Tuesday, October 21, 2014

পাইকগাছায় অবহেলিত যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা

১০টি ইউনিয়নে ৩৬৫ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা, বিদ্যুৎবিহীন ২৪ গ্রাম


স্বাধীনতার গত ৪৪ বছরে এখনো পর্যন্ত কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি খুলনার পাইকগাছা উপজেলায়। ৩৬৫ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার কারণে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। দুইটি ইউনিয়নে এখনো গড়ে উঠেনি কমিউনিটি ক্লিনিক। ৩৬টি ক্লিনিকের মধ্যে জরাজীর্ণ রয়েছে ১৯টি। ফলে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ। এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছাইনি অনেক ইউনিয়নে। ফলে আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে দুরে রয়েছে ২৪ গ্রামের মানুষ।

জানা গেছে, জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত হয়েছে পাইকগাছা উপজেলা। উপজেলা থেকে কৃষি, মৎস্য ও বনজ সম্পদ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা সরকার রাজস্ব পেয়ে থাকলেও স্বাধীনতার গত ৪৪ বছরেও কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলার।

উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে এখনো পর্যন্ত কাঁচা রয়েছে ৩৬৪.৫৯ কিলোমিটার রাস্তা। নাজুক এ যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে দুর্গম এলাকার মানুষ। স্বাস্থ্য খাতে বেশ কিছু উন্নয়ন পরিলক্ষিত হলেও উপজেলার সোলাদানা ও গড়ইখালী ইউনিয়নে এখনো গড়ে উঠেনি কমিউনিটি ক্লিনিক। বর্তমানে ১০ ইউনিয়নে ৩৬টি ক্লিনিক চালু থাকলেও ১৯টি ক্লিনিকের অবস্থা জরাজীর্ণ। ফলে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে হাজার হাজার মানুষ।

আধুনিক জীবনযাপনে বিদ্যুৎ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও লতা ইউনিয়নের গঙ্গারকোনা, কাঠামারী, বাহিরবুনিয়া, পানা, শামুকপোতা, পুটিমারী, গদারডাঙ্গা, হানিরাবাদ, আসাননগর, গোয়াছোবা, রেখামারী, হালদারচক, তেতুলতলা ও দেলুটি ইউনিয়নের বিগরদানা, হাটবাড়ী, গোপীপাগলা, ফুলবাড়ী, সৈয়দখালী, দুর্গাপুর, তেলিখালী, কালিনগর, সেনেরবেড়, হরিণখোলা, দারুনমল্লিক, নোয়াইসহ দুই ইউনিয়নের ২৪টি গ্রামে এখনো পৌঁছাইনি বিদ্যুতের আলো। ফলে আধুনিক জীবনযাপন থেকে বঞ্চিত রয়েছে দুই ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষ।

অবহেলিত এ উপজেলার যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ খাত সহ সার্বিক উন্নয়নে সরকারের মনোযোগ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।

কপিলমুনির কাশিমনগর লোকনাথ মন্দির হয়ে উঠেছে ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের সাধনাস্থল

কপিলমুনি শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষ্রচারী শান্তি নিকেতন এতদাঞ্চলের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের যেন সাধনার পিঠস্থল। পূজাপার্বনে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ সনাতনীদের অংশ গ্রহণে মন্দিরটি সাধনার অন্যতম স্থানে পরিণত হয়েছে।



জানা যায়, ২০০০ সালে খলিলনগর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বিধান চন্দ্র রায়ের সাথে ঘোষনগর গ্রামের প্রয়াত অঘোর চন্দ্র পালের পুত্র নকুল চন্দ্র পালের পরিচয় হয়। তারা আলোচনার মধ্যদিয়ে কশিমনগর-ঘোষনগর এলাকায় শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষ্রচারীর একটি দর্শনীয় মন্দির স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। এক পর্যায়ে কপিলমুনি ও খলিলনগরের সর্ব সাধারণের সহযোগিতায় ওই বছরই মন্দিরটি স্থপন হয়।

