Tuesday, September 9, 2014

আজ এ বছরের শেষ সুপারমুন

রাতের আকাশে চাঁদের সৌন্দর্যপিপাসুদের জন্য আজ মঙ্গলবার একটি বিশেষ রাত। তাঁরা চিরচেনা চাঁদটিকে দেখবেন একটু ভিন্নরূপে। জ্যোতির্বিদেরা আশা করছেন, স্বাভাবিকের তুলনায় ১৩ শতাংশ বড় এবং ৩০ শতাংশ উজ্জ্বল হয়ে আজ দৃশ্যমান হবে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহটি। ব্যতিক্রমী ও বড় আকারের এই চাঁদ সুপারমুন নামে পরিচিত।

২০১৪ সালের শেষ সুপারমুন আজ রাতে খালি চোখেই দেখা যাবে। এ বছরের পঞ্চম সুপারমুন এটা। অন্য চারটি এ বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, জুলাই ও আগস্ট মাসে দেখা গিয়েছিল।

মহাজাগতিক বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ এই ঘটনা পর্যবেক্ষণের জন্য মুখিয়ে আছেন জ্যোতির্বিদেরা। তাঁদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, চাঁদ পৃথিবীর নিকটতম স্থানে এলেই সুপারমুন দেখা যায়। প্রদক্ষিণরত চাঁদটি নিজের কক্ষপথে পৃথিবীর যত কাছে, ততই বেশি উজ্জ্বল ও বড় আকারে দৃশ্যমান হয়। ডিম্বাকার কক্ষপথের কারণে চাঁদের আকৃতি একেক সময় একেক রকম দেখায়।

সুপারমুন কী?

সুপারমুনের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে ‘পেরিগি মুন’। পেরিগি অর্থ হচ্ছে ‘পৃথিবীর নিকটতম’। চাঁদ যখন পূর্ণ পূর্ণিমায় থাকে এবং বার্ষিক প্রদক্ষিণের সময় পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে, তখন একে সুপারমুন বলা হয়। পৃথিবীর কাছাকাছি আসায় এই চাঁদকে স্বাভাবিক পূর্ণিমার চাঁদের তুলনায় বড় ও বেশি উজ্জ্বল দেখায়।

কখন হয়?

এর আগে এ বছরের ১০ আগস্ট সর্বশেষ সুপারমুন দেখা গিয়েছিল। ওই সময় এটি পৃথিবীর দুই লাখ ২১ হাজার ৭৬৫ মাইলের মধ্যে চলে এসেছিল। এর পাশাপাশি এ সময় ‘পারসেইড’ উল্কা বৃষ্টির বিষয়টিও লক্ষ করা গেছে। এক বছরে তিনবার সুপারমুনের দেখা পাওয়ার ঘটনা বিরল। ২০৩৪ সালের আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আর নেই। তবে সাধারণত প্রতি ১৩ মাস পরপর সুপারমুনের দেখা পাওয়া যায়।

আগামী সুপারমুন কবে?

আজ রাতের পর পরবর্তী সুপারমুন হবে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৪ নভেম্বর ২০১৬, ২ জানুয়ারি ২০১৮।

মৌখালী ইউনাইটেড একাডেমীর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ

ঈদের পর পাইকগাছায় আসছেন অর্থ উপদেষ্টা ও শিক্ষা মন্ত্রী


পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী কে.জি.এইচ.এফ মৌখালী ইউনাইটেড একাডেমীর প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ঈদ-উল-আযাহার তৃতীয় দিন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ও শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। 

অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ‘বন্ধন’ নামে একটি বিশেষ স্মরণিকাও প্রকাশিত হবে। ইতোমধ্যে স্মরণিকার বেশ কিছু কাজ সম্পন্ন এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের গান (থিম সং) প্রদর্শন ও ভিডিও করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুস সামাদ, খুলনা সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ফায়েকুজ্জামান, স্থানীয় এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক, খুলনা জেলা প্রশাসক আনিস মাহমুদ, বাংলাদেশ পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ মনিরুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান, সাউথ বাংলা এগ্রি কালচার কমার্স ব্যাংকের ম্যানেজিং ডারেক্টর আমজাদ হুসাইন, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানের প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটির আহবায়ক আক্তারুজ্জামান সুজা ও যুগ্ম আহবায়ক মারুফ বিল্লাহ।

পাইকগাছায় সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিদায় নিয়ে এলাকাবাসীর চাপা ক্ষোভ

ঐতিহ্যবাহী পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বানুর অবসরে যাওয়ার দুই মাস অতিবাহিত হলেও আজও দেয়া হয়নি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায়ী সংবর্ধনা। এ নিয়ে অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বরেণ্য এ শিক্ষিকা জীবনের মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ সময় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসর্গ করে গত ২৯ জুন অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ০১/১২/১৯৮৩ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি এক বছর শিশু বিদ্যালয় এবং এক বছর সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ২৯/০৫/২০০৬ তারিখ থেকে তিনি অবসরে যাওয়ার পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।

দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনের তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়ে বিদ্যালয়কে আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলেন। নিজের পরিবার-পরিজনকে অনেকটাই উপেক্ষা করে স্কুলটিকে নিজের পরিবারের মত মনে করতেন। নিজের সন্তানের মত মনে করতেন কমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে। অবকাঠামোগত অভূতপূর্ব উন্নয়নসহ প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।

জীবনের মূল্যবান ৩০টি বছর তিনি ব্যয় করে গেছেন প্রতিষ্ঠান, সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে। কর্মময় জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অনেকটাই সাদা মাটা ভাবে বিদায় নিয়েছেন তিনি। অবসরে যাওয়ার দু’মাস অতিবাহিত হলেও আজও দেয়া হয়নি প্রাক্তন এ শিক্ষিকার আনুষ্ঠানিক বিদায়। যে মানুষটি দীর্ঘদিন মায়ের মত স্নেহ করে গেছেন।

তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ সম্মাননা জানানো উচিত ছিল বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা। দেরীতে হলেও বরেণ্য এ শিক্ষিকার আনুষ্ঠানিক বিদায়ের দাবী জানিয়েছেন অভিভাবক মহল ও এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন জানান, প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বানুর আনুষ্ঠানিক বিদায়ের পরিকল্পনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অবসরের পর তিনি অধিকাংশ সময় ঢাকায় অবস্থান করায় বিদায় অনুষ্ঠানের বিলম্ব হচ্ছে। এ ব্যাপারে সভা করে রেজুলেশনও করা হয়েছে। আগামী যেকোন সময় স্থানীয় এমপির উপস্থিতিতে বিদায় অনুষ্ঠান করা হবে।

পাইকগাছা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক সভাপতিকে শোকজ

পাইকগাছা উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক সভাপতি রতন কুমার ভদ্র’কে সংগঠণ বিরোধী কাজ করার অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছেন সংগঠণের জেলা নের্তৃবৃন্দ।

সোমবার সংগঠণের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রতন কুমার মিত্র স্বাক্ষরিত এক পত্রে উল্লেখ করেছেন, সংগঠণের সাবেক এ নেতা গত ২ সেপ্টেম্বর যশোর থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিকে পাইকগাছা উপজেলা শাখার স্থগিত কমিটি প্রকাশ করেছেন। যা সংগঠণ বিরোধী কাজ।

তাই কেন তাকে সংগঠণ থেকে বহিষ্কার করা হবে না মর্মে ১৫ দিনের মধ্যে জেলা কমিটির নিকট লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পাইকগাছায় ৩ ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা

পাইকগাছায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৩ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন’এর নের্তৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে পৌর সদরের হাসপাতাল সংলগ্ন পাইকগাছা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ২ হাজার, মুন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ২ হাজার ও নিউ মর্ডাণ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ১ হাজার টাকা’সহ মোট ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

পাইকগাছায় ১টি দেশীয় তৈরী বন্দুক ও ২ রাউন্ড গুলিসহ আটক ১

পাইকগাছায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১টি দেশী তৈরী বন্দুক ও ২ রাউন্ড গুলিসহ একজনকে আটক করেছে। থানার এস.আই জালাল ও সাঈদ সোমবার গভীর রাতে উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নের বাসাখালী গ্রামের মোসলেম গাজীর ছেলে আসলাম গাজী (৪০) কে গড়ইখালী বাজার থেকে আটক করেন। 

তার স্বীকাররোক্তিতে আসলামের বাড়ী থেকে একটি দেশীয় বন্দুক ও ২ রাউন্ড বন্দুকের গুলি উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং ১৬। ওসি সিকদার আককাছ আলি জানিয়েছেন, আসলাম এর বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতি ও চুরির মামলা রয়েছে।

কপিলমুনিতে এলাকার শীর্ষ ২ সন্ত্রাসী আটক

পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির পার্শ্ববর্তী হানিরবাদ গ্রাম থেকে এলাকার শীর্ষ ২ সন্ত্রাসীকে আটক হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে আলমগীর হাওলাদার (৩৫) ও সৈকত হাওলাদার (৩৩) নামের ২জনকে আটক করেছে কপিলমুনি ফাঁড়ি পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার হানিরবাদ গ্রামে অভিযান চালিয়ে সালাম হাওলাদারের পুত্র আলমগীর হাওলাদার ও সৈকত হাওলাদারকে আটক করা হয়েছে।

কপিলমুনি ফাঁড়ি পুলিশের এস,আই হাসমত আলী, এটিএসআই জাহান আলীসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে তাদের ২ জনকে আটক করেন। তারা ২ জনই এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী। এ ব্যাপারে পাইকগাছা থানায় মামলা হয়েছে।

