Sunday, June 9, 2013

উচ্চ মাধ্যমিকে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অর্থ আদায়ের অভিযোগ

উচ্চ মাধ্যমিকের ব্যবহারিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন কলেজ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই টাকা দিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে প্রতিদিন চলছে ভুরিভোজ। সাথে বহিঃপরীক্ষক ও অন্তঃপরীক্ষকদের মোটা অংকের সম্মানীও। এটা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষোভ জানিয়েছেন।

গতকাল থেকে শুরু হয়েছে এবারের উচ্চ মাধ্যমিকের ব্যবহারিক পরীক্ষা। আগামী কয়েকদিন পর্যন্ত চলবে এ পরীক্ষা। নিয়মানুযায়ী অন্য কলেজ থেকে একজন বহিঃপরীক্ষক ও একজন অন্তঃপরীক্ষক এ পরীক্ষা দিতে আসেন। শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ এসব পরীক্ষকদের টিএ ডিএ দিয়ে থাকেন। অথচ পরীক্ষকদের আপ্যায়ন ও সম্মানী বাবদ মোটা অংকের টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে।

ব্যবহারিক পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রগুলোতে গেলে দেখা যাবে প্রতিদিন চলছে ভুরিভোজের আয়োজন। এসব আয়োজনে কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, কেন্দ্র সচিব, সংশ্লিষ্ট শিক্ষকসহ কলেজের কর্মচারীদের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। আর এ ভুরিভোজের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি বিষয়ে ২ থেকে ৩শ’ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। এতে গরীব শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বেকায়দায় পড়েছেন। কিন্তু নম্বর কম দেবে এই ভয়ে কেউই মুখ খুলতে রাজি নন।

বি:দ্র: এই বার নাম উল্লেখ করতে না পারার জন্য দুঃক্ষিত। নিজেদের শুধরে না নিলে, হাঁটে নয় সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে গিয়ে হাড়ি ভাঙ্গার জন্য প্রস্তুত Voice of Paikgacha.

কপিলমুনিতে স্কুল ছাত্রী ধর্ষিত

কপিলমুনিতে ৫ম শ্রেনির এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শুক্রবার বিকালে কপিলমুনি বাজারের বনিক সমিতির নিয়ন্ত্রনাধীন গণশৌচাগার অভ্যান্তরে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে গণশৌচাগারের কেয়ারটেকার অভিযুক্ত ধর্ষক লম্পট মোকন আলী সরদারকে শো’কজ করেছে বনিক সমিতি কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর লম্পট ঐ ধর্ষক গা ঢাকা দিয়েছে।

ভুক্তভোগী পরিবার, বনিক সমিতি ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, কপিলমুনি বাজারের বণিক সমিতির পিছনে চা পট্টিতে ধর্ষনের শিকার স্কুল ছাত্রীর মা একটি চায়ের দোকান পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। ঘটনার দিন শুক্রবার স্কুল ছুটি থাকায় ঐ ছাত্রী তার মায়ের সাথে সহযোগীতা করতে দোকানের কাপ, প্রিচ ও মগ পরিষ্কার করতে পার্শ্ববর্তী গণশৌচাগারের টিউবওয়েলে গেলে কুনজর পড়ে গণশৌচাগারের কেয়ারটেকার লম্পট মোকন আলীর। জনশুন্য শৌচাগারে একা পেয়ে সরল কথায় শিশুকন্যাকে ডেকে নেয় সে।

এরপর গণশৌচাগার সংযুক্ত গোসলখানায় নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে লম্পট মোকন। ঘটনার পর শিশুকন্যার মুখে ধর্ষনের ঘটনা শুনে মানষিকভাবে মুষড়ে পড়ে তার অসহায় মা। বণিক সমিতির কর্মকর্তাদেরকে বিষয়টি অবহিত করে ভুক্তভোগী পরিবার। জানাগেছে, কিছুদিন পূর্বে রোগগ্রস্থ্য অবস্থায় ধর্ষিতার বাবা মৃত্যুবরণ করেন। ঘটনার পর এ ঘটনাটি জনসমুখ্যে ব্যাপক প্রচার হলে লম্পট ধর্ষক গা ঢাকা দেয়।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করলেও অভিযোগ না হওয়ায় এ ব্যাপারে কোন মামলা হয়নি। অন্যদিকে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ও ধর্ষককে রক্ষা করতে একটি প্রভাবশালী মহল মাঠে নেমেছে।

