Tuesday, September 2, 2014

জেলখানায় থেকেও গাছ কাটা মামলার আসামি !

ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় পাইকগাছার যুবক রিমুর ৮ মাস হাজতবাস


মাসুদুর রহমান রিমু। ৩৫ বছর বয়সী যুবক। পাইকগাছা উপজেলা সদরের চা বিক্রেতা। একটি চুরি মামলায় হাজতবাসকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে রাস্তার পাশে গাছ কাটা মামলা দেওয়া হয়। এ মামলার বাদী পুলিশ। গাছকাটা মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক বলে জেল সুপার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন।

এদিকে কারা পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী পরিষদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তার পাঠানো প্রতিবেদনে রিমুুর নামে দায়েরকৃত মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক এবং জেলখানায় আটক অবস্থায় হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।

পাইকগাছা উপজেলা সদরের বাতিখালী গ্রামের বাসিন্দা মাসুদুর রহমান রিমু। তিনি মনসুর আলীর পুত্র। সংশ্লিষ্ট এলাকায় একটি চুরি মামলায় ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর পুলিশ তাকে হাজতে প্রেরণ করে। এ বছরের ২৭ জানুয়ারি চুরি মামলায় তার জামিন হয়। হাজতবাসকালীন সময়ে ২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বরে পাইকগাছা থানা পুলিশ রাস্তার পাশে গাছ কাটা মামলায় তাকে আসামি করে।

জেলা কারাগারের ৫৮৩/১৪ নম্বরের এ হাজতী হওয়া সত্বেও গাছ কাটা মামলায় তার আসামি হওয়াকে ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করে এবং তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জেল সুপারের কাছে আবেদন করে। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে জেল সুপার মোঃ নুরুন্নবী ভূঁইয়া এ মামলা থেকে এজাহারভূক্ত আসামিকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্য পাইকগাছার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করেন।

এদিকে গত ৩ আগস্ট জেলা কারাগার পরিদর্শন শেষে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনিস মাহমুদ এ মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক এবং জেলখানায় আটক অবস্থায় তাকে আসামি করা হয়েছে বলে মন্ত্রী পরিষদ সচিব ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন।

এ হাজতি জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আক্রোশমূলকভাবে তাকে আসামি করেছেন। চুরি মামলায় জামিন পাওয়ার পরও গাছ কাটা মামলায় তিনি জামিন পাচ্ছেন না। পরিবারের একমাত্র সক্ষম মানুষ বলে তিনি দাবি করেন।

এ মামলা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, হাজতির আবেদন সত্যি হলে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকায় তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

উপজেলা গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চু জানান, বাতিখালী গ্রামের এ যুবক মিথ্যা মামলায় হাজতবাস করছে। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ রাস্তার পাশে গেল ডিসেম্বরে গাছ কাটা মামলায় একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করেছে। এ হাজতির বৃদ্ধ মাতা নানা অসুখে ভুগছে। এ মামলার চার্জশীট এখনও দেওয়া হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট থানার সাব-ইন্সপেক্টর জালালউদ্দিন মামলার তদন্তকারী কমকর্তা।

পাইকগাছায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের দু’কমিটির আত্মপ্রকাশ !

পাইকগাছা কর্তৃত্ব নেতৃত্ব নিয়ে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে কন্দোল ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি, উপজেলা সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতৃত্ব স্থানীয়দের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও মতপার্থক্যের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে একাধিক নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন। সংগঠণের সাধারণ নেতাকর্মীরা উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা ও ঐক্যের জন্যে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

সম্প্রতি উপজেলা সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিরোধ দেখা দিলে জেলা কমিটি এক পর্যায়ে রবীন্দ্রনাথ রায়কে জেলা কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করে এবং তাকে উপজেলা আহবায়ক ও তৃপ্তি রঞ্জন সেনকে সদস্য সচিব করে একটি একটি কমিটি গঠণ করা হয় এবং এ কমিটি বিভিন্ন স্তরে তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করে।

