Sunday, March 30, 2014

পাইকগাছা কলেজে অনার্স ১ম বর্ষের নবীর বরণ অনুষ্ঠিত

ঐতিহ্যবাহী পাইকগাছা কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নবীন বরনে প্রধান অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম।

বক্তব্য রাখেন, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক রমেন্দ্র নাথ সরকার, সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (ব্যবস্থাপনা) মো: সেকেন্দার হায়াত, প্রভাষক শহীদূল ইসলাম, মোঃ মোমিন উদ্দীন, জিএম রহমত আলী, আবু রাসেল কাগজী, মোৎ সাইদুর রহমান, তরুন কান্তি মন্ডল, উজ্জ্বল কুমার বিশ্বাস, নিখিল চন্দ্র মন্ডল, আচাবুর রহমান ও বৈশাখী মন্ডল।

নবীন বরণ অনুষ্ঠানে অনার্স ১ম বর্ষের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন।

কপিলমুনিতে লাখ লাখ টাকার সরকারি সম্পত্তি বেদখল

নগদ নারায়নে তুষ্ট ভূমিকর্তারা কুম্ভকর্ণের ভূমিকায়


কপিলমুনিতে লাখ লাখ টাকার সরকারি সম্পত্তি বেদখল হয়ে গেছে। সরকারের লাখ লাখ টাকা মূল্যের সম্পত্তি দখল করে ভূমি দস্যুরা রয়েছেন বহাল তবিয়তে। সংশ্লিষ্ট ভূমিকর্তারা নগদ নারায়নে তুষ্ট থেকে কুম্ভকর্ণের ভূমিকা পালন করছেন।

জানা যায়, কপিলমুনি বাজারের কাঠগোলায় ৮২ শতক জমি তৎকালীন বাজার ব্যাবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে বাজারের উন্নয়নে খুলনা জেলা প্রশাসকের নামে খরিদ করা হয়। এরপর কালক্রমে একে একে সংশ্লিষ্ট ভূমি কর্তাদের নগদ নারায়নে তুষ্ট করে নামমাত্র কাগজ করে দখল হতে থাকে সরকারের এই মহামূল্যবান সম্পত্তি।

১৯৯৬ সালে সাংসদ এড. শেখ মোঃ নুরুল হকের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন উক্ত ভূমি দস্যুদের কবল থেকে ওই সম্পত্তি উদ্ধার করেন। এরপর এক শ্রেনীর লোভী ভূমিকর্তাদের মোটাংকের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে ওই সম্পত্তি পূনরায় দখল করেছেন ভূমিদস্যুরা। এছাড়া ওই ৮২ শতক সম্পত্তি ছাড়াও সি এস খতিয়ানের ৫ দাগের রাস্তা, পানি সরবরাহের খাল ভরাটি জায়গাসহ অনেক সরকারি সম্পত্তি এখন ভূমি গ্রাসীদের দখলে। ওই সকল দখলকৃত জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে দোকানঘর, বাড়ী, স’মিল সহ অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

সচেতনদের দাবী অনতিবিলম্বে সরকারের ওই সম্পত্তি দখল মুক্ত করে সরকারি তত্বাবধানে নির্মান করা হোক সরকারি বানিজ্য বিপনী, সরকারি কোষাগারে সঞ্চিত হোক কোটি কোটি টাকা। এ ব্যাপারে খুলনা-৬ আসনের সাংসদ এড. শেখ মোঃ নুরুল হকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসী।

পাইকগাছায় বাঁকার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ

শনিবার পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের বাকা বাজারস্থ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে শ্রীকণ্ঠপুর কমিউনিটি ক্লিনিক সাপোর্ট গ্রুপের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করেন রাড়ুলী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক আব্দুস সবুর। প্রশিক্ষণ দেন সিএইচসিপি রাজিয়া সুলতানা ও স্বাস্থ্য সহকারী নিখিল চন্দ্র ঘোষ।

কপিলমুনিতে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ; চিংড়ি শিল্প ধ্বংসের পথে

কপিলমুনিতে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করা হচ্ছে। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করে সম্ভাবনাময় এশিল্পকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
 
জানা যায়, কপিলমুনি এলাকাটা বেশ পূর্বের থেকে সাদা সোনা নামে খ্যাত চিংড়ি শিল্পে বিখ্যাত। এখানে ৯৫% কৃষি জমিই চিংড়ি চাষে ব্যবহার হচ্ছে। প্রতি বছর চিংড়ি মৌসুমে এলাকার চিংড়ি চাষীরা মোটা অংকের বৈদেশিক মূদ্রা অর্জণ করে থাকেন।

