Sunday, August 31, 2014

পাইকগাছায় এমপি নুরুল হকের গাছের চারা ও মাছের পোনা বিতরণ

খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা)’র এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, ছাত্র-ছাত্রী ও প্রাতিষ্ঠানিক জলাশয়ে গাছের চারা ও মাছের পোনা বিতরণ করেছেন। তিনি রোববার সকালে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর ও সামাজিক বনবিভাগ আয়োজিত পৃথক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গাছের চারা ও মাছের পোনা বিতরণ করেন। 

উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পৃথক বিতরণ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, খুলনার নার্সারী উন্নয়ন কেন্দ্রের ফরেস্ট রেঞ্জার শেখ শহিদুল ইসলাম।

বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ শেখ কামাল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানারা খাতুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এস,এম,এ রাসেল, উপজেলা কৃষি অফিসার বিভাস চন্দ্র সাহা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ সরদার, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম, উপজেলা বণ কর্মকর্তা প্রেমানন্দ রায়, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রমেন্দ্রনাথ সরকার, প্রধান শিক্ষক অপু মন্ডল, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা এস,এম, শহীদুল্লাহ, শিক্ষক অজিত কুমার ও শেখ মনিরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক জলাশয়ে ৪৫০ কেজি রুই জাতীয় মাছের পোনা ও সামাজিক বনবিভাগের উদ্যোগে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ১৫ হাজার ফলজ, বনজ, ভেজস ও ৪০০ নারিকেলের চারা বিতরণ করা হয়।

এই চড়ুই পাখি দেখেও কি আপনার বিবেক জাগ্রত হয়না?

চড়ুই পাখি গাছের শুকনো লতা পাতা দিয়ে বাসা তৈরি করে। কিন্তু চড়ুই পাখি গাছ পাবে কোথায়? আমরা তো গাছ কাটার মহাউৎসবে যোগ দিয়েছি। যে যখন পারছি গাছ কাটছি। গাছ লাগানোর কোন চিন্তাই নেই। বাসা তৈরি করার জন্য শুকনো লতা পাতা না পেয়ে শেষে নষ্ট তার দিয়ে তৈরি করেছে বাসা।

চড়ুইকে বাঁচাতে, এই পৃথিবীকে বাঁচাতে এখনই গাছ লাগান। 


A Voice of Paikgacha Campaign.

পাইকগাছায় বসতবাড়ির রান্নাঘরে অগ্নি সংযোগ; লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

পাইকগাছায় দুর্বৃত্তরা অসহায় এক পরিবারের বসতবাড়ির রান্নাঘরে অগ্নি সংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়ে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। খবর পেয়ে রবিবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স. ম. বাবার আলী ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

জানা গেছে, উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের চেঁচুয়া গ্রামের হাজের আলীর পরিবারের সাথে একই এলাকার নজরুল ইসলাম গংদের জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলা মামলার ঘটনা ঘটেছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের ২৮ তারিখে উভয় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

এতে হাজের আলী পরিবারের জেসমিন নাহার, জাহানারা বেগম ও সোবহান গাজী মারাত্মক আহত হন এবং তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে এ ঘটনায় উভয় পরিবারের সদস্যরা একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেন।

সর্বশেষ হাজের আলীর পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসাজনিত ও মামলার কারণে বাড়িতে অনুপস্থিত থাকার সময় শনিবার রাত ১০টার দিকে বসতবাড়ি সংলগ্ন রান্না ঘরে আগুন দেখে স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। তবে স্থানীয়রা আগুন লাগার সঠিক কারণ জানাতে পারেননি। তবে তারা ধারনা করছেন পূর্বশত্রুতার জের ধরে কেউ এ কাজ করতে পারে।

এ ব্যাপারে ওসি শিকদার আককাস আলী জানিয়েছেন, হাজের আলী ও নজরুল পরিবারের মধ্যে দীর্ঘ দিন জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সে কারণে শত্রুতামূলকভাবে প্রতিপক্ষ হাজের আলীর ঘরে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে কিংবা প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হাজের আলী এ কাজ করতে পারে আবার তৃতীয় কোন পক্ষও এ ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই তদন্ত না করে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।

কয়রায় জীবন যুদ্ধে আদিবাসী শিশুরা !

দক্ষিনাঞ্চলের সুন্দরবনের পাদদেশে অবস্থিত কয়রা উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে মাহাতো জনগোষ্টী আদিবাসী মুন্ডারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করছে। আধুনিক সভ্যতার যুগেও আদিম জীবন অভ্যস্ত এরা। কিছু কিছু আদিবাসী পরিবারের সদস্যরা আধুনিকতার সামান্য ছোয়া পেলেও অধিকাংশই আধুনিকতা থেকে বঞ্চিত। অক্ষর জ্ঞানহীন এবং অত্যান্ত সরল বিশ্বাসী হওয়ায় প্রতারকের খপ্পরে পড়ে কয়রায় বসবাসকারী আদিবাসী পরিবারের সদস্যরা অনেকেই এখন নিঃস্ব। 

পাউবোর বেড়ী বাধের ছোলপ মহাজনের পরিত্যাক্ত জমি অথবা জনবসতি এলাকার যেকোন এক কোনায় এদের মাথা গোজার ঠাই। জীবনের তাগিদে এরা বেছে নিয়েছে বিভিন্ন পেশা। কেই অন্যের জমিতে ক্ষেতে দিন মজুরের কাজ করে কেউ বনে জঙ্গলে মাছ ধরে কেউ গৃহপালিত পশুর খোজ করনের কাজ করে। কয়রা উপজেলার কয়রা সদর, উত্তরবেদকাশী, দক্ষিন বেদকাশী এই ৩টি ইউনিয়নে আদিবাসীদের নিবাস। জীবন যুদ্ধ আদিবাসীদের নিত্যদিনের সঙ্গী।

নিজের বলতে যা ছিলো কালের বিবর্তনে তা বেহাত হয়ে গেছে। নিজ আদিভুমিতে তারা এখন অন্যের প্রজা। আদিবাসী পরিবারের নারী পুরুষ সবাই পরিবারের জীবিকার তাগিদে ঘরে বাইরে কাজ করে। তার পরেও দুঃখ দৈন্য তাদের ছেড়ে যেতে চায়না। আদিবাসীদের অভাবের সংসারে তাদের শিশুরা জন্মের পরেও দুঃখ কষ্টের সঙ্গে নিবিড় ভাবে পরিচিত হয়। হাতে গোনা কিছু শিশু ছাড়া অধিকাংশ শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। পিতা মাতার কষ্টের সংসারে তারাও সে কষ্টের ভাগ নেয় হাসিমুখে।

এমনই ৩ আদিবাসী শিশুর সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। কয়রা ইউনিয়নের ৬নং গ্রামের অমল মুন্ডার ছেলে চিনময়, রাখাল মুন্ডার ছেলে অচিন্ত মুন্ডা, দিনাবন্ধু মুন্ডার ছেলে ভগিরাত মুন্ডা। এদের সকলের বয়স ৯/১০ বছর। তারা গত রবিবার সকালে ৬নং কয়রা গ্রামের আতিয়ার ঢালীর বাড়িতে ঢিল ভাঙ্গার কাজ করছিল।

নাম জিজ্ঞাসা করতেই অনেকটা ভীত হলো তারা, মনে করছে কি জিজ্ঞাসা করবে। এমনই অন্তহীন সমস্যায় এরা ৬নং কয়রা গ্রামের গ্রামীন প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীতে পড়ে। তারা জানায় অভাব অনটনের সংসারে পিতা মাতার সহযোগিতায় এত পরিশ্রমের কাজ করছে। ঢিল ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে একজনের হাতে ফোসকা উঠলে হাতটি ঢেকে রাখতে চাইলেও ঢেকে রাখতে পারিনি।

শিশুদের চোখে মুখে যে কষ্টের ছাপ পড়ে আছে তার পরও করার কিছুই নেই। রোজগার করেই তাদের দুমুঠো ভাত মুখে দিতে হবে। দক্ষিন বেদকাশী ইউনিয়নের ছোট আংটিহারা গ্রামের আদিবাসী মুন্ডা এলাকায় ঘুরে দেখা যায় অনেক শিশুরা অনাদরে অবহেলায় পড়ে আছে। সবিতা (৭) দিপালী (১৩) নিলিমা (১০) এরা সবাই নদীতে রেনু পোনা ধরার কাজ করছে। ওরা বিদ্যালয়ে যায়না পরিবারের সহযোগিতা করা একমাত্র কাজ হিসাবে বেছে নিয়েছে।

তাদের দাবী সরকারের একটু পৃষ্টপোষকতা পেলে মাথা গোজার ঠাই পেয়ে তারা অন্যদের মত জীবন যাপন করতে পারতো। এর অনেকে অনেক পরিশ্রমের কাজ করে থাকে। প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের বাড়িতে কাজ কতে যেয়ে অনেক সময় মালিক পক্ষ বকাঝকা করে, এমনকি অনেক নির্যাতনের শিকার হয়। এতকিছুতেই তাদের তেমন কোন দুঃখ নেই। জন্ম থেকেই পিতামাতার জীবন সংগ্রাম দেখে তারাও জীবন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

পাইকগাছার সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়েছে রমরমা জুয়ার আসর

সব চেয়ে বড় জুয়ার আসর বসে দক্ষিণ কাইনমুখী


পাইকগাছার সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়েছে রমরমা জুয়ার আসর। অংশ নিচ্ছে নামকরা জুয়াড়ী সহ স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা। মাসোহারা আদায় করছে দালাল চক্র। জিম্মি হয়ে পড়েছে অভিভাবক মহল। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল। 

সূত্রে প্রকাশ, পাইকগাছা উপজেলার সর্বত্রই জুয়ার আসরের রমরমা খেলা চলছে। কোন বাঁধা তাদের আটকাতে পারছে না। আবার এলাকার কোন সুধিমহল জুয়ার বিরুদ্ধে দাড়াতে সাহস পাচ্ছে না। পাইকগাছা’সহ এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নামকরা জুয়াড়ীরা অংশ নিচ্ছে এসব আসরে।

স্ব-স্ব এলাকার স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা পড়ার টেবিলের পরিবর্তে ছুটছে এসব আসরে। আর জুয়া টাকা জোগাড় করতে জড়িয়ে পড়ছে অপরাধমূলক কর্মকান্ডে। ফলে এলাকার চুরি ডাকাতি বেড়েই চলেছে। উপজেলার উত্তর গড়েরআবাদ গ্রামের জনাব সানার পুত্র মোস্তফা সানার বাড়ী রাতদিন চব্বিশ ঘণ্টা জুয়ার আসর বসে। এখানে জুয়া খেলার নেতৃত্বে রয়েছে একই গ্রামের গফুর সরদার, মঞ্জু সরদার ও মোস্তফা মোল্যা।

পাইকগাছার সব চেয়ে বড় জুয়ার আসর বসে দক্ষিণ কাইনমুখী গ্রামে। এখানে উক্ত গ্রামের মহাদেব মন্ডলের পুত্র সঞ্চয় মন্ডল ও মনোহর মন্ডলের পুত্র তারাপদ মন্ডলের বাড়ীতে বসে লাখ লাখ টাকার জুয়ার আসর। আর তারাপদ দোকানে বসে পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করেন। এলাকার নাম করা জুয়াড়ী দিজবরের পুত্র চিত্ত সানা ও স্বরূপ জোয়াদ্দারের পুত্র ঠাকুর জোয়াদ্দারের নেতৃত্বে চলে জুয়ার বোর্ড।

এছাড়াও গোপালপুর গ্রামের আম বাগান, বাসস্ট্যান্ডে বাসের ভিতর’সহ সর্বত্রই চলছে জুয়া খেলা। এ সকল খেলায় জুয়াড়ীদের পাশাপাশি স্কুল কলেজের ছাত্ররা অংশ নেওয়ায় অভিভাবকরা রয়েছেন চরম বিপাকে। বিশেষ করে ছাত্ররা বা উঠতি বয়সের যুবকেরা জুয়ার টাকা জোগাড় করতে যেয়ে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মত অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ায় ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে।

পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ শিকদার আককাস আলী পাইকগাছায় যোগদান করে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যেমন জিহাদ ঘোষণা করেছিলেন তেমনি জুয়ার বিরুদ্ধে হিজাদ ঘোষণা করবেন। শিকদার আককাস আলী বলেন, মাদক, সন্ত্রাস ও জুয়ার ব্যাপারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে ও চলছে। সংবাদ পেলেই সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Saturday, August 30, 2014

কয়রা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার হাসমত আলীর বিরুদ্ধে....

নারী কর্মচারীকে মারপিট করার অভিযোগ


কয়রা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার (ইউএফপিও) চৌধুরী হাসমত আলীর বিরুদ্ধে একই অফিসের নারী কর্মচারীকে মারপিট, অশ্লীল গালিগালাজ ও অসদাচরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী মনিরা খাতুন, সংশ্লিস্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় পরিচালক ও উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন

প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী মনিরা খাতুন সংশ্লিষ্ট অফিসে যোগদানের পর অফিসের হিসাব শাখাসহ গুরুত্বপূর্ণ দু’টি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা পরিবার পরিককল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরি হাসমত আলী কাজের অজুহাত দেখিয়ে অনেক রাত পর্যন্ত তাকে অফিসে থাকতে বাধ্য করেন।

তিনি বেশিরভাগ সময় অফিস না করে খুলনায় অবস্থান নেয়ার ফলে অফিসিয়াল কাজকর্ম জট লেগে যায়। পরবর্তীতে ফাইল সই স্বাক্ষর করাতে গেলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ তার সাথে রাত্রে বাসায় থাকতে বলেন। এ প্রস্তাবে মনিরা রাজি না হওয়ায় চাকুরীচুত্য করার ভয়ও দেখান। সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে সরিয়ে দিতে তিনি ইউনিয়ন পরিদর্শক এসএম হেনরী কিসিঞ্জারের যোগসাজসে মনিরার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করে দেন।

তিনি গত ২৭ আগষ্ট তার কক্ষে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন কাগজসহ কয়েকটি সাদা কাগজের নিচে মনিরাকে দিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করে নেন। এ সময় মনিরা স্বাক্ষর করতে রাজী না হলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ এমনকি মারপিটও করেন।

এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী মনিরা খাতুন জানান, স্যার অধিকাংশ সময় খুলনায় অবস্থান করেন। যখন অফিসে আসেন তখন আমাকে রাত ১০টা পর্যন্ত অফিসে থাকতে বাধ্য করেন। আমি একজন নারী হিসাবে যাতায়াতের দুরত্ব ও অসুস্থ মায়ের কথা বললে তিনি প্যান্ট-শার্ট পরে অফিসে যাওয়ার কথা বলে এবং প্রয়োজনে খুলনার বাসায় যাওয়ার কথা বলেন। এছাড়াও তার পরিধেয় কাপড়-চোপড় পরিস্কার করে নেন। সর্বশেষ গত ২৭ আগস্ট মারপিট করার ফলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা হাসমত আলী জানান, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাকে সরানোর জন্য এ ধরণের অভিযোগ করা হয়েছে।

পাইকগাছায় পৌর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন

আলম সভাপতি, সম্পাদক রেজাউল


পাইকগাছায় পৌর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সংগঠণের কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ১২০ ভোটারের মধ্যে ১১৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। 

নির্বাচন শেষে প্রাপ্ত ফলাফলে সভাপতি পদে মোঃ আলম গাজী (মই) ৭০ ভোট, সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান সানা (ছাতা) ৫২ ভোট, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম (গোলাম ফুল) ৫৯ ভোট, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহমান গাজী (গরুর গাড়ী) ৫৬ ভোট, কোষাধ্যক্ষ খোকন সরদার (দোয়াত কলম) ৬০ ভোট, সাংগঠনিক সম্পাদক মন্টু কাজী (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), দপ্তর সম্পাদক লিটন শিকদার (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) ও প্রচার সম্পাদক ফেরদাউস সরদার (আম) ভোট ৫১ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন মোঃ রেজাউল করিম মিন্টু, সহকারী মোহাম্মদ আলী, মোঃ ইব্রাহিম মোল্লা, মোঃ শাহবান আলী গাজী ও মোঃ আসাদুল সরদার। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন এস,আই বাবুল আকতার।

কয়রায় আদিবাসী 'মুন্ডা' সম্প্রদায়ের বিচিত্র জীবন-জীবিকা

দু’শ বছর আগে মুন্ডারা এসেছে ভারতের উড়িষ্যা থেকে। খুলনা জেলার কয়রা থানার দক্ষিণ বেদকাশী, উত্তর বেদকাশী ও কয়রা সদর ইউনিয়নের ৩টি অঞ্চলের কয়েকটি ছোট ছোট গ্রামে এদের বসবাস। একুশ শতাব্দীর দ্বারপ্রান্তে এসেও তারা সভ্যতার আলো থেকে অনেক দুরে। সংখ্যা লঘু এ সম্প্রদায়ের লোক সংখ্যা তিন হাজারে বেশী। এর ভেতর ভোট্রা সংখ্যা ৭০০ এর মত। 

চোলাই মদের নেশার উপর থাকতে দেখা যায় তাদের। পূর্ব পুরুষ থেকে এ নেশা জাতীয় পানি পান করাটাকে তারা ছাড়তে পারেনি। এটাকে তারা বংশগত মর্য্যাদা বলে মনে করে। চোলাই মদের ব্যপারে বৃদ্ধ বিজু মুন্ডা বলেন, পূর্ব পুরুষ থেকে রান্না করা গরম ভাতে বড়ি (জংগলের গাছের শিকড় দিয়ে তৈরী করা) দিয়ে ভাতের হাড়ীর মুখ বেধে মাটিতে পুতে রাখা হয়। কিছুদিন পর ওই হাড়ী মাটির উপরে তোলাহয় তখন হাড়ীর ভাত গলে গিয়ে তরল হয়ে যায়। এটাকেই চোলাই মদ বলা হয়। এই চোলাই মদ মুন্ডা সম্প্রদায়ের লোকেরা ইচ্ছা মত পান করে। আবার কোন কোন বিশেষ দিনে আবাল বৃদ্ধ বনিতা মদের নেশায় মাতোয়ারা হয়ে উঠে। এমনকি মদের নেশায় মুন্ডা পরিবারের সদ্যস্যরা স্বামী, সন্তান, ভাই-বোন ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবাই নাচতে থাকে। নাচতে নাচতে অনেকের শরীরে আবারন খুলে গেলেও সেদিকে কারো খেয়াল থাকেনা।

চোলাই মদের সাথে পান করা হয় টাটকা ইদুরে রক্ত এবং পোড়া মাংস (কিছুটা কাবাবের মত)। মুন্ডারা চোলাই মদ তৈরীর পদ্ধতি যানে। এই মদ তারা বিক্রি করে না। বাইরের কেউ পান করতে চাইলে খুশি মনে মুন্ডারা তাকে পান করিয়ে তৃপ্তি পায়।

মুন্ডারা সবাই গরীব। বনের গাছ-গাছালী সংগ্রহ করে দু’শ বছর আগে এ এলাকায় বসত ঘর তৈরী করে সামাজিক ভাবে বাস করছে। এক সময় তাদের অনেক জমাজমি ছিল, সচেনতার অভাবে এলাকার প্রভাবশালী মহল তাদেরকে ফাঁকি দিয়ে ভু-স্বামী বনে গেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

জন্ম থেকে মুন্ডারা খুবই পরিশ্রমী, এরা বেকার ঘরে বসে থাকেনা। শ্রম বেচে তারা সংসার চালায়। তাও সঠিক পারিশ্রমিক তারা পায়না, তাই অভাব তাদেও নিত্য সংঙ্গী। আবার অনেকে টাকার নোটের মান বোঝেনা। মহাজন খুশীমত যাহা দেয় তাই নিয়ে নেয়। পারিশ্রমের মূল্য নিয়ে তাদের প্রতিবাদ করতে দেখা যায়না। মুন্ডারা মনে করে, জন্ম হয়েছে খেটে খাওয়ার জন্য মৃত্যু পয্যন্ত খেটে খেয়ে যেতে হবে।

মুন্ডাদের বাড়ীতে টেলিভিশন নেই। খবরের কাগজ পড়ার আগ্রহ তাদের দেখা যায়না। খবরের কাগজের কথা জানতে চাইলে মুন্ডারা চেনে না। অনেকে রেডিও শোনে। রাজনীতি তারা বোঝেনা। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বররেরা তাদের সরকার। তারা মনে করে এরাই দেশ চালায়। তাদের এলাকায় তেমন কোন বিদ্যালয় নেই। বে-সরকারি সংস্থা প্রদ্বীপন শিশুদের লেখা-পড়া সুযোগের লখ্যে একটা শিশুবিদ্যালয় দিয়েছে।

খাবার পানি হিসেবে পুকুরের পানি ব্যাবহার করে তারা। খেলা যায় গায় মল মুত্র ত্যাগ করতে দেখা যায় তাদের। বাল্যবিবাহ মুন্ডাসম্প্রদায়ের মধ্যে বেশী প্রচলন। অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দিতে না পারলে মেয়ের বাবা নিজেকে অপরাধী মনে করে। বিয়ের রাতে মেয়েকে বরের সাথে বাসর ঘরে দিয়ে মুন্ডারা আনন্দে মেতে উঠে।

মুন্ডাদের প্রধান আকর্ষন মুরগী পূজা। একটা পোষা মুরগী এক কোপে কেটে মুরগীর রক্ত চারি দিকে ছিটিযে দেবতাকে সন্তুষ্ট করে। মুন্ডারা ভাল ভাবে বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারেনা। কথা বলার বেলায় তাদের মধ্যে মিশ্র ভাষায় কথা বলতে শোনা যায়। তাদের নিজেদের মধ্যে যখন কথা হয় সে ভাষা বাইরের কেউ বুঝতে পারেনা।

চোলাই মদ না পান করার জন্য বলা হলে অশোক মুন্ডা বলেন, রক্তমাংসে মিশে যাওয়া এ নেশাটি খুব সহযে ছাড়া সম্ভব নয়। এটা আমাদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া। নেশা করাটা আমাদের বংশের ঐতিয্য বলে মনে করা হয়।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আঃ মান্নানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সমাজের শিক্ষিত মানুষ যদি ভালো ভাবে তাদেরকে বোঝাবার চেষ্টা করে এবং তাদেও মাঝে সচেতনতা বোধ আনা যায় তবেই তা সম্ভব হবে।

কয়রায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ

কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান বেল্টুর বিরুদ্ধে ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভিজিডি কার্ডধারি অতিদরিদ্র ৪০৯ জন মহিলাকে ৩০ কেজি চালের স্থলে ২৫ কেজি চাল বিতরনের মাধ্যমে প্রতিমাসে দুই মেট্রিক টনেরও বেশি চাল আত্মসাত করেছেন তিনি।

এছাড়া ভিজিডি কার্ডধারি মহিলাদের নামে একটি বেসরকারি সংস্থার জমানো ৩৮ হাজার টাকা চেয়ারম্যান আত্মসাত করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের তিন জন মহিলা সদস্য অভিযোগ করেন।

অভিযোগে জানা গেছে, চলতি বছরের জুলাই ও আগষ্ট মাসের ভিজিডির চাল বিতরনের সময় সংরক্ষিত তিনটি ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বরগন উপস্থিত থেকে ৪০৯ জন কার্ডধারি মহিলাদের মাঝে চাল বিতরনের সময় এ অনিয়ম ধরা পড়ে। গত ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত চেয়ারম্যান নিজের লোক দিয়ে ভিজিডি কার্ডধারিদের মাঝে চাল বিতরন করে আসছেন।

এতে অনেক ভিজিডি কার্ডধারি মহিলারা তাদের চাল ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। সে অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি চাল বিতরনের সময় সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যরা উপস্থিত থেকে প্রত্যেককে সাড়ে ২৯ কেজি চাল বিতরন কালে ২ হাজার কেজি চাল কম পড়ে। চাল কম পড়ার ব্যাপারে চেয়ারম্যানকে জানানো হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে মহিলা মেম্বরদেরকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন।

মহারাজপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত একটি ওয়ার্ডের সদস্য নাদিরা রব্বানী বলেন, চেয়ারম্যান গত ১৮ মাস ধরে দুঃস্থদের ঠকিয়ে বিপুল পরিমান চাল আত্মসাত করেছেন। তিনি প্রতি দুই মাস পর গুদাম থেকে চাল উত্তলোনের সময় চার মেট্রিক টন চাল আগেই বিক্রি করে আসেন। ঘটনাটি ধরা পড়ায় এখন তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাড়িয়ে দিতে চাইছেন।

ইউপি সদস্য দিদারুল আলম অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান কেবল ভিজিডির চাল আত্মসাত করছেন তা নয়। গত রমজান মাসে দুঃস্থদের মাঝে ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বিতরনের সময় ওজনে কম দিয়ে ১৫ বস্তা চাল প্রকাশ্যে নিজের বাড়ি নিয়ে গেছেন তিনি।

জানতে চাইলে মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান বেল্টু তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবী করে বলেন, এর আগে ভিজিডির চাল বিতরনের সময় সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বরগন উপস্থিত ছিলেন। তবে চলতি মাসের চাল বিতরনের সময় কম পড়ার কারন সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোন জবাব তিনি দিতে পারেননি।

কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামীম হাসান ঘটনাটি তদন্ত করে দেখবেন জানিয়ে বলেন, ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

একটি বিশেষ ঘোষণা ::

পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ফুটবল ময়দানে "শহীদ শেখ আবু নাসের স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট" এর জমজমাট ফাইনাল ম্যাচটি আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রোজ শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হবে। 



কেশবপুর ফুটবল একাদশ বনাম আশাশুনির কাপসান্ডা গদাইপুর ফুটবল একাদশের মধ্যে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নুরুল হক।

টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল পুরস্কার হিসেবে পাবে ৫০ হাজার টাকা ও রানার্সআপ দল পাবে ২৫ হাজার টাকা। উত্তেজনাকর এই ফাইনাল ম্যাচটি দেখার জন্য আপনারা সবান্ধবে আমন্ত্রিত।

Friday, August 29, 2014

পাইকগাছায় আলোক সংস্থার নির্বাহী পরিচালকসহ ৩ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

পাইকগাছায় ভ্রাম্যমান আদালতে আলোক সংস্থার নির্বাহী পরিচালকসহ তিন কর্মকর্তাকে সর্বোচ্চ দুই বছর ও সর্বনিম্ন ৩ মাস করে সাজা প্রদান করা হয়েছে। এ সময় চাকরি দেওয়ার নামে বিভিন্ন নারীদের কাছ থেকে নেওয়া এক লাখ ২২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত টাকা ভূক্তভোগীদের মাঝে বিতরণের লক্ষ্যে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার দেবাশীষ সরদারকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে থানা ভবনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক খুলনার দৌলতপুর এলাকার মো. গোলাম সাত্তারের ছেলে আ.ত.ম মঞ্জুর রহমানকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও নগদ ৩০ হাজার টাকা, প্রকল্প পরিচালক সাতক্ষীরার তালা থানার হাতবাস গ্রামের মো. হারেজ আলী সরদারের ছেলে আব্দুল বারিককে ৩ মাসের কারাদন্ড ও ২১ হাজার টাকা এবং শাখা ব্যবস্থাপক সাতক্ষীরার তালা থানার কানাইদিয়া গ্রামের মৃত আশরাফ হোসেনের ছেলে মোজাম্মেল হককে ৩ মাসের কারাদন্ড ও নগদ ৩০ হাজার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার অফিস থেকে ৪১ হাজার টাকা উদ্ধার করেন।

উল্লেখ্য, আলোক সংস্থা কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্পে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে চাকরি দেওয়ার নামে এলাকার ৬১ জন নারীর কাছ থেকে চার লাখ ৯০ হাজার টাকা নেন। গত কয়েক মাসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়োগকৃত মাঠ কর্মীদের বেতন ভাতা না দিতে পারায় বৃহস্পতিবার সকালে প্রতারণার শিকার এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে শাখা ব্যবস্থাপক মোজাম্মেল হককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন, ওসি শিকদার আককাস আলী, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফুল হক, এসআই জালাল উদ্দীন, সাংবাদিক আব্দুল আজিজ ও স্নেহেন্দু বিকাশ।

কয়রায় দুই গাজা ব্যবসায়ী আটক

মাদক সম্রাট নামে খ্যাত কয়রার মফিজুল ইসলাম টুকু ও তার সহযোগী আরিফ আটক করেছে কয়রা থানা পুলিশ।

জানা গেছে, কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ সুবীর দত্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ৪০০ গ্রাম গাজা সহ উপজেলার লালুয়া বাগালি গ্রামের শহিদুল গাজী ওরফে শেহের আলীর পুত্র মাদক সম্রাট মফিজুল ইসলাম টুকু (৩৭) ও তার সহযোগি একই গ্রামের নুরুল সানার পুত্র আরিফ হোসেন (২৫) কে উপজেলার আমাদি বাজার থেকে আটক করে।

এ সময় পুলিশ তাদের ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল জব্দ করে। এদের বিরুদ্ধে কয়রা থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। আটককৃত টুকুর বিরুদ্ধে কয়রা থানায় মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। ধৃতদের জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

পাইকগাছার অহংকার সুসাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হক

কাজী ইমদাদুল হক ১৮৮২ সালের ৪ নভেম্বর খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কাজী আতাউল হক। কাজী ইমদাদুল হক পারিবারিক পরিবেশে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের পর খুলনা জেলা স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৮৯৬ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৮৯৮ সালে এফএ পাস করেন। কলিকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে তিনি পদার্থবিদ্যা ও রসায়নশাস্ত্রে ডিগ্রি ক্লাসে ভর্তি হন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে তিনি পাস কোর্সে বিএ পাস করেন।

১৯০৩ সালে তিনি বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসে নির্বাচিত হয়ে কলকাতা মাদ্রাসায় অস্থায়ী শিক্ষক নিযুক্ত হন। ১৯০৬ সালে আসামের শিলংয়ে শিক্ষা বিভাগের ডিরেক্টর অফিসের উচ্চমান সহকারী পদে যোগ দেন। ১৯০৭ সালে ঢাকা মাদ্রাসার শিক্ষক পদে নিয়োজিত হন। ১৯১১ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ভূগোল বিষয়ের প্রভাষক নিযুক্ত হন। ১৯১৪ সালে তিনি ঢাকা বিভাগে মুসলিম শিক্ষার সহকারী স্কুল পরিদর্শক নিযুক্ত হন। ১৯১৭ সালে তিনি কলকাতা টিচার্স ট্রেনিং স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদে যোগদান করেন। ১৯২১ সালে ঢাকা মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি প্রথম সচিব নিযুক্ত হন।

শিক্ষা বিভাগের কাজে গভীর দায়িতবোধ, অসামান্য দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তির স্বীকৃতি স্বরৃপ তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তাকে ১৯১৯ সালে খান সাহেব ও ১৯২৬ সালে খান বাহাদুর খেতাবে ভূষিত করেন। ১৮৯৬ সালে কাজী ইমদাদুল হক স্কুলে পড়াকালীন কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৯০৩ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ আখি জল প্রকাশিত হয়। নবী কাহিনী ও কামারের কাণ্ড তার শিশুতোষ গ্রন্থ। তিনি শিক্ষক নামে মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। সাহিত্য সৃষ্টি হিসাবে তার সর্ব শ্রেষ্ঠ কৃতি আব্দুল্লাহ উপন্যাস।

১৯২৬ সালের ২০ মার্চ তিনি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। কলকাতার গোবরা কবর স্থানে তার মায়ের কবরের পাশে তাকে কবর দেওয়া হয়। ইমদাদুল হকের মৃত্যুর পর আব্দুল্লাহ উপন্যাস গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।

সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে চালু হওয়া নৌপথ এখনো বন্ধ হয়নি

হুমকির মুখে জীব বৈচিত্র ও ডলফিনের অস্তিত্ব


সুন্দরবনের অভয়াশ্রমের মধ্য দিয়ে চালু হওয়া নৌপথ এখনও বন্ধ হয়নি। এর ফলে হুমকির মুখে পড়েছে সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র ও ডলফিনের অস্তিত্ব। বন পরিবেশ মন্ত্রাণালয় গত বছর সুন্দরবনের তিনটি এলাকায় ৩১.৪ কি:মি: নদী ও খাল ডলফিনের জন্য অভয়াশ্রম ঘোষণা করে। অভয়াশ্রম ঘোষণার পরও এখানে অবাধে বিভিন্ন প্রকার জাল ও নেট দিয়ে মাছ শিকার চলছে। বন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া এ অভয়াশ্রমের মধ্য নতুন চালু হওয়া অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নৌ-রুটের ফলে সুন্দরবনের অভয়াশ্রমে ডলফিন আশ্রয়হীন পড়েছে। এই নতুন নৌ-রুট চালুতে ডলফিনের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, ওয়ার্ল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটি এনওয়াই ও বাংলাদেশ সিটাসিন ডইভারসিটি প্রজেক্টের দেশি বিদেশি প্রাণি বিশেষঞ্জ, গত সাড়ে ৩ বছর আগে সুন্দরবনসহ বঙ্গোপসাগরে ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে বিলুপ্ত প্রজাতির ইরাবতিসহ ৬ প্রজাতির ডলফিন ও এক প্রজাতির তিমির সন্ধান পান। এরপর প্রজেক্টেড এরিয়ার নেটওয়ার্কের ঘরসিটাসিন ডইভারসিটি (প্যানসিডি) নামক একটি প্রকল্প তৈরি করে পূর্ব সুন্দরবন বনবিভাগ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠায়।

ডলফিন রক্ষায় প্যান সিডি প্রকল্প বাস্তবায়নে সুন্দরবন পূর্ব-উত্তর কোনে ঘাগড়ামারি ক্যাম্প হতে টেংরামারি স্টেশন হয়ে করমজল পেট্রোল পোস্ট পর্যন্ত ১০.১ কি: মি: চ্যানেল, সুন্দরবনের জোংড়া পেট্রোল পোষ্ট হতে পশুর নদী নন্দবালা মিরাগামারি ক্যাম্প বরাবর শ্যাওলা নদী দিয়ে আন্দরমানিক ক্যাম্প পর্যন্ত উরুবুনিয়া খাল হয়ে চাঁদপাই খাল থেকে ১৫.৮ কি: মি: চ্যানেল এবং দুধখালি ক্যাম্প সংলগ্ন খালের ২ কি: মি: উত্তরে বেতবুনিয়া খাল হতে বড়শিয়ালা খাল ও দক্ষিণে ভোলা নদী পর্যন্ত ৫.৫ কি: মি:। সর্বমোট সুন্দরবনের ৩১.৪ কি: মি:। নদী ও খাল চ্যানেলে ফাঁস জাল, কারেন্ট জাল, বেন্দী জাল, নেটজাল ও রেনু পোনা, ধরাজাল দিয়ে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে ডলফিনের অভয়াশ্রম কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়।

অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের নদ-নদীসহ বঙ্গোপসাগরে সোয়াস অব নৌ গ্রাউন্ডে ডলফিনের চারণক্ষেত্র বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫ হাজার ৪ শত ইরাবতি ডলফিন রয়েছে। তাছাড়াও এ জলাশয়ের ১৩টি স্পটে ৪০টি ইন্দো প্যাসিফিক হ্যাম্প, ব্যাস্ট, ডলফিন দেখা গেছে। উপকূল থেকে ১১ মাইল সুন্দরবনের মধ্যে ১৩৮২টি ফিনলেস ১ হাজার ইন্দো প্যাসিফিক বটল নোস ডলফিন দেখা গেছে। সুন্দরবন উপকূলের ১৪টি স্পটে স্পিনার দেখা গেছে ৮টি স্পটে, সন্ধান মিলেছে ৮ শত স্পটেড ডলফিনের।

তাছাড়া সুন্দরবনসহ উপকূলের ১৩টি স্পটে ২২৫টি গাংগেজ রিভার ডলফিনের দেখা মিলেছে। এছাড়া ব্রাইডস হোয়েলস প্রজাতির ৫০টি তিমি দেখা গেছে। এমন কি উপকূলের কপোতাক্ষ, শিবসাসহ বিভিন্ন নদীতে মাঝে মাঝে ডলফিনের দেখা মেলে। প্যানসিডি প্রকল্পে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরসহ সুন্দরবনের নদ নদী পানি ও পানির উষ্ণতা ইরাবতি ডলফিনের বংশ বৃদ্ধির জন্য খুবই সহায়ক। এই এলাকার চিংড়ি রেণু পোনা আহরণে নেট জাল ও কারেন্ট জাল অবাধে ব্যবহারে ইরাবতি ডলফিনের বংশ বৃদ্ধিও চরম হুমকির মুখে পড়েছে।

২০১১ সালের নভেম্বরে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে নৌপথ চালু হয়। তখন দিনে ২০ থেকে ২৫টি নৌযান চলাচল করত। বর্তমানে কার্গো, ওয়েল ট্যাংকারসহ ১০০ থেকে ১৫০টি নৌযান চলাচল করছে। বন আইন অনুযায়ী সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে এ ধরণের চলাচল নিষিদ্ধ। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ২০১০ অনুযায়ী জাতিসংঘের রামসার কনভেনশন অনুযায়ী সুন্দরবন আন্তর্জতিক গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি। এই কনভেনশনে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে। ঐ শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর কোন ধরণের তৎপরতা চালাবে না। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জানান, সুন্দরবনের ৩১ কি:মি: জলসীমায় ডলফিনের অভয়াশ্রমের বুক চিরে এখন অভ্যন্তরীণ ও আন্তজাতিক নৌ-রুটের বার্জ, অয়েল ট্যাংকার চলাচল করছে। বন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে নতুন অভ্যন্তরীণ নৌ-রুট চালু করায় ডলফিনের সংরক্ষণ ও প্রজনন চরম হুমকির মুখে পড়েছে।

পাইকগাছায় অবৈধ মোটরসাইকেল চলাচল হ্রাস পেয়েছে

সম্প্রতি জেলা ট্রাফিক পুলিশের এক বিশেষ অভিযানে লাইসেন্স বিহীন অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল জব্দ করার পর থেকে পাইকগাছার মোটরসাইকেল চালকদের মাঝে এক ধরনের আতংক বিরাজ করছে। রাস্তায় কাগজপত্র বিহীন মোটরসাইকেল চলাচল তুলনা মূলক অনেক কম হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মোঃ নজরুল ইসলাম গত ২৩ আগস্ট উপজেলা সদরে আকশ্মিকভাবে অভিযান চালিয়ে কাগজপত্র বিহীন অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল জব্দ করেন।

জানা গেছে, পৌর সদরসহ দশটি ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়কে (ভাড়ায় চালিতসহ) কমপক্ষে দুই থেকে তিন সহস্রাধিক মোটরসাইকেল চলাচল করছে। এর মধ্যে নব্বই শতাংশ মোটরসাইকেলের সঠিক কাগজপত্র নেই বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

পাইকগাছার সচেতন মহল শুধু মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে নয় অবৈধ সকল যানবাহনের বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশের অভিযান অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

প্রতিদিন না হোক প্রতি সপ্তাহে এক দু’বার এ ধরনের অভিযান পরিচালিত হলে সড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল কমে যাবার পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনাও অনেকাংশে হ্রাম পাবে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

জাতীয় শোক দিবসে পরিষদ ভবনে বিলম্বে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অভিযোগে....

পাইকগাছায় গণশুনানীতে কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যানের দোষ স্বীকার


পাইকগাছার কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির নেতা শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে পরিষদ ভবনে বিলম্বে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গণশুনানীতে দোষ স্বীকার করে ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দিরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ১৫ আগস্ট জাতীয় পতাকা উত্তোলন কমিটির আহবায়ক মোঃ কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে এ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া খোদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় সংগঠণ স্থানীয় আ’লীগের পদ-পদবীধারী নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকলেও তারা কেউ মুখ খুলেননি। এ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনুষ্ঠানে পতাকা অবমাননার অভিযোগে ইউনিয়নবাসী চেয়ারম্যানের শাস্তি দাবী করেছেন।

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর ৩৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পরিষদ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের গুরুত্বর অভিযোগ উঠে এবং এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ গণশুনানীর ব্যবস্থা করা হয়।

গতকালের শুনানীতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবী করে ব্যবসায়ী আব্দুর রব মিঠু বলেন, ইতিপূর্বে ২৬ মার্চেও পরিষদ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। ১৫ আগস্ট দুপুরের পর অত্যন্ত অসম্মানজনকভাবে পরিষদে পতাকা উত্তোলন করা হয় বলে তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ আফছার আলী বিভিন্ন জায়গায় পতাকা টানানো হয়নি উল্লেখ করে জানান, যেহেতু ঘটনার জন্য চেয়ারম্যান, মেম্বররা দুঃখ প্রকাশ করে ভুল স্বীকার করেছেন সে কারণে এ নিয়ে বাড়াবাড়ির দরকার নেই। তিনি স্থানীয় এমপির নিকট সুপারিশ করেছেনও বলে সভায় অবহিত করেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, থানার ওসি শিকদার আককাস আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ত্রিদেব মিত্র, প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশ ও সম্পা আক্তার, নির্মল মজুমদার, যুগোল কিশোর দে, গোলাম মোস্তফা, বুলবুল আহমেদ, ভুমি কর্মকর্তা মাহামুদ হক’সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

গড়ইখালী আয়ূব ও মূসা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম

পাইকগাছার গড়ইখালী শহীদ আয়ুব ও মূসা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার শহীদ ও মূসা মোমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে একজন এমএলএসএস একজন আয়া এবং একজন লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য ১৯ আগস্ট খুলনায় আহসান উল্লাহ কলেজে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

এখানে মেধার গুরুত্ব না দিয়ে অর্থবানিজ্য ও আত্মীয়করণের মধ্য দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। লাইব্রেরিয়ান পদে নূর ইসলাম, এম,এল,এস,এস তসলিম আহম্মেদ ও আয়া পারভীন আক্তারকে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

কলেজের নিয়োগের বিষয়টি তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসী দাবী জানিয়েছেন।

ধর্ষক মনমানসিকতা ধ্বংস ও ধর্ষণ বন্ধ হোক !

ধর্ষণ কোন পুরুষ করে না, করে 'নরপশু'


A Voice of Paikgacha Campaign.

Thursday, August 28, 2014

পাইকগাছায় ধুমপায়ীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে জরিমানা আদায়

পাইকগাছায় ভ্রাম্যমান আদালত বিড়ি সিগারেটের দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ১৯ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর উদয় কুমার মন্ডল।

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহম্মদ কবির উদ্দীনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর বাজারে অভিযান চালিয়ে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করার অভিযোগে তামাক নিয়ন্ত্রন আইনে সিগারেটের দোকান মালিক রফিকুল ইসলামকে ৫০০ টাকা জরিমানা ও প্রচারণামূলক সিগারেটের প্যাকেট আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেন।

এছাড়া পাবলিক প্লেসে ধুমপান করার অভিযোগে ধুমপায়ী সুজিত মন্ডলকে ৩০০ টাকা জরিমানা করেন এবং শরীফ হোটেলকে ১০০০ টাকা, উত্তম পাল (কীটনাশকের দোকান) ৫০০০ টাকা, দধিঘর ৫০০ টাকা, কালিমাতা মিষ্টান্ন ভান্ডার ৩০০০ টাকা, মাংস বিক্রেতা সবুর গাজী ২০০০ টাকা, মোটরসাইকেল মালিক ফয়সাল আহম্মেদের নিকট থেকে ৭০০০ টাকা’সহ সর্বোমোট ১৯ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

পাইকগাছা'সহ দেশের বিভিন্নস্থানে ভারতীয় ভিসার অনলাইন সিরিয়াল এখন সোনার হরিণ

ইন্টারনেটের বিভিন্ন সিষ্টেমের দোহাই দিয়ে ২/৩ মাস ধরে লুকোচুরি করার পর এবার প্রায় বন্ধ হতে চলেছে অন লাইন ইন্ডিয়ান এ্যাপ্লিকেশন ফরমের এ্যাপয়নমেন্ট ডেট। ফলে খুলনা সহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রোগী এবং হাজার হাজার ভারত ভ্রমণ প্রত্যাশি চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায়, পূর্বে রাজধানী ঢাকার গুলশানস্থ ষ্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার শাখা অফিস, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর ভারতীয় ভিসা অফিস থেকে ইন্ডিয়ান ভিসা প্রদান করা হতো। সে ক্ষেত্রে আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করে এসব ভিসা অফিসে পাসপোর্ট জমা দিতে পারলেই আবেদনকারীরা ভিসা পেয়ে যেত। কিন্তু সেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা দিনের পর দিন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে পাসপোর্ট জমা দেয়া ছিল কঠিন কাজ।

এ সকল ভোগান্তি থেকে বাংলাদেশী ভিসা প্রার্থীদের মুক্তি দিতে হাই কমিশন অফ ইন্ডিয়া অন লাইনের মাধ্যমে আবেদন জমা নেয়া শুরু করে। এতে করে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীরা অন লাইনে তাদের নির্ধারিত ফরম পূরণ করে এ্যাপয়নমেন্ট ডেট নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে তাদের আবেদনপত্র জমা দিয়ে ভিসা প্রাপ্ত হতো। পরবর্তীতে খুলনা সহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের সুবিধার্থে হাই কমিশন অফ ইন্ডিয়া খুলনা শহরে ষ্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার একটি শাখা ও ইন্ডিয়ান ভিসা এ্যাপ্লিকেশন রিসিভিং সেন্টার খোলে। এর ফলে এই এলাকার মানুষ অতি সহজেই ভারতীয় ভিসা পাচ্ছিল।

কিন্তু বিগত মে মাস থেকে মাঝে মাঝে অন লাইন ইন্ডিয়ান ভিসা ফরম পূরণ করে কাক্সিক্ষত এ্যাপয়নমেন্ট ডেট থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। তবে দুই তিন মাস এভাবে চললেও ৭ থেকে ১৫ দিনের চেষ্টায় একজন আবেদনকারী তার আবেদন জমা দেয়ার ডেট পাচ্ছিল। কিন্তু প্রায় ২ মাস আগে থেকে অন লইন ইন্ডিয়ান ভিসা ফরম পূরণ করে শেষ পাতায় অর্থাৎ হোম পেইজে ডেট এন্ড টাইম এ্যালোটমেন্ট টু এ্যাপ্লিক্যান্ট এ আসলে “নো এ্যাপয়নমেন্ট আর এ্যাবেল এ্যাবেল” লেখা আসছে।

একটি সূত্র জানায়, দিন রাত ২৪ ঘন্টার কোন এক সময় ৫ থেকে ১০ সেকেন্ডের জন্য অন লাইনে ডেট দেখা গেলেও কেউ তার নাগাল পাচ্ছে না।

সূত্রটি আরো জানায়, ১ হাজার ব্যক্তির মধ্যে হয়তো একজন ব্যক্তি তার কাক্সিক্ষত ডেট পাচ্ছে। এদিকে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু কিছু অসাধু সাইবার ক্যাফে ব্যবসায়ীরা অন লাইনে ভিসার ডেট পাইয়ে দেয়ার কথা বলে নিরীহ মানুষদের কাছ থেকে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা আদায় করছে।

যশোরে অভয়নগর উপজেলার নোয়াপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী গোলাম হোসেন জানান, তার এক আত্মীয়কে ভারতে চিকিৎসা করানোর উদ্দেশ্যে অতি জরুরীভাবে প্রায় ১৮ হাজার টাকা খরচ করে দুইটি পাসপোর্ট করিয়েছিলেন। কিন্তু দুই মাস ধরে ভিসা জমা দেয়ার ডেট পাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। অবশেষে ডেট না পেয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে তার আত্মীয় মারা গেছেন।

অপর একটি সূত্র জানায়, ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশী হাই কমিশন অফিসে ভারতীয়রা বাংলাদেশী ভিসার জন্য তাদের পাসপোর্ট জমা দিলেই ১ দিনের মধ্যে বিনা পয়সায় তারা বাংলাদেশী ভিসা পেয়ে যায়। অথচ বাংলাদেশের ঢাকায় ভারতের হাই কমিশনে বাংলাদেশীরা তাদের পাসপোর্ট জমা দিলে ৪শ’ টাকা এবং খুলনায় জমা দিলে ৬শ টাকা সার্ভিস চার্জ কেটে নেয়। অনেক পাসপোর্টে ভিসা প্রদান না করলেও ভুল ত্রুটি দেখানো বা সার্ভিস চার্জের কোন টাকা ফেরৎ দেয় না ভারতীয় হাই কমিশন । এর ফলে ভিসা প্রত্যাশিদের মধ্যে ভয়ানক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

সহজেই যাতে খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ সারাদিন ধরে ইন্ডিয়ান ভিসা এ্যাপ্লিকেশন ফরম পূরণ করে পাসপোর্ট জমা দেয়ার ডেট পেতে পারে তার জন্য সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভারতীয় হাই কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করার আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পাসপোর্টধারীরা।

পাইকগাছায় আলোক সংস্থার অভিনব প্রতারণা ফাঁস

পাইকগাছা শাখা ব্যবস্থাপককে গণপিটুনি শেষে পুলিশে সোপর্দ


পাইকগাছায় আলোক সংস্থার অভিনব প্রতারণা ফাঁস। চাকুরীর প্রলোভনে অসংখ্য নারী পুরুষকে উক্ত সংস্থায় চাকুরী ও আকর্ষনীয় প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। যার কারনে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতারণার শিকার অসংখ্য নারী-পুরুষ পাইকগাছা শাখা সংস্থার কর্মরত ব্যবস্থাপক মোজাম্মেল মোড়লকে অবরুদ্ধ করে গণপিটুনি শেষে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগীরা থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

সূত্রমতে, বিগত ২ থেকে ৩ মাস পূর্বে পাইকগাছায় আলোক সংস্থা “প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পদচারণা” নামে একটি সংস্থা পাইকগাছার বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন জিরো পয়েন্টে কার্যালয় করে অসংখ্য নারী পুরুষকে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চাকুরীতে যোগদান করায় এবং মাসিক বেতন নির্ধারণ করে প্রতি জনের কাছ থেকে ৫ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত জামানাত গ্রহন করে।

সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় সাতক্ষীরার তালা পাটকেলঘাটায়। সংস্থাটি পাটকেলঘাটায় প্রধান কার্যালয় এলাকায় খোজ নিয়ে জানাযায় সেখানেও এভাবেই প্রতারণার শিকার শত শত নারী-পুরুষ। প্রোগ্রাম ম্যানেজার আজিজুল ইসলামসহ অত্র সংস্থায় কর্মরত সকল ব্যক্তিরা প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে এভাবেই হরহামেশা।

পাইকগাছা ব্রাঞ্চে যোগদানকারী প্রতারনার শিকার ৬০ জন ব্যক্তি। যার মধ্যে ২৪ জনের নিকট হতে ১১ হাজার টাকা এবং ৩৬ জনের নিকট হতে ৫ হাজার করে টাকা গ্রহন করা হয়।

এ ব্যাপারে প্রতারণার শিকার রেখা শীল জানান, আমার কাছ থেকে ১১ হাজার টাকা গ্রহন করা হয়েছে। ফারজানা আক্তার পলি জানান, আমার কাছ থেকেও ১১ হাজার টাকা এবং শ্যামলী রাণীর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা গ্রহন করা হয়েছে।

পাইকগাছায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে পৃথক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে পৃথক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তামাক বিরোধী সংগঠন সিয়াম, এইড ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স কমিটির এক সভা ইউএনও মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এস,এম,এ রাসেল, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফুল হক, একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প কর্মকর্তা জয়া রাণী, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা এস,এম, শহীদুল্লাহ, সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা সরদার মোঃ নাজিমউদ্দীন।

এরপর পৌর ভবনে প্যানেল শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলর মোঃ আব্দুল লতিফ সরদার, ইদ্রিস আলী গাজী, কাজী নেয়ামুল হুদা কামাল, এস,এম, ইমদাদুল হক, তৈয়েবুর রহমান, আসমা আহমেদ, কবিতা রাণী দাশ, প্রকৌশলী কামরুল আকতার, উত্তম ঘোষ, জিয়াউদ্দীন, ইমদাদুল হক। সভায় মোঃ সুজায়েত গাজী ও রহমত আলী নামে দুই ব্যক্তি অদ্য তারিখ হতে ধুমপান ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন।

সর্বশেষ দুপুরে গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্যবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, সিয়ামের নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাসুম বিল্লাহ।

পাইকগাছায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভা

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের পাইকগাছা উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির পরিচিতি সভা গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় পূজা মন্দির সরল কালীবাড়ীতে সংগঠনের উপজেলা আহবায়ক ও জেলা সদস্য রবীন্দ্র নাথ রায়ের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের জেলা সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. অজিত কুমার মন্ডল।

সদস্য সচিব তৃপ্তি রঞ্জন সেন’র পরিচালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুগ্ম আহবায়ক যথাক্রমে মুরারী মোহন সরকার, সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান, তপন কুমার বাইন, দেবব্রত মন্ডল, এড. শিবু প্রসাদ সরকার, প্রণব কান্তি মন্ডল, জগদিশ রায়, সদস্য সন্তোষ কুমার সরদার, কৌস্তভ রঞ্জন সানা, অনাথ বন্ধু সরদার, পঞ্চানন সানা, নির্মল চন্দ্র অধিকারী, দেবব্রত রায় (দেবু), এড. পিযুষ কান্তি সরকার, সুকৃতি মোহন সরকার, ডাঃ শংকর দেবনাথ, সাংবাদিক বিভাসিন্ধু সরকার, গৌরাঙ্গ মন্ডল, অখিল মন্ডল, শিক্ষক পবিত্র কুমার মন্ডল, চিত্ত রঞ্জন বাছাড়, শংকর কুমার মন্ডল, প্রশান্ত সরদার, দেবাশীষ কুমার দেবা, ভবতোষ বাছাড়, আন্দ্রিয় ডি রোজারিও প্রমুখ।

খুলনায় উপকূলীয় মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ে সাইক্লোন শেল্টার নির্মিত হচ্ছে

সর্ব দক্ষিণে সুন্দরবন উপকূলীয় প্রত্যন্ত জনপদ কয়রায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ১৩টি স্কুল-কাম সাইক্লোন শেল্টারের নির্মাণকাজ এগিয়ে চলেছে। ৩০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে এগুলোর নির্মাণকাজ আগামী ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় উপজেলার ৩০ হাজারের বেশি মানুষ এখানে আশ্রয় নিতে পারবে। এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খালেক এন্টারপ্রাইজ ও ঢালী কন্সট্রাকশন সাইক্লোন শেল্টারগুলো নির্মাণ করছে।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ও বানের পানিতে প্রায়ই সময় উপকূলীয় অঞ্চল ভীষণভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় সিডর ও ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলা সুন্দরবন উপকূলে আঘাত আনলে গোটা অঞ্চল লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।

এরপর সরকার উপকূলীয় জনসাধারণের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় অর্থপ্রাপ্তিতে বিশ্বব্যাংকসহ দাতাসংস্থাগুলোর সহায়তা চান। সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিশ্বব্যাংকের উচ্চপর্যায়ের কয়েকটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলো পরিদর্শন শেষে মানুষের জানমাল রক্ষায় আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তুলতে সম্মত হন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়রা সদর ইউনিয়নের ৩নং কয়রা, ৫নং কয়রা, ৪নং কয়রা ও ৬নং কয়রা, দক্ষিণ বেদকাশি, উত্তর বেদকাশি, মহেশ্বরীপুর ও মহারাজপুরে ১৩টি স্কুল-কাম সাইক্লোন শেল্টারের নির্মাণকাজ ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। ২৬ আগস্ট ৬নং কয়রা দ্বিতল ভবন সাইক্লোন শেল্টারটির ছাদ নির্মাণ চলাকালে বিপুলসংখ্যক নির্মাণ শ্রমিক, উপজেলা প্রকৌশলী দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় জনসাধারণের সম্পৃক্ত ছিল লক্ষ্যণীয়।

এ সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খালেক এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম, কন্সট্রাকশন ফার্মের ইঞ্জিনিয়ার সজল জোদ্দার জানান, সকল পর্যায়ে গুণগত মান রক্ষা করে সাইক্লোন শেল্টারগুলো তৈরি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী কেএম ফারুক হোসেন বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সাইক্লোন শেল্টারের নির্মাণকাজ শেষ হলে এগুলো ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম হাসান বলেন, স্কুল-কাম সাইক্লোন শেল্টারগুলোয় দুর্যোগের সময় আশ্রয়ের পাশাপাশি এখানে সারাবছর ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করতে পারবে। এতে উপকূলীয় এলাকার সকল মানুষ উপকৃত হবে।

জনদুর্ভোগের আরেক নাম বাঁকা-শ্রীকন্ঠপুর-কাটাখালী সড়ক

সড়কের যে বেহাল দশা তাতে একে সড়ক না বলে খানাখন্দ বলাই বেশি মানানসই


অতিসম্প্রতি সরেজমিনে এই সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, শ্রীকন্ঠপুর মাঝের পাড়া থেকে বাঁকা গনেষের দোকান মোড় পর্যন্ত ২.৫ কিলোমিটার রাস্তায় অন্তত ডজন খানেরও বেশি জায়গায় বড় বড় খানাখন্দ ও গর্ত দেখা গেছে। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা শ্রীকন্ঠপুর দিঘীর পুকুর সংলগ্ন জায়গাটি।


কিন্তু এ অঞ্চলের মানুষ কি অভিভাবকহীন? তাদের কি কোন জনপ্রতিনিধি নেই? সত্যিই আজ তাদের দুঃখ দেখার কেউ নেই !

