Wednesday, April 30, 2014

পাইকগাছায় সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যানের মতবিনিময়

পাইকগাছায় সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স.ম. বাবর আলীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে পাইকগাছা প্রেসক্লাব ভবনে সভাপতি জিএ গফুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। 


এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক জিএম মিজানুর রহমান, বি. সরকার, এসএম বাবুল আকতার, হাফিজুর রহমান রিন্টু, তৃপ্তি রঞ্জন সেন, গাজী সালাম, আব্দুল মজিদ, এসএম আলাউদ্দিন সোহাগ, আলাউদ্দিন রাজা, এমআর মন্টু, রবিউল ইসলাম, স্নেহেন্দু বিকাশ, আব্দুল আজিজ, নজরুল ইসলাম ও কাউন্সিলর সেলিম নেওয়াজ।

পাইকগাছায় হাইব্রিড ভুট্টার মাঠদিবস অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় ব্র্যাক কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচী প্রকল্পের আওতায় হাইব্রিড প্যাসিফিক ভুট্টার মাঠদিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে উপজেলার কাজীমুছা ঈদগাহ ময়দানে ব্র্যাকের সিনিয়র উপজেলা ম্যানেজার একেএম শাহীন আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ শেখ কামাল হোসেন। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার বিভাষ চন্দ্র সাহা, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুন কুমার পাল, সাংবাদিক এসএম আলাউদ্দিন সোহাগ, আব্দুল আজিজ, ইউপি সদস্য ফজিলাতুন্নেছা। উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের মাঠ সংগঠক ফারুক হোসেন, টেকনিক্যাল এ্যাসিট্যান্ট আকায়েদ হোসেন, তন্ময় মন্ডল, ফিরোজ আলী, ও কৃষক মোশারফ হোসেন।

উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে কাজী মুছা মৌজায় ৭৭ জন কৃষক ৩৮.০৭ একর জমিতে ভুট্টার আবাদ করেন। কর্তন শেষে একর প্রতি ১১৯ মন ভুট্টার উৎপাদন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

সুন্দরবনে নারীর প্রতি ডাকাতের সম্মান !

জীবিকার তাগিদে সুন্দরবনের অভ্যন্তরের খালে কাঁকড়া ধরতে যাওয়া ১১ নারীকে ২ হাজার করে ২২ হাজার টাকা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে একটি বনদস্যু বাহিনী। টাকা দিয়ে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, বনে যেন তারা না আসেন। কারণ সুন্দরবনে আরও কয়েকটি দস্যু বাহিনী রয়েছে। তারা এসব নারীদের অসম্মান করতে পারে।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনের আওতাধীন মোল্লাখালি খাল এলাকায়। বনদস্যুদের কবল থেকে ফিরে আসা এসব নারীর বাড়ি কয়রা উপজেলার ৬ নম্বর কয়রা গ্রামে।

গ্রামবাসী জানান, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালেও গ্রামের নারী-পুরুষ দল বেঁধে পাশ্ববর্তী সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে কাঁকড়া ধরতে যান। কাঁকড়া ধরা অবস্থায় হঠাৎ বনদস্যু কবিরাজ বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হলে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

৬ নম্বর কয়রা গ্রামের স্বপন গাইনের স্ত্রী কমলা, ঈশ্বর বাইনের স্ত্রী ঊষা রানী, প্রভাষের স্ত্রী মিনতী গাইনসহ ফিরে আসা নারীরা বলেন, "ডাকাতরা আমাদের সঙ্গে সম্মান দিয়ে কথা বলেছে। তারা বলে, এই টাকা নাও, আর বাড়ি ফিরে যাও। তারা আমাদের সঙ্গে থাকা পুরুষদের বলে, তোমাদের সঙ্গে কোনো নারীকে জঙ্গলে নিয়ে আসবে না। কারণ বনের মধ্যে সবাই আমাদের মতো নয়। অনেকেই নারীদের সম্ভ্রমহানি ঘটাতে পারে।"

পাইকগাছায় আদালত প্রাঙ্গণে ধূমপান করায় ৪ জনের জেল

আদালত প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে ধূমপানের অভিযোগে ৪ ধুমপায়ীকে ৫ ঘণ্টা করে জেল দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত।

জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে পাইকগাছা আদালত প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে ধূমপান করার অভিযোগে ধুমপায়ী সুজাত আলী, আকবর মোড়ল, আবুল হোসেন ও মনোরঞ্জন মন্ডলকে উপজেলা স্যানিটারি অফিসার উদয় মন্ডল আদালতে তোলেন।

এ সময় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তাদের কারাবাসের নির্দেশ দেন।

পাইকগাছায় দুই মাদক বিক্রেতা‘সহ ৬ আসামি আটক

পাইকগাছা থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে দুই মাদক বিক্রেতা’সহ ওয়ারেন্ট ও নিয়মিত মামলার ৬ আসামিকে আটক করেছে। আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে এস.আই নজরুল ইসলাম ও এস.আই সোহেল রানা অভিযান চালিয়ে দরগামহল গ্রামের শেখ রওশন আলীর পুত্র মাদক বিক্রেতা আমিরুল ইসলাম (৪৯) ও আলমতলা গ্রামের বাবর আলী গাইনের পুত্র জিনারুল ইসলাম (৩০) কে গাজা ও পরিমাপ যন্ত্র‘সহ আটক করেন।

এছাড়া পৃথক অভিযানে ওয়ারেন্ট ও নিয়মিত মামলার ৬ আসামিকে আটক করা হয় বলে ওসি সিকদার আক্কাছ আলী জানান।

ওসি সিকদার আক্কাছ আলী’র উদারতার পরিচয়; আসামি শিশু মিঠুন মুক্ত

পাইকগাছায় আটক ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি শিশু ফয়সাল আলম মিঠুন সরদারকে ছেড়ে দিয়ে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন ওসি সিকদার আক্কাছ আলী। তিনি বুধবার সকালে মিঠুন‘এর মা ফাতেমা বেগমের হাতে তাকে তুলে দেন। সে গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের পুত্র ও ভোলানাথ সুখদাসুন্দরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। 

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে গদাইপুর গ্রামের খোকন সরদার বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় একটি মামলা করেন। যার জি.আর নং-৩২, তাং-১৮-০১-১৩। মামলায় স্কুলছাত্র ফয়সাল আলম মিঠুনকে ২২ বছর বয়স দেখিয়ে আসামি করা হয়। আসামি মিঠুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হলে মঙ্গলবার রাতে থানার এস.আই রোকনুজ্জামান অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন।

বুধবার সকালে মিঠুনকে থানা হেফাজতে দেখে হতভম্ব হয়ে যান ওসি সিকদার আক্কাছ আলী। পরে তাকে তার মায়ের হাতে তুলে দিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।

তাকে ছেড়ে দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক শিশু সুরক্ষা ফোরামের সদস্য এস এম আলাউদ্দীন সোহাগ ও আব্দুল আজিজ।

খুলনা-পাইকগাছা সড়কে আবারও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা

আসন্ন বর্ষা মৌসুমে খুলনা-পাইকগাছা সড়কে আবারও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তালা থেকে কপিলমুনির গোলাবাড়ি পর্যন্ত রাস্তা উঁচু করণসহ কার্পেটিংয়ের কাজ যেভাবে ঢিমেতালে চলছে তাতে করে বর্ষা মৌসুমের আগে কাজ সম্পন্ন করা খুবই দুরুহ ব্যাপার বলে মনে হচ্ছে। 

বিগত দিনের ন্যায় বর্ষার আগ মুহূর্তে বা বর্ষার মধ্যে কাজ করা শুধু শুধু সরকারের অর্থ অপচয় ছাড়া আর কিছুই না বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন স্থানীয় মহল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-পাইকগাছা সড়কের তালা ব্রীজ এলাকা থেকে কপিলমুনির গোলাবাড়ি পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে (প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে রাস্তার যে অংশটুকু পানিতে নিমজ্জিত থাকে) সাড়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তা ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে উঁচু করণসহ কার্পেটিংয়ের কাজ চলতি মাসে শুরু হয়েছে। বর্তমানে উক্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তার দু’পাশে দু’থেকে চার ফুট মাটি ফেলে উঁচুকরণ কাজ চলছে। রাস্তা উঁচুকরণ সম্পন্নের পর কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হবে।

সূত্র মতে, রাস্তা উঁচুকরণ কাজ শেষের আগেই বর্ষা মৌসুম শুরু হবে এবং বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু করা হবে। সেক্ষেত্রে বর্ষার মধ্যে রাস্তাটির হাল ফের পূর্বাবস্থায় ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে আঠারমাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে মাত্র সাড়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শুরু হলেও বাকি সাড়ে ২৬ কিলোমিটার রাস্তাও ভেঙেচুরে যান চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। উক্ত সাড়ে ২৬ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ এখনও কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।

জানা যায়, প্রচন্ড বৃষ্টিপাত ও কপোতাক্ষ নদের পানি বৃদ্ধির কারণে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট অত্র সড়কের তালা ব্রীজ এলাকা থেকে কপিলমুনির কাশিমনগর পর্যন্ত রাস্তা ৫/৭ ফুট পানিতে নিমজ্জিত হয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মাসের পর মাস বন্ধ থাকে যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল। সেই থেকে অদ্যবধি অত্র সড়কটি নির্বিঘ্নে চলাচলের যোগ্য হয়ে ওঠেনি।

২০১৩ সালে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে আঠারমাইল থেকে কপিলমুনির গোলাবাড়ি পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার রাস্তার রিপিয়ার সীলকোটের কাজ হলেও স্রেফ জোড়াতালি ও বর্ষার মধ্যে করায় তা মাত্র ৬ মাসও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ভেঙ্গে ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

সড়কটির কপিলমুনির শ্রীরামপুর নামক স্থানে সরেজমিনে গেলে সাংবাদিকদের দেখে পথচারী কেষ্ট পদ দত্ত বলেন, প্রতি বছর সংস্কারের নামে সড়কের উপর কিছু খোয়া ও পিচ ছাড়া কিছুই জোটে না। প্রতিবার সংস্কার কাজ পুকুর চুরি করে যেনতেন ভাবে সারা হয়। ফলে কিছুদিন পরেই সড়কে পূর্বের অবস্থা বিরাজ করে।

পথযাত্রী কৃষি উদ্ভাবক এম. আজিজুর রহমান বলেন, সরকারি টাকায় কাজ হয় তাই কি এত অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতা ? সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সংস্কার কাজ শেষ করতে হলে চাই সংম্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের তদারকি।

এদিকে পাইকগাছা-কয়রা সড়কের শিববাটী ব্রীজের উত্তর-পূর্ব পাড়ের সংযোগ সড়কের পৌনে দু’কিলোমিটার একেবারে ভাঙাচুরা রাস্তায় সম্প্রতি সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এখানেও রিপিয়ার সীলকোটের কাজ হওয়ায় এর স্থায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে অত্র বাইপাস সড়কটিও ফের ভেঙ্গে যাবার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

খুলনা-পাইকগাছা সড়কের সাড়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তার কাজ দ্রুত গতিতে করা ও শিববাটী ব্রীজ সংযোগ সড়কের রিপিয়ার সীলকোটের পরিবর্তে কার্পেটিং করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

জিরোপয়েন্ট এলাকায় পাবলিক টয়লেট ও যাত্রীছাউনির অভাবে জনদুর্ভোগ

পাইকগাছা পৌর বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন শিববাটী ব্রীজ সংযোগ সড়কের জিরোপয়েন্ট এলাকায় পাবলিক টয়লেট ও যাত্রীছাউনি না থাকায় প্রতিনিয়ত শত শত যাত্রী সাধারণকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে বাসের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের।

এছাড়া টয়লেটের অভাবে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বিশেষ করে মহিলা যাত্রীদের। আশপাশ এলাকায় যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগের কারণে দুর্গন্ধময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই দাবি দু’টি দীর্ঘদিনেও বাস্তবায়িত না হওয়ায় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে ও ভুক্তভোগি যাত্রীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, পাইকগাছা পৌর সদরস্থ জিরোপয়েন্ট এলাকাটি মূলত পাইকগাছা-কয়রার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা খুলনা বা অন্য যেকোন স্থান থেকে কয়রা যেতে হলে যাত্রীদের জিরোপয়েন্টে এসে অবস্থান করতে হয়, তেমনি কয়রা থেকে পাইকগাছা-খুলনা তথা দেশের যেকোন স্থানে যেতে হলে পাইকগাছা জিরোপয়েন্ট হয়েই যেতে হয়। সে কারণে শিববাড়ি ব্রীজ সংযোগ সড়ক জিরোপয়েন্ট এলাকায় প্রতিনিয়ত অসংখ্য (নারী-পুরুষ) যাত্রীর ভীড় থাকে।

এখানে কোন যাত্রীছাউনি না থাকায় যাত্রীদের রোদে যেমন পুড়তে হয় তেমনি বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। আবার যাত্রীরা রাস্তার উপর এলোমেলো অবস্থান করায় যানজটের পাশাপাশি দুর্ঘটনাও ঘটছে কমবেশি। এদিকে কোন পাবলিক টয়লেট না থাকায় যাত্রীরা লোকলজ্জা ভুলে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিচ্ছেন যত্রতত্র। ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে হরহামেশা। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বাতাসে।

এ প্রসঙ্গে অত্র ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর প্রভাষক এস,এম মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, জনস্বার্থে জিরোপয়েন্টে অবশ্যই একটি পাবলিক টয়লেট ও যাত্রীছাউনি থাকা প্রয়োজন। বিশেষ করে পাবলিক টয়লেট না থাকায় মহিলা যাত্রীগণ ব্যাপক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। বাধ্য হয়েই তারা পাশের বাড়িগুলোতে গিয়ে তাদের টয়লেট ব্যবহার করছেন। ফলে আশপাশের বাসাবাড়ির লোকজনও অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।

এমতবস্থায়, জরুরী ভিত্তিতে জিরোপয়েন্ট এলাকায় একটি পাবলিক টয়লেট ও যাত্রীছাউনি নির্মাণের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগি মহল।

পাইকগাছাতে শিলা বৃষ্টি

কয়েক সপ্তাহের টা‍না গরমের পর রাত আড়াইটায় নেমে এল স্বস্তির বৃষ্টি। ঠ‍াণ্ডা বাতাস আর রিমঝিম বৃষ্টি।


তবে, এতে করে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে পাকা ধানের ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এমনিতেই সারা বছর অনাবৃষ্টিতে পানির খরচ অনেক বেশি গুনতে হয়েছে কৃষকদের। আর এখন আবার ধান কাটার সময় শিলা বৃষ্টি অনেক ক্ষতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে তাদের।

প্রচন্ড তাপদাহে প্রাণিকুল যখন অস্থির তখন এই শিলা বৃষ্ঠিতে কতটা ক্ষতি হল সেই হিসাব করতে রাজি নন অনেকেই। কারণ, এ যে বহু প্রতীক্ষিত বৃষ্টি !

বহু প্রতীক্ষিত বৃষ্টির ফোঁটায় সিক্ত পাইকগাছার মাটি !

অবশেষ পাইকগাছাবাসী বৃষ্টির দেখা পেল ! দুঃখিত ! দেখবে কি করে এখনতো (রাত ২:৪৫ মিনিট) সবাই ঘুম। কিন্তু যারা এখনও জেগে আছেন, বছরের প্রথম বৃষ্টির পানিটা গায়ে লাগাতে ভুলবেননা।


কয়েক সপ্তাহের টা‍না গরমের পর রাত আড়াইটায় নেমে এল স্বস্তির বৃষ্টি। ঠ‍াণ্ডা বাতাস আর রিমঝিম বৃষ্টি।

অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষার ফল প্রকাশ আজ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১২ সালের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষার ফল আজ বুধবার প্রকাশ করা হবে। এই ফলাফল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.nubd.info) রাত ৮টায় পাওয়া যাবে।

এছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে যে কোন মোবাইল থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে NU H1 Roll No লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠিয়ে করে ফলাফল পাওয়া যাবে।

Tuesday, April 29, 2014

পাইকাগছায় সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রকে পিটিয়ে জখম

পাইকগাছায় সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করেছেন পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। আহত ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এম.পি বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সোমবার পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ আসলামুজ্জামান বিদ্যালয় চলাকালিন সময়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র এস.এম. সোহানুর রহমান হৃদয়‘কে বেঞ্চের নিচে মাথা ঢুকিয়ে দিয়ে পিঠে আঘাত করেন। এক পর্যায়ে হৃদয়ের মাথা বেঞ্চের সাথে উপর্যপুরি আঘাত করলে সে মারাত্মকভাবে আহত হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনার পর হৃদয়ের পিতা হায়দার আলী সরদার ও মাতা নাদীরা হায়দার বিদ্যালয়ে গিয়ে তাদের পুত্রকে এভাবে পেটানোর কারণ জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক তাদের উপর চড়াও হন। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এম.পি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

এ ব্যাপারে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) অপু মন্ডল বলেন, অবিভাবকরা বিদ্যালয়ে আসলে শিক্ষক তাদের উপর চড়াও হওয়ার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়।

এ ব্যাপারে সরেজমিনে তদন্ত করার সময় কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে এসেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ আসলামুজ্জামান’এর বিরুদ্ধে যেন বিভিন্ন রকমের অভিযোগের ঝুলি নিয়ে দাড়িয়ে আছে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক সকলেই ! এ সম্পর্কিত পরবর্তী প্রতিবেদনের জন্য
Voice of Paikgacha'র সাথেই থাকুন।

পাইকগাছায় দুই দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শুরু

পাইকগাছায় দুই দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শুরু হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার উদ্ভোধন ও প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা- ৬ (পাইকগাছা-কয়রার) সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন এ্যাডঃ স.ম বাবর আলী, ভাইস চেয়ারম্যান শেখ কামাল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানারা খাতুন, পাইকগাছার দুর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আজাহারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন পাইকগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশ, আইনজীবি সমিতির সভাপতি এ্যাডঃ আব্দুস সাত্তার, প্রধান শিক্ষিকা সুরাইয়া বানু ডলি, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম’সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।

ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় ১৬টি তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক স্টল বসেছে।

কপিলমুনিতে মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশে দিলেন পিতা

কপিলমুনিতে এক মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশে দিয়েছেন তার অসহায় পিতা। সে তার পিতা-মাতা ও স্ত্রী-কন্যাকে খুন করার উদ্দেশ্যে ধারালো দা নিয়ে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল। প্রাণ ভয়ে তারা তাৎক্ষণিক পাশের বাগানে আশ্রয় নেয়।

পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় তারা তাকে ধরে বাড়িতে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে সোমবার সকালে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। পুলিশ এসময় তার দেহ তল্লাশী করে প্রায় ২০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর তাকে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কবির উদ্দীন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, কপিলমুনির কাশিমনগর গ্রামের জয়নাল গাজীর পুত্র হারুন গাজী (৩২) বেশ কিছুদিন যাবৎ গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক সেবন করছিল। সম্প্রতি সে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সকলের অমতে তাকে বিয়েও করে। এরপর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘরে তুলতে সে আরো বেশী বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

কয়েকদিন যাবৎ পিতা-মাতা, স্ত্রী কন্যাদের হত্যা করতে তাদেরকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল। ভয়ে তারা বাড়িছাড়া হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এরপর হারুন কিছুটা শান্ত হলে শনিবার বাড়ি ফেরে সকলেই। কিন্তু গভীর রাতে আকস্মিক হারুন ধারালো দা নিয়ে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লে কোন রকমে পাশের বাগানে পালিয়ে প্রাণ বাঁচায় তারা।

পাইকগাছায় ডাকাতদের গুলিতে পুকুর পাহারাদার গুলিবিদ্ধ

পাইকগাছায় ডাকাতদের গুলিতে মৎস্য পুকুর পাহারাদার অর্জুন ঋষি গুলিবিদ্ধ হয়ে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানা গেছে, গত রোববার গভীর রাতে পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের বাঁকা দাশ পাড়া পদ্ম পুকুরের লীজ মালিক দীনেশ দাশের পুকুর পাহারাদার অর্জুন ঋষি পুকুর পাহারারত ছিলেন। পুকুর পাহারা দেওয়ার সময় অর্জুনের টর্চলাইটের আলো ডাকাত দলের উপর পড়লে ডাকাতরা অর্জুনকে তাক করে গুলি করে। গুলি তার উরুতে লেগে তিনি মারাত্মক জখম হন।

পরে তাকে পাইকগাছা হাসপাতালে ভর্তির পর উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বাঁকা গ্রামের ঠাকুর ঋষির পুত্র। এ ঘটনায় ওই এলাকার সাধারণ মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে।

পাইকগাছা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

পাইকগাছা উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সভপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তৃতা করেন সভার প্রধান অতিথি, আইন শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) সংসদ সদস্য এ্যাড. শেখ নূরুল হক। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স.ম বাবর আলী, ভাইস চেয়ারম্যান শেখ কামাল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানারা খাতুন, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুল ইসলাম, পাইকগাছা থানার ওসি সিকদার আক্কাস আলী ও শেখ মোহাম্মদ আলী,।

Monday, April 28, 2014

দরকারি কিছু লিঙ্ক

প্রায়ই আমাদের কিছু দরকারি কাগজপত্র এবং তথ্যের প্রয়োজন হয়। এই তথ্যগুলো পেতে কি করতে হয় তা আমরা অনেকেই জানিনা। নিচে কিছু লিঙ্ক দেওয়া হল:

পাইকগাছায় ২ জামায়াত শিবির কর্মী আটক

পাইকগাছা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই জামাত শিবির কর্মীকে আটক করেছে। থানা পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে উপজেলার রামনগর থেকে মনিরুল ইসলাম গাজী (৩৭) ও কাশিমনগর থেকে আবু বক্কর সরদার (৪২) কে পুলিশ আটক করে।

এস আই হারুন জানিয়েছেন, আটককৃতরা জামায়াত শিবিরের কর্মী। তাদেরকে কপিলমুনির ৫০/২৭-১৪ নং বোমা উদ্ধার মামলায় আটক দেখিয়ে সোমবার আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