কপিলমুনি এলাকার চিংড়ি চাষীদের একটা সুনাম থাকলেও কতিপয় চিংড়ি ব্যবসায়ীরা ওজন বাড়াতে প্রতিনিয়ত শাবু, ভাতের মাড় ও চাউলের জল পুশ করে সে সুনাম নষ্ট করেছে। বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনকারী হিমায়িত চিংড়ি বাজারজাত করার সময় অনেকে ভাইরাসযুক্ত চিংড়ি মিশিয়ে দেয়।

তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১০ সালে জানুয়ারী থেকে জুন ও জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থ বছরে ১৫৯৭ কোটি ৬০ লাখ, ৪৯ হাজার ৯১৯ টাকার ৪ কোটি ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৪৯ কেজি বাগদা গলদা এবং হরিণা, চাকা, চালি, টাইগার চিংড়ি ও সাদা মাছ রপ্তানি করা হয়। এর মধ্যে প্রথম ৬ মাসে ১ কোটি ৪৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৪ কেজি ও ২ কোটি ৬০ লাখ ৩১ হাজার ৯ কেজি মাছ রপ্তানি হয়।

২০০৯ সালের জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থ বছরে ২৬ কোটি ১১ লাখ ৫ হাজার ১১১.২৩ টাকার ৮ কোটি ১৬ লাখ ৩৮ হাজার ৬০৫ কেজি বাগদা, গলদা ও অন্যান্য সাদা মাছ রপ্তানি করে। ২০০৯ সালের হিসাব অনুযায়ী ২০১২ সালের আগষ্ট পর্যন্ত রপ্তানি কমেছে ১৮ কোটি টাকা। যার ফলে সরকারের এই খাতে রাজস্ব আয় মারাত্মক হারে কমে যাচ্ছে। অপদ্রব্য পুশ করাকে কারণ হিসেবে দেখা গেছে ।

সূত্র জানায়, কপিলমুনি এলাকার কতিপয় ব্যবসায়ী বর্তমানে চিংড়িতে পুশ করা কাজে নিয়জিত রয়েছে। এরা চিংড়ি ক্রয় করেই গোপন স্থানে নিয়ে অপদ্রব্য পুশ করে থাকে। পুশ করা এসব চিংড়ি মাছ কোম্পানীতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে। পুশ করার কারণে বেলজিয়াম ও ইউকে থেকে হিমাইত চিংড়ি ফেরৎ এসেছে একাধিকবার। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানো জরুরী বলে মনে করছেন অভিজ্ঞমহল।

পাইকগাছায় কপোতাক্ষ খননে গতি বাড়ার সম্ভাবনা

সাতক্ষীরার তালার বালিয়াডাঙ্গা ক্লোজার নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় কপোতাক্ষ নদ খননে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। এ কাজ শেষ হওয়ায় পাইকগাছার কপিলমুনি ও তালায় কপোতাক্ষ ড্রেজিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইতোমধ্যে এসব এলাকায় ড্রেজিং কাজও শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে কপোতাক্ষ খনন শেষ করার দাবি জানিয়েছেন।

ছবিটি কপিলমুনির গোলাবাড়ি থেকে তোলা।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, প্রায় ৪০ বছরের ব্যবধানে কপোতাক্ষ নদসহ ৮০টি সংযোগ খাল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা আর শুষ্ক মৌসুমে দেখা দেয় পানি শূন্যতা। ষাটের দশকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত ভেড়িবাঁধ, স্লুইস গেট নির্মাণ এবং অবৈধ দখলে চলে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।

কপোতাক্ষ অববাহিকার তালা উপজেলাসহ ৫টি জেলা যথাক্রমে সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও খুলনা জেলার ১৪টি উপজেলার ৭১টি ইউনিয়নের ৮০২টি গ্রামে বসবাসকারী ১৫ লক্ষাধিক মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছে। নদ ও সংযুক্ত প্রায় ৮০টি খাল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় লক্ষাধিক জেলে পরিবারের ভাগ্যে নেমে এসেছে চরম দুর্দশা।

এলাকাবাসী জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কপোতাক্ষ নদের খননের ব্যাপারে গ্রহণ করা ২৬২ কোটি টাকার প্রকল্পটি চলমান। তারই ধারাবাহিকতায় কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প (প্রথম পর্যায়) সংযোগ খালের উজানে তালার বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় ক্লোজার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে মাত্র ২০ দিনে কাজ শেষ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাইন এন্টারপ্রাইজ।

এ ক্লোজার নির্মাণের ফলে পাইকগাছার কপিলমুনি, রাড়ুলী, তালায় কপোতাক্ষ খনন সহজতর হবে। চলতি বছরের গত ২৬ মার্চ ক্লোজার ও রাস্তা নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর এসব এলাকায় নদ খননও শুরু হয়েছে।

যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, বালিয়াডাঙ্গায় ক্লোজার নির্মাণ দ্রুত শেষ হওয়ায় কপোতাক্ষ খনন কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে। আমরা আশাকরি বর্ষা মৌসুমের আগে এ কাজে অনেকটা অগ্রগতি হবে।