তারা ধর্ষিতার পরিবারকে মামলা না করতে চাপ প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর ঐ পরিবারটি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে নরপশু ধর্ষক মোকন আলীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানিয়েছেন অসহায় পরিবারসহ এলাকাবাসী।

সোমবার জামায়াতের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল

আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি, গণ গ্রেপ্তার বন্ধ এবং ট্রাইব্যুনালে কেন্দ্রীয় নেতাদের কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদে সোমবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। রোববার দুপুর ২টার দিকে এ হরতালের ঘোষণা দেয়া হয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার ফল প্রকাশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১০ সালের স্নাতক চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষার ২২টি বিষয়ের ফলাফল রোববার সকালে প্রকাশিত হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট- www.nubd.infowww.nuadmission.info থেকে ফলাফল জানা যাচ্ছে।

২০১০ সালের চতুর্থ বর্ষ অনার্স তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২০১২ সালের ১২ নভেম্বর শুরু হয়ে একই বছরের ২৯ ডিসেম্বর শেষ হয়। ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৩১ মার্চ শেষ হয়। ২৮টি বিষয়ে অনার্সে সারাদেশে মোট ১৮৪টি কলেজের এক লাখ তিন হাজার ৬১৮ জন পরীক্ষার্থী ১২৮টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

তবে রোববার বাংলা, আরবি, ইসলামের ইতিহাস, দর্শন, ইসলামী শিক্ষা, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, অর্থনীতি, ব্যবস্থাপনা, হিসাববিজ্ঞান, মার্কেটিং, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং, পদার্থবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা, ভূগোল, মৃত্তিকাবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, গণিত, লাইব্রেরি সায়েন্স, নৃ-বিজ্ঞান, গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিষয়ের ফল প্রকাশিত হয়েছে। অবশিষ্ট ছয়টি বিষয়ের ফলাফল এ সপ্তাহের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পাইকগাছায় গৃহবধু ও শিশু ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্ঠা

পাইকগাছায় পথচারী এক গৃহবধু গণধর্ষন ও ১০ বছরের এক শিশুকন্যা ধর্ষিত হয়েছে। পৃথক দু’টি ঘটনা এলাকার প্রভাবশালী মহল ধামাচাপা দেয়ার চেষ্ঠা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা ও এখনও পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।

এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, গত ৩০ মে রাত ৯টার দিকে প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় কয়রা উপজেলার এক গৃহবধু পার্শ্ববর্তী আশাশুনি থেকে বাড়ী ফেরার পথে পাইকগাছার কাওয়ালী (ফতেপুর) নামকস্থানে পৌছালে ভারী বর্ষনের কারনে যানবাহন না থাকায় স্থানীয় অনাথ বন্ধু রায়ের চায়ের দোকানে অবস্থান নিয়ে উপস্থিত গন্যমাণ্য ব্যক্তির কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে।

এসময় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা পথচারী গৃহবধুকে একই এলাকার নওয়াব আলী গাজীর পুত্র আকবর গাজীর আশ্রয়ে দেয়। সে নিজ বাড়ীতে আশ্রয় না দিয়ে প্রতিবেশির বাড়ীতে রেখে আসে। পরে গভীর রাতে কয়েকজন যুবক গৃহবধুকে উপর্যুপুরি ধর্ষন করে। পরেরদিন সকালে গৃহবধু চলে যাওয়ার সময় বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তির নিকট অবহিত করলে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর অদ্যবধি কতিপয় যুবকরা গা ঢাকা দিয়েছে বলে সরেজমিন গিয়ে জানাযায়।

অপরদিকে গত শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে কপিলমুনিতে নাসিরপুর গ্রামের ৫ম শ্রেণী পড়ুয়া ১০ বছরের এক শিশুকন্যা ধর্ষিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পৃথক দু’টি ঘটনার কোন কিছুই জানানেই বলে থানার ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিক জানান। এ ব্যাপারে ভিকটিমদের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে তিনি জানান। পৃথক দু’টি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।

কয়রায় দূর্বৃত্ত কর্র্তৃক মৎষ্য ঘেরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

কয়রার পল্লীতে দূর্বৃত্তরা এক মৎষ্য ঘেরে হামলা চালিয়ে ঘেরে মালিককে উপর্যপুরি মারপিট করে তাকে বেঁধে রেখে ঘেরের মাছ লুটপাট করে ঘেরের বাসায় অগ্নিসংযোগ করে ঘেরের বাসাটি পুড়িয়ে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার গভীর রাত্রে উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের ভান্ডারপোল গ্রামের এক মৎষ্য ঘেরে।

ভূক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে বৃহসম্পতিবার গভীর রাতে ৯/১০ জনের একটি দল ঘেরের বাসায় হামলা করে। হামলাকারীরা ঘের মালিক ফারুককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে ফেলে মৎস্য ঘেরের জাল টেনে মাছ লুটপাট করে। দুর্বৃত্তরা ঘেরের বাসায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

এসময় আগুনের লেলিহানে দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন এসে ঘের মালিককে উদ্ধার করলেও ঘেরের বাসাটি সম্পূর্ন পুড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এব্যাপারে কয়রা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানাগেছে।

খুলনায় চিংড়ি পোনা সংগ্রহ, নিষেধাজ্ঞা মানছেনা কেউ

সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে খুলনাসহ উপকুলীয় জেলাগুলোর সর্বত্রই এখন চলছে বাগদা চিংড়ি পোনা আহরণের মহোৎসব। এতে বিলুপ্ত হচ্ছে অন্য প্রজাতির মাছের পোনা। 

জানা যায়, সাগরপাড়ের সোনারচর থেকে শুরু করে মৌডুবী পর্যন্ত বিস্তীর্ণ তটরেখা এবং অভ্যন্তর ভাগের প্রায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিশাল এলাকায় চলে পোনা শিকারীদের তাণ্ডব। চলতি মৌসুমে পটুয়াখালির গলাচিপা উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টি ইউনিয়নের ১ হাজার পয়েন্টে বসেছে হকাররা। শিকারীদের কাছ থেকে পোনা সংগ্রহ করে তারা নিয়ে যাচ্ছে আড়তে। আড়তদারের মাধ্যমে এগুলো স্থানীয় ঘের ছাড়াও চালান হয়ে যাচ্ছে চালনা, রামপাল, বাগেরহাট, পাইকগাছা, সাতক্ষীরা, ফয়লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

এদিকে অবাধে বাগদা পোনা শিকার করায় সামুদ্রিক সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য বর্তমানে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। বাগদা পোনা ধরতে গিয়ে অন্য প্রজাতির কোটি কোটি রেণু পোনা, ডিম ও খাদ্যকণা ধ্বংস হচ্ছে।

একটি বেসরকারি সংস্থার জরিপে জানা গেছে, ২১২টি পোনা এবং ১ হাজার ১টি মাছের খাদ্যকণা জুপাঙ্কটন ও ফাইটো পাঙ্কটন ধ্বংস হয়ে যায়। মৎস্য সম্পদের এ ক্ষতির দিকটি পোনা শিকারী, ঘের মালিক ও ব্যবসায়ীরা বিবেচনায় আনছে না।

মৎস্য সম্পদের মারাত্মক ক্ষতির দিক বিবেচনা করে ২০০০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে দেশের উপকূলীয় এলাকায় বাগদা-গলদাসহ সব ধরণের চিংড়ি পোনা এবং প্রাকৃতিক উৎস থেকে অন্যান্য মাছের পোনা আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু সরকারি এ নিষেধাজ্ঞা কখনোই কার্যকর হয়নি।

তবে অনেকের অভিমত পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বাগদা-গলদা পোনা আহরণ বন্ধ করা যাবে না। পোনা আহরণে ক্ষতির পরিমাণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী এ খাতকে প্রাধান্য দেয়া উচিত।

স্থানীয় মৎস্যজীবী এবং প্রবীণ জেলেরা জানান, সচেতনতার অভাব, গলদা-বাগদা পোনা শিকারে ঘন ফাঁসের নেটজালের ব্যবহার, অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ, বেহন্তি জালে সব ধরনের মাছ নিধন এবং ডিমওয়ালা মাছ মেরে ফেলার কারণে আশঙ্কাজনক হারে মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে।