Tuesday, September 16, 2014

পাইকগাছায় কর্তননিষিদ্ধ সুন্দরী কাঠ'সহ আটক ১

পাইকগাছায় কর্তননিষিদ্ধ সুন্দরী কাঠ’সহ এক কাঠ বিক্রেতাকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন মঙ্গলবার সকালে পৌর সদরের বাতিখালীস্থ হক স’ মিলে সুন্দরবনের কর্তননিষিদ্ধ সুন্দরীকাঠ চেরাই করছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন খবর পেয়ে ওসির নেতৃত্বে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে স’মিলে মজুদকৃত ১৮ পিচ সুন্দরীকাঠসহ স’মিলের মিস্ত্রী আশরাফকে আটক করে। 

পরে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কাঠ বিক্রেতা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের পাটকেলপোতা গ্রামের মোঃ আফাজ মোড়লের পুত্র মোঃ আবুল হোসেন (৩৫) কে আটক করার পর এ ঘটনায় জড়িত না থাকার প্রমাণ মিললে মিস্ত্রী আশরাফকে ছেড়ে দেয়।

এ ব্যাপারে ওসি শিকদার আককাস আলী জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। কাঠ বিক্রেতা হিসাবে ১ জনকে আটক করা হয়েছে, বাকীদের আটকের চেষ্ঠা চলছে।

জেলা প্রশাসক আনিস মাহমুদের পাইকগাছার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন

পাইকগাছার সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও আশ্রায়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন খুলনা জেলা প্রশাসক আনিস মাহমুদ। তিনি মঙ্গলবার সকালে পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গড়ইখালী ইউনিয়ন পরিষদ, আশ্রায়ন প্রকল্প, দুপুরে সোলাদানা ইউনিয়ন পরিষদ ও বেতবুনিয়া আশ্রায়ন প্রকল্প এবং বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিস, থানা, কপিলমুনি ও লতা ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফেরদৌস ওয়াহিদ ও আশিকুন্নবী হাওলাদার, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম, ওসি সিকদার আককাছ আলী, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।

পাইকগাছায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু, আহত ১

সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের খুলনা দক্ষিণ জেলা অর্থ সম্পাদক মোঃ সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী (২৩) নিহত হয়েছেন। এ সময় জেলা সভাপতি এম আইয়ুব আলী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে পাইকগাছা উপজেলার লক্ষীখোলা কলেজিয়েট স্কুল মোড়ে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কয়রা উপজেলা সদরে প্রোগ্রাম শেষ করে মোটর সাইকেলযোগে খুলনা দক্ষিণ জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি এম আইয়ুব আলী ও অর্থ সম্পাদক সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী পাইকগাছা উপজেলা সদরে আসছিলেন। পথিমধ্যে পাইকগাছা উপজেলার লক্ষীখোলা কলেজিয়েট স্কুল মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাঁশের ভ্যান মোটর সাইকেলে ধাক্কা দেয়। এ সময় মোটর সাইকেল চালক সাইফুদ্দিনের বুকে একটি বাঁশ ঢুকে যায়।

এতে ঘটনাস্থলেই সাইফুদ্দিন নিহত হয়। তাকে উদ্ধার করে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। আর মোটর সাইকেল আরোহী আইয়ুব আলী মারাত্মক আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তার অবস্থা আশংকামুক্ত।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মোঃ সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী কয়রা উপজেলার উত্তর মদিনাবাদ গ্রামের শামসুর রহমান সানার ছেলে। তিনি দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সকলের বড়। সাইফুদ্দিন ২০০৯ সালে কয়রা মদিনাবাদ দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল, ২০১১ সালে নাকসা আলিম মাদরাসা থেকে আলিম পাশ করেছেন। তিনি খুলনার নেছারিয়া কামিল মাদরাসায় ফাযিল ৩য় বর্ষ এবং সরকারি বি.এল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

এ.আই.এন প্রকল্পের বাস্তবমুখী প্রশিক্ষনে আশাবাদী পাইকগাছার চিংড়ী চাষীরা

পাইকগাছায় গড়ইখালী ইউনিয়নে সোমবার বিকালে পরিবেশ বান্ধব চিংড়ী চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। অত্র ইউনিয়নের ৩০ জন চিংড়ী চাষীকে ইউ.এস.আই.ডি এর অর্থায়নে ওয়াল্ড ফিস বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত অ্যাকুয়াকালচার ফর ইনকাম এন্ড নিউট্রিশন (এআইএন) প্রকল্পের সম্প্রসারণ সহায়ক আলমগীর কবির এ প্রশিক্ষন প্রদান করেন। 

