Friday, June 6, 2014

পাইকগাছায় ব্যবসায়ী লিয়াকত আলীর মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন (ফলোআপ)

রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে তৎপর একটি মহল 


পাইকগাছায় ব্যবসায়ী লিয়াকত আলীর মৃত্যু নিয়ে এলাকায় শোনা যাচ্ছে নানা গুঞ্জন। মৃত্যুর প্রায় এক সপ্তাহ পর আত্মহত্যার কারণ হিসাবে বেরিয়ে আসছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এলাকাবাসী ও নিকট আত্মীয়দের মতে, পারিবারিক কলহ, দুরারোগ্য ব্যাধী ও ঋণের দ্বায়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী। 

অপর দিকে, অস্বাভাবিক এ মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সুবিধাভোগী একটি মহল স্থানীয় এমপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফয়দা লুটের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মে ভাটা মালিক লিয়াকত আলী বিষপান করলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জুন রাত ১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের বান্দিকাটি গ্রামের সুলতান ফকিরের পুত্র লিয়াকত আলী ফকির চাউলের ব্যবসা দিয়ে ব্যবসায়িক জীবন শুরু করার কয়েক বছরের মধ্যেই হয়ে ওঠেন ধর্ণাঢ্য ব্যবসায়ী। শুরু করেন ইট ভাটার ব্যবসা। ভাটা মালিক হিসাবে মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় তার ব্যাপক পরিচিতি ঘটে। কয়েক বছরের মধ্যে ব্যাংক ঋণ নিয়ে স্ত্রী ও নিজ নামে বিশাল আকারের বসত বাড়ীসহ পৌর বাজারে গড়ে তোলেন বিপনী বিতান।

এদিকে ব্যবসায়িক মন্দার কারণে গত কয়েক বছরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ, পাইকগাছা শাখা, জোনাকী গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতিসহ বিভিন্ন লোকজনের কাছে প্রায় দেড় কোটি টাকার অধিক ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী লিয়াকত।

অপর দিকে প্রায় ৪ বছরের অধিক সময় ধরে ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ জটিল ব্যাধিতে ভুগছিলেন তিনি। এছাড়াও পারিবারিক কলোহের কারনে গত কয়েকদিন আগে তিনি বাড়ী থেকে চলে গিয়ে পাশ্ববর্তী ছোট ভাই মোসলেমের বাড়ীতে আশ্রয় নেন। ঋণ পরিশোধে পাওনাদের চাপ ও জটিল ব্যাধি মানসিক ও শারীরিকভাবে তাকে বিপর্যস্ত করে তোলে।

সর্বশেষ পাওনাদারদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৮ মে সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক উভয় পক্ষকে পৌর সদরস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যবসায়ী লিয়াকতকে তাগিদ দেন। পরে এমপির লোকজন তাকে মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ীতে পৌছে দিয়ে আসেন।

এরপর লিয়াকত ঋণ পরিশোধে মার্কেট ও কিছু সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য তার স্ত্রীকে অনুরোধ করলে স্ত্রী অপরাগতা প্রকাশ করে তাকে লাঞ্চিত করেন। এ সময় উপস্থিত জামাতা প্রভাষক নুর মোহাম্মদও শ্বশুর লিয়াকতকে মুর্খ বলে গালিগালাজ করেন। পরে ঐদিন বিকাল ৪টার দিকে সরল বাজার থেকে কীটনাশক কিনে নিয়ে পুরাতন বাড়ীতে গিয়ে বিষ পান করেন।

এ সময় তৎক্ষনিকভাবে লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জুন রাত ১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন লিয়াকত।

মৃত্যুর পর তার আত্মহত্যার কারণ নিয়ে এলাকায় চলে নানান জল্পনা-কল্পনা। মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সুবিধাবাদী একটি মহল এমপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার ছড়িয়ে ফায়দা লুটের চেষ্টা করছে। অপরদিকে নিকট আত্মীয় ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে আত্মহত্যার নৈপথ্য।

কীটনাশক বিক্রেতা জানান, লিয়াকত যে দিন বিষপান করেন তার ২০ দিন পূর্বে কীটনাশকের কার্যকারিতা ও মূল্য সম্পর্কে তার কাছে জানতে আসেন। স্থানীয় চিকিৎসক জানান, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ঘুমের ঔষধ সম্পর্কে তার কাছে জানতে আসেন লিয়াকত। জামাই কর্তৃক শ্বশুরকে মুর্খ বলে গালি দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন একই এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী ছলেমান বিশ্বাস।

ভাইপো মিন্টু জানান, মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এমপিকে জড়িয়ে যে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভাওতা। চাচা এমনিতেই অনেক দিন ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছেন। এছাড়াও বহু টাকা ঋণ হয়ে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তিনি জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লিয়াকত আলীর ঘনিষ্টজন জানান, মৃত্যুর জন্য তার পিতা সুলতান ফকিরও অনেকটাই দায়ী রয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে লিয়াকত আলীর বসত বাড়ী থেকে ছোট ভাই আহম্মদ আলীর একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যায়। চুরির ঘটনার দ্বায়ভার চাপানো হয় লিয়াকত আলীর ছেলে আব্দুল্লাহর উপর। এ নিয়ে পিতা সুলতান ও পুত্র লিয়াকতের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দেয়।

পিতা-পুত্রের বাড়ীতে যাওয়া-খাওয়া বন্ধ করে দিলে লিয়াকত মৃত্যুর একদিন আগে পিতার কাছে ক্ষমা চাইলে পুত্র মৃত্যু বরণ করলেও তাকে ক্ষমা করবে না বলে জানায়। এসব নানাবিধ ক্ষোভ, দ্বায়-দেনা ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয় লিয়াকত আলী।

এ ব্যাপারে এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক জানান, পাওনাদারদের অভিযোগের ভিত্তিতে লিয়াকতসহ উভয়পক্ষকে আমার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে ঋণ পরিশোধের জন্য লিয়াকতকে অনুরোধ করি। এ সময় তার শারীরিক অবস্থা দেখে আমি তাকে আমার সাথে ভারতে চিকিৎসা করতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করি। এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে তাকে জড়িয়ে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে।

মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এম.এ গফুরের ৪২ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বৃহত্তর খুলনার (পাইকগাছা-কয়রা-আশাশুনি) সাবেক এম.এন.এ শহীদ এম.এ গফুর এর হত্যাকান্ডের বিচার হয়নি। শুক্রবার তার নামে প্রতিষ্ঠিত পাইকগাছার শহীদ গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক স্মরন সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, শহীদ এম.এ গফুর, ১৯২৫ সালে ৬ মে কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের হরিনগর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহযোগী ,ভাষা আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির আহবাযক, পাইকগাছা, কয়রা ও আশাশুনির সাবেক এম.এন.এ ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।

১৯৭২ সালের এই দিনে সাতক্ষীরার আশাশুনি থেকে নৌ-পথে পাইকগাছায় আসার সময় কাটাখালী শাহাপাড়ার মধ্যবর্তী স্থানে দিবালোকে আত্ততায়ীর গুলিতে তিনি নিহত হন।

পাইকগাছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

খুলনা জেলার প্রাথমিক পর্যায়ের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের নাম ২৩ নং পাইকগাছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৪৬ সালে স্থাপিত স্কুলটিতে বর্তমানে ৫৫৬ জন শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করে। ২০০১ সালে জাতীয় পর্যায়ে স্কুলটি শ্রেষ্ঠ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে।


অফিসিয়াল ফেসবুক ফ্যানপেজ :: Paikgacha Model Govt. Primary School.

২০১৪-১৫ বাজেটে দাম বাড়তে পারে যে সব পণ্যের

২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু পণ্যের শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সম্পূরক শুল্ক আরোপ, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আরোপ, সারচার্জ আরোপ, ট্যারিফ বৃদ্ধিসহ রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে ওইসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে। যে সব পণ্যের দাম বাড়তে পারে—

মোবাইল ফোন: বাজেটে মোবাইল ফোন আমদানিতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ১০ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। মোবাইল ফোন সংযোজনকারী দেশীয় কোম্পানিগুলোর ওপরও অবশ্য উত্পাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ মূসক প্রযোজ্য আছে।

সিগারেট: মানভেদে সিগারেটের ওপর প্রায় ১০ থেকে ১৯ শতাংশ পর্যন্ত কর বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিড়ি, জর্দা ও গুলের ওপর কর ও শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব আছে বাজেটে।

বাসের টায়ার: ১৫-১৬ ইঞ্চি রিম সাইজের বাসের টায়ার আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক ও করের সঙ্গে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হারে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এলপিজি সিলিন্ডার: দেশীয় শিল্পের রক্ষায় বিদেশি এলপিজি সিলিন্ডারের ওপর আরোপিত আমদানি শুল্ক ৫ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশে প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাইসাইকেলের টিউব: বাইসাইকেলের টিউব আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।

মোটর গাড়ি: বিভিন্ন হারে সম্পূরক শুল্কহার বাড়ানোর প্রস্তাব থাকায় ১৫০১-২০০০ সিসি পর্যন্ত মোটরগাড়ি, ১৫০০-২৫০০ সিসি পর্যন্ত হাইব্রিড গাড়ি, ২০০০ সিসির ঊর্ধ্বে সিকেডি জিপ, ১৫০১-১৮০০ সিসির মাইক্রোবাস, ১৫ আসনবিশিষ্ট গাড়ি এবং ১৫০০ সিসি ও ১৫০১-২৭৫০ সিসির ডবল কেবিন পিকআপের দাম বাড়বে।

সিম কার্ড প্রতিস্থাপন: মোবাইল ফোনের সিম কার্ড হারিয়ে বা খোয়া গেলে কিংবা একই নম্বরের সিম কার্ড পুনরায় প্রতিস্থাপন করতে বা নিতে গেলে ক্রেতাদের ১০০ টাকা হারে শুল্ক/কর দিতে হবে।

২০১৪-১৫ বাজেটে কমতে পারে যে সব পণ্যের দাম

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক কমানো বা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছেন। এসব প্রস্তাব অনুমোদন পেলে ওই সব পণ্যের দাম কমবে। যে সব পণ্যের দাম কমতে পারে—

সিম কার্ড: মোবাইল ফোনের সিম কার্ড আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

থ্রি হুইলার: দুই স্ট্রোক ও চার স্ট্রোকবিশিষ্ট থ্রি হুইলার বা অটোরিকশার ইঞ্জিন আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশে প্রস্তাব করা হয়েছে।

চশমা: চশমা ও রোদচশমা আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব।

শিশুদের খেলনা: ট্রাইসাইকেল বা ত্রিচক্রযান, স্কুটার, প্যাডেল কার ও পুতুলসহ বিভিন্ন খেলনা আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৩০ থেকে ২০ শতাংশে প্রস্তাব।

পটেটো চিপস: পটেটো চিপস আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৬০ থেকে কমিয়ে ৪৫ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব।

ইন্টারনেট: ইন্টারনেট সংযোগ দ্রুত ও গতিশীল করতে এর উপকরণ মাল্টিপ্লেক্সার ও গ্র্যান্ডমাস্টার ক্লক আমদানিতে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কের পরিবর্তে শুধু ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

মশার কয়েল: মশার কয়েল ও অ্যারোসল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ থেকে ৩০ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সাবান ও ডিটারজেন্ট: সাবান ও ডিটারজেন্ট আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশে ধার্যের প্রস্তাব করা হয়েছে।

জন্মনিরোধক সামগ্রী: জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের জন্মনিরোধক সামগ্রীর ওপর ব্যবসায়ী পর্যায়ে প্রযোজ্য মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব।

রড: বিলেটের কাঁচামাল, স্পঞ্জ আয়রন ও রিডিউসড আয়রনের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব।ফলে রডসহ লৌহ ও ইস্পাত শিল্পের বিভিন্ন পণ্যের দাম কমতে পারে।

ডায়াপার: শিশুদের ডায়াপার তৈরির কাঁচামালের ওপর আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ফিলামেন্ট ল্যাম্প: দেশে উত্পাদিত ফিলামেন্ট ল্যাম্পের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে।

মেডিটেশন সেবা: এই সেবার ওপর বর্তমানে প্রযোজ্য মূসক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ক্যানসারের ওষুধ: ক্যানসারের ওষুধ তৈরির ১৪টি কাঁচামালের ওপর থেকে বিদ্যমান শুল্কহার সম্পূর্ণ মওকুফের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য অত্যাবশ্যক ইনফিউশন পাম্পের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ মওকুফের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

কিডনি রোগের চিকিত্সা: স্থানীয় পর্যায়ে কিডনি ডায়ালিসিস সলিউশনের ওপর প্রযোজ্য মূল্য সংযোজন কর (মূসক) সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে করা হয়েছে।

আয়ুর্বেদিক ওষুধ: আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির ৪১টি কাঁচামালের ওপর ১০-২৫ শতাংশ হারে আরোপিত শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু: হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু খাতের উপকরণ ও কাঁচামালের শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব রয়েছে বাজেটে।

অমসৃণ হীরা, ইমিটেশন গহনা: অমসৃণ হীরা, ইমিটেশন গহনা, স্টেইনলেস ব্লেড, রান্নার তৈজসপত্র, স্টিলের সিঙ্ক, বেসিন, পানির কল, বাথরুম সরঞ্জাম, স্যানিটারি আইটেমের শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

দাম কমতে পারে আরও যে সব পণ্যের ::

বৈদ্যুতিক বাতি ও এর ফিটিংস, সার্চ ও স্পট লাইটসহ এ ধরনের যন্ত্রাংশ; মিষ্টি বিস্কুট ও ওয়েফার; সাবান তৈরির কাঁচামাল ন্যুডল; বিভিন্ন ধরনের পেইন্ট ও ভার্নিশ (এনামেল লেকারসহ; বিভিন্ন সুগন্ধি; প্রসাধনী ও সৌন্দর্য পরিচর্যার পণ্য; গ্যাস টিউব, ফ্লোট গ্লাস, পলিশড গ্লাস, ফ্রেমযুক্ত ও ফ্রেমবিহীন কাচের আয়না; ইট, টাইলস, মোজাইকসহ নানা নির্মাণসামগ্রী; গ্যাস পাইপ; অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল; ফিল্টার; ট্রান্সফরমার (১-৫০০ কেভি পর্যন্ত); দিয়াশলাই; সব ধরনের পার্টিক্যাল বোর্ড, হার্ড বোর্ড, প্লাইউড, দরজা, জানালা, অ্যাঙ্গেল ও প্যানেল; তাজা ও হিমায়িত মাছ; মাখন ও অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য; চর্বি ও তেল; টমেটো; তাজা ও শুকনা সুপারি; গ্লুকোজ ও গ্লুকোজ সিরাপ; কোকাবিহীন সুগার কনফেকশনারি; কোকাযুক্ত চকলেট ও তা দিয়ে অন্যান্য খাদ্য তৈরির উপাদান; ফিনিশড বা সম্পূর্ণ তৈরি চকলেট; পাস্তা ও পাস্তাজাতীয় খাবার; খাদ্যশস্য; ফলের রস; সস ও একই জাতীয় পণ্য; আইসক্রিম; সালফিউরিক এসিড ও ওলিয়াম; স্যাকস ও ব্যাগ; প্রিন্টেড লেভেল; ছাপানো বই, ব্রশিউর, লিফলেট ও সমজাতীয় পণ্য; ছাপানো ছবি; রেশম বস্ত্র, ওভেন ফ্যাব্রিক্স, ট্র্যাকস্যুটসহ অন্যান্য পোশাক; ব্রেসিয়ার, রুমাল, শাল, টাই, গ্লাভস, গার্ডল ও করসেট; কৃত্রিম ফুল ও ফল; ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড; সাউন্ড রেকর্ডিংস ও ভিডিও রেকর্ডিংস; ডিশের তার ও অন্যান্য বিদ্যুত্ পরিবাহী; ল্যাম্প কার্বন, ব্যাটারি কার্বন ও ইলেকট্রিক্যাল কাজে ব্যবহূত পণ্য; মোটর সাইকেলের সিট ও ঘূর্ণমান চেয়ারের সিট; আসবাবপত্র ও এর যন্ত্রাংশ; ম্যাট্রেস; তাস ইত্যাদি।