পাইকগাছায় তরমুজ চাষে কৃষকের ভাগ্য বদল

লবণাক্ত উপকূলীয় এলাকা পাইকগাছায় তরমুজের ভাল ফলন কৃষকের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। ভাল ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকরা খুশি। বিপুল পরিমাণে উৎপাদিত তরমুজ শুধু পাইকগাছার কৃষককের ভাগ্য বদলায়নি, বদলে দিয়েছে এলাকার আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট। চিংড়ি চাষে বিপর্যয়ে যখন কৃষকরা হিমশিম খাচ্ছে, তখন লবণাক্ত এলাকায় তরমুজের আশাতীত ফলন কৃষকদের করেছে স্বাবলম্বী।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ২টি ইউনিয়নের এ বছর ১৬০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। দেলুটি ও গড়ইখালী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া, হাটবাড়িয়া, সৈয়দখালী, কালিনগর, হরিণখোলা, শান্তা, বাইনবাড়িয়া, আমিরপুর বগুড়ারচক, কুমখালী, হোগলার চকসহ বিভিন্ন এলাকায় তরমুজের আবাদ করেছে কৃষকরা। কম বৃষ্টি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজের আবাদ ভালো হয়েছে। গাছ ১/২ ফুট বড় হলে হালকা বৃষ্টির প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় চাষীদের জমিতে অতিরিক্ত সেচ দিতে হয়েছে। এতে তরমুজ চাষীদের বাড়তি টাকাও খরচ হয়েছে।

চাষীরা বেশিরভাগ ভিক্টর সুপার জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের তরমুজে ক্ষেত ভরে আছে। তরমুজের ক্ষেত দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। তরমুজ চাষে বিঘা প্রতি ৪/৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। অনুকূল পরিবেশ থাকলে হেক্টর প্রতি ৪/৫ টন তরমুজের ফলনের আশা করছে চাষীরা। তবে শিলাবৃষ্টি বা প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে কৃষকরা আরো বেশি ফলনের আশাবাদী। চাষীরা হেক্টর প্রতি ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করে ১ থেকে দেড় লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করছে।

সূত্রে জানা গেছে, তরমুজের বিভিন্ন গ্রেড রয়েছে। পাইকারীদের গ্রেড অনুসারে তরমুজ বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। ৪ কেজি থেকে তরমুজের গ্রেড শুরু। ক্ষেত থেকে আড়ৎদার বা ব্যাপারীরা ১ হাজার পিচের বিভিন্ন গ্রেডের তরমুজ ক্রয় করছে। বিভিন্ন গ্রেডের ভিন্ন ভিন্ন দাম। পাইকারী ৪ কেজি ওজনের একেকটি তরমুজের দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা। গ্রেডের নিচের তরমুজ এলাকার বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

তরমুজ চাষী মানবেন্দ্র মন্ডল, লোকেশ মন্ডল, নিতীশ মন্ডল, লোচন সরকার, সমারেশ মন্ডল জানান, এ বছর তরমুুজের আবাদ খুব ভালো হয়েছে। ক্ষেত থেকে ৩০ ভাগ তরমুজ তোলা হয়েছে এবং ৭০ ভাগ তরমুজ তুলতে বাকী আছে। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন আশা করছে চাষীরা।

উপকূলের লবণাক্ত এলাকায় ধান ও চিংড়ি চাষে কৃষকদের ভাগ্য ফেরাতে না পারলেও তরমুজ চাষে কৃষকদের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। লবণাক্ত এলাকার তরমুজ বেশি মিষ্টি হওয়ায় এর চাহিদাও বেশি। যশোর খুলনাসহ বিভিন্ন জেলার ব্যাপারীরা কৃষকের ক্ষেত থেকে ট্রাক ও ট্রলার যোগে তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। আশাতীত তরমুজের ফলনে চাষীদের মুখে উচ্ছ্বাসের হাসি ফুটেছে। তবে উপকূলীয় এলাকার চাষাবাদ দেরিতে শুরু হওয়ায় কৃষকরা প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ আর্থিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হচ্ছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, আবহাওয়া অনুুকূলে থাকায় তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে। কৃষি অফিস সবসময় চাষীদের তরমুজের ক্ষেতে গিয়ে কৃষকদের পরিচর্যাসহ পরামর্শ দিচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষকরা আশাতীত ফলন পাবে এবং তারা লাভবান হবে। আগামী মৌসুমে এ অঞ্চলে আরো অধিক জমিতে তরমুজ চাষে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। বিপুল পরিমাণ উৎপাদিত তরমুজ এ এলাকায় কৃষকদের শুধু ভাগ্য বদলায়নি, আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটও বদলে গেছে। তরমুজের আবাদ পাইকগাছার কৃষকদের মাঝে প্রাণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

পাইকগাছায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ মোনাজাত

পাইকগাছায় রহমতের বৃষ্টির জন্য সোমবার সকাল সাড়ে আটটায় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। দুই রাকাত নফল নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবীর উদ্দিন’সহ শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

Sunday, April 27, 2014

পাইকগাছায় দু’গাজা সেবককে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা

পাইকগাছায় দু’গাজা সেবককে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা করা হয়।

জানা গেছে, থানার এ এসআই সোহেল রানা ঘটনার দিন অভিযান চালিয়ে উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া মোড় সংলগ্ন আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গীর সুপারির বাগানে গাজা সেবন করার সময় পুরাইকাটি গ্রামের মৃত সত্যেন্দ্র নাথ ঘোষের পুত্র বিনয় কুমার ঘোষ (৩৮) ও গোপালপুর গ্রামের মৃত শামসুর মোড়লের পুত্র আমিরুল মোড়ল (৪০) কে আটক করে।

পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দিন প্রত্যেককে ৮ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।

আগামী ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার বলয় গ্রাস সূর্যগ্রহণ

আগামী মঙ্গলবার বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ ঘটবে। বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ৫২ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে গ্রহণ শুরু হয়ে দুপুর ২টা ১৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে শেষ হবে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টা ৫৮ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা ৮ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে শেষ হবে। সর্বোচ্চ গ্রহণ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৩ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে ঘটবে। সর্বোচ্চ গ্রহণের মাত্রা হবে ০.৯৮৪। বাংলাদেশে গ্রহণটি দেখা যাবে না।

আজ আইএসপিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ডে লা পজেশন দ্বীপের দক্ষিণে দক্ষিণ মহাসাগরে আগামী ২৯ এপ্রিল স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১১ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে।

অন্যদিকে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার সিম্পসন ডেজার্ট কনজারভেশন পার্কের পূর্ব দিকে আগামী ২৯ এপ্রিল স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ২৭ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডে গ্রহণ শেষ হবে। আফ্রিকা মহাদেশের ঘানার কেইপ কোস্টের দক্ষিণে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে আগামী ২৯ এপ্রিল স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২১ মিনিট ২৩ সেকেন্ডে কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হবে।

অন্যদিকে, উত্তর এন্টার্কটিকায় আগামী ২৯ এপ্রিল স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ১০ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডে কেন্দ্রীয় গ্রহণ শেষ হবে। উত্তর এন্টার্কটিকায় আগামী ২৯ এপ্রিল স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৭ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে সর্বোচ্চ গ্রহণ ঘটবে। শুধুমাত্র এ স্থানেই গ্রহণের সর্বোচ্চ মাত্রা হবে ০.৯৮৪।

এগিয়ে চলার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সরল আদর্শ যুব সংঘের যাত্রা শুরু

দুর্নীতিমুক্ত উন্নত সমাজ গঠন ও সেবা প্রদানের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে যৌবনদীপ্ত ৮৬ জন যুবক একটি সংগঠনের পতাকাতলে সমবেত হয়েছেন। সংগঠনটির নাম ''সরল আদর্শ যুব সংঘ''। পাইকগাছা উপজেলারই সন্তান এই সংগঠনের সদস্যরা। 

তাদের চোখে-মুখে ফুঁটে উঠেছে প্রতিবাদের আগুন আর ন্যায় প্রতিষ্ঠার দৃঢ়তা। এ প্রত্যয় নিয়ে গত ৭ জানুয়ারি ২০১৪ সরল আদর্শ যুব সংঘের ব্যানারে তাদের যাত্রা শুরু। যাত্রা শুরুর দিনই সকল সাধারন সদস্যের সরাসরি ভোটে ৫ সদস্যের কর্যকরি কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির সদস্যরা হলেন, সভাপতি- রবি শঙ্কর মন্ডল, সাধারন সম্পাদক- পার্থ প্রতীম চক্রবর্তী, কোষাধ্যক্ষ- মুক্ত অধিকারী, কার্যকরি সদস্য- মিহির রায় ও লিপটন মন্ডল। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা হলেন, জগদীশ চন্দ্র রায়, অখিল মন্ডল, পঙ্কজ সানা, সমীরণ শীল ও দেবব্রত ব্যানার্জী।

জন্মলগ্ন থেকে এই অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সংগঠনটি সেবামূলক কাজ হিসেবে শীতার্তদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করেছে। এছাড়া সংগঠনটি ঈদে মিলাদুন্নবী ও সরস্বতী পূজা উৎযাপন এবং বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী ও প্রীতি ভোজের আয়োজন করে।

যুব সংঘের সদস্যরা সামাজিক উন্নয়নে সংগঠনটিকে আরো গতিশীল করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতাপূর্ণ হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Saturday, April 26, 2014

পাইকগাছায় কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী বলেছেন, শুধু একটি মানচিত্র ও নির্দিষ্ট একটি ভৌগলিক এলাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করা হয়নি। স্বাস্থ্য-শিক্ষাসহ ৫টি মৌলিক চাহিদা পূরণের স্বপ্ন নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী দেশে স্বাস্থ্য খাতে যথেষ্ট উন্নয়ন হওয়ায় এলাকায় এখন আর জ্বীন-পরীদের সন্ধান নাই।

কমিউনিটি ক্লিনিক একটি আশার প্রদীপ উল্লেখ করে নির্বাচনের পর প্রথম অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে মুক্তিযোদ্ধা স.ম. বাবর আলী বলেন, ডাক্তারী পেশাকে ব্যবসা হিসেবে না নিয়ে সেবার মনোভাব নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে লালন পালন করতে হবে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষার প্রসার ঘটানোর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলাকে উন্নত উপজেলায় রূপান্তর করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে স্বাস্থ্য সচেতনার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি শনিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনে ১৪তম কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবুল ফজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ কামাল হোসেন, শাহানারা খাতুন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শুকলাল বৈদ্য, ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ, ডাঃ সঞ্জয় কুমার মন্ডল, সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, স্বাস্থ্য সহকারী নুর আলী, কামাল হোসেন, রাজীব গাঙ্গুলী, মিজানুর রহমান, অনুপম কুমার বিশ্বাস। এর আগে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

পাইকগাছায় ৭৬ একর জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টার আবাদ; বাম্পার ফলন

পাইকগাছায় হাইব্রিড জাতের ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৭৬ একর জমিতে ১৩৪ জন কৃষক প্যাসিফিক ৯৮৪ জাতের ভুট্টার আবাদ করেছেন। প্রথম বছরেই বাম্পার ফলন হওয়ায় ভুট্টা চাষে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। উৎপাদিত ভুট্টা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে কর্তন করা হতে পারে এবং একর প্রতি ৯০-১০০ মণ উৎপাদন হতে পারে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।

সূত্র মতে, কৃষি অধ্যুষিত এ উপজেলায় মোট কৃষি জমির পরিমাণ ৩০ হাজার হেক্টর। যার মধ্যে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লবণ পানির চিংড়ি চাষ করা হয়ে থাকে। অবশিষ্ট জমির একাংশ লবণাক্ততার কারণে পতিত এবং সামান্য কিছু জমিতে কৃষি ফসলের আবাদ হয়ে থাকে।

এসব জমিতে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ব্র্যাক কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচী প্রকল্পের আওতায় চলতি মৌসুমে উপজেলার গড়ইখালী ও কপিলমুনি ইউনিয়নে ১৩৪ জন কৃষক ৭৫.৬২ একর জমিতে প্যাসিফিক ৯৮৪ জাতের ভুট্টার আবাদ করেছেন। ইতোপূর্বে এ উপজেলায় ২০০৯-১০ সালের দিকে কিছুটা ভুট্টার আবাদ হলেও পরবর্তীতে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। নতুন করে আবারো ভুট্টার আবাদ শুরু করে প্রথম বছরে বাম্পার ফলন দেখা দেয়ায় ভুট্টা চাষে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে।

অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষে অধিক লাভ আশা করছেন কৃষকরা। বর্তমানে শতভাগ ভুট্টা গাছে পরিপক্ক মুচা রয়েছে। প্রতিটি মুচায় ৩শ গ্রামের মত ফল হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাবিবনগর গ্রামের কৃষক আব্বাস আলী জানান, চলতি মৌসুমে তিনি এক একর জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছেন। ভাল ফলন হওয়ায় একর প্রতি ৯০-১০০ মণ উৎপাদন হতে পারে।

ব্র্যাকের সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার এস,এম, শাহীন আলম জানান, বর্তমানে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচীর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, এ কর্মসূচীর উদ্দেশ্য হলো শস্য বহুমুখী করণ এবং নতুন নতুন কৌশল উদ্ভোবনের মাধ্যমে বাংলাদেশের দরিদ্র অধ্যুষিত এলাকায় খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের কারিগরী ও উপকরণ সহায়তা প্রদান করায় চলতি মৌসুমে ভুট্টার বাম্পার ফলন সম্ভব হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, বেকারী খাদ্য, পোল্টি, মৎস্য ও গো-খাদ্য হিসেবে ভুট্টার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রয়োজনীয় এসব চাহিদা পূরণে উৎপাদিত ভুট্টা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও ভুট্টার উচ্ছৃষ্ট অংশ জ্বালানী হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। সব মিলিয়েই ভুট্টার বহুমুখী ব্যবহার হওয়ায় এ চাষ অধিক লাভজনক।

আলোকিত পাইকগাছা গড়ার দাবি; বাবর আলীর সংবর্ধনায় বক্তারা

পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স. ম. বাবর আলীকে শুক্রবার বিকাল ৫টায় খুলনা উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে এ সংবর্ধনায় দাবি জানানো হয়। 

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দখিণা’র আয়োজনে সংগঠনের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আলী আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি শেখ মাসুদ হোসেন রনি, বার কাউন্সিলের সদস্য আব্দুল মালেক, কবি মুরশিদা আক্তার রনি, সাংবাদিক শেখ দিদারুল আলম, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ফজলুল হক, দখিণার সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু বকর ছিদ্দিক। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে জাতীয় নৃত্য শিল্পী মৌপ্রিয়া মল্লিক পিউ নৃত্য পরিবেশন করেন।

উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরীতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পানির সংকট নিরসন, কপোতাক্ষ খননের ওপর গুরুত্বারোপ ও তালা-কপিলমনি সড়ক সংস্কার করে আলোকিত পাইকগাছা গড়ে তোলার দাবি জানানো হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দক্ষিণ জনপদের অধিবাসী ও স্থানীয় বুুদ্ধিজীবীরা এ দাবি করেছেন।

উল্লেখ্য, স. ম. বাবর আলী পূর্ব পাকিস্তান শাসনামলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৬৯-৭১ বিএল কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি, ১৯৭১ সালে জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধান, ৭৩ সালে সংসদ সদস্য, ১৯৮৫ ও ১৯৯০ সালে পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

তিনি স্বাধীনতাত্তোর কালে আ’লীগ, পরবর্তীতে জাতীয় পার্টি এবং সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি’র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৯ দলের সমর্থন নিয়ে তিনি ৫৯ হাজার ৯০৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

গুড় কি এতই মূল্যহীন ?

পাইকগাছা-আঠার মাইল সড়কের বেহাল দশায় জনভোগান্তি চরমে। তারপর বাসের উপর এত্ত গুলো গুড়ের কলোস ! গুড় কি এতই মূল্যহীন ?


ছবিটি পাইকগাছা পৌরসভার জিরো পয়েন্ট থেকে তোলা।

Thursday, April 24, 2014

পাইকগাছায় ইন্টারনেটের শম্ভুক গতি; বিপাকে ডিগ্রী ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা

পাইকগাছায় গত এক মাস যাবৎ হ্রাস পেয়েছে ইন্টারনেটের গতি। আর এই শম্ভুক গতির কারণে ওয়েবে প্রবেশ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের। কয়েক ঘন্টা অপক্ষা করার পর দেখা মিলছে কাঙ্খিত ওয়েব পেজের। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন চলতি ডিগ্রী (পাস) কোর্সের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। 

বিষয়টি গ্রামীনফোন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও এখনও পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি বলে ভূক্তভোগী ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন। জানা গেছে, চলতি মাসের শুরু থেকেই মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে ইন্টারনেটের গতি।

সূত্রমতে, সংশ্লিষ্ট উপজেলায় অধিকাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীই গ্রামীন ফোনের মডেম ব্যবহার করেন। অনেক ব্যবহারকারী ব্যঙ্গ করে গ্রামীন ফোনের ইন্টারনেট স্পীডকে ''গরুর গাড়ী''র সাথে তুলনা করেছেন।

ইমন কম্পিউটারের হারুন ইমন জানান সিটিসেল, গ্রামীনফোন’সহ কয়েকটি কোম্পানীর ইন্টারনেট গতি গত একমাস যাবৎ হ্রাস পেয়েছে। ফলে যেকোন ওয়েব পেজে প্রবেশ করতে অপক্ষা করতে হয় অনেক সময়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য কাজকার্ম মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে।

চলতি ২০১৩-১৪ শিাবর্ষে ডিগ্রী (পাস) কোর্সের শিক্ষার্থী রানিমা খাতুন জানান, প্রথমবারের মত অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরন করতে এসে গত কয়েকদিন যাবৎ ফিরে যেতে হচ্ছে। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করার পরও ভর্তি ফরম পূরণ করা যাচ্ছে না বলে ভর্তিচ্ছু এ শিক্ষার্থী জানান। অর্নাস ২য় রিলিজ স্লিপে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী নিলেন্দু কুমার মন্ডল একই অভিযোগ করেন।

অ্যাকটিভ কম্পিউটারের সুব্রত সানা জানান, গ্রামীনফোন কর্তৃপক্ষকে এই অভিযোগের ব্যাপারে একাধিকবার অবহিত করার পর সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট কোম্পানীর সল্যুশন ম্যানেজার সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করে গেলেও নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা এখনও স্বাভাবিক হয়নি।

গত একমাসে ইন্টারনেট গতি হ্রাস পাওয়ায় চরম ভোগান্তীতে রয়েছেন বলে পাইকগাছা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল জানান। এছাড়া দৈনন্দিন খবরাখবর পাঠানোর ক্ষেত্রে দিনভর অপক্ষা করতে হয় বলে সাংবাদিক আব্দুল আজিজ জানান।

পাইকগাছায় ভূয়া ডাক্তার ও দু’গাজা সেবককে জেল জরিমানা

পাইকগাছায় এক ভূয়া ডাক্তারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও চেম্বার সিলগালা এবং দুই গাজা সেবককে ৬ মাসের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বুধবার বিকালে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা আদায় ও সাজা প্রদান করা হয়।

সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন পৌর সদরের সিনেমা হল সংলগ্ন অর্শ ও পাইলস্ চিকিৎসক ভূয়া ডাক্তার এম এম বারিকের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে বৈধ কাগজপত্র ব্যাতিরেকে চেতনানাশক ঔষধ প্রয়োগ করার মাধ্যমে অস্ত্র পাচার করার অভিযোগে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও চেম্বার সিলগালা করা হয়।

অপরদিকে থানার এএসআই মোঃ সোহেল রানা চাঁদখালী ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে গাজা সেবনকালে ৪ পুরিয়া গাজাসহ কৃষ্ণনগর গ্রামের মোঃ আমির আলী গাজীর পুত্র মোঃ ফারুক গাজী (৩২) ও মৃত কওছার আলীর পুত্র মোঃ ইসলাম বিশ্বাস (৫৮) কে আটক করে।

পরে ভ্রাম্যমান আদালতে আটক দু’জনের মধ্যে ফারুককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ইসলাম বিশ্বাসকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

এই গরমেও ঠোঁট ফাটছে !

এই গরমেও ঠোঁট ফাটছে খেয়াল করেছেন কি ? এই তাপমাত্রায়ও তেমনটা কেউ ঘামছে না লক্ষ্য করেছেন ? এমনটা কি এর আগে কখনো বাংলাদেশে দেখেছেন ? রহস্যটা বাতাসের আর্দ্রতায়।

আজকে পাইকগাছার তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস (অনুভূত তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস), আর্দ্রতা ২৬। এইটা একটা রেকর্ড ! এই রেকর্ডে খুশি হওয়ার কিছু নেই তবে গভীর চিন্তার বিষয় আছে।

আমরা এখন পাইকগাছায় যে উষ্ণতা অনুভব করছি ঠিক তেমনই সৌদি আরবের লোকেরাও অনুভব করছে, অন্তত হিসেব তাই বলে, সৌদির তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর্দ্রতা ২৬। এমনটা হওয়ার কথা ছিলো না, এমনটা কখনও হয়নি।

যে বিষক্রিয়া ধীরে ঘটে তাকে মানুষ পাত্তা দেয়না, সেই ক্লাশ সিক্স থেকে পড়ে আসছি কিন্তু পাত্তা দেই নাই সেই বৈশ্বিক উষ্ণতা আর মরুকরণের কথা, উপরোক্ত তাপমাত্রার রেকর্ড সেটার প্রমাণ। প্রকৃতির সাথে মানুষ যে অন্যায় করে চলেছে এ তার ধীর প্রতিশোধ, প্রকৃতি হয়তো কিছু খুলে বলছে না তবে এই তাপমাত্রা তার ভীষণ অভিমানের প্রমাণ।

সব ফেলে এখন প্রকৃতির দিকে খেয়াল করার সময় হয়েছে, অভিমান জমে রাগ হওয়ার আগেই যদি মেটানো যায় সেই ক্ষোভ, জাতিসংঘের মতো গড়ে উঠুক 'জলবায়ু সংঘ', প্রকৃতির অভিমান ভাঙ্গানো এখন সময়ের দাবি, অন্তত ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভেবে পদক্ষেপ নেয়া উচিত, এখনই....

পাইকগাছা-আঠার মাইল সড়কের বেহাল দশায় জনভোগান্তি চরমে

সংস্কার কাজ শুরু হলেও বর্ষার আগে শেষ না হবার আশংকা


বহু প্রতিক্ষার পর অবশেষে শুরু হয়েছে পাইকগাছা-আঠার মাইল প্রধান সড়কের সংস্কার কাজ। তবে ঠিকাদারদের অপরিকল্পিত আয়োজনে শম্ভুক গতির কার্যক্রমে বর্ষার আগে কাজ শেষ না হওয়ায়র আশংকা দেখা দিয়েছে শুরুতেই। ঠিকাদার প্রথমেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে দু’পাশে মাটি দিয়ে উঁচু করে রাখায় সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। অল্প বৃষ্টিতেই সড়কে বন্ধ হয়ে যেতে পারে নির্মাণ কাজসহ সকল প্রকার যান চলাচল।

বর্ষা মৌসুমের আগে পাইকগাছা-খুলনা প্রধান সড়কের আঠার মাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের একমাত্র এ সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। তারপরও প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়কটি দিয়ে চলাচল করছে শত শত বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রো, প্রাইভেট, নসিমন, করিমন, মটরসাইকেল, ভ্যানসহ বিভিন্ন পরিবহন। কয়েক মাস পূর্বেই বন্ধ হয়ে গেছে ঢাকার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ। 

প্রথম থেকেই Voice of Paikgacha এই সড়ক সংস্কারের ব্যাপারে সরব ভূমিকা পালন করে আসছে। সড়কটি সংস্কারে এলাকাবাসী মানববন্ধন সহ ব্যাপক আন্দোলন সংগ্রামও করেছিল। এক পর্যায়ে জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে সরকার সম্প্রতি শুরু করেছে সড়কের সংস্কার কাজ। তবে রাস্তার দু’পাশে দেড় থেকে দুই ফুট মাটি দিয়ে উঁচু করে রাখায় বর্তমানে জনভোগান্তি আরো বহুগুণে বেড়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনে অনাবৃষ্টি ও প্রচন্ড দাবদাহে পাশাপাশি রাস্তা দিয়ে যেকোন গাড়ি গেলেই পাশের মাটি-বালি উড়ে পথচারীদের পথ চলতে ব্যাপক দূর্ভোগের সৃষ্টি করছে। সড়কের পার্শ্ববর্তী বসতিদেরও যেন সমস্যার অন্ত নেই। প্রতিনিয়ত ছোট খাটো সড়ক দূর্ঘটনার পাশাপাশি সর্দি-কাশি-এলার্জি জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ভূক্তভোগিরা।

প্রসঙ্গত, খুলনার কয়রা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা’সহ সাতক্ষীরার তালা, আশাশুনির একাংশের মানুষের রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচলের প্রধান এবং একমাত্র সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লেও প্রতি বছর সংস্কারের নামে সড়কে কিছু খোয়া ও পিচ ছাড়া কিছুই জোটে না।

গত কয়েকবছর যাবৎ কপোতাক্ষের অব্যাহত নাব্যতা হ্রাসে জোয়ার ভাটা মরে যাওয়ায় পানি নিস্কাশনের পথ বিলুপ্ত হয়ে অতি বৃষ্টি ও উজানের পানিতে নদী উপকূলীয় বিস্তৃর্ণ এলাকায় বছরের প্রায় সিংহভাগ সময় পানির নিচে তলিয়ে থাকে। এতে এলাকার বিস্তৃর্ণ ফসলের ক্ষেত, পানের বরজ, চিংড়ি ঘের, বসতবাড়ী তলিয়ে যায়। একই সময় পাইকগাছা-খুলনা প্রধান সড়কের তালা থেকে কাশিমনগর পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তাও তলিয়ে যায়। সে সময় বিচ্ছিন্ন থাকে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এরপর পানি সরে গেলেও কোন প্রকার মেরামত হয়নি সড়কের কোন অংশই।

এক পর্যায়ে জনভোগান্তির কথা বিবেচনা করে গত বছরের প্রথম দিকে সড়কের আঠার মাইল থেকে কয়রার চাঁদআলী পর্যন্ত প্রায় ৫২ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে বরাদ্দ হয় প্রায় ১৬ কোটি টাকা। তবে উপকরণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির ফলে ঠিকাদার কপিলমুনির-সলুয়া পর্যন্ত রাস্তার সিলকোডের কাজ সম্পন্ন করে চলে যায়।

এরপর নতুন করে আঠারমাইল থেকে তালা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা ৫ কিলোমিটার করে দু’টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে যথাক্রমে ৬৩/৬৪ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়া সলুয়া থেকে কাশিমনগর পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারে ৮৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ায় আগেই রাস্তাটি ফিরে যায় পূর্বের অবস্থায়।

এরপর সম্প্রতি নতুন টেন্ডারে কাজ শুরু হলেও অব্যবস্থাপনা ও শম্ভুক গতিতে মনে হচ্ছে আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে কোন ভাবেই কাজ শেষ করা সম্ভব না। আর এমনটি হলে এবার রাস্তায় রীতিমত জলাবদ্ধতার পাশপাশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে সকল প্রকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। এলাকাবাসী অতিদ্রুত সুষ্ঠ ভাবে কাজ এগিয়ে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাইকগাছায় ১০টি তাঁজা গ্রেনেড ও গ্রেনেড তৈরীর সরঞ্জামাদি উদ্ধার

পাইকগাছা উপজেলার নাছিরপুর এলাকা থেকে বুধবার দুপুরে পুলিশ পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্যাগ ভর্তি ১০টি তাঁজা গ্রেনেড ও গ্রেনেড তৈরীর সরঞ্জমাদি উদ্ধার করেছে। তবে কারা এবং কি উদ্দেশ্যে গ্রেনেডগুলি সেখানে রেখেছিল তা জানা যায়নি।

থানার কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই হাসমত আলী জানান, দুপুর ২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে তার নেতৃত্বে একদল পুলিশ কপিলমুনিস্থ সাথী টেইলার্সের মালিক নিশিথ রঞ্জন দে’র পার্শ্ববর্তী নাছিরপুর এলাকার পাঁচিল (প্রাচীর) বেষ্ঠিত জায়গার ইটের গাদার মধ্যে থেকে স্কুল ব্যাগ ভর্তি ১০টি তাঁজা গ্রেনেড উদ্ধার করে।

গ্রেনেডগুলির ২টি লাল টেপ ও অপর ৮টি সূতালি দিয়ে পেঁচানো ছিল। এছাড়া ব্যাগের মধ্যে থেকে পুলিশ গ্রেনেড তৈরীর সরঞ্জাম গান পাউডার, বিস্ফোরক দ্রব্য, টেপ, সূতালি ও কৌটা উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে কোন চক্র অসৎ উদ্দেশ্যে গ্রেনেডগুলি সেখানে বসেই তৈরী করে ইটের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিল।

বাকা বাজারে ফাতেমা ক্লিনিক এ্যান্ড তানয়ীম ল্যাব উদ্ধোধন

বুধবার রাড়ুলীর বাকা বাজারে ফাতেমা ক্লিনিক এ্যান্ড তানয়ীম ল্যাব উদ্বোধন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. আশাদুজ্জামান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. গোলাম সরোয়ার, ডা. শাহরিয়ার মামুন, সাংবাদিক আহম্মদ আলী বাচা প্রমুখ।

Wednesday, April 23, 2014

বিশ্বাস !

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ইন্টারভিউ করার জন্য অপেক্ষা করছিলাম পাইকগাছা উপজেলা পরিষদে। হঠাৎ দেখি একজন বৃদ্ধ লোক উপজেলা পরিষদের গেটের সিড়িতে হাটু গেড়ে মাথা সিড়িতে ছুঁয়িয়ে প্রনাম করছেন। 

কৌতুহলি হয়ে প্রশ্ন করলাম তাকে, "এভাবে এখানে প্রণাম করার করান কি ?" ভদ্রলোক কানে কম শোনেন।

দ্বিতীয়বার প্রশ্ন করাতে তিনি জানালেন, "আমার জমিজমা নিয়ে মামলা চলছিল এবং আমি একটি ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা মামলার ২ নং আসামী। আজ মামলার রায় আমার পক্ষে হয়েছে, তাই এখানে প্রণাম করছি। তাছাড়া আমি সকল হাজিরার তারিখে এখানে প্রণাম করি।"

এছাড়া তিনি তার পরনের ধুতি উচু করে দেখালেন তার দুই পায়ের হাটুতে কালো দাগ পড়ে গেছে এভাবে প্রণাম করতে করতে। একই দাগ স্পষ্ট তার কপালেও। কি ভোগান্তিই না পোহাতে হয়েছে বৃদ্ধ মানুষটিকে !

পাইকগাছায় প্রতিপক্ষ কর্তৃক নার্সারীর গাছের চারা কেটে সাবাড়

পাইকগাছায় আনিছুর রহমান নামের এক নার্সারী মালিকের লাখ লাখ টাকার গাছের চারা কেটে সাবাড় করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গদাইপুর গ্রামের মোঃ কওছার আলী গাজীর পুত্র ও উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির অন্যতম সদস্য মোঃ আনিছুর রহমান গাজী প্রায় ১৫ বছর যাবৎ নার্সারী ব্যবসা করে আসছে। সে বসতবাড়ী সংলগ্ন প্রতিবেশি রবিউল সরদারের নিকট থেকে ১ বৈশাখ ১৪১৯ থেকে ৩১ চৈত্র ১৪২১ সন পর্যন্ত ৩ বছর মেয়াদী ইজারা চুক্তি ও কোবলা দলিলমুলে ক্রয়সুত্রে ১৮ কাঠা জায়গার উপর নার্সারী ব্যবসা পরিচালনা করছে।

বর্তমানে তার নার্সারীতে কুল, লিচু, আম, ছবেদা, বেদানাসহ বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক লাখ টাকার গাছের চারা রয়েছে। এদিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ ওজিয়ার সরদার নামে এক প্রতিপক্ষ গত শনিবার আনিছুর বাড়িতে না থাকার সুযোগে নার্সারীতে প্রবেশ করে বাড়ন্ত গাছের চারা কেটে, উপড়ে সাবাড় করে দেয়। এসময় বাঁধা দিতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে স্ত্রী তানিয়া বেগম জানান।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অশোর কুমার পাল জানান।

আজ পাইকগাছার তাপমাত্রা রাজশাহীকেও হার মানালো

পাইকগাছা :: ৪০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাজশাহী :: ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এমনই আগুন ঝারানো রোদ্দুরে বোধহয় সুকুমার রায় লিখেছিলেন, 'রোদে ভাজা ইটের পাঁজা'। আলকাতরার মতো চিটচিটে ঘাম, আর ভ্যাপসা গরমেও দেখা নেই মেঘের।

বাঁকা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি আত্মসাতের অপচেষ্টার অভিযোগ

পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলীর বাঁকা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, প্রায় ১৫০ বছরের পুরানো, বাঁকা শশী ভুষণ দাতব্য চিকিৎসালয়ের জমিতে রাড়ুলী ইউনিয়ন চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র নির্মিত হয়।

বর্তমানে তা বাঁকা উপস্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র নামে অত্র এলাকার মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছে। গত সংসদ নির্বাচনে পাইকগাছা-কয়রা আসনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য এ্যাড. নুরুল হক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সীমানার ওয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এরই মধ্যে এলাকার কতিপয় স্বার্থন্বেষীর মহল নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করে। ষড়যন্ত্রকারীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জমি দখলের চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আল্লাহ মেঘ দে, পানি দে !

