Thursday, April 10, 2014

ওয়াই-ফাই ইন্টারনেটের অওতায় আনা হচ্ছে পাইকগাছা পৌরসভাকে

অবশেষে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেটের অওতায় আনা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী পাইকগাছা পৌরসভাকে। ইতোমধ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ এ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ Voice of Paikgacha'য় "ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক চালু করেছে মেহেরপুর পৌরসভা" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় এবং উক্ত প্রতিবেদনে পাইকগাছা পৌরসভাকে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের অওতায় আনা ব্যাপারে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর’এর কাছে অনুরোধ জানানো হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর’এর প্রচেষ্টায় বৃহস্পতিবার সকালে ইওয়াই সফট আইটি সলুশন লিঃ এর আইটি বিশেষজ্ঞ ইমরান হোসেন দিনভর পাইকগাছা পৌরসভা পরিদর্শন করেন।

এ ব্যাপারে জনপ্রিয় মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, মেহেরপুর পৌরসভাকে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পর অনলাইন সংবাদ মাধ্যম
Voice of Paikgacha'য় আমাদের পাইকগাছা পৌরসভাকে এই সুবিধার আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ঠ পৌরসভাকে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের অওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।

ফলোআপ: পাইকগাছায় স্ত্রী-সন্তানকে জবাই করে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা

ঘাতক দীপক ছিল মাদকাসক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন 

 

কপিলমুনিতে স্বামীর হাতে স্ত্রী-পুত্র খুন হওয়ার ঘটনার একটু একটু করে জট খুলতে শুরু করেছে। পুলিশের ধারণা ঘাতক দীপক ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ও মাদকাসক্ত। আর লোমহর্ষক এ ঘটনায় পাইকগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

সূত্রে প্রকাশ, কপিলমুনির দক্ষিণ সলুয়া গ্রামের মৃত সন্তোষ দাশের মাদকাসক্ত পুত্র দীপক দাশ (৪৫) সোমবার গভীর রাতে তার স্ত্রী অনিমা দাশ (৩০) ও তার পুত্র সজিব দাশ (৮) কে ঘুমন্ত অবস্থায় হাসুয়া দা দিয়ে জবাই করে হত্যার পর সে নিজেই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখায়।

এদিকে মঙ্গলবার খুলনার এডিশনাল পুলিশ সুপার শফিউল্লা ও পাইকগাছা ভারপ্রাপ্ত ওসি (তদন্ত) গাজী কামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। লাশ ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার মামুদকাটী মহাশ্বশানে শেষ কৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।

তবে লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের আসল কি রহস্য তা অনেকটা অন্ধকারে থাকলেও পুলিশ, এলাকাবাসী, ঘাতকের পরিবারের ভিন্ন বক্তব্য মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। ঘাতকের পরিবারের সদস্যদের দাবি, সে শারীরিকভাবে অসুস্থ, তাকে বাংলাদেশ-কলকাতার বহু ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে সুস্থ হয়নি।

এদিকে এলাকাবাসী বলছে, সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, সে ইতোপূর্বেও স্ত্রী সন্তানদের চেননানাশক খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করে। অন্যদিকে পুলিশের ধারণা সে মাদকাসক্ত থাকার কারণে এমনি হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা জন্ম।

লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের পরদিন সকালে সরেজমিনে গেলে ঘাতক দীপক ও নির্মমভাবে খুন হওয়া অনিমা দাশের ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যা প্রিয়াঙ্কা বার বার কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলতে থাকে, আমার মা-ভাইয়ের লাশ যেন পোস্টমার্টেম না হয়, আমার বাবার কোন দোষ নেই, আমার বাবা নির্দোষ।

এলাকাবাসীর মনে অত্যন্ত সহজভাবেই একটি প্রশ্ন দানা বাধছে, তার মা-ভাইকে হত্যা করার পরও কেন তার বাবাকে নির্দোষ বলছে সে। স্বাভাবিকভাবেই অনেকে ধারণা করছেন, সুপরিকল্পিতভাবে হয়তোবা চেতনানাশক খাইয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

সূত্রের দাবি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা’টি বাজার থেকে কিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে দীপকের বসতঘরের সামনে দা মোড়ানো কাগজ ও ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ সেগুলো আলামত হিসেবে সংগ্রহ করে। অনেকের কাছে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, স্ত্রী-পুত্র হত্যার পর সে তার মেয়েকেও হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিল। হত্যাকারী যদি মাদকাসক্ত বা মানসিক ভারসাম্যহীন হয় তাহলে বিছানায় ঘুমন্ত অবস্থায় পরিকল্পিতভাবে কি করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হলো ?

পাইকগাছা থানার ওসি (তদন্ত) কাজী কামাল হোসেন এ হত্যাকান্ড সম্পর্কে বলেন, চেতনানাশক খাইয়ে হয়তোবা হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তবে পোস্টমার্টেম রিপোর্ট আসলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে। ঘটনায় ঘাতকের শ্যালক মৃত্যুঞ্জয় দাশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ে করেন, মামলা নং-২০, তাং ০৮/০৪/১৪।

সবমিলিয়ে কপিলমুনির এ আলোচিত হত্যাকাণ্ডের নায়ক বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিরাপদে চিকিৎসাধীন থাকলেও এলাকাবাসীর মনে সস্তি ফিরছে না। নিজেদের অজান্তেই যেন আতংক, ভয় আর নানান প্রশ্ন বাসা বাঁধছে মনে।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেখানে নিত্যদিনের পথচলা

আঠার মাইল-পাইকগাছা সড়কের পুরোটাই গর্তে ভরা। কোথাও ভালো নেই। দেশের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে দক্ষিণ জনপদের তিনটি উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের ১৫ লাখ মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো দুর্দশাগ্রস্ত এ রাস্তাটি। এলাকার সব শ্রেণী ও পেশার মানুষের এক কথা, সড়কের এ দুরাবস্থার কারণে উপকূলীয় এলাকাটি বিচ্ছিন্ন জনপদে পরিণত হয়েছে।

ফাইল ফটো
কপিলমুনি বণিক সমিতির সভাপতি এম বুলবুল আহমেদ জানান, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার চারটি, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার একটি পৌরসভা‘সহ ১১টি ও কয়রা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো আঠার মাইল-পাইকগাছা সড়ক।

আষাঢ় মাস থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত ছয় মাস এই রাস্তা কপোতাক্ষের উপচে পড়া পানির নিচে তলিয়ে থাকে। এ সময় রাস্তার ওপর পানি থাকে প্রায় তিন ফুট। বছরের এই ছয় মাস এলাকাবাসী পানিবন্দী জীবনযাপন করে। বাকি ছয় মাস ভাঙ্গা চোরা গর্তে ভরা বিধ্বস্ত রাস্তায় যানবাহন চলে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইকগাছা-আঠার মাইল সড়কটির কপিলমুনি থেকে আঠার মাইল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার চলাচলের একবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তালা উপজেলা সদর থেকে পাইকগাছার গোলাবাটি এবং তালার গোনালী- খৈতলা এলাকার অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকগুলো চলার সময় বারে বারে গর্তে উল্টে পড়ছে।

মৌসুমের সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটির অবস্থা অবর্ণনীয় রূপ ধারণ করে। গর্তগুলোতে পানি জমে ডোবার আকার ধারণ করে। কাঁদা-পানিতে সয়লাব হয়ে আষাঢ়ে গ্রামীণ ভাগাড়ের মতো অবস্থা হয়। এমনই পরিবেশে চলতে গিয়ে মারিয়া নামের সাত মাসের একটি শিশুর করুণ মৃত্যু হয়েছে কিছু দিন আগে। গতকালও কপিলমুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় (বাসের একসেল ভেঙ্গে চাকা খুলে যায়) ১০ জন আহত হয়েছেন।

পাইকগাছা উপজেলার ইউপি মেম্বর হাসান বিশ্বাস জানান, সড়কটির এ সমস্যা নতুন বা দু’এক বছরের না। সড়ক উন্নয়নের নামে মাঝে মধ্যে কাজ হয় ঠিকই, কিন্তু তা এতোই জোড়াতালি দেয়া যে অল্প সময়ের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। গত বছর কোটি টাকা ব্যয়ে বর্ষার ভেতর কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্ষা যেতে না যেতেই সে কাজের চিহ্ন আর চোখে পড়ছে না।

ব্যবসায়ী প্রবীর জয় ও কম্পিউটার ব্যবসায়ী মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, সড়কের এ সমস্যার কারণে পণ্য পরিবহনের খরচ বেশি পড়ছে। এ কারণে অন্য এলাকার তুলনায় স্থানীয় হাট-বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি।

খুলনা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওলিউল হোসেন সড়কটির সমস্যার কথা স্বীকার করে জানান, সড়কটি মূলতঃ কপোতাক্ষ সমস্যার শিকার। এ নদের উপচে পড়া পানিতে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবুও জনগণের যোগাযোগ সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের চেষ্টার ক্রটি নেই। এবারও সড়কটির উন্নয়নে ১০ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে।

মহেশ্বরীপুর ইউ.পি চেয়ারম্যানের জেনারেল ওসমানী স্বর্ণপদক লাভ

খুলনা জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে স্বর্ণপদক লাভ করেছেন কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউ.পি চেয়ারম্যান বিজয় কৃষ্ণ সরদার। তার এ বিজয়ে মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে সোমবার এক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

বেলা ১১টায় মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউ.পি সদস্য আব্দুল গফফার এর সভাপতিত্বে সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে ইউ.পি চেয়ারম্যানকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সকল ইউ.পি সদস্যগন’সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ জনতা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, সমাজ সেবক ও সাবেক ইউ.পি সদস্য নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রী।

উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল স্বাধীন বাংলা সংসদ (স্বাবাস) এর উদ্দ্যোগে ঢাকার শিল্পকলা একাডেমির স্কাইমুন চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার সুন্দরবন বেষ্টিত মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিজয় কৃষ্ণ সরদারকে জেনারেল ওসমানী স্বর্নপদক- ২০১৪ প্রদান করা হয়।

পাইকগাছায় হিরোইন’সহ এক মহিলা আটক

পাইকগাছায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে নগদ টাকা ও হিরোইন’সহ এক মহিলাকে আটক করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে, যার নং ২১।

থানার ডিউটি অফিসার এ এস আই মোমিনুর রহমান জানিয়েছেন, বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক, লোকমান হোসেন, উপ-পরিদর্শক মুজিবর রহমান উপজেলার কপিলমুনির মালত গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় সোনাই সরদারের মেয়ে শেফালি বেগম (৩৮) কে আটক করে তার বসতবাড়ী থেকে ১০ গ্রাম হিরোইন’সহ নগদ ২ হাজার ২০০ টাকা জব্দ করেন।