টেলিভিজুয়্যাল দুনিয়ায় মরণদৃশ্যও প্রোডাক্ট ! কাটা হাত-পা, ছেড়া স্যান্ডেল
কিংবা কাপড়, ছোপছোপ স্যাঁতস্যাঁতে লাললাল রক্ত, উদ্ধার করা আহত আর ভয়ার্ত
মানবদেহ, স্তূপে আটকে পড়া ছায়া মানুষের আর্তনাদ, স্বজনহারাদের হৃদয় বিদারক
আহাজারি.... কে কত বেশি এই দৃশ্য দেখাতে পারলো তা নিয়ে চলছে প্রতিযোগিতা !
আর সেই প্রতিযোগিতার দৌড়ে এগিয়ে থাকতে পারলে বাড়ে টিআরপি। তথ্যক্ষুধার্ত
মধ্যবিত্ত টিভি ভোক্তারাই যোগান দেয় তার। হেজিমনি আর পলিটিক্যাল ইকোনোমির
রাজত্বে সকলেই আজ মহান মিডিয়ার দাস !!!
Wednesday, April 24, 2013
‘রানা প্লাজা'-র ইতিহাস
'রানা প্লাজা'-র নির্মান কাজ প্রথম বন্ধ করা হয় ২০০৬ সালে৷ উল্লেখ্য, মেয়র
এই কাজে প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টকে যথাযথ সহযোগিতা করেন৷ রানা সাহেব এবং তার
বাবা পৌরসভায় আসেন, তাদের কে ‘প্লান’ জিনিসটা কি, কেন তাদেরকে রাজুক এবং
পৌরসভা থেকে প্লান পাস করাতে হবে ইত্যাদি বোঝানো হয়৷ এরপর তারা অনুমোদনের
জন্য প্লান জমা দেন এবং যথারীতি প্লান বাতিল হয়৷ পরবর্তিতে প্লান পাসের
জন্য তারা মরিয়া হয়ে ওঠেন কারণ অনুমোদিত
প্লান ছাড়া গ্যাস সাপ্লাই পাওয়া অসম্ভব৷ পরবর্তী দুই বছরে পর পর চারবার
বিল্ডিং কোড অনুযায়ী তারা প্লান সংশোধন করেন এবং পৌরসভা নানা অজুহাতে
সেগুলো নাকচ করতে থাকে৷ সম্ভবত ২০০৯ সালের উপজেলা নির্বাচন এর পরে,
পলিটিকাল কারনে মেয়র প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টকে কে বিল্ডিং কোড অনুযায়ী রানা
'প্লাজা'-র ৬ তলা প্লান অনুমোদনের নির্দেশ দেন। এটাই আজকের ‘রানা
প্লাজা'-র ইতিহাস৷
দুঃখিত মাননীয় রাষ্ট্রপতি !
আজ বুধবার দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন আবদুল হামিদ। দেশের
নতুন রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি পোস্ট করব ভেবেছিলাম। কিন্তু আজকের
সাভার ট্রাজেডির ফলে যে বিভিষিকাময় মানষিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তাতে
অভিনন্দন জানাবার প্রবৃত্তি হারিয়ে ফেলেছি। দুঃখিত মাননীয় রাষ্ট্রপতি !
ধিক্কার !!!
মন্ত্রী মরে নাই !! এমপি মরে নাই !! মরে নাই কোন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী !!
আপনিও মরেন নাই !! আমিও মরি নাই !! মরেছে গামের্ন্টস শ্রমিক !!
আরে ওরা তো মরেই !! কয়েক দিন আগেও তো মরলো !! আগুনে পুড়ে মরলো !!
সাংবাদিক ডেকে শোক প্রকাশ করলাম !! আজকেও তো শোক প্রকাশ করলাম !!
ধিক্কার জানাই শোক প্রকাশ করার সংস্কৃতিকে !!!
আপনিও মরেন নাই !! আমিও মরি নাই !! মরেছে গামের্ন্টস শ্রমিক !!
আরে ওরা তো মরেই !! কয়েক দিন আগেও তো মরলো !! আগুনে পুড়ে মরলো !!
সাংবাদিক ডেকে শোক প্রকাশ করলাম !! আজকেও তো শোক প্রকাশ করলাম !!
ধিক্কার জানাই শোক প্রকাশ করার সংস্কৃতিকে !!!
পাইকগাছা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির দ্বি-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
পাইকগাছায়
সুশীলন সুন্দরী প্রকল্পের উদ্যোগে ইউনিয়ন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির
দ্বি-মাসিক সভা ও ট্রেনিং-১ অল্টারনেটিভ ক্লাইমেট এ্যাডাবটিভ আইজিএ পৃথক
কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে গড়ইখালী ইউনিয়ন পরিষদে দূর্যোগ
ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতিত্বে করেন ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন
বি¤শ্বাস।
অপরদিকে ফকিরাবাদে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিভাষ চন্দ্র সাহা, সুন্দরী প্রকল্পের উপজেলা ব্যবস্থাপক ছফুরা খাতুন, এসএম এ রব, বন্ধু চুলা প্রোগ্রামের এডিএম দিবাকর বিশ্বাস। কর্মশালায় ১০ জন পেশাজীবীকে প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়।
অপরদিকে ফকিরাবাদে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিভাষ চন্দ্র সাহা, সুন্দরী প্রকল্পের উপজেলা ব্যবস্থাপক ছফুরা খাতুন, এসএম এ রব, বন্ধু চুলা প্রোগ্রামের এডিএম দিবাকর বিশ্বাস। কর্মশালায় ১০ জন পেশাজীবীকে প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়।
পাইকগাছায় সুশীলনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
পাইকগাছায় সুশীলন নিরাপদ মাতৃত্ব অনাকাঙ্খিত
গর্ভধারন ও অনিরাপদ এমআর রোদ প্রকল্পের উদ্যোগে দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ
কর্মশালা মঙ্গলবার সকালে গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এমবাসি অফ দা
কিংডম অফ নেদারল্যান্ড এর সহায়তায় আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধন করেন ইউপি
চেয়ারম্যান কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চু, প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পঃ পঃ
কর্মকর্তা ডাঃ শুকলাল বৈদ্য।
উপস্থিত ছিলেন, নিরাপদ মাতৃত্ব অনাকাঙ্খিত গর্ভধারন ও অনিরাপদ এমআর রোদ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার দিপালী বিশ্বাস, উপজেলা ব্যবস্থাপক নাদিয়া আফরিন, কর্মশালায় হরিঢালী, কপিলমুনি ও গদাইপুর ইউনিয়নের ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন, নিরাপদ মাতৃত্ব অনাকাঙ্খিত গর্ভধারন ও অনিরাপদ এমআর রোদ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার দিপালী বিশ্বাস, উপজেলা ব্যবস্থাপক নাদিয়া আফরিন, কর্মশালায় হরিঢালী, কপিলমুনি ও গদাইপুর ইউনিয়নের ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
পাইকগাছায় বিষপানে এক স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা
পাইকগাছায় স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়না
তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,
উপজেলার রাড়ুলী ইউপি’র শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের আলী গাজী'র ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া
কন্যা তাহেরা খাতুন (১৩) নিজ বাড়ীতে মঙ্গলবার দুপুরে বিষপান করে আত্মহত্যা
করেছে। মৃতের পরিবার জানিয়েছে সে মানষিক রোগ যন্ত্রনায় ভূগছিল। রাড়ুলীর
ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আব্দুল হাই জানিয়েছেন মৃত্যুর কারন সন্দেহ হওয়ায় লাশ
ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা
হয়েছে। মামলা নং-১১/তাং২৩/০৪/১৩।
দ্বৈত শাসন থেকে রেহায় পেল এলাকাবাসী
পাইকগাছার
দেলুটি ইউনিয়ন পুর্বের সংসদীয় সীমানা খুলনা-৬ আসনে ফিরে আসায় দ্বৈত শাসন
থেকে রেহায় পেল এলাকাবাসী। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে অপীল
শুনানী শেষে সংশ্লিষ্ঠ কর্র্তৃপক্ষ এ আদেশ দেন। এ রায়ের ফলে দেলুটিবাসীর
মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। প্রায় ২৫ হাজার জনগোষ্টির দেলুটি ইউনিয়নটি ১৯৭০
সাল থেকে ২০০১ সালের সংসদীয় নির্বাচন পর্যন্ত খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা)
আসনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। দীর্ঘ এ সময়ে পাইকগাছার সাথে ইউনিয়নবাসীর
রাজনৈতিক, প্রশাসনকি, যাতয়াত, শিক্ষা, চিকিৎসা সহ নানান বিষয়ে মেরুবন্ধন
সৃষ্ঠি হয়।
কিন্তু, ২০০৮ সালের সংসদীয় নির্বাচনের সময় এ ইউনিয়নটিকে কেটে খুলনা-১ (বটিয়াঘাটা-দাকোপ) আসনের সাথে সংযুক্ত করা হলে সর্ম্পকের বিচ্ছেদ ঘটে। আবার ২০০৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেলুটি ইউনিয়নের ভোটাররা পাইকগাছা উপজেলার ভোটার হিসাবে ভোট প্রদান করেন।
সংসদীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি এলাকার অধীনে এবং উপজেলা নির্বাচনে অন্য একটি সংসদীয় এলাকার অধীনে থাকার কারণে এই ইউনিয়নের জনগণ গত চার বছর ধরে দ্বৈত শাসনের কবলে পড়ে প্রতিনিয়ত নাগরিক সেবা পেতে নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হন। এলাকায় কোনো সহিংসতার সৃষ্টি হলে বিপত্তি ঘটে।
প্রতিকারের জন্য এসব ক্ষেত্রে একপক্ষ যান খুলনা-৬ আসনের এমপি কিংবা পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে, আর অন্যপক্ষ যান খুলনা-১ আসনের এমপির কাছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক সময়ই বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দু’পক্ষের দ্বিমুখী তদ্বিরে প্রশাসনের কমকর্তারাও অনেক সময় বিপাকে পড়েন। পর্যবেক্ষনে দেখা গেছে গত ৪ বছরে দ্বৈত শাসনের কারণে ইউনিয়নটির উল্লেখযোগ্য উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি।
ঘাত প্রতিঘাতের পর এই ইউনিয়নটিকে খুলনা-৬ আসনে ফিরিয়ে আনার জন্য জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি গাজী মোহাম্মদ আলী নির্বাচন কমিশনের বরাবরে আবেদন জানালে নির্বাচন কমিশন খুলনা-৬ আসনের সাথে সংযুক্ত করার প্রাথমিক রায় ঘোষনা দেন।
কমিশনের এ ঘোষনা পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন আপত্তি জানালে নির্বাচন কমিশনে ছিল চুড়ান্ত শুানানির দিন। শুনানি শেষে আগামী সংসদ নির্বাচনে কমিশন দেলুটিকে খুলনা-১ আসন থেকে কেটে পুর্বের সীমানা খুলনা-৬ আসনে অন্তুর্ভুক্ত করার আদেশ দেন।
কিন্তু, ২০০৮ সালের সংসদীয় নির্বাচনের সময় এ ইউনিয়নটিকে কেটে খুলনা-১ (বটিয়াঘাটা-দাকোপ) আসনের সাথে সংযুক্ত করা হলে সর্ম্পকের বিচ্ছেদ ঘটে। আবার ২০০৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেলুটি ইউনিয়নের ভোটাররা পাইকগাছা উপজেলার ভোটার হিসাবে ভোট প্রদান করেন।
সংসদীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি এলাকার অধীনে এবং উপজেলা নির্বাচনে অন্য একটি সংসদীয় এলাকার অধীনে থাকার কারণে এই ইউনিয়নের জনগণ গত চার বছর ধরে দ্বৈত শাসনের কবলে পড়ে প্রতিনিয়ত নাগরিক সেবা পেতে নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হন। এলাকায় কোনো সহিংসতার সৃষ্টি হলে বিপত্তি ঘটে।
প্রতিকারের জন্য এসব ক্ষেত্রে একপক্ষ যান খুলনা-৬ আসনের এমপি কিংবা পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে, আর অন্যপক্ষ যান খুলনা-১ আসনের এমপির কাছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক সময়ই বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দু’পক্ষের দ্বিমুখী তদ্বিরে প্রশাসনের কমকর্তারাও অনেক সময় বিপাকে পড়েন। পর্যবেক্ষনে দেখা গেছে গত ৪ বছরে দ্বৈত শাসনের কারণে ইউনিয়নটির উল্লেখযোগ্য উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি।
ঘাত প্রতিঘাতের পর এই ইউনিয়নটিকে খুলনা-৬ আসনে ফিরিয়ে আনার জন্য জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি গাজী মোহাম্মদ আলী নির্বাচন কমিশনের বরাবরে আবেদন জানালে নির্বাচন কমিশন খুলনা-৬ আসনের সাথে সংযুক্ত করার প্রাথমিক রায় ঘোষনা দেন।
কমিশনের এ ঘোষনা পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন আপত্তি জানালে নির্বাচন কমিশনে ছিল চুড়ান্ত শুানানির দিন। শুনানি শেষে আগামী সংসদ নির্বাচনে কমিশন দেলুটিকে খুলনা-১ আসন থেকে কেটে পুর্বের সীমানা খুলনা-৬ আসনে অন্তুর্ভুক্ত করার আদেশ দেন।
Subscribe to:
Posts (Atom)