প্রশিক্ষনে উপস্থিত চিংড়ী চাষীরা বলেন, আমরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তমুখী প্রশিক্ষন গ্রহন করে হাতে-কলমে চিংড়ী চাষ বিষয়ে অনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছি। যা পূর্বে আমাদের জানা ছিল না। যেমন, সঠিক নিয়মে ঘের প্রস্তুত করা, তলার পঁচা গন্ধযুক্ত কাদা উঠিয়ে ফেলা পানির গভীরতা বাড়ানো, জলজ আগাছা পরিস্কার করা, অধিক ঘনত্বে পোনা মজুদ না করা, পরিমানমত চুন, সার, ও খাদ্য নিয়মিত ব্যবহার এবং পিসি আর পরীক্ষিত পোনা ব্যবহার করা। 

যার ফলে ইতোমধ্যে আমরা চিংড়ী উৎপাদন ভাল পেতে শুরু করেছি। চাষীরা আরও বলেন, প্রতিটি এলাকায় অন্যান্য চিংড়ী চাষীরা যদি এই ধরনের বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ গ্রহন করে নিয়মমাকি চিংড়ী চাষ করে তালে বাংলাদেশের চিংড়ী চাষে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে। সাথে সাথে চিংড়ী চাষের উৎপাদন বাংলাদেশের বৃদ্ধি পাবে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

প্রশিক্ষণকালে উপস্থিত প্রকল্পের কারিগরি মোঃ আশরাফুল হক জানান, প্রকল্পের ডেপুটি চিপ অফ পার্টি ড. মনজুরুল করিম, প্রকল্পে ব্যবস্থাপক এ জেট এম কুদরত-ই করিব ট্রেনিং ম্যানেজার মোঃ মাছুদুর রহমানের সুদক্ষ পরিকল্পনা এবং সুপরিকল্পিত দিক নির্দেশনার কারনেই এই ধরনের বাস্তবমুখী প্রশিক্ষন চিংড়ী চাষীদের মধ্যে প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে।

৩২ বছরেও বাস্তবায়ন হলো না সুন্দরবন জেলা

প্রতিশ্রুতির ৩২ বছরেও বাস্তবায়ন হলো না সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপত আব্দুস ছাত্তারের ঘোষণার সুন্দরবন জেলা। একে একে পার হতে যাচ্ছে প্রতিশ্রুতির ৩২ বছর। আজ ও বাস্তবায়ন হয়নি প্রস্তাবিত সুন্দরবন জেলা। অবহেলিত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সুন্দরবন জেলা দাবী নিষ্ফল ক্রোন্দে পরিণত হতে চলেছে। 

প্রত্যেক জাতীয় নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা এ ব্যাপারে জনগণকে বারবার মিথ্যা আশ্বাস দিলেও পরে বেমালুম ভুলে যান। এবারও তার ব্যাতিক্রম হচ্ছে না। সর্বমহলের একটাই প্রশ্ন আদৌও কি সুন্দরবন জেলা বাস্তবায়ন হবে? না কি সহজ সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে ভোট ব্যাংক মজবুত করা কৌশল মাত্র।

খুলনা জেলা শহর থেকে ১০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে সুন্দরবন কোল ঘেসে পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলা অবস্থিত। ১৯৮২ সালে কয়রা থানার জায়গীর মহলে এক বিশাল জনসভায় সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সাবেক প্রধান বিচারপতি আব্দুস ছাত্তার জনগণের দাবিরমুখে দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি থানা ও পার্শ্ববর্তী থানার কয়েকটি ইউনিয়ন নিয়ে সুন্দরবন জেলা ঘোষণা দেন। যা আজও প্রস্তাবিত হয়ে আছে। এর মধ্যে রয়েছে পাইকগাছা, কয়রা, দাকোপ থানা এবং আশাশুনি ও তালা থানার কয়েকটি ইউনিয়ন।

ততকালিন সময় দক্ষিণ অঞ্চলের সর্বসাধারণের মধ্য জেলা বাস্তবায়নের ব্যাপারে ব্যাপক আশাবাদী হয়েছিল। দীর্ঘ ৩২ বছর যাবত সকলই আশাহত হয়ে আছে। তবে প্রতিটা জাতীয় নির্বাচনের সময় বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বা জোটের প্রার্থীরা সুন্দরবন জেলা বাস্তবায়ন করা হবে এমন প্রতিশ্রুতির অন্ত থাকে না। অপার সম্ভবনাময় সুন্দরবন কোল ঘেষা এ অঞ্চল।

উপজেলাবাসীর সুন্দরবন জেলার দাবী কেনো সঠিক এ ব্যপারে যৌতিকতা দেখিয়ে সুন্দরবন জেলা বাস্তবায়ন কমিটির ও অন্যান্য সামাজিক কমিটি আন্দোলন করে যাচ্ছে। যার মধ্য পাইকগাছা কয়রায় পৃথক আদালত রয়েছে, ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের বিশাল অংশ এ এলাকায় অবস্থিত, হিমায়িত চিংড়িজাতদ্রব্য রপ্তানি করে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব উপার্জন করছে সরকার, পাইকগাছা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে রয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত লোনা পানি মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র, লোনা সহিষ্ণু বীজ উৎপাদন খামার এবং “খ” শ্রেণীর পৌরসভা (পাইকগাছা, দাকোপ), এখানে আরও রয়েছে দেশের ১৮টি বৃহত্তম পাইকারী বাজারের মধ্যে একটি বাণিজ্যিক শহর কপিলমুনি। কয়রায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের সুযোগ। নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে ১৫/২০ লক্ষ মানুষের বসবাস। যোগাযোগ ব্যবস্তার মধ্যে নৌপথ, সড়ক পথ অন্যতম।

জেলার দাবীতে ৮০’র দশক থেকে সর্ব দক্ষিণে গঠিত হয় সুন্দরবন জেলা বাস্তবায়ন কমিটি ও সুন্দরবন জেলা বাস্তবায়ন ছাত্র সংগ্রাম কমিটি। সুন্দরবন জেলা বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। উন্নয়নের পথ প্রদশক ও আধুনিক দেশ গঠনে অগ্রদ্রুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি মেয়াদে সুন্দরবন জেলা ঘোষণা করবেন এমনটি প্রত্যাশা সুধিজনের।

কপিলমুনি গুণিজন স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আঃ সবুর আল-আমিন বলেন, উন্নয় বঞ্চিত দক্ষিণাঞ্চলকে উন্নয়নে দ্রুত সুন্দরবন জেলা বাস্তবায়ন করা উচিত। সুন্দরবন জেলা বাস্তবায়নের দাবীতে প্রস্তুতি নিয়ে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করছে বলে নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ্যাডঃ প্রশান্ত মন্ডল জানান। তবে ঐ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের দাবী আর প্রতিশ্রুতি নয় বর্তমান সরকারের সময় সুন্দরবন জেলা ঘোষণা চাই।

দায়িত্বে অবহেলায় কয়রা থানার ওসি প্রত্যাহার

দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে খুলনা জেলার কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুবীর দত্তকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহারের পর মঙ্গলবার সকালে তাকে খুলনা জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। সুবীর দত্তের স্থলে হরেন্দ্র নাথ সরকারকে কয়রা থানার ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

খুলনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এসএম শফিউল্লাহ জানান, রবিবার রাতে কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী এলাকায় বিনা টিকিটে সার্কাস দেখা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পুলিশের তিন সদস্যসহ ২০ জন আহত হন। ওসি সুবীর দত্তকে এ ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় প্রত্যাহার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মাস খানেক আগে ওসি সুবীর দত্তকে বনদস্যুদের সাথে সখ্যতা, গ্রেফতার বানিজ্য সহ নানা আপরাধে প্রত্যাহার করে নিলেও অজ্ঞাত কারনে আদেশ বাস্তবায় হয়নি। বিষয়টি পরবর্তীতে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি (এ্যাডমিন) কে ও জানানো হয়েছিল।

দুর্গা পূজা আসন্ন : কপিলমুনিতে ব্যস্ততার সাথে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ

সমস্ত বিপদ-আপদ ও দুর্গতী নাশ করেন যিনি তিনিই দূর্গতিনাশিনী, তিনি হচ্ছেন দেবী দুর্গা। আর সেই দেবী দূর্গা প্রতি বছর একবার শরতের শুরুতেই ব্যাপক আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে ধরণীতে আসেন। হিন্দুধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে কপিলমুনি ও হরিঢালী ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজা মন্ডপে ব্যস্ততার সাথে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। 

এ বছর পাইকগাছা থানায় মোট ১৩৮টি মন্ডপে পূজা উদযাপিত হচ্ছে, তন্মধ্যে কপিলমুনি ইউনিয়নে ১৪টি ও হরিঢালী ইউনিয়নে ১৭টি পূজা মন্ডপে সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দূর্গা পূজা।

