Saturday, June 29, 2013

রূপান্তরের পরিবেশনায় পাইকগাছা সদরে পটগান প্রদর্শনী

শনিবার বিকাল ৫টায় পাইকগাছা উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে শ্রমজীবী শিশুদের অধিকার রক্ষায় জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে রূপান্তর পদ্ধতির “শ্রমজীবী শিশুর” পটগানসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেভ দ্যা চিলড্রেনের সহযোগিতায় প্রদীপন আয়োজিত জাগরণ প্রকল্পের আওতায় রূপান্তর থিয়েটারের পরিবেশনায় এই পটগান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদুজ্জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল, পাইকগাছা পৌরসভার মেয়র মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহম্মেদ, প্রদীপনের নিবার্হী পরিচালক ফেরদৌসুর রহমান, ইসি সদস্য ফরিদা খানম। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন শিশু অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের সভাপতি এ্যাড. শফিকুল ইসলাম কচি।

অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত অতিথি ও দর্শকরা মনে করেন রূপান্তরের এই পটগান শ্রমজীবী শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রধান সহায়কের ভূমিকা পালন করবে। তারা এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিশুদের প্রতি তাদের দায়িত্ব-কর্তব্যর বিষয়গুলো সুস্পষ্ট ভাবে জানতে পেরেছে। যা তাদের শিশুদের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে আরো দায়িত্বশীল করবে।

হরতাল প্রত্যাহার করল শিবির

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও কয়েকটি পরীক্ষা থাকার কারণে রোববারের হরতাল প্রত্যাহার করেছে ছাত্রশিবির। একইসঙ্গে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিখোঁজ নেতাদের সন্ধান দাবি করেছে জামায়াতের অঙ্গসংগঠনটি।

শনিবার বিকেলে ছাত্রশিবিরের ভারপ্রাপ্ত প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টার নিখোঁজ নেতাদের সন্ধান ও আটক নেতাদের মুক্তি না দিলে আবারো হরতাল দেওয়া হবে।

পাইকগাছা পৌরসভার ১৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষনা

পাইকগাছা পৌরসভার ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষনা করলেন মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর। শনিবার দুপুরে দলিল লেখক মিলনায়তনে পৌর কাউন্সিলর, নাগরিকবৃন্দ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে মেয়র এ বাজেট ঘোষনা করেন। 

পৌরবাসীর সেবা নিশ্চিত করনের জন্য বাজেটে মোট আয় দেখানো হয়েছে ১৬ কোটি ১২ লক্ষ্ ৫১ হাজার ৪ শত ৩১ টাকা ৯৬ পয়সা, ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ কোটি ৮৩ ল ৭৯ হাজার ৭ শত ৭ টাকা ৮১ পয়সা এবং উদ্বৃত্ত দেখানো হয়েছে ২৮ লক্ষ ৭১ হাজার ৭ শত ২৪ টাকা ১৫ পয়সা।

পৌরবাসীর সুপেয় পানি সরবরাহের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার সহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে পৌরসভাকে রক্ষার জন্য শহর রক্ষা বাঁধ, সুপরিকল্পিত খাল খনন, ড্রেনেজ, ভেড়িবাঁধ নির্মান, বৃক্ষরোপন কর্মসুচি, শিক্ষা কার্যক্রমের প্রসার সহ একাধিক বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে এ বাজেটে।

বাজেট ঘোষনা কালে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল, মোঃ রবিউল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, সহকারী অধ্যাপক রমেন্দ্র নাথ সরকার প্রমুখ।

ব্রীজের টোল আদায়ের নামে "চুদুরবুদুর" চলবে না !

পাইকগাছা ও কয়রায় দু’টি ব্রীজের টোল বৃদ্ধি; যানবাহন মালিকরা বিপাকে

পাইকগাছা ও কয়রায় দু’টি ব্রীজের টোল বৃদ্ধি; যানবাহন মালিকরা বিপাকে

সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পাইকগাছার শিববাটী ও কয়রার চাঁদআলী ব্রীজের টোলের হার অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি করায় বিপাকে পড়েছেন যানবাহন মালিকরা। আগামী পহেলা জুলাই থেকে শিববাড়ি ও চাঁদআলী ব্রীজের ইজারাদার কর্তৃক নির্ধারিত বর্ধিত টোল আদায়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। 

পাইকগাছা থেকে কয়রা মাত্র ৩৩ কিলোমিটার সড়কে দু’টি ব্রীজের টোল দিতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খেতে হবে যানবাহন মালিকদের। এদিকে টোলের হার তুলনামূলক অনেক বেশি হওয়ায় অত্র সড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সড়ক ও জনপদ বিভাগ খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে সম্প্রতি শিববাটী ব্রীজের টোল আদায়ের যে তালিকা দেয়া হয়েছে তাতে একবার পার হলে ট্যাংক লরী-১৬০ টাকা, ট্রাক (৫ টন ও তদুর্ধ) ১৬০ টাকা, ট্রাক (৫ টনের নিচে) ১৪০ টাকা, বাস-১৪০ টাকা, কোষ্টার/মিনিবাস-৭০ টাকা, পিকআপ-৬০ টাকা, মাইক্রোবাস-৫৫ টাকা, জীপ/প্রাইভেট কার-৪০ টাকা, যন্ত্রচালিত থ্রি হুইলার-২০ টাকা, ভ্যান/রিক্সা-১০ টাকা ও মোটর সাইকেল-১০ টাকা করে।

খুলনা মিনিবাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ ক্ষোভের সাথে বলেন, পাইকগাছা থেকে কয়রা সদর মাত্র ৩৩ কিলোমিটার পথ। এই সামান্য দূরত্বে শিববাটী ও চাঁদআলী পৃথক দু’টি ব্রীজ রয়েছে। পাইকগাছা থেকে কয়রা যেতে (৭০+৭০)১৪০ টাকা ও ফিরতে একইভাবে ১৪০ টাকা মোট আসা-যাওয়া মিলে শুধুমাত্র ব্রীজের টোল বাবদ ২৮০ টাকা দিতে হবে। রাস্তায় যেহারে অবৈধ যানবাহন যেমন নসিমন-করিমন-ইজিবাইক ও মহেন্দ্র’র দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে, সেক্ষেত্রে যাত্রীবাহী বাসের যাত্রীর সংখ্যা কমে গিয়ে ইনকামও অনেক কমে গেছে। বর্তমান একটি যাত্রীবাহী বাস পাইকগাছা থেকে কয়রা ও কয়রা থেকে পাইকগাছা আসা-যাওয়া করে ওই বাসের মহাজন তো দূরে থাক বাসের চালকসহ অন্যান্য কর্মচারীর খোরাকী ও বেতনের টাকা রাখাও মুশকিল হয়ে পড়েছে।

২৯ জুন মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকী

২৯ জুন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে কেশবপুরের সাগরদাঁড়ির মধুসূদন একাডেমীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দুপুরে সাগরদাঁড়িস্থ মধুমূর্তিতে মাল্যদান, সন্ধ্যায় সাগরদাঁড়ির মধুমঞ্চে মধুসূদন স্মরণ সমাবেশ, সংবর্ধনা, মধধূগীতি ও দৃশ্যনাট্য।

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারী জমিদার পিতা রাজনারায়ন দত্ত ও মাতা জাহ্নবী দেবীর ঘরে। ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন কলকাতার আলীপুর হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

উল্লেখ্য, মধুসূদনের জন্মবার্ষিকী প্রতিবছর সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ৭ দিনব্যাপী মহা ধুমধামের সাথে পালিত হলেও তার মৃত্যুবার্ষিকীতে সরকারি ভাবে কোন কর্মসূচী না থাকায় মধুপ্রেমীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

পাইকগাছায় দু’দিনের সফরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী আখতার হোসেন শনি ও রোববার দুই দিনের সফরে পাইকগাছায় আসছেন। সফরকালে তিনি শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও সুধীসমাজের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হবেন।

দু’দিনের সফর উপলক্ষে ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিয়ুর রহমান জানান।

সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা; ৩ জনকে আসামী করে মামলা

পাইকগাছায় সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার একদিন পর থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় ৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৩/৪জনকে আসামী করা হয়েছে। আহত সাংবাদিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার গঙ্গারকোনা গ্রামের একান্ত রায়ের পুত্র ও দৈনিক গ্রামের কাগজের লতা প্রতিনিধি কৃষ্ণ রায় সম্প্রতি এলাকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের উপর কয়েকটি রিপোর্ট প্রকাশ করলে সন্ত্রাসীরা তাকে হুমকি প্রদর্শন করে আসছিল। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসীরা লাঠি-সোটা নিয়ে কাঠামারি বাজারে নাগরিক কমিটির অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে।

এসময় মিঠুন মন্ডল নামে এক যুবক ভাংচুর কাজে বাঁধা দিলে তাকে বেদম মারপিট করলে সাংবাদিক কৃষ্ণ রায় তাকে উদ্ধার করার চেষ্ঠা করলে সন্ত্রাসীরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বাহিরবুনিয়া গ্রামের ছহিল উদ্দিন গাজীর পুত্র সন্ত্রাসী রাজীব গাজী তার উপর হামলা চালিয়ে বেদম মারপিট করে মারাত্মক আহত করে।

পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে খবর পেয়ে পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি গাজী সালাম, ও সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর তাকে দেখতে হাসপাতালে যান। এ ঘটনায় শুক্রবার সাংবাদিক কৃষ্ণ রায় বাদী হয়ে রাজীব গাজী (৩০)কে প্রধান আসামী এবং কাঠামারি গ্রামের মহিউদ্দিন গাজীর পুত্র আল-আমিন গাজী, গঙ্গারকোনা গ্রামের বিধান সরকারের পুত্র বিপ্লব সরকার(২২) এর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে আসামী করে পাইকগাছা থানায় মামলা করেছে। যার নং-৫৮/১৩।

Friday, June 28, 2013

পৌরনীতিমালা উপেক্ষা করে পুকুরের উপর বহুতল ভবন নির্মান অব্যহত

পাইকগাছায় পৌর নীতিমালা উপেক্ষা করে অনুমোদন ছাড়াই পুকুরের উপর বহুতল ভবন নির্মাণ অব্যহত রেখেছে মার্কেট মালিক বাবু গাইন। অনুমোদন ছাড়াই মার্কেট নির্মাণের বিষয়টি জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উত্থাপিত হলেও কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে নির্মাণ কাজ অব্যহত থাকায় মার্কেট মালিকের খুঁটির জোর কোথায় এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। 

নির্মাণ কাজ বন্ধে ইতোমধ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ একাধিকবার নোটিশ প্রদান করলেও উল্টো পৌর কর্তৃপক্ষকে হয়রাণীমূলক মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে চলেছে সংশ্লিষ্ট মার্কেট মালিক। রানা প্লাজার মত অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পৌরবাসী।

সুত্রমতে, সরল গ্রামের মৃত কালিপদ গাইনের পুত্র কৃষ্ণপদ ওরফে বাবুগাইন পৌর নীতিমালা উপেক্ষা করে অনুমোদন ছাড়াই প্রধান সড়কের পাশেই তার বসতবাড়ীর পুকুরের উপর গত কয়েকমাস যাবৎ বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ অব্যহত রেখেছে।

