Monday, March 31, 2014

গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর টনক নড়েছে প্রশাসনের (ফলোআপ)

পাইকগাছায় তড়িঘড়ি করে দু’টি মন্দির উন্নয়নে ইট মজুদ


পাইকগাছায় মন্দির উন্নয়নের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর টনক নড়েছে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কমিটি নেতৃবৃন্দের। ইতোমধ্যে মন্দির দু’টি পরিদর্শন করে এক সপ্তাহের মধ্যে উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং মন্দিরের উন্নয়ন কাজ করার লক্ষে তড়িঘড়ি করে নির্মাণ সামগ্রী (ইট) মজুদ করেছে প্রকল্প কমিটি।

উল্লেখ্য, উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের পূর্ব খড়িয়া গ্রামে পূর্ব খড়িয়া আদর্শ রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সার্বজনীন দূর্গামন্দির ও কালিমন্দির নামে দু’টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিষ্ঠান দু’টি দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থা বিরাজ করায় গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তৎকালীন স্থানীয় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ২০১২-১৩ অর্থ বছরে মন্দির দু’টির অনুকুলে বিভিন্ন সময় ৫ মেঃ টন গম/চাউল বরাদ্দ দেন।

বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে মন্দির উন্নয়নে কোন কাজ না করে ইউপি সদস্য ও প্রকল্প কমিটির সভাপতি প্রনব কান্তি হালদার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিল ভাউচার দাখিল করেছে এমন অভিযোগে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করে।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি
Voice of Paikgacha'সহ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। অপরদিকে তড়িঘড়ি করে উন্নয়ন কাজ শুরু করার চেষ্ঠা করেন প্রকল্প কমিটি। সোমবার সকালে মন্দির দু’টি পরিদর্শন করে এক সপ্তাহের মধ্যে উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়াদ্দার।

একই দিন সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নির্মাণ সামগ্রী (ইট) মজুদ করেছেন প্রকল্প কমিটির নেতৃবৃন্দ। এ ব্যাপারে মন্দির সংলগ্ন এলাকার মুকুন্দ বিহারী হালদার ও শুভাদ্রা হালদার জানান, মন্দির দু’টিতে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন যাবৎ পূজা করে আসছেন। সরকারি বরাদ্দের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এতদিন প্রকল্প কমিটি কাজ না করে সোমবার সকালে দু’টি মন্দিরের চত্ত্বরে ইট মজুদ করেছে।

ইউপি সদস্য ও প্রকল্প কমিটির সভাপতি প্রনব কান্তি হালদার জানান, প্রথম দু’টনের অর্থ দিয়ে বালু ভরাট করা হয়েছিল। অবশিষ্ট তিন টনের অর্থ দিয়ে ইট ক্রয় করা হয়েছে।

নির্বাচনের ফলাফলে পাইকগাছার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হওয়ার আশা

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের চরম ভরাডুবি হওয়াটা আ’লীগের জন্য অনেকটা প্রেস্টিজ ইস্যু বা অশনী সংকেত হলেও নির্বাচনের ফলাফল সামগ্রিকভাবে পাইকগাছার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত ও সুগম করবে বলে ধারণা করছেন সচেতন মহল। পরীক্ষিত দুই নেতা যথাক্রমে সংসদ সদস্য আ’লীগ নেতা এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক ও নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স,ম বাবর আলীকে কাছে পেয়ে উপজেলাবাসী তাই’ই আশা করছেন। 

কেননা সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের আর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান’সহ দু’ভাইস চেয়ারম্যানই ১৯ দলীয় জোটের হওয়ায় জবাবদিহিতার একটা বিষয় থেকে যায়। সেক্ষেত্রে পৌরসভা তথা উপজেলার উন্নয়নের জন্য অবশ্যই সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের মাঝে সমন্বয় হওয়াটা জরুরী বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

গেল ১৫ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগ সমর্থিত উপজেলা আ’লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামানকে বিশাল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা এ্যাড. স,ম বাবর আলী। শুধু তাই’না ভাইস চেয়ারম্যান দু’টি পদেও জামায়াত তথা ১৯ দলের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন।

এলাকাবাসীর অনেকের ধারণা মোঃ রশীদুজ্জামান উপজেলা চেয়ারম্যান পদে পরাজিত হলেও তিনি উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। আবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আ’লীগ এবং পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্যও আওয়ামী লীগের। বিধায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে এ্যাড. স,ম বাবর আলী তেমন কোন প্রভাব ফলাতে বা উন্নয়নমূলক তেমন কোন কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

অবশ্য সচেতন ও অভিজ্ঞ মহলের ধারণাটা আবার ভিন্ন। তাদের মতে এ্যাড. স,ম বাবর আলী সত্তুরের দশকে একবার সংসদ সদস্য ও আশির দশকে দু’বার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে পাইকগাছায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলেন। ওদিকে ১৯৯৬ সালে এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এই দু’উপজেলার রাস্তাঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটান।

২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ্যাড. নূরুল হক পরাজিত হবার পর এক অর্থে থমকে দাঁড়ায় পাইকগাছার সার্বিক উন্নয়ন। যার বড় একটি উদাহরণ হলো খুলনা-পাইকগাছা সড়ক। ভেঙেচুরে বিগত ৫/৭ বছর যাবৎ অত্র সড়কে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। জানামালের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করছে ব্যস্ততম এই সড়কে।

দীর্ঘদিন পর হলেও সাংসদ নূরুল হক ও উপজেলা চেয়ারম্যান স,ম বাবর আলী পাইকগাছার হাল ধরাতে এলাকাবাসি বেশ খানিকটা আস্বস্ত হয়েছেন। এখন শুধু অপেক্ষা ও দেখার পালা যোগ্যতা সম্পন্ন এই দুই নেতার মধ্যে কতটুকু সমন্বয় ঘটে এবং অত্র অঞ্চলের উন্নয়ন কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।

মন্দির উন্নয়নে বরাদ্দকৃত চাউল/গম আত্মসাৎ করার অভিযোগ

পাইকগাছায় পূর্ব খড়িয়া সার্বজনীন দূর্গামন্দির ও কালিমন্দিরের অনুকুলে ৫ মেঃ টন গম/চাউল বরাদ্দ দেওয়া হলেও ইতোমধ্যে প্রকল্প কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য প্রনব কান্তি হালদার বরাদ্দকৃত চাউল উত্তোলন পূর্বক বিল, ভাউচার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দাখিল করলেও মন্দির উন্নয়নে কোন কাজ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব খড়িয়া গ্রামে সার্বজনীন দূর্গামন্দির ও কালিমন্দির নামে দু’টি মন্দির রয়েছে। উন্নয়নের অভাবে মন্দির দু’টি দীর্ঘদিন জরাজীর্ন অবস্থায় রয়েছে। এমতাবস্থায় স্থানীয় তৎকালীন এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মন্দির দু’টির অনুকুলে ২০১২-১৩ অর্থবছরে পৃথকভাবে ৫ মেঃ টন গম/চাউল বরাদ্দ দেন।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য প্রনব কান্তি হালদার এ ব্যাপারে এলাকাবাসীকে অবহিত না করে পকেট কমিটি গঠন করার মাধ্যমে বরাদ্দকৃত চাল/গম উত্তোলন করে মন্দিরের কোন উন্নয়নের কাজ না করেই সংশ্লিস্ট দপ্তরে বিল/ভাউচার দাখিল করেছেন।

পরবর্তীতে বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছে। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে ইউপি সদস্য প্রনব কান্তি হালদারকে পাওয়া যায়নি।

মাধবদীতে পাইকগাছার ১৪ শ্রমিকের মানবেতর জীবনযাপন

মাধবদীর পার্শ্ববর্তী কাজিরচর এলাকার এমএ ব্রিকফিল্ড থেকে উদ্ধার হওয়া ১৪ নারী ও শিশু শ্রমিকের ২২ দিন ধরে কাজ না থাকায় ভাড়া বাসায় থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কেউ তাদের কাজ দিচ্ছে না।

জানা যায়, প্রায় ১ মাস আটক রেখে উলি্লখিত নারীও শিশু শ্রমিককে পারিশ্রমিক না দিয়ে নির্যাতন করে আসছিল। এমতাবস্থায় তাদের একজন গোপনে পালিয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসনে অভিযোগ করলে গত ২২ মার্চ রাত সাড়ে ৮টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এক শিশুসহ ১৪ নারী শ্রমিককে উদ্ধার করেন।

উদ্ধারকৃত শ্রমিকদের সবার বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলায়। তারা হলেন ওই উপজেলার শান্তা গ্রামের ইকবাল শেখের স্ত্রী শিউলী আকতার (২২) ও তার মেয়ে মেয়ে খাদিজা (৪), সোহেল মিয়ার স্ত্রী আয়েশা আক্তার (২০) ও তার ছেলে সাজ্জাদ মিয়া (৪), ইসহাক মিয়া (৩৫) ও তার স্ত্রী জরিনা বেগম(২৭) এবং তাদের দু'ছেলে হাসান (৭) ও হোসাইন (২), শুকুর আলী (৩৫), ইয়াছিন (২৫), রাকিব মিয়া (২২) এবং গড়ইখালী গ্রামের নাইম মিয়া (৩৪) ও তার স্ত্রী মনিরা বেগম (২৫)।

উদ্ধার হওয়া শিউলী আক্তার বলেন, ইট ভাটায় রাতের বেলায় তালাবদ্ধ ও দিনের বেলায় পাহারা দিয়ে রাখা হতো। সপ্তাহের ৩ দিন কিছু চাল আর কিছু সবজি দেয়া হতো আর বাকি তিন দিন উপোস করতে হয়েছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ইকবাল ও সোহেল নামে দু'জন শ্রমিক পালিয়ে যাওয়ার পর রাতে মুছা, মকবুল ও আরেকজন আমাদের ঘরে ঢুকে আমার ননদ আয়েশা আক্তারকে মারধর ও নির্যাতন করে। ইট ভাটার মালিকের অভিযোগ ছিল শ্রমিক সর্দার তাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েছিল আর তাই তাদের সঙ্গে এ আচরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া শ্রকিরা এখনও কোথাও কাজ পাননি আর তাই পাঁচদোনায় ভাড়াটে বাসায় থেকে শিশু সন্তানদের নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মারাত্মক কষ্টে দিন যাপন করছেন। ইট ভাটার কাজ শিখেছে অন্যকাজে অভিজ্ঞতা না থাকায় কোন কাজ করতে পারছে না। এ অবস্থায় বাড়িতে চলে গিয়েও সংসার চালানোর মতো অবস্থা না থাকায় উভয় সংকটে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

Sunday, March 30, 2014

পাইকগাছা কলেজে অনার্স ১ম বর্ষের নবীর বরণ অনুষ্ঠিত

ঐতিহ্যবাহী পাইকগাছা কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নবীন বরনে প্রধান অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম।

বক্তব্য রাখেন, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক রমেন্দ্র নাথ সরকার, সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (ব্যবস্থাপনা) মো: সেকেন্দার হায়াত, প্রভাষক শহীদূল ইসলাম, মোঃ মোমিন উদ্দীন, জিএম রহমত আলী, আবু রাসেল কাগজী, মোৎ সাইদুর রহমান, তরুন কান্তি মন্ডল, উজ্জ্বল কুমার বিশ্বাস, নিখিল চন্দ্র মন্ডল, আচাবুর রহমান ও বৈশাখী মন্ডল।

নবীন বরণ অনুষ্ঠানে অনার্স ১ম বর্ষের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন।

কপিলমুনিতে লাখ লাখ টাকার সরকারি সম্পত্তি বেদখল

নগদ নারায়নে তুষ্ট ভূমিকর্তারা কুম্ভকর্ণের ভূমিকায়


কপিলমুনিতে লাখ লাখ টাকার সরকারি সম্পত্তি বেদখল হয়ে গেছে। সরকারের লাখ লাখ টাকা মূল্যের সম্পত্তি দখল করে ভূমি দস্যুরা রয়েছেন বহাল তবিয়তে। সংশ্লিষ্ট ভূমিকর্তারা নগদ নারায়নে তুষ্ট থেকে কুম্ভকর্ণের ভূমিকা পালন করছেন।

জানা যায়, কপিলমুনি বাজারের কাঠগোলায় ৮২ শতক জমি তৎকালীন বাজার ব্যাবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে বাজারের উন্নয়নে খুলনা জেলা প্রশাসকের নামে খরিদ করা হয়। এরপর কালক্রমে একে একে সংশ্লিষ্ট ভূমি কর্তাদের নগদ নারায়নে তুষ্ট করে নামমাত্র কাগজ করে দখল হতে থাকে সরকারের এই মহামূল্যবান সম্পত্তি।

১৯৯৬ সালে সাংসদ এড. শেখ মোঃ নুরুল হকের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন উক্ত ভূমি দস্যুদের কবল থেকে ওই সম্পত্তি উদ্ধার করেন। এরপর এক শ্রেনীর লোভী ভূমিকর্তাদের মোটাংকের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে ওই সম্পত্তি পূনরায় দখল করেছেন ভূমিদস্যুরা। এছাড়া ওই ৮২ শতক সম্পত্তি ছাড়াও সি এস খতিয়ানের ৫ দাগের রাস্তা, পানি সরবরাহের খাল ভরাটি জায়গাসহ অনেক সরকারি সম্পত্তি এখন ভূমি গ্রাসীদের দখলে। ওই সকল দখলকৃত জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে দোকানঘর, বাড়ী, স’মিল সহ অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

সচেতনদের দাবী অনতিবিলম্বে সরকারের ওই সম্পত্তি দখল মুক্ত করে সরকারি তত্বাবধানে নির্মান করা হোক সরকারি বানিজ্য বিপনী, সরকারি কোষাগারে সঞ্চিত হোক কোটি কোটি টাকা। এ ব্যাপারে খুলনা-৬ আসনের সাংসদ এড. শেখ মোঃ নুরুল হকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসী।

পাইকগাছায় বাঁকার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ

শনিবার পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের বাকা বাজারস্থ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে শ্রীকণ্ঠপুর কমিউনিটি ক্লিনিক সাপোর্ট গ্রুপের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করেন রাড়ুলী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক আব্দুস সবুর। প্রশিক্ষণ দেন সিএইচসিপি রাজিয়া সুলতানা ও স্বাস্থ্য সহকারী নিখিল চন্দ্র ঘোষ।

কপিলমুনিতে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ; চিংড়ি শিল্প ধ্বংসের পথে

কপিলমুনিতে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করা হচ্ছে। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করে সম্ভাবনাময় এশিল্পকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
 
জানা যায়, কপিলমুনি এলাকাটা বেশ পূর্বের থেকে সাদা সোনা নামে খ্যাত চিংড়ি শিল্পে বিখ্যাত। এখানে ৯৫% কৃষি জমিই চিংড়ি চাষে ব্যবহার হচ্ছে। প্রতি বছর চিংড়ি মৌসুমে এলাকার চিংড়ি চাষীরা মোটা অংকের বৈদেশিক মূদ্রা অর্জণ করে থাকেন।

কপিলমুনি এলাকার চিংড়ি চাষীদের একটা সুনাম থাকলেও কতিপয় চিংড়ি ব্যবসায়ীরা ওজন বাড়াতে প্রতিনিয়ত শাবু, ভাতের মাড় ও চাউলের জল পুশ করে সে সুনাম নষ্ট করেছে। বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনকারী হিমায়িত চিংড়ি বাজারজাত করার সময় অনেকে ভাইরাসযুক্ত চিংড়ি মিশিয়ে দেয়।

তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১০ সালে জানুয়ারী থেকে জুন ও জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থ বছরে ১৫৯৭ কোটি ৬০ লাখ, ৪৯ হাজার ৯১৯ টাকার ৪ কোটি ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৪৯ কেজি বাগদা গলদা এবং হরিণা, চাকা, চালি, টাইগার চিংড়ি ও সাদা মাছ রপ্তানি করা হয়। এর মধ্যে প্রথম ৬ মাসে ১ কোটি ৪৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৪ কেজি ও ২ কোটি ৬০ লাখ ৩১ হাজার ৯ কেজি মাছ রপ্তানি হয়।

২০০৯ সালের জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থ বছরে ২৬ কোটি ১১ লাখ ৫ হাজার ১১১.২৩ টাকার ৮ কোটি ১৬ লাখ ৩৮ হাজার ৬০৫ কেজি বাগদা, গলদা ও অন্যান্য সাদা মাছ রপ্তানি করে। ২০০৯ সালের হিসাব অনুযায়ী ২০১২ সালের আগষ্ট পর্যন্ত রপ্তানি কমেছে ১৮ কোটি টাকা। যার ফলে সরকারের এই খাতে রাজস্ব আয় মারাত্মক হারে কমে যাচ্ছে। অপদ্রব্য পুশ করাকে কারণ হিসেবে দেখা গেছে ।

সূত্র জানায়, কপিলমুনি এলাকার কতিপয় ব্যবসায়ী বর্তমানে চিংড়িতে পুশ করা কাজে নিয়জিত রয়েছে। এরা চিংড়ি ক্রয় করেই গোপন স্থানে নিয়ে অপদ্রব্য পুশ করে থাকে। পুশ করা এসব চিংড়ি মাছ কোম্পানীতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে। পুশ করার কারণে বেলজিয়াম ও ইউকে থেকে হিমাইত চিংড়ি ফেরৎ এসেছে একাধিকবার। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানো জরুরী বলে মনে করছেন অভিজ্ঞমহল।

পাইকগাছায় কপোতাক্ষ খননে গতি বাড়ার সম্ভাবনা

সাতক্ষীরার তালার বালিয়াডাঙ্গা ক্লোজার নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় কপোতাক্ষ নদ খননে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। এ কাজ শেষ হওয়ায় পাইকগাছার কপিলমুনি ও তালায় কপোতাক্ষ ড্রেজিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইতোমধ্যে এসব এলাকায় ড্রেজিং কাজও শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে কপোতাক্ষ খনন শেষ করার দাবি জানিয়েছেন।

ছবিটি কপিলমুনির গোলাবাড়ি থেকে তোলা।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, প্রায় ৪০ বছরের ব্যবধানে কপোতাক্ষ নদসহ ৮০টি সংযোগ খাল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা আর শুষ্ক মৌসুমে দেখা দেয় পানি শূন্যতা। ষাটের দশকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত ভেড়িবাঁধ, স্লুইস গেট নির্মাণ এবং অবৈধ দখলে চলে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।

কপোতাক্ষ অববাহিকার তালা উপজেলাসহ ৫টি জেলা যথাক্রমে সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও খুলনা জেলার ১৪টি উপজেলার ৭১টি ইউনিয়নের ৮০২টি গ্রামে বসবাসকারী ১৫ লক্ষাধিক মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছে। নদ ও সংযুক্ত প্রায় ৮০টি খাল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় লক্ষাধিক জেলে পরিবারের ভাগ্যে নেমে এসেছে চরম দুর্দশা।

এলাকাবাসী জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কপোতাক্ষ নদের খননের ব্যাপারে গ্রহণ করা ২৬২ কোটি টাকার প্রকল্পটি চলমান। তারই ধারাবাহিকতায় কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প (প্রথম পর্যায়) সংযোগ খালের উজানে তালার বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় ক্লোজার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে মাত্র ২০ দিনে কাজ শেষ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাইন এন্টারপ্রাইজ।

এ ক্লোজার নির্মাণের ফলে পাইকগাছার কপিলমুনি, রাড়ুলী, তালায় কপোতাক্ষ খনন সহজতর হবে। চলতি বছরের গত ২৬ মার্চ ক্লোজার ও রাস্তা নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর এসব এলাকায় নদ খননও শুরু হয়েছে।

যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, বালিয়াডাঙ্গায় ক্লোজার নির্মাণ দ্রুত শেষ হওয়ায় কপোতাক্ষ খনন কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে। আমরা আশাকরি বর্ষা মৌসুমের আগে এ কাজে অনেকটা অগ্রগতি হবে।

ক্রেতারা সাবধান ! পাইকগাছায় হরিণের মাংসের নামে বিক্রি হচ্ছে ভেড়া ও গরুর মাংস

পাইকগাছায় সক্রিয় প্রতারক চক্র অভিনব পন্থায় কচি গরু ও ভেড়ার মাংসকে হরিণের মাংস সাজিয়ে চড়া দামে বিক্রি করছে। এক সময় উপজেলার গড়ইখালী ও তার আশপাশ এলাকায় এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা শোনা গেলেও বিষয়টি এখন খোদ পৌর শহরেও “ওপেন সিক্রেট”।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডস্থ সরল গ্রামের নূর ইসলামের বাড়িতে দু’টি হরিণ জবাই করে মাংস বিক্রি হচ্ছে এমন খবর চাউর হলে থানা পুলিশ নূর ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালায়।

এর সপ্তাহ দুই আগে একই এলাকার ইমরান নামের এক যুবক ঢাকাগামী পরিবহনে হরিণের মাংস পাচার করছে এমন অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে কিছু মাংস উদ্ধার করে ও পুলিশ আসার আগেই কিছু মাংস লোপাট হয়ে যায়। পরে উদ্ধারকৃত মাংস গরুর মাংস বলে জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রতারক চক্র হরিণের নকল মাংস উচ্চমূল্যে বিক্রি করছে। প্রতারক চক্র নকল হরিণের মাংস বানানোর ক্ষেত্রে প্রথমেই কচি গরু ও ভেড়াকে বেছে নিচ্ছে।

তারা গরু বা ভেড়া জবাই করে হাড় ফেলে দিয়ে ফিটকারীর পানিতে ‘সলিড মাংস’ ডুবিয়ে রাখছে। পরে তেঁতুল ও কেওড়া গোলা পানিতে ওই মাংস আধা ঘন্টা ভিজিয়ে ঝুড়িতে রেখে পানি ঝরিয়ে নিচ্ছে। অতঃপর ওই গরু বা ভেড়ার রক্ত হালকা করে ওই মাংসে মাখাচ্ছে। ব্যস, গরু- ভেড়ার মাংস হয়ে গেল হরিণের মাংস।

আর ক্রেতার আস্থা আনতেও প্রয়োগ করা হচ্ছে অভিনব কৌশল। ভেড়ার আস্ত রান কেটে তার একপাশের রক্তপানি ভাল করে মুছে কাটা ওই রানের সাইজে হরিণের চামড়া কেটে তা’ তুঁতে মেশানো পানি দিয়ে ভিজিয়ে ভাল করে মুছে “সুপার গ্লু” আঠা দিয়ে আস্ত রানে জুড়ে দিয়ে ভেড়ার রানকে হরিনের রানের আদলে তৈরী করা হচ্ছে।

ক্রেতাদের বলা হচ্ছে “এই হল হরিণের কাটা রান। এই মাংসই রয়েছে ঝুড়িতে।” প্রতারক চক্র এভাবে প্রমাণ হাজির করায় ওই মাংস ৪০০-৫০০ টাকা কেজি দরে লুফে নিচ্ছে সাধারণ মানুষ।

নিজ ঘের থেকে পুঁতে রাখা অবস্থায় যুবকের লাশ উদ্ধার

পাইকগাছা-তালা সীমান্তে খেরশা বিলের নিজ লিজ ঘেরের পানিতে পুতে রাখা অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঘেরের মধ্যে থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে তালা থানা পুলিশ।
 
নিহতের নাম মহিবুল্লাহ সরদার (২৫)। হতভাগা মহিবুল্লাহ পাইকগাছার রাড়ূলী ইউনিয়নের রাড়ূলী গ্রামের জনৈক জিন্নাত আলী সরদারের পুত্র।

নিহত মহিবুল্লাহ’র পিতা জিন্নাত আলী সরদার বলেন, তালা উপজেলাধীন খেরশা মৌজায় মহিবুল্লার ৫ বিঘার একটি লিজ ঘের রয়েছে। শুক্রবার বিকালে ঘেরের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় মহিবুল্লাহ। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়েন।

সকাল ১০টার দিকে জিন্নাত সরদার পুত্রকে খুঁজতে ঘেরে গিয়ে দেখেন ঘেরের পানির মধ্যে বাঁশের সাথে নেট দিয়ে বেঁধে রাখা মহিবুল্লাহ’র লাশ। লাশের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহৃ রয়েছে বলে তিনি জানান। তবে কি কারনে কারা তাকে হত্যা করেছে এ ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

খবর পেয়ে তালা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খুলনায় প্রেরণ করেছে। হতভাগা মবিুল্লাহ’র স্ত্রী ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তালা থানায় জিন্নাত আলী সরদার বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

Saturday, March 29, 2014

পাইকগাছায় বনবিবির উদ্যোগে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত

জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালন উপলক্ষে সুন্দরবন ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বনবিবি’র উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা দুপুরে প্রেসক্লাব পাইকগাছার কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

মত বিনিময় সভায় আলোচনা করেন রাড়ুলী সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সভাপতি পঞ্চানন সানা, সপ্তদ্বীপা সাহিত্য পরিষদের সহ সভাপতি নলিনী কান্ত সানা, সাংবাদিক গাজী নজরুল ইসলাম, আহম্মদ আলী বাচা, আশিষ রায় চৌধুরী মিন্টু, সমীরণ ঘোষ, শিমুল আহম্মেদ প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, উপকূল এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াভয়তা সিংহভাগ সুন্দরবন বুক পেতে রক্ষা করছে। তাই সুরক্ষার জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার উদ্যোগ নিতে হবে।

পাইকগাছায় উপজেলা ভূমি কমিটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় উপজেলা ভূমি কমিটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জি. এম. আজহারুল ইসলামকে সভাপতি ও এ্যাডঃ শেখ আব্দুর রশীদকে সম্পাদক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা ভূমি কমিটির কার্য নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। 

শনিবার সকালে অজিফা খাতুন কিন্ডার গার্টেন স্কুলে শেখ সাদেকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, উত্তরণ অপারাজেয় প্রকল্পের সহকারী সমন্বয়কারী এ্যাডঃ মুনিরুদ্দীন, মনিটরিং এণ্ড এমআইএস অফিসার জামিলা খাতুন।

প্রভাষক ময়নুল ইসলামের পরিচালনায় সভা বক্তব্য রাখেন, এ্যাডঃ শফিকুল ইসলাম কচি, মোমিন উদ্দীন, কমরেড শেখ আব্দুল হান্নান, উদয় শংকর রায়, পারুল রাণী মন্ডল, এ্যাডঃ রেখা রাণী বিশ্বাস, এ্যাডঃ সেলিনা খাতুন, সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, স্নেহেন্দু বিকাশ, তৃপ্তিরঞ্জন সেন, জি,এ রশীদ, শিক্ষক খলিলুর রহমান, ফাতেমা বেগম, ইয়াসির আরাফাত আককাছ, উত্তরণের কেন্দ্র ব্যবস্থাপক শাহাবুদ্দীন মোড়ল।

সভা শেষে কেন্দ্রীয় ভূমি কমিটির প্রায়ত নেতা এ্যাডঃ ফিরোজ আহমেদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

যোগাযোগ ব্যবস্থার দুরবস্থা; পাইকগাছার সার্বিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত

সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে পাইকগাছা উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জেলা শহর খুলনা তথা সারা দেশের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম ‘সড়ক ও নৌ’ এ দু’টি পথই অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে প্রায়। অভ্যন্তরীণ নদ-নদীগুলো অনেকটা প্রাকৃতিকভাবে শুকিয়ে যাওয়ায় আর কোনভাবেই উদ্ধার করে তার গতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়ে উঠছে না। 

অন্যদিকে খুলনা-পাইকগাছা-কয়রা একমাত্র রাস্তাটির অবস্থাও খুবই নাজুক। আঠারমাইল থেকে পাইকগাছা হয়ে কয়রা প্রায় ৬৫ কিলোমিটার রাস্তার বেশিরভাগ অংশ ভাঙ্গা। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হবার কারনে এর প্রভাবটা গিয়ে পড়ছে পাইকগাছা-কয়রার সর্বক্ষেত্রে।

জানা গেছে, নৌপথে কয়রায় সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও কিছুটা সচল রয়েছে, তবে পাইকগাছার সাথে নৌ যোগাযোগ একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে বললেও ভুল হবে না। যেটুকু নৌপথ সচল রয়েছে তার উপরও লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে ভূমিদস্যুদের।

অত্র অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য তিনটি মোকামের মধ্যে কপিলমুনি মোকামে নৌপথে যোগাযোগ একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। কপিলমুনি বাজারের গাঁঘেষা কপোতাক্ষ নদ শুকিয়ে যাবার পাশাপাশি ভূমিদস্যুরা এর চরভরাটী সম্পূর্ণ জায়গা দখল করে নিয়েছে। চাঁদখালী ও বড়দল মোকামে নৌপথে যাওয়া-আসার দু’টি পথের একটি কাটাখালী নদীটি সম্পূর্ণ দখল করে নেয়ায় নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

আশাশুনি-পাইকগাছা ও তালা-পাইকগাছা সীমান্ত কপোতাক্ষ নদের দু’পাড়ের ভূমিদস্যুরা চর দখল করে গড়ে তুলেছে বিভিন্ন স্থাপনা। বাড়িঘর, দোকানপাট, বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান এমনকি শুকিয়ে যাওয়া নদ-নদীর মধ্যে এখন মৎস্য ঘেরও শোভা পাচ্ছে। কপোতাক্ষ নদের পাইকগাছার চাঁদখালী ও আশাশুনির বড়দল সীমান্ত এলাকা থেকে শুরু করে কাটাখালী নদীর ইদুরকাঁটা মুখ পর্যন্ত প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার দীর্ঘ দু’টি নদ-নদীর চরভরাটী জায়গা প্রায় সম্পূর্ণ দখল করে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা।

অথচ উল্লেখিত নদ-নদী দিয়ে এক সময় পাইকগাছায় আসা-যাওয়া করতো বড় বড় লঞ্চ, ষ্টীমার, কার্গো, বড় ট্রলার-নৌকা। মাত্র ৮/১০ বছরের ব্যবধানে অত্র নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অপর নৌপথ কয়রার আমাদী হয়ে পাইকগাছার চাঁদখালী ও আশাশুনির বড়দল মোকামে এখনও নদীতে জোয়ারের সময় বড় বড় নৌযান বিভিন্ন মালামাল নিয়ে আসা যাওয়া করছে এবং উক্ত নদের জোয়ার-ভাটার সুবিধা নিয়ে তৎসংলগ্ন সহস্রাধিক মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছেন।

অতি সম্প্রতি ভূমিদস্যুরা ডিসিআর এর নামে চাঁদখালী-বড়দল এলাকায় কপোতাক্ষ নদের দু’পাড়েই দখল প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। নদের সচল অংশে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। নদ-নদীগুলো খনন না করে বরং তা দখল করে নেয়ায় একদিকে নৌপথ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমে এলাকায় জলাবদ্ধতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। দখলকারীদের এখনই রোধ করা না গেলে কাটাখালী নদীর মত কপোতাক্ষ নদের এই সচল অংশটিও অচল হয়ে পড়বে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারনা।

এদিকে বিগত ৫/৭ বছর যাবৎ খুলনা-পাইকগাছা-কয়রা সড়কের আঠারমাইল থেকে কয়রা পর্যন্ত রাস্তার বেশিরভাগ জায়গায় ভেঙ্গেচুরে বড় বড় গর্ত হয়ে আছে। বর্ষা মৌসুম এলেই অত্র সড়কে যানবাহন চলাচল এক প্রকার বন্ধ হয়ে যায়। খুলনা-পাইকগাছা-কয়রা সড়কের আঠারমাইল থেকে কয়রা পর্যন্ত সড়ক সংস্কার করা জরুরী হয়ে পড়েছে। অন্যথায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

রাস্তা ভাঙার কারনে পরিবহন খরচ বেশি, এ জন্য এখানকার সব কিছুরই মূল্য বেশি। নদ-নদী দখলমুক্ত করে খনন ও রাস্তা মেরামত করা না হলে অদূর ভবিষ্যতে প্রায় ৭/৮ লক্ষাধিক মানুষের জন্য এ দুই উপজেলা বসবাসের অনুপযোগি হয়ে পড়বে বলে সচেতন মহলের ধারনা।

Friday, March 28, 2014

বোয়ালিয়া খেয়াঘাট পারাপারে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার

পাইকগাছার কপোতাক্ষ নদের বোয়ালিয়া খেয়াঘাট দিয়ে পারাপার হতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সূত্রে জানা গেছে, বোয়ালিয়া খেয়াঘাট পারাপারে জোয়ারের সময় তেমন একটা অসুবিধা না হলেও ভাটার সময় নদের তলাদেশে পানি নেমে যায়। 

ছবিটি জোয়ারের সময় তোলা। (ফাইল ফটো)
এ সময় ঘাটের পূর্বপাশে খাড়া ইট বসানো পথে যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে উপরে উঠানামা করতে হয়। আর পশ্বিম পাশে প্রায় ২০০ গজ ঘাটের উপর থেকে নদীর ভিতর গিয়ে ট্রলারে উঠে নদী পার হতে হয়। এই ২শ গজের পথে কিছু অংশ ইট বসানো থাকলেও নদীর পলিমাটি পড়ে সব সময় কর্দমাক্ত হয়ে থাকে।

তাছাড়া পশ্বিম পাশ থেকে ট্রলারে উঠার সময় হাঁটু পানিতে নেমে কাঁদা মেখে উঠানামা করতে হয়ে। অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজের আসা-যাওয়া কর্মজীবি ও ছাত্র/ছাত্রীদের জুতা মোজা খুলে খেয়া পারাপার করতে হয়। তবে সব থেকে অসুবিধা ভোগ করছে মহিলা ও বাচ্চারা। তারা এমতাবস্থায় মারাত্বক ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পার হচ্ছে।

পাইকগাছা উপজেলার বোয়ালিয়া খেয়াঘাটের পশ্বিম পাশে রাড়ুলী ইউনিয়ন অবস্থিত। প্রতিদিন হাজার হাজার লোক জনকে অফিস, আদালত, ব্যবসা-বানিজ্য ও স্কুল-কলেজের কাজ’সহ দৈনন্দিন কাজে বোয়ালিয়ার খেয়া পারাপার হতে হয়। তাছাড়া পাইকগাছার সহিত সাতক্ষীরার যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ পথে বোয়ালিয়া খেয়া পারাপার এক বড় প্রতিবন্ধকতা।

খেয়া পারাপারের যাত্রী আহম্মদ আলী বাচা, আব্দুল খালেক গাজী, শেখ শাহাবুদ্দীন জানান, প্রতিদিন তাদের বিভিন্ন কাজে পাইকগাছায় আসা যাওয়া পথে বোয়ালিয়া খেয়া পার হওয়ার সময় কাঁদা পানি মেখে ট্রলারে উঠতে হয়। অনেক সময় কাঁদায় পা পিছলে নদের পানিতে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

ভুক্তভোগী যাত্রীদের দাবী ভাটার সময় খেয়া ঘাটের ঠিকাদার উঠানামার পথে ইটের উপর কাঁদার প্রলেপ পানি দিয়ে ধুয়ে দিলে ও আরো কিছু ইট বিছিয়ে দিলে যাত্রীদের কষ্ট অনেকাংশে লাঘব হবে।

তবে কপোতাক্ষ নদের বোয়ালিয়া খেয়াঘাটের পাশ দিয়ে ব্রীজ নির্মানের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ব্রীজটির নির্মান কাজ শেষ হলে বোয়ালিয়া খেয়া পারাপারের যাত্রী বিড়ম্বনার অবসান ঘটবে। ব্রীজটি নির্মান কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত খেয়া পারাপারের ঠিকাদার যেন খেয়া পারাপারে উঠা নামার ইট বিছানো পথটি চলাচলের উপযুক্ত রাখে, তার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন খেয়া পারাপারের ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

পাইকগাছায় অনির্বাণের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অনির্বাণ লাইব্রেরীর উদ্যোগে পাইকগাছা উপজেলার মামুদকাটী গ্রামে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচী থেকে জনগনের মৌলিক অধিকার চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

বুধবার বেলা ১১টায় লাইব্রেরী চত্বরে সমগ্র দেশবাসীর সঙ্গে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্যদিয়ে চিকিৎসা সেবা কর্মসূচী শুরু হয়। কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন সিনিয়র সাংবাদিক নিখিল ভদ্র। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গুরুদাশ দেবনাথ'এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচীর উদ্বোধনী অণুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন অধ্যাপক যামিনী সরকার, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গণেশ ভট্টাচার্য ও সমরেন্দ্র হালদার, ডা. প্রভাত সরকার ও বিশ্বজিৎ মন্ডল, লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক প্রভাত দেবনাথ, সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজীব গাঙ্গুলী প্রমূখ। কর্মসূচীতে ঢাকা ও খুলনা থেকে যাওয়া ৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এলাকার ৫ শতাধিক সাধারণ রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করেন।

এর আগে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পনের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। সকালে প্রভাত ফেরীতে অংশ নেয় এলাকার সর্বস্তরের জনগন। সন্ধ্যায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সর্বশেষ রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে পুরুস্কার বিতরণেল মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শেষ হয়।

সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি:

আমরা কি পারি না আমাদের পাইকগাছা পৌরসভাতেও একই সুবিধা চালু করতে ? Voice of Paikgacha'র পক্ষ থেকে পাইকগাছার পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর’এর কাছে এই বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ জানাই।

 

ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক চালু করেছে মেহেরপুর পৌরসভা


প্রথমবারের মতো ওয়াই-ফাই ও শব্দ নেটওয়ার্ক চালু করেছে মেহেরপুর পৌরসভা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উদ্বোধনের পর থেকে শহরবাসী এই সুবিধা পাচ্ছেন। শব্দ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিনোদন, ধর্মীয় নিদের্শনা ও সেবামূলক বিভিন্ন তথ্য সম্প্রচার করা হবে। এ জন্য শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে স্বয়ংক্রিয় শব্দযন্ত্র।

পৌর মেয়র মুতাছিম বিল্লাহ জানিয়েছেন, প্রায় এক বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ফ্রি ওয়াই-ফাই পাওয়া যাবে। গড় ইন্টারনেট গতি থাকবে ৫১২ থেকে এক এমবিপিএস। মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন সকাল সাড়ে ৭টায় এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

মেয়র মুতাছিম বিল্লাহ জানান, ইন্টারনেটমুখী নতুন প্রজন্মকে কাজে লাগাতে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে। এতে আউট সোর্সিংয়ের কাজ বৃদ্ধি পাবে। ছেলেমেয়েরা আয়ের পাশাপাশি নিজেদের তথ্যপ্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাবেন।

এ ছাড়া শব্দ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নাগরিকরা আযান, বিনোদনের জন্য রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি এবং মুক্তিযুদ্ধ ও দেশাত্ববোধক গানসহ পৌরসভার বিভিন্ন তথ্য শুনতে পাবেন। পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে এই সুবিধা চালু করা হয়েছে বলে জানান মেয়র মুতাছিম।

বাতিখালী মন্দিরে ১৬ প্রহরব্যাপী মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান শুরু

বিশ্ব শান্তি ও সর্বজীবনের মঙ্গল কামনায় বাতিখালী, সরল, শিববাটী পূর্বপাড়া ও পাইকগাছা বাজার সার্বজনীন পূজা মন্দিরের যৌথ উদ্যোগে বাতিখালী হরিতলা সার্বজনীন পূজা মন্দির প্রাঙ্গনে ১৬ প্রহরব্যাপী ১১তম শ্রী শ্রী তারকব্রক্ষ্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান শুরু হয়েছে।

১২ই চৈত্র ১৪২০ বঙ্গাব্দ, ২৭শে মার্চ ২০১৪ ইং বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১৬ প্রহরব্যাপী মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠানের শুভ অধিবাস ও মঙ্গলঘট স্থাপিত হয়। এতে অত্র এলাকাসহ দুরদুরন্ত থেকে সনাতন হিন্দু ধর্মের ধর্মপ্রাণ হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ যজ্ঞানুষ্ঠানে উপস্থিত হন।

যজ্ঞানুষ্ঠানে মহানাম পরিবেশন করবেন, নিত্যানন্দ সম্প্রদায়, খুলনা; গৌরসুন্দর সম্প্রদায়, খুলনা; লক্ষ্মী্প্রিয় সম্প্রদায়, খুলনা; মাতৃমন্দির সম্প্রদায়, খুলনা; আদি গৌরঙ্গ সম্প্রদায় যশোর; আদি রামকৃষ্ণ সম্প্রদায়, বাগেরহাট।

কপিলমুনিতে সেই ২ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

কপিলমুনিতে বারুণী মেলার মাঠে তুচ্ছ ঘটনায় এক যুবককে নির্মম মারপিটের ঘটনায় জড়িত সেই ২ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরা হলেন, কপিলমুনি ফাঁড়ির পুলিশ সদস্য আহসান হাবিব (৫৭৭) ও রফিক (১১৭৬)।

উল্লেখ্য, কপিলমুনি মহা বারুণী মেলার সার্কাস প্যান্ডেলের মাঠে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গোলযোগ বাধে। এসময় পাশে অবস্থানরত তোফাজ্জেল সরদার (৩৩) গোলযোগ ঠেকাতে যায়।

এ সময় কপিলমুনি ফাঁড়ির পুলিশ সদস্য আহসান হাবিব ও রফিক ঘটনাস্থলে পৌছে তোফাজ্জেলকে বেদম পেটাতে শুরু করেন। পুলিশের ধারণা তোফাজ্জেল সেখানে গোলযোগ করছিল। পরে পুলিশ তোফাজ্জেলকে ফাঁড়ীতে নিয়ে যায়।

কপিলমুনিতে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত ও আলোচনা সভা

কপিলমুনি সম্মিলিত স্বাধীনতা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে কপিলমুনি কলেজের সার্বিক ব্যাপস্থাপনায় এক র‌্যালী ও আলোচনা সভা বুধবার কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় কলেজ ক্যাম্পস থেকে র‌্যালীটি বের হয়ে কপিলমুনি বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয় এবং বেলা ১১টায় দেশব্যাপী সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিনবেশনায় অংশগ্রহন করেন। 

কপিলমুনি মেহেরুননেছা বালিকা বিদ্যালয়, কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল এন্ড কলেজ, ৮নং কপিলমুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জাফর আওলিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ও বিনোদ বিহারী শিশু বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী'সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ত্রিদিব কান্তি মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য এ্যাড. বিপ্লব কান্তি মন্ডল।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সহর আলী গাজী, কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল এ্যন্ড কলেজ এর প্রধান শিক্ষক হরে কৃঞ্চ দাশ, কপিলমুনি মেহেরুননেছা বালিকা বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষিকা রহিমা আক্তার শম্পা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সরদার ফারুক হোসেন, শিক্ষক হাসানুজ্জামান, সহকারি অধ্যাপক বিশ্বনাথ ভট্রাচার্য, সিনিয়র প্রভাষক আব্দুস সামাদ, শেখ আহম্মদ আলী প্রমূখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ আফসার আলী। সার্বিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, বাংলা বিভাগের প্রভাষক শফিউল আলম ও দর্শন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক বিমানবিহারি গোলদার।

Thursday, March 27, 2014

পাইকগাছায় ৮০ ভাগ নলকূপে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক

পাইকগাছার অধিকাংশ নলকূপে মাত্রা অতিরিক্ত আর্সেনিক ধরা পড়লেও ২০০৩ সালের পর আর কোন পরীক্ষা না হওয়ায় আর্সেনিক সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নির্ণয় করা হচ্ছে না। ২০০৯ থেকে ২০১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ১০০ জন আর্সেনিক আক্রান্তের তালিকা করা হয়েছে।

পাইকগাছায় সরকারিভাবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ ২০০৩ সালে অগভীর নলকূপে আর্সেনিক পরীক্ষা করে। পাইকগাছা পৌরসভাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে পরীক্ষা কার্যক্রম চালানো হয়। তবে যথেষ্ট পরিমাণ আর্সেনিক পরীক্ষার যন্ত্রপাতি, মেডিসিন ও লোকবল না থাকায় উপজেলার সকল নলকূপে এ পরীক্ষা চালানো সম্ভব হয়নি বলে সংশি­ষ্ট সূত্রে জানা যায়।

তবে যেগুলিতে পরীক্ষা কার্য চালানো হয়েছে তার অধিকাংশতেই আর্সেনিক ধরা পড়েছে। এদিকে এ পানি পান করে অনেকেই আর্সেনিক আক্রান্ত রোগে ভুগছে। ২০০৩ সালের পর থেকে প্রায় ১১ বছর পার হলেও আর কোন জরীপ কার্য না করে শুধুমাত্র ধারণার উপর চলছে এ সংক্রান্ত কার্যক্রম।

সরকারি তথ্য মতে, পাইকগাছায় ১৩ হাজার ৬ শত ৩৫টি নলকুপ পরীক্ষা করে ৮ হাজার ৭৬টি নলকূপে আর্সেনিক পাওয়া যায়। যার গড় পরিমাণ ৬০%। পাইকগাছা পৌরসভায় ১১০৮টির মধ্যে আর্সেনিক ধরা পড়ে ১৯৬টিতে। যার গড় পরিমাণ- ১৯%। উপজেলার ২১৪টি গ্রামের মধ্যে ৯৫টি গ্রামে আর্সেনিক পরীক্ষা করে গড় হার দেখা যায় ৮০%।

এদিকে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমান পাইকগাছায় সরকারি নলকূপের সংখ্যা ৪১৫৩টি। যার মধ্যে আর্সেনিকজনিত কারণে নষ্ট হয়েছে ১৮৬৩টি।

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে­ক্স সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে পরীক্ষা করে ১১ জনের মধ্যে আর্সেনিক পাওয়া গেছে। যার মধ্যে গোপালপুর গ্রামের আব্দুর রউফ, লতার ক্ষিরোদ রায়, মালথের আবুল হোসেন, সাহপাড়ার বাবুল সরদার, হরিঢালীর আব্দুল গফফার গাজী, হোসেন আলী গাজী গফফার সরদার, গদাইপুরের ওয়াজেদ সরদার, সোনাতনকাটির শিউলী বেগম, গদাইপুরের নেছার শেখ, তকিয়ার আনোয়ার সরদার।

জুলাই ২০০৯ থেকে ডিসেম্বর ২০১২ পর্যন্ত পাইকগাছা উপজেলায় অতি মাত্রায় আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০০ জন। যার মধ্যে হরিঢালী ইউনিয়নে ১৫ জন, কপিলমুনিতে ৪ জন, লতায় ৭ জন, সোলাদানায় ১ জন, লস্করে ২৫ জন, গদাইপুরে ৩৩ জন, রাড়ুলীতে ৩ জন ও চাঁদখালীতে ১২ জন।

আর্সেনিকের ব্যাপারে দ্রুত সরকারিভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কেমিক্যাল সরবরাহ পেতে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন।

ফ.র.ম. কলেজে এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান

পাইকগাছা ফসিয়ার রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের ২০১৪ সালের এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থীদের এক সংবর্ধনা ও বিদায় অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

অত্র কলেজের ছাত্রী সদিয়া পারভীন জ্যোতি’র পরিচালনায় ও কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপাধ্যক্ষ সরদার মোহাম্মদ আলী, শেখ রুহুল কুদ্দুস। বক্তব্য রাখেন, গাজী নূর মোহাম্মদ, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, মুশফিক হুমায়ুন কবির পিন্টু, আবু সাবাহ, মুনসুর আহম্মেদ, বিদায়ী ছাত্রী তামান্না বুশরা মুন্নী, মাকতুবা খাতুন, সুজাতা আমিন, উম্বিয়া খাতুন।

পাইকগাছায় লোনাপানি কেন্দ্রে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট লোনাপানি কেন্দ্রে শিশুদের মধ্যে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার বিকালে কেন্দ্রের অডিটরিয়ামে প্রতিযোগিতা শেষে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস.বি সাহার সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক শামসুন নাহার, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আজহার আলী, মোল্লা এম.এন. মামুন সিদ্দিকী, ফারাজুল কবির, সাবরিনা খাতুন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মকবুল হোসেন, খন্দকার সাকির হোসেন, মুশফিকুর রহমান, মুজিবর রহমান, আব্দুর রশিদ, কাইয়ুম হোসেন ও মোঃ মানিক মিয়া।

জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে এডভোকেসি সভা

পাইকগাছায় জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবুল ফজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শুকলাল বৈদ্য, ওসি এম. মসিউর রহমান। বক্তব্য রাখেন, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আব্দুল গফুর, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান রিন্টু ও হাফেজ মাওঃ জালাল উদ্দীন।

সভায় আগামী ৫ এপ্রিল জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল (১ লাখ আইউ) ও (২ লাখ আইউ) খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

উত্তরণ প্রকল্প ও উপজেলা ভূমি কমিটির মতবিনিময় সভা

পাইকগাছায় “খাস জমি ও জলয় প্রকৃত ভূমিহীন মৎস্যজীবীদের অধিকারে অন্তরায় ও করণীয়” বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উত্তরণ (অপরাজেয়) প্রকল্প ও উপজেলা ভূমি কমিটির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা ভূমি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার বিভাস চন্দ্র সাহা, সমাজসেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ সরদার, সমবায় কর্মকর্তা এফ.এম. সেলিম আক্তার, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস,এম, রেজাউল করিম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান, বিআরডিবি কর্মকর্তা নরোত্তম বৈরাগী, বন কর্মকর্তা প্রেমানন্দ দাশ, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, মিহির বরণ মন্ডল।

বক্তব্য রাখেন, কমরেড শেখ আব্দুল হান্নান, শেখ সাদেকুজ্জামান, সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, পারুল রাণী মন্ডল, রেখা রাণী বিশ্বাস ও উত্তরণের আবুল কালাম আজাদ, সাহাবুদ্দীন মোড়ল এবং আজিজুর রহমান।

পাইকগাছায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসের র‌্যালী ও আলোচনা সভা

পাইকগাছায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়াদ্দারের সভাপতিত্বে “দুর্যোগের নেই দিনক্ষণ, প্রস্তুত থাকব সারাক্ষণ” প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস,এম, রেজাউল করিম, সমবায় কর্মকর্তা এফ.এম. সেলিম আক্তার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান, সহকারী শিক্ষা অফিসার শেখ ফারুক হোসেন।

বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক গাজী সালাম, আব্দুল আজিজ, শিক্ষক সেরিনা আক্তার বানু, শিল্পী পারভীন, আশুতোষ মন্ডল, আলমগীর কবির, দেবাশীষ রায় ও শিক্ষার্থী বর্ষা চক্রবর্তী।

পাইকগাছায় ব্যবসায়ী পরিবারকে অচেতন করে সর্বস্ব লুট

পাইকগাছায় এক ব্যবসায়ী পরিবারকে অচেতন করে সর্বস্ব লুট করার ঘটনা ঘটেছে। বাড়ীর ভাড়াটিয়ারা চেতনানাশক দিয়ে বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটায় বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানিয়েছে। অচেতন পরিবারের সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সরল গ্রামের ব্যবসায়ী শেখ আব্দুল হাকিমের বাসাবাড়ী গত দু’সপ্তাহ আগে ঔষধ কোম্পানীর এক দম্পত্তি ভাড়া নেয়। ঘটনার দিন বুধবার রাতে ভাড়াটিয়া দম্পত্তি দধি এবং তরকারির সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে বাড়ীর মালিক আব্দুল হাকিম ও তার পরিবারকে খাইয়ে দেয়।

রাতে পরিবারের লোকজন অচেতন হয়ে পড়লে ভাড়াটিয়ারা বাড়ীর দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে আলমারীর ভিতরে থাকা নগদ আড়াই লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণাংকার সহ অন্যান্য মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।

পরে সকালে স্থানীয় লোকজন অচেতন অবস্থায় আব্দুল হাকিম, স্ত্রী লতিফা খানম ও পুত্র লাবিবকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

পাইকগাছায় এক চিংড়ি ব্যবসায়ীর মোটরসাইকেল চুরি

পাইকগাছায় এক ব্যবসায়ীর বাসভবন থেকে মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। জানা গেছে, গত ২৫ মার্চ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাইকগাছা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পাইকগাছা চিংড়ি বিপনন সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি তার বাসভবনের বারান্দা থেকে চুরি হয়ে যায়।

ডিসকভার মোটরসাইকেল, যার নং: খুলনা-হ ১১-৫৯৯১।
মোটরসাইকেলটি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে পাইকগাছা থানায় অভিযোগ হয়েছে।

Wednesday, March 26, 2014

কপিলমুনিতে যাত্রাপালার নামে উলঙ্গ নাচ চলছেই

ঐতিহ্য রক্ষা নয়, যেন বাণিজ্যের খাতিরেই এবারের বারুণী মেলা। স্নান উৎসব ২৮ মার্চ হলেও মেলা শুরু হয়েছে তারও প্রায় দু’সপ্তাহ আগে ১৭ মার্চ থেকে। গত বছর মেলা না হলেও এবার ৭ দিনের স্থলে মেলার অনুমোদন মিলেছে ২০ দিনের। চলবে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এ বছর মেলাকে অশ্লীলতার সম্পূর্ণ বাইরে রাখার জন্য পুতুল নাচের কোনো প্যান্ডেলের অনুমতি দেয়া না হলেও প্রথম দিন থেকেই যাত্রার নামে শুরু হয়েছে নগ্ন নারীদের অশ্লীল কূরুচিপূর্ণ নগ্ন নাচ।

ঐতিহ্যবাহী কপিলমুনি বারুণী মেলাকে ঘিরে প্রথম থেকেই আয়োজকদের মধ্যে ছিল অন্যরকম প্রস্তুতি। তবে কমিটি গঠনে মতানৈক্য থেকে শুরু করে নানা পসরার আয়োজনে প্রথম থেকেই অশ্লীলতাকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন।

স্থানীয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ দু’টি মসজিদ ও কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির কাছে কপোতাক্ষ পলিভরাটি জমিতে অনুষ্ঠিত মেলায় ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতসহ যুব সমাজ কলুষিত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। অর্থনৈতিক সংকটে মেলাকে ঘিরে ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও যথেষ্ঠ অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন ছোট-খাট অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আসছেই। মাদক দ্রব্যের ছড়াছড়িও বেড়েছে। ইতোমধ্যে মেলার মাঠ থেকে অজিয়ার নামে এক জলডাকাতকে গুলিসহ আটক করেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে মেলাকে নিয়ে আয়োজকদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিদ্যমান থকলেও মহাসংকটে রয়েছে অভিভাবক মহল, ধর্মপ্রাণ মুসল্লিসহ সচেতন এলাকাবাসী।

মেলার ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রায় ৪শ বছর আগে দ্বাপর যুগে কপিল দেব নামে এক মুনি সিদ্ধি লাভ করেছিলেন কপিলমুনির কপোতাক্ষ পাড়ের কালীবাড়ি ঘাটের একটি বটগাছের গোড়ায়। তার নামানুসারে প্রতিষ্ঠিত হয় কপিলমুনি বাজার, গড়ে উঠেছিল কালী মন্দির। সেই থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর বাংলা চৈত্র মাসের মধু কৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে কপোতক্ষ নদের এই স্থানে পালন করে আসছে বারুণী স্নানোৎসব।

তাদের ধারনা, এই তিথিতে গঙ্গার পানি এই স্থানে প্রবাহিত হয়। ফলে সেখানে স্নান করলে শরীর গঙ্গার জলের মতো পবিত্র হয়। আরেক অর্থে বরুণ জলের দেবতা আর তার স্ত্রী বারুণী। তবে বারুণীর ইতিহাস নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও ঐতিহ্য নিয়ে কারো বিতর্ক নেই।

মেলা উপলক্ষে সেই স্মরণাতীত কাল থেকে কপিলমুনিতে মেলা উপলক্ষে আসে সার্কাস, যাত্রা, যাদু প্রদর্শনী, পুতুল নাচ, নাগর দোলা। বসে হরেক পসরার বাহারী সব দোকান-পাট। তবে গত কয়েক বছর ধরে মেলায় আগত যাত্রা ও পুতুল নাচের নামে চলে নগ্ন নর্তকীদের উলঙ্গ নাচ। এতে যুবসমাজ চলে যায় অবক্ষয়ের অতল গর্ভে।

মেলায় অশ্লীলতার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচলানার নজিরও রয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। প্রথম পর্বে মেলায় আগত আদি রংমহল অপেরার প্যান্ডেলে যাত্রার নামে সারারাত প্রদর্শিত হয়েছে নগ্ন প্রায় যুবতীদের অশ্লীল নাচ।

মেলায় আগত দর্শকদের অনেকেই বলেন, ‘অশ্লীল নৃত্য দেখতে প্যান্ডেলে লোক সমাগম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। নর্তকীদের যাত্রার নামে বেহায়াপনারও কমতি ছিলনা এতটুকু। বাহারী সব নামের নর্তকীরা একে একে মধ্য রাতে প্যান্ডেলের উন্মত্ত দর্শকদের মাতিয়ে রাখে সারাক্ষণ। তারা মঞ্চে এতটাই বেসামাল ছিল যে, স্বল্প বসনা সত্ত্বেও ব্রা-পেটিকোট খুলে দর্শকদের মধ্যে ছুড়ে ফেলতে দ্বিধা করেনি।

এ সময় প্যান্ডেলের মাইকে দর্শকদের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হতে থাকে যে, কেউ মোবাইলে নৃত্যের কোনো ছবি বা ভিডিও রেকর্ড করবেন না। ধরা পড়লে তাদের মোবাইল সিজ করে নেয়া হবে। মোবাইল কেড়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে একাধিক।

এছাড়া দর্শক সমাগম বাড়াতে মেলায় আগত দি বুলবুল সার্কাসের নামে চিত্র তারকাদের মিলন মেলা ও তাদেরই আয়োজিত আনন্দ র‌্যাফেল ড্র-তে প্রতি রাতে গেট ও মাঠে বখাটে যুবকদের হাতে মহিলাদের শ্লীলতা হানি করা হচ্ছে। মান-সম্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী মহিলারা অস্বস্তি বোধ করলেও প্রতিবাদ করছেন না।

এ প্রসঙ্গে যাত্রা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক শেখ আছাদুর রহমান পিয়ারুল সাংবাদিকদের সম্পর্কে কটুক্তি ও মেলা বন্ধে কেউ কিছুই করতে পারবে না বলে দম্ভোক্তি করেন। তাৎক্ষণিক এ খবরে স্থানীয় সকল সাংবাদিক সংগঠনগুলো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

এ ব্যাপারে মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি যুগোল কিশোর দে’র ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম মসিউর রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। মেলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কবীর উদ্দীন জানান, যাত্রার বিষয় তার কিছু জানা নেই, বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

সর্বশেষ মেলার সার্বিক নোংরা পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর দুর্ঘটনা। তবে সর্বশেষ দীর্ঘ মেয়াদী মেলায় অশ্লীলতা বর্তমান পরিস্থিতিকে ঠিক কোন পর্যায়ে নিয়ে যায় তাই এখন দেখার বিষয়।

পাইকগাছায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

পাইকগাছায় বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৪৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে বুধবার প্রত্যুষে স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন, থানা ও পৌরসভা প্রশাসন, আ’লীগ, বিএনপি’সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। 

পরে সকাল ৮টায় পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার, স্কাউটস’সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রীরা ডিসপ্লে ও শরীর চর্চা প্রদর্শন করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান, বিশেষ অতিথি ছিলেন এএসপি সাহিদুর রহমান, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম, ওসি এম. মসিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী।

উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, মিহির বরণ মন্ডল, রমেন্দ্রনাথ সরকার, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শরিফুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা বিভাস চন্দ্র সাহা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শুকলাল বৈদ্য, যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা এস,এম, রেজাউল করিম, সমাজসেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ সরদার, প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বানু, অপু মন্ডল, অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম, জামাত আলী, এ্যাডঃ শফিকুল ইসলাম কচি, প্রভাষক রেবা আক্তার কুসুম ও ময়নুল ইসলামসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে শিশুদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া বিকাল সাড়ে ৪টায় পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন একাদশ বনাম পৌরসভা একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা, বিকাল ৫টায় সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহিলাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের বঙ্গবন্ধু মঞ্চে সুখি সমৃদ্ধ ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠণের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহারের উপর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

পাইকগাছায় হাজার হাজার মানুষের জাতীয় সংগীত পরিবেশন

জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ''লাখো কন্ঠে জাতীয় সংগীত'' পরিবেশনের সাথে একাত্বতা পোষন করে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করলেন পাইকগাছার হাজার হজার মানুষ। 

বুধবার সকালে পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ঠিক ১১টায় উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ সারিবদ্ধ হয়ে দাড়িয়ে জাতীয় সংগীতের সুরে কন্ঠ মেলান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবির উদ্দীন, এএসপি সাহিদুর রহমান, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স.ম. বাবর আলী, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম, ওসি এম. মসিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শরিফুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা বিভাস চন্দ্র সাহা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শুকলাল বৈদ্য, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস. এম. রেজাউল করিম, সমাজসেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ সরদার।

আরও উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, মিহির বরণ মন্ডল, রমেন্দ্রনাথ সরকার, অধ্যাপক জি. এম. এম. আজাহারুল ইসলাম, জামাত আলী, প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বানু, অপু মন্ডল, প্রভাষক রেবা আক্তার কুসুম, ময়নুল ইসলাম, এ্যাড. শফিকুল ইসলাম কচি ও সাংবাদিক আব্দুল আজিজ’সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজার হাজার মানুষ।

লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ

৩ লাখ কণ্ঠের সঙ্গে সুর মেলালো কোটি বাঙালি


জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে: ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। একমাঠেই ৩ লাখ বাংলাদেশি গাইলেন তাদের প্রাণের জাতীয় সংগীত। আর ৩ লাখ মানুষের সঙ্গে সুর ধরলেন দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা কোটি বাংলাদেশি।

ঘড়ির কাটায় সকাল ১১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর তেজগাঁও জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হল, ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি...’। বাংলাদেশ আর বাংলাদেশিদের প্রাণের এ সুর ছড়িয়ে পড়ল প্যারেড গ্রাউন্ডের বাইরে, সারা বাংলাদেশে। পুরো পৃথিবীজুড়ে যেখানে যতো বাংলাদেশি বাঙালি রয়েছেন তারাও কণ্ঠ মেলালেন লাখো শহীদের রক্তে পাওয়া জাতীয় সংগীতে।

লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে ৪৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বুধবার বাংলাদেশ উঠে গেল নতুন এক মর্যাদার উচ্চ শিখরে। বাঙালির দেশপ্রেমের অনন্য এক নজির দেখল বিশ্ব। পাশাপাশি লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করে বাংলাদেশের নাম উঠল গিনেজ রেকর্ডে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির অপেক্ষা।

শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নিজের বাড়িতেই স্মৃতিসৌধ !

