Wednesday, May 28, 2014

আজ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের ৩৮তম মৃত্যু বার্ষিকী, মনে আছে কি ?

যাস্ট ফর ফান !

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ :: "ডোন্ট টেক ইট সিরিয়াসলি !"

কাদাপানি থৈ থৈ, এ যেন কালো রঙের দই !

আন্তর্জাতিক মানের সড়কের বাস্তব অবস্থার চিত্রায়ণ !!!! (২০১৪)


বৃষ্টিতে চলাচল অযোগ্য পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়ক; দুর্ভোগে যাত্রীরা


কপিলমুনি সংলগ্ন পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের ৩ কি.মি. সংস্কারে (উচু করণে) ১২ কোটি টাকা ব্যায়িত হলেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না রাখায় বৃষ্টির পানি জমে গিয়ে কর্দমাক্ততা সৃষ্টি তথা চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি। চরম ভোগান্তীতে পড়েছেন পথচারীরা। প্রশ্ন উঠেছে রাস্তায় জমে থাকা পানি যাবে কোথায় ? অবস্থাদৃষ্টে ড্রেনেজ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

ছবিটি কাশিমনগর বাজার সংলগ্ন পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়ক থেকে তোলা

জানা গেছে, পাইকগাছা-আঠারমাইল প্রধান সড়কের কপিলমুনির উত্তর সলুয়া (গোলাবাটি) থেকে কপিলমুনি বাজার’সহ কাশিমনগর পর্যন্ত ৩ কি.মি. সড়ক উচু করার জন্য বরাদ্ধ হয় ১২ কোটি টাকা।

সে অনুযায়ী ১ মাস আগে থেকে সড়ক সংস্কারের কার্যক্রম পরিচালিত হলেও অভিযোগ ওঠে পুরাতন রাস্তার ব্যবহৃত ইটের খোয়া, নিন্মমানের বালি দিয়ে উচু করার কাজ চলছে। একইভাবে ১৬ ইঞ্চি নতুন খোয়া ও বালু দ্বারা সমানভাবে সাববেইজ করার নিয়ম থাকলেও সেখানে যথেষ্ট অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

এদিকে সড়কটি নির্মানে কার্যক্রম চললেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না রাখায় গত ২/৩ দিনের বৃষ্টিতে রাস্তার উপরিভাগে পানি জমে কর্দমাক্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তার কোথাও কোথাও বৃষ্টির পানিতে একেবারেই তলিয়ে গেছে।

ভুক্তভোগী ও সচেতন এলাকাবাসীর মতে, সড়কের স্থায়ীত্ব রাখতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা একান্ত জরুরী। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ’সহ এলাকার এমপি’র সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।

পাইকগাছায় মটর শ্রমিক ও স্থানীয়দের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ; আহত ২

পাইকগাছায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মটর শ্রমিক, বাসযাত্রী ও স্থানীয়দের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় এক যাত্রী ও এক বাসচালক জখম হয়েছে। আহত বাসচালক রফিকুল ইসলামকে (২৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌর বাসস্ট্যান্ড জিরোপয়েন্ট এলাকায় উক্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ মটর শ্রমিকরা খুলনা-পাইকগাছা সড়কে যাত্রীবাহী বাসসহ সব ধরনের বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। শ্রমিকরা রাস্তায় টায়ার জালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানায়।

সোমবার রাত ১০টা থেকে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। রাস্তায় আটকে পড়ে বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক-পিকাপ। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।

হামলার ঘটনায় জড়িত একজনকে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে প্রশাসনের সাথে মটর শ্রমিক নেতৃবৃন্দের এক সমঝোতা বৈঠক শেষে বেলা পৌনে ৩টার দিকে অত্র সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো-চ-১১-০০২৪) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাইকগাছা বাসস্ট্যান্ড জিরোপয়েন্টে এসে পৌঁছালে বাসের শ্রমিকরা ভাড়ার টাকা নিয়ে তর্কাতর্কির জের ধরে জনৈক যাত্রীকে মারপিট করে জখম করে।

সেখানে উপস্থিত সাবেক সেনা সদস্য শেখ আলাউদ্দিন যাত্রীকে মারধরের প্রতিবাদ করতেই শ্রমিকরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং এক পর্যায়ে শ্রমিকরা আলাউদ্দিনকে লাঞ্ছিত করে। এ সময় জিরোপয়েন্টে টহলরত থানা পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিল।

শেখ আলাউদ্দিনকে মারধরের খবর পেয়ে তার ভাই শেখ সোহরাওয়ার্দীসহ ৫/৭ জন লোক এসে (খুলনা-মেট্রো-ব-৩৬) বাসের চালক রফিকুলকে একটি হোটেলের মধ্যে ফেলে বেধড়ক মারপিট করে চলে যায়।

শেখ আলাউদ্দিন জানান, শ্রমিকরা এক যাত্রীকে মারপটি করে রক্তাক্ত জখম করলে ওই যাত্রী ও তার স্ত্রী কান্নাকাটি করতে থাকে। ঘটনাটি দেখে আমি মারধরের কারণ জানতে চাওয়া মাত্র শ্রমিকরা আমাকেও মারধর শুরু করে।

স্থানীয় মটর শ্রমিক নেতৃবৃন্দ জানান, আহত বাসচালক রফিকুল মূলত ওই বাসের ড্রাইভার না, যে বাসে ঘটনার সূত্রপাত। সে কারণেই শ্রমিকরা বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিকদার আককাছ আলী বলেন, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হামলাকারী শেখ সোহরাওয়ার্দীকে দুপুরে বোয়ালিয়া মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কপিলমুনিতে গাজা বিক্রেতার ২ বছর কারাদন্ড

কপিলমুনি কাশিমনগর গ্রামের আহম্মদ আলী সরদারের পুত্র কামাল সরদার (৩৮) কে ৫ পুরিয়া গাজা'সহ পুলিশ আটক করে। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাকে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

পুলিশ জানায়, রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কামাল কপিলমুনি হাসপাতালের সামনে গাজা বিক্রয়ের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির এ.টি.এস.আই জাহান আলী হাতেনাতে ধরে ফেলে। পুলিশ তার নিকট থেকে ৫ পুরিয়া গাজা উদ্ধার করে।

সোমবার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও নিবাহী অফিসার মোহাম্মদ কবীর উদ্দিন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কামালকে ২ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।