ক্রেতারা সাবধান ! পাইকগাছায় হরিণের মাংসের নামে বিক্রি হচ্ছে ভেড়া ও গরুর মাংস

পাইকগাছায় সক্রিয় প্রতারক চক্র অভিনব পন্থায় কচি গরু ও ভেড়ার মাংসকে হরিণের মাংস সাজিয়ে চড়া দামে বিক্রি করছে। এক সময় উপজেলার গড়ইখালী ও তার আশপাশ এলাকায় এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা শোনা গেলেও বিষয়টি এখন খোদ পৌর শহরেও “ওপেন সিক্রেট”।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডস্থ সরল গ্রামের নূর ইসলামের বাড়িতে দু’টি হরিণ জবাই করে মাংস বিক্রি হচ্ছে এমন খবর চাউর হলে থানা পুলিশ নূর ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালায়।

এর সপ্তাহ দুই আগে একই এলাকার ইমরান নামের এক যুবক ঢাকাগামী পরিবহনে হরিণের মাংস পাচার করছে এমন অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে কিছু মাংস উদ্ধার করে ও পুলিশ আসার আগেই কিছু মাংস লোপাট হয়ে যায়। পরে উদ্ধারকৃত মাংস গরুর মাংস বলে জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রতারক চক্র হরিণের নকল মাংস উচ্চমূল্যে বিক্রি করছে। প্রতারক চক্র নকল হরিণের মাংস বানানোর ক্ষেত্রে প্রথমেই কচি গরু ও ভেড়াকে বেছে নিচ্ছে।

তারা গরু বা ভেড়া জবাই করে হাড় ফেলে দিয়ে ফিটকারীর পানিতে ‘সলিড মাংস’ ডুবিয়ে রাখছে। পরে তেঁতুল ও কেওড়া গোলা পানিতে ওই মাংস আধা ঘন্টা ভিজিয়ে ঝুড়িতে রেখে পানি ঝরিয়ে নিচ্ছে। অতঃপর ওই গরু বা ভেড়ার রক্ত হালকা করে ওই মাংসে মাখাচ্ছে। ব্যস, গরু- ভেড়ার মাংস হয়ে গেল হরিণের মাংস।

আর ক্রেতার আস্থা আনতেও প্রয়োগ করা হচ্ছে অভিনব কৌশল। ভেড়ার আস্ত রান কেটে তার একপাশের রক্তপানি ভাল করে মুছে কাটা ওই রানের সাইজে হরিণের চামড়া কেটে তা’ তুঁতে মেশানো পানি দিয়ে ভিজিয়ে ভাল করে মুছে “সুপার গ্লু” আঠা দিয়ে আস্ত রানে জুড়ে দিয়ে ভেড়ার রানকে হরিনের রানের আদলে তৈরী করা হচ্ছে।

ক্রেতাদের বলা হচ্ছে “এই হল হরিণের কাটা রান। এই মাংসই রয়েছে ঝুড়িতে।” প্রতারক চক্র এভাবে প্রমাণ হাজির করায় ওই মাংস ৪০০-৫০০ টাকা কেজি দরে লুফে নিচ্ছে সাধারণ মানুষ।

নিজ ঘের থেকে পুঁতে রাখা অবস্থায় যুবকের লাশ উদ্ধার

পাইকগাছা-তালা সীমান্তে খেরশা বিলের নিজ লিজ ঘেরের পানিতে পুতে রাখা অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঘেরের মধ্যে থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে তালা থানা পুলিশ।
 
নিহতের নাম মহিবুল্লাহ সরদার (২৫)। হতভাগা মহিবুল্লাহ পাইকগাছার রাড়ূলী ইউনিয়নের রাড়ূলী গ্রামের জনৈক জিন্নাত আলী সরদারের পুত্র।

নিহত মহিবুল্লাহ’র পিতা জিন্নাত আলী সরদার বলেন, তালা উপজেলাধীন খেরশা মৌজায় মহিবুল্লার ৫ বিঘার একটি লিজ ঘের রয়েছে। শুক্রবার বিকালে ঘেরের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় মহিবুল্লাহ। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়েন।

সকাল ১০টার দিকে জিন্নাত সরদার পুত্রকে খুঁজতে ঘেরে গিয়ে দেখেন ঘেরের পানির মধ্যে বাঁশের সাথে নেট দিয়ে বেঁধে রাখা মহিবুল্লাহ’র লাশ। লাশের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহৃ রয়েছে বলে তিনি জানান। তবে কি কারনে কারা তাকে হত্যা করেছে এ ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

খবর পেয়ে তালা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খুলনায় প্রেরণ করেছে। হতভাগা মবিুল্লাহ’র স্ত্রী ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তালা থানায় জিন্নাত আলী সরদার বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।