Sunday, August 30, 2015

‎অবশেষে‬ পাইকগাছা সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আজহার আলী বরখাস্ত

৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ


পাইকগাছা সিনিয়র মাদ্রাসার আলোচিত দূর্নীতি পরায়ণ অধ্যক্ষ আজহার আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রায় ৬ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় শনিবার পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় অধ্যক্ষ আজহার আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। 

উল্লেখ্য, পাইকগাছা সিনিয়র মাদ্রাসার আলোচিত অধ্যক্ষ আজহার আলী ইতোপূর্বে ‪‎চেক‬ জালিয়াতির‬ মামলায় জেল‬ ‪‎খাটেন‬ এবং সাময়িক বরখাস্ত হন। পরবর্তীতে তিনি আবারো যোগদানের পর ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। 

বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি মাদ্রাসার আয়-ব্যয়ের সুষ্ঠু নিরীক্ষার জন্য উপজেলা সমবায় অফিসার এফএম সেলিম আখতারকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট অডিট কমিটি গঠণ করেন।

কমিটির নেতৃবৃন্দ গত ২৫ মে চূড়ান্ত অডিট প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে মাদ্রাসার অধিনস্থ খাল ইজারার অর্থ, বিদ্যুৎ বিল ও টিউশন ফি বাবদ ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮৭ টাকা আত্মসাত করেছেন মর্মে অডিটে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও পরবর্তীতে খাল ইজারা বাদ ৯৩ হাজার, ২৩ জন শিক্ষক নিয়োগের ব্যাংক ড্রাফট বাবদ ১১ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সব নানাবিধ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ম্যানেজিং কমিটি সভায় সকল সদস্যের উপস্থিতিতে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় অধ্যক্ষ আজহার আলীকে শোকজ করা হয়।

সর্বশেষ শনিবার পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে অধ্যক্ষ আজহার আলীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং প্রভাষক নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব অর্পণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় বলে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান ও প্রতিষ্ঠাতা এবং উপজেলা চেয়ারম্যান এড. স ম বাবর আলী জানান।

Saturday, August 29, 2015

পাইকগাছায় স্কুলছাত্রীর মুখমণ্ডল ঝলসে দিয়েছে ‪ভণ্ড‬ ‪কবিরাজ‬

পাইকগাছায় ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীর ঘাড় থেকে ভূত নামানোর নামে আগুন দিয়ে মুখমণ্ডল ঝলসানোর পাশাপাশি তার বাম চোখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে জখম করেছে পাইকগাছার গদাইপুরের ভণ্ড কবিরাজ মুফতি মাওলানা বুরহানউদ্দীন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ আগস্ট মঙ্গলবার বিকালে। 

পাইকগাছার চেঁচুয়া গ্রামের সাহেব আলী সরদারের কন্যা ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী আম্বিয়া খাতুন হঠাৎ কয়েকদিন ধরে বেহুশ হয়ে পড়ছে। মাঝে মধ্যে এ অবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করাচ্ছে। 

এর একপর্যায়ে মঙ্গলবার চরমলই গ্রামে মাওলানা বুরহানউদ্দীন আম্বিয়াকে তার নতুনবাজার গাজী মর্ডান হেলথ সেন্টারে নিয়ে যেতে বলে। সেখানে মাটির পাত্রে আগুন দিয়ে তার মুখে চেপে ধরে। সে ছটফট করতে থাকলে আরও লোকজন নিয়ে তাকে ঝাপটে ধরে। যাতে তার মুখের চারপাশ পুড়ে ঝলছে যায়।

Thursday, August 27, 2015

জাতীয় কবির ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

‘আমি চিরতরে দূরে চলে যাব, তবু আমারে দেব না ভুলিতে’ 


আজ ১২ই ভাদ্র (২৭ আগস্ট)। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৯তম প্রয়াণ দিবস। ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের আজকের এই দিনে (১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কবির ইচ্ছানুযায়ী কবিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়।

যে দিনটিতে কবি চলে গিয়েছিলেন সেদিন খ্রিস্ট্রীয় ক্যালেন্ডারে তারিখ ছিল ২৯ আগস্ট। কিন্তু বাংলাদেশে বাংলা পঞ্জিকার তারিখগুলো স্থির হয়ে যাওয়ার পর থেকে ২৭ আগস্টকেই তার প্রয়াণ দিবস হিসেবে পালিত হয়েছে আসছে। 

পাইকগাছা পৌরসভার অভ্যন্তরে মরণফাঁদ

কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় পাইকগাছা পৌরসভার অভ্যন্তরে বেশ কিছু ‘মরণফাঁদ’ তৈরী হয়ে আছে। যা দেখে যে কারোরই মনে হতে পারে কাউকে দুর্ঘটনায় ফেলাবার জন্যই হয়তো এধরনের ফাঁদ তৈরী করে রাখা হয়েছে। যেকোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে অনাকাঙ্খিত কোন দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এসব মৃত্যুকূপগুলো রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে কারো যেন কোন মাথাব্যথা নেই।

এমনই এক ফাঁদে পড়ে দু’মহিলার পা ভেঙ্গে যাওয়া এবং অনেকের আহত হওয়ায় এ সংক্রান্ত সংবাদ গত এপ্রিলে 'ভয়েস অফ পাইকগাছা'য় প্রকাশিত হলে পৌর বাজার অভ্যন্তরের খেয়াঘাট রোড এলাকায় নির্মিত ড্রেনে স্লাব ও বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন সরল কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি মন্দিরের পশ্চিম পাশের রাস্তা সংলগ্ন সীমানা পাঁচিলটি মেরামত করা হয়েছে। যদিও শহর অভ্যন্তরে এখনও অনেকগুলো এ ধরনের ‘মরণফাঁদ’ রয়েছে। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পাইকগাছা কলেজের দক্ষিণ পার্শে (বাজার-বাসষ্ট্যান্ড) ব্যস্ততম বাইপাস সড়কের উপর পানির লাইনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে গেটবাল্বের হাউজ। দীর্ঘ এক বছরের আগে হাউজটি নির্মাণ করা হলেও অদ্যবধি স্লাব বা ঢাকনা দেয়া হয়নি। উক্ত হাউজ সংলগ্ন পাঁচিলের সাথে লাগানো রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের মিটার। 

স্থানীয় বাসিন্দা খালিদ জাহাঙ্গীর পথিক ক্ষোভের সাথে বলেন, পানির হাউজে স্লাব না থাকায় এবং বিদ্যুতের মিটারটি শিশুদের নাগালের মধ্যে হওয়ায় যেকোন মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। বিষয়টি বিদ্যুৎ ও পৌর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করা হলেও সমাধানের ব্যাপারে কেউ এগিয়ে আসেনি। 

এদিকে ৮নং ওয়ার্ডস্থ বাতিখালী গ্রামের (সরকারি গোরস্থানের পূর্ব পার্শে) চৌরাস্তা মোড়ে রাস্তার উপর টেলিফোনের খুঁটিতে একটি স্পাতের এ্যাঙ্গেল লাগোনো রয়েছে মানুষের মাথা বরাবর। সেখানকার বাসিন্দা সুভাষ সানা মহিম বলেন, কেউ একটু বেখেয়ালীভাবে হাটলেই ওই এ্যাঙ্গেলে মাথা বা চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

ওদিকে প্রধান সড়ক সংলগ্ন (উর্ম্মীলা কমপ্লেক্সের দক্ষিণ পাশে) ত্রিমোহিনী মোড়ে ঠিক রাস্তার উপরেই নির্মিত পানির লাইনের গেটবাল্বের হাউজে স্লাব বা ঢাকনা দেয়া হয়নি। শহরের একাধিক স্থানে রাস্তার পাশে পানির লাইনের গেটবাল্বের হাউজ বা ড্রেন রয়েছে। যার বেশিরভাগই এখনও ঢাকনা দেয়া হয়নি। 

ঝুঁকিপূর্ণ এসব বিষয়গুলি সমাধানের ব্যাপারে কারো কোন মাথাব্যাথা আছে বলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়না। ‘গ’ থেকে ‘খ’ শ্রেণীতে উন্নীত হলেও খুলনা জেলার প্রথম পৌরসভা পাইকগাছায় নাগরিক সেবার মানের তেমন উন্নয়ন হয়নি। বরং নানা অব্যবস্থাপনার কারনে নাগরিক দুর্ভোগ যেন দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।

--এম,আর মন্টু, পাইকগাছা।

Tuesday, August 25, 2015

পাইকগাছায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে

ইচ্ছেমত দাম হাঁকান দোকানীরা; নেই কোন প্রকার কৈফিয়ৎ’এর বালাই !