কয়রার ১৩ কিলোমিটার রাস্তা যেন মরণফাঁদ

কয়রা উপজেলা সদর থেকে ৫১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটির দূরত্ব ১৩ কিলোমিটার। কয়রা উপজেলার তিন লক্ষাধিক মানুষের জন্য একমাত্র চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র এটি। যে কোন জরুরী মুহূর্তে এই ১৩ কিলোমিটার বেহাল সড়ক পাড়ি দিতে অর্ধেক পথেই ঘটে যায় বড় অঘটন। মাত্র ২০ মিনিটের এ পথ খানাখন্দক পার হয়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে সময় লেগে যায় দুই ঘন্টা। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কয়রা-বেতগ্রাম সড়কের কয়রা উপজেলার অংশে ১৩ কিলোমিটার। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে ছয় ইউনিয়নের বাসিন্দাদের হাসপাতালে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। মাঝে মধ্যে এ সড়ক দিয়ে কোন মুমূর্ষু রোগী নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে পথেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। অনেক সময় গর্ভবতী মহিলাদেরকে হাসপাতালে নেয়ার পথে বাচ্চা প্রসব করার ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়। সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনা অহরহই ঘটছে বলে স্থানীয় জনসাধারণ জানিয়েছেন। কিছুদিন আগে গুরুতর আহত এক রোগীকে হাসপাতালে নেয়ার পথে রক্ত ক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির ১৩ কিলোমিটার অংশে বর্তমানে পিচ ও খোয়া উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সে সব গর্তে পানি জমে তৈরি হয়েছে মৃত্যু ফাঁদ। তার পরও বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় মৃত্যু ঝুঁকি নিয়েই এ পথে রাত দিন চলছে সব ধরনের যানবাহন।

কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স চালক আঃ সালাম বলেন, কেবল এ তের কিলোমিটার সড়ক নয়। কয়রা-বেতগ্রাম সড়ক দিয়ে কোন মুমূর্ষু রোগী নিয়ে খুলনা সদরে পৌছাতে ১১০ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা বেহাল। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে সময়মত রোগী নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে কিংবা খবর পেয়ে রোগীর বাড়ি পৌঁছাতে অনেক বড় বড় দুর্ঘটনার সাক্ষী আমি নিজেই। তিনি বলেন, ‘‘রোগীর কষ্ট দেখে নিজের কাছে অনেক খারাপ লাগে, কিন্তু কিছুই তো করার নেই। কেন যে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির উন্নয়ন হয় না বুঝতে পারিনা।’’

খুলনা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, ২০১২ সালে কয়রা-বেতগ্রাম সড়কের কয়রা উপজেলা অংশে ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ করা হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত মালবাহী ভারি যান-বাহন চলাচল করায় তা আবারও নষ্ট হয়ে গেছে। সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আবারো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে অতিরিক্ত মাল বোঝাই যান চলাচল বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের সাম্প্রতিক অবস্থা ! (৫)

পাইকগাছা-খুলনা রুটের বাসগুলো এখনও পর্যন্ত পাইকগাছা-কপিলমুনি ও তালা-খুলনা এই ২ ধাপে চলাচল করছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সরাসরি পাইকগাছা-খুলনা রুটের বাস চলাচল শুরু হবে।

মেইন রোড বাদ দিয়ে নছিমনের দাপট এখন পৌরসভার অভ্যন্তরীণ রাস্তায়

পাইকগাছা পৌরসভায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ নছিমন-করিমনসহ শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহন। অবৈধ এসব যানবাহনের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। আর এ সমস্যা প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে পাইকগাছা পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড থেকে শহীদ গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছন দিয়ে রিস্কি মোড়ের হয়ে পৌর বাজর পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রাস্তায়।

ছবিটি পৌরসভাস্থ বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের পেছন থেকে তোলা।

এই রাস্তার দুই পাশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ’সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪টি। তাই সঙ্গত কারণেই এই রাস্তায় ছাত্রছাত্রীদের চলাচল বেশী। তাছাড়া বাসস্ট্যান্ড-পৌরবাজার মেইন রোডটি ভাঙাচোরা থাকায় বিকল্প পথ ছিসেবে এই অভ্যন্তরীণ রাস্তায় প্রতিদিন শতশত নছিমন অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চলাচল করে। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রায় সবসময়ই সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।

নছিমন-করিমনগুলোর দুর্ঘটনার জন্য নির্মাণজনিত ত্রুটি ও চালকদের অদক্ষতা মূলত দায়ী। চালকদের অনেকেই অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাদের লাইসেন্স থাকা তো দূরের কথা, ট্রাফিক আইন সম্পর্কে বিন্দুমাত্র জ্ঞান নেই। এ কারণে এসব আনাড়ি চালক নিজেরা যেমন দুর্ঘনায় পড়ছে, তেমনি সড়কের অন্য যানবাহনগুলোকেও দুর্ঘটনায় পড়তে বাধ্য করছে।

স্থানীয় ওয়ার্কশপে তৈরি বলে নছিমন-করিমনের ব্রেক, স্টিয়ারিং থেকে শুরু করে সবকিছুই দুর্বল। এগুলোর দৈহিক কাঠামোও ত্রুটিযুক্ত। এর ওপর এগুলোয় ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী ও মালামাল বহন করা হয়।

তার পরও অবৈধ এসব যানের বিরুদ্ধে পুলিশ বা সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। ফলে অবাধে চলছে নছিমন ও করিমন।