রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে তৎপর একটি মহল
পাইকগাছায় ব্যবসায়ী লিয়াকত আলীর মৃত্যু নিয়ে এলাকায় শোনা যাচ্ছে নানা গুঞ্জন। মৃত্যুর প্রায় এক সপ্তাহ পর আত্মহত্যার কারণ হিসাবে বেরিয়ে আসছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এলাকাবাসী ও নিকট আত্মীয়দের মতে, পারিবারিক কলহ, দুরারোগ্য ব্যাধী ও ঋণের দ্বায়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী।
অপর দিকে, অস্বাভাবিক এ মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সুবিধাভোগী
একটি মহল স্থানীয় এমপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফয়দা লুটের চেষ্টা
করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে ভাটা মালিক লিয়াকত আলী বিষপান করলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জুন রাত ১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের বান্দিকাটি গ্রামের সুলতান ফকিরের পুত্র লিয়াকত আলী ফকির চাউলের ব্যবসা দিয়ে ব্যবসায়িক জীবন শুরু করার কয়েক বছরের মধ্যেই হয়ে ওঠেন ধর্ণাঢ্য ব্যবসায়ী। শুরু করেন ইট ভাটার ব্যবসা। ভাটা মালিক হিসাবে মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় তার ব্যাপক পরিচিতি ঘটে। কয়েক বছরের মধ্যে ব্যাংক ঋণ নিয়ে স্ত্রী ও নিজ নামে বিশাল আকারের বসত বাড়ীসহ পৌর বাজারে গড়ে তোলেন বিপনী বিতান।
এদিকে ব্যবসায়িক মন্দার কারণে গত কয়েক বছরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ, পাইকগাছা শাখা, জোনাকী গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতিসহ বিভিন্ন লোকজনের কাছে প্রায় দেড় কোটি টাকার অধিক ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী লিয়াকত।
অপর দিকে প্রায় ৪ বছরের অধিক সময় ধরে ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ জটিল ব্যাধিতে ভুগছিলেন তিনি। এছাড়াও পারিবারিক কলোহের কারনে গত কয়েকদিন আগে তিনি বাড়ী থেকে চলে গিয়ে পাশ্ববর্তী ছোট ভাই মোসলেমের বাড়ীতে আশ্রয় নেন। ঋণ পরিশোধে পাওনাদের চাপ ও জটিল ব্যাধি মানসিক ও শারীরিকভাবে তাকে বিপর্যস্ত করে তোলে।
সর্বশেষ পাওনাদারদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৮ মে সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক উভয় পক্ষকে পৌর সদরস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যবসায়ী লিয়াকতকে তাগিদ দেন। পরে এমপির লোকজন তাকে মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ীতে পৌছে দিয়ে আসেন।
এরপর লিয়াকত ঋণ পরিশোধে মার্কেট ও কিছু সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য তার স্ত্রীকে অনুরোধ করলে স্ত্রী অপরাগতা প্রকাশ করে তাকে লাঞ্চিত করেন। এ সময় উপস্থিত জামাতা প্রভাষক নুর মোহাম্মদও শ্বশুর লিয়াকতকে মুর্খ বলে গালিগালাজ করেন। পরে ঐদিন বিকাল ৪টার দিকে সরল বাজার থেকে কীটনাশক কিনে নিয়ে পুরাতন বাড়ীতে গিয়ে বিষ পান করেন।
এ সময় তৎক্ষনিকভাবে লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জুন রাত ১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন লিয়াকত।
মৃত্যুর পর তার আত্মহত্যার কারণ নিয়ে এলাকায় চলে নানান জল্পনা-কল্পনা। মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সুবিধাবাদী একটি মহল এমপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার ছড়িয়ে ফায়দা লুটের চেষ্টা করছে। অপরদিকে নিকট আত্মীয় ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে আত্মহত্যার নৈপথ্য।
কীটনাশক বিক্রেতা জানান, লিয়াকত যে দিন বিষপান করেন তার ২০ দিন পূর্বে কীটনাশকের কার্যকারিতা ও মূল্য সম্পর্কে তার কাছে জানতে আসেন। স্থানীয় চিকিৎসক জানান, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ঘুমের ঔষধ সম্পর্কে তার কাছে জানতে আসেন লিয়াকত। জামাই কর্তৃক শ্বশুরকে মুর্খ বলে গালি দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন একই এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী ছলেমান বিশ্বাস।
ভাইপো মিন্টু জানান, মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এমপিকে জড়িয়ে যে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভাওতা। চাচা এমনিতেই অনেক দিন ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছেন। এছাড়াও বহু টাকা ঋণ হয়ে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তিনি জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লিয়াকত আলীর ঘনিষ্টজন জানান, মৃত্যুর জন্য তার পিতা সুলতান ফকিরও অনেকটাই দায়ী রয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে লিয়াকত আলীর বসত বাড়ী থেকে ছোট ভাই আহম্মদ আলীর একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যায়। চুরির ঘটনার দ্বায়ভার চাপানো হয় লিয়াকত আলীর ছেলে আব্দুল্লাহর উপর। এ নিয়ে পিতা সুলতান ও পুত্র লিয়াকতের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দেয়।
পিতা-পুত্রের বাড়ীতে যাওয়া-খাওয়া বন্ধ করে দিলে লিয়াকত মৃত্যুর একদিন আগে পিতার কাছে ক্ষমা চাইলে পুত্র মৃত্যু বরণ করলেও তাকে ক্ষমা করবে না বলে জানায়। এসব নানাবিধ ক্ষোভ, দ্বায়-দেনা ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয় লিয়াকত আলী।
এ ব্যাপারে এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক জানান, পাওনাদারদের অভিযোগের ভিত্তিতে লিয়াকতসহ উভয়পক্ষকে আমার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে ঋণ পরিশোধের জন্য লিয়াকতকে অনুরোধ করি। এ সময় তার শারীরিক অবস্থা দেখে আমি তাকে আমার সাথে ভারতে চিকিৎসা করতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করি। এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে তাকে জড়িয়ে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে ভাটা মালিক লিয়াকত আলী বিষপান করলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জুন রাত ১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের বান্দিকাটি গ্রামের সুলতান ফকিরের পুত্র লিয়াকত আলী ফকির চাউলের ব্যবসা দিয়ে ব্যবসায়িক জীবন শুরু করার কয়েক বছরের মধ্যেই হয়ে ওঠেন ধর্ণাঢ্য ব্যবসায়ী। শুরু করেন ইট ভাটার ব্যবসা। ভাটা মালিক হিসাবে মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় তার ব্যাপক পরিচিতি ঘটে। কয়েক বছরের মধ্যে ব্যাংক ঋণ নিয়ে স্ত্রী ও নিজ নামে বিশাল আকারের বসত বাড়ীসহ পৌর বাজারে গড়ে তোলেন বিপনী বিতান।
এদিকে ব্যবসায়িক মন্দার কারণে গত কয়েক বছরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ, পাইকগাছা শাখা, জোনাকী গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতিসহ বিভিন্ন লোকজনের কাছে প্রায় দেড় কোটি টাকার অধিক ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী লিয়াকত।
অপর দিকে প্রায় ৪ বছরের অধিক সময় ধরে ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ জটিল ব্যাধিতে ভুগছিলেন তিনি। এছাড়াও পারিবারিক কলোহের কারনে গত কয়েকদিন আগে তিনি বাড়ী থেকে চলে গিয়ে পাশ্ববর্তী ছোট ভাই মোসলেমের বাড়ীতে আশ্রয় নেন। ঋণ পরিশোধে পাওনাদের চাপ ও জটিল ব্যাধি মানসিক ও শারীরিকভাবে তাকে বিপর্যস্ত করে তোলে।
সর্বশেষ পাওনাদারদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৮ মে সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক উভয় পক্ষকে পৌর সদরস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যবসায়ী লিয়াকতকে তাগিদ দেন। পরে এমপির লোকজন তাকে মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ীতে পৌছে দিয়ে আসেন।
এরপর লিয়াকত ঋণ পরিশোধে মার্কেট ও কিছু সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য তার স্ত্রীকে অনুরোধ করলে স্ত্রী অপরাগতা প্রকাশ করে তাকে লাঞ্চিত করেন। এ সময় উপস্থিত জামাতা প্রভাষক নুর মোহাম্মদও শ্বশুর লিয়াকতকে মুর্খ বলে গালিগালাজ করেন। পরে ঐদিন বিকাল ৪টার দিকে সরল বাজার থেকে কীটনাশক কিনে নিয়ে পুরাতন বাড়ীতে গিয়ে বিষ পান করেন।
এ সময় তৎক্ষনিকভাবে লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জুন রাত ১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন লিয়াকত।
মৃত্যুর পর তার আত্মহত্যার কারণ নিয়ে এলাকায় চলে নানান জল্পনা-কল্পনা। মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সুবিধাবাদী একটি মহল এমপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার ছড়িয়ে ফায়দা লুটের চেষ্টা করছে। অপরদিকে নিকট আত্মীয় ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে আত্মহত্যার নৈপথ্য।
কীটনাশক বিক্রেতা জানান, লিয়াকত যে দিন বিষপান করেন তার ২০ দিন পূর্বে কীটনাশকের কার্যকারিতা ও মূল্য সম্পর্কে তার কাছে জানতে আসেন। স্থানীয় চিকিৎসক জানান, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ঘুমের ঔষধ সম্পর্কে তার কাছে জানতে আসেন লিয়াকত। জামাই কর্তৃক শ্বশুরকে মুর্খ বলে গালি দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন একই এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী ছলেমান বিশ্বাস।
ভাইপো মিন্টু জানান, মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এমপিকে জড়িয়ে যে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভাওতা। চাচা এমনিতেই অনেক দিন ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছেন। এছাড়াও বহু টাকা ঋণ হয়ে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তিনি জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লিয়াকত আলীর ঘনিষ্টজন জানান, মৃত্যুর জন্য তার পিতা সুলতান ফকিরও অনেকটাই দায়ী রয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে লিয়াকত আলীর বসত বাড়ী থেকে ছোট ভাই আহম্মদ আলীর একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যায়। চুরির ঘটনার দ্বায়ভার চাপানো হয় লিয়াকত আলীর ছেলে আব্দুল্লাহর উপর। এ নিয়ে পিতা সুলতান ও পুত্র লিয়াকতের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দেয়।
পিতা-পুত্রের বাড়ীতে যাওয়া-খাওয়া বন্ধ করে দিলে লিয়াকত মৃত্যুর একদিন আগে পিতার কাছে ক্ষমা চাইলে পুত্র মৃত্যু বরণ করলেও তাকে ক্ষমা করবে না বলে জানায়। এসব নানাবিধ ক্ষোভ, দ্বায়-দেনা ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয় লিয়াকত আলী।
এ ব্যাপারে এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক জানান, পাওনাদারদের অভিযোগের ভিত্তিতে লিয়াকতসহ উভয়পক্ষকে আমার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে ঋণ পরিশোধের জন্য লিয়াকতকে অনুরোধ করি। এ সময় তার শারীরিক অবস্থা দেখে আমি তাকে আমার সাথে ভারতে চিকিৎসা করতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করি। এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে তাকে জড়িয়ে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে।