Sunday, February 16, 2014

পাইকগাছার চাঁদখালী ইউনিয়নে ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক

উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক পড়েছে। গত এক সপ্তাহে তিনটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী জানায়, সর্বশেষ গত সোমবার দিনগত রাতের যেকোন সময় অত্র চাঁদখালী ইউনিয়নের ধামরাইল গ্রাম এলাকায় কে বা কারা পল্লী বিদ্যুতের একটি ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়া একই এলাকায় গত এক সপ্তাহে আরো দু’টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে।

পল্লী বিদ্যুৎ পাইকগাছা জোনাল অফিসের জুনিয়র প্রকৌশলী মোঃ কামরুল হাসান গত এক সপ্তাহে তিনটি ট্রান্সফরমার চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন।

কে হচ্ছেন কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান ?

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক কয়রা উপজেলা পরিষদ নির্বচনের আর মাত্র ২দিন বাকি আছে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ১ম দফায় কয়রা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষনার পর চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের ৫ জন, বিএনপির ২ জন, জামায়াতের ১ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিভিন্ন দল থেকে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। 

দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দলীয় সিদ্ধান্তে আ’লীগের একক প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে জিএম মোহসিন রেজা, ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ মোশারফ হোসেনের প্রতীক টিউবওয়েল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিলিমা চক্রবর্তী কলস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

অন্য দিকে ১৯ দলীয় জোটের সিদ্ধান্তে চেয়ারম্যান পদে জামায়াতের দক্ষিণ খুলনা জেলা আমীর ঘোড়া প্রতীক নিয়ে আ,খ,ম তমিজ উদ্দীন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে কয়রা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ শেখ আব্দুর রশিদ তালা প্রতীক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে খালেদা পারভীন ফুটবল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। এ দিকে আ’লীগের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন বিজন কুমার রায়।

নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই এক প্রার্থী অপর প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন আচরনবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলছেন। ইতোমধ্যে ১৯ দলীয় জোটের প্রার্থী আখম তমিজ উদ্দীন আ’লীগ প্রার্থী জিএম মোহসিন রেজার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে রিটার্নিং অফিসার ও খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিতভাবে জানিয়েছেন। আ’লীগ প্রার্থী মোহসিন রেজাও বিভিন্ন জায়গায় মৌখিকভাবে জামায়াত প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলছেন।

প্রার্থীদের পোষ্টারে গ্রামগঞ্জ ছেয়ে গেছে। চলছে জোর প্রচারণা। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাইকিংসহ প্রার্থীরা গণসংযোগ ও ভোটারদের বাড়ীতে বাড়ীতে ভোট প্রার্থনা করছেন। সব মিলিয়ে দেখা গেছে কয়রা উপজেলার জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের স্থানীয় নির্বাচন গুলো আ’লীগ ও জামায়াতের মধ্যে লড়াই হয়ে আসছে।

১৯৯১ সাল থেকে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে একবার আ’লীগ একবার জামায়াত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। এভাবেই আ’লীগ ও জামায়াতের মধ্যে পাল্টা পাল্টী লড়াই চলে আসছে। সেদিক দিয়ে বিবেচনায় সুষ্ট ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এবার বিজয়ের পালা জামায়াত প্রার্থী আ,খ,ম তমিজ উদ্দীনের। তবে কয়রায় বারবার জোটের প্রার্থী জামায়াত হওয়ায় এবার শরীক দল বিএনপি চেয়েছিল যে করেই হোক উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নিজেদের প্রার্থী টিকিয়ে রাখতে। কিন্তু বিএনপি প্রার্থী এ্যাডঃ মোমরেজুল ইসলাম ও জামায়াত প্রার্থী আ,খ,ম তমিজ উদ্দীন দু’জন আপন সহদর ভাই হওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেন অনেকে।

এতে বিএনপির নেতা কর্মীদের মনে ক্ষোভের মাত্রা বেড়ে চলেছে। সে কারনে বিএনপির নেতা কর্মীদের জামায়াত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনীয় কাজ করতে তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। বিএনপির সহযোগিতা ছাড়াই জামায়াত প্রার্থী বিজয়ী হবেন বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের নেতা কর্মীরা। ফলে জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে চলছে স্নায়ূযুদ্ধ। অপরদিকে বিএনপি’র অন্য একটি গ্রুপ জামায়াত প্রার্থীর পক্ষে জোরে সোরে মাঠে নেমে পড়েছেন। এ গ্রুপটি দীর্ঘদিন যাবৎ জামায়াত বিরোধী কথা বলে আসছিল।

অপর দিকে আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম মোহসিন রেজা গত ২০০৯ সালে নির্বাচনে ৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে জামায়াত প্রার্থী আ,খ,ম তমিজ উদ্দীনকে পরাজীত করেছিলেন। জিএম মোহসিন রেজা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আ’লীগের মধ্যে শুরু হয় কঠিন দলীয় কোন্দল। তারই জের ধরে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের ৫ জন মনোনয়ন পত্র জমা দেন। তবে জেলা নেতৃবৃন্দ কয়রায় সরাসরি উপস্থিত হয়ে একটা সমন্বয় করে মোহসিন রেজাকে বিজয়ী করার জন্য আওয়ামীলীগের সকল নেতাকর্মীকে দলীয় কোন্দল ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করার আহ্বান জানান। সে মোতাবেক বিবাদমান গ্রুপ দু’টি একত্রিত হয়ে মোহসিন রেজাকে জেতানোর জন্য ভোট ভিক্ষায় নেমে পড়েছেন।

তবে যতই নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছে ততই আওয়ামীলীগের একক প্রার্থীর পক্ষে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় কোন্দল ভুলে গিয়ে নিজেদের প্রার্থীকে জয়ী করার আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে আওয়ামীলীগ ও জামায়াত প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

প্রার্থীরা নিজেদেরকে একজন যোগ্যপ্রার্থী হিসেবে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। তবে ভোটাররা এবার বুঝে শুনেই তাদের ভোট প্রয়োগ করবেন এমন বক্তব্য প্রায় সকল ভোটারদের।

কয়রা উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নে ৫৮টি ভোট কেন্দ্রে সর্বমোট ১লাখ ৩৭ হাজার ৫শ’ ২৮টি ভোট রয়েছে। এর মধ্যে ২৭ টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নির্বাচন শান্তিপূর্নভাবে শেষ করতে কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন বলে জানা গেছে।

সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম হাসান জানান, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্নভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য সরকার সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। আইনশৃংখলা রক্ষার্থে ও নির্বাচন যাতে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি কয়রায় সেনাবাহিনী অবস্থান করবেন। এছাড়াও আইনশৃংখলা বাহিনী সার্বক্ষনিক এলাকা নজরদারীর ভিতরে রেখেছেন।

প্রাথমিকে বৃত্তি পেলো ৫৪ হাজার ৪১২ জন

রবিবার পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টায় গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান এই তালিকা ঘোষণা করেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, এবার মোট বৃত্তি পেয়েছে ৫৪ হাজার ৪১২ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ট্যালেন্টপুলে (মেধাবৃত্তি) ২১ হাজার ৯৭৮ জন বৃত্তি পেয়েছে। যাদের মধ্যে ১০ হাজার ৯৫৪ জন ছাত্র ও ১১ হাজার ২৪ জন ছাত্রী। সাধারণ কোটায় বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২ হাজার ৪৩৪ জন। এরমধ্যে ১৬ হাজার ২২৮ জন ও ১৬ হাজার ২০৬ জন ছাত্রী।

এ বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২৫ লাখ ১৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৪২ জন। আর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।

পরীক্ষা দুটিতে জিপিএ-৫ সংখ্যা ২ লাখ ৪৮ হাজার ২১৪ জন। এর মধ্যে প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার ৯৬১ ও ইবতেদায়িতে পেয়েছে ৭ হাজার ২৫৩ জন শিক্ষার্থী।

পাইকগাছায় উপজেলা নির্বাচনে ২৪ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা

পাইকগাছায় ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা নির্বাচনে শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে ১০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ সহ মোট ২৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। শনিবার দিনভোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের দপ্তরে এসব মনোনয়ন জমা দেন। 

চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমাদানকারী প্রার্থীরা হচ্ছেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ রশীদুজ্জামান, জেলা আ’লীগ সহ-সভাপতি গাজী মোহাম্মদ আলী, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, শেখ সোহরাওয়ার্দি, জেলা বিএনপি’র উপদেষ্ঠা সাবেক এমপি এ্যাডঃ স.ম বাবর আলী, জেলা বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ আব্দুল মজিদ, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ ইমাদুল ইসলাম, উপজেলা জাপা’র সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, সিপিবি নেতা ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণ পদ মন্ডল, স্বতন্ত্র জি,এম, আব্দুর রশিদ।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এস,এম, সামছুর রহমান, সাবেক সহ-সভাপতি দেবব্রত রায় দেবু, যুবলীগনেতা টিকেন্দ্রনাথ মন্ডল, আ’লীগনেতা কুমারেশ মন্ডল, মুজিবর রহমান সানা, বিএনপিনেতা ও সাংবাদিক মোঃ আব্দুল গফুর, যুবদলনেতা শেখ সামছুল আলম পিন্টু, এ্যাডঃ এস,এম, মুজিবর রহমান, জামায়াতের উপজেলা আমীর মাওঃ শেখ কামাল হোসেন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের শাহজাহান সিরাজ সাজু।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের ইউপি সদস্য দিপ্তী চক্রবর্তী, বিএনপির বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া হোসেন, শাহানারা খাতুন ও স্বতন্ত্র মাসুমা খাতুন।