কোন প্রকার মনিটরিং না থাকায় পৌর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম ইচ্ছেমত হাঁকছেন স্থানীয় দোকানীরা। একই দোকানী জিনিষপত্রের দাম একেক ক্রেতার কাছ থেকে একেক রকম দাম আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে দোকানীদের কাছে এক প্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছেন স্থানীয় ক্রেতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর বাজারের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ বহু আগে থেকেই। এমনও অভিযোগ রয়েছে, বোতল বা প্যাকেটজাত দ্রব্যের গায়ে মূল্য লেখা থাকা সত্ত্বেও তার চেয়ে বেশি দাম নেয়া হচ্ছে। কোম্পানীর দোহায় দিয়ে দোকানীরা এর কারণ হিসেবে বলেন, কোম্পানী দাম লেখা ছাড়া বেশি নিয়েছে তাই আমরাও (দোকনী) দাম বেশি রাখতে বাধ্য হচ্ছি।

পৌরবাসীর অভিযোগ, বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার না থাকায় পৌর বাজারের ব্যবসায়ীরা বরাবরই অন্যান্য জায়গার তুলনায় জিনিষপত্রের দাম বেশি নিয়ে থাকে। আশপাশের যেকোন বাজারের তুলনায় পৌর বাজারে প্রতিটি জিনিষের দাম বেশি রাখা হয়। কোন প্রকার কৈফিয়ৎ না থাকায় দোকানীরা ইচ্ছেমত দ্রব্যমূল্য নিয়ে থাকে। 

জানা গেছে, পৌর বাজারে প্রতি কেজি শাক বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ ১৫ টাকা, বেগুন ১ কেজি ৫০ টাকা, ওল ১ কেজি ৫০ টাকা, কাচকলা ১ কেজি ৪০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ২৫ টাকা, পটল ১ কেজি ৩০ টাকা, পুঁইশাক ১ কেজি ২০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা কেজি, ঢেঁড়শ প্রতি কেজি ৪০ টাকা, খিরাই ১ কেজি ৪০ টাকা, বিচিকলা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মুষ্টিকুমড়া ১ কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পৌর বাজারে ভালোমানের পাকাকলা পাওয়া খুবই মুশকিল। পাকা কলা যা আছে তা’ প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

এদিকে খুচরা মাছ বাজারেও বরাবরই ভালো মানের কোন মাছ পাওয়া যায়না। যা অল্পকিছু পাওয়া যায়, তার মধ্যে মরা-পচা কিছু তেলাপিয়া, চিংড়ি, পারশে ও পাঙ্গাশ মাছই উল্লেখযোগ্য। তাও আবার চড়ামূল্য। ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ছোট সাইজের টেংরা মাছ প্রতি কেজি ৩০০টাকা, একটু বড় হলে ৪০০ টাকা কেজি। 

মোদ্দাকথা পৌরবাসী বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে এক প্রকার জিম্মি হয়ে আছে। তারা কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে জিনিষপত্রের দাম ইচ্ছেমত নিচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাজারে সরকারিভাবে জিনিষপত্রের দাম নিয়ন্ত্রনের ব্যাপারে নিয়মিত মনিটরিং না করার ফলে ব্যবসায়ীরা এ ধরনের অবৈধ সুযোগ নিয়ে থাকে।

Monday, August 24, 2015

পাইকগাছায় নারী পুলিশের সাথে অসাদাচারন; ব্যবসায়ীকে জেল জরিমানা

পাইকগাছায় দুই নারী পুলিশের সাথে অসাদাচারণ ও অশ্লীল মন্তব্য করার অভিযোগে চিরঞ্জিত সাধু (২৪) নামে এক ব্যবসায়ীকে ৬ মাসের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতে এ সাজা ও জরিমানা করা হয়।

জানা গেছে, শুক্রবার সকালে পাইকগাছা থানার দুই নারী পুলিশ সদস্য বাজার করতে যাওয়ার সময় পৌর বাজারের সুতা পট্টি মার্কেটের ব্যবসায়ী মেলেক পুরাইকাটি গ্রামের ভজহরি সাধুর ছেলে চিরঞ্জিত সাধু নারী পুলিশদের লক্ষ্য করে অশ্লীল মন্তব্য করে। 

ছবি :: প্রতীকী




এ ঘটনায় থানাপুলিশ চিরঞ্জিত‘কে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন দন্ডবিধি ৫০৯ ধারায় আটক ব্যবসায়ীকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদন্ডের নির্দেশ দেন।

