Saturday, April 16, 2016

পাইকগাছায় সেনা কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি; দম্পতি’সহ আহত ৩

নববর্ষের রাতে পাইকগাছায় অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা কর্মকর্তার বাড়িতে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতির হামলায় সেনা দম্পতি’সহ ৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ওসি মোঃ আশরাফ হোসেন জানিয়েছেন।

থানা পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কয়েকজন ডাকাত গদাইপুর ইউনিয়নে গোপালপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আলহাজ্ব লিয়াকত আলী গোলদারের বাড়ির গেট ও বারান্দার গ্রীল কেটে প্রবেশ করে বিভিন্ন কক্ষের মালামাল তছনছ করে।
এ সময় ডাকাতদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাশের কক্ষ থেকে লিয়াকত আলী বের হওয়ার চেষ্টা করলে এ সময় ডাকাতদের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ডাকাতরা লিয়াকত (৫৫) ও তার স্ত্রী নার্গিস পারভীন (৩৮) কে কুপিয়ে জখম করে। সেনা দম্পত্তির চিৎকারে সিরাজুল ইসলাম নামে এক প্রতিবেশী এগিয়ে আসেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে সংঘবদ্ধ ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষ পরবর্তিতে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লুটপাটের কোন পরিমাণ জানা যায়নি।

পাইকগাছায় ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে শিবসা ব্রীজ সংলগ্ন বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল আমিন। প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন রং ও আকারের নারী শিশু সহ বিভিন্ন বয়সের অর্ধশতাধিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।



প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়। ইউএনও মোঃ আবুল আমিনের সভাপতিত্বে পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম, একাডেমিক সুপার ভাইজার নূরে আলম সিদ্দিকী, প্রাক্তন অধ্যাপক জিএম আজহারুল ইসলাম, সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, বি সরকার, শিক্ষক ফাতেমা খাতুন, জামিনুর ইসলাম, গোলাম সরোয়ার, আব্দুল হাকিম ও দিপঙ্কর মন্ডল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রভাষক ময়নুল ইসলাম।

পাইকগাছার কপিলমুনি হাটের ইজারায় আগ্রহ নেই কারো

পাইকগাছার কপিলমুনি হাটের ইজারায় চলতি বছরের জন্য সরকার নির্ধারিত টাকা এবং হাটের অবস্থা দেখে এবার আর কেউ হাটের ইজারা নেয়নি। যার কারণে সরকারিভাবে এক সপ্তাহ খাজনার টাকা উত্তোলন করবেন স্থানীয় নায়েব (তহশীলদাররা)।
পহেলা বৈশাখে তোলা ছবিতে :: কপিলমুনি হাটের একাংশ ও পাশে কপোতাক্ষ খননের মাটির স্তুপ।

ছবি তুলেছেন :: আমিনুল ইসলাম বজলু

কপিলমুনিতে মাটির নিচে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ

পাইকগাছার কপিলমুনি বাজারে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ কপোতাক্ষ খননের মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে।

ছবি তুলেছেন :: আমিনুল ইসলাম বজলু