সরেজমিনে কপিলমুনি ও হরিঢালীতে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি মন্ডপেই প্রতিমা শিল্পীরা দূর্গা প্রতিমা তৈরী ও মন্দির সাজানো কাজ করে চলেছেন। কপিলমুনি ও হরিঢালীর উল্লেখযোগ্য পূজামন্ডপ যথাক্রমে, নাছিরপুর সিংহ বাড়ী পূজা মন্ডপ, কপিলমুনির কালীবাড়ী পূজা মন্ডপ, পোদ্দারপাড়া পূজা মন্ডপ, কাশিমনগর জেলেপাড়া পূজা মন্ডপ, কাশিমনগর দাশপাড়া পূজা মন্ডপ, নাবা পূজা মন্ডপ, মামুদকাটী পূজা মন্ডপ, হরিদাশকাটী পূজা মন্ডপ, হরিঢালী পোদ্দারপাড়া পূজা মন্ডপ, দক্ষিণ সলুয়া পূজা মন্ডপ, রামনাথপুর পূজা মন্ডপ, হাউলী গোয়াল বাথান, নাছিরপুর সাহাপাড়া’সহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক মন্দিরে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ১৯ মিনিটে শুভ ষষ্টি পূজার মধ্যদিয়ে দূর্গতিনাশিনী দেবী দূর্গার পূজার সূচনা ঘটবে।
এ বছর পাইকগাছা শিববাটী পূজা মন্ডপে অসংখ্য প্রতিমা দর্শনের মধ্যদিয়ে অত্যন্ত জাকজমকপূর্ণ পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

কপিলমুনি এলাকার সবচেয়ে আলোচিত ও জাকজমকপূর্ণ কপিলমুনির নাছিরপুর সিংহবাড়ী পূজা মন্ডপের সাধারণ সম্পাদক মানিক লাল সিংহ বলেন, এ বছর আমাদের মন্ডপে বিশেষ কোন ব্যতিক্রম আয়োজন না থাকলেও প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সকলের সহযোগিতায় সমগ্র অনুষ্ঠানটি সফল করতে চাই।

পাইকগাছা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস বলেন, পূজা উৎসব সকলের জন্য। প্রশাসন’সহ সর্বস্তরের নের্তৃন্দের সহযোগিতায় বিগত বছরের ন্যায় এবারের পূজাও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আমি আশাবাদী।

কয়রায় যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

কয়রায় লিটু (৩১) নামে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার উত্তরবেদকাশী গ্রামের একটি চিংড়ি ঘেরের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

কি কারণে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পুলিশের ধারণা, সোমবার রাতের কোনো একসময় তাকে গলা কেটে হত্যার পর দুর্বৃত্তরা এখানে লাশ ফেলে গেছে।

এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুবির দত্ত জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় থানায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।

পাইকগাছায় পল্লী বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ে নাজেহাল গ্রাহকরা

সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টি যেন রুটিনে পরিণত হয়েছে


বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতে ফের চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অধিনস্থ পাইকগাছা জোনাল অফিসের আওতাধীন (পাইকগাছা-কয়রা’র) প্রায় ২৪ হাজার গ্রাহক। ঘন ঘন ট্রিপ ও দীর্ঘস্থায়ী লোড শেডিংয়ের কারণে সার্বিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।

স্থানীয় গ্রাহকদের অভিযোগ, আকাশে মেঘ জমতে দেখলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, আর যদি সামান্য ঝড়ো হাওয়া হয়েছে তো এক-দু’দিনের মধ্যে আর বিদ্যুতের দেখা মেলে না। বিদ্যুতের এ খামখেয়ালীতে গ্রাহকদের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন-ঘন ট্রিপ, লো- ভোল্টেজ ও দীর্ঘস্থায়ী লোডশেডিংয়ের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে যেমন ধ্বস নেমেছে তেমনি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াসহ এখানকার সার্বিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

পৌর বাজারের কম্পিউটার কম্পোজ ও ষ্টুডিও ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। দিনভর বিদ্যুৎ না থাকায় দোকানে আয় করতে পারছি না। বিদ্যুৎ যখন থাকছে তখন মাঝে মাঝে লো-ভোল্টেজ দেখা দিচ্ছে। বাজারের মোবাইল ফোন মেকানিকরা ক্ষোভের সাথে বলেন, সারাদিন বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে। এই আসে এই যায় অবস্থা। ফলে কোন কাজ ধরে শেষ তুলতে পারছি না।

পৌর বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানান, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে যেসব ওষুধ ফ্রিজে রাখতে হয় এমন অনেক ওষুধ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের সামনের প্যাথলজী ব্যবসায়ীরা বলেন, বিদ্যুতের অভাবে রোগীদের পরীক্ষা নীরিক্ষা কার্যক্রম সময়মত করতে পারছিনা। ফলে রোগীদের ক্ষেত্রে ভীষণভাবে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে লোডশেডিংয়ের কারণে। অভিভাবক মহল দুশ্চিস্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে। দিনভর সীমাহীন লোডশেডিং থাকা সত্ত্বেও প্রত্যহ সন্ধ্যা থেকে অনেক রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টি যেন রুটিনে পরিণত হয়েছে।

পাইকগাছায় মাপ চেয়ে রেহাই পেল ছাত্রী উত্ত্যক্তকারী যুবক

অবশেষে মাফ চেয়ে রেহাই পেল পাইকগাছা ভোলানাথ সুখদা সুন্দরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করা যুবক শেখ হাসান। এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অভিভাবকরা তাদের মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিঘ্ন হয়ে পড়েছে।

উক্ত ঘটনাটি নিষ্পত্তির লক্ষে বিদ্যালয়ে এক শালিস অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলামের উপস্থিতিতে শালিসে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এস,এম সৈয়দ আলী, স্কুলের প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী পাড়, গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চু’সহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ। শালিস বৈঠকে হাসান তার দোস স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থণা করলে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ১০ সেপ্টেম্বর স্কুল চলাকালীন সময়ে মেলেক পুরাইকাটী গ্রামের শেখ নূর আলী ওরফে মেঝ নুনুর বোখাটে পুত্র শেখ হাসান স্কুলের দোতলায় উঠে গদাইপুর গ্রামের মিন্টু গাজীর কন্যা ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী হোসনেয়ারা খাতুন (লিমা) কে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় উক্ত ছাত্রী প্রতিবাদ করলে তার কান মুখ বরাবর চড় মারে এ যুবক।

নির্যাতিত ছাত্রীর পিতা মিন্টু গাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে মোতাবেক শনিবার উভয় পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার লক্ষে শালিস অনুষ্ঠিত হয়।

কয়রায় ৩৬ মণ ভেজাল মধু বিনষ্ট

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় কয়রা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক আবুবকর সিদ্দিকের উপস্থিততে ৩৬ মণ ভেজাল মধু মাটিতে পুতে ফেলে বিনষ্ট করা হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে দেউলিয়া বাজারের মোহাম্মদ আলী গাজীর দোকান থেকে ৩৬ মণ ভেজাল মধু কয়রা থানা পুলিশ জব্দ করে। গত ৪ সেপ্টেম্বর কয়রা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থেকে ভেজাল মধু বিনষ্ট করার জন্য আদেশ দেন।

ওই আদেশ বলে কয়রা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থেকে কোর্টের মালখানায় রক্ষিত ভেজাল মধু মাটিতে পুতে বিনষ্ট করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কোর্টের আইনজীবী, স্থানীয় সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

কয়রায় সংখ্যালঘু কন্যাকে গণধর্ষণ

কয়রায় এক সংখ্যালঘু কন্যাকে ২৪ ঘন্টা আটকিয়ে রেখে পালাক্রমে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সাথহালীয়া গ্রামে। 

জানা গেছে, সাথালীয়া গ্রামের জনৈক ব্যক্তির ১০ম শ্রেনীতে পড়ুয়া কন্যাকে শনিবার সন্ধায় স্থানীয় লঞ্চঘাট এলাকা থেকে কয়েকজন যুবক ধরে নিয়ে সাথহালীয়া এলাকায় লাভলু শেখের নীজ ঘেরের বাসায় নিয়ে সারারাত ধরে মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। মেয়েটির পরিবার অনেক খোজাখুজির পর রবিবার সন্ধ্যায় পার্শবর্তী কালীকাপুর গ্রামের মান্নান শেখের বাড়ী থেকে তাকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় স্থানীয় সংখ্যালঘুদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কয়রা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় সরদার জানিয়েছেন।

মেয়েটির পরিবার জানান, সাথালীয়া গ্রামের আজিজ শেখের পুত্র লাভলু শেখ মেয়েটিকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে পুর্বপরিকল্পিত ভাবে ঢাকার উদ্যেশ্যে নেওয়ার জন্য ফুসলিয়ে মহেশ্বরিপুর লঞ্চঘাটে আনে। সেখান থেকে লাভলুর ঘেরের বাসায় নিয়ে ৩/৪ যুবক পালা ক্রমে ধর্ষণ করে।