নির্মাণ কাজ শুরু থেকে অদ্যবধি পৌর কর্তৃপক্ষ মার্কেট মালিককে নির্মাণকাজ বন্ধে একাধিকবার নোটিশ প্রদান করলেও কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে নির্মাণ কাজ অব্যহত রেখেছে। এব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষ গত মে মাসে জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি উত্থাপন করলে ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহিত হলেও অদ্যবধি কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় নির্মাণ কাজ অব্যহত থাকায় মার্কেট মালিকের ক্ষমতার জোর কোথায় এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এভাবেই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ক্ষমতার বলে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ভব ন নির্মাণ অব্যহত রাখলে ভবিষ্যতে পৌরবাসী আ্ইনের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলবে বলে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিল্ডিং কোড আইন বাস্তবায়নে অবিলম্বে নির্মানাধিন অবৈধ মার্কেট উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছে পৌরবাসী।

এ ব্যাপারে অনুমোদনের জন্য পৌরকর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়েছে বলে মার্কেট মালিক বাবু গাইন জানান। ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান।

পাইকগাছায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীর সংখ্যা বাড়ছে

মাদকে গ্রাস করেছে পাইকগাছা উপজেলার যুব সমাজকে। মাদক সেবনকারীর সংখ্যা দিন দিন যেমন হুঁ-হুঁ করে বাড়ছে, তেমনি ব্যবসায়ীর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে সমানুপাতিক হারে। পৌর এলাকা তথা উপজেলায় চিহ্নিত অসংখ্য স্পটে অনেকটা প্রকাশ্যেই বিকিকিনি চলছে ফেনসিডিল, গাঁজা ও হেরোইন। পৌর সদরে ভ্রাম্যমাণ মাদক বিক্রেতাও রয়েছে অনেক।

অভিযোগ রয়েছে, থানা পুলিশ এদেরকে গ্রেফতার তো দূরের কথা এসব মাদক বিক্রেতাদের মনের ভুলে ছুঁয়েও দেখে না। মাঝেমধ্যে খুলনা থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এসে অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রেতাদের গ্রেফতার করে থাকলেও তা শুধু ‘আই ওয়াশ’ বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। কেননা এলাকার মাদক সম্রাট হিসাবে চিহ্নিত যারা তারা বেশিরভাগ সময়ই থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

মাদক নিয়ে পাইকগাছায় প্রায়ই বিভিন্ন মুখোরোচক ঘটনা শোনা যায়। আর তার মূল কারণ হলো রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় ফেনসিডিলের বোতল। এলাকার অনেকের ধারনা মাদক সেবনকারীর তুলনায় এখানে ব্যবসায়ীর সংখ্যা হয়তোবা অনেক বেশি।

বর্তমানে মাদক নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে এক প্যাথলজি ব্যবসায়ীর নাম। সঞ্জিব মন্ডল (৩২) নামের ওই প্যাথলোজি ব্যবসায়ী গত ২৪ জুন সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার ভোমরা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রাম থেকে ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ সদর থানার এএসআই সফিকের কাছে ধরা পড়ে সাতক্ষীরা জেলহাজতে রয়েছে।

সাতক্ষীরা থানার এএসআই সফিক বলেন, দু’টি মোটর সাইকেলে চারজন প্রচুর পরিমান ফেনসিডিল নিয়ে যাচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে পথে তাদের গতিরোধ করা হয়। এসময় অন্য তিনজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ সঞ্জিব মন্ডলকে আটক করা হয়। এঘটনায় ধৃত সঞ্জিব মন্ডল ও তার সহযোগী প্রিন্স এর নামে থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া পালিয়ে যাওয়া তিনজনের মধ্যে অন্য দু’জন হলো শিমুল ও জায়গীরমহল গ্রামের ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক শরিফুল। তবে ধৃত সঞ্জিব মামলা দায়েরের আগে শিমুর ও শরিফুলের নাম গোপন করেছিল বলে এএসআই সফিক জানিয়েছেন।

পাইকগাছায় জমি লিখে না দেয়ায় মায়ের উপর পুত্রের হামলা

উপজেলার পল্লীতে জমি লিখে না দেয়ায় পুত্র কর্তৃক বৃদ্ধা মাতাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২২জুন বিকালে উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে অমানবিক ও ঘৃণিত এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ব্যাপারে বিধবা মরিয়ম বেগম (৬৫) বাদী হয়ে আদালতে অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, গোপালপুর গ্রামের মৃত ইছাক গাজীর স্ত্রী মরিয়ম বেগমের নামে ১০ কাঠা বিলান জমি রয়েছে। উক্ত জমি লিখে দেয়ার জন্য পুত্র আঃ সবুর গাজী (৪২) বহু আগে থেকে তার মা’র ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছে। মরিয়ম বেগম জমি লিখে না দেয়ায় গত ১৯ জুন পুত্র সবুর গাজী মরিয়ম বেগমের ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এতেও ক্ষান্ত হয়নি সবুর গাজী।

গত ২২জুন বিকেলে সবুর ও তার স্ত্রী-সন্তানেরা মিলে অসহায় বৃদ্ধা মরিয়ম বেগমকে বেধড়ক মারপিট করে। শেষমেশ বাধ্য হয়ে মরিয়ম বেগম গত ২৩ জুন উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পুত্র সবুর গাজী, পুত্রবধূ রেহানা বেগম ও সবুরের দু’কন্যা রিপা ও রেশমা খাতুনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমন জারী করেছেন এবং আগামী ১৪ আগষ্ট আদালতে হাজির হবার নির্দেশ প্রদান করেছেন।

পাইকগাছায় সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক আহত

পাইকগাছায় সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে সাংবাদিকের উপর হামলা চালিয়ে বেদম মারপিট করে মারাত্মক আহত করেছে। আহত সাংবাদিককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাঠামারি বাজারে।

সুত্রমতে, দৈনিক গ্রামের কাগজের লতা প্রতিনিধি কৃষ্ণ রায় সম্প্রতি ইউনিয়নের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের উপর প্রতিবেদন প্রকাশ করলে এরই জের ধরে ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক কৃষ্ণ রায় বাড়ীর পাশে কাঠামারি বাজারে অবস্থান করলে, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী রাজীব আকষ্কিক হামলা চালিয়ে জনসম্মুখে তাকে বেদম মারপিট করে মারাত্মক আহত করে। এসময় তাকে ধাওয়া করলে সে পার্শ্ববতী একটি বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে সন্ত্রাসীরা তাকে হুমকি প্রদর্শন করে। এ ব্যাপারে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিক জানান।

পাইকগাছায় জেলা প্রশাসক; ভূমি অধিগ্রহন এলাকা পরিদর্শন

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) এসএম অজিয়র রহমান পাইকগাছা পৌরসভাস্থ সরলখাঁ দীঘি, প্রস্তাবিত পৌর ভবন ও বাসটার্মিনালের ভূমি অধিগ্রহন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় ৩নং ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহীসরলখাঁ দীঘি, শিববাটিস্থ প্রস্তাবিত পৌরভবন ও বাসটার্মিনালের ভূমি অধিগ্রহন এলাকা এবং সর্বশেষ পৌর বাজারের শহর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন। পরে তিনি পৌর ভবনে মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিয়ুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোঃ আব্দুল লতিফ সরদার, ইদ্রিস আলী গাজী, কাজী নিয়ামুল হুদা কামাল, এসএম তৈয়েবুর রহমান, এসএম ইমদাদুল হক, আসমা আহম্মেদ, কবিতা রাণী দাশ,সাংবাদিক জিএরশিদ, আব্দুল আজিজ, পৌর সচিব তুষার কান্তি দাশ, প্রকৌশলী কামরুল আক্তার, উদয় শংকর রায়, আব্দুল মজিদ বয়াতী ও লুৎফর রহমান।

মতবিনিময়কালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করা হলে জেলা ভূমি অধিগ্রহন কমিটি প্রস্তাবিত পৌর ভবন ও বাসটার্মিনালের ভূমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়া অনুমোদন প্রদান করবে।

পরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ না করার ফলে যানজটসহ নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে নীতিমালা উপেক্ষা করে কেউ ভবন নির্মাণ করলে পৌর কর্তৃপক্ষ অবৈধ স্থাপনা হিসাবে তা ভেঙ্গে দিতে পারে বলে তিনি জানান।

সরল খাঁ দীঘি উন্নয়ন ও সংরক্ষন প্রসংগে তিনি ইতোপূর্বে ইজারাকৃত বন্দোবস্ত বাতিল পূর্বক পরিকল্পনা ও সুনিদৃষ্ট প্রস্তাবনা অনুযায়ী অগ্রসর হওয়ার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।

সেপ্টেম্বরে বাঘশুমারী শুরু; ২০০৪-এর গণনানুযায়ী বাঘের সংখ্যা ৪৪০

সুন্দরবনে বাঘের সঠিক সংখ্যা নিয়ে নানা রকম হিসেব-নিকেশ থাকতে পারে বলে মনে করছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। ২০০৪ সালে পায়ের ছাপ অনুসরণ করে তৈরীকৃত শুমারী অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৪৪০টি। 

পায়ের ছাপ একাধিকবার গণনায় আসার কারণে বাঘের প্রকৃত সংখ্যার তারতম্য ঘটে থাকতে পারে। ৪৪০টি বাঘের মধ্যে পুরুষ ১২১টি, স্ত্রী ২৯৮টি এবং ২১টি বাঘ শাবক রয়েছে। এসকল বাঘের মধ্যে সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগে ২৭১টি এবং পূর্ব বন বিভাগে ১৬৯টি বাঘ রয়েছে।

আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে ক্যামেরা ফাঁদের মাধ্যমে বাঘশুমারী অনুষ্ঠিত হবে। ওই সময় বাঘের সঠিক এবং প্রকৃত সংখ্যা জানা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বন বিভাগের সংশ্লিষ্টরা।

জোয়ারে পানি বৃদ্ধি, কয়রায় ৮৪ কি.মি. বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ

বৈরী আবহাওয়ায় সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় জনপদ কয়রায় সকল নদ-নদীতে জোয়ারের পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদীর ৮৪ কিঃমিঃ বেড়িবাঁধ চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চলতি পূর্ণিমার জোয়ারে বেড়িবাঁধের কোথাও কোথাও পানি উপচে পড়ায় বাঁধের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে ঘটতে পারে বিপর্যয়

পাউবো কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বারবার অবহিত করা হলেও বাঁধ রক্ষায় তারা এখন পর্যন্ত কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ইতমধ্যে এলাকাবাসী স্বেচ্ছশ্রমের ভিত্তিতে বেড়িবাঁধের ক্ষত-বিক্ষত জায়গায় মাটি ফেলানোর কাজ করলেও প্রচুর জোয়ারের চাপে তা কাজে আসছে না।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কয়রা সদর ইউনিয়নের ৪নং কয়রা কোজার, ৬নং কয়রা, ঘাটাখালি, হরিনখোলা, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের কাটকাটা, গাজীপাড়া, গাববুনি, শাকবাড়িয়া, কাশিরহাট, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চরামুখা, মেদেরচর, ঘড়িলাল, জোড়শিং, আংটিহারা, গোলখালি, মাটিয়াভাঙ্গা, মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালিয়া, লোকা, মঠবাড়ি পবনা, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ি, নয়ানি, শেখেরকোনাসহ অর্ধশত পয়েন্টে বেড়িবাঁধ চরম ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় চলতি পূর্ণিমার জোয়ারে বৈরী আবহাওয়ায় পানি লোকালয়ে প্রবেশের উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সকল স্থানগুলোয় বেড়িবাঁধে ভাঙন তীব্র হওয়ায় যেকোন মুহূর্তে বাঁধ ধসে গোটা এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা বোধ করছে এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, যে সকল স্থানগুলো ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে সেখানকার অধিবাসীরা পাউবোর কর্তৃপক্ষকে জানালে তাদের নিয়োজিত লোক দিয়ে দায়সারা গোছর কাজ করে বিল ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মাসাৎ করে থাকেন। যে জন্য বেড়িবাঁধের ঝুঁকি রয়েই যায়।

এ ব্যাপারে পাউবোর সাতক্ষীরা জোনের উপ-উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের পর কয়রা এলাকার বেড়িবাঁধের নীচু ও ক্ষতিগ্রস্ত পয়েন্টেগুলোর তালিকা প্রস্তুত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোন বরাদ্ধ ও নির্দেশনা না পাওয়ায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম হাসান জানান, ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।

পূর্ণিমার মুখে লঘুচাপ, পূবালীতে স্ফীত জোয়ার

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে এবং সঞ্চালনশীল মেঘের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। একই সাথে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আবহাওয়া বর্ষণমুখর হয়ে উঠছে। পূর্ণিমার মুখে পূবালী হাওয়ার প্রভাবে স্ফীত জোয়ারে উপকূলে অস্বাভাবিকভাবে পানি বেড়েছে।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে ভারতের মধ্য প্রদেশ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করায় ভারতে এক পক্ষের মধ্যে দ্বিতীয় দফা প্রবল বর্ষণের আশংকা দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে উত্তরখন্ডে প্রবল বর্ষণে এক হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। পরপর সৃষ্ট নিম্নচাপ ও লঘুচাপ ভারতের ওপর দিয়ে চলে যাওয়ায় মধ্য জুনের পর বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত অনেকটা কম হয়েছে।

আবহাওয়া বিভাগের রিপোর্টে গতকাল বলা হয় উড়িষ্যা এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে এখন মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, লঘুচাপের কেন্দ্র, বিহার, গাঙ্গেত্রীয় পশ্চিমবঙ্গ অতঃপর উত্তর পূর্ব দিক হয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল দিয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল রয়েছে।

আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয় রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল এবং সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আগামী শনিবার সব ব্যাংক খোলা

আগামী শনিবার ২৯ জুন দেশের সব ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বুধবার এক সার্কুলারের মাধ্যমে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, জুন মাসে জমা করা পে-অর্ডার ও চেক ৩০ জুনের মধ্যে নগদায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং করদাতাদের আয়কর জমা দেয়ার সুবিধার্থে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত সাপেক্ষে আগামী ২৯ জুন সব ব্যাংক খোলা থাকবে।

পাইকগাছায় চিংড়ী ঘেরে দুধর্ষ ডাকাতি; ৪ লাখ টাকার মালামাল লুট

পাইকগাছায় সন্ত্রাসী অধ্যুষিত লতার কাঠামারীতে একটি চিংড়ী ঘেরে দুধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ঘেরের লোকজনকে জিম্মি করে নগদ অর্থসহ ৪ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে বলে জানা গেছে।

সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিনগত রাত ২ টার দিকে ২৫/৩০ জনের অস্ত্রধারী ডাকাতদল উপজেলার লতা ইউনিয়নের মুকিত গাজীর কাঠামারি চিংড়ীঘেরের বাসায় প্রবেশ করে ঘুমিয়ে থাকা তিন কর্মচারী নূর ইসলাম, আলী ইমরাজ ও জনাব গাজীকে অস্ত্র ঠেকিয়ে বেঁধে রেখে ক্যাশবাক্স ও আলমারী ভাংচুর করে নগদ ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, ১২টি টর্চলাইট ও দু’টি মোবাইল লুট করে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে ওসি শেখ আবু বকরসিদ্দিক জানান এ ধরনের ঘটনার কোন খবর পাওয়া যায়নি, তবে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি জানান।

মাদক বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালিত

নেশা নয়, স্বাস্থ্যই হোক জীবনের নতুন প্রত্যাশা’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে বুধবার মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০১৩ পালিত হয়। দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য হলো মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার রোধকল্পে গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং গণজাগরণের মাধ্যমে মাদক বিরোধী সামাজিক আন্দোলনকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া।


Wednesday, June 26, 2013

কপিলমুনি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ৭ বছরেও পুনঃস্থাপন হয়নি

খুলনার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক কেন্দ্র পাইকগাছার কপিলমুনি টিএন্ডটি টেলিফোন একচেঞ্জ ৭ বছরেও পুনঃস্থাপন করা হয়নি। তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রাণালয়ে ১৪ বছর ফাইল বন্দি হয়ে পড়ে আছে ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ স্থা্পনের আবেদন।  

অপসরণ করা হলেও পুনঃস্থাপনের কোনো উদ্যোগ ৭ বছরে করা হয়নি। কপিলমুনি ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ না থাকায় শুধু আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নয় শিক্ষা, চিকিৎসা, বাণিজ্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে এ অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ। অপসারণের ৭ বছর অতিবাহিত হলেও এ পর্যন্ত তা পুনঃস্থাপন কিংবা উপজেলা ডিজিটাল এক্সচেঞ্জের সাথে অমত্মভূক্তি করা হয়নি। ফলে এখানকার গ্রাহকের কাছে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এখন শুধুই স্মৃতি।

সংশিস্নষ্ট সূত্রে জানা যায়, ষাষ্টের দশকে ভাড়া করা ভবনে মাত্র ২০টি সংযোগসহ উপজেলায় প্রথম কপিলমুনি টেলিফোন এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে কালের প্রবাহে আধুনিক কপিলমুনির ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক ও সাংস্কৃতিসহ নানাদিক প্রসারিত হওয়ায় আধুনিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার চহিদা বৃদ্ধি পায়।

যার ফলশ্রুতিতে এক্সচেঞ্জটি সিবি-১৪০ লাইনে উন্নিত করা হয়। কিন্তু তাতেও গ্রাহক চাহিদা মেটেনা। সে সময় আরো প্রায় দু’শতাধিক আবেদন পত্র ফাইলবন্দি ছিল সংশ্লিষ্ট দফতরে। তখন এ্যানালগ এক্সচেঞ্জে ১৪০টি লাইনের জন্য বোর্ড কর্ড ছিল মাত্র ৮টি। তাছাড়া অতিরিক্ত ওয়ার্কিং এর ফলে অধিকাংশ কর্ডই নষ্ট হয়ে যায়। সে কারনে সে সময় গ্রাহক সীমাবদ্ধ ছিল কপিলমুনির মধ্যে। এর বাহিরে জেলার সাথে যোগাযোগের জন্য ১টি ও.টি.ডি লাইন ছিল। তবে লাইন পেতে অপেক্ষা করতে হত ঘন্টার পর ঘন্টা। ঠিক এমতাবস্থায় গ্রাহক চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে তৎকালীনি কপিলমুনিতে ২০০ লাইন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ১টি ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ স্থাপনের জন্য পরিচালক (রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা) মনোয়ার হোসেন ২০০১ সালের ১৭ এপ্রিল একটি আবেদন পত্র (নং-এম-২৪-১৩/৯৮) সরকারের তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন।

ইতোপূর্বে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এলাকাবাসী বহু সভাসমাবেশ ও রাজপথে আন্দোলন করেছিল। গঠিত হয়েছিল আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটিও। কপিলমুনি ব্যবসায়ীক দিক দিয়ে গুরম্নত্বপূর্ণ হওয়ায় ৬টি মুঠোফোন কোম্পানির দ্রুত টাওয়ার স্থাপন করে মানুষের যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। কোনো রকম সেবা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এদিকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগামিত্মতে।

অন্যদিকে সাধারণ মানুষের অন্যান্য অভিযোগও কোম নয়। কিন্তু কপিলমুনি ভাড়া ঘরের সেই মন্দাতা আমলের এক্সচেঞ্জটি গত প্রায় ৭ বছর পূর্বে অপসারণ করা হলেও তা পুনঃস্থাপন বা উপজেলার সাথে অমত্মভূক্ত হয়নি। কপিলমুনিবাসীর কাছে টেলিফোন রিসিভার গুলিই এখন স্মৃতি। শুধু শান্তনা যে কপিলমুনিতে এক সময় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল এবং তারা তার গর্বিত গ্রাহক ছিলেন।

উল্লেখ্য, কপিলমুনি বাণিজ্যিক দিক দিয়ে পাইকগাছা উপজেলাকে নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি তালা, ডুমুরিয়া, দাকোপ, কয়রা, আশাশুনির বৃহৎ অংশকে রাজধানীসহ দেশের বাণিজ্যিক সদরের সাথে সরাসরি ব্যবসা-বাণিজ্যে সংযুক্ত করে। বাংলাদেশ বেতার থেকেও প্রচার করা হয় এখানকার বাজার দর। এছাড়া কপিলমুনিতে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক বীমা পোষ্ট অফিস, ডিজিটাল সাংবাদিক ফোরাম, প্রেস ক্লাব, রিপোটার ক্লাব থেকে শুরু করে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক, জাতীয় বার্তা সংস্থা এবং অনলাইন পত্রিকার প্রায় তিন ডজন সাংবাদিক কর্মরত আছেন। তাদের প্রতিমূহুর্তের সংবাদ প্রেরণ থেকে শুরু করে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ইন্টারনেটর পাশাপাশি টেলি-ফ্যাক্স প্রয়োজন হয়।

শিশু ধর্ষণের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনে বিধবা সুফলা শীল

পাইকগাছার কপিলমুনি গণশৌচাগারে শিশু ধর্ষণের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদকে পুঁজি করে একটি স্বার্থনেষী মহল বিধবা মহিলার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে বিধবা সুফলা শীল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় প্রেসক্লাব পাইকগাছায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার স্বামী কিনা শীল মারা যাওয়ার পর ৩/৪ মাস যাবৎ তিনি কপিলমুনি বণিক সমিতি সংলগ্ন স্বামীর চা’পট্টির দোকানটি পরিচালনা করে আসছেন। মাঝে মাঝে তার স্কুল পড়ুয়া ১০ বছরের ছোট মেয়েটি তার চায়ের দোকানে সহযোগিতা করে। বিষয়টি স্বার্থনেষী মহল সুনজরে দেখছে না।

গত ৭ জুলাই বাজারের গণশৌচাগারে শিশু ধর্ষণের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বানোয়াট নাটকের সৃষ্টি করে কুচক্রী মহল সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে। এ ব্যাপারে তিনি প্রকৃত সত্য ঘটনা উৎঘাটন করে প্রকাশ ও কুচক্রী মহলের হাত থেকে তার চা’পট্টির দোকান রক্ষায় প্রশাসনরে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে সুফলা শীলের পুত্র কৃষ্ণ শীল ও মোকন সরদারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পাইকগাছার মাদক ব্যবসায়ী ফেনসিডিলসহ সাতক্ষীরায় আটক

সাতক্ষীরা থানাপুলিশ ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ পাইকগাছার আলোচিত এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। আটক সঞ্জীব দীর্ঘদিন ধরে ডায়াগনষ্টিক ব্যবসার অন্তরালে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে বলে ইতোপূর্বে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

থানাপুলিশ সুত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে পাইকগাছা উপজেলার সৈকত ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী সঞ্জীব ও তার অপর ৩/৪ সঙ্গী দু’টি মটরসাইকেলযোগে সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে ফেনসিডিল ক্রয় করে বাড়ী ফেরার পথে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরার সদর পুলিশ তাদেরকে ভোমরা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকায় পাকড়াও করলে অন্যান্যরা পালিয়ে গেলেও মাদক ব্যবসায়ী সঞ্জীবকে ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ পুলিশ আটক করে। এ ঘটনায় সদর থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে বলে এএসআই শফিক জানান।

পাইকগাছায় নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি; পৌর বাজার প্লাবিত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে পাইকগাছায় নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পৌর বাজারসহ বিস্তৃর্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। 

জানা যায়, নিুচাপের প্রভাবে গত দু’তিনদিন যাবৎ পূর্ণিমার প্রবল জোয়ারের পানি বাঁধ উপচে এলাকায় প্রবেশ করছে। ওয়াপদার বাইরে অসংখ্য ছোট ছোট চিংড়ী ঘের প্লাবিত হয়ে নদীর সাথে একাকার হয়ে গেছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার দুপুরে শিবসা নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের উপচে পড়া পানি পৌর বাজারে প্রবেশ করে মাছ মার্কেট, পোনা মার্কেট, কাঁকড়া মার্কেট, থানা চত্ত্বরসহ কয়েকটি মার্কেট পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে ব্যবসায়িক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যহত হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

পৌর এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধ না থাকায় প্রতিনিয়ত এ ধরনের দূর্যোগ মোকাবেলা করতে হয় বলে মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান। পৌর শহরকে রক্ষা করতে অবিলম্বে শিবসা নদীর ধারে ফ্লাড ওয়াল নির্মাণের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

Tuesday, June 25, 2013

আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা বয়কট করলেন ১০ ইউপি চেয়ারম্যান

পাইকগাছায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা বয়কট করলেন ১০ ইউপি চেয়ারম্যান। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে।

সুত্রমতে, প্রতিমাসের ন্যায় সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে চলতি জুন মাসের উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভার শুরুতেই ইউপি চেয়ারম্যানরা বিগত কয়েকটি সভার এলাকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিরোধে গৃহিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন প্রসংগে থানাপুলিশের ভূমিকা জানতে চাইলে থানা পুলিশ সন্তোষজনক কোন উত্তর দিতে না পারায় তাৎক্ষনিকভাবে উপস্থিত সকল ইউপি চেয়ারম্যান একযোগে সভা বয়কট করেন।

উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে সোলাদানা ইউনিয়নের একাধিক মামলার আসামী খালিয়ারচক গ্রামের গোলক চন্দ্র মন্ডলের গ্রেফতার, কপিলমুনি ইউনিয়নের প্রতাপকাটি গ্রামের লাচ্চু ওরফে হঠাৎ বাবু’র সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ, গদাইপুর ইউনিয়নের ছদ্মবেশি বাবুকে আটক, রাড়ুলী ইউনিয়নের ইভটিজিং মামলার বাদীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, লতা ইউনিয়নে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, ও তদন্ত ছাড়াই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে জনৈক পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক প্রসিকিউশন প্রদান, এবং সর্বশেষ সম্প্রতি সন্ত্রাসী কর্তৃক লস্কর ইউনিয়ন পরিষদে হামলা ও ইউপি সদস্য এবং গ্রামপুলিশকে মারপিটের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামীকে গ্রেফতার না করার মত আলোচিত নানা বিষয় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় গৃহিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় দীর্ঘদিন ধরে ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে মতবিরোধ চলে আসছে।

এ ব্যাপারে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধের অভিযোগই সভা বয়কটের অন্যতম কারন বলে উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু জানান। এসব অভিযোগ বিষয়ে গত ৪ দিন পূর্বে হঠাৎ বাবুকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং গোলক উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছে বলে থানার ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিক জানান। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশের উপর হামলাকারীকে আটক করা হবে বলে ওসি (তদন্ত) ওমর ফারুক জানান।

পাইকগাছায় স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগে স্বামী আটক

পাইকগাছায় স্ত্রীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগে পুলিশ ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। থানাপুলিশ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের মৃত দুলাল সরকারের পুত্র হরিপদ সরকারের সাথে ১০/১২ বছর পূর্বে হরিণখোলা গ্রামের সুরোত চন্দ্র বেরাগীর কন্যা কাঞ্চন সরকারের বিবাহ হয়। ইতোমধ্যে তাদের পরিবারে দু’টি সন্তান রয়েছে।

ঘটনার দিন গত সোমবার দুপুরে হরিপদ বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রী কাঞ্চনের সাথে কথাকাটির এক পর্যায়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এসময় উত্তেজিত হয়ে স্বামী হরিপদ মারপিট ও নির্যাতন করলে ঘটনাস্থলেই স্ত্রী কাঞ্চনের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় কাঞ্চনের মা নীলা বৈরাগী বাদী হয়ে হরিপদকে আসামী করে পাইকগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পরেরদিন মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ঘাতক স্বামী হরিপদকে আটক করে।

এ ব্যাপারে থানার এসআই খালেক জানান ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে তার শরীরে ক্ষত চিহ্ন দেখে নির্যাতন করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

পাইকগাছায় বিদ্যুতের তার ছিড়ে গৃহবধু আহত

পাইকগাছায় বিদ্যুতের তার ছিড়ে শরীরে স্পৃষ্ট হয়ে এক গৃহবধু আহত হয়েছে। আহতকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। জানাযায়, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বান্দিকাটি গ্রামের মোসলেম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি নারিকেল গাছ পরিস্কার করার সময় গাছের একটি ডাব পাশে বিদ্যুতের জরাজীর্ন তারের উপর পড়লে মুহুর্তের মধ্যে তার ছিড়ে নীচে অবস্থান করা বাবলু গাজীর স্ত্রী মাহফুজা বেগম (৩৫) এর শরীরে স্পৃষ্ট হলে সে মারাত্মক আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা প্রদান করে।

আগামীকাল আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস

আগামীকাল বুধবার মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০১৩ পালিত হবে। দিবসটি পালন উপলক্ষে খুলনাতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘নেশা নয়, স্বাস্থ্যই হোক জীবনের নতুন প্রত্যাশা’।


আগামীকাল সকাল সাড়ে আটটায় সার্কিট হাউজ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করবে। সকাল ন’টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জলিল। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও বিভিন্ন এনজিওদের সহযোগিতায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।

Voice of Paikgacha-এর লোগো

এগিয়ে চলার পথে, একটি অফিসিয়াল লোগোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি আমরা। অনেক চিন্তা-ভাবনা করে নিন্মোক্ত লোগোটি ডিজাইন করার চেষ্টা করেছি। Voice of Paikgacha-এর লোগো হিসেবে এটি ব্যবহার করা যায় কি ? আপনার মতামত জানান। অনুগ্রহ করে, কোন ভুলত্রুটি থাকলে সেটি আমাদের দৃষ্টিগোচর করবেন।


পাইকগাছায় শতাধিক বছরের ইউনিয়ন ভূমি অফিসের বেহাল দশা

কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে শত বছরের পাইকগাছার সোলাদানা ইউনিয়নের ভূমি অফিসটির বেহাল অবস্থা। এমনকি সংস্কার বা পরিত্যাক্ত ঘোষণার ব্যাপারিও কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা নেই। জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করছে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ভূমি সংক্রান্ত কাজে আসা লোকজন। যে কোন মুহুর্তে ভবন ধসে ঘটতে পারে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা।

জানা গেছে, উপজেলার সোলাদানায় জমিদার নরেন্দ্রনাথ মিত্রের দ্বিতল ভবনে কর-খাজনা আদায়ের জন্য স্থাপিত হয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম। এই ভূমি অফিসটির বর্তমান বয়স প্রায় ১০৫ বছর। দ্বিতল ভবনে রয়েছে ৭টি কক্ষ। সম্প্রতি ৭টি কক্ষের মধ্যে ৬টি কক্ষ ভেঙ্গে পড়েছে। বাকী একটি কক্ষে জীবনের ঝুকি নিয়ে ভূমি (তহশীল) অফিসের কার্যক্রম চলছে। যা ভেঙ্গে পড়ে যে কোন মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা।

এ ভূমি অফিসে কর্মরত রয়েছেন ২ জন কর্মকর্তা, ২ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। প্রতিদিন এ অফিসে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসেন লোকজন। জন্ম থেকে ভবনটি সংস্কার না করায় বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ভবনটি এক পাশে হেলে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলে অফিসের মূল্যবান কাগজপত্র পলিথিন দিয়ে মুড়ে রাখতে হয়। সে কারণে অতিশীঘ্রই ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে অন্যত্রে অফিসটি স্থানান্তর করার জন্য ইউনিয়নবাসী সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা লতিফা আক্তার জানান, জীবনের ভয়ে ভবনের একটি পাশে একটি গাছের তলায় অফিস করছি। বহুবার কর্তৃপক্ষের নিকট পত্র প্রেরণ করেও কোন সুরাহা হয়নি। সোলাদানা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এস,এম, এনামুল হক জানান, আমি উপজেলা সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

দেলুটী ইউনিয়ন পুনরায় খুলনা-১ আসনভুক্ত

উপজেলার দেলুটী ইউনিয়ন ফের খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসন অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে অত্র দেলুটী ইউনিয়নসহ উপজেলাবাসীর মাঝে। কেননা উপজেলা পাইকগাছা, অথচ সাংসদ অন্য উপজেলায় হওয়ায় অফিসিয়ালসহ বিভিন্ন কাজকর্মে নানা ভোগান্তির স্বীকার হতে হয় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত দেলুটী ইউনিয়নবাসীকে।

উল্লেখ্য, বিগত ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে খুলনা-৬ আসন অন্তর্ভূক্ত পাইকগাছার দেলুটী ইউনিয়নকে খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) সংসদীয় আসনে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল। যদিও এ নিয়ে এলাকায় পক্ষে-বিপক্ষে দু’টি গ্রুপ সক্রিয় ভূমিকায় অবস্থান নেয়। পরে এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক গত ৮ ফেব্রুয়ারি দেলুটীকে খুলনা-১ সংসদীয় আসন থেকে স্থানন্তার করে খুলনা-৬ আসনে বহাল রাখার নির্দেশ দেন। সে সময় এ খবর শুনে এলাকাবাসী আনন্দ মিছিল বের করে ও মিষ্টি বিতরন করে।

শেষমেশ দেলুটীর জনৈক ব্যক্তির রীট আবেদনের প্রেক্ষিতে আবারও দেলুটীকে খুলনা-১ সংসদীয় আসন অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে এমন খবরে শুধুমাত্র দেলুটীতে নয় গোটা উপজেলাবাসীর মাঝে এক ধরনের অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। খুলনা-৬ সংসদীয় আসনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেলুটীকে বহাল রাখার ব্যাপারে জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

পাইকগাছায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা আদায়

ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক পৌর বাজারের খুচরা মাছ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ওজনে কম দেয়ার অভিযোগে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে মাছের চান্দিনাসহ বিভিন্ন খাবারের দোকানে অভিযান চালিয়ে নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ুর রহমান ও বিএসটিআই’র পরিদর্শক মিঞা মোঃ আশরাফুল আলম।

কয়রায় ওয়ারেন্টভূক্ত ৬ আসামী আটক

থানা পুলিশ এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৬ জন ওয়ারেন্টের আসামীকে আটক করেছে। জানা গেছে, থানা পুলিশের এস আই নাজমুল, ফেরদৌস ও এ এস আই আবু সুফিয়ান গত ২২ জুন রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্টভূক্ত ৬ জন আসামী আটক করেন।

আটককৃতরা হলো উপজেলার বামিয়া গ্রামের নাজমুল মোড়ল, আলতাফ গাজী, মোসলেম গাজী, কাশেম সরদার, মুনছুর গাজী ও বাবর আলী গাজী। তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। এছাড়া, গত শুক্রবার এস আই নাজমুলের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে কয়রা এলাকা থেকে ২শ’ গ্রাম গাঁজাসহ ২ জনকে আটক করা হয়।

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মৎস্য নিধন; জলজ সম্পদ হুমকির মুখে

