Friday, April 19, 2013

◄▣►সহিংস রাজনীতির শিকার পাইকগাছার শিশু-কিশোরা◄▣►

সম্প্রতি দেশের সহিংস রাজনীতির শিকার হচ্ছে কোমলমতি শিশু-কিশোররা। লাঠি হাতে কোন না কোন রাজনৈতিক দলের মিছিল কিংবা বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে, হয় পুলিশের মারপিটের শিকার না হয় আটক হয়ে জেলের ঘানি টানছে।

অপরদিকে রাজনীতিক দলের ইট, পাটকেল নিক্ষেপ, টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে পিকেটিংসহ ককটেল বিষ্ফোরনের মত সহিংস কর্মকান্ডের শিকার হয়ে আহত হচ্ছে অনেক শিশু। সম্প্রতি খুলনার পাইকগাছায় শিবিরের মিছিলে অংশ নিয়ে দু’কিশোর পুলিশের হাতে আটক হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। শিবিরের টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধকালে এক শিশু ও এক কিশোর অগ্নিদগ্ধ হয়।


বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের সহিংস রাজনৈতক কর্মকান্ডে শিশু-কিশোররা মানষিক ও শারিরীকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারনা করছে।

সুত্রমতে, গত ১৩ এপ্রিল জামায়াতের ডাকা খুলনা জেলায় অর্ধদিবস হরতালে খুলনার পাইকগাছায় শিবিরের নেতাকর্মীরা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করার সময় টায়ারের আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয় গোপালপুর গ্রামের নজরুল দপ্তরীর ১১ বছরের শিশুপুত্র জাহিদুল ইসলাম। আগুনে তার একটি পা ঝলসে যায়। ১৯ ফেব্রুয়ারী পাইকগাছা উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে মিছিল করার অপরাধে আটক হয় কয়রার কালিকাপুর গ্রামের মাদ্রাসাছাত্র কিশোর মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, ৭ ফেব্রুয়ারী জামায়াত শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল অংশ নিয়ে লাঠিচার্জের শিকার হয়ে পুলিশের হাতে আটক হয় কিশোর মোজাফফার হোসাইন, ৫ ফেব্রুয়ারী উপজেলা সদরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে পিকেটিং করার সময় অগ্নিদগ্ধ হয় আব্দুল কাইয়ুম নামের এক কিশোর শিবিরকর্মী। এভাবেই প্রতিনিয়ত কোন না কোনভাবেই সহিংস রাজনীতির শিকার হচ্ছে দেশের কোমলমতি শিশু-কিশোররা।

যা স্বাধীন দেশে বিবেকবান মানুষকে উব্দেগের কারন হয়ে দেখা দিয়েছে। এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন শিশু সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

নুন্যতম বাজেট নিয়েই কপিলমুনি বাজার উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলছে

নুন্যতম বাজেট নিয়ে কপিলমুনি বাজার উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলেছে। বরাদ্ধ সীমিত হওয়ায় এ কাজ সমাপ্ত হবে কি না? তা নিয়ে রীতিমত সংশয় দেখা দিয়েছে। এদিকে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু’র এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসী। তাদের দাবী রাজস্ব আয়ে সুনাম অর্জনকারী কপিলমুনি বাজার উন্নয়নের ক্ষেত্রে এলাকার সংসদ এড সোহরাব আলী সানা এগিয়ে আসবেন।


জানা যায়, কপোতাক্ষ নদের অকাল মৃত্যুতে বৃহৎ এ বাজারের জায়গা নিচু হয়ে গিয়ে প্রায় ৪/৫ বছর যাবৎ ব্যবসায়ীরা নানা সমস্যার সম্মুখিন হয়ে আসছেন। যা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ধারা বাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। সর্বশেষ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু পরিষদের সাড়ে ১৬ টন চাউল বাজেট দিয়েই শুরু করেন বাজার উঁচু করনের কাজ। এরপর বাজারের ব্যবসায়ীদের সার্থে এগিয়ে আসেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশিদুজ্জামান। তিনি বাজারের উন্নয়নে সাড়ে ১০ টন চাউল বাজেট প্রদান করেন।

অথচ ড্রেনেজ সংস্কার, চাঁদনী ও বাজার উঁচু করনে নুন্যতম বাজেট বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু। তিনি বলেন, এ কাজ শেষ হতে প্রায় ৩৫/৪০ লাখ টাকা প্রয়োজন তবুও কাজ শুরু করেছি। তিনি কাজের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, বাজার উঁচু করতে প্রায় ১ লাখ ৭০/৮০ হাজার ঘনফুট মাটির প্রয়োজন। যা পার্শ্ববর্তী মরা কপোতাক্ষ নদী কেটে মাটি বের করে নিতে হচ্ছে। এরপর ভ্যানযোগে বাজারের মধ্যেবর্তী নিচু জায়গায় ফেলতে হচ্ছে। তবে পুরো কাজ সম্পন্ন করতে সরকারী পৃষ্টপোশকতা ছাড়া সম্ভবপর না বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, এ বছর হাট বাজার বিক্রি করে সরকার ১৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। এমতাবস্থায় বাজারের সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হলে আগামীতে এর তুলনায় অনেক বেশী রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে সরকারের পৃষ্টপোশকতা দাবী করেন তিনি। একইভাবে এলাকার মানুষের স্বার্থে ও বাজারের সার্বিক উন্নয়নকল্পে এলাকার সংসদ এড. সোহরাব আলী সানার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসী।

পাইকগাছায় চাঁদনী শেডের পজিশন বরাদ্ধ নিয়ে পায়তারা

পাইকগাছায় চাঁদনী শেডের পজিশন নিয়ে মাছ ব্যবসায়ী ও সবজি ব্যবসায়ীর মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মুহুর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

শুক্রবার সকাল থেকে অর্ধশত খুচরা মাছ ব্যবসায়ীরা অবস্থান নিয়ে মৎস্য চাঁদনীটি নিয়ন্ত্রন করছে বলে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়। জানাযায়, উপজেলার বাঁকা বাজারে প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) গত ৫/৬ মাস পূর্বে উপজেলার বাঁকা বাজারে খুচরা মাছ ব্যবসায়ীদের জন্য দু’টি চাঁদনী শেড নির্মাণ করেন। নির্মিত শেডের পজিশন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে খুচরা মাছ ব্যবসায়ীদের সাথে কতিপয় কিছু সবজি ব্যবসায়ীর বিরোধ চলে আসছে। শেডদু’টি মৎস্য ব্যবসায়ীর জন্য নির্মিত হওয়ায় খুচরা মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা শেড দু’টি মৎস্য ব্যবসায়ের জন্য ব্যবহার করতে চায়।

উল্লেখ্য, শেড নির্মানের পূর্বে দীর্ঘদিন ধরে নির্ধারিত স্থানে খুচরা মাছ ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত স্থানে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। অপরদিকে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক কিছু সবজি ব্যবসায়ীর নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মৎস্য ব্যবসায়ীদের উপেক্ষা করে কতিপয় সবজি ব্যবসায়ীদের নিকট পজিশন হস্তান্তরের পায়তারা করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।



এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানান বিষয়টি বাজার কমিটির দায়িত্ব, টাকা গ্রহনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

সর্বশেষ শুক্রবার সকালে খুচরা মাছ ব্যবসায়ী সমিতির ৫৬ জন সদস্য শেড দু’টিতে অবস্থান নিলে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে বাজার কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের হস্তক্ষেপে বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি সাদেক গাজী ও বিশিষ্ট মৎস্য আড়ৎদার ব্যবসায়ী আরশাদ আলী বিশ্বাসের মধ্যস্থতায় দু’পক্ষকে নিয়ে সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছেন বলে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান। খুচরা মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আকাম বিশ্বাস জানান নির্ধারিত স্থানে তারা দীর্ঘদিন ধরে মাছ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে এবং তাদেরই ব্যবসায়ের জন্য চাঁদনী শেড দু’টি নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এসএম শহীদুল্লাহ জানান, যেহেতু মাছ ব্যবসায়ের জন্য চাঁদনী শেডটি নির্মাণ করা হয়েছে সেহেতু পজিশন পাওয়ার ক্ষেত্রে মৎস্য ব্যবসায়ীরাই অগ্রাধিকার পাবে। বিষয়টি তিনি সরেজমিন প্রদর্শন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে তিনি জানান।

পাইকগাছায় সুশীলনের পৃথক ৪ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন

পাইকগাছায় সুশীলন সুন্দরী প্রকল্পের উদ্যোগে অর্থনৈতিক ও নেতৃত্ব ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পৃথক ৪দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। গত সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়ন পরিষদ এবং চাঁদখালীর ধামরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পৃথক এ প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সুশীলনের উপজেলা ব্যবস্থাপক ছফুরা খাতুন, এসএমএ রব ও সিবিও নেতারা। কর্মশালায় ২২ জন করে মোট ৮৮ জন সুন্দরবন পেশাজীবীকে প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়।

"আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস" স্মারক স্তম্ভ, পাইকগাছা।

সৌজন্যে: উপজেলা প্রশাসন, পাইকগাছা, খুলনা। (২১-০২-২০০০ইং)

কপিলমুনিতে গৃহবধুকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে মামলা

পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির শহরতলীর সলুয়া গ্রামের গৃহবধু ধর্ষন চেষ্টা মামলায় গত দু’সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এর সাথে জড়িত লম্পট নওয়াব আলীকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ। অব্যাহত চাপের মুখে অসহায় পরিবারটি এখন দিকবিদিক। অন্যদিকে ঘটনাটি মিমাংশার নামে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসী ও মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর সলুয়া গ্রামের অসহায় গৃহবধু রেশমা বেগম গত ১ এপ্রিল রাত ১১:৪৫ মি: নিজঘরে অবস্থানকালে তার স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে পার্শ্ববর্তী একই এলাকার মানিক সরদারের লম্পট পুত্র নওয়াব আলী ঘরে ঢুকে মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায়।

ধস্তাধস্তির এক পর্যায় গৃহবধু’র ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে তার পূর্বেই লম্পট নওয়াব আলী পলিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

ঘটনার পর অসহায় গৃহবধু রেশমা বেগম বাদী হয়ে সৃষ্ট ঘটনায় পাইকগাছা থানায় একটি মামলা রুজু করে যার নং-০৪, তাং ০৪/০৪/১৩ইং। এদিকে মামলা করে আসামীদের অব্যাহত চাপের মুখে পড়েছে অসহায় পরিবারটি। মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করছে লম্পট নওয়াব ও তার সতীর্থরা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে অসহায় পরিবারটি।