Saturday, April 5, 2014

নির্মান কাজ শেষ না হতেই পাইকগাছা লোনা পানি কেন্দ্রের মসজিদের একাংশে ধ্বস

নির্মান কাজ শেষ হতে না হতেই পাইকগাছা লোনা পানি কেন্দ্রের মসজিদের একাংশে ধ্বস নেমেছে। নির্মান সামগ্রী নিম্নমানের হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মসজিদ সংশ্লিষ্ঠ মুসল্লিরা জানিয়েছেন। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা আশংকা করছেন।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, পাইকগাছা লোনা পানি কেন্দ্রস্থ মসজিদের নির্মান কাজ গত বছরের রমজান মাসের দিকে বাগেরহাটের মেসার্স আল্লার দান নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শুরু করে। একতলা বিশিষ্ঠ মসজিদের প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এদিকে নির্মান কাজ শেষ না হতেই মসজিদের সামনের একাংশ ভেঙ্গে পড়েছে এবং দেয়ালসহ ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটলও দেখা দিয়েছে।

মসজিদ নির্মানে কত টাকা বরাদ্ধ এবং কাজের ষ্টিমেট সম্বন্ধে জানার চেষ্ঠা করা হলে নির্মান সংশ্লিষ্ঠরা এ বিষয় এড়িয়ে গিয়ে বলেন ১৩ লাখ টাকা ব্যায়ে আর সিসি বিল্ডিং করা হবে তবে সঠিক বরাদ্ধ কত এই মুহূর্তে বলা সম্ভব হবে না বলে তারা জানান।

এদিকে গত কয়েকদিন আগের বৃষ্টিপাতে ছাদ দিয়ে পানি পড়েছে বলে মহিউদ্দীন নামে স্থানীয় এক যুবক জানিয়েছেন। এলাকার বিশিষ্ঠজনদের মধ্যে আনোয়ার ইকবাল মন্টু জানিয়েছেন, যেখানে লিন্টনের রড দেওয়ার কথা ৪ টি সেখানে দেওয়া হয়েছে ৩টি, সিমেন্ট বালুসহ অন্যান্য সামগ্রীও কম ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা এ্যাডঃ হুমায়ুন কাদির জানান, নির্মান কাজে ১২ মিলি সাইজের রডের স্থলে দেওয়া হয়েছে ৮ মিলি রড।

এ সমস্ত অভিযোগ সর্ম্পকে সংশ্লিষ্ঠ প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ নিম্নমানের কাজের কথা স্বীকার করে বলেন, যে অংশ খারাপ সে অংশ ভেঙ্গে রিপিয়ারিং করা হচ্ছে। তবে তিনি ঢালাও অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবী করেন। এদিকে বৃহৎ এ প্রতিষ্ঠানটির উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা মসজিদের নির্মান কাজের কতটুকু দেখভাল করছেন এ নিয়ে বিভিন্নমহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ?

পাইকগাছা সরঃ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে বিদ্যালয় চত্ত্বরে প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বানু ডলি’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান, প্রধান শিক্ষক অপু মন্ডল, অবঃ প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আলী মোড়ল, অবঃ অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম, আনোয়ার ইকবাল মন্টু।

উপস্থিত ছিলেন এ্যাডঃ শফিকুল ইসলাম কচি, আবুল হোসেন, কামরুল ইসলাম, অখিল চন্দ্র সরকার, রনজিৎ সরদার, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, শিক্ষক অজিত কুমার সরকার, মোঃ আব্দুল ওহাব, পঞ্চানন সরকার, প্রণব কুমার বিশ্বাস, মোঃ ফজলুল আযম, মৃণাল কান্তি রায়, মোঃ রোকনুজ্জামান, জিন্নাতুন্নেছা, নুরে আলম সিদ্দিকী, অরবিন্দু হাজরা।

অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাসমিয়া ইসলাম চাঁদনীকে বর্ষসেরা ছাত্রী হিসেবে রৌপ্য পদক প্রদান করা হয়।

পাইকগাছায় নকল সীমানা পিলারসহ আটক ৩

পাইকগাছায় অভিযান চালিয়ে নকল সীমানা পিলারসহ তিন প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গড়ইখালী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বাইনবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ উত্তম কুমার অভিযান চালিয়ে গড়ইখালী-বাসাখালী সড়ক থেকে উপজেলার খড়িয়া গোয়ালবাড়িয়ার চক গ্রামের বনমালীর ছেলে প্রশান্ত কুমার মণ্ডল (৩০), হাটবাড়ী গ্রামের বিরাট চন্দ্র রায়ের ছেলে বিভাস চন্দ্র রায় (২৫) ও ভড়েঙ্গারচক গ্রামের মিজানুর রহমান সানার ছেলে মিলন সানাকে (১৯) কথিত সীমানা পিলারসহ আটক করে।

পাচারকারী চক্রের সঙ্গে ক্রেতাদের মধ্য প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে কিন্তু উদ্ধার করা সীমানা পিলারটি আসল নয়, সিমেন্ট বালি দিয়ে তৈরি এবং নকল বলে জানিয়েছেন পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম. মসিউর রহমান।

পাইকগাছায় জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র শিকারীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, কাউন্সিলর এস,এম, তৈয়েবুর রহমান।

উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস, মুনছুর হাসান, আলাউল মোড়ল, হারাণ চন্দ্র ঢালী, স্বাস্থ্য সহকারী এস,এম, ইমদাদুল হক, শাহ আলম, মোঃ মুজিবর রহমান, নিভা ব্যানার্জী, চায়না রাণী মন্ডল ও লিপ্টন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার ২৬৫ কেন্দ্রে এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের টার্গেট ছিল ৬-১১ মাস বয়সের ২৭২৩ ও ১২-৫৯ মাসের ২২১৫৮ শিশু।