Sunday, April 5, 2015

পাইকগাছায় মৌসুমের শুরুতেই চিংড়ি ঘেরে ভাইরাসের প্রকোপ

অর্ধেকে নেমে এসেছে চিংড়ির বাজার মূল্য; হতাশ চিংড়ি চাষীরা 


পাইকগাছায় মৌসুমের শুরুতেই চিংড়ি ঘেরে দেখা দিয়েছে ভাইরাসসহ ব্যাপক রোগ-বালাইয়ের প্রকোপ। বাজারজাত করার আগেই অধিকাংশ চিংড়ি ঘেরের চিংড়ি মরে সাবাড় হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে বিগত বছরের চেয়ে অর্ধেকেরও কমে নেমে এসেছে চিংড়ির বাজার মূল্য। ফলে বিপাকে পড়েছেন চিংড়ি চাষীরা। চলতি বছর মোটা অংকের টাকা লোকসানের আশংকায় এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য ও মৎস্য প্রাণি সম্পদ মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী চিংড়ি চাষীরা।

সূত্রে মতে, জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলায় ৮০’র দশকে শুরু হয় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লবণ পানির চিংড়ি চাষ। শুরুর দিকে চিংড়ি চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় গোটা উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে এ চাষ ব্যবস্থা। ৯০ দশকের মাঝামাঝিতে দেখা দেয় ভাইরাসসহ নানাবিধ রোগ বালাইয়ের প্রকোপ। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে চিংড়ি শিল্পকে এগিয়ে নেয় এ শিল্পের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। রোগবালাই চিংড়ি চাষের প্রধান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলেও বিগত বছর বাজার মূল্য অধিক পাওয়ায় লাভের মুখ দেখে চিংড়ি চাষীরা।

উপজেলা মৎস্য বিভাগের সুত্র মতে বর্তমানে উপজেলায় ১৭.০৭৫ হেক্টর জমিতে চিংড়ি চাষ হচ্ছে। ছোট বড় মিলিয়েই ঘেরের সংখ্যা ৩,৯৪৯ টি। এ দিকে চলতি বছর মৌসুমের শুরুতেই অধিকাংশ চিংড়ি ঘেরে ভাইরাস সহ বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে বিগত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কমে নেমে এসেছে চিংড়ির বাজার মূল্য।

ফলে চড়ামূল্যে হারির টাকা দিয়ে ঘের করতে গিয়ে বিপাকে রয়েছেন ঘের মালিকরা। ঘের ব্যবসায়ী মোঃ দাউদ শরীফ জানান, গত বছর যে চিংড়ির কেজি ১ হাজার ৮শ টাকা মূল্য ছিল। সেখানে এ বছর বিক্রি হচ্ছে ৩শ টাকা দরে।

এছাড়াও মৌসুমের শুরুতেই চাহিদা বেশি থাকায় পোনা হ্যাচারী মালিকরা পোনার দাম বাড়িয়ে দেয়। চিংড়ির এ অবস্থা বিরাজমান থাকলে ভবিষ্যতে চিংড়ি চাষ ছেড়ে দিতে বাধ্য হতে হবে ঘের মালিকদের। জলবায়ু পরিবর্তন, তাপমাত্রা উঠা-নামা, দুর্বল নার্সারী ও ঘের ব্যবস্থাপনা এবং চাষাবাদে ভাইরাসমুক্ত পোনা ব্যবহার না করা ও উন্নত পদ্ধতি অনুসরণ না করায় চিংড়ির রোগ-বালাইয়ের অন্যতম কারণ বলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এসএমএ রাসেল জানান।

জাতীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত চিংড়ি চাষী আলহাজ্ব মোঃ ফসিয়ার রহমান জানান, বাংলাদেশের রপ্তানী আয়ের অন্যতম খাত হচ্ছে হিমায়িত চিংড়ি। যা রপ্তানী করে সরকার প্রচুর পুরমান বৈদিশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। কিন্তু চলতি বছর রোগ-বালাইয়ের প্রকোপ বৃদ্ধি, চিংড়ির বিক্রয় মূল্য কম ও ভাইরাসমুক্ত পোনা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা না থাকায় হুমকির মুখে পড়েছে চিংড়ি শিল্প।

এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন উপজেলার চিংড়ি চাষীরা।

জিআইএফ ইমেজ সহজেই বলে দিবে কখন আপনার চশমা দরকার (ভিডিও)

বিটম্যাপ ইমেজ ফরম্যাট হল জিআইএফ(গ্রাফিক্স ইন্টারচেঞ্জ ফরম্যাট) ইমেজ। আর এই ইমেজ দিয়েই পরীক্ষা করা যাবে যে আপনার চশমার দরকার আছে কিনা।

একটি জিআইএফ ইমেজে প্রথমে অভিনেত্রী মেরিলিন মনোরো'র ছবি দেখা যায় আর আস্তে আস্তে তা বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ছবিতে রূপান্তরিত হয়। এএসএপি সায়েন্স, একটি ভিডিও'র মাধ্যমে দেখিয়েছে এই ব্যাপারটি কিভাবে সংগঠিত হয়। ব্যবহৃত ইমেজটি একটি হাইব্রিড ইমেজ। যেখানে রয়েছে দুটি আলাদা ছবির সংযোগ। এখানে একটি ছবি মেরিলিন মনোরো'র আর অন্যটি আইনস্টাইনের।

ইমেজ রুপান্তর প্রদর্শিত হবে কারণ এখানে একটি ইমেজ (আইনস্টাইন) সুপার ঘন পিক্সেল দিয়ে গঠিত যেখানে তার খুঁটিনাটি সব রয়েছে। যেমন- গোঁফ এবং মুখের বলিরেখা। আর অন্যটিতে (মেরিলিন মনোরো) শুধুমাত্র তার মৌলিক বৈশিষ্ট্য দেখানোর জন্য অনেক কম পিক্সেল দিয়ে গঠিত হয়েছে।

এখানে মেরিলিনের ইমেজে আপনি সহজেই তার মুখের আকৃতি এবং মৌলিক মুখের বৈশিষ্ট্য দেখতে পারেন কিন্তু এর বেশী কিছু না।

এবং এখানে আইনস্টাইনের ছবিতে আপনি স্পষ্টভাবে তার গোঁফ এবং বলিরেখার মতো মুখের সূক্ষ্ম বিবরণ দেখতে পারেন।  


সমস্যা হল আপনি যদি আইনস্টাইনের ছবির বিস্তারিত দেখতে না পান তাহলে বুঝতে হবে আপনার দৃষ্টিশক্তির সমস্যা রয়েছে। জিআইএফ ইমেজ জত বড় হবে ছবি তত স্পষ্ট হয়ে উঠবে।

