লোডশেডিংয়ের কারণে খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ
সমিতি অধিনস্থ পাইকগাছা জোনাল অফিসের আওতাধীন (পাইকগাছা-কয়রা) প্রায় ২০
হাজার গ্রাহকগণের জীবনযাত্রা মারাত্মক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন-ঘন ট্রিপ
ও দীর্ঘস্থায়ী লোডশেডিংয়ের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে যেমন ধস নেমেছে, তেমনি
শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াসহ সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

পৌর বাজারের কম্পিউটার কম্পোজ ও ষ্টুডিও ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতিদিন সকাল
থেকে রাত অবদি ঘন-ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে। দিনভর বিদ্যুৎ না থাকায়
দোকানে আয় করতে পারছি না। বাজারের মোবাইল ফোন মেকানিক জি,এম শুকুরুজ্জামান
ক্ষোভের সাথে বলেন, সারাদিন বিদ্যুৎ ট্রিপ করছে। এই আসে এই যায় অবস্থা। ফলে
কোন কাজ ধরে শেষ তুলতে পারছি না।
পৌর বাজারের ওষুধের দোকানীরা
বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে অনেক ওষুধ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যে ওষুধগুলি
ফ্রিজে রাখতে হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের প্যাথলজী
ব্যবসায়ীরা বলেন, বিদ্যুতের অভাবে রোগীদের পরীক্ষা নীরিার কার্যক্রম সময়মত
করতে পারছি না। ফলে গুরুত্বপূর্ণ রোগীদের ভীষণভাবে চিকিৎসা সেবা ব্যহত
হচ্ছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে
লোডশেডিংয়ের কারণে। ফলে অভিভাবক মহল দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন
ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে।
স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ,
প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমে এমনিতেই মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। তার ওপর বিদ্যুতের
অসহনীয় লোডশেডিংয়ের কারণে বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। দিনভর পল্লী বিদ্যুতের
সীমাহীন লোডশেডিং থাকা সত্ত্বেও প্রত্যহ সন্ধ্যা থেকে অনেক রাত পর্যন্ত
বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টি যেন রুটিনে পরিণত
হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ পাইকগাছা জোনাল
অফিসের নবাগত ডিজিএম বদরুল আনাম হতাশার সাথে বলেন, "লোডশেডিংয়ের কারণে
আমাদের অফিসিয়াল অনেক কাজ করতে পারছি না।"