মহান স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পাইকগাছা পৌরসভার কৌশিক কুমার মন্ডল নিজের বাড়িতেই তৈরি করেছেন স্মৃতিসৌধ !



নিরবে পেরিয়ে গেল ৫টি বছর.... কেউ মনে রাখেনি গুরুদাসী’কে !

দেশের জন্য সর্বস্ব বিলিয়ে দেওয়া মানুষটির কথা কেউ মনে রাখেনি। নিরবে পেরিয়ে গেল ৫টি বছর। ৮ ডিসেম্বর ২০০৮, দিবাগত রাতে সকলের অগচরে না ফেরার দেশে চলে যান বীরঙ্গনা গুরু দাসী মন্ডল।


অথচ তাকে স্মরণ করার জন্য এগিয়ে আসেনি কোনো সামাজিক, রাজনৈতিক বক্তি বা সরকার। আজ অবধি ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়নি তার শেষ স্মৃতি চিহ্ন ইহকালের আবাসস্থল।

বীরাঙ্গনা গুরুদাসী মন্ডল, তুমি পাইকগাছার গর্ব, ভুলবো না তোমায়। কিন্তু মাসি, তুমি হঠাৎ আর এসে বলবে না, ''কেমন আছিস বাবা ? ভালো আছিস তো ? দে কয়ডা টাহা দে, তোরা না দিলি পাব কনে ক।''

স্বাধীনতার এই দিনে Voice of Paikgacha বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে তোমাকে।

মহান স্বাধীনতা দিবস-২০১৪ (পাইকগাছা)

Voice of Paikgacha'র চোখে পাইকগাছা উপজেলায় মহান স্বাধীনতা দিবস-২০১৪ উৎযাপন

 


পাইকগাছা পৌরসভা স্মৃতিসৌধ


পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহান স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের তোরণ


পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহান স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ


পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহান স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ

পাইকগাছায় স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা ছাড়াই পুষ্পমাল্য অর্পণ !!!

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জনানোর সময় পাইকগাছা পৌরসভা স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা ছাড়াই পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। উল্লেখ্য, এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবির উদ্দীন‘সহ আরও অনেকে।

অবশ্য যারা স্মৃতিসৌধ এবং শহীদ মিনারের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না, তাদের কাছ থেকে আমরা আর কি বা আশা করতে পারি ?

স্বাধীনতা, তুমি খোকার হাতে একটি রঙিন ঘুড়ি !

স্বাধীনতা, তুমি খোকার হাতে একটি রঙিন ঘুড়ি
শীত সকালে আদর মাখা পাটালী গুড় মুড়ি।

স্বাধীনতা, তুমি মায়ের শাসন, নীবিড় গাড় মমতা
শিশুর প্রথম হেটে চলার মধুর মধুর জড়তা।


Voice of Paikgacha'র পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা !

Voice of Paikgacha'র পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা !

Tuesday, March 25, 2014

ঘুর্ণিঝড় আতংকে পাইকগাছার ৪ লক্ষাধিক মানুষ

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অব্যাহত প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝুকিপূর্ণ স্থানে থাকা উপকূলীয় পাইকগাছার ৪ লক্ষাধিক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়সহ নানাবিধ সংকটে দিনাতিপাত করছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা না থাকায় অজানা আতংকে ভুগছে উপকুলবাসী।

৪ লক্ষাধিক মানুষের জন্য কোন সাইক্লোন শেল্টার নাই। প্রাইমারী স্কুল নির্ভর ২৫টি সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে যা জনসংখ্যার তুলনায় খুবই সামান্য। ১০টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত উপকুলীয় পাইকগাছা উপজেলা। এক সময় জনদপটি ছিল শষ্য শ্যামল সবুজ ঘেরা মনুষ্য বসবাসের নিরাপদ এলাকা। কিন্তু ৮০ দশক থেকে এ অঞ্চলে ব্যাপকভাবে শুরু হয় পরিবেশ বিধ্বংসী লবণ পানির চিংড়ি চাষ, শুরু হয় পরিবেশ শাসনের পালা।

বিস্তীর্ণ মিঠা পানির এলাকা চিংড়ি চাষের উপযোগী হিসেবে প্রস্তুত করতে অনুপ্রবেশ করানো হয় মাত্রাতিরিক্ত লবণ পানি। আর তখন থেকে মুলতঃ মায়াবী ছায়া সুশীতল জনপদ পড়তে থাকে পরিবেশ বিপর্যয়ের কালো থাবা। বিরূপ প্রভাব পড়তে থাকে জীব-বৈচিত্র্যের উপর। হ্রাস পেতে থাকে নদ-নদী, খাল-বিলের নাব্যতা। সম্প্রতি সময় নদী সমুহের নাব্যতা হ্রাসে জোয়ারের উগে দেওয়া পানিতে প্লাবিত হচ্ছে পাইকগাছাসহ আশ-পাশের বিস্তীর্ণ এলাকা।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের উড়িষ্যয় ১৯৯৬ সালে পরিবেশ বিধ্বংসী চিংড়ি চাষ নিষিদ্ধ ঘোষনার পর বাংলাদেশও ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে মহামান্য হাইকোর্ট উপকুলীয় অঞ্চলে কৃষি জমিতে লবণ পানি উঠিয়ে চিংড়ি চাষ নিষিদ্ধ করেন। তবে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের দুর্বলতা ও চরম অসচেতনতায় আইনটির যথাযথ প্রয়োগ না করার কারণে আলোর মুখ দেখেনি আজও।

সর্বশেষ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, বন্যা এ অঞ্চলের মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। তবে দুর্যোগ মোকাবেলায় যথাযথ প্রযুক্তি ও তার ব্যবহার, নিরাপদ আশ্রয়ে পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার নির্মান না করলে ৪ লক্ষ মানুষ থাকছে চরম ঝুকিতে।

এ ব্যাপারে পাইকগাছা উপজেলা প্রকৌশলী এনামুল কবির জানান, তার আওতাধীন উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মধ্যে সুন্দরবনের কোল ঘেষা গড়ইখালী, দেলুটি, লতা, চাঁদখালী ও সোলাদানা ইউনিয়নে পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার না থাকায় সেখানকার মানুষ সব সময় ঝুকিতে থাকে।

ইস্যু কপোতাক্ষ; কপিলমুনি বাজারের উন্নয়ন ব্যাহত করার অপচেষ্টা

পাইকগাছায় ঐতিহ্যবাহী বানিজ্যিক শহর কপিলমুনি বাজারের উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রী মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন। কুচক্রী মহলটি বাজারের উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ করতে কপোতাক্ষ নদকে ইস্যু করে ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সর্বপরি স্থানীয় এমপিকে জড়িয়ে অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন।

উল্লেখ্য, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী এ বানিজ্যিক শহরটি সারাদেশে ব্যাপকভাবে পরিচিতি থাকায় বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার প্রসার ঘটার ফলে ধীরে ধীরে বাজারের জায়গা সংকীর্ন হয়ে আসছে। ফলে সীমিত জায়গায় মাছ, মাংস ও কাঁচা বাজার পরিচালিত হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বাজারের পরিবেশ বিনষ্ট হয়ে আসছে। অবশেষে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মাছ বাজার সম্প্রসারনের জন্য এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হকের স্মরনাপন্ন হলে ব্যবসায়ীদের দাবীর প্রেক্ষিতে পরিকল্পিতভাবে প্রোক্ত পন্যের বিক্রয়ের জন্য সম্প্রসারিত স্থান গড়ে তোলার জন্য এমপি ব্যবসায়ীদের আশ্বাস প্রদান করেন।

পরবর্তীতে বনিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ব্যবসায়ী যুগোল কিশোর দে কে আহবায়ক করে একটি উন্নয়ন কমিটি গঠন করেন এবং কপিলমুনি বাজারের সাবেক সীমানার পাশে নদী ভরাটের কিয়দাংশ জায়গা নিয়ে মৎস্য আড়ৎ নির্মানের পরিকল্পনা করেন। অপরদিকে ইতোপূর্বে চরভরাটি জায়গায় প্রোক্ত বিপনী কেন্দ্র নির্মানের অনুমতি চেয়ে স্থানীয় এমপি ভূমিমন্ত্রী বরাবর একটি ডিও লেটার প্রদান করেন।

সর্বপরি বনিক সমিতির পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ মৎস্য আড়তের নির্মাণকাজ শুরু করায় চলতি বছর বাজার থেকে সরকারের রাজস্ব গত বছরের তুলনায় দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সরদার গোলাম মোস্তফা জানান, গত বছর বাজারের ইজারা মূল্য ছিল ১৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা, চলতি বছর মৎস্য আড়ৎ মার্কেটের নির্মানকাজ শুরু হওয়ায় চলতি বছর সরকারের রাজস্ব ৩২ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে।

ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বুলবুল আহম্মেদ জানান, মাছ বাজার সংকীর্ণ হওয়ায় এ অঞ্চলের উৎপাদিত হাজার হাজার মন মাছ অনত্র চলে যায়, এতে একদিকে সরকারের রাজস্ব কমে যেত এবং পরিবহন খরচ বৃদ্ধিসহ মৎস্য ব্যবসায়ীদের চরম ভোগান্তি পেতে হত।

ব্যবসায়ী সাধন ভদ্র জানান, একটি কুচক্রী মহল উন্নয়ন কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় বাজারের উন্নয়ন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। মহলটি কপোতাক্ষকে ইস্যু বানিয়ে উন্নয়ন কাজে বাঁধাগ্রস্থ করছে।

তিনি উদাহরণ স্বরুপ বলেন, মাগুরা থেকে পাটকেলঘাটার ভাগবা পর্যন্ত কপোতাক্ষ নদের উপর ২২টি ইটভাটা রয়েছে, তালা বাজার সংলগ্ন গরুহাট, কাঁচাবাজার ও মাছবাজার এবং কানাইদিয়া ও জেটুয়া এলাকায় হাজার হাজার বিঘা চরভরাটি জায়গা জবরদখল করে ঘের, ধানচাষ ও বসতবাটি স্থাপিত হয়েছে। অথচ সংকীর্ণ কপিলমুনি বাজারকে প্রশ্বস্থ করতে ৪৮০ ফুট নদের ৫০ ফুট বাজার সংলগ্ন জায়গায় মাছ বাজার নির্মাণকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্ঠা করছে কুচক্রী মহলটি।

স্বাধীনতা পদক পেলেন ৯ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান

স্বাধীনতাযুদ্ধ ছাড়াও শিক্ষা ও সংস্কৃতি এবং কৃষি উন্নয়নে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এ বছর বিশিষ্ট ৯ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পর্যায়ে গৌরবময় ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মনোনীত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তরা হলেন- সংস্কৃতিতে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য সাবেক গণপরিষদ সদস্য মোহাম্মদ আবুল খায়ের (মরণোত্তর), মুন্সী কবির উদ্দিন (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা লে. কর্নেল আবু ওসমান চৌধুরী, শহীদ কাজী আজিজুল ইসলাম (মরণোত্তর), খসরুজ্জামান চৌধুরী (মরণোত্তর), শহীদ এস বি এম মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ হারিছ আলী এবং ভাষাসৈনিক অধ্যক্ষ মোঃ কামরুজ্জামান (মরণোত্তর)।

কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।

পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের অবস্থা ভয়াবহ

উন্নয়নের ছোয়া থেকে বঞ্চিত পাইকগাছা, কপিলমুনি-তালা টু আঠারমাইল সড়কটি। প্রায় ৯ মাস যাবৎ পরিবহন সহ ভারী যানবহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। নেই মেরামত বা সংস্কারের কোন উদ্যোগ। শুধুমাত্র আন্তরিকতার অভাবে নাগরিক সুবিধাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার কোন উন্নয়ন হচ্ছে না। অবশেষে ৬ ফেব্রুয়ারি সড়কটির ভয়াবহ চিত্র জাতীয় সংসদে তুলে ধরে সংস্কারের দাবি জানান, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক।

ছবিটি পাইকগাছা ও তালা উপজেলার সীমান্তবর্তী সড়ক থেকে তোলা। (ফাইল ফটো)
অথচ পরিতাপের বিষয় ২০০৮ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানা ও তালা-কলারোয়া আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনার শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এই জনগুরুত্বপূর্ন সড়কের কোন উন্নয়ন হয়নি। সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হয়েছে এই জনপদের লাখ লাখ ভুক্তভোগী মানুষ।

সড়কের অবস্থা এতটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যানবহনতো দুরের কথা সাধারন মানুষ পায়ে হেটে চলতে পারেনা। বন্ধ হয়ে গেছে পরিবহন সহ ভারী যান চলাচল। চরম ভোগান্তির শিকার কয়রা, পাইকগাছা, তালা সহ বিভিন্ন উপজেলার মানুষ। বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে ব্যবসা বানিজ্য।

তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, আঠারমাইল থেকে তালা-কপিলমুনি টু পাইকগাছার ৩০ কিলোমিটার সড়কের সর্বত্র সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খাদ। প্রতিদিন দূর্ঘটনা লেগেই আছে। শুধুমাত্র হুস হচ্ছে না সরকার বা দায়িত্বশীলদের। বর্ষা মৌসুমে সড়কের তালা বাজারে কপোতাক্ষের জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাবার কারনে ঐসব এলাকায় যান বহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা সহ নানান সংগঠন গুলি চিৎকার করলেও সরকারে ৫ বছরেও সড়কটি মেরামত বা পুনঃসংস্কার হয়নি। ফলে ক্ষুদ্ধ এই অঞ্চলের প্রায় ৫ লক্ষাধীক মানুষ। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে শ্রমিক শ্রেনীর মানুষেরা। বাঁচার তাগিদে ভ্যান গাড়ী বা ইজ্ঞিন চালিত বাইক নিয়ে সড়কে চলাচল করতে গিয়ে যে টাকা আয় করছে তার চেয়ে দ্বিগুন টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে যানবহন মেরামতের জন্য।

এই সড়কের উপর দিয়ে প্রতিদিন কয়রা, পাইকগাছা, তালা এই তিনটি উপজেলার লাখ লাখ মানুষ চলাচল করছে আর গালিগালাজ করছে। অথচ এ বিষয়ে মহাজোট সরকারের প্রভাবশালী সাবেক দুই সংসদ সদস্য নেননি কোন ভূমিকা।

তাছাড়া, আঠারমাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার এই সড়কে রয়েছে প্রায় ৫৬ টি বিপদজনক মোড়। এই সড়কের জাতপুর বাজার, তালা বাজার, কপিলমুনি বাজার, মামুদকাটি মোড়, আগড়ঘাটা বাজার, গদাইপুর, নুতন হাট খোলা, পাইকগাছা পৌরসভা প্রভৃত এলাকায় সড়কের উপর যত্রতত্রভাবে ভ্যান ও নসিমন করিমন রেখে যানজোট সৃষ্টি সহ যাত্রীবাহী মিনিবাস ষ্ট্যান্ডে না দাঁড়িয়ে ঐসব বাজারের প্রাণ কেন্দ্রে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় যানজোট লেগেই আছে। বিষয়টি নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই সংশ্লিষ্ঠদের।

অথচ এই অঞ্চলের উৎপাদিত হিমায়িত চিংড়ি, কাঁকড়া, কুচে বিদেশে রফতানি করে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে আসছে। শুধুমাত্র আন্তরিকতার অভাবে নাগরিক সুবিধাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার কোন উন্নয়ন হচ্ছে না। ফলে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন তিমেতেই থেকে যাচ্ছে।

কৃষি যান্ত্রীকরণের উপর কর্মশালা ও গম কর্তন প্রদর্শণী

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ী খুলনার উদ্যোগে সিসা এমটি প্রকল্পের আয়োজনে পাইকগাছা কৃষক প্রশিক্ষণ হলে খুলনা ও উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের কৃষি যান্ত্রীকরণের উপর কর্মশালা ও গম কর্তনে যান্ত্রীকরণের প্রদর্শণী অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কৃষক প্রশিক্ষণ হলে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি খুলনার উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল আজিজ।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা দৌলতপুরের চীপ ইন্সটেক্টর এটিআই মোঃ আনিছুজ্জামান, খুলনা জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কিংকর চন্দ্র দাস, খুলনা শস্য উৎপাদন বিশেষজ্ঞ শেখ মোঃ শহিদুজ্জামান, খুলনা দৌলতপুর উদ্যানতত্ব বিদ মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিভাস চন্দ্র সাহা, অরবিন্দু কুমার, মোঃ শরিফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, পঙ্কজ কান্তি মজুমদার, বুদ্ধদেব সেন, জাকিয়া সুলতানা, শরিফুল ইসলাম, মোহন কুমার ঘোষ, বাদল কুমার কর্মকার, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ মহাসীন আলী, শামিম আরা নিপা, জেসমিন খাতুন সহ পাইকগাছা ও কয়রার উপ-সহকারী কৃষি অফিসারবৃন্দ।

উপজেলার মালথ গ্রামে যন্ত্রের সাহায্যে গম ক্ষেতের গম কর্তনের প্রদর্শণী অনুষ্ঠিত হয়। ১ একর জমিতে শ্রমিকের দ্বারা গম কাটতে ২৪’শ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখানে কৃষি যন্ত্রের দ্বারা গম কাটতে খরচ হয় মাত্র ২ থেকে ৩’শ টাকা। গম কর্তন প্রদর্শণীতে মালথ ব্লকের ব্যাপক কৃষক-কৃষানী ও এলাকার সুধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কপিলমুনিতে বর্ণ বৈষম্য বিলোপ দিবস পালিত

কপিলমুনিতে ভূমিজ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ‘বর্ণবাদ নিপাত যাক’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস-২০১৪ পালিত হয়েছে।

সোমবার সকাল ১০টায় এ উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালীটি কপিলমুনি বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা অন্ত্যজ পরিষদের সভাপতি কুসুম রানী সরকার।

ভূমিজ ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার আব্দুল্লাহেল হাদী সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ভূমিজ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী প্রধান অচিন্ত্য সাহা, অধ্যাপক রেজাউল করিম, ইমদাদুল হক, স্বরসতী দাস, রানী বেগম, সুজিত দাস প্রমুখ।

পাইকগাছায় ইসলামী ব্যাংকের নতুন ভবনের উদ্ভোধন

পাইকগাছায় ইসলামী ব্যাংক পাইকগাছা শাখার নতুন ভবনের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান, আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবর সকালে ফিতা কেটে পৌর সদরের প্রধান সড়কস্থ নতুন ব্যাংক ভবনের উদ্বোধন করেন জোনাল অফিসের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট। 

পরে শাখা ব্যবস্থাপক মাগফুরুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জোনাল অফিসের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু নাসের মোহাম্মদ নাজমুল বারী।

জোনাল অফিসের অফিসার মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কাজী আজিজুল করিম, আমিন উদ্দিন সরদার, মুক্তিযোদ্ধা গাজী রুহুল আমিন, মাওঃ হাফেজ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, এ্যাড. হুমায়ুন কাদির, দাউদ শরীফ।

উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক এসএম আলাউদ্দিন সোহাগ, আমিনুল ইসলাম বজলু, আলমগীর সানা, মোসাদ্দেক হোসেন মিন্টু, আলহাজ্ব মুরশাফুল আলম, কুদরত-ই খোদা খোকন, অতিশ মন্ডল, সহকারী ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসাইন, আব্দুস সালাম মল্লিক ও হাকিম শাহাদাৎ হোসেন।