বিটম্যাপ ইমেজ ফরম্যাট হল জিআইএফ(গ্রাফিক্স ইন্টারচেঞ্জ ফরম্যাট) ইমেজ। আর এই ইমেজ দিয়েই পরীক্ষা করা যাবে যে আপনার চশমার দরকার আছে কিনা।
একটি জিআইএফ ইমেজে প্রথমে অভিনেত্রী মেরিলিন মনোরো'র ছবি দেখা যায় আর আস্তে আস্তে তা বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ছবিতে রূপান্তরিত হয়। এএসএপি সায়েন্স, একটি ভিডিও'র মাধ্যমে দেখিয়েছে এই ব্যাপারটি কিভাবে সংগঠিত হয়। ব্যবহৃত ইমেজটি একটি হাইব্রিড ইমেজ। যেখানে রয়েছে দুটি আলাদা ছবির সংযোগ। এখানে একটি ছবি মেরিলিন মনোরো'র আর অন্যটি আইনস্টাইনের।
ইমেজ রুপান্তর প্রদর্শিত হবে কারণ এখানে একটি ইমেজ (আইনস্টাইন) সুপার ঘন পিক্সেল দিয়ে গঠিত যেখানে তার খুঁটিনাটি সব রয়েছে। যেমন- গোঁফ এবং মুখের বলিরেখা। আর অন্যটিতে (মেরিলিন মনোরো) শুধুমাত্র তার মৌলিক বৈশিষ্ট্য দেখানোর জন্য অনেক কম পিক্সেল দিয়ে গঠিত হয়েছে।
এখানে মেরিলিনের ইমেজে আপনি সহজেই তার মুখের আকৃতি এবং মৌলিক মুখের বৈশিষ্ট্য দেখতে পারেন কিন্তু এর বেশী কিছু না।
- See more at: http://tech.priyo.com/news/2015/4/05/27929-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%8F%E0%A6%AB-%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9C-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%B6%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%93#sthash.kJ4i2Kgs.dpuf
বিটম্যাপ ইমেজ ফরম্যাট হল জিআইএফ(গ্রাফিক্স ইন্টারচেঞ্জ ফরম্যাট) ইমেজ। আর এই ইমেজ দিয়েই পরীক্ষা করা যাবে যে আপনার চশমার দরকার আছে কিনা।
একটি জিআইএফ ইমেজে প্রথমে অভিনেত্রী মেরিলিন মনোরো'র ছবি দেখা যায় আর আস্তে আস্তে তা বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ছবিতে রূপান্তরিত হয়। এএসএপি সায়েন্স, একটি ভিডিও'র মাধ্যমে দেখিয়েছে এই ব্যাপারটি কিভাবে সংগঠিত হয়। ব্যবহৃত ইমেজটি একটি হাইব্রিড ইমেজ। যেখানে রয়েছে দুটি আলাদা ছবির সংযোগ। এখানে একটি ছবি মেরিলিন মনোরো'র আর অন্যটি আইনস্টাইনের।
ইমেজ রুপান্তর প্রদর্শিত হবে কারণ এখানে একটি ইমেজ (আইনস্টাইন) সুপার ঘন পিক্সেল দিয়ে গঠিত যেখানে তার খুঁটিনাটি সব রয়েছে। যেমন- গোঁফ এবং মুখের বলিরেখা। আর অন্যটিতে (মেরিলিন মনোরো) শুধুমাত্র তার মৌলিক বৈশিষ্ট্য দেখানোর জন্য অনেক কম পিক্সেল দিয়ে গঠিত হয়েছে।
এখানে মেরিলিনের ইমেজে আপনি সহজেই তার মুখের আকৃতি এবং মৌলিক মুখের বৈশিষ্ট্য দেখতে পারেন কিন্তু এর বেশী কিছু না।
- See more at: http://tech.priyo.com/news/2015/4/05/27929-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%8F%E0%A6%AB-%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9C-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%B6%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%93#sthash.kJ4i2Kgs.dpuf

রক্ত দান নিয়ে কিছু কথা

কেন রক্তদান করবেনঃ 


১। প্রথম এবং প্রধান কারণ, আপনার দানকৃত রক্ত একজন মানুষের জীবন বাঁচাবে। রক্তদানের জন্য এর থেকে বড় কারণ আর কি হতে পারে !

২। হয়তো একদিন আপনার নিজের প্রয়োজনে/বিপদে অন্য কেউ এগিয়ে আসবে।

৩। নিয়মিত রক্তদানে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে বলে হৃদপিন্ড বিশেজ্ঞরা মনে করেন।

৪। স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে আপনি জানতে পারেন আপনার শরীর রক্ত প্রবাহিত মারাত্মক রোগ যেমন-হেপাটাইটিস-বি, এইডস, সিফিলিস, জন্ডিস ইত্যাদির জীবাণু বহন করছে কিনা।

৫। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক গুন বেড়ে যায়।

৬। নিজের মাঝে এক ধরনের আত্মতৃপ্তি উপলব্ধি করতে পারবেন। "আমাদের ছোট পরিসরের এই জীবনে কিছু একটা করলাম" এই অনুভুতি আপনার মনে জাগ্রত হবে এই ব্যাপারে নিশ্চিত করছি।



কাদের রক্তের প্রয়োজন হয়ঃ


১. দূঘর্টনাজনিত রক্তক্ষরণ - দূঘর্টনায় আহত রোগীর জন্য দূঘর্টনার ধরণ অনুযায়ী রক্তের প্রয়োজন হয়।

২. দগ্ধতা - আগুন পুড়া বা এসিডে ঝলসানো রোগীর জন্য পাজমা/রক্তরস প্রয়োজন। এজন্য ৩-৪ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন।

৩. অ্যানিমিয়া - রক্তে R.B.C. এর পরিমাণ কমে গেলে রক্তে পযার্প্ত পরিমাণ হিমোগ্লোবিনের অভাবে অ্যানিমিয়া রোগ হয়। হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়াতে R.B.C. এর ভাঙ্গন ঘটে ফলে রক্তের প্রয়োজন হয়।

৪. থ্যালাসেমিয়া - এক ধরনের হিমোগ্লোবিনের অভাবজনিত বংশগত রোগ। রোগীকে প্রতিমাসে/সপ্তাহে  ১-২ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়।

৫. হৃদরোগ - ভয়াবহ Heart Surgery এবং Bypass Surgery এর জন্য প্রায়৬-১০ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন।

৬. হিমোফিলিয়া - এক ধরনের বংশগত রোগ। রক্তক্ষরণ হয় যা সহজে বন্ধ হয় না, তাই রোগীকে রক্ত জমাট বাধার উপাদান সমৃদ্ধ Platelet দেয়া হয়।

৭. প্রসবকালীন রক্তক্ষরণ - সাধারণত প্রয়োজন হয় না তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে ১-২ বা ততোধিক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়।

৮. ব্লাড ক্যান্সার- রক্তের উপাদানসূমহের অভাবে ক্যান্সার হয়। প্রয়োজন অনুসারে রক্ত দেয়া হয়।

৯. কিডনী ডায়ালাইসিস - ডায়ালাইসিস-এর সময় মাঝে মাঝে রক্তের প্রয়োজন হয়।

১০. রক্ত বমি - এ রোগে ১-২ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়।

১১. ডেঙ্গু জ্বর - এ রোগে ৪ ব্যাগ রক্ত হতে ১ ব্যাগ Platelet পৃথক করে রোগীর শরীরে দেয়া হয়।

১২. অস্ত্রপচার - অস্ত্রপচারের ধরণ বুঝে রক্তের চাহিদা বিভিন্ন।

কারা রক্ত দিতে পারবেন/রক্ত-দানের যোগ্যতাঃ


• শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ নিরোগ ব্যক্তি রক্ত দিতে পারবেন।

• রক্ত দাতার বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।

• শারীরিক ওজনঃ- মেয়েদের ক্ষেত্রে ৪৭ কেজি এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ৫০ কেজি  বা এর বেশি হতে হবে। তবে, উচ্চতা অনযায়ী ওজন ঠিক আছে কিনা অর্থ্যাৎ বডি মাস ইনডেক্স ঠিক আছে কিনা দেখে নিতে হবে।
• রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ, ব্লাড প্রেসার এবং শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে হবে।

• শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ এ্যাজমা, হাপানি যাদের আছে তারা রক্ত দিতে পারবেন না।

• মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪ মাস অন্তর-অন্তর, পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩ মাস অন্তর অন্তর রক্ত-দান করা যায়।

• রক্তবাহিত জটিল রোগ যেমন-ম্যালেরিয়া, সিফিলিস , গনোরিয়া, হেপাটাইটিস , এইডস, চর্মরোগ , হৃদরোগ , ডায়াবেটিস , টাইফয়েড এবং বাতজ্বর না থাকলে।

• মহিলাদের মধ্যে যারা গর্ভবতী নন এবং যাদের মাসিক চলছে না।

• কোন বিশেষ ধরনের ঔষধ ব্যবহার না করলে। যেমন- এ্যান্টিবায়োটিক।

• তিন মাসের মধ্যে যিনি কোথাও রক্ত দেননি।

কিভাবে রক্ত-দান করতে হয়ঃ


রক্ত-দান করার জন্য ইচ্ছা শক্তি-ই যথেষ্ট। তবুও কিছু নিয়ম মানা উচিত।

১. আপনারা স্বেচ্ছায় রক্ত-দান করবেন, বিনিময়ে কোন টাকা নিবেননা। কারণ বিনিময়ে কোন টাকা চাওয়া হারাম।

২. রক্ত-দানের পূর্বে অবশ্যই রোগি দেখবেন এবং ডাক্তারের রিকোজিশান ফরম ছাড়া রক্ত-দান করবেন-না।

৩. রক্ত-দান করতে গেলে, কোন বন্ধুকে আপনার সাথে নিয়ে যাবেন। অর্থাৎ একা না যাবেন না।

৪. রক্তদানের উপযোগিতা যাচাই করার জন্য কতকগুলো পরীক্ষা করা জরুরি। যেমনঃ- হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, এইচআইভি (হিউমেন ইমিউনোডিফিসিয়েন্সি ভাইরাস) বা এইডস, ম্যালেরিয়া ও সিফিলিস। আপনি রক্ত-দান/রক্ত-গ্রহণের পূর্বে এই পরিক্ষাগুলোর রিপোর্ট অবশ্যই দেখবেন।

৫. রক্তদানের আগে প্রতিটি রক্তদাতাকে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জিজ্ঞাসা করা হয়। সেগুলোর সঠিক উত্তর দিতে হবে। রক্তদাতার শারীরিক তাপমাত্রা, রক্তচাপ, নাড়ীর গতি পরীক্ষা করা হয় এবং রক্তদাতার রক্ত জীবানুমুক্ত কি না তা জানার জন্য সামান্য রক্ত নেয়া হয়। এছাড়া এই রক্তের মাধ্যমে রোগী রক্তদাতার রক্তের মধ্যে কোন জমাটবদ্ধতা সুষ্টি হয় কি না তাও পরীক্ষা করা হয় (ক্রসম্যাচিং)। এতে সময় লাগে প্রায় ৪০ মিনিট। রক্ত পরীক্ষার পর কারও রক্তে এইডস, হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস -সি, সিফিলিস বা অন্য কোন জীবানুর উপস্থিতি ধরা পরলে তাকে (রক্তদাতা) প্রয়োজেনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেয়া হয়।সূঁচের অনুভূতি পাওয়ার মাধ্যমে রক্তদান প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে সময় লাগে সবোর্চ্চ ১০ মিনিট। সব মিলিয়ে ১ ঘন্টার মধ্যে রক্ত-দান করে আসতে পারবেন।

রক্তদানের উপকারিতাঃ


১. রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কারণ রক্তদান করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার শরীরের মধ্যে অবস্থিত ‘বোন ম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়। রক্তদানের ২ সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্তকণিকা জন্ম হয়ে এই ঘাটতি পূরণ করে। আর বছরে ৩-৪ বার রক্তদানকারীর শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে দেয়।

২. রক্তদানের মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখার স্পৃহা জন্মে।

৩. নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে বিনা খরচে জানা যায় নিজের শরীরে বড় কোনো রোগ আছে কিনা। যেমন : হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস) ইত্যাদি।

৪.সম্প্রতি ইংল্যান্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানকারী জটিল বা দুরারোগ্য রোগ-ব্যাধি থেকে প্রায়ই মুক্ত থাকেন।

৫. নিয়মিত রক্তদানকারীর হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক কম ।

৬. মুমূর্ষু মানুষকে রক্তদান করে আপনি পাচ্ছেন মানসিক তৃপ্তি। কারণ, এত বড় দান যা আর কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

৭. রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত পুণ্যের বা সওয়াবের কাজ। পবিত্র কোরআনের সূরা মায়েদার ৩২ নং আয়াতে আছে, ‘একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ।’