সুখবর নেই আবহাওয়া বার্তায়। বৈশাখের চলমান প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ যখন বৃষ্টির আশায় ক্ষণ গুনছে তখন আবহাওয়া বার্তা হচ্ছে সপ্তাহখানেক চলবে এ অবস্থা। দিন-রাতের তাপমাত্রা ডিগ্রি হিসাবে যা-ই হোক গরমের মাত্রা বুঝি সহ্য সীমার উপর দিয়ে যাচ্ছে। হিটস্ট্রোকের শঙ্কা বাড়ছে। কবির ভাষায় 'রুদ্র বৈশাখ' তার রুদ্র রূপই দেখাচ্ছে।

এ অবস্থায় মানুষের দৈনন্দিনের জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। শুধু মানুষ বলি কেন-পশুপাখিরও একই হাল। প্রখর রৌদ্রে গাছপালাও নেতিয়ে পড়ছে। ঘরে-বাইরে দু'দন্ড স্বস্তিতে কাটানোর উপায় নেই। বাইরের বাতাসে আগুনের হলকা, ঘরে ফ্যানের বাতাসেও ভ্যাপসা গরম কাটছে। এ সময়টা দুঃসহ হয়ে উঠেছে শ্রমজীবী মানুষের জন্যে। বিশেষ করে ছায়াহীন খোলা মাঠে যাদের কাজ করতে হয় তাদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি। গনগনে সূর্যের তাপ, ঘাম ঝরানো গরম-হাঁসফাঁস অবস্থা। শিশু-বৃদ্ধদের জন্যেও যাচ্ছে খারাপ দিন। ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে সর্বত্র। প্রচন্ড গরমে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির কথা জানা সবার। সেজন্যে খাওয়া-দাওয়ায় ব্যতিক্রম ঘটলেই দেখা দিতে পারে বিপত্তি। পানি বেশি করে খাওয়া উচিত, তবে সেই পানি হতে হবে বিশুদ্ধ।

বাইরে থেকে এসে, কায়িক শ্রমের পরপরই গরম তাড়াতে, পিপাসা মিটাতে কোনো মতেই ঢক ঢক করে পানি খাওয়া-বিশেষ করে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাওয়া উচিত নয়। বিশ্রাম নেওয়ার পর শরীর ঠান্ডা হলে পানি পান করা ভালো। রৌদ্রে বাইরে গেলে ছাতা ব্যবহার করা আবশ্যক। এ সময়ে বিশেষ যত্ন-খেয়ালের দাবি করতে পারে শিশু-বৃদ্ধরা।

বৈশাখের এমন রুদ্ররূপ যে নতুন কিছু তা নয়। এমন অভিজ্ঞতা আমাদের প্রায় প্রতি বছরের। এ সময়ের করণীয় বর্জনীয় বিশেষাদি সম্পর্কেও কমবেশি সবার জানা। সাবধানতাই গরমজনিত শারীরিক বিপত্তি এটি থেকে রক্ষা করতে পারে। তাপদাহ চলতে থাকলে হিটস্ট্রোকের শঙ্কাই বাড়বে। সে ব্যাপারেও সাবধান হওয়া উচিত।

প্রকৃতির ওপর কারো হাত নেই। প্রকৃতিকে শাসন করার ক্ষমতা বিজ্ঞানও আয়ত্ত করতে পারেনি। সে ক্ষেত্রে ডায়রিয়া, হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচার পথ সাবধানতা। বৃষ্টি হলে তাপদাহ কমতে পারে; কিন্তু চাইলেইতো আশা যায় না, সেতো প্রকৃতির হাতে। সে ক্ষেত্রে প্রার্থনা হতে পারে কেবল 'আল্লাহ মেঘ দে, পানি দে ছায়া দেরে তুই'।

সুন্দরবনে অপরিকল্পিত মধু আহরণে মৌমাছির প্রজনন ব্যাহত; উৎপাদন হ্রাস

সুন্দরবন থেকে অপরিকল্পিতভাবে মধু ও মোম আহরণ করায় মৌমাছির বংশ বিস্তার ব্যাহত ও মধু উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। বছরের পর বছর মৌয়ালরা সুন্দরবনে সনাতন পদ্ধতিতে মধু ও মোম আহরণ করে আসছেন। সনাতন পদ্ধতিতে মধু আহরণের ফলে লাখ লাখ মৌমাছি আগুনে পুড়ে মারা যায়। ফলে মৌমাছির বংশ বিস্তার ব্যাহত হওয়ায় মধু ও মোম উৎপাদন কমে যাচ্ছে। সনাতন পদ্ধতিতে মধু ও মোম সংগ্রহের প্রবণতা বন্ধ না হলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাবে। পাশাপাশি সরকার এ খাত থেকে বিপুল পরিমান রাজস্ব বঞ্চিত হবে।

পৃথিবীর একক বৃহত্তর ম্যানগ্রোভ বন ‘সুন্দরবন’ বাংলাদেশের মোট বনাঞ্চলের ৪৪ শতাংশ জুড়ে বিস্তৃত। এ বনের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। অপরূপ সৌন্দর্যের শত শত প্রজাতির ফুলফলে ভরা সুন্দরবন প্রাণ বৈচিত্রে সমৃদ্ধ। ঋতুচক্রে বসন্তের আগমনে বনে নানা ফুলে ভরে যায়। বাতাসে ফুলের মৌ মৌ সুগন্ধ। এ সময় নানা প্রজাতির পাহাড়ি মৌমাছিরও আগমন ঘটে। মৌমাছি ফুলে ফুলে মধু আহরণ ও মৌচাক তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকে। সুন্দরবনের সুমিষ্ট মধু মহা ঔষধ ও প্রাকৃতিক সম্পদ। বাণিজ্যিকভাবে এ মধু দেশের চাহিদা মিটিয়ে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তবে মৌয়ালরা মধু আহরণ করতে গিয়ে বাঘ, সাপ, কুমিরের সাথে জীবন বাজী রেখে বন দস্যুদের চাঁদা ও পাশ-পারমিটে নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে, পাশাপাশি মৌয়ালদের অসচেতনভাবে মধু আহরণের ফলে তাদের ফেলে রাখা আগুনে বনে আগুন লাগার আশংকা থেকে যায়। যথেচ্ছা ব্যবহারে ফলে প্রাকৃতিক সম্পদের আধার সন্দুরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকি সম্মুখীন।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মধু আহরণ মৌসুম। এ সময় বন বিভাগের বিভিন্ন স্টেশন থেকে পাশ-পারমিট নিয়ে মৌয়ালরা বনে যায়। এ ব্যাপারে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগীয় কর্মকর্তা জহিরউদ্দীন আহম্মেদ জানান, প্রতি মাসে ২ বার করে মৌয়ালীদের পাশ পারমিট দেওয়া হচ্ছে। জুনের ৩০ তারিখ পর্যন্ত মধু আহরণ চলবে। খুলনা বন বিভাগ থেকে ৩ হাজার মণ মধু ও ৮শ মণ মোম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সুন্দরবন থেকে মধু সংগ্রহ করতে প্রতি মণ মধুর জন্য ২শ টাকা ও প্রতি মণ মোমের জন্য ৩ শ টাকা করে বন বিভাগকে রাজস্ব দিতে হয়।

তবে নির্ধারিত সময়ের আগে কিছু চোরা মৌয়াল বন বিভাগের কর্মচারিদের সহযোগিতায় বন থেকে অপরিকল্পিতভাবে মৌচাক কেটে মৌমাছির প্রজননে বাধা সৃষ্টি করে। মধু ও মৌচাক নষ্ট করে মধু উৎপাদনে ব্যঘাত ঘটায়।

খুলনা বাগেরহাট, সাতক্ষীরা জেলার উপকূলীয় এলাকার ১৯/২০টি উপজেলার মৌয়াল পরিবারগুলো জীবন জীবিকার তাগিতে বনে মধু সংগ্রহ করে থাকে। মৌয়ালরা মহাজনের অধীনে প্রতি নৌকায় ৯/১০ জন করে বনে প্রবেশ করে। মৌচাক খুঁজে বের করার জন্য ১জন মৌয়াল থেকে বাকী মৌয়ালরা সারিবদ্ধ হয়ে আগে পিছে সতর্ক দৃষ্টি রেখে মৌচাক খুজতে থাকে। একটি মৌয়াল মৌচাক দেখতে পেয়ে সংকেত দিয়ে বাকিদের জানায়।

পাইকগাছার মৌয়াল বারিক জানান, একটি মৌমাছি শত শত ফুল থেকে মধু পান করে মৌচাকের ছোট কুটুরে মধু ঢালে। মৌমাছির উড়ে যাওয়া গতিবিধি দেখে মৌয়ালরা মৌচাক সন্ধান করে। মৌয়ালদের বাঘ, সাপ, কুমিরের সাথে জীবন বাজী রেখে মধু ও মোম সংগ্রহ করতে হয়। নৌকায় জনপ্রতি বন্যদস্যুদের চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে মারপিট ও অপহরণের শিকার হতে হয়।

মৌয়ালরা সেকেলে পদ্ধতিতে মৌচাক থেকে মধু ও মোম সংগ্রহ করে। তারা মৌচাকে আগুন ও ধোয়া দিতে মৌমাছি সরিয়ে মৌচাক কাচি, দা দিয়ে কেটে আনে। এসময় আগুনে মধু ও মোম নষ্টসহ মৌচাকের হাজার হাজার মৌমাছি আগুনে পুড়ে মার যায়। এতে মৌমাছি প্রজনন ও বংশবৃদ্ধিতে বাধাগ্রস্ত হয়। মৌচাক আগুনে পুড়ে মাটিতে পড়ে নষ্ট হয়। তাছাড়া অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্নভাবে পোকা ও ডিমসহ মৌচাক চেপে মধু আহরণ করায় মধুর গুণগত মান নষ্ট হয়।

মধু দেশের চাহিদা পূরণ করে প্রতি বছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। প্রাকৃতির এ সম্পদ, মধু আহরণে সময় মধু ও মোম নষ্ট না হয়, বাচ্চা ও মৌমাছি আগুনে পুড়ে না মারা যায় তার জন্য মধু অহরণের মৌসুমের আগে আধুনিক পদ্ধতিতে মৌচাক কাটার পদ্ধতি মৌয়ালদের শেখানো দরকার। এজন্য মৌয়াল পাশ পারমিট নিয়ে যাওয়ার আগে মধু আহরণে আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। মধু আহরণে প্রতি বছর অগুনে পুড়ে লক্ষ লক্ষ মৌমাছির ডিম ও বাচ্চা পুড়ে মারা যাচ্ছে। এতে মৌমাছির প্রজনন ও বংশ বৃদ্ধিতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই মৌয়ালদের প্রশিক্ষণসহ সচেতনতা বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বন বিশেষজ্ঞরা।

পাইকগাছায় মৌসুমের শুরুতেই ব্যাপক হারে মারা যাচ্ছে বাগদা চিংড়ি

পাইকগাছায় মৌসুমের শুরুতেই ব্যাপক হারে মারা যাচ্ছে বাগদা চিংড়ি। ফলে একদিকে সর্বশান্ত হতে বসেছে চিংড়ি চাষীরা। অপরদিকে বার্ষিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনাবৃষ্টি ও প্রচন্ড তাপদাহে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মনে করছেন। 

এ ধারা অব্যাহত থাকলে বছর শেষে দ্বায়-দেনার ভারে পথে বসতে হতে পারে অনেক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীকে এবং ভবিষ্যৎ চিংড়ি চাষে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করছে চিংড়ি চাষের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র মতে, ৮০’র দশকে কৃষি অধ্যুষিত এ উপজেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শুরু হয় লবণ পানির চিংড়ি চাষ। শুরুতেই অধিক লাভজনক হওয়ায় কয়েক বছরের মধ্যে এ চাষ ব্যবস্থা ছড়িয়ে পড়ে গোটা উপজেলায়। এক সময়ের কৃষি অধ্যুষিত এ এলাকা পরিণত হয় চিংড়ি অধ্যুষিত এলাকায়।

১৯৯৫ সালের দিকে প্রথম রোগ বালাইয়ের প্রকোপ দেখা দেয়ায় প্রায় টানা এক দশক লাভের মুখে থাকা চিংড়ি চাষে ধস নামা শুরু হয়। রোগ বালাই ধীরে ধীরে ব্যাপক আকার ধারণ করায় বছরের পর বছর ধরে লোকসানের মুখে পড়তে হয় সংশ্লিষ্ট চাষীদের। দায়-দেনার ভারে দীর্ঘ সময় জর্জরিত হয়ে পড়ায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় সন্ধাবনাময় চিংড়ি চাষ।

এদিকে দীর্ঘদিন পর গত বছর ভালো উৎপাদন হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই ছাড়িয়ে যায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা। হেক্টর প্রতি প্রায ৫’শ কেজি উৎপাদন হয়। যা শুধু দেশে নয় আন্তর্জাতিকভাবেও আলোড়ন সৃষ্টি করে। বর্তমানে চিংড়ি অধ্যুষিত এ উপজেলায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪ সহস্রাধিক চিংড়ি ঘের রয়েছে। গত বছর উৎপাদন ভাল হওয়ায় চলতি বছর সংশ্লিষ্ট চিংড়ি ঘেরগুলোতে মৎস্য অধিদপ্তর ৬ হাজার মেট্টিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও মৌসুমের শুরুতেই ব্যাপক হারে চিংড়ি মাছ মারা যাওয়ায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে নির্ধারিত এ লক্ষ্যমাত্রা।

চিংড়ি চাষী মোমিন সরদার জানান, চাষকৃত চিংড়ি বিক্রয় উপযোগী হওয়ার আগেই মারা যাচ্ছে। যার ফলে দারুনভাবে লোকসানে পড়তে হতে পারে বলে মাঝারী পর্যায়ের এ চিংড়ি চাষী জানান।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এ,এস,এম, রাসেল জানান, কিছু কিছু চিংড়ি চাষীরা মাছ মারা যাচ্ছে এমন অভিযোগ করলেও মারা যাওয়া চিংড়িতে রোগবালাইয়ের কোন লক্ষ্মণ পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে, মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টিপাত না থাকায় এবং প্রচন্ড তাপদাহের কারণে গভীরতা কম যে সব ঘেরগুলো সে সব ঘেরের মাছ মারা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ঘেরের পানি বৃদ্ধিসহ ভাইরাসমুক্ত পোনা অবমুক্ত করার জন্য চিংড়ি চাষীদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

কপিলমুনিতে ইলেকট্রিশিয়ান দ্বারা প্রতারিত হচ্ছে মানুষ

কপিলমুনিতে নানা প্রতারক চক্রের ভিড়ে ইলেকট্রিশিয়ান প্রতারক চক্র যুক্ত হয়েছে। আর এই ইলেকট্রিশিয়ান প্রতারক চক্র প্রতারণার মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা লুটে নিচ্ছে। এদের কারনে সাধারণ মানুষ যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি বাসাবাড়ীতেই ঝুকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

কপিলমুনি উপ শহরে প্রায় ডজন খানেক ইলেকট্রিশিয়ান রয়েছে। যাদের অধিকাংশই প্রতারণার মাধ্যমে সরল সোজা মানুষকে ঠকিয়েই চলেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলাকার কোন বাসা বাড়ী, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে অয়্যারিং করতে এদের নিয়ে গেলে তাদের পছন্দের ইলেকট্রিকস এর দোকান দেখিয়ে পণ্য সামগ্রীর তালিকা দেয়া হয়। বাড়ী কিম্বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মালিকরা সরল বিশ্বাসে এদের পছন্দের দোকান থেকে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ইলেকট্রিকস সামগ্রী ক্রয় করে।

আর দোকানী এই সুযোগে তাদের নিকট থেকে এসব পণ্য সামগ্রী চড়া মূল্যে বিক্রয় করে মোটা অংকের টাকা মুনাফা করলেও তাদেরকে দেয়া হয় নিন্মমানের ও জোড়াতালি দেয়া পণ্য সামগ্রী। দোকানী ও ইলেকট্রিশিয়ানের মধ্যে পারস্পরিক চুক্তি থাকায় তা বুঝতে না পারায় ইলেকট্রিশিয়ানদের উপর সরল বিশ্বাসের কারনে বাড়ী বা প্রতিষ্ঠান মালিকরা প্রতারিত হচ্ছেন।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন ইলেকট্রিশিয়ান জানান, দশ, বিশ টাকা থেকে শুরু করে কোন কোন ক্ষেত্রে চল্লিশ টাকা পর্যন্ত কমিশনে কিছু অসাধু দোকানীর সাথে এ সব প্রতারক ইলেকট্রিশিয়ানদের গোপন চুক্তি রয়েছে। আর এই চুক্তি অনুয়ায়ী ইলেকট্রিশিয়ানরা নিন্মমানের পণ্য সামগ্রী চড়া দামে মালিকদের ক্রয় করিয়ে দেয়। প্রতারণার মাধ্যমে দোকানী ও ইলেকট্রিশিয়ান লাভবান হলেও নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে অয়্যারিং এর কারনে সে সব জায়গা হয়ে উঠছে অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ। যে কোন সময় তাতে বৈদ্যতিক দূর্ঘটনা ঘটে ব্যপক যান মালের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে একটি সূত্র জানায়, মালিকের ভাব বুঝে ইলেকট্রিশিয়ানরা প্রয়োজনের তুলনায় তাদেরকে অতিরিক্ত সামগ্রী কিনতে বাধ্য করে। আর এই অতিরিক্তি সামগ্রী তারা চুরি করে সংশ্লিষ্ট দোকানেই কমিশনের ভিত্তিতেই সরবরাহ করে। বাসা বাড়ী বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে বৈদ্যতিক দূর্ঘটনার জন্য এদেরকে দায়ী করেছেন সচেতন মহল। তাই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।

কয়রায় সাইক্লোন শেল্টার নির্মান কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে

উপকুলীয় জনপদ কয়রা উপজেলায় সাইক্লোন শেল্টার নির্মান কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। সুন্দরবন উপকুলীয় প্রত্যান্ত এ জনপদে নতুন করে সাইক্লোন শেল্টার নির্মানের ফলে যে কোন দুর্যোগে আশ্রয় সহ শিক্ষা ব্যাবস্থা সম্প্রসারনে ব্যাপক ভুমিকা রাখবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এলজিইডির তদারকিতে আইলা বিধ্বস্ত খুলনার কয়রা ও দাকোপ উপজেলায় ৮২ কোটি টাকা ব্যায়ে ২৪ টি সাইক্লোন শেল্টার নির্মানের কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ও কয়রা সদর ইউনিয়নে ১১ টি সাইক্লোন শেল্টারের নির্মানের কাজ ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে শুরু হয়, ইতিমধ্যে কাজের ৫০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সুষ্ট ভাবে কাজ তদারকির জন্য বিশ্ব ব্যাংক ও এলজিইডির কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক দায়ীত্ব পালন করছেন।

সরোজমিনে ৫ নং কয়রা কাশীর খালপাড় সাইক্লোন শেল্টার নির্মান কাজ দেখতে গেলে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আব্দুল খালেক কনস্ট্রাকশনের দায়িত্বরত জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল হাদী রুবেল জানান, এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কাজ যে গতিতে শুরু করা হয়ে ছিল এত দিন কাজের ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হওয়ার কথা, কিন্তু দুর্গম এলাকায় বার বার মালামাল পরিবহনে সমাস্যা, মাটির নিচে বালুর অংশ অনেক বেশি ও পর্যপ্ত পরিমান জায়গা না থাকার কারনে কাজে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে, তবুও নির্ধারীত সময়ের মধ্যে সুষ্ট ভাবে কাজ সম্পন্নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

কাজের দেখ-ভালের দায়িত্বে নিয়োজিত বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি বাসুদেব সাহা জানান, সুষ্ট ভাবে সুন্দর পরিবেশে কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী বাবুল কুমার দেবনাথ জানান, বিশ্ব ব্যাংকের নিয়োগ কৃত প্রকৌশলী ও এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলীর তদারকিতে শিডিউল অনুযায়ী সুষ্ট ভাবে কাজ এগিয়ে চলেছে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়ীতপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, আমরা সার্বক্ষনিকভাবে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নির্দেশনা মাফিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছি কিন্তু সার্থন্বেশী একটি মহল বিভিন্ন ভাবে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করার পায়তারা করছে, আমরা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সুষ্টভাবে কাজ সম্পন্নের জন্য এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।

পাইকগাছায় ৮০ বোতল ফেনসিডিলসহ ১ ব্যক্তি আটক

পাইকগাছায় থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৮০ বোতল ফেনসিডিলসহ ১ মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে।


জানা যায়, বুধবার সকালে সাতক্ষীরা থেকে আসার পথে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের কাটাখালী নামকস্থানে পৌছালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাইকগাছা থানার এসআই সিরাজ ও এএসআই মফিজুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে সাতক্ষীরা জেলার আড়তদা গ্রামের আব্দুল ওহাবের পুত্র শাহজাহান (৪০) কে ৮০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে।

এ ব্যাপারে মাদক আইনে একটি মামলা করা হয়েছে বলে ওসি সিকদার আক্কাজ আলী জানান।

ওসি আক্কাজ আলীর পাইকগাছা উপজেলাকে মাদকমুক্ত করার ঘোষণা

পাইকগাছা উপজেলাকে মাদকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন নবাগত ওসি সিকদার আক্কাজ আলী। তিনি সোমবার সন্ধ্যায় থানা ভবনে পাইকগাছা প্রেসকাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ ঘোষনা দেন।

তিনি বলেন, মাদকের সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এক্ষেত্রে পুলিশের প্রশাসনেরও কেউ যদি এ কাজে জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাইকগাছায় র‌্যাব ও পুলিশের পৃথক অভিযানে ২ কেজি গাঁজাসহ আটক ৪

পাইকগাছায় ২ কেজি গাঁজাসহ ৪ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে র‌্যাব ও পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা ও ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে। 

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন ডিএডি ওলিউজ্জামানের নেতৃত্বে র‌্যাব-৬-এর একটি টিম ক্রেতা সেজে অভিযান চালিয়ে শিবসা ব্রীজের পশ্চিম পাশ থেকে ২ কেজি গাঁজাসহ গজালিয়া গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের পুত্র মনিরুল ইসলাম (৩৪) ও ছায়েদ আলী ফকিরের পুত্র মিজানুর রহমান (৩৫) কে আটক করে।

পরে এ ঘটনায় ডিএডি ওলিউজ্জামান বাদী হয়ে আটক দু’ব্যক্তিকে আসামী করে থানায় মামলা করেন। যার নং- ৪০, তাং- ২১/০৪/১৩।

অপরদিকে এস,আই সোহেল অভিযান চালিয়ে মৌখালী হাইস্কুল মাঠ থেকে গাঁজা সেবন করার সময় ২ পুরিয়া গাঁজাসহ মৌখালী গ্রামের খোকন গাজীর পুত্র বকুল গাজী (২১) ও কমলাপুর গ্রামের মৃত মান্নান গাজীর পুত্র হাবিল গাজী (২২) কে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জরিমানা করা হয় বলে ওসি সিকদার আক্কাজ আলী জানান।

পাইকগাছার গড়ইখালী ক্যাথলিক মিশনে গীর্জা পার্বণ

পাইকগাছার গড়ইখালী ক্যাথলিক মিশনে গীর্জা পার্বণ উপলক্ষে বিশ্বশান্তি ও মানব জাতির কল্যাণ কামনায় অষ্টম প্রহরব্যাপী মহানাম কীর্ত্তণ শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে মহা নামকীর্ত্তনের অধিবাস, বুধবার কীর্ত্তন শোভাযাত্রা, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় নগর কীর্ত্তন ও বিকাল ৪টায় আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হবে।

পাইকগাছায় দুই দোকান মালিককে ১১ হাজার টাকা জরিমানা

পাইকগাছায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দুই দোকান মালিককে কম্পিউটারে অশ্লীল ছবি রাখার দায়ে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

সোমবার বিকালে পাইকগাছা বাজারের কপোতাক্ষ মার্কেটে অবস্থিত বিকাশ মোবাইল সার্ভিসিংয়ের মালিক বিকাশকে ৫ হাজার টাকা ও মিজান মোবাইল সাভির্সিংয়ের মালিক মিজানুর রহমানকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত কপোতাক্ষ মার্কেটে অবস্থিত ভাজার দোকানগুলোকে স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সতর্ক করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পেশকর দিপংকর মল্লিক ও থানার সঙ্গীয় ফোর্স।

Thursday, April 10, 2014

ওয়াই-ফাই ইন্টারনেটের অওতায় আনা হচ্ছে পাইকগাছা পৌরসভাকে

অবশেষে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেটের অওতায় আনা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী পাইকগাছা পৌরসভাকে। ইতোমধ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ এ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ Voice of Paikgacha'য় "ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক চালু করেছে মেহেরপুর পৌরসভা" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় এবং উক্ত প্রতিবেদনে পাইকগাছা পৌরসভাকে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের অওতায় আনা ব্যাপারে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর’এর কাছে অনুরোধ জানানো হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর’এর প্রচেষ্টায় বৃহস্পতিবার সকালে ইওয়াই সফট আইটি সলুশন লিঃ এর আইটি বিশেষজ্ঞ ইমরান হোসেন দিনভর পাইকগাছা পৌরসভা পরিদর্শন করেন।

এ ব্যাপারে জনপ্রিয় মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, মেহেরপুর পৌরসভাকে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পর অনলাইন সংবাদ মাধ্যম
Voice of Paikgacha'য় আমাদের পাইকগাছা পৌরসভাকে এই সুবিধার আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ঠ পৌরসভাকে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের অওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।

ফলোআপ: পাইকগাছায় স্ত্রী-সন্তানকে জবাই করে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা

ঘাতক দীপক ছিল মাদকাসক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন 

 

কপিলমুনিতে স্বামীর হাতে স্ত্রী-পুত্র খুন হওয়ার ঘটনার একটু একটু করে জট খুলতে শুরু করেছে। পুলিশের ধারণা ঘাতক দীপক ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ও মাদকাসক্ত। আর লোমহর্ষক এ ঘটনায় পাইকগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

সূত্রে প্রকাশ, কপিলমুনির দক্ষিণ সলুয়া গ্রামের মৃত সন্তোষ দাশের মাদকাসক্ত পুত্র দীপক দাশ (৪৫) সোমবার গভীর রাতে তার স্ত্রী অনিমা দাশ (৩০) ও তার পুত্র সজিব দাশ (৮) কে ঘুমন্ত অবস্থায় হাসুয়া দা দিয়ে জবাই করে হত্যার পর সে নিজেই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখায়।

এদিকে মঙ্গলবার খুলনার এডিশনাল পুলিশ সুপার শফিউল্লা ও পাইকগাছা ভারপ্রাপ্ত ওসি (তদন্ত) গাজী কামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। লাশ ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার মামুদকাটী মহাশ্বশানে শেষ কৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।

তবে লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের আসল কি রহস্য তা অনেকটা অন্ধকারে থাকলেও পুলিশ, এলাকাবাসী, ঘাতকের পরিবারের ভিন্ন বক্তব্য মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। ঘাতকের পরিবারের সদস্যদের দাবি, সে শারীরিকভাবে অসুস্থ, তাকে বাংলাদেশ-কলকাতার বহু ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে সুস্থ হয়নি।

এদিকে এলাকাবাসী বলছে, সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, সে ইতোপূর্বেও স্ত্রী সন্তানদের চেননানাশক খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করে। অন্যদিকে পুলিশের ধারণা সে মাদকাসক্ত থাকার কারণে এমনি হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা জন্ম।

লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের পরদিন সকালে সরেজমিনে গেলে ঘাতক দীপক ও নির্মমভাবে খুন হওয়া অনিমা দাশের ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যা প্রিয়াঙ্কা বার বার কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলতে থাকে, আমার মা-ভাইয়ের লাশ যেন পোস্টমার্টেম না হয়, আমার বাবার কোন দোষ নেই, আমার বাবা নির্দোষ।

এলাকাবাসীর মনে অত্যন্ত সহজভাবেই একটি প্রশ্ন দানা বাধছে, তার মা-ভাইকে হত্যা করার পরও কেন তার বাবাকে নির্দোষ বলছে সে। স্বাভাবিকভাবেই অনেকে ধারণা করছেন, সুপরিকল্পিতভাবে হয়তোবা চেতনানাশক খাইয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

সূত্রের দাবি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা’টি বাজার থেকে কিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে দীপকের বসতঘরের সামনে দা মোড়ানো কাগজ ও ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ সেগুলো আলামত হিসেবে সংগ্রহ করে। অনেকের কাছে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, স্ত্রী-পুত্র হত্যার পর সে তার মেয়েকেও হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিল। হত্যাকারী যদি মাদকাসক্ত বা মানসিক ভারসাম্যহীন হয় তাহলে বিছানায় ঘুমন্ত অবস্থায় পরিকল্পিতভাবে কি করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হলো ?

পাইকগাছা থানার ওসি (তদন্ত) কাজী কামাল হোসেন এ হত্যাকান্ড সম্পর্কে বলেন, চেতনানাশক খাইয়ে হয়তোবা হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তবে পোস্টমার্টেম রিপোর্ট আসলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে। ঘটনায় ঘাতকের শ্যালক মৃত্যুঞ্জয় দাশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ে করেন, মামলা নং-২০, তাং ০৮/০৪/১৪।

সবমিলিয়ে কপিলমুনির এ আলোচিত হত্যাকাণ্ডের নায়ক বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিরাপদে চিকিৎসাধীন থাকলেও এলাকাবাসীর মনে সস্তি ফিরছে না। নিজেদের অজান্তেই যেন আতংক, ভয় আর নানান প্রশ্ন বাসা বাঁধছে মনে।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেখানে নিত্যদিনের পথচলা

আঠার মাইল-পাইকগাছা সড়কের পুরোটাই গর্তে ভরা। কোথাও ভালো নেই। দেশের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে দক্ষিণ জনপদের তিনটি উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের ১৫ লাখ মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো দুর্দশাগ্রস্ত এ রাস্তাটি। এলাকার সব শ্রেণী ও পেশার মানুষের এক কথা, সড়কের এ দুরাবস্থার কারণে উপকূলীয় এলাকাটি বিচ্ছিন্ন জনপদে পরিণত হয়েছে।

ফাইল ফটো
কপিলমুনি বণিক সমিতির সভাপতি এম বুলবুল আহমেদ জানান, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার চারটি, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার একটি পৌরসভা‘সহ ১১টি ও কয়রা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো আঠার মাইল-পাইকগাছা সড়ক।

আষাঢ় মাস থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত ছয় মাস এই রাস্তা কপোতাক্ষের উপচে পড়া পানির নিচে তলিয়ে থাকে। এ সময় রাস্তার ওপর পানি থাকে প্রায় তিন ফুট। বছরের এই ছয় মাস এলাকাবাসী পানিবন্দী জীবনযাপন করে। বাকি ছয় মাস ভাঙ্গা চোরা গর্তে ভরা বিধ্বস্ত রাস্তায় যানবাহন চলে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইকগাছা-আঠার মাইল সড়কটির কপিলমুনি থেকে আঠার মাইল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার চলাচলের একবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তালা উপজেলা সদর থেকে পাইকগাছার গোলাবাটি এবং তালার গোনালী- খৈতলা এলাকার অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকগুলো চলার সময় বারে বারে গর্তে উল্টে পড়ছে।

মৌসুমের সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটির অবস্থা অবর্ণনীয় রূপ ধারণ করে। গর্তগুলোতে পানি জমে ডোবার আকার ধারণ করে। কাঁদা-পানিতে সয়লাব হয়ে আষাঢ়ে গ্রামীণ ভাগাড়ের মতো অবস্থা হয়। এমনই পরিবেশে চলতে গিয়ে মারিয়া নামের সাত মাসের একটি শিশুর করুণ মৃত্যু হয়েছে কিছু দিন আগে। গতকালও কপিলমুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় (বাসের একসেল ভেঙ্গে চাকা খুলে যায়) ১০ জন আহত হয়েছেন।

পাইকগাছা উপজেলার ইউপি মেম্বর হাসান বিশ্বাস জানান, সড়কটির এ সমস্যা নতুন বা দু’এক বছরের না। সড়ক উন্নয়নের নামে মাঝে মধ্যে কাজ হয় ঠিকই, কিন্তু তা এতোই জোড়াতালি দেয়া যে অল্প সময়ের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। গত বছর কোটি টাকা ব্যয়ে বর্ষার ভেতর কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্ষা যেতে না যেতেই সে কাজের চিহ্ন আর চোখে পড়ছে না।

ব্যবসায়ী প্রবীর জয় ও কম্পিউটার ব্যবসায়ী মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, সড়কের এ সমস্যার কারণে পণ্য পরিবহনের খরচ বেশি পড়ছে। এ কারণে অন্য এলাকার তুলনায় স্থানীয় হাট-বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি।

খুলনা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওলিউল হোসেন সড়কটির সমস্যার কথা স্বীকার করে জানান, সড়কটি মূলতঃ কপোতাক্ষ সমস্যার শিকার। এ নদের উপচে পড়া পানিতে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবুও জনগণের যোগাযোগ সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের চেষ্টার ক্রটি নেই। এবারও সড়কটির উন্নয়নে ১০ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে।

মহেশ্বরীপুর ইউ.পি চেয়ারম্যানের জেনারেল ওসমানী স্বর্ণপদক লাভ

খুলনা জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে স্বর্ণপদক লাভ করেছেন কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউ.পি চেয়ারম্যান বিজয় কৃষ্ণ সরদার। তার এ বিজয়ে মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে সোমবার এক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

বেলা ১১টায় মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউ.পি সদস্য আব্দুল গফফার এর সভাপতিত্বে সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে ইউ.পি চেয়ারম্যানকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সকল ইউ.পি সদস্যগন’সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ জনতা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, সমাজ সেবক ও সাবেক ইউ.পি সদস্য নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রী।

উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল স্বাধীন বাংলা সংসদ (স্বাবাস) এর উদ্দ্যোগে ঢাকার শিল্পকলা একাডেমির স্কাইমুন চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার সুন্দরবন বেষ্টিত মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিজয় কৃষ্ণ সরদারকে জেনারেল ওসমানী স্বর্নপদক- ২০১৪ প্রদান করা হয়।