Thursday, August 28, 2014

পাইকগাছায় ধুমপায়ীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে জরিমানা আদায়

পাইকগাছায় ভ্রাম্যমান আদালত বিড়ি সিগারেটের দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ১৯ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর উদয় কুমার মন্ডল।

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহম্মদ কবির উদ্দীনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর বাজারে অভিযান চালিয়ে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করার অভিযোগে তামাক নিয়ন্ত্রন আইনে সিগারেটের দোকান মালিক রফিকুল ইসলামকে ৫০০ টাকা জরিমানা ও প্রচারণামূলক সিগারেটের প্যাকেট আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেন।

এছাড়া পাবলিক প্লেসে ধুমপান করার অভিযোগে ধুমপায়ী সুজিত মন্ডলকে ৩০০ টাকা জরিমানা করেন এবং শরীফ হোটেলকে ১০০০ টাকা, উত্তম পাল (কীটনাশকের দোকান) ৫০০০ টাকা, দধিঘর ৫০০ টাকা, কালিমাতা মিষ্টান্ন ভান্ডার ৩০০০ টাকা, মাংস বিক্রেতা সবুর গাজী ২০০০ টাকা, মোটরসাইকেল মালিক ফয়সাল আহম্মেদের নিকট থেকে ৭০০০ টাকা’সহ সর্বোমোট ১৯ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

পাইকগাছা'সহ দেশের বিভিন্নস্থানে ভারতীয় ভিসার অনলাইন সিরিয়াল এখন সোনার হরিণ

ইন্টারনেটের বিভিন্ন সিষ্টেমের দোহাই দিয়ে ২/৩ মাস ধরে লুকোচুরি করার পর এবার প্রায় বন্ধ হতে চলেছে অন লাইন ইন্ডিয়ান এ্যাপ্লিকেশন ফরমের এ্যাপয়নমেন্ট ডেট। ফলে খুলনা সহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রোগী এবং হাজার হাজার ভারত ভ্রমণ প্রত্যাশি চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায়, পূর্বে রাজধানী ঢাকার গুলশানস্থ ষ্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার শাখা অফিস, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর ভারতীয় ভিসা অফিস থেকে ইন্ডিয়ান ভিসা প্রদান করা হতো। সে ক্ষেত্রে আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করে এসব ভিসা অফিসে পাসপোর্ট জমা দিতে পারলেই আবেদনকারীরা ভিসা পেয়ে যেত। কিন্তু সেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা দিনের পর দিন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে পাসপোর্ট জমা দেয়া ছিল কঠিন কাজ।

এ সকল ভোগান্তি থেকে বাংলাদেশী ভিসা প্রার্থীদের মুক্তি দিতে হাই কমিশন অফ ইন্ডিয়া অন লাইনের মাধ্যমে আবেদন জমা নেয়া শুরু করে। এতে করে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীরা অন লাইনে তাদের নির্ধারিত ফরম পূরণ করে এ্যাপয়নমেন্ট ডেট নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে তাদের আবেদনপত্র জমা দিয়ে ভিসা প্রাপ্ত হতো। পরবর্তীতে খুলনা সহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের সুবিধার্থে হাই কমিশন অফ ইন্ডিয়া খুলনা শহরে ষ্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার একটি শাখা ও ইন্ডিয়ান ভিসা এ্যাপ্লিকেশন রিসিভিং সেন্টার খোলে। এর ফলে এই এলাকার মানুষ অতি সহজেই ভারতীয় ভিসা পাচ্ছিল।

কিন্তু বিগত মে মাস থেকে মাঝে মাঝে অন লাইন ইন্ডিয়ান ভিসা ফরম পূরণ করে কাক্সিক্ষত এ্যাপয়নমেন্ট ডেট থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। তবে দুই তিন মাস এভাবে চললেও ৭ থেকে ১৫ দিনের চেষ্টায় একজন আবেদনকারী তার আবেদন জমা দেয়ার ডেট পাচ্ছিল। কিন্তু প্রায় ২ মাস আগে থেকে অন লইন ইন্ডিয়ান ভিসা ফরম পূরণ করে শেষ পাতায় অর্থাৎ হোম পেইজে ডেট এন্ড টাইম এ্যালোটমেন্ট টু এ্যাপ্লিক্যান্ট এ আসলে “নো এ্যাপয়নমেন্ট আর এ্যাবেল এ্যাবেল” লেখা আসছে।

একটি সূত্র জানায়, দিন রাত ২৪ ঘন্টার কোন এক সময় ৫ থেকে ১০ সেকেন্ডের জন্য অন লাইনে ডেট দেখা গেলেও কেউ তার নাগাল পাচ্ছে না।

সূত্রটি আরো জানায়, ১ হাজার ব্যক্তির মধ্যে হয়তো একজন ব্যক্তি তার কাক্সিক্ষত ডেট পাচ্ছে। এদিকে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু কিছু অসাধু সাইবার ক্যাফে ব্যবসায়ীরা অন লাইনে ভিসার ডেট পাইয়ে দেয়ার কথা বলে নিরীহ মানুষদের কাছ থেকে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা আদায় করছে।

যশোরে অভয়নগর উপজেলার নোয়াপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী গোলাম হোসেন জানান, তার এক আত্মীয়কে ভারতে চিকিৎসা করানোর উদ্দেশ্যে অতি জরুরীভাবে প্রায় ১৮ হাজার টাকা খরচ করে দুইটি পাসপোর্ট করিয়েছিলেন। কিন্তু দুই মাস ধরে ভিসা জমা দেয়ার ডেট পাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। অবশেষে ডেট না পেয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে তার আত্মীয় মারা গেছেন।

অপর একটি সূত্র জানায়, ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশী হাই কমিশন অফিসে ভারতীয়রা বাংলাদেশী ভিসার জন্য তাদের পাসপোর্ট জমা দিলেই ১ দিনের মধ্যে বিনা পয়সায় তারা বাংলাদেশী ভিসা পেয়ে যায়। অথচ বাংলাদেশের ঢাকায় ভারতের হাই কমিশনে বাংলাদেশীরা তাদের পাসপোর্ট জমা দিলে ৪শ’ টাকা এবং খুলনায় জমা দিলে ৬শ টাকা সার্ভিস চার্জ কেটে নেয়। অনেক পাসপোর্টে ভিসা প্রদান না করলেও ভুল ত্রুটি দেখানো বা সার্ভিস চার্জের কোন টাকা ফেরৎ দেয় না ভারতীয় হাই কমিশন । এর ফলে ভিসা প্রত্যাশিদের মধ্যে ভয়ানক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

সহজেই যাতে খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ সারাদিন ধরে ইন্ডিয়ান ভিসা এ্যাপ্লিকেশন ফরম পূরণ করে পাসপোর্ট জমা দেয়ার ডেট পেতে পারে তার জন্য সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভারতীয় হাই কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করার আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পাসপোর্টধারীরা।

পাইকগাছায় আলোক সংস্থার অভিনব প্রতারণা ফাঁস

পাইকগাছা শাখা ব্যবস্থাপককে গণপিটুনি শেষে পুলিশে সোপর্দ


পাইকগাছায় আলোক সংস্থার অভিনব প্রতারণা ফাঁস। চাকুরীর প্রলোভনে অসংখ্য নারী পুরুষকে উক্ত সংস্থায় চাকুরী ও আকর্ষনীয় প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। যার কারনে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতারণার শিকার অসংখ্য নারী-পুরুষ পাইকগাছা শাখা সংস্থার কর্মরত ব্যবস্থাপক মোজাম্মেল মোড়লকে অবরুদ্ধ করে গণপিটুনি শেষে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগীরা থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

সূত্রমতে, বিগত ২ থেকে ৩ মাস পূর্বে পাইকগাছায় আলোক সংস্থা “প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পদচারণা” নামে একটি সংস্থা পাইকগাছার বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন জিরো পয়েন্টে কার্যালয় করে অসংখ্য নারী পুরুষকে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চাকুরীতে যোগদান করায় এবং মাসিক বেতন নির্ধারণ করে প্রতি জনের কাছ থেকে ৫ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত জামানাত গ্রহন করে।

সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় সাতক্ষীরার তালা পাটকেলঘাটায়। সংস্থাটি পাটকেলঘাটায় প্রধান কার্যালয় এলাকায় খোজ নিয়ে জানাযায় সেখানেও এভাবেই প্রতারণার শিকার শত শত নারী-পুরুষ। প্রোগ্রাম ম্যানেজার আজিজুল ইসলামসহ অত্র সংস্থায় কর্মরত সকল ব্যক্তিরা প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে এভাবেই হরহামেশা।

পাইকগাছা ব্রাঞ্চে যোগদানকারী প্রতারনার শিকার ৬০ জন ব্যক্তি। যার মধ্যে ২৪ জনের নিকট হতে ১১ হাজার টাকা এবং ৩৬ জনের নিকট হতে ৫ হাজার করে টাকা গ্রহন করা হয়।

এ ব্যাপারে প্রতারণার শিকার রেখা শীল জানান, আমার কাছ থেকে ১১ হাজার টাকা গ্রহন করা হয়েছে। ফারজানা আক্তার পলি জানান, আমার কাছ থেকেও ১১ হাজার টাকা এবং শ্যামলী রাণীর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা গ্রহন করা হয়েছে।

পাইকগাছায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে পৃথক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে পৃথক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তামাক বিরোধী সংগঠন সিয়াম, এইড ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স কমিটির এক সভা ইউএনও মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এস,এম,এ রাসেল, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফুল হক, একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প কর্মকর্তা জয়া রাণী, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা এস,এম, শহীদুল্লাহ, সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা সরদার মোঃ নাজিমউদ্দীন।

এরপর পৌর ভবনে প্যানেল শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলর মোঃ আব্দুল লতিফ সরদার, ইদ্রিস আলী গাজী, কাজী নেয়ামুল হুদা কামাল, এস,এম, ইমদাদুল হক, তৈয়েবুর রহমান, আসমা আহমেদ, কবিতা রাণী দাশ, প্রকৌশলী কামরুল আকতার, উত্তম ঘোষ, জিয়াউদ্দীন, ইমদাদুল হক। সভায় মোঃ সুজায়েত গাজী ও রহমত আলী নামে দুই ব্যক্তি অদ্য তারিখ হতে ধুমপান ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন।

সর্বশেষ দুপুরে গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্যবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, সিয়ামের নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাসুম বিল্লাহ।

পাইকগাছায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভা

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের পাইকগাছা উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির পরিচিতি সভা গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় পূজা মন্দির সরল কালীবাড়ীতে সংগঠনের উপজেলা আহবায়ক ও জেলা সদস্য রবীন্দ্র নাথ রায়ের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের জেলা সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. অজিত কুমার মন্ডল।

সদস্য সচিব তৃপ্তি রঞ্জন সেন’র পরিচালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুগ্ম আহবায়ক যথাক্রমে মুরারী মোহন সরকার, সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান, তপন কুমার বাইন, দেবব্রত মন্ডল, এড. শিবু প্রসাদ সরকার, প্রণব কান্তি মন্ডল, জগদিশ রায়, সদস্য সন্তোষ কুমার সরদার, কৌস্তভ রঞ্জন সানা, অনাথ বন্ধু সরদার, পঞ্চানন সানা, নির্মল চন্দ্র অধিকারী, দেবব্রত রায় (দেবু), এড. পিযুষ কান্তি সরকার, সুকৃতি মোহন সরকার, ডাঃ শংকর দেবনাথ, সাংবাদিক বিভাসিন্ধু সরকার, গৌরাঙ্গ মন্ডল, অখিল মন্ডল, শিক্ষক পবিত্র কুমার মন্ডল, চিত্ত রঞ্জন বাছাড়, শংকর কুমার মন্ডল, প্রশান্ত সরদার, দেবাশীষ কুমার দেবা, ভবতোষ বাছাড়, আন্দ্রিয় ডি রোজারিও প্রমুখ।

খুলনায় উপকূলীয় মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ে সাইক্লোন শেল্টার নির্মিত হচ্ছে

সর্ব দক্ষিণে সুন্দরবন উপকূলীয় প্রত্যন্ত জনপদ কয়রায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ১৩টি স্কুল-কাম সাইক্লোন শেল্টারের নির্মাণকাজ এগিয়ে চলেছে। ৩০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে এগুলোর নির্মাণকাজ আগামী ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় উপজেলার ৩০ হাজারের বেশি মানুষ এখানে আশ্রয় নিতে পারবে। এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খালেক এন্টারপ্রাইজ ও ঢালী কন্সট্রাকশন সাইক্লোন শেল্টারগুলো নির্মাণ করছে।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ও বানের পানিতে প্রায়ই সময় উপকূলীয় অঞ্চল ভীষণভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় সিডর ও ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলা সুন্দরবন উপকূলে আঘাত আনলে গোটা অঞ্চল লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।

এরপর সরকার উপকূলীয় জনসাধারণের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় অর্থপ্রাপ্তিতে বিশ্বব্যাংকসহ দাতাসংস্থাগুলোর সহায়তা চান। সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিশ্বব্যাংকের উচ্চপর্যায়ের কয়েকটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলো পরিদর্শন শেষে মানুষের জানমাল রক্ষায় আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তুলতে সম্মত হন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়রা সদর ইউনিয়নের ৩নং কয়রা, ৫নং কয়রা, ৪নং কয়রা ও ৬নং কয়রা, দক্ষিণ বেদকাশি, উত্তর বেদকাশি, মহেশ্বরীপুর ও মহারাজপুরে ১৩টি স্কুল-কাম সাইক্লোন শেল্টারের নির্মাণকাজ ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। ২৬ আগস্ট ৬নং কয়রা দ্বিতল ভবন সাইক্লোন শেল্টারটির ছাদ নির্মাণ চলাকালে বিপুলসংখ্যক নির্মাণ শ্রমিক, উপজেলা প্রকৌশলী দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় জনসাধারণের সম্পৃক্ত ছিল লক্ষ্যণীয়।

এ সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খালেক এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম, কন্সট্রাকশন ফার্মের ইঞ্জিনিয়ার সজল জোদ্দার জানান, সকল পর্যায়ে গুণগত মান রক্ষা করে সাইক্লোন শেল্টারগুলো তৈরি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী কেএম ফারুক হোসেন বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সাইক্লোন শেল্টারের নির্মাণকাজ শেষ হলে এগুলো ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম হাসান বলেন, স্কুল-কাম সাইক্লোন শেল্টারগুলোয় দুর্যোগের সময় আশ্রয়ের পাশাপাশি এখানে সারাবছর ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করতে পারবে। এতে উপকূলীয় এলাকার সকল মানুষ উপকৃত হবে।

জনদুর্ভোগের আরেক নাম বাঁকা-শ্রীকন্ঠপুর-কাটাখালী সড়ক

সড়কের যে বেহাল দশা তাতে একে সড়ক না বলে খানাখন্দ বলাই বেশি মানানসই


অতিসম্প্রতি সরেজমিনে এই সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, শ্রীকন্ঠপুর মাঝের পাড়া থেকে বাঁকা গনেষের দোকান মোড় পর্যন্ত ২.৫ কিলোমিটার রাস্তায় অন্তত ডজন খানেরও বেশি জায়গায় বড় বড় খানাখন্দ ও গর্ত দেখা গেছে। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা শ্রীকন্ঠপুর দিঘীর পুকুর সংলগ্ন জায়গাটি।


কিন্তু এ অঞ্চলের মানুষ কি অভিভাবকহীন? তাদের কি কোন জনপ্রতিনিধি নেই? সত্যিই আজ তাদের দুঃখ দেখার কেউ নেই !

অবৈধ দখলদারদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে পাইকগাছা

পাইকগাছা পৌরসভা তথা গোটা উপজেলা জুড়ে অবৈধ দখলদারদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। হাজার-হাজার একর সরকারি জমি, খাস খাল বা নদ-নদী পর্যন্ত অবৈধ দখলদারদের দখলে চলে গেছে। শুধু তাই’না অত্রাঞ্চলের চিহিৃত কিছু ভূমিদস্যু রয়েছে, যারা অন্যের জমি, মৎস্য ঘের, এমনকি কারো বসতবাড়িতেও জবরদখলে যেতে কুন্ঠাবোধ করে না। আর এত্তসব অবৈধ দখলের নেপথ্যে বিতর্কিত কিছু রাজনীতিক, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ভূমিকাও যথেষ্ট রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আনিচুর রহমান বলেন, গোটা চাঁদখালী বাজারটাই গড়ে উঠেছে সরকারি জায়গার উপর। অবৈধটাকে বৈধ করতে কেউ কেউ বিভিন্ন সময় স্থানীয় ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় কাগজপত্র তৈরী করে নিয়েছে। ফলে অবৈধ দখলকারিদের মধ্যে আবার কাগজপত্র ও দখলসত্ব নিয়ে বিরোধের কমতি নেই।

এছাড়া অত্র ইউনিয়নের মধ্যেই দিব্যি চোঁখের সামনে প্রায় সাড়ে ৩-৪ কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁটাখালী নামের মরা নদীটি সম্পূর্ণ গিলে ফেলেছে অবৈধ দখলকারীরা। নদীর চিহৃ পর্যন্ত নেই বললেও ভুল হবে না। বসতবাড়ি, মৎস্য ঘের ও কয়লার চুল্লিসহ সেখানে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অবশিষ্ট এতটুকু জায়গা ফাঁকা না থাকায় এখন শুরু হয়েছে পাল্টা দখল।

এদিকে কপিলমুনি বাজারের গাঘেঁষা কপোতাক্ষ নদের বিস্তীর্ণ জায়গা দখল করে গড়ে উঠছে পাকা স্থাপনা-মার্কেট। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোনভাবেই যেন রোধ করা যাচ্ছেনা অবৈধ দখল প্রতিযোগিতা।

এছাড়া উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের দীঘা, পতন, চারবান্দা, ভিলেজ পাইকগাছা ও পারবয়ারঝাপাসহ বেশ কয়েকটি মৌজায় নানা অনিয়মের মাধ্যমে ৬৩টি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কেস সম্পাদন করার অভিযোগ উঠলে এর মধ্যে ৪৫টি বন্দোবস্ত কেস বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। বাতিলকৃত খাস জমি পূর্ণাঙ্গভাবে সরকারের দখলে রয়েছে কিনা তা তদারকি করতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা কৃষি খাস জমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটির সভাপতি।

গত মঙ্গলবার কমিটির প্রধান আরডিসি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে কমিটির অন্য দু’সদস্য যথাক্রমে শ্যামল সিংহ রায় ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম উল্লেখিত বিভিন্ন মৌজায় সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে।