Friday, October 4, 2013

এলাকাবাসীর উদ্যোগে পাইকগাছায় আটকে পড়া ডলফিন নদীতে অবমুক্ত

আমরা এলাকাবাসীর এ মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। সকল উদ্ধার কর্মীদের Voice of Paikgacha-র পক্ষ থেকে অভিনন্দন।

পাইকগাছার লোকালয়ের খালে আটকে পড়া বিশাল আকারের ডলফিন এলাকাবাসী উদ্ধার করে নদীতে অবমুক্ত করেছে। অপরদিকে সংশ্লিষ্ট বনবিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও মৎস অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কোন খোজ খবর নেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশ ও প্রাণীবিদরা। 

শুক্রবার সকাল থেকে গনমাধ্যম কর্মী, জনপ্রতিনিধি ও শত শত নারী পুরুষ খালের দু’পাড়ে উপস্থিত হয়ে উদ্ধারকাজ উপভোগ করেন। এলাকাবাসীসূত্রে জানা যায়, সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকার বিশাল আকারের দুটি ডলফিন খাদ্যের সন্ধানে শিবসা নদী হয়ে উপজেরার গদাইপুর ইউনিয়নের বয়রা স্লুইচ গেট দিয়ে পানি সরবরাহের খালে প্রবেশ করে আটকা পড়ে।

গত এক সপ্তাহ যাবৎ আটকে পড়ার সংবাদটি শুক্রবার বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিষয়টি টক অফ দা উপজেলায় পরিনত হয়। সচেতন এলাকাবাসী উদ্যোগ নেয় ডলফিনটি উদ্ধার করে নদীতে অবমুক্ত করার। সকাল থেকে এলাকাবাসী জাল ও নৌকা নিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে বেলা ২ টার দিকে ডলফিনটি উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী শিবসা নদীতে অবমুক্ত করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের খুলনা বিভাগীয় আবাসিক প্রধান সোহেল মাহমুদ, ফটো সাংবাদিক অনিক, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজ। উদ্ধার কাজে অংশগ্রহন করেন, মোশারফ হোসেন, ইমদাদুল হক, মিজানুর রহমান, মাওঃ আব্দুল মান্নান, আলাউদ্দিন মোড়ল ও আমানউল্লাহ গাজী।

এ বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান অনুষদের প্রধান, প্রফেসর ড. দীলিপ দত্ত জানান, উপকুলীয় এলাকার মানুষ এখন অনেক সচেতন হয়েছে। তিনি এলাকাবাসীর মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।

পাইকগাছায় ভূমিহীন সমিতির পরিচিত সভা

পাইকগাছায় বাংলাদেশ ভূমিহীন সমিতির স্থানীয় শাখার পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে উপজেলা সভাপতি নূরুল ইসলাম খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান, বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল ও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন।

থানা সহ-সভাপতি প্রমোথ নাথ মন্ডলের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল, আমানুর রহমান, আব্দুল খালেক, কৃষ্ণপদ বিশ্বাস, সুবোধ সরকার, দিবাকর মন্ডল, সুজন মন্ডল, কালিপদ মন্ডল, ভূবেনেশ্বর সরকার, কনক সরকার, মৃত্যুৎঞ্জয় সানা, মোসলেম উদ্দিন, খোরশেদ আলম, মিখাইল মিস্ত্রী, আনিছুর রহমান, শাহীনুর রহমান, আবুল কালাম ও সুশান্ত মন্ডল।

কপিলমুনিতে ক্রেতা সেজে ফেনসিডিলসহ মাদক বিক্রেতাকে আটক

কপিলমুনিতে ক্রেতা সেজে ৮ বোতল ফেনসিডিলসহ আলামিন (২১) নামের এক মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে কপিলমুনি ফাঁড়ি পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় উপজেলার কাশিমনগর ঘোড়া বটতলা নামক জায়গা থেকে তাকে আটক করা হয়। সে তালা উপজেলার মাছিয়াড়া গ্রামের শহিদুল গাজীর পুত্র ও নিয়মিত মাদক বিক্রেতা বলে জানাগেছে। এ ব্যাপারে মাদক আইনে মামলা হয়েছে।

পুলিশ জানা যায়, আলামিন একজন নিয়মিত মাদক ব্যবসায়ী। সে তালা ও পাইকগাছা উপজেলার সীমান্তবর্তী স্থানকে মাদক ব্যবসার নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ ফেন্সিডিল বিক্রি করে আসছে।

এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার কপিলমুনি ফাঁড়ির দারোগা এস আই আব্বাস আলী ও কনষ্টেবল সোহাগ ক্রেতা সেজে ফেন্সিডিল নিতে আলামিন এর মোবাইলে যোগাযোগ করলে সে জানায় কাশিমনগর সীমান্ত এলাকা ঘোড়া বটতলা নামক জায়গায় অপেক্ষা করতে। এরপর দীর্ঘ অপেক্ষার পর আলামিন ফেন্সিডিল নিয়ে আসা মাত্রই দারোগা আব্বাস তাকে ঝাপটে ধরলে ধস্তাধস্তির এক পর্যায় তাকে আটক করতে সক্ষম হন।

এ ব্যাপারে থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয় সাংবাদিকরা কপিলমুনি ফাঁড়িতে ফেন্সিডিলসহ আটক ব্যাক্তির ছবি তুলতে গেলে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা আছে বলে ছবি তুলতে দেননি কর্তব্যরত দারোগা এস আই আব্বাস আলী।

পাইকগাছায় ঔষধ দোকান মালিকদের ধর্মঘট; ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

পাইকগাছায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে ধর্মঘট পালন করেছে ঔষধ দোকান মালিকরা। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখার মাধ্যমে এ ধর্মঘট পালন করে প্রায় ২‘শ ঔষধ দোকান মালিকরা।

উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মিটফোর্ড ঔষধ মার্কেটে ভ্রাম্যমান আদালত লাখ লাখ টাকার ঔষধ জব্দ, আর্থিক জরিমানা ও ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করলে এর প্রতিবাদে বাংলাদেশ কেমিষ্ট্র এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি বৃহস্পতিবার সারাদেশে ধর্মঘট আহবান করে। এরই অংশহিসাবে উপজেলা সদরসহ ১০ ইউনিয়নের প্রায় ২ শতাধিক দোকানমালিকরা ধর্মঘট পালন করলে উপজেলার কোথাও কোন দোকান খোলা না থাকায় প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।

পৌর বাজারে ঔষধ কিনতে আসা আসাদুল ইসলাম জানান ঔষধ এমন একটি প্রয়োজনীয় দ্রব্য, যা সময়মত পাওয়া না গেলে একজন মানুষের মৃত্যুর কারন হয়ে দাড়ায়, ঔষধের দোকান দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর হরতালের আওতামুক্ত থাকলেও সংশ্লিষ্ট দোকানমালিকরা ধর্মঘটের নামে নিজেরাই দোকান বন্ধ রেখে অসুস্থ মানুষকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিচ্ছে, এটা কোন ধরনের আন্দোলন।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশহিসাবে এ ধর্মঘট পালন করা হয়েছে বলে উপজেলা ঔষধ দোকান মালিক সমিতির আহবায়ক প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক জানান।

আজ মহালয়া

জাগো তুমি, জাগো।
জাগো দূর্গা,
জাগো দশপ্রহরনধারিণী,
অভয়া শক্তির বলপ্রদায়িনী, তুমি জাগো।

 








আজ মহালয়া। দেবীপক্ষের সূচনা। দেবীকে আহবান জানানো হবে আজকে এই ধরনীতে আগমনের জন্য। দেবীর কাছে প্রার্থনা....... হে দেবী, তুমি জাগো, তুমি জাগো, তুমি জাগো, ধন্য করো তোমার আগমনে এই পৃথিবীকে। করো কলুষতা মুক্ত। মাতৃরূপে,বুদ্ধিরূপে,শক্তিরূপে আশীর্বাদ করো পৃথিবীর প্রতিটি মানুষকে। বিনাশ করো আমাদের অসুর প্রবৃত্তিকে।

সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা।