Thursday, April 24, 2014

পাইকগাছায় ইন্টারনেটের শম্ভুক গতি; বিপাকে ডিগ্রী ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা

পাইকগাছায় গত এক মাস যাবৎ হ্রাস পেয়েছে ইন্টারনেটের গতি। আর এই শম্ভুক গতির কারণে ওয়েবে প্রবেশ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের। কয়েক ঘন্টা অপক্ষা করার পর দেখা মিলছে কাঙ্খিত ওয়েব পেজের। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন চলতি ডিগ্রী (পাস) কোর্সের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। 

বিষয়টি গ্রামীনফোন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও এখনও পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি বলে ভূক্তভোগী ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন। জানা গেছে, চলতি মাসের শুরু থেকেই মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে ইন্টারনেটের গতি।

সূত্রমতে, সংশ্লিষ্ট উপজেলায় অধিকাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীই গ্রামীন ফোনের মডেম ব্যবহার করেন। অনেক ব্যবহারকারী ব্যঙ্গ করে গ্রামীন ফোনের ইন্টারনেট স্পীডকে ''গরুর গাড়ী''র সাথে তুলনা করেছেন।

ইমন কম্পিউটারের হারুন ইমন জানান সিটিসেল, গ্রামীনফোন’সহ কয়েকটি কোম্পানীর ইন্টারনেট গতি গত একমাস যাবৎ হ্রাস পেয়েছে। ফলে যেকোন ওয়েব পেজে প্রবেশ করতে অপক্ষা করতে হয় অনেক সময়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য কাজকার্ম মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে।

চলতি ২০১৩-১৪ শিাবর্ষে ডিগ্রী (পাস) কোর্সের শিক্ষার্থী রানিমা খাতুন জানান, প্রথমবারের মত অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরন করতে এসে গত কয়েকদিন যাবৎ ফিরে যেতে হচ্ছে। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করার পরও ভর্তি ফরম পূরণ করা যাচ্ছে না বলে ভর্তিচ্ছু এ শিক্ষার্থী জানান। অর্নাস ২য় রিলিজ স্লিপে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী নিলেন্দু কুমার মন্ডল একই অভিযোগ করেন।

অ্যাকটিভ কম্পিউটারের সুব্রত সানা জানান, গ্রামীনফোন কর্তৃপক্ষকে এই অভিযোগের ব্যাপারে একাধিকবার অবহিত করার পর সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট কোম্পানীর সল্যুশন ম্যানেজার সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করে গেলেও নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা এখনও স্বাভাবিক হয়নি।

গত একমাসে ইন্টারনেট গতি হ্রাস পাওয়ায় চরম ভোগান্তীতে রয়েছেন বলে পাইকগাছা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল জানান। এছাড়া দৈনন্দিন খবরাখবর পাঠানোর ক্ষেত্রে দিনভর অপক্ষা করতে হয় বলে সাংবাদিক আব্দুল আজিজ জানান।

পাইকগাছায় ভূয়া ডাক্তার ও দু’গাজা সেবককে জেল জরিমানা

পাইকগাছায় এক ভূয়া ডাক্তারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও চেম্বার সিলগালা এবং দুই গাজা সেবককে ৬ মাসের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বুধবার বিকালে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা আদায় ও সাজা প্রদান করা হয়।

সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন পৌর সদরের সিনেমা হল সংলগ্ন অর্শ ও পাইলস্ চিকিৎসক ভূয়া ডাক্তার এম এম বারিকের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে বৈধ কাগজপত্র ব্যাতিরেকে চেতনানাশক ঔষধ প্রয়োগ করার মাধ্যমে অস্ত্র পাচার করার অভিযোগে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও চেম্বার সিলগালা করা হয়।

অপরদিকে থানার এএসআই মোঃ সোহেল রানা চাঁদখালী ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে গাজা সেবনকালে ৪ পুরিয়া গাজাসহ কৃষ্ণনগর গ্রামের মোঃ আমির আলী গাজীর পুত্র মোঃ ফারুক গাজী (৩২) ও মৃত কওছার আলীর পুত্র মোঃ ইসলাম বিশ্বাস (৫৮) কে আটক করে।

পরে ভ্রাম্যমান আদালতে আটক দু’জনের মধ্যে ফারুককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ইসলাম বিশ্বাসকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

এই গরমেও ঠোঁট ফাটছে !

এই গরমেও ঠোঁট ফাটছে খেয়াল করেছেন কি ? এই তাপমাত্রায়ও তেমনটা কেউ ঘামছে না লক্ষ্য করেছেন ? এমনটা কি এর আগে কখনো বাংলাদেশে দেখেছেন ? রহস্যটা বাতাসের আর্দ্রতায়।

আজকে পাইকগাছার তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস (অনুভূত তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস), আর্দ্রতা ২৬। এইটা একটা রেকর্ড ! এই রেকর্ডে খুশি হওয়ার কিছু নেই তবে গভীর চিন্তার বিষয় আছে।

আমরা এখন পাইকগাছায় যে উষ্ণতা অনুভব করছি ঠিক তেমনই সৌদি আরবের লোকেরাও অনুভব করছে, অন্তত হিসেব তাই বলে, সৌদির তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর্দ্রতা ২৬। এমনটা হওয়ার কথা ছিলো না, এমনটা কখনও হয়নি।

যে বিষক্রিয়া ধীরে ঘটে তাকে মানুষ পাত্তা দেয়না, সেই ক্লাশ সিক্স থেকে পড়ে আসছি কিন্তু পাত্তা দেই নাই সেই বৈশ্বিক উষ্ণতা আর মরুকরণের কথা, উপরোক্ত তাপমাত্রার রেকর্ড সেটার প্রমাণ। প্রকৃতির সাথে মানুষ যে অন্যায় করে চলেছে এ তার ধীর প্রতিশোধ, প্রকৃতি হয়তো কিছু খুলে বলছে না তবে এই তাপমাত্রা তার ভীষণ অভিমানের প্রমাণ।

সব ফেলে এখন প্রকৃতির দিকে খেয়াল করার সময় হয়েছে, অভিমান জমে রাগ হওয়ার আগেই যদি মেটানো যায় সেই ক্ষোভ, জাতিসংঘের মতো গড়ে উঠুক 'জলবায়ু সংঘ', প্রকৃতির অভিমান ভাঙ্গানো এখন সময়ের দাবি, অন্তত ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভেবে পদক্ষেপ নেয়া উচিত, এখনই....

পাইকগাছা-আঠার মাইল সড়কের বেহাল দশায় জনভোগান্তি চরমে

সংস্কার কাজ শুরু হলেও বর্ষার আগে শেষ না হবার আশংকা


বহু প্রতিক্ষার পর অবশেষে শুরু হয়েছে পাইকগাছা-আঠার মাইল প্রধান সড়কের সংস্কার কাজ। তবে ঠিকাদারদের অপরিকল্পিত আয়োজনে শম্ভুক গতির কার্যক্রমে বর্ষার আগে কাজ শেষ না হওয়ায়র আশংকা দেখা দিয়েছে শুরুতেই। ঠিকাদার প্রথমেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে দু’পাশে মাটি দিয়ে উঁচু করে রাখায় সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। অল্প বৃষ্টিতেই সড়কে বন্ধ হয়ে যেতে পারে নির্মাণ কাজসহ সকল প্রকার যান চলাচল।

বর্ষা মৌসুমের আগে পাইকগাছা-খুলনা প্রধান সড়কের আঠার মাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের একমাত্র এ সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। তারপরও প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়কটি দিয়ে চলাচল করছে শত শত বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রো, প্রাইভেট, নসিমন, করিমন, মটরসাইকেল, ভ্যানসহ বিভিন্ন পরিবহন। কয়েক মাস পূর্বেই বন্ধ হয়ে গেছে ঢাকার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ। 

প্রথম থেকেই Voice of Paikgacha এই সড়ক সংস্কারের ব্যাপারে সরব ভূমিকা পালন করে আসছে। সড়কটি সংস্কারে এলাকাবাসী মানববন্ধন সহ ব্যাপক আন্দোলন সংগ্রামও করেছিল। এক পর্যায়ে জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে সরকার সম্প্রতি শুরু করেছে সড়কের সংস্কার কাজ। তবে রাস্তার দু’পাশে দেড় থেকে দুই ফুট মাটি দিয়ে উঁচু করে রাখায় বর্তমানে জনভোগান্তি আরো বহুগুণে বেড়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনে অনাবৃষ্টি ও প্রচন্ড দাবদাহে পাশাপাশি রাস্তা দিয়ে যেকোন গাড়ি গেলেই পাশের মাটি-বালি উড়ে পথচারীদের পথ চলতে ব্যাপক দূর্ভোগের সৃষ্টি করছে। সড়কের পার্শ্ববর্তী বসতিদেরও যেন সমস্যার অন্ত নেই। প্রতিনিয়ত ছোট খাটো সড়ক দূর্ঘটনার পাশাপাশি সর্দি-কাশি-এলার্জি জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ভূক্তভোগিরা।

প্রসঙ্গত, খুলনার কয়রা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা’সহ সাতক্ষীরার তালা, আশাশুনির একাংশের মানুষের রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচলের প্রধান এবং একমাত্র সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লেও প্রতি বছর সংস্কারের নামে সড়কে কিছু খোয়া ও পিচ ছাড়া কিছুই জোটে না।

গত কয়েকবছর যাবৎ কপোতাক্ষের অব্যাহত নাব্যতা হ্রাসে জোয়ার ভাটা মরে যাওয়ায় পানি নিস্কাশনের পথ বিলুপ্ত হয়ে অতি বৃষ্টি ও উজানের পানিতে নদী উপকূলীয় বিস্তৃর্ণ এলাকায় বছরের প্রায় সিংহভাগ সময় পানির নিচে তলিয়ে থাকে। এতে এলাকার বিস্তৃর্ণ ফসলের ক্ষেত, পানের বরজ, চিংড়ি ঘের, বসতবাড়ী তলিয়ে যায়। একই সময় পাইকগাছা-খুলনা প্রধান সড়কের তালা থেকে কাশিমনগর পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তাও তলিয়ে যায়। সে সময় বিচ্ছিন্ন থাকে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এরপর পানি সরে গেলেও কোন প্রকার মেরামত হয়নি সড়কের কোন অংশই।

এক পর্যায়ে জনভোগান্তির কথা বিবেচনা করে গত বছরের প্রথম দিকে সড়কের আঠার মাইল থেকে কয়রার চাঁদআলী পর্যন্ত প্রায় ৫২ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে বরাদ্দ হয় প্রায় ১৬ কোটি টাকা। তবে উপকরণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির ফলে ঠিকাদার কপিলমুনির-সলুয়া পর্যন্ত রাস্তার সিলকোডের কাজ সম্পন্ন করে চলে যায়।

এরপর নতুন করে আঠারমাইল থেকে তালা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা ৫ কিলোমিটার করে দু’টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে যথাক্রমে ৬৩/৬৪ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়া সলুয়া থেকে কাশিমনগর পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারে ৮৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ায় আগেই রাস্তাটি ফিরে যায় পূর্বের অবস্থায়।

এরপর সম্প্রতি নতুন টেন্ডারে কাজ শুরু হলেও অব্যবস্থাপনা ও শম্ভুক গতিতে মনে হচ্ছে আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে কোন ভাবেই কাজ শেষ করা সম্ভব না। আর এমনটি হলে এবার রাস্তায় রীতিমত জলাবদ্ধতার পাশপাশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে সকল প্রকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। এলাকাবাসী অতিদ্রুত সুষ্ঠ ভাবে কাজ এগিয়ে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাইকগাছায় ১০টি তাঁজা গ্রেনেড ও গ্রেনেড তৈরীর সরঞ্জামাদি উদ্ধার

পাইকগাছা উপজেলার নাছিরপুর এলাকা থেকে বুধবার দুপুরে পুলিশ পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্যাগ ভর্তি ১০টি তাঁজা গ্রেনেড ও গ্রেনেড তৈরীর সরঞ্জমাদি উদ্ধার করেছে। তবে কারা এবং কি উদ্দেশ্যে গ্রেনেডগুলি সেখানে রেখেছিল তা জানা যায়নি।

থানার কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই হাসমত আলী জানান, দুপুর ২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে তার নেতৃত্বে একদল পুলিশ কপিলমুনিস্থ সাথী টেইলার্সের মালিক নিশিথ রঞ্জন দে’র পার্শ্ববর্তী নাছিরপুর এলাকার পাঁচিল (প্রাচীর) বেষ্ঠিত জায়গার ইটের গাদার মধ্যে থেকে স্কুল ব্যাগ ভর্তি ১০টি তাঁজা গ্রেনেড উদ্ধার করে।

গ্রেনেডগুলির ২টি লাল টেপ ও অপর ৮টি সূতালি দিয়ে পেঁচানো ছিল। এছাড়া ব্যাগের মধ্যে থেকে পুলিশ গ্রেনেড তৈরীর সরঞ্জাম গান পাউডার, বিস্ফোরক দ্রব্য, টেপ, সূতালি ও কৌটা উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে কোন চক্র অসৎ উদ্দেশ্যে গ্রেনেডগুলি সেখানে বসেই তৈরী করে ইটের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিল।

বাকা বাজারে ফাতেমা ক্লিনিক এ্যান্ড তানয়ীম ল্যাব উদ্ধোধন

বুধবার রাড়ুলীর বাকা বাজারে ফাতেমা ক্লিনিক এ্যান্ড তানয়ীম ল্যাব উদ্বোধন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. আশাদুজ্জামান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. গোলাম সরোয়ার, ডা. শাহরিয়ার মামুন, সাংবাদিক আহম্মদ আলী বাচা প্রমুখ।