Tuesday, September 24, 2013

পাইকগাছায় মৃদু ভূ-কম্পন অনুভূত

পাইকগাছায় মৃদু ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার কোথাও কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। 

প্রত্যক্ষদর্শীসুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৬ টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুকুর, জলাশয়ের পানি দিক-বিদিক আঘাত হানলে এসময় যারা পুকুর ও জলাশয়ের নিকটে ছিল তারাই সর্বপ্রথম বুঝতে পারে ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে। পরে বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী জিয়াউর রহমান ও সুব্রত মন্ডল জানান ঘটনার সময় তারা পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় পুকরের পানি অস্বাভাবিক আচারণ করছিল।

পাইকগাছায় পল্লীবিদ্যুতের লোডশেডিং; ২০ হাজার গ্রাহকের সীমাহীন দুর্ভোগ

লোডশেডিংয়ের কারণে খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অধিনস্থ পাইকগাছা জোনাল অফিসের আওতাধীন (পাইকগাছা-কয়রা) প্রায় ২০ হাজার গ্রাহকগণের জীবনযাত্রা মারাত্মক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন-ঘন ট্রিপ ও দীর্ঘস্থায়ী লোডশেডিংয়ের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে যেমন ধস নেমেছে, তেমনি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াসহ সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

পৌর বাজারের কম্পিউটার কম্পোজ ও ষ্টুডিও ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবদি ঘন-ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে। দিনভর বিদ্যুৎ না থাকায় দোকানে আয় করতে পারছি না। বাজারের মোবাইল ফোন মেকানিক জি,এম শুকুরুজ্জামান ক্ষোভের সাথে বলেন, সারাদিন বিদ্যুৎ ট্রিপ করছে। এই আসে এই যায় অবস্থা। ফলে কোন কাজ ধরে শেষ তুলতে পারছি না।

পৌর বাজারের ওষুধের দোকানীরা বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে অনেক ওষুধ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যে ওষুধগুলি ফ্রিজে রাখতে হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের প্যাথলজী ব্যবসায়ীরা বলেন, বিদ্যুতের অভাবে রোগীদের পরীক্ষা নীরিার কার্যক্রম সময়মত করতে পারছি না। ফলে গুরুত্বপূর্ণ রোগীদের ভীষণভাবে চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে লোডশেডিংয়ের কারণে। ফলে অভিভাবক মহল দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে।

স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমে এমনিতেই মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। তার ওপর বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ের কারণে বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। দিনভর পল্লী বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিং থাকা সত্ত্বেও প্রত্যহ সন্ধ্যা থেকে অনেক রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টি যেন রুটিনে পরিণত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ পাইকগাছা জোনাল অফিসের নবাগত ডিজিএম বদরুল আনাম হতাশার সাথে বলেন, "লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের অফিসিয়াল অনেক কাজ করতে পারছি না।"

প্রেস রিলিজ

সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে গ্রেডিং পদ্ধতিতে প্রমোশন সহ অন্যান্য বিষয়ে নিয়ম-নীতি যুগোপযোগী ও আধুনিকীকরণ করার লক্ষে বিদ্যমান রেগুলেশন সংশোধন করে নিম্নবর্ণিত রেগুলেশন করেছে-

BA, BSS এবং BBS এর ক্ষেত্রে:


১ম বর্ষ থেকে ২য় বর্ষে প্রমোশনের জন্য কমপক্ষে ৩টি তত্ত্বীয় কোর্সে ন্যূনতম D grade, ২য় বর্ষ থেকে ৩য় বর্ষে ৫০% কোর্সে অর্থাৎ ন্যূনতম ৩টি তত্ত্বীয় কোর্সে D grade, ৩য় বর্ষ থেকে ৪র্থ বর্ষে প্রমোশনের জন্য ৫০% কোর্সে অর্থাৎ ন্যূনতম ৪টি তত্ত্বীয় কোর্সে D grade পেতে হবে।

B.Sc এর ক্ষেত্রে:


১ম বর্ষ থেকে ২য় বর্ষে প্রমোশনের জন্য কমপক্ষে ৩টি তত্ত্বীয় কোর্সে ন্যূনতম D grade, ২য় বর্ষ থেকে ৩য় বর্ষে প্রমোশনের জন্য কমপক্ষে ৩টি তত্ত্বীয় কোর্সে ন্যূনতম D grade, ৩য় বর্ষ থেকে ৪র্থ বর্ষে প্রমোশনের জন্য কমপক্ষে ৪টি তত্ত্বীয় কোর্সে ন্যূনতম D grade পেতে হবে।

অন্যান্য বিধান:

১ম, ২য়, ৩য় বা ৪র্থ বর্ষে F গ্রেড পাওয়া কোর্সগুলো ভর্তির ছয় শিক্ষাবর্ষের মধ্যে অবশ্যই D বা উচ্চতর গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। তবে F গ্রেড প্রাপ্ত কোর্স পরীক্ষার মাধ্যমে উন্নীত করার ক্ষেত্রে ফলাফল যাই হোক না কেন, একজন পরীক্ষার্থী সর্বোচ্চ B+ গ্রেড এর বেশী প্রাপ্য হবে না।

উল্লেখ্য যে, কোন কোর্সে F গ্রেড থাকলে পরীক্ষার্থী অনার্স ডিগ্রী পাবে না। তবে রেজিস্ট্রেশন মেয়াদ শেষে কোন পরীক্ষার্থী একাধিক F গ্রেডসহ ন্যূনতম ১০০ credit অর্জন করলে তাকে পাস ডিগ্রী প্রদান করা হবে।

২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষের পর থেকে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষের প্রত্যেক তত্ত্বীয় কোর্সের ১০০ নম্বরের মধ্যে ইন-কোর্স পরীক্ষা ২০% নম্বর এবং তত্ত্বীয় ফাইনাল পরীক্ষা ৮০% নম্বর এবং ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের জন্য ৩য় ও ৪র্থ বর্ষে, ২০১০-১১ ও ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষের তত্ত্বীয় কোর্সে প্রতি ১০০ নম্বরের মধ্যে ইন-কোর্স পরীক্ষা ২০% নম্বর এবং তত্ত্বীয় ফাইনাল পরীক্ষা ৮০% নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেক বর্ষের ক্লাস শুরু থেকে ১৫ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি কোর্সের অর্ধেক পাঠ্যসূচী শেষ করে পঠিত অংশের উপর কোর্স শিক্ষককে একটি ইন-কোর্স পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

একইভাবে পরবর্তী ১৫ সপ্তাহের মধ্যে পাঠ্যসূচীর বাকী অর্ধেক শেষ করে এ অংশের উপর আর একটিসহ মোট ২টি ইন-কোর্স পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। অভ্যন্তরীণভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে ইন-কোর্স পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের এক কপি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এর নিকট প্রেরণ করতে হবে এবং এক কপি সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানের অফিসে সংরক্ষন করতে হবে।