Friday, September 26, 2014

দীর্ঘ ৩ বছরেও পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়ক যানবাহন চলাচল উপযোগী হয়ে ওঠেনি

৩ বছরেও আঠারমাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার রাস্তা যানবাহন চলাচলের উপযোগী হয়ে ওঠেনি। কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকির অভাব, জনপ্রতিনিধিদের স্বদিচ্ছার ঘাটতি, রাজনীতিবিদদের অসহযোগিতা ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের গাফিলতিই রাস্তা মেরামত না হবার মূল কারণ বলে এলাকাবাসীর অভিমত।

এদিকে সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে জেলার পাইকগাছা, কয়রা এবং সাতক্ষীরার আশাশুনি ও তালা উপজেলার (অত্র সড়ক ব্যবহারকারী) ৫/৭ লাখ মানুষের জীবনযাত্রার মান মারাত্মকভাবে ব্যয়বহুল ও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। পাইকগাছার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডও স্থবির হয়ে পড়েছে।

ফাইল ফটো
জানা গেছে, কপোতাক্ষ নদের উপচে পড়া পানি ও প্রবল বর্ষণে তালা ব্রীজ মোড় থেকে কাচিঘাটা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তার সাড়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তা পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় বাস মালিক সমিতি ২০১১ সালের ৯ আগস্ট থেকে খুলনা-পাইকগাছা সড়কে সরাসরি যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। শুধু যাত্রীবাহী বাস নয় ওই সময় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মাস ২ পর পানি নেমে গেলেও রাস্তাটি সম্পূর্ণ ধসে যায়। সেই থেকে অদ্যবধি রাস্তাটি ভাঙাচোরা রয়েই গেছে।

পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর বলেন, পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের এ ৩৩ কিলোমিটার রাস্তা অত্রাঞ্চলের মানুষের গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে। যাত্রীবাহী বাস, ঢাকাগামী পরিবহন, ট্রাক-পিকাপ, মাইক্রো-প্রাইভেটসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে আসছে ঝুঁকি ও দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে। আর ঢাকাগামী পরিবহনগুলো তো পাইকগাছায় ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছে সেই ২০১১ সালের আগস্ট মাস থেকে (যদিও মাঝে অল্প কিছুদিন সরাসরি চলাচল করেছিল)।

পাইকগাছা কলেজের অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল বলেন, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় এর প্রভাবটা গিয়ে পড়ছে আপামর জনসাধারণের উপর। সব ধরনের ব্যবসায় মন্দাভাব চলছে রাস্তার কারণে। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় পরিবহন খরচ বেশি, তাই তরিতরকারীসহ এখানকার প্রতিটি জিনিষপত্রের দামও বেশি।

ক্ষোভের সাথে এলাকাবাসি বলেন, খুলনা, ঢাকা তথা সারা দেশের সাথে সড়ক যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি যেন আমাদের মরণফাঁদ। ঢাকা থেকে তালায় এসে পরিবহন থেকে নেমে ভেঙে ভেঙে নসিমন-করিমনের ঝাঁকুনিতে পাইকগাছা পর্যন্ত পৌছাতে যে কি কষ্ট তা শুধু এ রাস্তায় যারা চড়েছেন তারাই বলতে পারবেন।

দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ঈদ-পূজায় অনেকে বাড়িতে আসতে পারেন না। যদিও সীমাহীন দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে যাত্রীবাহী বাস, এমনকি পরিবহন গুলোও সরাসরি ঢাকা-পাইকগাছা চলাচল শুরু করেছে।

পাইকগাছায় ফুটপাত ভাড়া দিয়ে টাকা আদায়

পাইকগাছা পৌর বাজার অভ্যন্তরের প্রধান সড়কের দু’ধারের দোকানীরা নিজ নিজ দোকানের সামনের ফুটপাত খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ভাড়া দিয়ে টাকা আদায় করছেন। এমনিতেই রাস্তাটি অপ্রশস্ত, তার উপর রাস্তার দু’ধারের ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন সামগ্রি রেখে বেঁচাকেনা করায় জনসাধারণের হাটা চলাফেরায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে।

বাজার ত্রিমোহিনী মোড় থেকে নদীর ঘাট পর্যন্ত ফুটপাতের উপর অর্ধশতাধিকেরও বেশি টোল দোকান রয়েছে। অত্র রাস্তায় মালবাহী ভ্যান-রিক্সা, নসিমন-করিমন চলাচল করছে অহরহ। ঈদ-পূজার কেনাকাটায় মানুষজনের ভিড়ে বাজার অভ্যন্তরে এক ধরনের ঘিঞ্জি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

জনদুর্ভোগ লাঘবে ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

মা কে নিয়ে সেরা ১০টি উক্তি ::

১. হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন তোমাদের জন্য মায়ের পায়ের নিচেই রয়েছে তোমাদের জান্নাত।

২. আব্রাহাম লিংকন- যার মা আছে সে কখনই গরীব নয়।

৩. জর্জ ওয়াশিংটন- আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা হলেন আমার মা। মায়ের কাছে আমি চিরঋণী। আমার জীবনের সমস্ত অর্জন তারই কাছ থেকে পাওয়া নৈতিকতা, বুদ্ধিমত্তা আর শারিরীক শিক্ষার ফল।

৪. জোয়ান হেরিস- সন্তানেরা ধারালো চাকুর মত। তারা না চাইলেও মায়েদের কষ্ট দেয়।আর মায়েরা তাদের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত সন্তানদের সাথে লেগে থাকে।

৫. এলেন ডে জেনেরিস- -আমার বসার ঘরের দেয়ালে আমার মায়ের ছবি টাঙানো আছে, কারণ তিনিই আমার কাছে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।

৬. সোফিয়া লরেন-- কোন একটা বিষয় মায়েদেরকে দুইবার ভাবতে হয়-একবার তার সন্তানের জন্য আরেকবার নিজের জন্য।

৭. মিশেল ওবামা--আমাদের পরিবারে মায়ের ভালোবাসা সবসময় সবচেয়ে টেকসই শক্তি। আর তার একাগ্রতা, মমতা আর বুদ্ধিমত্তা আমাদের মধ্যে দেখে আনন্দিত হই।

৮. নোরা এফ্রন--মা আমাদের সবসময় এটা বুঝাতে চাইতেন যে জীবনের চরম কষ্টের মূহুর্তগুলো তোমাদের হাসির কোন গল্পের অংশ হয়ে যাবে এক সময়।

৯. শিয়া লাবেউফ-- সম্ভবত আমার দেখা সবচেয়ে আবেদনময়ী আমার মা।

১০. দিয়াগো ম্যারাডোনা-- আমার মা মনে করেন আমিই সেরা আর মা মনে করেন বলেই আমি সেরা হয়ে গড়ে উঠেছি।

পৃথিবীতে মা ছাড়া আর কাউকে আপন মনে হয় না।

মাকে ছাড়া আর কাউকে তেমন বিশ্বাস করতে পারিনা।

মা হলো একমাত্র আপনজন যাকে ভালোবাসতে কোনো কারন লাগেনা।

মা তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি মা !

পরম পবিত্র ত্রিত্বের গীর্জা; পাইকগাছা ক্যাথলিক মিশন

রাত জেগে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন ভাস্কররা

পাইকগাছার চাঁদখালী ইউনিয়নের কাটাখালী বাজার পূজা মন্দিরে রাত জেগে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন ভাস্কররা। 

ছবি পাঠিয়েছেন :: Pallab Kumar Nath.

দুর্গা পূজায় পাইকগাছার শিববাটীতে নববৃন্দাবন তৈরী করে বৃহৎ উৎসবের প্রস্তুতি

পাইকগাছার শিববাটী পূজা মন্দির ও মন্দির প্রাঙ্গনে নব বৃন্দাবন সাজিয়ে সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গোৎসবের ব্যাপক প্রস্তুতি পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। শারদীয় দুর্গা পূজার মন্দিরে মূল প্রতিমা বাদে মন্দির প্রাঙ্গনের তিন পাশে ১৫০ শতাধিক প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছে। কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল প্রতিমা স্থাপন করা হচ্ছে। যা এ উৎসবের আরো শ্রীবৃদ্ধি করবে।

হিন্দু ধর্মের চারযুগের সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি যুগের বিভিন্ন ধর্মীয় অবতারের কিছু কিছু কাহিনী নিয়ে বৃন্দাবন তৈরী করা হচ্ছে। প্রতিমা তৈরীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোলঘর, ঝর্না ও উঁচু টাওয়ার নির্মাণসহ প্যান্ডেলের সাজ ও আলোক সজ্জার কাজ চলছে।

জানা গেছে, প্রায় ৩ মাস ধরে প্রতিমা তৈরীর কাজে তিনজন ভাস্কর নিরলসভাবে কাজ করে প্রতিমা তৈরী করছে। প্রতিমা প্রস্তুতিসহ পূজা সম্পন্ন পর্যন্ত প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা খরচ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পূজা মন্দিরের সভাপতি সুজন কুমার সানা জানান, আমাদের শিবাটী পূজা মন্দির কমিটির সদস্যরা দীর্ঘ বছর যাবৎ নববৃন্দাবন তৈরী করে পূজা করার বাসনা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে আমরা পূজা কমিটির লোকজন পাইকগাছা পৌরসভার মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরকে নববৃন্দাবন তৈরী করে পূজা করার বিষয়টি অবহিত করি। বিষয়টি জানার পর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর সার্বিক সহযোগীতার হাত বাড়ান।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, শিববাটী মন্দির কমিটির অধিকাংশ সদস্যরা আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল থাকলেও তাদের ইচ্ছা ও আকাঙ্খা জানার পর আমি এ উৎসবে সহযোগীতার হাত বাড়াই। এ উৎসবকে আরো নতুন করে সাজানোর ইচ্ছা ছিল, তবে সময় স্বল্পতার জন্য সম্ভব হয়নি। আমি উপজেলার শিবাবাটীর এ বৃহৎ উৎসবকে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করার জন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

শিববাটীর এ উৎসবকে ঘিরে স্থানীয় সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছে। তাছাড়া উপজেলার আমুর কাটাতে অনুরুপ শতাধীক বিগ্রহ তৈরী করে বৃহৎ শারদ উৎসবের প্রস্তুতি চলছে।

ঢা.পা. রুটের পরিবহন গুলোর সরাসরি ঢাকা-পাইকগাছা চলাচল শুরু

আজ থেকে ঢা.পা. রুটের পরিবহন গুলো সরাসরি ঢাকা-পাইকগাছা চলাচল শুরু করেছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পরিবহন গুলো ২৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে পাইকগাছা পৌরসভাস্থ পরিবহন কাউন্টারে পৌছায়।

উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থেকে পাইকগাছা-খুলনা রুটে সরাসরি যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হলেও ