Monday, September 22, 2014

পাইকগাছায় ১৩৮টি পূজা মন্ডপে দুর্গা পূজা

পাইকগাছায় সাড়ম্বরে চলছে শারদীয় দুর্গা পূজার প্রস্তুতি। বাঙ্গালী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে এখন পূজা মন্দিরগুলোতে প্রতিমা নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়। চলছে রং তুলির আর সাজসজ্জার বাহারি উপকরণ দিয়ে প্রতিমা আর্কষণী করে তোলার কাজ। দুর্গতি নাশিনী দেবী দুর্গাকে বরণ করতে সর্বত্রই সাজসাজ রব। শিল্পীরা ব্যস্ত প্রতিমাকে আরো রূপ-মাধূর্যে পরিপূর্ণ করে তুলতে। কারীগর ব্যস্ত মঞ্চ-প্যান্ডেল স্থাপনে। এগিয়ে চলছে অন্যান্য কাজও। 

জেলার অধিকস্থানে পূজা হচ্ছে পাইকগাছা উপজেলায়। এ উপজেলায় ১৩৮টি পূজামন্ডপে এখন চলছে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতিমূলক আয়োজন। দূর্গাদেবীর আবাহন বা মহালয়া, তারপর দেবী দূর্গার বোধন, আমন্ত্রন ও অধিবাসের মধ্যোদিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৫ দিনের মহা দূর্গোৎসব। প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে শেষ হবে এই বর্ণিল উৎসব।

এবার উপজেলার কপিলমুনিতে পূজার পাশাপাশি প্রতিদিনই থাকছে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সূত্র জানান, উপজেলার পৌর সদর ও কপিলমুনিতে প্রতি বছরের ন্যায় এবার পূজা উদযাপন কমিটি আড়ম্বরপূর্ণভাবে প্রতিমার নকশা, লাইটিং ও ডেকোরেশন এর ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন।

উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১০ টি ইউনিয়নের ১৩৮টি পূজা মন্ডপে দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে জনসমাগমের ভিত্তিতে ৩২টি পূজা মন্দিরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

'ভয়েস অফ পাইকগাছা'র পক্ষ থেকে সবাইকে শুভ মহালয়া’র অগ্রিম শুভেচ্ছা !


আগামীকাল ২৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন, শুভ মহালয়া। পুরাণমতে, এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে।

A 'Voice of Paikgacha' Campaign.


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: ডিগ্রির ফল প্রকাশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১২ সালের ‘ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স’ চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবারে পাশের হার ৭৮.০৬ শতাংশ।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফল প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বদরুজ্জামান। তিনি জানান, এ ফলাফল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট www.nu.edu.bdwww.nubd.info এবং যেকোনো মোবাইল ফোন থেকে ফলাফল জানা যাবে।

এছাড়া ২০১১-১২ সেশনের ১ম বর্ষ এবং ২০১০-১১ সেশনের ২য় বর্ষের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট পরীক্ষার বর্ষোত্তীর্ণ পরীক্ষার ফলও প্রকাশ করা হয়েছে।

পাইকগাছায় ৩ দিনের হরতালে প্রভাব পড়েনি জনজীবনে

পাইকগাছায় গত ৩ দিনের পৃথক হরতালে কোন প্রভাব পড়েনি জনজীবনে। জামায়াত-বিএনপির কোন নেতাকর্মীকে কোন কর্মসূচী পালন করতে দেখা যায়নি। দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
 
জানা গেছে, ২০ দলের ডাকা সোমবারের হরতালে বিএনপি-জামায়াতের কোন নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি। হরতাল সমর্থনে সংগঠণের পক্ষ থেকে মিছিল কিংবা পিকেটিং করতেও দেখা যায়নি।

অপরদিকে রোববার ও বৃহস্পতিবার জামায়াতের ডাকা হরতালেও ছিল না জামায়াতের কোন কর্মসূচী। সব মিলিয়েই ২০ দল ও জামায়াতের ডাকা ৩ দিনের হরতালে কোন প্রভাব পড়েনি জনজীবনে। প্রতিদিন দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। যানবাহনও চলাচল ছিল স্বাভাবিক।

এ ব্যাপারে পৌর বিএনপির এক নেতা জানান, বর্তমানে সংগঠণের দেখভাল করার মত তেমন কেউ না থাকায় গ্রেপ্তার এড়াতেই নেতাকর্মীরা কর্মসূচী থেকে নিজেদেরকে গুটিয়ে রাখেছে।

দীর্ঘ সাড়ে চার মাসেও কয়রার তের আউলিয়া জলমহালের ইজারা হয়নি

কয়রা উপজেলার তের আউলিয়া খাল (বদ্ধ) জলমহাল গত সাড়ে ৪ মাসেও প্রভাবশালী মহলের চাপের মুখে ইজারা দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ইজারায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠান। পৃথকভাবে গঠিত তদন্ত কমিটি মসজিদকুড় রূপালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির অনুকূলে মতামত দিলেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হওয়ায় রাজস্ব হারাতে বসেছে সরকার।

দপ্তর সূত্রে জানা যায়, কয়রা উপজেলার তের আউলিয়া (বদ্ধ) জলমহালটি ৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা সরকারি মূল্য নির্ধারণ করে ইজারার জন্য গত ২০ মার্চে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। ১৭ এপ্রিল ছিল দরপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ। উক্ত জলমহালের জন্য কয়রা উপজেলার দু’টি সমিতি দরপত্র দাখিল করেন পাটুলিয়া দশবাড়িয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ (৭ লাখ ৩২ হাজার ৫শ’ টাকা) এবং মসজিদকুড় রূপালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ (৭ লাখ ১০ হাজার টাকা)।

গত ২০ এপ্রিল জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির ১ম সভার প্রতিবেদন যায়, পাটুলিয়া দশবাড়িয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ-এর বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট কেস নং-১৮১/রাজ/১২-১৩ বিদ্যমান। ফলে সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০০৯ এর ৫ (৪)(ছ) এবং ইজারা বিজ্ঞপ্তির ১১ অনুচ্ছেদ মোতাবেক উক্ত সমিতি অযোগ্য।

কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এ পর্যন্ত ৩টি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে, যারা পৃথকভাবে তদন্ত রিপোর্টও জমা দিয়েছেন। কিন্তু অদ্যাবধি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি । সর্বশেষ তদন্ত কমিটি মসজিদকুড় রূপালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ-এর অনুকূলে পূর্বের কমিটির মতামতে গত ১৩ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। কিন্তু অদ্যাবধি জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেননি।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে আজ দুপুর ১২টায় জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভায় পর্বের বিভিন্ন পর্যায়ের তদন্ত কমিটি দেয়া মতামতের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মৎস্যজীবিরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জেলা সমবায় কর্মকর্তা খুলনা; উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কয়রা; রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি), খুলনা এবং স্থানীয় আমাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, দু’টি সমিতির মধ্যে মসজিদকুড় রূপালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ একটি প্রকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি এবং তারা জলমহালের তীরবর্তী। ফলে জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতির আলোকে উক্ত সমিতিই ইজারা প্রাপ্তির যোগ্য।

পাইকগাছায় হরতালে নাশকতার আশঙ্কায় (!!!)....

জামায়াত-বিএনপির ৪ নেতাকর্মী আটক; ২ জনকে আদালতে সোপর্দ


পাইকগাছায় হরতালে নাশকতার আশঙ্কায় জামায়াত-বিএনপির ৪ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে দু’জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর দু’জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে।

জানা গেছে, ২০ দলের ডাকা হরতালে নাশকতার আশঙ্কায় সোমবার ভোরে থানার এস.আই জালালউদ্দীন ও এস.আই বিশ্বজিৎ অধিকারী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের বাঁকা ভবানীপুর গ্রামের মৃত নুর বক্স সানার পুত্র জামায়াতনেতা বজলুর রহমান (৫৪) ও বাঁকা ঘোষপাড়া গ্রামের মৃত ছমির মোড়লের পুত্র শহিদুল মোড়ল (৩৫), দুপুরে আদালত সংলগ্ন এলাকা থেকে শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের মৃত মিনাজ গাজীর পুত্র জামায়াতনেতা মোঃ ইসহাক আলী গাজী (৭৮) এবং পরিবহন চত্ত্বর এলাকা থেকে লতা ইউনিয়ন কৃষকদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক বাহিরবুনিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম বাহার (৪৪) কে আটক করেন।

এ ব্যাপারে ওসি সিকদার আককাস আলী জানান, আটককৃতদের মধ্যে ইসহাক গাজী এবং আমিনুল ইসলাম বাহারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয় ও জামায়াত নেতা বজলু ও শহিদুলকে বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা ৩৪ (১০) ১৩ নং মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পাইকগাছার ৩২টি পূজা মন্দিরকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত

পাইকগাছা পৌরসভার ৩টি’সহ উপজেলার দশ ইউনিয়নের ৩২টি পূজা মন্দিরকে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে ২২টি পূজা মন্দিরকে চিহিৃত করা হয়েছে। এবার মোট ১৩৮টি স্বার্বজনীন পূজা মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি সমীরন সাধু বলেন, পৌর শহরের ৫টি’র মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি পূজা মন্দির, বাতিখালী হরিতলা পূজা মন্দির ও পৌর বাজার পূজা মন্দির।

হরিঢালী ইউনিয়নের ১৭টি মন্দিরের মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ মাহমুদকাটী (বিশ্বাসপাড়া) পূজা মন্দির, নগর শ্রীরামপুর পূজা মন্দির ও নোয়াকাটী মালোপাড়া পূজামন্দির।

কপিলমুনি ইউনিয়নের ১৪টি’র মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে কপিলমুনি মিলন মন্দির পূজা মন্দির, উত্তর নাছিরপুর পূজা মন্দির, কাশিমনগর সাধুপাড়া পূজা মন্দির ও কাশিমনগর মালোপাড়া পূজা মন্দির।

লতা ইউনিয়নের ১১টি’র মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ তেঁতুলতলা পূজা মন্দির, ত্রিপল্লী কাঠামারী পূজা মন্দির ও শামুকপোতা বাজার পূজা মন্দির, দেলুটী ইউনিয়নের ১৩টি’র মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বিগরদানা পূজামন্দির, দারুনমল্লিক পূজা মন্দির ও জিরবুনিয়া পূজা মন্দির।

সোলাদানা ইউনিয়নের ১৪টি’র মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ ৫নং সোলাদানা ইউনিয়ন পূজা মন্দির, চারবান্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পূজা মন্দির, চৌরাস্তা পূজা মন্দির ও সোনাখালী পূজা মন্দির।

লস্কর ইউনিয়নের ১৭টি’র মধ্যে লস্কর পূজা মন্দির, খড়িয়া বীণাপানি পূজা মন্দির ও খড়িয়া সুন্দরবন পূজা মন্দির।

গদাইপুর ইউনিয়নের ৪টি’র মধ্যে মঠবাড়ি রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম পূজা মন্দির ও ভোলানাথ সুখদা সুন্দরী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পূজা মন্দির।

রাড়ূলী ইউনিয়নের ১৯টি’র মধ্যে কাটীপাড়া উত্তর দাশপাড়া পূজা মন্দির, রাড়ূলী স্যার পিসি রায়’র বাড়ি পূজা মন্দির ও বাঁকা বাজার পূজা মন্দির।

চাঁদখালী ইউনিয়নের ১৩টি’র মধ্যে দেবদুয়ার মালোপাড়া পূজা মন্দির, কৈয়াছিটিবুনিয়া-গজালিয়া পূজা মন্দির ও কাটাখালী বাজার পূজা মন্দির।

গড়ইখালী ইউনিয়নের ১১টি’র মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ মাত্র একটি হোগলারচক পশ্চিমপাড়া পূজা মন্দির।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিকদার আককাস আলী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ও অতিঝুঁকিপূর্ণসহ সকল পূজা মন্দিরে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক নজরদারী রাখবে।

পাইকগাছায় দু’দিনের টানা বর্ষণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

দু’দিনের টানা বর্ষণে পাইকগাছায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে ও ভেসে গেছে শত শত বিঘা চিংড়ি ঘের। কর্মহীন মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজসহ অফিস আদালতে উপস্থিতি কম।

জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে গত শনিবার ভোর ৬টা থেকে গতকাল রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা দু’দিনের ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কর্মহীন মানুষ ঘর থেকে বের হতে না পেরে অলস সময় পার করছেন।

অন্যদিকে স্কুল, কলেজসহ অফিস আদালতে উপস্থিতি অনেক কম লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের হরিখালী, আমুরকাটা, দিঘাসহ বিভিন্ন এলাকা শত শত বিঘা চিংড়ি ঘের ভেসে গেছে। এতে ঘের মালিকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। সোলাদানা ইউনিয়নের রবীন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন, তার ১০০ বিঘার চিংড়ি ঘের সম্পূর্র্ণ ভেসে গিয়ে প্রায় ৫-৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

চাঁদখালী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুনছুর আলী জানিয়েছেন, তার ইউনিয়নে অনেক ধান ক্ষেত তলিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার গদাইপুর, পৌরসভাসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বিভাস চন্দ্র সাহা জানিয়েছেন, গত শনিবার ভোর থেকে গতকাল রবিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে দীর্ঘায়িত বৃষ্টিপাত হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টিপাতে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকাগামী পরিবহনের সরাসরি ঢাকা-পাইকগাছা চলাচল নিশ্চিত চাই

পাইকগাছা-খুলনা রুটে গত শুক্রবার থেকে সরাসরি যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে ঢাকাগামী পরিবহন গুলো এখনও পাইকগাছায় না এসে ঢাকা-তালা চলাচল করছে।

আসন্ন শারদীয়া দুর্গ পূজা ও ঈদুল আযহার আগেই ঢাকাগামী পরিবহন গুলো যাতে সরাসরি ঢাকা-পাইকগাছা চলাচল করে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এই রুটের ভুক্তভোগী সকল যাত্রীS !

পাইকগাছায় কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

ওয়ার্ড পর্যায়ে গ্রামীণ নাগরিক প্লাটফর্ম গঠণের জন্য কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ৬নং লস্কর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে সুশীলন শরিক প্রকল্পের স্থানীয় জনসেবার মান উন্নয়নের এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান কে,এম, আরিফুজ্জামান তুহিন। প্রতি ওয়ার্ড থেকে ১ জন নারী ও ১ জন পুরুষ নিয়ে মোট ৯টি ওয়ার্ড থেকে ১৮ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সুশীলন শরিক প্রকল্প টিম লিডার শিপক চন্দ্র দে এবং ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর আজমীরা পারভীন।