Tuesday, August 25, 2015

পাইকগাছায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে

ইচ্ছেমত দাম হাঁকান দোকানীরা; নেই কোন প্রকার কৈফিয়ৎ’এর বালাই !


কোন প্রকার মনিটরিং না থাকায় পৌর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম ইচ্ছেমত হাঁকছেন স্থানীয় দোকানীরা। একই দোকানী জিনিষপত্রের দাম একেক ক্রেতার কাছ থেকে একেক রকম দাম আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে দোকানীদের কাছে এক প্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছেন স্থানীয় ক্রেতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর বাজারের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ বহু আগে থেকেই। এমনও অভিযোগ রয়েছে, বোতল বা প্যাকেটজাত দ্রব্যের গায়ে মূল্য লেখা থাকা সত্ত্বেও তার চেয়ে বেশি দাম নেয়া হচ্ছে। কোম্পানীর দোহায় দিয়ে দোকানীরা এর কারণ হিসেবে বলেন, কোম্পানী দাম লেখা ছাড়া বেশি নিয়েছে তাই আমরাও (দোকনী) দাম বেশি রাখতে বাধ্য হচ্ছি।

পৌরবাসীর অভিযোগ, বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার না থাকায় পৌর বাজারের ব্যবসায়ীরা বরাবরই অন্যান্য জায়গার তুলনায় জিনিষপত্রের দাম বেশি নিয়ে থাকে। আশপাশের যেকোন বাজারের তুলনায় পৌর বাজারে প্রতিটি জিনিষের দাম বেশি রাখা হয়। কোন প্রকার কৈফিয়ৎ না থাকায় দোকানীরা ইচ্ছেমত দ্রব্যমূল্য নিয়ে থাকে। 

জানা গেছে, পৌর বাজারে প্রতি কেজি শাক বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ ১৫ টাকা, বেগুন ১ কেজি ৫০ টাকা, ওল ১ কেজি ৫০ টাকা, কাচকলা ১ কেজি ৪০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ২৫ টাকা, পটল ১ কেজি ৩০ টাকা, পুঁইশাক ১ কেজি ২০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা কেজি, ঢেঁড়শ প্রতি কেজি ৪০ টাকা, খিরাই ১ কেজি ৪০ টাকা, বিচিকলা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মুষ্টিকুমড়া ১ কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পৌর বাজারে ভালোমানের পাকাকলা পাওয়া খুবই মুশকিল। পাকা কলা যা আছে তা’ প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

এদিকে খুচরা মাছ বাজারেও বরাবরই ভালো মানের কোন মাছ পাওয়া যায়না। যা অল্পকিছু পাওয়া যায়, তার মধ্যে মরা-পচা কিছু তেলাপিয়া, চিংড়ি, পারশে ও পাঙ্গাশ মাছই উল্লেখযোগ্য। তাও আবার চড়ামূল্য। ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ছোট সাইজের টেংরা মাছ প্রতি কেজি ৩০০টাকা, একটু বড় হলে ৪০০ টাকা কেজি। 

মোদ্দাকথা পৌরবাসী বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে এক প্রকার জিম্মি হয়ে আছে। তারা কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে জিনিষপত্রের দাম ইচ্ছেমত নিচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাজারে সরকারিভাবে জিনিষপত্রের দাম নিয়ন্ত্রনের ব্যাপারে নিয়মিত মনিটরিং না করার ফলে ব্যবসায়ীরা এ ধরনের অবৈধ সুযোগ নিয়ে থাকে।