অবৈধ দখলদারদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে পাইকগাছা

পাইকগাছা পৌরসভা তথা গোটা উপজেলা জুড়ে অবৈধ দখলদারদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। হাজার-হাজার একর সরকারি জমি, খাস খাল বা নদ-নদী পর্যন্ত অবৈধ দখলদারদের দখলে চলে গেছে। শুধু তাই’না অত্রাঞ্চলের চিহিৃত কিছু ভূমিদস্যু রয়েছে, যারা অন্যের জমি, মৎস্য ঘের, এমনকি কারো বসতবাড়িতেও জবরদখলে যেতে কুন্ঠাবোধ করে না। আর এত্তসব অবৈধ দখলের নেপথ্যে বিতর্কিত কিছু রাজনীতিক, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ভূমিকাও যথেষ্ট রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আনিচুর রহমান বলেন, গোটা চাঁদখালী বাজারটাই গড়ে উঠেছে সরকারি জায়গার উপর। অবৈধটাকে বৈধ করতে কেউ কেউ বিভিন্ন সময় স্থানীয় ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় কাগজপত্র তৈরী করে নিয়েছে। ফলে অবৈধ দখলকারিদের মধ্যে আবার কাগজপত্র ও দখলসত্ব নিয়ে বিরোধের কমতি নেই।

এছাড়া অত্র ইউনিয়নের মধ্যেই দিব্যি চোঁখের সামনে প্রায় সাড়ে ৩-৪ কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁটাখালী নামের মরা নদীটি সম্পূর্ণ গিলে ফেলেছে অবৈধ দখলকারীরা। নদীর চিহৃ পর্যন্ত নেই বললেও ভুল হবে না। বসতবাড়ি, মৎস্য ঘের ও কয়লার চুল্লিসহ সেখানে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অবশিষ্ট এতটুকু জায়গা ফাঁকা না থাকায় এখন শুরু হয়েছে পাল্টা দখল।

এদিকে কপিলমুনি বাজারের গাঘেঁষা কপোতাক্ষ নদের বিস্তীর্ণ জায়গা দখল করে গড়ে উঠছে পাকা স্থাপনা-মার্কেট। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোনভাবেই যেন রোধ করা যাচ্ছেনা অবৈধ দখল প্রতিযোগিতা।

এছাড়া উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের দীঘা, পতন, চারবান্দা, ভিলেজ পাইকগাছা ও পারবয়ারঝাপাসহ বেশ কয়েকটি মৌজায় নানা অনিয়মের মাধ্যমে ৬৩টি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কেস সম্পাদন করার অভিযোগ উঠলে এর মধ্যে ৪৫টি বন্দোবস্ত কেস বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। বাতিলকৃত খাস জমি পূর্ণাঙ্গভাবে সরকারের দখলে রয়েছে কিনা তা তদারকি করতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা কৃষি খাস জমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটির সভাপতি।

গত মঙ্গলবার কমিটির প্রধান আরডিসি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে কমিটির অন্য দু’সদস্য যথাক্রমে শ্যামল সিংহ রায় ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম উল্লেখিত বিভিন্ন মৌজায় সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে।

Wednesday, August 27, 2014

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৩তম বিসিএস’এর ৫ ডাক্তারের যোগদান

৩৩তম বিসিএস’এর ৫ জন ডাক্তার পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সহকারী সার্জন/মেডিকেল অফিসার হিসাবে যোগদান করেছেন। সদ্য যোগদানকৃত ডাক্তারদেরকে বিভিন্ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার সকালে যোগদানের পর সহকারী সার্জন/মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ মশিউর রহমান'কে কাটিপাড়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, সহকারী সার্জন ডাঃ মিঠুন দেবনাথ'কে চাঁদখালী উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সহকারী সার্জন ডাঃ পার্থ প্রতিম দেবনাথ'কে গদাইপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, সহকারী সার্জন ডাঃ এসএম ফাহাদ'কে দেলুটি ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও সহকারী সার্জন ডাঃ আহসানারা বিনতে আহম্মেদ'কে পাইকগাছা ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্ব অর্পন করা হয় বলে উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবুল ফজল জানান।

পাইকগাছায় ঘের মালিকের কাছে জিম্মি প্রশাসন !

অত্যাচার ও হয়রাণীমূলক মামলায় অর্ধশত হিন্দু পরিবারের দেশ ছাড়ার উপক্রম


পাইকগাছায় প্রভাবশালী এক ঘের মালিকের অত্যাচার, নির্যাতন ও হয়রাণীমুলক মামলায় দেশ ছাড়ার উপক্রম হয়েছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার প্রায় অর্ধশত পরিবার। এসব নির্যাতন ও হয়রাণীমুলক মামলা থেকে পরিত্রাণ পেতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ঘের মালিক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

বর্তমানে এলাকাবাসীর ভোগ দখলে থাকা শতাধিক বিঘার চিংড়ী ঘেরটি জবর দখল করতে বিভিন্ন পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, উপজেলার উত্তর সলুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার সরদারের পুত্র প্রভাবশালী ঘের মালিক এস,এম, রফিকুল ইসলাম লতা ইউনিয়নের পানা মৌজায় ১৯৯১ সাল থেকে দুটি খন্ডে ৯৫০ বিঘা জমির উপর মৎস্য লীজ ঘের করে আসছে। ২০ বছরেরও অধিক সময় ধরে ঘের মালিক রফিকুল ইসলাম নামমাত্র হারির টাকা দিয়ে উক্ত ঘেরটি পরিচালনা করে আসছিল বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

পানা গ্রামের মৃত হরিশ্চন্দ্র হালদারের পুত্র বিকাশ চন্দ্র হালদার জানান, যখন বিঘাপ্রতি ৫ হাজার টাকা হারী ছিল, তখন সাড়ে ৩ হাজার এবং যখন ৬ হাজার ছিল তখন ৪ হাজার ও যখন ৮ হাজার টাকা ছিল তখন ঘের মালিক রফিকুল ইসলাম ৫ হাজার টাকা করে একাধিক কিস্তিতে হারির টাকা পরিশোধ করেছে। যা এলাকাবাসীর কোন উপকারে আসে নাই।

২০১৩ সালে উক্ত ঘেরের মেয়াদ শেষান্তে ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারী হতে উক্ত ঘেরের ৪৫০ বিঘার অংশের মধ্য থেকে ১শ বিঘা জমির দখল বুঝে নিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মধুসুদন মন্ডল, ঠাকুর দাস, অজিত, জনেক, বিকাশ, বিধান, অনন্ত ও পঞ্চরাম হালদারসহ সংখ্যালঘু এলাকাবাসী সমবায় ভিত্তিক লীজ ঘের শুরু করলে এতে ক্ষীপ্ত হয়ে ঘের মালিক রফিকুল ইসলাম পাশ্ববর্তী এলাকার সন্ত্রাসী ও লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন সময়ে হামলা, অত্যাচার ও নির্যাতন করে আসছে।

ইতোমধ্যে কয়েকমাসের ব্যবধানে ঘের মালিক এলাকার প্রায় অর্ধশত হিন্দু পরিবারের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে ১৬টি হয়রাণীমূলক মামলা করেছে। বর্তমানে এলাকাবাসীর ভোগদখলে থাকা চিংড়ী ঘেরটি জবর দখল করতে পারে এমন আশংকায় এলাকাবাসীর পক্ষে গত ২৩ আগষ্ট পাইকগাছা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন এবং ২৫ আগষ্ট খুলনায় মানববন্ধন ও একই দিন জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এলাকাবাসীর এসব কর্মসূচীকে ব্যাহত করতে ঘের মালিক এলাকার কতিপয় লোকজনকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্ঠা’ করছেন বলে নির্যাতিত এলাকাবাসীর অভিযোগ।

এ ব্যাপারে এলাকাবাসীরা জানান, নিজেদের জমিতে নিজেরাই লীজ ঘের করতে গিয়ে ঘের মালিক রফিকুল ইসলামের নির্যাতন ও হয়রাণীমূলক মামলায় এলাকায় বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে। প্রশাসন ও ঘের মালিকের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ায় আমাদের এখন দেশ ছেড়ে ভারতে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

দুর্গা পূজায় ৩ দিনের ছুটি’সহ ৬০টি সংরক্ষিত আসনের দাবি

দ‍ুর্গা পূজায় ৩ দিনের ছুটির দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতারা। একই সঙ্গে জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য ৬০টি সংরক্ষিত আসন রাখার দাবি জানানো হয়েছে। মঙ্গলাবার সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শারদীয় দ‍ুর্গা পূজা হিন্দু সস্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। হিন্দু সম্প্রদায় এই উৎসবকে কেন্দ্র করে পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্নীয়-স্বজনের সাথে মিলিত হওয়ার আশা পোষণ করেন। কিন্ত কর্মক্ষেত্রে ছুটি কম থাকায় ‌সেভাবে মিলিত হতে পারেন না।

৫ দিনের দুর্গা প‍ূজা অনুষ্ঠানের মধ্যে একদিন ছুটি আছে জানিয়ে নেতারা বলেন, একদিন ছুটি আছে, সেটাও দশমীতে। তাই দুর্গা পূজায় কমপক্ষে তিনদিনের ছুটি নির্ধারণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি মনোজ কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের মুখপাত্র পলাশ কান্দি দে, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মৃত্যুঞ্জয় রায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক সমীর সরকার এবং ঢাকা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক অখিল মন্ডল প্রমুখ।

হালনাগাদ তালিকায় পাইকগাছা-কয়রায় ভোটার বেড়েছে ১৭ হাজার ৫৮৬ জন

হালনাগাদ তালিকায় খুলনা জেলার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায় এ বছর ভোটার বেড়েছে ১৭ হাজার ৫৮৬ জন। এর মধ্যে পাইকগাছা উপজেলায় নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৪৮৮ জন এবং কয়রায় ৮ হাজার ৯৮ জন। 

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নতুন ভোটারদের সবার নিবন্ধনের কাজ এখনও শেষ হয়নি। তথ্য সংগ্রহের পর অনেকেই নিবন্ধন ও ছবি তুলতে যাননি। এ জন্য ছবি তোলার কাজ সম্পন্ন এবং ভোটার স্থানান্তরের পরই চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা জানা যাবে।

খুলনার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান জানান, তথ্য সংগ্রহের আগে জনপ্রতিনিধিদের চিঠি দিয়ে হালনাগাদে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। এ জন্য এবার গড়ে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ ভোটার বেড়েছে। এখনও যারা নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি তারা নিকটস্থ থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। ভোটার স্থানান্তরের আবেদন যাচাই শেষে তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।

কয়রায় রেডিও জার্নালিজম এর প্রশিক্ষন

কয়রায় ক্রেলের উদ্যোগে রেডিও জার্নালিজম এর উপর প্রশিক্ষন এর মাধ্যমে মেধা যাচাই করা হয়।

২৭ আগষ্ট সকাল ১০টায় উপজেলার বি.আর.ডিবি হল রুমে মেধা যাচাই অনুষ্টানে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের কমিউনিকেশন অফিসার মোঃ কামরুল ইসলাম, কয়রা দাকোপ সাইট অফিসার বাবুল ইসলাম, রেডিও সুন্দরবন কয়রার স্টেশন ম্যানেজার পলাশ, কাশিয়াবাদ ফরেস্ট ষ্টেশনের বন প্রহরী মোস্তাফিজুর রহমান,ক্রেলের শেখ আসাদুল্লাহ প্রমুখ।

মেধা যাচাই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহন করে। অন্যদিকে একই প্রকল্পের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুকি হ্রাস ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার উপর প্রশিকার হল রুমে ১০টি ব্যাচে প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হচ্ছে

কয়রায় তামাক নিয়ন্ত্রন আইন বাস্তবায়নের লক্ষে সমন্বয় সভা

কয়রায় এইড,সিয়াম,অগ্রদুত সমাজ কল্যান যুব সংঘ ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের উদ্দ্যোগে তামাক বিরোধী প্রচারনার মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রন আইন বাস্তবায়নে জনঅংশগ্রহন প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুশিল সমাজের লোকজনদের সাথে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

২৭ আগষ্ট বেলা ১১টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেস ক্লাব সভাপতি মোঃ হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে ও সিয়ামের নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাছুম বিল্লাহ এর সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন কয়রা সদর ইউপি চেয়্যারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক সদর উদ্দিন আহমেদ, ইউপি সদস্য রেজাউল করিম, শেখ নূরূল হুদা, সমাজ সেবক মুজিবর রহমান, আব্দুল আজিজ প্রমুখ।

সভায় তামাকের বিভিন্ন ক্ষতিকর বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সাধারন মানুষকে ধূমপান মুক্ত করার উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

কয়রায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জরিমানা আদায়

কয়রায় ভাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে। জানা গেছে, কয়রা উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শামীম হাসান ভাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে মেয়াদ উর্ত্তিন ঔষধ রাখার দায়ে এবং বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করার অপরাধে এ জরিমানার টাকা আদায় করেন।

২৭ আগষ্ট সকালে অভিযান চালানো হয়। এ সময় কয়রা থানার এস আই হাফিজুর রহমান, পেশকার মোক্তার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

রাড়ুলীর কাঠিপাড়ায় দুই অপহরণকারী আটক; যুবতী উদ্ধার

পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের কাঠিপাড়ায় ২ অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাড়ুলী ফাঁড়ি পুলিশ তাদেরকে আটক করে।

আশাশুনি উপজেলার পুরোহিতপুর গ্রামের আনছার আলির পুত্র আয়ুব হোসেন ও আব্দুর রহমান ঢালীর পুত্র আব্দুল ওহাব পাইকগাছার বয়ারধাপা গ্রামের এক যুবতীকে অপহরণ করে নিয়ে আশাশুনিতে আসছিল। কাঠিপাড়া গ্রামের কাছে পৌঁছালে রাড়ুলিী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই লিয়াকত আলি তাদেরকে আটক করেন এবং যুবতীকে উদ্ধার করেন।

এ ব্যাপারে পাইকগাছা থানায় এসআই লিয়াকত বাদী হয়ে মামলা (৩৯ তাং ২৬/৮/১৪) রুজু করেছেন। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

কপিলমুনিতে কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণ; পুলিশ সুপারের ঘটনাস্থল পরিদর্শন

খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান গত সোমবার সন্ধ্যায় মাহমুদকাটিতে কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি তাৎক্ষনিকভাবে উপস্থিত লোকজনের ও ঘটনার প্রতাক্ষদর্শীদের বক্তব্য শোনেন। এ সময় এলাকার সর্বস্তরের মানুষ জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী তোলেন।

তিনি এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত পলাতক আসামী ও তাদের সহযোগিদের মামলায় অর্ন্তভুক্ত করে জরুরীভাবে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন। পাইকগাছা থানার ওসি শিকদার আক্কাস আলী, ওসি তদন্ত শ্যামলাল, এএসআই ফজর আলী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মোলঙ্গী, কওসার আলী জোয়াদ্দার, ইউপি সদস্য আলাউদ্দীন’সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট সোমবার দুপুরে মাহমুদকাটি ঋষি পাড়া মিশন মোড় সংলগ্ন ছহিলদ্দীন গাজীর পুত্র হারুন গাজীর দোকানের পিছনে অবস্থিত নির্জন ঐ বাড়িতে হারুন ও গহরের সহায়তায় শত বাধার মুখে নরপশু ৩ জন পালাক্রমে ধর্ষণ ও মোবাইলে ধর্ষণ চিত্র ধারণ করে।

দু’দিন পর পাইকগাছা থানার ওসি গোপন সুত্রে খবর পেয়ে ফোর্স নিয়ে ধর্ষণের শিকার ঐ ছাত্রীকে মালথ গ্রামে তার নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে এবং তার বর্ণনামতে ধর্ষক মুনমুন খান (১৯) ও সহযোগি দোকান মালিক হারুন গাজীকে আটক করে। ধর্ষিতা বাদী হয়ে ৫ যুবকের নামে থানায় মামলা করেছে।

পাইকগাছা কেন্দ্রীয় মাহানাম যজ্ঞ কমিটির কোষাধ্যক্ষ আশিষ রায় চৌধুরী

পাইকগাছা কেন্দ্রীয় মহানামযজ্ঞ কমিটির কোষাধ্যক্ষ পদে আশিষ রায় চৌধুরী মনোনীত হয়েছেন। শনিবার রাত ৮টায় মঠবাটী শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমে মহা নামযজ্ঞ কমিটির কোষধ্যক্ষ পদ নির্বাচনের লক্ষে পরিতোষ রায়ের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন নামযজ্ঞ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ সরকার, রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত সরকার, দিলীপ সরকার, ডাঃ তপন রায়, নারায়ন মন্ডল, পারিজাত মল্লিক, এ্যাড. সুকুমার দেবনাথ, তপন দেবনাথ, সুভাষ দেবনাথ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে উপজেলা কেন্দ্রীয় মহানামযজ্ঞ কমিটির ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির কোষাধ্যক্ষ পদ বাদে ২০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। গত শনিবার সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আশিষ রায় চৌধুরীকে কোষাধ্যক্ষ পদে মনোনিত করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শঙ্খদানা বেইলী ব্রীজের বেহাল অবস্থা

পাইকগাছায় হাড়িয়া নদীর উপর শঙ্খদানা বেইলী ব্রীজের বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন ও এলাকাবাসী।


Tuesday, August 26, 2014

পাইকগাছায় লিগ্যাল এইড কমিটির দ্বি-মাসিক সভা

পাইকগাছার লতা ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির দ্বি-মাসিক সভা মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য বীরেন্দ্রনাথ মন্ডল, জগদীশ মন্ডল, মিনা রাণী মন্ডল, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র মন্ডল, সাংবাদিক কৃষ্ণ রায়, ইব্রাহিম গাজী, শহিদুল গাজী, অমলেন্দু তরফদার, বিধান রায় ও রূপান্তরের চম্পক কুমার ঘোষ।

ধর্ষক মনমানসিকতা ধ্বংস ও ধর্ষণ বন্ধ হোক

ধর্ষণ কোন পুরুষ করে না, করে 'নরপশু


A Voice of Paikgacha Campaign.

পাইকগাছায় কাঠামারী বাজার কমিটি গঠিত

পাইকগাছায় ইব্রাহিম গাজী’কে সভাপতি, পংকজ কুমার রায়’কে সম্পাদক ও সাংবাদিক কৃষ্ণ রায়’কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট লতার কাঠামারী বাজার কমিটি গঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে কাঠামারী সার্বজনীন দুর্গা মন্দির চত্ত্বরে ইউপি সদস্য পংকজ কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে কমিটি গঠনের লক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, প্রকাশ সরকার টুকু, সুশান্ত মন্ডল, বিনয় সরকার, বিলাশ বিশ্বাস, আনন্দ মন্ডল ও রাজীব গাজী।

পাইকগাছায় চিংড়ি ঘেরকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

পাইকগাছায় চিংড়ি ঘেরকে কেন্দ্র করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী। গত শনিবার ঘের মালিক এস. এম. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অত্যাচার, নির্যাতনের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার লতা ইউনিয়নের পানা এলাকার জমির মালিকরা।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত অত্যাচার, নির্যাতন, হামলা-মামলার ঘটনা সঠিক নয় উল্লেখ করে একই এলাকার মৃত ললিত হালদারের পুত্র রনজিত কুমার হালদার মঙ্গলবার সকালে পাইকগাছা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিকাশ গংদের হয়রানীমূলক মামলায় ঘের মালিক’সহ এলাকাবাসী হয়রানী হচ্ছে।

এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

জাতীয় শোক দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করায়....

কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গণশুনানী বুধবার


বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার পাইকগাছার কপিলমুনিতে এ বিষয়ে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন পরিদর্শন কমিটির আহ্বায়ক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দিরের অফিস কক্ষে বুধবার সকাল ১০টায় এ গণশুনানী গ্রহন করবেন বলে প্রশাসন সূত্র নিশ্চিত করেছে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ আগষ্ট ২০১৪ কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু’র বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার অভিযোগ ওঠে এবং এ ঘটনায় কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়িতে সাধারন ডায়েরী হয়। যার নং ২৯৯।

ধর্ষক মনমানসিকতা ধ্বংস ও ধর্ষণ বন্ধ হোক !

ধর্ষণ কোন পুরুষ করে না, করে 'নরপশু'


A Voice of Paikgacha Campaign.

পাইকগাছা উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছা উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন আইন শৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা ও উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স,ম বাবর আলী।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন শাহদাৎ হোসেন বাচ্চু, পাইকগাছা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মিহির বরণ মন্ডল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিভাস চন্দ্র সাহা, পাইকগাছা পৌরসভার প্যানেল মেয়র আনিছুর রহমান মুক্ত, প্রেসক্লাব পাইকগাছার সভাপতি প্রকাশ ঘোষ বিধান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম, ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, রুহুল আমিন বিশ্বাস, সমরেশ হালদার, কাজল কান্তি বিশ্বাস, শেখ শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু, এসএম এনামুল হক, কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চু, হাজী মুনছুর আলী, মাদ্রাসারু সুপার আজাহারুল ইসলাম, ব্যবসায়ী দাউদ শরীফ প্রমুখ।

Monday, August 25, 2014

কয়রায় ৩ দিন ব্যাপি ফলদ বৃক্ষ মেলা শুরু

কয়রা উপজেলা প্রশাসন ও কয়রা কৃষি অফিসের উদ্যোগে ৩ দিন ব্যাপি ফলদ বৃক্ষ মেলা শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টায় মেলা উপলক্ষে কয়রা সদরে এক বর্নাঢ্য র‌্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার মোঃ রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্ভোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ আমিনুল ইসলাম, কয়রা থানার এস আই আব্দুল গনি, বিশিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ সানা, সাংবাদিক মোঃ রিয়াছাদ আলী, সহকারী কৃষি সম্প্রসারন অফিসার মোঃ আব্দুল আজিজ, বাবু ঘোষ প্রমুখ।

সভা শেষে ১০ জন প্রতিবন্ধী সদস্যের মাঝে বিনামুল্যে বিভিন্ন প্রজাতির চারা বিতরন করা হয়। মেলায় ১০ টি স্টল প্রদর্শন করা হয়। উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ, সুশীর সমাজের প্রতিনিধি’সহ বৃক্ষ প্রেমিক মানুষেরা উপস্থিত ছিলেন।

পাইকগাছার বনানী সংঘের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের শপথ গ্রহণ

পাইকগাছায় ঐতিহ্যবাহী বনানী সংঘের কার্যনির্বাহী পরিষদের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সোমবার বিকালে বনানী সংঘের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে শপথ বাক্য পাঠ করান উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী। 

শপথ শেষে নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ স্মৃতি সৌধ ও শহীদ মিনারে শপথ বাক্য পাঠ ও শহীদদের স্মারণে এক মিনিট নিরাবতা পালন করেন।

পরে বনানী সংঘ ভবনে নবনির্বাচিত সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ জি,এ সবুর, সিনিয়র সহ-সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক জি,এম, আজহারুল ইসলাম, এ্যাডঃ শফিকুল ইসলাম কচি, শেখ শহিদুল ইসলাম বাবলু, ডাঃ নরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, এ্যাডঃ জি,এম, আব্দুস সাত্তার, জি,এ রশীদ, আবু জাফর, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, গাজী শহিদুল ইসলাম খোকন, অধ্যাপক মিজানুর রহমান, আব্দুল খালেক, এ্যাডঃ অজিত কুমার, কাউন্সিলর এস,এম, ইমদাদুল হক, আনোয়ার আলী সানা, গাজী ইমান আলী, সুনীল কুমার, নিজাম উদ্দীন, মোল্লা হাবিবুর রহমান, বিধান চন্দ্র রায়, অলিউর রহমান, প্রণব কুমার সরদার, জামিনুর রহমান, সুভাষ চন্দ্র সরকার ও জনাব আলী সরদার।

পাইকগাছায় শিবসা নদী থেকে ৭০০ মিটার বেহন্দী জাল জব্দ

পাইকগাছায় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ৭শ মিটার বেহন্দী জাল জব্দ করেছে। জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সোমবার বিকালে শিবসা নদীতে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ টাকা মূল্যের ৭০০ মিটার বেহন্দী জাল জব্দ করেন। পরে জব্দকৃত জাল উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এস,এম,এ রাসেল, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা এস.এম. শহিদুল্লাহ ও ক্ষেত্রসহকারী সুজিত রঞ্জন মন্ডল।

ধর্ষক মনমানসিকতা ধ্বংস ও ধর্ষণ বন্ধ হোক !

ধর্ষণ কোন পুরুষ করে না, করে 'নরপশু'।


A Voice of Paikgacha Campaign.

নয়নাভিরাম পাইকগাছা


পাইকগাছা পৌরসভা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠন

সন্তোষ কুমার সরদার সভাপতি ও দেবব্রত রায় দেবুকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের পাইকগাছা পৌরসভা শাখার ৬১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি উত্তম কুমার সাধু, সুভাস চন্দ্র বিশ্বাস, দীপকংর মন্ডল (দীপু), অজিত কুমার সানা, অগাষ্টিন সরকার, যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জীব সরকার, বিরাজ কুমার মন্ডল, কোষাধ্যক্ষ বাবুরাম মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক দীপংকর মন্ডল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ মন্ডল, তন্ময় মন্ডল, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ পরিমল চন্দ্র মন্ডল, গনসংযোগ সম্পাদক বিজন কুমার সানা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কবিতা রানী সানা, দপ্তর সম্পাদক প্রমথ সানা।

গত শনিবার সন্ধ্য ৭টায় বাতিখালী মন্দির প্রাঙ্গনে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ জেলা কমিটির প্রতিনিধি ও পাইকগাছা উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক রবীন্দ্র নাথ রায়ের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ঠান ঐক্য পরিষদের আইন বিষয়ক সহ-সম্পাদক এ্যাডঃ অজিত কুমার মন্ডল, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণ পদ মন্ডল, সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ'সহ পৌরসভার ৫টি মন্দিরের প্রতিনিধি ও পৌরসভার সুধীজন।

Sunday, August 24, 2014

'ভয়েস অফ পাইকগাছা'য় সংবাদ প্রকাশের পর তোলপাড়

পাইকগাছায় কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ সুপারের ঘটনাস্থল পরিদর্শন


পাইকগাছায় আলোচিত কলেজ ছাত্রী গণর্ধষণের ঘটনার সংবাদ
'ভয়েস অফ পাইকগাছা'সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান। পরে তিনি পাইকগাছা থানা চত্ত্বরে গাছের চারা রোপন করেন।

তিনি রবিবার বিকালে ঘটনাস্থল মাহমুদকাটি পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যায় থানা ভবনে ভিকটিম ও তার পরিবারের সাথে কথা বলা শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। লোহমর্ষক এ ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ভিকটিম ও তার পরিবার পুলিশ সুপারের সামনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসপি হাবিবুর রহমান বলেন, বর্বরোচিত এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। ইতোমধ্যে দু’আসামীকে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে পলাতক আসামীদের যেকোন মুল্যে গ্রেপ্তার করা হবে তিনি জানান। এক্ষেত্রে তিনি সাংবাদিকদের সহায়তা চান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ওসি সিকদার আককাছ আলি, ওসি (তদন্ত) শ্যামলাল নাথ শ্যামল, সাংবাদিক জি,এ গফুর, হাফিজুর রহমান রিন্টু, এম.আর মন্টু, স্নেহেন্দু বিকাশ, তৃপ্তি রঞ্জন সেন, আব্দুল আজিজ, নজরুল ইসলাম ও প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক।

উল্লেখ্য, ঘটনার দিন ১৮ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার মালথ শেখপাড়া গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যা হরিঢালী-কপিলমুনি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী প্রাইভেট পড়া শেষে আত্মীয়ের বাড়ীতে বেড়াতে যাওয়ার সময় মাহমুদকাটি পোস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় পৌছানোর পর গণধর্ষণের শিকার হয়।

এ ঘটনায় ২০ আগস্ট ভিকটিম বাদী হয়ে নোয়াকাটি গ্রামের মৃত সৈয়েদ গাজীর ছেলে খোরশেদ গাজী (২৩), মাহমুদকাটির অশোক হাজরার ছেলে খুলনা সিটি পলিটেকনিক কলেজের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সুব্রত হাজরা (২৪), একই এলাকার মুনছুর আলী খানের ছেলে মুনমুন খান (২৫), রহমান গাজীর ছেলে গহর গাজী (২৮) এবং দোকান মালিক সোহেলউদ্দীন গাজীর ছেলে হারুন গাজী (৩৫) কে আসামী করে থানায় মামলা করলে পুলিশ হারুন ও মুনমুনকে গ্রেপ্তার করে।

পাইকগাছার মুসা ডিগ্রি কলেজে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

পাইকগাছার গড়ইখালী শহীদ আয়ুব ও মুসা ডিগ্রি কলেজের কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বিতর্কিত নিয়োগ বাতিল করে পূর্ন নিয়োগের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গড়ইখালী শহীদ আয়ুব ও মুসা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে ১জন এম.এল.এস.এস, ১ জন আয়া এবং ১ জন লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ পরীক্ষা গত ১৯ আগস্ট খুলনার আহসানউল্লাহ কলেজে অনুষ্ঠিত হয়।

অভিযোগ উঠেছে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় মেধার মূল্যায়ন না করে যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে উপেক্ষা করে কলেজের সভাপতি লাইব্রেরিয়ান পদে আত্মীয়করণ, এমএলএসএস ও আয়া পদে অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে নিয়োগ দানের সকল পক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।

এ ব্যাপারে উক্ত নিয়োগ বাতিল পূর্বক পূর্ন নিয়োগের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

জীবন সংগ্রামে হার মানেনি কপিলমুনির প্রতিবন্ধী সুজন

জীবন সংগ্রামে হার মানেনি প্রতিবন্ধী সুজন। প্রতিবন্ধীর অভিশাপ থেকে কিছুটা হলেও নিজেকে মুক্ত করতে অবশেষে ইলেকট্রনিকের কাজ বেছে নিয়েছে ৩০ বছর বয়সী সুজন অরফে পচা।

জানাযায়, পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির পার্শ্ববর্তী হরিঢালী ইউনিয়নের মামুদকাটী গ্রামের দীলিপ দত্তের ছোট ছেলে সুজন দত্ত পচা। একেবারে ঠিকঠাক জানা না গেলেও ১৯৮৪ সালের কোন এক সময় মাতা গীতা রানী দত্ত’র কোল জুড়ে আসে সুজন।

প্রতিবন্ধী হয়ে সে জন্ম না নিলেও বয়স যখন ৬ মাস তখন পোলিও রোগে অক্রান্ত হওয়ায় তার ২ টি পা বিকলঙ্গ হয়ে যায়। প্রায়ই রোগে আক্রান্ত হওয়ায় পিতামাতা তার নাম দেন পচা। তার পা’দুটি বিকলঙ্গ হওয়ায় গ্রামের অন্য ছেলে মেয়ের মত হতভাগ্য পচার বেড়ে ওঠা সম্ভাব হয়নি। সারাক্ষণ তার বাড়ীর অঙ্গিনায় কোন রকমে ঘুরে ফিরে তার বেড়ে ওঠা।

অতি কষ্টে লেখা পড়া হয় ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত। ব্যক্তি জীবনে ২০০৯ সালে বিবাহ করে সে, তার সংসার জুড়ে আসে এক ছেলে এক মেয়ে। শারীরিকভাবে পচা সামর্থবান না হলেও মানষিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী, তার ভেতর রয়েছে ইচ্ছা শক্তি, রয়েছে মেধা শক্তিও। সে যেন জীবন সংগ্রামে এক অকুতোভয় বীর। সে সিদ্ধান্ত নিল আর জড়ো পদার্থের ন্যায় জীবন যাপন নয়। সে কর্মের মধ্য দিয়ে অর্থ উপার্জন করে জড়ো জীবনকে বিসর্জন দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায়। 


আর তাইতো শুরু হলো কর্ম জীবনের শুভযাত্রা। বাড়ীর আঙ্গিনায় রাস্তার ধারেই ছোট একটি কুড়ে ঘর বেঁধে মুদি দোকান দেয় সে। সেখানে বেশ কয়েক বছর ব্যবসা পরিচালনা করে, পাশাপাশি নিজে নিজেই ইলেকট্রনিক সামগ্রি মেরামত করতে করতে এক পর্যায়ে সে ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি হয়ে যায়। টর্চ লাইট থেকে শুরু করে টেলিভিশন মেরামত তার কাছে খুব সহজ কাজে পরিনত হয়। এরপর পচা বাড়ির আঙ্গিনা ছেড়ে উঠে আসে মামুদকাটী বাজারে। সেখানে বর্তমানে একটি ভাড়া দোকানে তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

সুজন দত্ত পচা বলেন, পঙ্গুত্ব আর প্রতিবন্ধী জীবন কারো কাঙ্খিত নয়। যদিও আমার জীবনের সাথে সেটা জড়িয়ে গেছে। প্রতিবন্ধী জীবনটাকে পুজি করে অভিশাপ্ত অন্ধকার গহীনে হারিয়ে যেতে চাই না, তাই তো আমার এজীবন সংগ্রাম। সকলের কাছে সহযোগীতা নয় শুধু আর্শির্বাদ চাই।

কয়রায় মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

কয়রায় খিরোল মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার মোস্তফা নুর মোহাম্মাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশ করা এক লিখিত অভিযোগ মাদরাসার ছাত্রী, অবিভাবক, কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দাখিল করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সুপার নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে না থেকে ৮-৯ দিন পর একদিন উপস্থিত হয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। এ ছাড়া মাদরাসার শিক্ষক আকবার আলী, আমিরুল ইসলাম, আব্দুল হামিদ ও সালমা খাতুনের নিকট হতে বেতন করার নামে ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।

অভিযোগে আরও জানা যায়, সুপার মাদরাসার সাবেক সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ওই চারজন শিক্ষকের কাগজপত্র জেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে জেলা শিক্ষা অফিস মতামত চেয়ে ৬৮৯নং স্মারকে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

এ বিষয়টি সকল মহলে আলোচিত হতে থাকলে সুচতুর সুপার ওই চারজন শিক্ষকের ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা গত ১৫/৮/১৪ইং তারিখের মধ্যে ফেরত দিবেন বলে লিখিত অঙ্গীকার করেন। এর পরও তিনি টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে টালবাহানা করছেন।

এ ছাড়া সুপারের বিরুদ্ধে ২০১১ সাল থেকে অদ্যাবধি মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠন না করাসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে বলে অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন। এ সকল আনীত অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে মাদরাসা সুপারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম হাসানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সুপারের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা মিললে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ এলাকা