Sunday, May 4, 2014

পাইকগাছায় দুটি সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে

পাইকগাছা পৌর বাজার থেকে শিববাটী পর্যন্ত প্রায় দু’কিলোমিটার এবং বাসস্ট্যান্ড জিরোপয়েন্ট থেকে বাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা দু’টি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এদিকে বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়ীরা রাস্তা দু’টি যথেচ্ছা ব্যবহার করার কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

ফাইল ফটো
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিববাটী ব্রীজ চালু হবার আগ পর্যন্ত কয়রার সাথে সড়ক যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা হিসেবে পৌর বাজার হয়ে শিববাটী (ফেরী পারাপার) রাস্তাটিই ব্যবহার হয়ে আসছিল। মূলত রাস্তাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের শিবসা নদীর ওয়াপদা বেড়িবাঁধ হলেও যাত্রীবাহী বাসসহ সকল যানবাহন চলাচল করার কারণে সড়ক ও জনপদ বিভাগ বেড়িবাঁধের উপর পিচ ঢালাইয়ের কাজ করে। সঙ্গত কারণে সেই থেকে বাজার-শিববাটী রাস্তার কর্তৃত্ব সওজ কর্তৃপক্ষের ওপর চলে যায়।

আবার, বিগত ২০১২ সালের ১০ মে শিববাটী ব্রীজ চালু হবার পর থেকে পৌর বাসস্ট্যান্ড জিরোপয়েন্ট হয়ে কয়রার সাথে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হওয়ায় কয়রা আসা-যাওয়া করতে আর বাসস্ট্যান্ড হয়ে বাজারে আসার প্রয়োজন হচ্ছে না। বিধায় বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজার ও বাজার থেকে শিববাটী রাস্তা দু’টির কর্তৃত্ব ছেড়ে দিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এমতবস্থায় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণে বর্তমানে জটিলতা দেখা দিয়েছে।

এদিকে শিববাটী রাস্তার (ওয়াপদা বেড়িবাঁধ) উপর যত্রতত্র ইট, বালি, বাঁশ, গোলপাতা ও মাটি রেখে ব্যবসা করার কারণে রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। রাস্তার উপর যেভাবে বাঁশ, বালি, গোলপাতা, মাটি রাখা হয়েছে তা দেখলে মনে হবে এসব ব্যবসায়ীরা যেন রাস্তাটি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ইজারা নিয়েছেন। মালামাল লোড-আনলোড করতে ট্রাক-পিকাপ ও ট্রলি চলাচল করছে হরহামেশা।

শিববাটী এলাকাবাসির অভিযোগ, রাস্তার উপর বালি রাখায় বাতাসে উড়ে তা বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে। পথচারীরাও রয়েছেন বেকায়দায়। রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গেলে বাতাসে বালি উড়ে এসে চোঁখ-মুখ ঢেকে যায়। ওই সময় এক অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।

ওদিকে পৌর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজার পর্যন্ত রাস্তা ভেঙেচুরে গেলেও জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি মেরামতের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসছেন না। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। রাস্তার দু’পাশের দোকানীরা ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন মালামাল সাজিয়ে রাখায় পথচারীদের চলাফেরা করতে মারাত্মক বেগ পোহাতে হচ্ছে।

এমনিতেই ভাঙাচুরা, তার ওপর রাস্তায় বিভিন্ন মালামাল রেখে অবরুদ্ধ করে রাখায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। উল্লেখিত রাস্তা দু’টির কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ ও যথাযথ রক্ষাণাবেক্ষণের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

কয়রায় কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

কয়রায় কালবৈশাখীর তান্ডবে ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার বেলা দেড়টার দিকে প্রায় আধাঘন্টা সময়ব্যাপি কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের অধিকাংশ কাঁচা ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া চলতি মৌসুমের কৃষকদের উৎপাদিত ফসল ও গাছপালার ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়েছে। কয়রা সদর ইউনিয়নের হরিণখোলা সরকারি প্রাথঃ বিদ্যালয়, শাকবাড়ীয়া স্কুল এন্ড কলেজ, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের বড়বাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিনের ঘরের চাল উড়ে গেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার জানান, ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম হাসান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।