Wednesday, April 9, 2014

পাইকগাছায় বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ডিআইজি এসএম মনিরুজ্জামান

সমাজ ও দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান


খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মনিরুজ্জামান বলেছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য ভবিষ্যৎ দেশ গঠনে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরকে পড়াশুনার পাশাপাশি সামাজিক, আর্তমানবতা ও সেবামুলক কর্মকান্ডে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি সমাজ ও দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য বর্তমান প্রজন্মের শিার্থীদের প্রতি আহবান জানান। 

তিনি বুধবার দুপুরে পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী কে,জি,এইচ,এফ মৌখালী ইউনাইটেড একাডেমীর বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী ‘১৪ ও রুহুল আমিন বেষ্ট টিচার এ্যাওয়ার্ড ‘১৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবু হায়দার মোল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দণি) এসএম শফিউল্লাহ, ওসি (তদন্ত) কাজী কামাল হোসেন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আক্তারুজ্জামান সুজা, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুনসুর আলী গাজী, প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বানু, উপাধ্যক্ষ সরদার মোহাম্মদ আলী, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, শিক্ষক আব্দুল ওহাব, সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, এসএম বাবুল আক্তার, তৃপ্তি রঞ্জন সেন ও স্নেহেন্দু বিকাশ।

এসএম নূরুল ইসলামের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্রধান শিক্ষক শশাঙ্ক শেখর বাছাড়। বক্তব্য রাখেন, দাউদ শরীফ ও শিক্ষার্থী বৈশাখী খাতুন। অনুষ্ঠান শেষে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় ও সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

পাইকগাছায় শেষ চৈত্রের তীব্র দাবদাহে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণ

পাইকগাছায় বইছে তীব্র দাবদাহ। শেষ চৈত্রের গরমে খাক রাস্তা-ঘাট-খাল-বিল। গত এক সপ্তাহ ধরে পাইকগাছার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের ওপরে। সেই সাথে বয়ে যাচ্ছে মৃদ্যু তাপ প্রবাহ। মধ্য দুপুরে বাড়ির বৈদ্যুতিক পাখায়ও যেন আগুন ঝরে।

খোলা প্রান্তর আর গাছগাছালিতে ভরপুর গ্রামীণ জনপদে প্রশান্তির কিছুটা অবকাশ থাকলেও পৌর শহরের অবস্থা একেবারেই নাজুক। ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণ। আকস্মিক দাবদাহে নানারকম অসুখ-বিসুখে ভুগছে অনেকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সহসা এ অবস্থা থেকে মুক্তি মিলবে না। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, যে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা’ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। বৃষ্টি না হওয়ায় গরম অনুভূত হবে আরও বেশি। গতকাল ৮ এপ্রিল পাইকগাছার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এর আগের দিন ৭ মার্চ ছিল ৩৮ ডিগ্রী, ৬ মার্চ ছিল ৩৭.৮ ডিগ্রী, ৫ মার্চ ছিল ৩৫.৫ ডিগ্রী, ৪ মার্চ ছিল ৩৩ ডিগ্রী, ৩ মার্চ ছিল ৩৬.৭ ডিগ্রী এবং ২ মার্চ ছিল ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অন্যান্য বছর শেষ চৈত্রের এই দিনগুলোয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৪ এর ভেতরে ওঠানামা করেছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র দাবদাহে ইতোমধ্যে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এপ্রিল মাসের শুরুতেই এই গরম থেকে আতংকিত বোধ করছে এলাকাবাসী। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে গরমের অবস্থা কি দাঁড়াবে এই ভেবেই নাকাল তারা।

এদিকে তীব্র দাবদাহের কারণে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও শিশুরা। প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে তারা। এই তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে আছে সবাই।

পাইকগাছায় স্ত্রী-সন্তানকে জবাই করে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা

খুনী দীপংকর দাস দীপক একজন মাদকাসক্ত


পাইকগাছা উপজেলার শলুয়া গ্রামে স্ত্রী অনিমা দাস (৩০) ও শিশু সন্তান সজীব দাসকে (৮) ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যার পর স্বামী দীপংকর দাস দীপক (৪৫) কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। দীপক’কে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। স্বামী দীপংকর দাস মাদকাসক্ত এবং হতাশাগ্রস্ত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। মাদকাসক্তের ছোবল বাঁচতে দিলো না নিজ স্ত্রী ও সন্তানকে। মাদকের ভয়াবহতার জলজ্যান্ত প্রমাণ এ দু’টি হত্যাকান্ড। অনিমা দাস ও তার শিশু পুত্র সজীব দাসকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পাইকগাছা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন হত্যাকান্ডের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অর্থনৈতিক দুরবস্থা এবং হতাশা থেকে দীপংকর দাস তার স্ত্রী অনিমা ও ছেলে সজীবকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। দীপংকর কপিলমুনি বাজারে ব্যবসা করতেন। বর্তমানে তার ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ থাকায় তিনি বেকার ছিলেন। আয় রোজগার না থাকায় স্ত্রী সন্তানের ভবিষ্যত কি হবে এনিয়ে তৈরী হতাশা থেকে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। তবে দীপংকর কি ব্যবসা করতেন তা জানাতে পারেননি তিনি। হত্যাকান্ডের পিছনে অন্য কোন কারণ আছে কি না তা’ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি।

স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর কীটনাশক পানে অসুস্থ দীপংকরকে প্রথমে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত অনিমা দাস ও তার ছেলে সজীব দাশের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।

ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া দীপকের একমাত্র কন্যা স্থানীয় হরিঢালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা দাশ জানায়, সে তার ঠাম্মা (দাদী) জোৎস্না রানী দাশের সাথে বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ঘুমিয়েছিল। ঘটনার সময় তার বাবা তাদেরকেও জবাই করতে উপরে উঠে। তবে ভেতর থেকে দরজা ও বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় উপরের চালের টিন খোলার চেষ্টা করলে তারা জেগে উঠে। তবে কি কারণে হত্যা করেছে তা সে নিজেও জানে না।

সর্বশেষ খবর পেয়ে খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিউল্লা ও পাইকগাছা থানার ওসি (তদন্ত) কাজী কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরোত হাল রিপোর্ট শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন।

ওসি এম মসিউর রহমান মোবাইলে জানান, হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী হন্তারক দীপককে আটক করা হয়েছে এবং প্রাথমিকভাবে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তবে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, দীপক মানসিক ভারসাম্যহীন।

খুলনার সহকারী পুলিশ সুপার (দাকোপ সার্কেল) মাসুদ রানা জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, দীপংকর দাস মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় এ ধরনের একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। পুলিশ প্রহরায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। সে সুস্থ হলে জিজ্ঞাসাবাদে সঠিক তথ্য জানা যাবে।

কপিলমুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১০; ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

কপিলমুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় পাইকগাছা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী (সিলেট ব-৯৯৩৪) যাত্রী বোঝাই মিনিবাসটি কপিলমুনির অদূরে গোলাবাটি মোড়ে আসলে বাসটির একসেল ভেঙ্গে চাকা খুলে যায়। একসেল ভাঙ্গার সাথে সাথে গাড়িটি রাস্তার উপর পাল্টি দিয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় বাসের ভিতরে থাকা ১০ জন যাত্রী আহত হন।

এদের মধ্যে সাতক্ষীরার বাগডাংগার প্রভাষ শিকদার (৫৫) নামের এক জন যাত্রীর অবস্থা আশংকাজনক। তাকে অন্যান্য আহতদের সাথে কপিলমুনি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি উদ্ধার করেছে।

পাইকগাছায় বাংলা নববর্ষ উদযাপনে প্রস্তুতি সভা

পাইকগাছায় পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ ১৪২১ উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় উপজেলা পরিষদ মিলানায়তনে এক প্রস্তুতি সভা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রস্তুতি সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বিভাস চন্দ্র সাহা, পাইকগাছা লোনাপানি কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. সামছুর নাহার, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শরিফুল ইসলাম, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, প্রধান শিক্ষিকা সুরাইয়া বানু, অধ্যাপক আজাহার আলী, প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাস, সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান, রাড়ুলী সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের পঞ্চানন সানা, এ্যাড. শফিকুল ইসলাম কচি, সমবায় কর্মকর্তা সেলিম আক্তার, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার দিলীপ ঘোষ, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, জালাল উদ্দীন’সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিও, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।