Thursday, September 11, 2014

পাইকগাছায় মারপিটের ঘটনায় সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান আটক

পাইকগাছায় গোলক মন্ডল’কে মারপিট করার ঘটনায় সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হক’কে আটক করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে পৌর সদরের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অপরদিকে এজহার নামীয় আসামি হিসেবে স্থানীয় জনতা গোলক মন্ডল’কে পুলিশে দেয়ার পর ছেড়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

থানাপুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে লোকজন খালিয়ারচক গ্রামের মৃত গোবিন্দলালের পুত্র গোলক চন্দ্র মন্ডল (৩৫) কে ভিলেজ পাইকগাছা এলাকায় ধরে মারপিট করে। এ ঘটনায় বিকাল ৫টার দিকে থানাপুলিশ অভিযান চালিয়ে পৌর সদরের বাসা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হককে আটক করে।

এর আগে স্থানীয় জনতা গোলককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করলে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। মারপিটের ঘটনায় গোলক মন্ডল বাদী হয়ে চেয়ারম্যান এনামুলসহ ১২ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করে। যার নং-১৯। এ ঘটনায় সন্ধ্যার দিকে এলাকাবাসী চেয়ারম্যানের বিপক্ষে একটি মিছিল বের করে। রাতেই আটক চেয়ারম্যানকে আদালতে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে ওসি শিকদার আককাস আলী জানান, গোলককে ধরে মারপিট করার অভিযোগে চেয়ারম্যান এনামুলকে আটক করা হয় এবং গোলকও একটি মামলার এজাহার নামীয় আসামী তাই তাকে পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

‘শঙ্করদানা’ ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে এলাকাবাসী

পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউনিয়নে হাড়িয়া নদীর শঙ্করদানা ব্রিজটির বিভিন্ন স্থান ভেঙে বসে গেছে। যানবাহন ও এলাকাবাসী ঝুঁকি নিয়ে এ ব্রিজ পার হচ্ছে। জরুরিভাবে ব্রিজটি মেরামত করা না হলে এটি ভেঙে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন।

কয়েক বছর আগে পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ লতা ইউনিয়নের হাড়িয়া নদীর ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। এটি লতা ও কপিলমুনি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ। এ ব্রিজ দিয়ে দেলুটি ইউনিয়নের একাংশের মানুষও চলাচল করে।

লোহার খুঁটি ও ফ্রেমের ওপর কাঠের তক্তার পাটাতন যুক্ত ব্রিজটি নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। এর একাংশ ভেঙে পড়েছে। পাটাতনের অনেক তক্তা ভেঙে গেছে। লোহার খুঁটি দেবে গেছে। অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে নসিমন, করিমন, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন হালকা যানবাহন ও এলাকাবাসী এ ব্রিজ পারাপার হচ্ছে।

লতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস বলেন, শঙ্করদানা ব্রিজটি পারপারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এটি ভেঙে গেলে যাতায়াতের জন্য তিনটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে। তিনি জরুরি ভিত্তিতে ব্রিজটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

কপিলমুনিতে কিশোরের হাতে কিশোরী মারাত্মক আহত

কপিলমুনিতে এক কিশোরের হাতে মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে কিশোরী তিথিকে। প্রচন্ড আঘাত লাগায় কানের অবস্থা ভাল নয় বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন। ৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টায় কপিলমুনি জাফর আউলিয়া সড়কের হাউলী মোড় এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।

কপিলমুনির পার্শ্ববর্তী নাবা গ্রামের রনজিৎ বৈরাগীর কন্যা কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী তিথি (১২) স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরছিল। পথে এই সড়কের মিয়াজান সরদারের বাড়ির সামনে অন্য একটি ছেলের সাথে কথা বলতে দেখে প্রতাপকাঠি গ্রামের মৃত খদু শেখের পুত্র একই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সোহেল (১৪), জাহেদুল সহ আরো ২/৩ জন এসে কেন ওই ছেলের সাথে কথা বলা হচ্ছে এ কথা বলে তিথিকে সোহেল বেধড়ক মারপিট করতে থাকে।

এ সময় পথচারীরা তিথিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কপিলমুনি হাসপাতালে পাঠায় কিন্তু, তিথির কান দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় খুলনা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের বেহাল দশা; দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি

পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়ক চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, অবস্থা এতই বেগতিক যে, যাত্রীদের হাসাহাসি করে বলতে শুনা গেছে, কোন নয় মাসের গর্ভবতি মা এই রাস্তা দিয়ে কোথাও যাওয়ার জন্য গাড়ীতে উঠলে গর্ভপাত হয়ে যাওয়ার খুবই সম্ভাবনা রয়েছে।

ফাইল ফটো
সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা যায়, আঠারমাইল এলাকা থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত প্রায় ৪৫-৫০ কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘ দিন থেকে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আঠারমাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত যেতে আগে যেখানে সময় লাগত ২ থেকে আড়াই ঘন্টা, এখন একই রাস্তা যেতে এখন সময় লাগে ৪ থেকে সাড়ে চার ঘন্টা। খুলনা থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত যে বাস সার্বিস চালু ছিল তা অনেক দিন রাস্তা সমস্য থাকায় তালা বাজার পর্যন্ত গিয়ে আর যেতে পারছেনা। এ কারণে এলাকার সাধারন মানুষ যাতায়াত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তালা থেকে কফিলমুনি হয়ে পাইকগাছা পর্যন্ত যাতায়াতে এখন মোটর সাইকেলই হয়ে পড়েছে প্রধান বাহন।

এ ছাড়াও নছিমন, করিমন, ভ্যান ইত্যাদি যানবাহনে ঝুকি নিয়েই প্রতিদিন চলাচল করছে হাজারো মানুষ। খুলনা দক্ষিন অঞ্চলের বানিজ্যিক কেন্দ্র নামে খ্যাত কপিলমুনি বাজার এখন খুলনা থেকে মালামাল আনা নেয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার সাধারন মানুষকে গুনতে হচ্ছে দ্বিগুন মাশুল। হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনিয় দ্রব্য মুল্যের দাম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, রাস্তাটি সংস্কার কাজ শুরু করার আগ পর্যন্ত আমরা গাড়িতে করে কফিলমুনি পর্যন্ত মালামাল আনতে পারলেও, কাজ শুরু করে রাস্তা খুড়ে ফেলে রাখায় সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না। তাই যাতায়াত খরচ বেড়ে যাচ্ছে, খরচ পোষানোর জন্য আমাদেরকেও একটু বেশী মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। কয়রা উপজেলার হুমায়ন কবির নামের এক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিনই রাস্তায় ছোট খাট দূর্ঘটনা ঘটছে, মানুষ আহত হচ্ছে। একই কারণে সঠিক চিকিৎসা নেয়াও কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য এড.মোস্তফা লুৎফুল্লাহর নিকট রাস্তার সংস্কার কাজটি কবে নাগাদ শেষ হতে পারে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত এমপি সাহেবের আমলে কাজটির টেন্ডার হয়, তারা কাজটি শুরু করে, কিছু অংশের কাজ শেষও করে। অধিকাংশ অংশ শেষ করতে না পারায় জনদুর্ভোগ বেড়ে যায়। আমি আসার পরে কাজটি করার জন্য চাইলেও ইঞ্জিনিয়ার’সহ কয়েকজন পরামর্শ দের বর্ষায় কাজটি করলে টিকবেনা তাই এখনি কাজটি শুরু করা যাচ্ছে না, তবে বিষটি আমার নজরে আছে।

এলাকার মানুষের আকুতি ইট ফেলে হলেও রাস্তাটি আপাতত চলাচল উপযোগী করে অতি ধ্রুত সংস্কার কাজটি সম্পূর্ন করা হোক। এতে করে সাধারন মানুষের দুর্ভোগ অনেকাংশে লাগব হবে।

সংস্কার কাজ অসমাপ্ত রেখেই ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কে বাস চলাচল শুরু

রাস্তার সংস্কার কাজ অসমাপ্ত রেখেই আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কে সরাসরি যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হচ্ছে। ১৫ সেপ্টেম্বর তালা থেকে সকল যাত্রীবাহী মিনিবাস পাইকগাছা পৌর বাসস্ট্যান্ডে আনা হবে এবং ১৬ সেপ্টেম্বর থেকেই মূলত নিয়মিত ভাবে সরাসরি যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হবে।

খুলনা থেকে পাইকগাছা দুই ঘন্টার পথ পাড়ি দিতে এখন সময় লাগছে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা। কখনো কখনো এরও চেয়ে বেশি সময় লাগছে। তাও আবার দুই বার বাস পাল্টাতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে অত্র সড়কে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কি যে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করানো যাবেনা।

জানা গেছে, রাস্তার সংস্কার কাজ চলার কারণে প্রধান সড়ক দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল করা সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে কাশিমনগর থেকে যাতপুর পর্যন্ত বাইপাস সড়ক দিয়ে অত্র সড়কের যানবাহনগুলো চলাচল করছে। তবে বাইপাস সড়কটি অপ্রশস্ত ও ভাঙাচুরার কারণে প্রায়ই বড় বড় যানবাহন ফেঁসে যাচ্ছে। আর সে সময় রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

বাস মালিক সমিতি ও মটর শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, কাশিমনগর-যাতপুর বাইপাস সড়কটি অপ্রশস্ত হওয়ায় উক্ত রাস্তায় যাত্রীবাহী বাস’সহ যেকোন ধরনের বড় যানবাহন চলাচল করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বিধায় খুলনা-পাইকগাছা সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ করে এখন পাইকগাছা থেকে কপিলমুনি ও তালা থেকে খুলনা যাত্রীবাহী বাস চলাচল চালু রাখা হয়েছে। মাঝ পথে কপিলমুনি থেকে তালা পর্যন্ত যাত্রীরা অন্যান্য যানবাহনে যাতায়াত করছেন।

কয়রার ঐতিহ্যবাহী কাছারিবাড়ির বৃক্ষমেলা নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

উপজেলার উত্তর বেদকাশির কাছারিবাড়ির ঐতিহ্যবাহী ১০ দিনব্যাপী বৃক্ষ মেলাকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে মেলা বাস্তবায়ন কমিটির সাধারন সম্পাদক সরদার শফিকুল ইসলাম।

গতকাল ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ২০০৭ সালে সিডর ও ২০০৯ সালের আইলার জলোচ্ছাসে কয়রা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের সকল প্রকার বৃক্ষ সম্পূর্নরূপে নিধন হয়ে যায়। যার ফলে অক্সিজেন সহ পুষ্টির অভাব এবং নিত্তনৈমিক্তিক আসবাপত্রের তীব্র অভাব দেখা দেয়। সে দিকটি বিবেচনা করে উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের আপামর জনসাধারনের দাবীর মুখে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বৃক্ষ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

মেলা থেকে সাধারন মানুষ ব্যাপকহারে ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ কিনে তাদের বসতভিটায় লাগাতে শুরু করেছে। এতে গোটা উপজেলা পুনরায় সবুজের সমারোহে ভরে উঠতে শুরু করেছে। তাছাড়া এই প্রত্যন্ত জনপদে মানুষের কোন চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা না থাকায় মেলায় মানুষ উপস্থিত হয়ে আনন্দ উপভোগ করছে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সংসদ সদস্য এড. শেখ মোঃ নুরুল হক উপস্থিত থেকে কাছারিবাড়ির বৃক্ষ মেলার উদ্ধোধন করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানা অফিসার ইনচার্জসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক সহ বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সেই থেকে অদ্যাবধি বৃক্ষপ্রেমিক হাজার হাজার মানুষ মেলায় উপস্থিত হয়ে মেলাকে প্রানবন্ত করে তুলেছে।

বৃক্ষ মেলায় চিত্ত বিনোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে কয়রা উপজেলা প্রেস ক্লাব, বেদকাশি কলেজিয়েট স্কুল ও বড়বাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয় যৌথভাবে দি কিং স্টার সার্কাসের আয়োজন করে। এ সকল অনুষ্ঠান সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু একটি স্বার্থন্বেষী মহল বৃক্ষ মেলার সুনাম নষ্ট করতে শুরু থেকে বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে মেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক আরো জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টায় স্থানীয় সাংবাদিক হারুন-অর-রসিদ বৃক্ষমেলার সভাপতি ও সম্পাদকদ্বয়ের কাছে কয়রা প্রেসক্লাবের নামে প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। তখন সভাপতি ও সম্পাদক’সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ তাদের দাবী মেনে না নেয়ায় সাংবাদিক হারুন-অর-রসিদ মেলার ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে গোপনভাবে কয়রা প্রেসক্লাবের সৌজন্যে কিছু মেলার প্রচারপত্র তৈরী করে এলাকার বহু দেয়ালে বা গাছের গায়ে লাগিয়ে দেন। তার তৈরীকৃত প্রচারপত্র উল্লেখে গত ৮/৯/১৪ ইং তারিখের ঘটনা দেখিয়ে একটি মিথ্যা উক্তি করে মেলার ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করাসহ কমিটির সদস্যবৃন্দকে হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য ঐ সাংবাদিক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং সিআর-১৮১/১৪ ।

প্রকৃতপক্ষে চাঁদা না পেয়ে এ ধরনের মিথ্যা, উদ্দেশ্যমূলক মামলা করা হয়েছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়। তিনি এ ধরনের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিকট দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে মেলা কমিটির সভাপতি’সহ মেলা কার্যকরী কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পাইকগাছায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন

পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ডোবা ও জলাশয়ে পানির অভাবে পাইকগাছার পাট চাষীরা পাট পঁচাতো পারছেন না। দু’একটি জলাশয়ের পানিতে পাট জাগ দেওয়ার জন্য পর্যায়ক্রমে পাট চাষীরা পাট কেটে স্তুপ করে রেখেছেন। পানির অভাবে পাট চাষীরা পাট পচানো নিয়ে মহা বিপাকে পড়েছেন।

পাইকগাছা কৃষি অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ৪৬০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। পাট চাষের শুরুতে অনাবৃষ্টির কারণে কৃষকরা সেচ দিয়ে পাট চাষ শুরু করেন। তবে মাঝখানে মোটামুটি বৃষ্টি হওয়ায় পাটের আবাদ ভালো হয়েছে। তবে সেই বৃষ্টির অভাবে কৃষকরা পাট জাগ দিতে না পেরে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

উপজেলার গদাইপুর গ্রামের কৃষক সবুর মোড়ল, সত্য রঞ্জন ঘোষ, রফিকুলসহ অনেকেই জানান, ডোবাতে পানি না থাকায় তারা পাট জাগ দিতে পারছেন না। এলাকায় দু’একটি জলায় পাট জাগ দেওয়ার জন্য তাদের সিরিয়াল দিতে হচ্ছে। একজন পাট জাগ দিয়ে পাট ধুয়ে তোলার পর আরেক জন জাগ দিতে হচ্ছে।

আরো জানা গেছে, কোন কোন স্থানে যে সকল ব্যক্তি জলাশয়ে পাট জাগ দেওয়া হচ্ছে তার ক্ষতি পূরণের জন্য অর্থ দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে কৃষকরা পাট জাগ দেওয়া নিয়ে মহা বিপাকে পড়েছেন। বর্তমানে রিবন রেটিং পদ্ধতিতে অল্প স্থানে পাট জাগ দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে পাট গাছ থেকে পাটের আশ ছাড়ানো কিছুটা জটিল হওয়ায় কৃষকরা রিবন রেটিং পদ্ধতিতে ঝুঁকছেন না।

এ ব্যাপারে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, পানির অভাবে কৃষকরা পাট জাগ দিতে পারছেন না ঠিক তবে কৃষকদের আধুনিক রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট জাগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও তারা সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দিতে বেশি আগ্রহী। রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাটের আশ ছাড়িয়ে ছোট গর্তের ভিতরে পানি ভরে অনেক পাটের আশ পঁচানো সম্ভব। কৃষকদের রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট পঁচানোর উদ্বুদ্ধ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ পদ্ধতিটি পুরোপুরি চালু হলে কৃষকদের পাট পঁচানো খুব সহজ হয়ে যাবে।