বর্তমানে মন্দিরটি পরিচালনার জন্য ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকারী পরিষদ রয়েছে। কমিটির কর্তারা অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যদিয়ে একটু একটু করে মন্দিরটির অবকাঠামোগত প্রসার ঘটিয়ে চলেছেন। ২০০৭ সালে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩ তলা মন্দিরের ভবন তৈরী করা হয়। ভবনটি শুভ উদ্বোধন করেন আশাশুনি সেবাশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমত স্বামী সোমা নন্দজী মহারাজ। ৩ তলা ভবনের ১ম তলায় লোকনাথ মূর্তি, ২য় তলায় শিব-কালি মূর্তি ও ৩য় তলায় রাধাকৃষ্ণ মূর্তি স্থাপন করা হয়।

শুধু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়, মন্দির প্রাঙ্গনে ২০১০ সালে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করা হয় যা এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। গত দেড় বছর পূর্বে সমাজ সেবক সুভাষ চন্দ্র পালের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠা পায় দাতব্য চিকিৎসালয়, প্রতি শুক্রবার এখানে দু’ জন হোমিও প্যাথিক ডাক্তারের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ফ্রি চিকিৎসা দেওয়া হয়।

প্রতিবছর ৫ দিন ব্যাপী নামযজ্ঞ সহ ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয়। মন্দির প্রাঙ্গনে রয়েছে একটি পুকুর, ফুল বাগান, ১ জন সেবাইত, সীমানা প্রাচীর, দুটি গেট, সুভাষ চন্দ্র পালের অর্থায়নে প্রায় ১৫লাখ টাকা ব্যয়ে প্রধান গেট নির্মাণের কাজ চলছে। নির্মাণাধীন গেটটি খুবই করুকার্যপূর্ণ, সু-উচ্চ ও দর্শনীয় হবে বলে জানান মন্দিরের কর্মকর্তা এ্যাডঃ জয়ান্ত কুমার পাল। মন্দিরটির প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোন সরকারি অনুদান ছাড়াই নির্মাণে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে বলে জানা যায়।

শিবসা ব্রীজ (নয়নাভিরাম পাইকগাছা)


Sunday, October 19, 2014

জেনে নিন ভয়ংকর ভাইরাস ইবোলা’র আদ্যোপান্ত

পশ্চিম আফ্রিকায় মহামারী আকারে ছড়িয়ে পরেছে ইবোলা ভাইরাস। ইতোমধ্যে বহু লোক মারা গেছে। ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী ঘোষণা করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। আশঙ্কার ব্যাপার হলো পশ্চিম আফ্রিকাতে বিভিন্ন শান্তি মিশনে কর্মরত রয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনীর শান্তিরক্ষীরা। যাদের মাধ্যমে বংলাদেশেও চলে আসতে পারে এই ভাইরাস। তাই এই ভাইরাস সম্পর্কে সবারই জেনে রাখা উচিত, আর এ জন্য ভয়েস অফ পাইকগাছা তুলে ধরছে ইবোলা ভাইরাস সম্পর্কে আদ্যোপান্ত তথ্য ::


এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কৃত হয়নি এখনও। নেই কোনো কার্যকর ওষুধ। তাই নেই তেমন কোনো চিকিৎসাও। এই প্রাণঘাতী 'ইবোলা ভাইরাস' শনাক্ত করার কোনো ধরনের ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নেই বাংলাদেশে। বিশেষজ্ঞদের মতে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশ। একজন আক্রান্তের সংস্পর্শে আসলেই আক্রান্ত হচ্ছে অপরজন। মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে ঘটাতে পারে স্মরণাতীত কালের ভয়াবহ মহামারী। কারণ এখানে আমরা একই ব্যক্তির জিনিস ব্যবহার করি বহুজন, প্রতি মুহূর্তেই আমরা লেগে আছি কারো না কারো স্পর্শে, অফিসে, রাস্তায়, ফুটপাতে, বাসে, দোকানে।

 

প্রথমে জেনে নেয়া যাক ইবোলা কি?


ইবোলা ভাইরাস আগে রক্তপ্রদাহজনিত জ্বর [Ebola hemorrhagic fever (EHF)] হিসাবেই সমধিক পরিচিত ছিল। ইবোলা মূলত একটি আরএনএ ভাইরাস। যেটির নামকরণ করা হয়েছে কঙ্গোর ইবোলা নদীর নাম থেকে। ইবোলা ভাইরাস গোত্রের ৫টির মধ্যে ৩টি প্রজাতি মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়ে গুরুতর অসুস্থ করার ক্ষমতা রাখে! বাকি ২টি মানুষের জন্য তেমন ক্ষতিকর নয়। এদের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হচ্ছে জাইরে (Zaire) ইবোলা ভাইরাস (জাইরে হলো একটি জায়গার নাম যেখানে সর্বপ্রথম এই ভাইরাসে কোনো মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলো)। প্রথমবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ছিল শতকার ৯০ শতাংশ! ভয়াবহ এই ভাইরাসটি মানবদেহে রক্তপাত ঘটায়। লিভার, কিডনিকে অকেজো করে দেয়, রক্তচাপ কমিয়ে দেয়, হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন কমিয়ে দেয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যাহত করে।

ইবোলা ভাইরাস মানবদেহে প্রবেশের পর কয়েকদিন থেকে প্রায় ৩ সপ্তাহ কোনো লক্ষণ প্রকাশ না করেই অবস্থান করতে পারে। অর্থাৎ এর লক্ষণসমূহ পরিলক্ষিত হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ২১দিন লাগতে পারে। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি এই রোগ নিয়ে চলে যেতে পারেন এক দেশ থেকে অন্য দেশে। আর সেখানে ছড়িয়ে দিতে পারেন নিজের অজান্তেই।

 

ইবোলার লক্ষণ ::


ইবোলা আক্রান্ত ব্যক্তি প্রথমে নিরীহ ফ্লু’র মতো হালকা জ্বর, মাথা ব্যাথা, শরীর ব্যাথা অনুভব করে। কিছুদিন পর তীব্র মাথা ব্যথা, জ্বর, শরীর ব্যথা, ত্বকে দানা দানা উঠা, মুখে ঘা, ডায়রিয়া এবং মারাত্মক বমি শুরু হতে পারে। চূড়ান্ত পর্যায়ে শরীরের ভিতরে বাইরে রক্তপাত শুরু হতে পারে। এই ভাইরাসটি আক্রান্ত ব্যক্তির লিভার, কিডনি, হার্ট অকেজো করে দেয় যার ফলে রোগীর মৃত্যু ঘটে।

এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো সাধারণ ফ্লু’র মতোই। সর্দি কাশি, মাথা ব্যাথা, বমি, ডায়েরিয়া এবং জ্বর এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ। তাই কারো উপরোক্ত কোনো উপসর্গ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে! রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে যে এটা ম্যালেরিয়া, হ্যাপাটাইটিস, কলেরা বা অন্য কোনো রোগের জীবাণুর কারণে হচ্ছে কিনা!

 

কিভাবে ছড়ায়?


বলা হয়ে থাকে বাদুরের খাওয়া ফল থেকেই ইবোলা ভাইরাস মানুষের দেহে প্রথম প্রবেশ করে এবং পরবর্তীতে তা মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে শুরু করে। ইবোলা আক্রান্ত মানুষের দেহরস অপর কোনো মানুষের দেহের স্পর্শে আসলে সেই ব্যক্তিও আক্রান্ত হতে পারেন। এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর পরও ভাইরাসটি বেশ কয়েকদিন টিকে থাকে।

আশার কথা হলো, রোগটি ফ্লু ও অন্যান্য বায়ুবাহিত রোগের মতো ছড়ায় না, আক্রান্ত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে না আসলে এই রোগে সংক্রমিত হবার ভয় নেই।

 

চিকিৎসা ::


রিহাইড্রেশন এবং হালকা বেদনানাশক দিয়ে করা হচ্ছে ইবোলা আক্রান্তের চিকিৎসা। খুব একটা কার্যকরী কোনো প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। নেই কোনো প্রতিষেধক টিকাও। তথ্য মতে এই রোগে মৃত্যুর হার ৫০%-৯০%।

সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে এই রোগের লক্ষণগুলো অন্য আরো অনেকগুলো রোগের লক্ষণের সাথে মিলে যায়! ফলে রোগ শনাক্ত করতে সময় লেগে যায়!

তাই সঠিক রোগ শনাক্ত করা এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়াটাও অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ! তবে যদি রোগ দ্রুত সময়ের মধ্যে শনাক্ত করা যায় এবং সঠিক মেডিক্যাল সাপোর্ট দেয়া যায় তাহলে রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়!

 

আমাদের করণীয় ::


যেহেতু এর কোনো টিকা আবিষ্কৃত হয়নি তাই এই ভাইরাসটি যাতে আমাদের দেশে প্রবেশ করতে না পারে এই ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। বিমানবন্দরে কর্তব্যরতদের এই ভাইরাসে আক্রান্তদের শনাক্তকরণের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যদি কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয় তবে তাকে কিভাবে পৃথক করে চিকিৎসা দিতে হবে সেই ব্যাপারেও প্রস্তুতি থাকা প্রয়োজন।

আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা এমন একটি দেশ যেখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে হাজারের বেশি মানুষ বাস করি। তাই এই ভয়াবহ ভাইরাসটি যাতে কোনোভাবেই আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেই বিষয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন এখনই।

তারপরও সতর্কতা হিসাবে সবসময় সাবান ও গরম পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন হাত না ধুয়ে চোখ, নাক বা মুখে হাত লাগনো না হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে যাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের কোনো প্রকার তরল যাতে আপনার সংস্পর্শে না আসে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি কোনো কারণে এই রোগের লক্ষণ দেখা দেয় তবে সাথে সাথে নিজেকে আলাদা করে ফেলতে হবে যাতে অন্য কেউ এ রোগে আক্রান্ত না হয় এবং ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

 

সরকারের করণীয় ::


বাংলাদেশ সরকারের উচিত এখনই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আফ্রিকার দেশে থেকে আগত যে কাউকে ইমিগ্রেশন পার হবার আগেই মেডিক্যাল চেকআপের ব্যবস্থা করা। মনে রাখতে হবে এটি খুবই সংক্রামক রোগ। তাই এই ব্যাধি মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়তেও বেশি সময় লাগবে না।

এলাকাবাসী সংঙ্ঘবদ্ধভাবে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে গোটা গ্রাম

পাইকগাছায় ১৩ বনদস্যু নিহতের পরও কাটেনি আতংক


আশংকা প্রতিশোধের নেশায় হানাদিতে পারে ডাকাত দলের অন্যরা


সুন্দরবন উপকূলীয় খুলনার পাইকগাছায় কথিত বন্দুক যুদ্ধে ১৩ বনদস্যু নিহত ও বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হলেও গত ১৫ দিনেও আতংক কাটেনি জনপদে। কথিত বন্দুক যুদ্ধের গুলির শব্দ বিভৎসতা এখনও তাড়া করে ফিরছে সেখানকার অধিবাসীদের। নদীতে ট্রলার ও রাস্তায় মোটর সাইকেল বা নসিমনের (ইঞ্জিন চালিত ভ্যান) আকস্মিক শব্দে দুর্গম পল্লীবাসীরা।

অনেকের ধারণা বিস্তীর্ণ সুন্দরবনের অন্যতম প্রধান কাশেম বাহিনীর মাত্র ১৩ দস্যু নিহত হলেও বাকীরা প্রতিশোধ নিতে যে কোন সময় হানা দিতে পারে ঐ পল্লীতে। এমন নানান আশংকায় আতংকিত এলাকাবাসী নিজেদের জানমালের নিরাপত্তায় রীতিমত সংঙ্ঘবদ্ধভাবে রাত জেগে পাহারা বসিয়েছে।

চারদিকে নদী বেষ্টিত দ্বীপ গ্রামটিতে সন্ধ্যা নামতেই তৈরী হচ্ছে এক অন্যরকম ভীতিকর পরিবেশ। দিনের বেলাও যেন পাল্টে গেছে চীরচেনা গ্রামের সাধারণ মানুষের গতি-প্রকৃতি। অপরিচিত কারোর সাথে নুন্যতম কথাটুকু বলতেও যেন অনেক অজানা প্রতিবন্ধকতা। ইতোমধ্যে অপহরণকারীদের হাত থেকে বেঁচে আসা কলেজে প্রভাষক প্রশান্ত কুমার ঢালী পরিবার পরিজন নিয়ে গ্রাম ছেড়েছেন। অনেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন অন্যত্র বসবাসের।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৫ অক্টোবর উপজেলার জিরবুনিয়া গ্রামে সশস্ত্র ডাকাত দলের সাথে পুলিশের দু’দফা কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয় ১৩ জন ডাকাত। ঘটনার রাতে তারা মূূলতঃ সেখানকার জিতেন্দ্র কুমার ঢালী নামের এক স্কুল শিক্ষককে অপহরণ করতে তার বাড়িতে হানা দেয়।

এ সময় ডাকাতদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি ও তার স্ত্রী বাড়ির পেছন দিক থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তাকে না পেয়ে তারই ভাই কলেজ শিক্ষক প্রশান্ত কুমার ঢালীকে অপহরণ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ছেড়ে দিলেও গ্রামবাসীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডাকাত দলের সবাই আটক হন।

এরপর প্রথমত গণপিটুনি ও পরে পুলিশের সাথে কথিত দু’দফা গুলি বিনিময়ের ঘটনায় আটক ১৩ জন ডাকাতের সকলেই নিহত হয় এবং পাইকগাছা থানার ওসি শিকদার আক্কাস আলী’সহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হন।

ঘটনার পর সেখানে গেলে কলেজ শিক্ষক প্রশান্তকে বাড়িতে না পাওয়ায় কথা হয়, স্থানীয় আলোকদ্বীপ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুকৃতি মোহন সরকারের সাথে। তিনি জানান, ঘটনায় প্রশান্ত কুমার ঢালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে থানা পুলিশ, মানবাধিকার কর্মী, গণমাধ্যম সহ নানা সংস্থার কর্মীদের নানাবিধ প্রশ্নের জবাব এড়াতে প্রশান্ত পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন। যদিও তার পারিবারিক সূত্র বলছে, আতংকে তিনি এলাকা ছেড়েছেন।

উপজেলার সংশ্লিষ্ট দেলুটি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মঙ্গল গাইন জানান, কলেজ শিক্ষক অপহরণের পর থেকে দু’জন চৌকিদার ও গ্রামবাসীরা তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে রাতে লাঠি-সোটা নিয়ে পাহারা দিচ্ছে। পুলিশও তাদের সাথে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা ও এলাকাবাসীর মনোবল বাড়াতে সেখানে রাতে টহল ব্যবস্থা জোরদার করেছে বলে জানান থানার ওসি।

উপজেলার বিগরদানা পুলিশ ক্যাম্পের এ,এস,আই মোঃ আব্দুল কুদ্দুস জানান, গ্রামের অভ্যন্তরে ও জিরবুনিয়া বাজারের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তায় সন্ধ্যার পর থেকে বাজারে পুলিশ মোতায়েন নিয়মিত করা হয়েছে।

তবে দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান সমরেশ হালদারের অভিযোগ, ডাকাতদের সোর্স আব্দুস সবুর মোড়লকে বাঁচিয়ে রাখতে পারলে হয়তো অনেক ঘটনা স্পষ্ট হতো। ঐদিনকার বন্দুক যুদ্ধে এই সবুর মোড়লও নিহত হয়।

প্রসঙ্গত বছরখানেক আগে সর্বশেষ অপহৃতের ভগ্নিপতি ব্রজেন্দ্র নাথ মন্ডলকে অপহরণ করলে উক্ত সবুর মোড়লই অপহরণকারীদের পক্ষে সমন্বয় করে মুক্তিপনের বিনিময়ে তাকে ছাড়িয়ে এনেছিলেন।

সর্বশেষ ঘটনার দিন ভোরে ডাকাতদের আটকের ঘটনায় সবুর মোড়ল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে ছেড়েদিতে সুপারিশ করেছিল বলে জানান, ঐ চেয়ারম্যান সহ অপহৃতের বড় ভাই জিতেনন্দ্র নাথ ঢালী।

ইবোলা সম্পর্কে জেনে রাখুন

Friday, October 17, 2014

পাইকগাছায় জায়গা-জমির বিরোধকে কেন্দ্র শিক্ষক পরিবারের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা

পাইকগাছায় জায়গা-জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষক পরিবারের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা করে হয়রাণী করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্রয়সূত্রে ভোগদখলে থাকা জমির উপর প্রাচীর নির্মাণ করায় প্রতিপক্ষরা হয়রাণীমূলক এ মামলা করেছে বলে ভূক্তভোগী শিক্ষক পরিবার জানিয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রবীন্দ্র নাথ রায় পৌরসভাস্থ বাতিখালী মৌজায় মৃত রবীন্দ্র নাথ মন্ডলের পুত্র বিপ্লবমন্ডল ওরফে ভোলার নিকট থেকে এসএ ১৫৪ খতিয়ানের ২৬ দাগ থেকে গত ২১/১১/২০০৭ সালে ৪০৫১ নং কোবলা দলিল মূলে স্ত্রী ঝুমু রায় ও বোন নমিতা রায়ের নামে ২ শতক ও ১৩/১০/২০১০ সালে স্ত্রী ঝুমু এবং বৌদি মিনতী রায়ের নামে ৪২৩৩ নং কোবলা দলিলমুলে ১ শতকসহ সর্বমোট ৩ শতক জমি ক্রয় করেন।

ইতোমধ্যে চৌহদি মোতাবেক জমির দখল বুঝে নিয়ে নামপত্তন ও করখাজনা পরিশোধ করেন রবীন্দ্র গংরা। এদিকে বর্তমানে জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রয়কৃত এ সম্পত্তি পুনরায় বিক্রির পায়তারা করে প্রতিপক্ষ বিপ্লবগংরা। এ খবর জানতে পেরে গত ১২/০৯/১৪ তারিখ রবীন্দ্র গংরা তাদের জমির চারিপাশে পাকা প্রাচীর নির্মান করলে গাত্রদাহ শুরু হয় প্রতিপক্ষের।

প্রাচীর নির্মাণের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ বিপ্লব মন্ডলের স্ত্রী তপতী রাণী মন্ডল বাদী হয়ে শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ সহ পরিবারের ৭ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে শ্লীলতাহানির মামলা করে। আসামীদের মধ্যে ২ জন প্রধান শিক্ষক ও ২ জন সহকারী শিক্ষক রয়েছেন।

এ ব্যাপারে শিক্ষক রবীন্দ্র নাথ জানান, প্রতিপক্ষদের অসৎ উদ্দেশ্যে হাসিল না হওয়ায় শ্লীলতাহানির মত জঘন্য অভিযোগ এনে মামলা করেছে। তাকে এবং তার পরিবারকে হয়রাণীর উদ্দেশ্যে মামলাটি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী পরিবার।

পাইকগাছায় গাজী হ্যাচারী বন্ধন ব্রান্ড ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে....

আজকের খেলায় তালা সেন্টমেরী স্পোর্টিং ক্লাবের জয়লাভ


পাইকগাছায় সুন্দরবন স্পোর্টিং ক্লাব আয়োজিত গাজী হ্যাচারী বন্ধন ব্রান্ড ক্লাব কাপ ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ১ম রাউন্ডের শেষ খেলায় তালা সেন্ট মেরী স্পোর্টিং ক্লাব জয়লাভ করেছে। শুক্রবার বিকালে পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ফুটবল ময়দানে অনুষ্ঠিত খেলায় নির্ধারিত সময়ে কোন গোল না হওয়ায় টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে কয়রার হড্ডা তাপস স্মৃতি সংঘ ফুটবল একাদশকে পরাজিত করে তালা সেন্টমেরী স্পোর্টিং ক্লাব জয়লাভ করে।

খেলায় ম্যান অফ ম্যাচ নির্বাচিত হয় তালা সেন্টমেরী ফুটবল একাদশের ১০ নম্বর জার্সি পরিহিত খেলোয়াার সুব্রত রায়। খেলা শেষে সুন্দরবন স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন।

খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ওসি শিকদার আক্কাস আলী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএম রেজাউল করিম, সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বন্ধন, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি জিএম মিজানুর রহমান, গোলাম কিবরিয়া রিপন, এ্যাড. বিলাস রায়, এ্যাডঃ মোজাফফার হাসান, মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু, সামছুল হুদা খোকন, দাউদ শরীফ, ডাঃ সুজন, শেখ আলাউদ্দীন, সাজ্জাদ আলী সরদার, শেখ জিয়াদুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ রায়, শ্রীষ কান্তি রায় ও তুষার কান্তি মন্ডল।

পাইকগাছায় সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় ১১ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার সকালে শহীদ এমএ গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে সংগঠনেরর উপজেলা আহবায়ক প্রসেনজিৎ মন্ডলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মিঠুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক জিএম মিজানুর রহমান, ডিএম আকতার হোসেন, আব্দুল লতিফ, আব্দুর রঊফ, চুমকি রায়, আফরোজা নূর চিশতি, ফাতেমা খাতুন, আব্দুল আলিম, সিরাজুল ইসলাম ও মিলন মন্ডল।

সভায় ১৭ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচী বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

Thursday, October 16, 2014

গাজী হ্যাচারী বন্ধন ব্রান্ড ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ৩য় খেলায় কে.কে.এস.পি’র জয়লাভ

পাইকগাছায় সুন্দরবন স্পোর্টিং ক্লাব আয়োজিত গাজী হ্যাচারী বন্ধন ব্রান্ড ক্লাব কাপ ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ৩য় দিনের খেলায় কপিলমুনির কে.কে.এস.পি জয়লাভ করেছে। 

বৃহস্পতিবার বিকালে পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ফুটবল ময়দানে অনুষ্ঠিত খেলায় কপিলমুনির কে.কে.এস.পি ২-১ গোলের ব্যবধানে খুলনা বয়রা তরুন সংঘ’কে পরাজিত করে।

পৌরসভার ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের রাস্তাগুলো চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে

পাইকগাছা পৌরসভার ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা যাতায়াত করছেন সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে।

সরেজমিন দেখা গেছে, ৫নং ওয়ার্ডস্থ সরল গ্রামের পেট্রোল পাম্পের সামনের পুকুরের পূর্ব-পাড়ের ইটের সলিং রাস্তার ইট উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। উক্ত রাস্তার একটু সামনে (পূর্বদিকে) এগিয়ে জনৈক আঃ রহিমের পুকুর পাড় সংলগ্ন রাস্তার ইট উঠে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বছরের পর বছর ধরে রাস্তাটির এ বেহাল দশা হওয়া সত্বেও সংস্কারের ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষ নীরব।

একই ওয়ার্ডের আল-আমিন মসজিদ সংলগ্ন ইটের রাস্তাটিরও একই হাল। প্রায় ৩/৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তায় বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে চলাচল করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে এলাকাবাসী জানান।

এছাড়া এফ, রহমান মহিলা কলেজের (পূর্বদিকে) সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন ইটের রাস্তাটি একদিকে যেমন সরু তেমনি ইট উঠে গিয়ে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারী আবাসন প্রকল্পসহ স্থানীয় কয়েকশ’ এলাকাবাসী প্রতিনিয়ত এ ভাঙাচুরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে।

এদিকে, ৬নং ওয়ার্ডের বাতিখালী গ্রামের কোর্ট সংলগ্ন রাস্তাটি অদ্যবধি সংস্কার না করায় চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ইট উঠে গিয়ে নড়বড়ে হয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে ভীষণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

একই ওয়ার্ডের কোর্ট মসজিদ সংলগ্ন আবাসিক এলাকায় ঢোকার রাস্তাটিরও বেহাল অবস্থা। ইটের সলিং উঠে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ৬ নং ওয়ার্ডের এ ইটের রাস্তা দু’টি একটু ভারী বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায়। সে সময় যাতায়াত করতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।

রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেলিম নেওয়াজ’এর সাথে কথা হলে জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, পরিষদের মাসিক সভায় বারবার এই রাস্তা দু’টির কথা উল্লেখ করা সত্বেও রাস্তা মেরামত বা নির্মাণের ব্যাপারে কোন কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। তিনি এ ব্যাপারে Voice of Paikgacha'য় বেশি বেশি করে লেখালেখি করার অনুরোধ জানান।

এ প্রসঙ্গে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, বাজেট অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে রাস্তা সংস্কার কাজ করা হচ্ছে।

পাইকগাছায় ফেনসিডিল উদ্ধার

পাইকগাছা থানা পুলিশ পরিত্যাক্ত অবস্থায় ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের এ.এস.আই সুকুমার শিবসা ব্রিজের পূর্বপাড় থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে এগুলো উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় থানায় মাদক আইনে অজ্ঞাতনামাদের নামে মামলা হয়েছে।

পাবলিক পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০ করা হচ্ছে

সব ধরনের পরীক্ষায় পাস নম্বর বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে ‘ঢালাও’ পাসের পর শিক্ষার মান নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার মধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছে। শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান (এনআইখান) বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এন আই খান বলেন, সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিয়েই পাবলিক পরীক্ষায় পাস নম্বর বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে পাস নম্বর ৩৩ নেই। শিক্ষা পরিবারের সবাইকে নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করব। সেখানে সবার মতামত নিয়ে পর্যায়ক্রমে পাস নম্বর বাড়ানো হবে। 
 
পরীক্ষার পাস নম্বর ৩৩ থেকে বাড়িয়ে কত করা হচ্ছে সে বিষয়ে তিনি বলেন, পাস নম্বর ৩৩ থেকে বাড়িয়ে ৪০ করার চিন্তা ভাবনা চলছে।

এ বিষয়ে যুক্তি দেখিয়ে শিক্ষা সচিব বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আগের চেয়ে ‘অনেক উন্নত’ হয়েছে। এখন ১০০ জন ছেলে-মেয়ের মধ্যে ৯৮ জন স্কুলে ভর্তি হয়। পাসের হার বেড়েছে, জিপিএ-৫ বাড়ছে। আমাদের স্ট্যান্ডার্ড আর একটু বাড়ানো দরকার। স্কুল কলেজে বর্তমানে একশ নম্বরের পরীক্ষায় পাস করতে পেয়ে হয় ৩৩। নজরুল বলেন, পরীক্ষার পাস নম্বর বাড়ালে শিক্ষার ‘স্ট্যান্ডার্ড একটু বাড়বে।

চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। জিপিএ-৫ পায় ৭০ হাজার ৬০২ জন। আর এসএসসি ও সমমানে পাসের হার ছিল রেকর্ড ৯১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

ঢালাও পাসে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দাবি করেন, শিক্ষার মান বেড়েছে বলেই পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা তৈরি হয়ে শতভাগ পাসের কাছাকাছি যেতে পারলে আমাদের কোনো অসুবিধা নাই।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ফল বিপর্যয়ের পর পাসের হারের বিষয়টি সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় আসে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরাও পরীক্ষার পাস নম্বর বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন।

তবে এ বিষয়ে নতুন বিতর্ক এড়াতে ‘ভেবেচিন্তে আলোচনা করেই’ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।