সম্প্রতি পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকার বিভিন্ন খালে বিষ পাউডার প্রয়োগের মাধ্যমে মৎস্য নিধন করছে। এতে করে বাংলাদেশের লবন পানির মৎস্য সম্পদ হুমকি মুখে পড়েছে। জানা গেছে, এক শ্রেনীর অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা কতিপয় বন রক্ষিদের সহযোগীতায় নির্বিঘ্নে একাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

জেলেদের সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের গেওয়াখালী, বিদ্যাবতী, চিন্তামনী, পাতকোষ্টা, ব্যাসে, ভ্রমরখালী, ঝালি, কাগা, ম্যাটি সাতক্ষীরা রেঞ্জের দোবাকী ও কুনচী সহ অভয়রন্যের বিভিন্ন খালে ও বিষ প্রয়োগ করে মৎস্য নিধন করে চলেছে। স্থানীয় বন টহল ফাঁড়ির বন কর্মচারীদের সাথে চুক্তিতে অসাধু মৎস্য বস্যবায়ীরা নির্বিঘ্নে সুন্দরবনের সম্পদ ধ্বংস করে চলেছে।

জেলেরা জানায় তারা (৭ দিনে ১ গোন) প্রতি গোনমুখে বন বিভাগ থেকে পাশ পারমিট নিয়ে ৭ দিনের জন্য বনে মাছ ধরতে যায়। ভরাগোনের ৭ দিনে মাছ ধরে লোকালয়ে ফিরে আসে। বাকী ৭ দিন মরাগোন। মরাগোনের ৭ দিনে ছোট মাছ গুলো বড় হয়। পরবর্তী গোনে মাছগুলি পরিপূর্ন বয়স হলে জেলেবা পুনরায় পাস পারমিট করে বনে ঢুকে সে মাছগুলো ধরে থাকে। এভাবেই চলে জেলেদের মাছ ধরা। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা গোনমুখে মাছ ধরে আর লোকালয়ে ফিরে আসে না। এরা অসাধু বন কর্মচারীদের সাথে সক্ষতা করে পাস পারমিট ছাড়াই বনে থেকে বিষ পাউডারের মাধ্যমে মাছের ডিম থেকে শুরু করে বড় ছোট সব মাছগুলো মেরে ফেলে। পেশাদার জেলেরা পরবর্তী গোনে মাছ ধরতে গেলে যে খালে বা এলাকায় বিষ প্রয়োগ করা হয়, ঐ এলাকার খালে আর মাছ পাওয়া যায় না। কারণ মাছের ডিম থেকে শুরু করে ছোট মাছগুলো মেরে ফেলার ফলে মাছের উপস্থিতি কমে যায়।

বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ ধরার পদ্ধতি : অসাধু জেলেরা প্রথমত যে এলাকায় বিষ প্রয়োগ করবে সে এলাকার খাল নির্বাচন করে। যে খালে বেশি মাছের উপস্থিতি সেই খালকে বেছে নিয়ে পরিপূর্ণ জোয়ারে কিছু টা আগে একটি খালের মাঝ বরাবর জোয়ারের স্রোতে সাদা রঙের শুকনা বিষ পাউডার পানির স্রোতে ছেড়ে দেয়। ৩/৪ কেজি পরিমান পাউডার ছেড়ে দিলে স্রোতের গতিতে পাউডার খাল ও বন সংলগ্ন ঝরানির সমস্ত জায়গায় মিশে মুহুর্তের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির জলজ সম্পদের মাছের ডিম থেকে শুরু করে রেণু পোনা, বড় মাছ, ছোট মাছ, কাঁকড়া, কুঁচে, সাপ, বাঙস, কীট পতঙ্গ থেকে শুরু করে পানিতে বাস করা সকল প্রাণী মরতে শুরু করে। এবার জোয়ারের পানি ভাটায় নামতে শুরু করার সাথে সাথে বিষ প্রয়োগ কারীরা খালের মাঝ বরাবর সুক্ষ ক্ষদ্রাকৃতি (নিষিদ্ধ নেটজাল) পেতে দেয়। পানির স্রোতের সাথে বিষ ক্রিয়ায় মরা, আধামরা জলজ প্রাণীগুলো জালে এসে আটকে যায়। জেলেরা শুধুমাত্র মাছগুলি নিয়ে বাকী জলজ প্রাণী গুলো নদীতে ফেলে দেয়।

এভাবে প্রতিনিয়ত হত্যা করা হয় শত শত প্রজাতির জলজ সম্পদ গুলো। কয়রা উপজেলা সুন্দরবন মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি সরকার লুৎফর রহমান জানান, উপকূলীয় এ জনপদের গরীব শ্রেণীর শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ সুন্দরবনে মৎস্য ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে কতিপয় অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা বেশি টাকা আয়ের লক্ষ্যে গরীব জেলেদের দিয়ে সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করছে। এতে করে সুন্দরবনের শুধু মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে না, ধ্বংস করা হচ্ছে গরীব শ্রেণীর পেশাদার জেলেদের মুখের আহার। সেই সাথে ধ্বংস করা হচ্ছে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের জলজ প্রাণীগুলি। মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ জামাল উদ্দীন মোড়ল জানান, যে খালে বিগত গোনে ৩০০ কেজি মাছ পাওয়া গেছে। পরবর্তী গোনে একই খালে মাত্র ৪০ কেজি মাছ পাওয়া গেছে। এতে করে জেলেদের পেট চালানোও দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

মৎস্য ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষ দিয়ে মাছ নিধন যোগ্য বন্ধ না হলে ব্যবসা ছেড়ে দিব। এব্যাপারে জানতে চাইলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল হক জানান এধরনের ঘটনা খুবই উদ্বেগ জনক। তবে এব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ সহ বিষ প্রয়োগকারী মৎস্য ব্যবসায়ীদের বনে ঢোকার পাশ পারমিট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

কয়রায় বাগালী ইউপি'র প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন সম্পন্ন

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বহু কাঙ্খিত কয়রা উপজেলার বাগালী ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন কে ঘিরে গত ১৫ দিন যাবৎ উভয় প্যানেলের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল। ফলে পুলিশ মোতায়নের মাধ্যমে রবিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষে ইউনিয়নটির নির্বাচিত ইউপি সদস্যদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে বাগালী ইউপি’র ৪, ৫ ও ৬ সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য মিসেস রাশিদা পারভীন প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। তার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা- ৬। অপর দিকে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী যুবদল নেতা ইউপি সদস্য মোঃ আশরাফ হোসেন (পল্টু) পেয়েছেন-৫ ভোট।

উল্লেখ্য, নাশকতা মূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের মামলায় ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মোঃ ওলিউল্লাহ সদ্য বরখাস্ত হওয়ায় ইউনিয়নটিতে চেয়ারম্যানের পদটি শূণ্য দেখা দিলে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা চলে আসে। সে মোতাবেক সদ্য নির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যান ইউনিয়নটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবে।

এদিকে জামায়াতের মামলায় ইউনিয়নটির ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম জেল খানায় রয়েছে। ফলে ঐ জনপ্রতিনিধির অনুপস্থিতিতে ১১ ইউপি সদস্য ও সদস্যাদের সরাসরি ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে গত বুধবার নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষে ইউনিয়নটির প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন হলে উভয় প্যানেল ৫ ভোট করে পায়। নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের পরপরই নির্বাহী কার্য্যালয়ের বাহিরে উভয় প্যানেলের সমর্থকদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ফলে পুনরায় নির্বাচনের দিন ধার্য্য হলে এই ভোট কে কেন্দ্র করে উপজেলা সদর সহ আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের বাজার-ঘাটে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

পাইকগাছায় স্প্রিং বাংলাদেশের ২দিন ব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালা সম্পন্ন

পাইকগাছায় স্প্রিং বাংলাদেশ (ডাক দিয়ে যায়) সংস্থার উদ্যোগে অত্যাবশ্যকীয় পুষ্ঠি ও স্বাস্থ্য কার্যক্রম এবং বসতভিটার সবজি চাষ বিষয়ক ২ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। রোববার সকালে হরিঢালী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে পিএফপি মোঃ আবু মোজাফফর মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শুকলাল বৈদ্য। উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন ফ্যাসিলেটর দেবাশীষ রায় ও মেহেদি হাসান। 


অনুষ্ঠানে কমিউনিটি ক্লিনিক ম্যানেজমেন্ট কমিটির ২০ জন সদস্যকে প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য ইতোমধ্যে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রশিক্ষন সম্পন্ন হয়েছে।

Sunday, June 23, 2013

বাঁকা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের শতাধিক বছরের শিরিষ গাছের ডালপালা কর্তন

পাইকগাছায় বাঁকা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অভ্যন্তরে শতাধিক বছরের শিরিষ গাছের ডালপালা কেটে বিক্রি করে সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেছে স্বাস্থ্য সহকারী সমীরণ কুমার মন্ডল। এলাকাবাসী এ ঘটনায় তদন্ত পূর্বক স্বাস্থ্য সহকারী সমীরণ কুমারের শাস্তির দাবী জানিয়েছে।

জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার বাঁকা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর তৎকালীন সময় সরকারীভাবে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করে। বর্তমানে একটি শিরিষ গাছ যার আনুমানিক বয়স শতাধিক বছর। উক্ত গাছের আনুমানিক মূল্য দেড় লক্ষাধিক টাকা। গত বৃহস্পতিবার বিকালে সেই গাছের ডালপালা কেটে বাঁকা বাজারের আদি ঘোষ ডেয়ারীর মালিক রমেশ চন্দ্র ঘোষের নিকট ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে স্বাস্থ্য সহকারী সমীরণ কুমার মন্ডল এবং গাছের বড় লগগুলি কোথায় রেখেছেন তা জানা যায়নি।

এ ঘটনায় এলাকার জনসাধারণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সহকারী সমীরণ কুমারের কাছে জানতে চাইলে তিনি দম্ভের সহিত বলেন, "আমি সরকার দলীয় লোক। আমার অধীনে কি আছে না আছে তা আমি কারও কাছে কৈফিয়ত দিব না।" এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ আবুল ফজল বলেন, "আমি আপনাদের মাধ্যমে এই মাত্র বিষয়টি জানতে পারলাম। আমি শীঘ্রই এর ব্যবস্থা নিব।"

পাইকগাছায় আউট ক্যাম্পাস খোলার অভিযোগ

পাইকগাছায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা উপেক্ষা করে হাজী ওয়াজেদ আলী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের (বিএড) নাম ব্যবহার করে আউট ক্যাম্পাস খোলার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরা সরকারী পাইনিয়ারের শিক্ষক ইদ্রিস আলী (সবুজ), লক্ষ্মীখোলা কলেজিয়েটের মাধব আনন্দ, পাটকেলপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাফিজ আল-আমিন নামে ৩ শিক্ষক সাতক্ষীরার হাজী ওয়াজেদ আলী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের নাম ব্যবহার করে পাইকগাছার ৪৫ নং সরণখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আউট ক্যাম্পাস খোলে।

ঘটনার দিন শুক্রবার সকালে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সংশ্লিষ্টরা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বিএড পরীক্ষার কোচিং করানো হচ্ছে বলে জানালেও প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছে হাজী ওয়াজেদ আলী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের নাম ব্যবহার করা একটি করে প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। পরীক্ষার বিষয় ছিল সমাজিক বিজ্ঞান (নিয়ন্ত্রন) যার কোড নং-৩৬৯। এছাড়াও প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পাশে বই খুলে লিখতে দেখা যায়। এ ব্যাপারে পরীক্ষার্থী আলীম, কাকলী বাইন, শ্যামলী ও অঞ্জনা রাণী জানান তারা সকলেই হাজী ওয়াজেদ আলী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষার্থী। কলেজে যাতায়াতের খরচ বাঁচানোর জন্য কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রাইভেট ভাবে এ পরীক্ষা দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে শিক্ষক ইদ্রিস আলী (সবুজ) জানান, পরীক্ষার্থীরা সকলেই আত্মীয় স্বজন এজন্য তাদেরকে বিএড কোচিং করানো হচ্ছে। পাইকগাছায় কোন আউট ক্যাম্পাস খোলা হয়নি এবং উল্লেখিত শিক্ষকদের চেনেন না বলে হাজী ওয়াজেদ আলী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ নাজিরুল ইসলাম জানান। তবে তিনি পাইকগাছার কয়েকজন শিক্ষার্থীর অন্য পরিচয়ে ভর্তির কথা স্বীকার করেন।

অতিবর্ষণে পাইকগাছার তিল চাষিরা বিপাকে

বৃষ্টির কারনে ক্ষেতে পানি জমে গাছ মারা যাওয়ায় জেলার পাইকগাছার তিল চাষিরা বিপাকে পড়েছে। তিল চাষে বিনিয়োগকৃত টাকা ফিরে না পাবার আশংকায় কৃষদের মুখের হাসি মলিন হয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি খরিপ মৌসুমে উপজেলায় ১২০হেক্টর জমিতে তিল চাষ হয়। চলতি তিল চাষ মৌসুমে উপজেলার সবজির আবাদ পরিচিত লবনাক্ত দেলুটি ইউনিয়নেই ১০০ হেক্টর, গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি ও রাড়ুলী ইউনিয়নে ২০ হেক্টর তিলের আবাদ হয়েছে। আবাদ শুরুতে আবহাওয় সহায়ক ছিল। গাছে ফলও ভাল ধরেছিল। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহের বৃষ্টিতে তিলক্ষেত পানিতে তলিয়ে যায়। গাছের গোড়া পচে অধিকাংশ গাছ মরে গেছে। দেলুটী একালার কৃষক প্রমথ মন্ডল, সুব্রত মন্ডল ও অখিল মন্ডল জানান, শুরম্নতে তিলের আবাদ খুব ভাল ছিল। কিন্তু বৃষ্টি তাদের সব আশা মাটি করে দিয়েছে। ক্ষেতে বেঁচে থাকা ছড়ানো ছিটানো যে গাছ বেঁচে আছে তার থেকে খরচের অর্ধেক টাকাও ফিরে পাবে না। এতে এলাকার তিল চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বিভাষ চন্দ্র সাহা জানান, চলতি মৌসুমে প্রথম দিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তিলের বাম্পার ফলনের আশা ছিল। কিন্তু অতিবৃষ্টিতে তিলক্ষেতে পানি জমে গাছ মরে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আবাদের ৫০ ভাগ তিল ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটা লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর-প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং লঘুচাপের কেন্দ্রের হয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল দিয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারী ধরনের সক্রিয় রয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

সুশীলনের সপ্তাহব্যাপী দর্জি বিজ্ঞান ট্রেনিং কর্মশালা সম্পন্ন

পাইকগাছায় সুশীলন সুন্দরী প্রকল্পের উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী দর্জি বিজ্ঞান ট্রেনিং কর্মশালার সমাপনি অনুষ্ঠান গত বৃহস্পতিবার উপজেলা গড়ইখালী ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কনসার্ন ওয়াল্ড ওয়াইড ও বন বিভাগের সহায়তায় সমাপনি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস, প্রশিক্ষন ছিলেন শাহীন শেখ। উপস্থিত ছিলেন সুন্দরী প্রকল্পের এসএম এ রব, সকল ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে ২০ জন পেশাজীবী পরিবারের সদস্যকে প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়।

অপরদিকে দুপুরে একই স্থানে ইউডিএমসি কমিটির দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক ছিলেন মাসুম বিল্লাহ। এছাড়াও বিকালে ইউডিএমসি’র কমিটির দ্বিবার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পাইকগাছায় ভূমি কমিটির ত্রৈমাসিক সভা

পাইকগাছায় উপজেলা ভূমি কমিটির ত্রৈমাসিক সভা শনিবার দুপুরে উত্তরণ পাইকগাছা কেন্দ্রে উপজেরা ভূমি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় বক্তব্য রাখেন শেফালী খাতুন, এ্যাড. আব্দুর রশিদ, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, আজমল হোসেন, উদয় শংকর রায়, এ্যাড. রেখা রাণী বিশ্বাস, সাংবাদিক স্নেহেন্দু বিকাশ, এসএম আলাউদ্দিন সোহাগ, পারুল রাণী মন্ডল, আব্দুর রাজ্জাক, জোবেদা খাতুন, শাহিদা আক্তার, মুর্শিদা বেগম, বুলু রাণী সরদার, মারুফা খাতুন। উত্তরণের সেন্টার ইনচার্জ শাহাবুদ্দিন মোড়ল ও আবুল কালাম আজাদ।

Saturday, June 22, 2013

কপিলমুনিতে ধর্ষিত শিশুকে অপহরন করতে পারে মোকন বাহিনী

পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির বহুলালোচিত ১০ বছরের স্কুল ছাত্রী ধর্ষিতার নায়ক কপিলমুনি বণিক সমিতির ইজারাদার লম্পট মোকন কৌশল হিসাবে বা ধর্ষনের ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে জনৈক নজরুল সহ ৩ পাতি নেতাকে সাথে নিয়ে চা পর্ট্টির মধ্যে ভিকটিমের মায়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার নাটক করেছে। 

অন্যদিকে শিশু ধর্ষনের পর থেকে চা পর্ট্টির মধ্যে ধর্ষক মোকনের নিজস্ব একটি বাহিনী সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অবস্থান করছে। ভিকটিম পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে না পারে। এদিকে দাবি উঠেছে ধর্ষক মোকনের গ্রেফতার ও শাস্তির। একইভাবে ভিকটিমকে এখনই প্রশাসনের হেফজতে না নিলে যে কোন সময় ধর্ষক মোকন বাহিনী অপহরন করে নিয়ে যেতে পারে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। বিষয়টি নিয়ে কপিলমুনি এখন সরগরম অবস্থা।

সরেজমিনে ও বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, শিশু ধর্ষনের ঘটনাটি প্রথমে প্রচার করে ভিকটিমের মা। ঘটনার পরপরই সে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে নানান ব্যক্তি ও সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে। ঘটনার রাতেই বসে বণিক সমিতিতে শালিশ বৈঠাক। ঘটনার সত্যতাও পাওয়া যায়। স্থানীয় কপিলমুনি ফাঁড়ির দারোগা আব্বাস আলীকে অবহিত করা হলেও অজ্ঞাত কারনে তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি। প্রশ্ন উঠেছে ঘটনা স্থল থেকে পুলিশ ফাঁড়ির দুরাত্ব মাত্র ২/৩ শ গজ।

ধর্ষক মোকনের রেকর্ডকৃত ভাষ্যমতে জানা যায় ঘটনাটি সত্য নয়। সে দিন কি ঘটেছিল জানতে চাইলে সে সঠিক কোন জবাব না দিয়ে বলে, আমার ৩টি মেয়ে। কেন মাফ চাওয়া হলো জানতে চাইলে সে ৩ নেতার নাম উল্লেখ করে বলে, তাদের চাপের কারনে ঘটনার জন্য মাফ চেয়েছি। প্রকৃত ঘটনাও সে বলতে উচ্ছুক নয়। তবে কপিলমুনি সহ ঘটনা স্থলের আশপাশের মানুষ চায় এই ঘটনার সঠিক তদন্ত সহ লম্পট মোকনের গ্রেফতার ও বিচার।

হরিঢালীর জনপ্রিয় চেয়ারম্যান এস,এম রফিক উদ্দিন আর নেই

পাইকগাছা উপজেলার ১নং হরিঢালী ইউপি’র একাধিক বার নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান সরদার রফিক উদ্দিন (৭১) শনিবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তার মৃত্যুর সংবাদ হরিঢালীতে পৌছানোর পর মুহুর্তের মধ্যে ইউনিয়ন জুড়ে নেমে আসে ছোকের ছায়া। জনপ্রিয় এই চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। 

পরিবারিকভাবে জানানো হয়েছে, সিঙ্গাপুর থেকে মরহুমের মরদেহ একটি ফ্লাইটে নিয়ে আসা হচ্ছে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে পিতা-মাতার কবরের পাশে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, মরহুম এস,এম রফিক উদ্দিন একজন শিল্পপতি। তিনি জীবদ্দশায় মাদ্রাসা, মসজিদ, এতিমখানা, স্কুল, কলেজ সহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন। এছাড়া উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম ফুরফুরা শরীফের প্রতিষ্ঠিত মুজাদ্দেদ মিশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও হরিঢালী-কপিলমুনি পার্শ্ববর্তী গ্রাম শাখার সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এদিকে সরদার রফিক উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন কপিলমুনির বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

পাইকগাছা-কয়রা রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধের উপক্রম

শিববাড়ি ও চাঁদআলী ব্রীজের ইজারাদার কর্তৃক নির্ধারিত টোল আদায়ের ফলে বিপাকে পড়েছে যাত্রীবাহী বাসসহ যানবাহন সংশ্লিষ্টরা। পাইকগাছা-কয়রা মাত্র ৩৩ কিলোমিটার সড়কে দু’টি ব্রীজে টোল দিতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন বিশেষ করে যাত্রীবাহী বাসের মালিক ও কর্মচারীরা। কেননা আয়ের তুলনায় খরচ অনেক বেশি, সেহেতু অত্র সড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সড়ক ও জনপদ বিভাগ খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে সম্প্রতি চাঁদআলী ব্রীজের টোল আদায়ের যে তালিকা দেয়া হয়েছে তাতে একবার পার হলে হেভী ট্রাক/ট্যাংকলরী-১৫০ টাকা, বড় বাস-৮০ টাকা, মিডিয়াম ট্রাক/মিডিয়াম বাস-৭০ টাকা, মাইক্রোবাস/ছোট ট্রাক-৪০ টাকা, ইউটিলিটি ভেহিক্যাল/পিকআপ/জীপ-১৫ টাকা, প্রাইভেট কার- ১৫ টাকা, অটোরিক্সা-১০ টাকা ও মোটরসাইকেল-৫ টাকা।

খুলনা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির পাইকগাছা আঞ্চলিক সভাপতি অধ্যপক মোঃ আজিজুর রহমান বলেন, পাইকগাছা থেকে কয়রা সদর মাত্র ৩৩ কিলোমিটার পথ। এই সামান্য দূরত্বে শিববাড়ি ও চাঁদআলী পৃথক দু’টি ব্রীজ। পাইকগাছা থেকে কয়রা যেতে (৭০+৭০)১৪০ টাকা ও ফিরতে একই ১৪০ টাকা মোট আসা-যাওয়া মিলে ব্রীজের টোল ২৮০ টাকা দিতে হবে। তিনি ক্ষোভের সাথে আরো বলেন, রাস্তায় যেহারে অবৈধ যানবাহন যেমন নসিমন-করিমন-ইজিবাইক ও মহেন্দ্র’র দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে, সেক্ষেত্রে যাত্রীবাহী বাসের যাত্রীর সংখ্যা কমে গিয়ে ইনকামও অনেক কমেছে। বর্তমানে একটি বাস পাইকগাছা থেকে কয়রা ও কয়রা থেকে পাইকগাছা আসা-যাওয়া করে ওই বাসের মহাজন তো দূরে থাক বাসের চালকসহ অন্যান্য কর্মচারীর খোরাকী ও বেতনের টাকা রাখাও মুশকিল হয়ে পড়েছে।

মালিক সমিতির লাইন সেক্রেটারী শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, দু’ব্রীজের টোলের হার যদি না কমানো হয় এবং প্রধান সড়কে অবৈধ যানবাহনগুলোর চলাচল বন্ধ না করা হয় তাহলে পাইকগাছা-কয়রা সড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রাখা ছাড়া উপায় থাকবে না।

দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারোর দানে পাওয়া নয় ! .

Voice of Paikgacha স্বাধীনতার কথা বলে....

গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জরুরী দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

জিপি গ্রাহকদের চাহিদা, আইডিয়া, পছন্দ, অপছন্দ নিয়ে একটি গবেষণা শুরু করেছে গতকাল থেকে। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জিপি তাদের কাস্টমার দের ১২১ থেকে কল দিচ্ছে, এবং তাদের সেবার মান নিয়ে নাম্বারিং করছে যেখানে ০ হলো তাদের সেবার মান খুব খারাপ, আর ১০ হলো তাদের সেবার মান খুব বেশী ভাল।

আপনার করণীয়: ঐ কল পেলে, নির্দেশনা শুনে আপনি ০ চাপবেন, তার ২৪ ঘন্টার ভিতর আবারও জিপি থেকে কল পাবেন। কাস্টমার ম্যানেজার আপনাকে জিজ্ঞেস করবেন "আপনি ০ চেপেছেন কেনো ?" আপনি বলবেন "আমি জিপির সেবা নিয়ে খুশি না।"

তখন ম্যানেজার আপনাকে বলবেন, "তাহলে আপনি কি ধরনের সেবা চান ?"
আপনি তখন বলবেন,
------------------------------------
১. ৫০/৯৯ টাকায় ১জিবি,
২. এফ.এন.এফ এ ২৫ পয়সা মিনিট,
৩. এস.এম.এস/এম.এম.এস ১০ পয়সা,
৪. ডিজুস টু ডিজুস কলরেট কমানো,
+ আপনার আরো যে দাবী।
-------------------------------------
এই কার্যক্রম শেষ হাওয়ার কিছুদিন পরেই আমরা আমাদের পছন্দ মত অফার পাব। আর জিপি কলরেট/ইন্টারনেট রেট কমালে অন্য অপারেটর রাও কমাতে বাধ্য থাকবে।

সৎসঙ্গ কেন্দ্রের উদ্যোগে মাধ্যমিক উত্তীর্ন শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

পাইকগাছার মঠবাটি সৎসঙ্গ কেন্দ্রের উদ্যোগে এস.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ন ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুক্রবার সকালে মঠবাটি শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। সৎসঙ্গ কেন্দ্রের সভাপতি প্রজিৎ রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরন সাধু।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকার তাপস কান্তি মন্ডল, পীযুষ কান্তি সাধু, পাইকগাছা সৎসঙ্গের সাধারন সম্পাদক মুক্তি পদ মন্ডল এস পি আর, উজ্জ্বল মন্ডল এস পি আর। প্রধান বক্তা ছিলেন সাতীরা জেলা সৎসঙ্গ কেন্দ্রের উপদেষ্ঠা ডাঃ কালিচরন মন্ডল এস পি আর। বিল্পব সরকারের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সুভাষ দেবনাথ, নারায়ন মন্ডল, পরিতোষ বিশ্বাস, গোষ্ট বিহারী বিশ্বাস, পরমানন্দ ঢালী, ডাঃ নিরাপদ কবিরাজ, পূনবান মল্লিক, তীর্থংকর বিশ্বাস, কুমকুম মন্ডল। অনুষ্ঠানে ১৭ জন কৃতি ছাত্র-ছাত্রীকে পুরস্কৃত করা হয়।

স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ধ্বসে পড়া স্লুইচ গেট ও বাঁধ মেরামত

পাইকগাছায় ধ্বসে পড়া স্লুইচ গেট লস্কর ইউপি চেয়ারম্যানের স্ব-উদ্যোগে এবং স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে মেরামতের কাজ শুরু হওয়ায় এলাকায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে। প্রতিদিন প্রায় ৫০/৬০ জন লোক তিন দিন যাবৎ মেরামতের কাজ করে যাচ্ছে। তবে এটি এখনও ঝুকিমুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

ঘটনাস্থল থেকে ইউপি চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জমান তুহিন জানান, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে বাঁশ, কাঠ, বালু ও মাটি দিয়ে মেরামতের চেষ্ঠা অব্যহত রয়েছে। আরো কয়েকদিন লাগবে বাঁধ মেরামত করতে। তবে এটি আশংকমুক্ত নয়। তিনি আরো জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও তারা গত কয়েকদিনে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। তবে আপাতত স্লুইচ গেট ও বাঁধ সংস্কার করা সম্ভব হলেও এটি স্থায়ী কোন ব্যবস্থা নয়।

এদিকে দ্রুত গেটটি ও বাঁধ সংস্কার করা না হলে যেকোন মুহুর্তে উপজেলার লস্করের আলমতলা, খড়িয়া, চাঁদখালী ইউপি ও গড়ইখালী ইউপির সুড়িখালী, বাইনবাড়ী, কুমখালীসহ পার্শ্ববতী কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার চিংড়ী ঘের ও হাজার হাজার হেক্টর কৃষি জমির ফসলসহ ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।

পাইকগাছা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শহীদুল্লাহ মজুমদার জানান, স্লুইচ গেটটি ষাট এর দশকে নির্মিত হওয়ায় বর্তমানে ধারন ক্ষমতা না থাকায় এ দুর্দশার সৃষ্টি হয়েছে। বরাদ্দ না থাকায় এই মুহুর্তে সংস্কার বা পূনঃনির্মাণ করা সম্ভব নয়। তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় এমপির সুপারিশক্রমে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

কপিলমুনি প্রেসক্লাবে নব-নির্বাচিত কর্মকর্তাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত

শুক্রবার সকাল ১০টায় সকল সদস্যবৃন্দের উপস্থিতিতে জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে কপিলমুনি প্রেসক্লাবের কার্যকরী পরিষদের নব-নির্বাচিত কর্মকর্তাদের শপথ গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কপিলমুনি কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ শহর আলী গাজী। আর এ শপথ গ্রহনের মধ্যদিয়ে কপিলমুনি প্রেসক্লাব তার ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় ২০১৩-২০১৫ সাল পর্যন্ত দু’বছর মেয়াদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার পেল।

উল্লেখ্য, কার্যকরী পরিষদের ৯টি পদে একটি করে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হন প্রার্থীরা। এরপর গতকাল শুক্রবার নব-নির্বাচিত কর্মকর্তাদের শপথ গ্রহণ সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কপিলমুনি কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ শহর আলী গাজী, সহকারী নির্বাচন কমিশনার ও কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশ এবং মেহেরুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা আক্তার শম্পা, কার্যকরী পরিষদের নব-নির্বাচিত সভাপতি শেখ সালাম, সাধারণ সম্পাদক মুন্সি রেজাউল করিম মহব্বত। এ সময় উপস্থিত সদস্যবৃন্দ সুষ্ঠভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম সম্পন্ন করায় নির্বাচন কমিশনারসহ নব-নির্বাচিত কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান।

Friday, June 21, 2013

পাইকগাছা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক নির্যাতন দিবসের আলোচনা সভা

পাইকগাছা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিক নির্যাতন দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা শুক্রবার সকালে অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম আলাউদ্দিন সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পাক্ষিক গণমিছিলের সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মী এফএমএ রাজ্জাক, বক্তব্য রাখেন-সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ, যুগ্ম সম্পাদক তৃপ্তি রঞ্জন সেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিএ গফুর, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হেন্দু বিকাশ, আলাউদ্দিন রাজা, এমআর মন্টু ও এন ইসলাম সাগর।

স্বর্ণের দাম আবারও কমল ১২২৪ টাকা

আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমায় দেশের বাজারে একমাসের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম আবারও কমল। এনিয়ে চলতি বছর অষ্টম বারের মতো দাম কমালো বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)। এবার প্রতি ভরিতে দাম কমেছে এক হাজার ২২৪ টাকা করে। গতকাল শুক্রবার থেকে এই দাম কার্যকর হবে বলে বাজুস সূত্রে জানা গেছে। বাজুস সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। 

বিশ্ব বাজারের দামের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য নতুন করে এ মূল্যবান ধাতবের দাম কমানো হয়েছে বলেও তিনি জানান। নতুন দাম অনুযায়ী প্রতিভরি স্বর্ণের দাম ৪৯ হাজার ৮৪৬ টাকা। শুক্রবার থেকে দেশের বাজারে এ দাম কার্যকর হবে। এ বছর দেশে এ নিয়ে দশবার স্বর্ণের দাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে আটবারই স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৮ মে স্বর্ণের দাম কমানোর পর গত বৃহস্পতিবার স্বর্ণের দাম আবার কমানো হয়েছে।

বাকীতে তেল না দেওয়ায় ছাত্রসমাজ নেতা পেটালেন দোকান কর্মচারীকে

বাকীতে জ্বালানী তেল না দেওয়ায় পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রসমাজের আহবায়ক পিটিয়ে আহত করল এক দোকান কর্মচারীকে। এ ঘটনায় পুলিশ ছাত্রনেতা দিপুকে আটক করেছে।

মামলা ও দোকান মালিক সুত্রে জানা যায়, উপজেলা ছাত্রসমাজের আহবায়ক দিপু শেখ বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর জিরো পয়েন্টে অবস্থিত পাইকগাছা এন্টারপ্রাইজ এর জ্বালানী তেলের দোকান থেকে বাকীতে তেল দাবী করে। এ সময় মালিক না থাকায় দোকান কর্মচারী খলিলুর রহমান বাকীতে তেল দিতে অস্বীকৃতি জানালে দিপু খলিলকে বেধড়ক মারপিট করে মারাত্মক আহত করে। এ খবর পেয়ে দোকান মালিক উজ্জ্বল সরকার ও স্থানীয় লোকজন আহত খলিলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় দোকান মালিক উজ্জ্বল সরকার বাদী হয়ে শুক্রবার থানায় মামলা করলে পুলিশ দুপুরে দিপুকে গ্রেফতার করে। মামলা নং: ৪৫, তাং ২১/০৬/১৩। দোকান মালিক উজ্জ্বল আরো জানায়, দিপু ঘরের থাকা এক ব্যারেল তেলও ঢেলে নষ্ঠ করে দেয়।

ফরমালিনমুক্ত আম চেনার উপায়

দোকানে দোকানে হাজার ফলের সমাহার জানান দিচ্ছে শুরু হয়েছে মধুমাস। তাল, বাঙ্গি, তরমুজ, জাম, কাঁঠাল কোনো কিছুই বাদ নেই এর থেকে। তবে এ সময় বেশি দেখা মিলছে কাঁচা-পাকা, ছোট-বড় বিভিন্ন আমের। আর মানুষ কিনছেও সমানতালে। কিন্তু এত আমের ভিড়ে বুঝবেন কিভাবে কোন আমটি ভালো? কোনটিতে দেয়া নেই কোনো ফরমালিন বা কার্বাইড ?

এর জন্য আপনাকে জানতে হবে নিচের দেয়া তথ্যগুলো:

১. প্রথমেই লক্ষ্য করুন যে, আমের গায়ে মাছি বসছে কিনা। কারণ ফরমালিন যুক্ত আমে মাছি বসবে না।

২. আম গাছে থাকা অবস্থায় বা গাছ পাকা আম হলে লক্ষ্য করে দেখবেন যে, আমের শরীরে এক রকম সাদাটে ভাব থাকে। কিন্তু ফরমালিন বা অন্য রাসায়নিকে চুবানো আম হবে ঝকঝকে সুন্দর।

৩. কারবাইড বা অন্য কিছু দিয়ে পাকানো আমের শরীর হয় মোলায়েম ও দাগহীন। কেননা আমগুলো কাঁচা অবস্থাতেই পেড়ে ফেলে ওষুধ দিয়ে পাকানো হয়। গাছ পাকা আমের ত্বকে দাগ পড়বেই।

৪. গাছপাকা আমের ত্বকের রঙে ভিন্নতা থাকবে। গোঁড়ার দিকে গাঢ় রঙ হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কারবাইড দেয়া আমের আগাগোড়া হলদেটে হয়ে যায়, কখনো কখনো বেশি দেয়া হলে সাদাটেও হয়ে যায়।

৫. হিমসাগর ছাড়াও আরো নানান জাতের আম আছে যারা পাকলেও সবুজ থাকে, কিন্তু অত্যন্ত মিষ্টি হয়। গাছপাকা হলে এইসব আমের ত্বকে বিচ্ছিরি দাগ পড়ে। ওষুধ দিয়ে পাকানো হলে আমের শরীর হয় মসৃণ ও সুন্দর।

৬. আম নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে শুঁকে কিনুন। গাছ পাকা আম হলে অবশ্যই বোটার কাছে ঘ্রাণ থাকবে। ওষুধ দেয়া আম হলে কোনও গন্ধ থাকবে না, কিংবা বিচ্ছিরি বাজে গন্ধ থাকবে।

৭. আম মুখে দেয়ার পর যদি দেখেন যে কোনো সৌরভ নেই, কিংবা আমে টক/ মিষ্টি কোনো স্বাদই নেই, বুঝবেন যে আমে ওষুধ দেয়া।

৮. আম কেনা হলে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এমন কোথাও রাখুন যেখানে বাতাস চলাচল করে না। গাছ পাকা আম হলে গন্ধে মৌ মৌ করবে চারপাশ। ওষুধ দেয়া আমে এই মিষ্টি গন্ধ হবেই না।

সাহাপাড়া খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রীজের ভাগ্য অনিশ্চিত

ঠিকাদার ও উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সমন্বয়হীনতা

ঠিকাদার ও উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সমন্বয়হীনতার কারণে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর-ওড়াবুনিয়া গ্রামের সীমান্ত সাহাপাড়া খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রীজের নির্মাণ কাজ থমকে দাঁড়িয়েছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের আশংকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ওড়াবুনিয়া গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক বাসীন্দা।

বর্ষাকালে বিশেষ করে এলাকার গৃহবধূরা তাদের পরিবারের খাবার পানি সংগ্রহ ও ছেলেমেয়েদের স্কুলে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে কি উপায় হবে তা নিয়ে রীতিমত দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন। তবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বর্ষা মৌসুমের আগে ব্রীজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানালেও অদ্যাবধি নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়নি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সাহাপাড়া খালের উপর প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে পাকা কাঠের পোল (ছোট ব্রীজ) নির্মাণ কাজ শুরু হয় বিগত ২০১২ সালের মার্চ মাসে। সে হিসাবে গত ১৫ মাসে ঠিকাদার শুধুমাত্র পাকা পিলার গেঁথে কাঠামো নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে রেখেছে। এখন বাকি রয়েছে কাঠের পাটাতন তৈরীর কাজ।

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার শেখ ফজলুর রহমান বলেন, দরপত্রের সিডিউল অনুযায়ী যে কাঠের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি কাঠ প্রয়োজন হচ্ছে। বিষয়টি এলজিইডি দপ্তরে জানিয়েছি। কাঠের সমাধান হলেই খুব শীঘ্রই ব্রীজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে জানালেও ঠিকাদার কথা রাখতে পারেনি। গতকাল ১৭ জুন পর্যন্ত নির্মাণ কাজে হাত দেয়নি ঠিকাদার।

এদিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অধ্যুষিত ওড়াবুনিয়া গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক বাসিন্দা রয়েছেন উৎকন্ঠার মধ্যে। কেননা বর্ষা মৌসুম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ব্রীজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় সাহাপাড়া খাল পার হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই গ্রামের গৃহবধূরা ক্ষোভের সাথে বলেন, আমাদের খাবার পানি সংগ্রহ করতে হয় খাল পার হয়েও অনেক দূরে কৃষ্ণনগর গ্রামে গিয়ে। কাদামাটির রাস্তায় কলস ভর্তি পানি নিয়ে হাঁটাচলা অনেক দূরহ ব্যাপার। আমরা বড়রা যাহোক কোনমতে চলাচল করতে পারলেও এই গ্রামের অনেক কোমলমতি ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা স্কুল-মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে। তাদের স্কুলে আসা-যাওয়া করতে গিয়ে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। ব্রীজের কাজ শেষ না হওয়ায়, বিশেষ করে খালটি পার হওয়া ছোট-বড় সকলের ক্ষেত্রে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, গত বছরের এপ্রিলে উক্ত পাকা পোলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। অনেক আগেই এর নির্মাণ কাজ শেষ হবার কথা। তবে দরপত্রের সিডিউল অনুযায়ী বাস্তবতার মিল না থাকায় সেটি সমন্বয়ের জন্য ঠিকাদার আপাততঃ কাজ বন্ধ রেখেছে। জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রীজটির নির্মাণ কাজ যাতে দ্রুত শেষ হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।

কপিলমুনি প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন

কপিলমুনি প্রেসক্লাব নিবাচন’১৩ এর নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার বিকালে প্রেসক্লাব ভবনস্থ নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে চুড়ান্ত বিজয়ীদের নাম ঘোষনা করা হয়। এতে ৯টি পদে একটি করে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হন প্রার্থীরা।

নির্বাচিরা হলেন, সভাপতি পদে শেখ সালাম, সহ-সভাপতি পদে এস এম আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক পদে মুন্সি রেজাউল করিম মহব্বত, সহ-সম্পাদক পদে আমিনুল ইসলাম বজলু, কোষাধ্যক্ষ পদে পলাশ কর্মকার, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জি এম মোস্তাক আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক জি এম হাসান ইমাম ও কার্যকরী দু’সদস্য পদে মহাদেব চন্দ্র সাধু ও এস এম লোকমান হেকিম।
 
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কপিলমুনি কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ শহর আলী গাজী বিজয়ীদের নাম ঘোষনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী নির্বাচন কমিশনার ও কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশ এবং মেহেরুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা আক্তার শম্পা।

প্রেমঘটিত কারণে সেলিম'কে মসজিদের ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়

উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের সেলিম গাজীকে (২৭) প্রেমঘটিত ঘটনার জের ধরে হত্যা করা হয়েছিল। তাছাড়া মসজিদের মাইক চুরির ঘটনা দেখে ফেলা কাল হয়েছে তার। আরশাদ গাজীর পুত্র সেলিমকে মানিকতলা জামে মসজিদের ছাদের উপর ফেলে হত্যা করা হয়। দীর্ঘ ৬ বছর পর গত ৭ জুন ঘটনায় জড়িত গোপালপুর গ্রামের জনৈক আফিল উদ্দিন গাজীর পুত্র রাজিব আহমেদ রাজু (২৬) পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা জানায়।

আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে রাজু জানায়, একই এলাকার ওহিদ ও মোমজেদ মানিকতলা জামে মসজিদের মাইক চুরি করলে তা দেখে ফেলে সেলিম গাজী। এছাড়া ওই এলাকার এক মেয়েকে ভালোবাসত মোমজেদ ও সেলিম উভয়ই। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন পুলিশিং কমিটির সভাপতি মাহফুজুল হক কিনুর কার্যালয়ে সালিশী বৈঠক হলে মোমজেদ সেলিমকে মারধর করতে উদ্যত হয় এবং সালিশী বৈঠক ভেস্তে যায়। এর পরই সেলিমকে প্রাণে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়।

ঘটনার দিন (২১/০৫/০৭) সন্ধ্যায় মোমজেদ, রাজু, ওহিদ, কামরুল ও মিনারুল সেলিমকে ধরে নিয়ে ব্যাপক মারপিট করে। এক পর্যায়ে রাতে সেলিমকে মানিকতলা জামে মসজিদের ছাদের উপর নিয়ে হত্যার পর সেলিমের গালে বিষ ও এসিড দিয়ে মুখমন্ডল ঝলসে দেয় যাতে কেউ তাকে চিনতে না পারে। এদিকে ঘটনার একদিন পর স্থানীয় মুসল্লীরা মাগরিবের নামাজ আদায় করতে মসজিদে গেলে সবাই মারাত্মক দুর্গন্ধ অনুভব করে এবং দুর্গন্ধের কারণ খুঁজতে গিয়ে ছাদের এক কোনে সেলিমের অর্ধগলিত লাশ দেখা যায়।

এ ঘটনায় সেলিমের মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই সময় পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওহিদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেলহাজতে পাঠালেও ধৃত ওহিদের কাছ থেকে কোন ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এক পর্যায়ে মামলার বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটির তদন্তভার সিআইডিতে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন।

খুলনা জেলা সিআইডি ইন্সপেক্টর সরদার মো. হায়াত আলী বলেন, সেলিমকে হত্যার পর ওই রাতেই হত্যাকারীরা মাহফুজুল হক কিনুর বাড়িতে গিয়ে জানায় ‘সেটাকে’ শেষ করে দিয়েছি। তখন কিনু তাদেরকে যার যার বাড়ি চলে যেতে বলে এবং বিষয়টি আমি দেখব বলে তাদেরকে অভয় দেয়। এদিকে জেলহাজতে থাকা মিনারুল গাজীকে অত্র মামলায় শোন এ্যারেষ্ট দেখিয়ে গতকাল আদালতের মাধ্যমে এক দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

খুলনার ১০ জেলার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

বিভাগের ১০ জেলায় পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। মালিক পক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক শেষে বুধবার বিকেলে আন্দোলনরত শ্রমিক সংগঠনের নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের এ ঘোষণা দেন। ফলে বুধবার সন্ধ্যার পর যশোর-খুলনা থেকে সব ধরনের পরিবহন চলাচল শুরু করেছে।

বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে গত সোমবার সকাল থেকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে ঢাকাগামী যাত্রিবাহী পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটি।

আন্ত-জেলা বাস মালিক সিন্ডিকেডের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র কাপুড়িয়া জানান, শ্রমিকদের দাবি আমরা সমঝোতার ভিত্তিতে মেনে নিয়েছি। ফলে সন্ধ্যার পর থেকে পরিবহন চলাচল শুরু করেছে।

পাইকগাছায় পানির সমস্যা সমাধানে র‌্যালী ও স্মারকলিপি প্রদান

পাইকগাছায় পৌরবাসীর নিরাপদ পানির সমস্যা সমাধানে বৃষ্টির পানি সংরক্ষন ও ব্যবহার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে র‌্যালী ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বুধবার সকালে নবলোক পরিষদের পরিবেশ সহায়ক স্বাস্থ্য উদ্যোগ প্রকল্পের সহায়তায় ও পৌরবাসীর উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পৌর ভবনে মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। 


এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর এসএম তৈয়েবুর রহমান, কাজী নিয়মুল হুদা কামাল, ইদ্রিস আলী গাজী, নবলোক পরিষদের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডেভিট মিস্ত্রী, ময়নুদ্দীন শেখ, ইজাজুর রহমান, প্রশান্ত মন্ডল, লাবনী বাড়ই, সুব্রত অধিকারী, নীলিমা নাসরিন, কুন্তল রায় ও শেখ রাজু আহমেদ।