Friday, August 21, 2015

পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি ও তার উন্নয়ন কাজের অজুহাত

চার‬ ‪‎মাস‬ যাবৎ পাইকগাছায় প্রতিদিন ৮/১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকছে


পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি ও তারের উন্নয়ন কাজের অজুহাতে পাইকগাছা উপজেলায় বিগত চার মাস যাবৎ প্রতিদিন ৮/১০ ঘন্টা করে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হচ্ছে। প্রতিদিন ভোর থেকে টানা বেলা ২/৩টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় নাজেহাল হয়ে পড়েছেন খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধিনস্থ পাইকগাছা জোনাল অফিসের আওতাধীন (পাইকগাছা-কয়রা) প্রায় ২৫ হাজার গ্রাহক। 

এদিকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হোক বা না হোক প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। শুধু তাই না বিদ্যুতের ব্যবহার কম হলেও প্রতি মাসেই বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ব্যবহার কম হয়, অথচ প্রতি মাসে কিভাবে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যাচ্ছে সেব্যাপারে কোন সদুত্তর নেই সংশ্লিষ্ট কারো কাছে। অভিযোগ‬ রয়েছে‬, যাদের প্রতি মাসে মিটার রিডিং দেখে বিল প্রস্তুত করার কথা তারা নিয়মিত মিটার রিডিং না দেখে অনুমানের উপর বিল প্রস্তুত করছে।

স্থানীয় গ্রাহকদের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুৎ পাইকগাছা-কয়রাবাসির সাথে নেহায়েত খামখেয়ালী করছে। এমনিতেই প্রচন্ড দাবদাহে প্রাণীকূল অতিষ্ঠ তার ওপর বিদ্যুতের খেয়ালীপনার শিকার হয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধ্বস নেমেছে। যখন খুশি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছে, আর যখন ইচ্ছা তখন বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। প্রতিদিন ভোরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছে এবং টানা ৮/১০ ঘন্টা বন্ধ রাখা হচ্ছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেলে বিদ্যুতের দেখা মিলছে। 

গত ১৭ মে থেকে জায়কা প্রকল্পের ‘সোর্স লাইনের’ উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এভাবে আর আগামী কতদিন চলবে তা সঠিক করে বলতে পারছেন না বিদ্যুৎ বিভাগের কেউই। 

এদিকে বিদ্যুতের অভাবে পাইকগাছার ব্যবসা-বাণিজ্যে যেমন ধস নেমেছে, তেমনি প্রচন্ড দাবদাহে মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। আর শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া তো সিঁকেই উঠেছে। দিনের অর্ধেকের বেশি সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হলেও অন্য সময় যেমন বিকেল, সন্ধ্যা বা রাতেও লোডশেডিংয়ের হাত থেকে রেহায় পাওয়া যাচ্ছেনা। বিশেষ করে ঘন ঘন ট্রিপের কারণে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 

পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় গ্রাহকদের অভিযোগ, বরাবরই বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতে বৈষম্যের শিকার পাইকগাছা-কয়রাবাসী। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, দিনভর বিদ্যুত না থাকায় সরাসরি বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল এমন ব্যবসা-বাণিজ্য এক প্রকার বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে লোডশেডিংয়ের কারণে। ফলে অভিভাবকমহল দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে। 

সারা বছর প্রায়ই ঘোষণা দিয়ে ‘মেইন লাইন” রক্ষণাবেক্ষণের অজুহাতে দিনভর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। তারপরও আকাশে মেঘ জমতে দেখলেই পাইকগাছায় বিদ্যুৎ চলে যায়। আর সামান্য ঝড়ো হাওয়া হলে তো কথাই নেই। দু’এক দিনের মধ্যে আর বিদ্যুতের দেখা পাওয়া যায়না।

--এম,আর মন্টু, পাইকগাছা।

''‪‎সব‬ ‪নারী‬ ‪ভোটার‬ ‪হও‬'' প্রচার শুরু

ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ভোটারযোগ্য নারীদের অন্তর্ভুক্ত করে নারী ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধিতে বেসরকারি কয়েকটি সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে। ''সব নারী ভোটার হও'' শিরোনামের এ উদ্যোগ ভোটার তালিকায় যাতে বেশি সংখ্যক নারী অন্তর্ভুক্ত হতে পারে সে জন্য নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার নয়টি সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়েবসাইট ( www.womencountbd.org ) উদ্বোধন ও প্রচারাভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৪ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য থেকে দেখা যায় মাত্র ৪৪ শতাংশ নারী ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অথচ ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মোট জনসংখ্যার ৪৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ হচ্ছে নারী। তাই তালিকায় নারী ভোটারদের একটি উল্লেখ যোগ্য অংশ ওই তালিকা থেকে বাদ পড়ে পড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে হালনাগাদকৃত ভোটার তালিকায় নারীদের সংখ্যা যথাযথভাবে প্রতিনিধিত্বমূলক না হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন শেষে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের পরিচালক আবদুল আলিম বলেন, সংবাদ সম্মেলন থেকে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানানো হয়েছে, এবার যাতে ভোটারযোগ্য নারীরা কোনো ভাবেই বাদ না পড়ে। প্রচারাভিযানের পক্ষ থেকে ২০১৪ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য অনুযায়ী যেসব উপজেলায় নারী ও পুরুষ ভোটারের মধ্যে সর্বাধিক ব্যবধান পরিলক্ষিত হয়েছে সেসব উপজেলায় জনগণকে তথ্য দিয়ে বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
মাইকিং করে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা কবে বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে ওই তারিখ জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মসজিদের ইমাম সাহেবরা বিভিন্ন তথ্য জানানোর কাজ করছেন। লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।

তালিকায় নারী ভোটারদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে প্রচারাভিযান শুরু করা সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স ফর উইমেন লিডারশিপ, ব্রতী, বিকশিত নারী নেটওয়ার্ক, ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ, ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেটিক্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, জাগো ফাউন্ডেশন, কাবিডাং এবং খাগরাপুর মহিলা কল্যাণ সমিতি।

Monday, August 17, 2015

জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার সময় সূচি প্রকাশ

পরীক্ষা শুরু আগামী ১ নভেম্বর থেকে, শেষ হবে ১৮ নভেম্বর


অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ১ নভেম্বর থেকে এই পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৮ নভেম্বর শেষ হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা শুরু হবে। ২০১৫ সালের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নেবে। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৯০ হাজার ৬৯২ জন।

জেএসসির‬ সূচি :: 


১ নভেম্বর :: বাংলা প্রথমপত্র,
২ নভেম্বর :: বাংলা দ্বিতীয়পত্র,
৩ নভেম্বর :: ইংরেজি প্রথমপত্র,
৪ নভেম্বর :: ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র,
৫ নভেম্বর :: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি,
৮ নভেম্বর :: গণিত/সাধারণ গণিত,
৯ নভেম্বর :: ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, খ্রিষ্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা
১১ নভেম্বর :: বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ১২ নভেম্বর শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, ১৫ নভেম্বর বিজ্ঞান, ১৬ নভেম্বর কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা
১৭ নভেম্বর :: কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ বিজ্ঞান, আরবি, সংষ্কৃত, পালি এবং ১৮ নভেম্বর হবে চারু ও কারুকলা
 

জেডিসির‬ সূচি :: 


১ নভেম্বর :: কোরআন মাজিদ ও তাজবিদ,
২ নভেম্বর :: আকাইদ ও ফিকহ,
৩ নভেম্বর :: বাংলা প্রথমপত্র,
৪ নভেম্বর :: বাংলা দ্বিতীয়পত্র,
৫ নভেম্বর :: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি,
৮ নভেম্বর :: ইংরেজি প্রথমপত্র,
৯ নভেম্বর :: ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র,
১১ নভেম্বর :: আরবি প্রথমপত্র,
১২ নভেম্বর :: আরবি দ্বিতীয়পত্র,
১৪ নভেম্বর :: গণিত,
১৫ নভেম্বর :: কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য,
১৬ নভেম্বর :: সামাজিক বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়,
১৭ নভেম্বর :: সাধারণ বিজ্ঞান (শুধু অনিয়মিত), বিজ্ঞান, বিজ্ঞান ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি (শুধু অনিয়মিত)
১৮ নভেম্বর :: কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য অর্থনীতি (শুধু অনিয়মিত) এবং গার্হস্থ্য বিজ্ঞান

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব অসীম কুমার কর্মকার স্বাক্ষরিত জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার রুটিনে বলা হয়েছে, পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীরা সাধারণ সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। তবে মোবাইল ফোন বা কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস হলে আনা যাবে না। কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না বলেও রুটিনে উল্লেখ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত ১০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সোমবার চূড়ান্ত রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।