেমঘটিত কারণে সেলিম'কে মসজিদের ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়

উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের সেলিম গাজীকে (২৭) প্রেমঘটিত ঘটনার জের ধরে হত্যা করা হয়েছিল। তাছাড়া মসজিদের মাইক চুরির ঘটনা দেখে ফেলা কাল হয়েছে তার। আরশাদ গাজীর পুত্র সেলিমকে মানিকতলা জামে মসজিদের ছাদের উপর ফেলে হত্যা করা হয়। দীর্ঘ ৬ বছর পর গত ৭ জুন ঘটনায় জড়িত গোপালপুর গ্রামের জনৈক আফিল উদ্দিন গাজীর পুত্র রাজিব আহমেদ রাজু (২৬) পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা জানায়।

আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে রাজু জানায়, একই এলাকার ওহিদ ও মোমজেদ মানিকতলা জামে মসজিদের মাইক চুরি করলে তা দেখে ফেলে সেলিম গাজী। এছাড়া ওই এলাকার এক মেয়েকে ভালোবাসত মোমজেদ ও সেলিম উভয়ই। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন পুলিশিং কমিটির সভাপতি মাহফুজুল হক কিনুর কার্যালয়ে সালিশী বৈঠক হলে মোমজেদ সেলিমকে মারধর করতে উদ্যত হয় এবং সালিশী বৈঠক ভেস্তে যায়। এর পরই সেলিমকে প্রাণে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়।

ঘটনার দিন (২১/০৫/০৭) সন্ধ্যায় মোমজেদ, রাজু, ওহিদ, কামরুল ও মিনারুল সেলিমকে ধরে নিয়ে ব্যাপক মারপিট করে। এক পর্যায়ে রাতে সেলিমকে মানিকতলা জামে মসজিদের ছাদের উপর নিয়ে হত্যার পর সেলিমের গালে বিষ ও এসিড দিয়ে মুখমন্ডল ঝলসে দেয় যাতে কেউ তাকে চিনতে না পারে। এদিকে ঘটনার একদিন পর স্থানীয় মুসল্লীরা মাগরিবের নামাজ আদায় করতে মসজিদে গেলে সবাই মারাত্মক দুর্গন্ধ অনুভব করে এবং দুর্গন্ধের কারণ খুঁজতে গিয়ে ছাদের এক কোনে সেলিমের অর্ধগলিত লাশ দেখা যায়।

এ ঘটনায় সেলিমের মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই সময় পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওহিদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেলহাজতে পাঠালেও ধৃত ওহিদের কাছ থেকে কোন ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এক পর্যায়ে মামলার বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটির তদন্তভার সিআইডিতে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন।

খুলনা জেলা সিআইডি ইন্সপেক্টর সরদার মো. হায়াত আলী বলেন, সেলিমকে হত্যার পর ওই রাতেই হত্যাকারীরা মাহফুজুল হক কিনুর বাড়িতে গিয়ে জানায় ‘সেটাকে’ শেষ করে দিয়েছি। তখন কিনু তাদেরকে যার যার বাড়ি চলে যেতে বলে এবং বিষয়টি আমি দেখব বলে তাদেরকে অভয় দেয়। এদিকে জেলহাজতে থাকা মিনারুল গাজীকে অত্র মামলায় শোন এ্যারেষ্ট দেখিয়ে গতকাল আদালতের মাধ্যমে এক দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

খুলনার ১০ জেলার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

বিভাগের ১০ জেলায় পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। মালিক পক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক শেষে বুধবার বিকেলে আন্দোলনরত শ্রমিক সংগঠনের নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের এ ঘোষণা দেন। ফলে বুধবার সন্ধ্যার পর যশোর-খুলনা থেকে সব ধরনের পরিবহন চলাচল শুরু করেছে।

বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে গত সোমবার সকাল থেকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে ঢাকাগামী যাত্রিবাহী পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটি।

আন্ত-জেলা বাস মালিক সিন্ডিকেডের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র কাপুড়িয়া জানান, শ্রমিকদের দাবি আমরা সমঝোতার ভিত্তিতে মেনে নিয়েছি। ফলে সন্ধ্যার পর থেকে পরিবহন চলাচল শুরু করেছে।

পাইকগাছায় পানির সমস্যা সমাধানে র‌্যালী ও স্মারকলিপি প্রদান

পাইকগাছায় পৌরবাসীর নিরাপদ পানির সমস্যা সমাধানে বৃষ্টির পানি সংরক্ষন ও ব্যবহার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে র‌্যালী ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বুধবার সকালে নবলোক পরিষদের পরিবেশ সহায়ক স্বাস্থ্য উদ্যোগ প্রকল্পের সহায়তায় ও পৌরবাসীর উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পৌর ভবনে মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। 


এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর এসএম তৈয়েবুর রহমান, কাজী নিয়মুল হুদা কামাল, ইদ্রিস আলী গাজী, নবলোক পরিষদের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডেভিট মিস্ত্রী, ময়নুদ্দীন শেখ, ইজাজুর রহমান, প্রশান্ত মন্ডল, লাবনী বাড়ই, সুব্রত অধিকারী, নীলিমা নাসরিন, কুন্তল রায় ও শেখ রাজু আহমেদ।

সংবাদ প্রকাশের ১ দিন পর বাইনতলা স্লুইচ গেট নদীগর্ভে বিলীন

পাইকগাছায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতায় ঝূঁকিপূর্ণ বাইনতলা স্লুইচ গেট ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এর আগে গেট এবং বেঁড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিলে বুধবার বিভিন্ন গনমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এদিকে ভাঙ্গনের খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যেকোন মুহুর্তে দু’উপজেলার বিস্তির্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশংকা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিন ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের ২২ নং পোল্ডারের ৬০ এর দশকে নির্মিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইচ গেটে গত কয়েকমাস আগে ফাটল দেখা দেয় এবং সম্প্রতি বাঁধের একটা অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। স্লুইচগেটটি দীর্ঘদিন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় বুধবার গেটের পূর্ব পাশের বড় একটা অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে বলে গেট সংলগ্ন এলাকার রফিকুল ইসলাম জানান।

ভাঙ্গনের খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন জানান। দ্রুত সংস্কার করা না হলে যেকোন মুহুর্তে উপজেলার লস্করের আলমতলা, খড়িয়া, চাঁদখালী, গড়ইখালীর সুড়িখালী, বাইনবাড়ী, কুমখালী, পার্শ্ববতী কয়রা উপজেলার হড্ডা, হাতিয়ারডাঙ্গা, আমাদী, চান্নিরচকসহ দু’উপজেলার বি¯তৃর্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে শত শত চিংড়ী ঘেরের কোটি কোটি টাকার মাছ, হাজার হাজার হেক্টর কৃষি জমির ফসলসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে এলাকাবাসীরা জানান। এ ব্যাপারে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শহীদুল্লাহ মজুমদার জানান স্লুইচ গেটটি ষাট এর দশকে নির্মিত হওয়ায় বর্তমানে ধারন ক্ষমতা না থাকায় এ দুর্দশা সৃষ্টি হয়েছে। বরাদ্দ না থাকায় এই মুহুর্তে সংস্কার বা পূনঃ নির্মাণ করা সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ুর রহমান জানান।

কপিলমুনি সাব পোষ্ট অফিসের বেহাল দশা; জনবল সংকট

পাইকগাছা উপজেলার অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী কপিলমুনি সাবপোষ্ট অফিসের (কোড নং-৯২৮২) বর্তমানে বেহাল দশা। ভবনের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল, অফিসের জনবলও নেই পর্যাপ্ত।

জানা যায়, দানবীর স্বর্গীয় রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু কর্তৃক কপিলমুনি (বিনোদগঞ্জ) বাজার প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৬০/৬৫ বছর যাবৎ সাব পোষ্ট অফিস অত্রাঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষের সেবায় কাজ করে চলেছে। পাইকগাছা-খুলনা সড়কের সন্নিকটে আনুমানিক ২০ বছর পূর্বে কপিলমুনি বাজারের মধ্যভাগে কলেজ রোডে ৯ শতাংশ জমির উপর অবস্থিত পোষ্ট অফিসটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এক কক্ষ বিশিষ্ট ভবনের অফিসটিতে চলে আসছিল পাইকগাছাসহ ৩টি থানার অনেকাংশের মানুষের সেবা দানের কাজ।

কিন্তু সম্প্রতি অফিস ভবনটির ছাদে কয়েক জায়গায় ফাঁটল দেখা দিয়েছে। খুয়ে খুয়ে পড়ছে প্লাষ্টার। এছাড়া সীমানা প্রাচীর ও গেটের অবস্থাও খুবই নাজুক। পোষ্ট অফিস ও সীমানা প্রাচীরের এ ভগ্নদশায় সচেতন এলাকাবাসী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জানালা দরজা দেখলে মনে হয় কোন সেকালের ঘর। অফিস কক্ষে অত্যন্ত মূল্যবান কাগজ-পত্রাদী ও সরকারী সম্পদ থাকায় অফিস ভবনটি সংষ্কার তথা আধুনিকায়ন এখন সময়ের দাবীতে পরিণত হয়েছে।

এখানেই শেষ নয়, অত্যন্ত জনবহুল এলাকা কপিলমুনির জনগুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট অফিসে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, অফিসের সামনে ও ভেতরে অসংখ্য মানুষ সেবা নিতে দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ এসেছেন মানিট্রান্সফার (ইএমওএমএমও) করতে, আবার কেউ এসেছেন ডাকবীমা, রাজস্ব টিকিট, জি,ই,পি সাধারণ হিসাবের কাজে। সকলেই পোষ্ট মাস্টার ও পোষ্টম্যানকে বলছেন “আমাকে আগে দিন, আমি খুব ব্যস্থ আছি” আবার কেউবা বলছেন “আমি অনেক দূর থেকে এসেছি আমাকে একটু ছাড়িয়ে দিন।”

কিন্তু এতো গুলো লোকের কাজ করবে মাত্র দু’জন মানুষ। যেটা অনেকটা অসম্ভব। কিন্তু তার পর ও নিরলসভাবে পোষ্ট অফিসের পোষ্ট মাষ্টার ও পোষ্টম্যান কাজ করে চলেছেন। সরকারি নীতি অনুযায়ী অফিস সময় ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত হলেও কখনো কখনো দেখা যায় দিনের সকল লেনদেনের হিসাবের ইতি টানতে সন্ধ্যা হয়ে যায় তাদের। পোষ্ট অফিস ভবন জরাজীর্ন, সীমানা প্রাচীরের বেহাল দশা ও অফিসের জনবল সংকট, সবমিলে যেন অবস্থাটা হ-য-ব-র-ল। তাই এলাকার সর্বস্তরের মানুষ পোষ্ট অফিস ভবন আধুনিকায়নসহ জনবল বৃদ্ধির জন্য সংশিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।