অপর দিকে গত ১৮ জুলাই পাইকগাছায় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বিজয় কুমার ঘোষ ও জেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতির বরাত দিয়ে ৬১ সদস্যের কার্যনির্বাহী ও ৩১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ তালিকা প্রস্তুত করে অপর একটি উপজেলা কমিটি প্রকাশ করছেন রতন কুমার ভদ্র।

এ কমিটির সভাপতি হলেন রতন কুমার ভদ্র, সহ-সভাপতি বিধান চন্দ্র ভদ্র, সমীর কুমার বিশ্বাস, আন্দ্রিয় ডি রোজারিও, অধ্যক্ষ গোপাল ঘোষ, অধ্যাপক সুধাংশু কুমার মন্ডল, তাপস কান্তি বসু, এ্যাডঃ পিযুষ কান্তি সরকার, প্রজিৎ কুমার রায়, প্রমথ নাথ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক জগদীশ রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জগদীশ দে, প্রভাষক কুমারেশ সরকার, কোষাধ্যক্ষ নির্মল কান্তি মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক সুকুমার ঢালী, উত্তম দাশ, দীপক মন্ডল, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ শিবুপ্রসাদ সরকার, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক কালীপদ মন্ডল, দপ্তর সম্পাদক পরেশ মন্ডল, গণসংযোগ প্রভাষক রবীন্দ্রনাথ কর্মকার, সহ-গণসংযোগ ত্রিনাথ বাছাড়, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা কণিকা দাশ।

জানা গেছে, একাধিক নেতাকর্মীদের দু’কমিটিতে নাম রয়েছে।

পাইকগাছায় বনানী সংঘের উদ্যোগে দুঃস্থ ব্যক্তিকে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী প্রদান

পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী বনানী সংঘের উদ্যোগে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত দুঃস্থ এক ব্যক্তিকে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সংগঠনের সমাজকল্যাণ শাখার পক্ষ থেকে সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপজেলার বান্দিকাটি গ্রামের আব্দুস সবুর গাজীর পুত্র দুঃস্থ ও দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত সাত্তার গাজী ও তার স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে নগদ দেড় হাজার টাকা, চাল ও ডাল’সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন। 


সংগঠনের কার্যালয়ে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি জি,এম, আজহারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ্যাডঃ জি,এ সবুর, মুক্তিযোদ্ধা রনজিত সরদার, মোহাম্মদ আলী গাইন, আব্দুল মান্নান সরদার, এ্যাডঃ শফিকুল ইসলাম, এ্যাডঃ মোজাফফর হাসান, অধ্যাপক মিজানুর রহমান, শেখ শহিদুল ইসলাম বাবলু, গাজী শফি কামাল গফুর, বি,এম, আনিছুর রহমান, মোঃ আমিনুল ইসলাম, নিজাম উদ্দীন, জামিনুর রহমান, প্রণব সরদার, নজরুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ ও মিজানুর রহমান।

পাইকগাছায় সরল খাঁ যুব সংঘের কার্যালয়ের উদ্বোধন

পাইকগাছায় নব গঠিত সরল খাঁ যুব সংঘের কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সোমবার সন্ধ্যায় সরল বাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি মোঃ কওসার আলী গোলদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর। 


বিশেষ অতিথি ছিলেন, কাউন্সিলর মোঃ আব্দুল লতিফ সরদার, মোঃ ইদ্রিস আলী গাজী, কবিতা রাণী দাশ, সাংবাদিক এস,এম, আলাউদ্দিন সোহাগ, আব্দুল আজিজ। বক্তব্য রাখেন, মোশাররফ হোসেন, সুজায়েত গাজী, ইসহাক আলী, আবু তালেব, মোমিন সরদার, আক্তার গোলদার, হাবিবুর রহমান, হাবিদুর রহমান, পারভেজ আক্তার পাপ্পু, রিপন ও জাহিদ হোসেন।

শিবসা'য় নয়নাভিরাম সূর্যাস্ত !


ছবিটি পাইকগাছা পৌরসভাস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে থেকে তোলা।

আজ শুভ রাধাষ্টমী

Voice of Paikgacha'র পক্ষ থেকে সবাইকে রাধাষ্টমী'র শুভেচ্ছা !

 



ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে বিশাখা নক্ষত্রে বৈশ্য বৃষভানুর স্ত্রী কলাবতীর গর্ভে শ্রীমতি রাধিকা জন্মগ্রহণ করেন। এ জন্য ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিকে রাধাষ্টমী / রাধাজয়ন্তী বলা হয়।

কয়রা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হয়রানির শিকার

কয়রা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসমত আলী পাইকগাছার কপিলমুনি এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে হয়রানি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে তিনি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ও কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

জানা গেছে, গত ২৭ আগষ্ট বিকেলে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধূরী হাসমত আলী অফিসের কাজ সেরে মোটর সাইকেলযোগে খুলনা যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কপিলমুনি পৌঁছলে ৭/৮ জন লোকের সংঘবদ্ধ একটি চক্র মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে তাঁর ওপর চড়াও হয়ে ক্ষিপ্তভাবে বলে তুই কি হাসমত আলী? তোর অফিস স্টাফ মনিরা ও ওবায়দুল্লাহর ক্ষতিকর কাগজপত্র কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস, সেগুলো দিয়ে যা নতুবা প্রাণে শেষ করে ফেলব।

তখন পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিজে ও তার সঙ্গী তাদের শান্ত করার চেষ্টা করলে সংঘবদ্ধ চক্রটি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মারতে উর্দ্ধত হয়। এ সময় তাদের মধ্য থেকে একজন বলে ওঠে ভদ্রভাবে কাগজপত্র দিয়ে দাও। তখন তিনি বলেন, ভদ্রভাবে নিতে হলে ভদ্রলোকের মাধ্যমে নিতে হয়।

এসময় সংঘবদ্ধ চক্রটি পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোড়ল রশিদুজ্জামানের কাছে নিয়ো যায়। চেয়ারম্যান অফিসিয়াল কাগজপত্র দেখে তাতে ক্ষতিকর তেমন কিছু নেই বলে ওই কর্মকর্তাকে খুলনা যাবার অনুমতি দিয়ে সহায়তা করেন।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসমত আলী জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে তাঁর অফিসের কর্মচারীদের অনুরোধে তাদের মতামতের ভিত্তিতে পত্র স্মারক নং উপপ/কয়রা/খুলনা/বিবিধ-৫৪/২০১৪/২১৫ তারিখ ২৬/৬/২০১৪ ইং মাধ্যমে অফিসিয়াল দায়িত্ব বন্টন করে দেন।

কিন্তু অফিসের কার্যক্রম পরিচালনায় জটিলতা সৃষ্টির কারনে দক্ষতা বিচারে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনার স্বার্থে কয়রা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পত্র স্মারক নং উপপ/কয়রা/খুলনা/বিবিধ-৫৪/২০১৪/২৬৯ তারিখ ২৫/৮/২০১৪ ইং মাধ্যমে পত্র সরবরাহ করলে ইউএফপিএ মনিরা খাতুন এবং ইউএফপিএ এস,এম ওবায়দুল্লাহ দায়িত্ব বুঝে নিতে অস্বীকার করেন। অনুরোধের এক পর্যায়ে তারা উভয়েই ওই পত্র প্রাপ্তি স্বীকারদানের মাধ্যমে দায়িত্ব বুঝে নেয়। তবে এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল।

হাসমত আলী জানান, গত জানুয়ারিতে ইউএফপিএ এস,এম ওবায়দুল্লাহ বিভাগীয় কার্যালয়ের স্মারকে কয়রা অফিস থেকে তেরখাদায় বদলী হলে অহেতুক উপজেলা পরিবার পকিল্পনা কর্মকর্তার ওপর ভীষনভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে তাকে গত জুনে বিভাগীয় কার্যালয়ের অপর একটি স্মারকে পুনরায় তেরখাদা থেকে কয়রায় বদলী হয়। এ সকল ঘটনায় ইউএফপিএদ্বয় ক্ষিপ্ততা বশত সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে পথে হেনস্থা করেছে বলে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম হাসানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের দুই পক্ষ দুটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে। দু’পক্ষকে ডেকে বিষয়টি শুনে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।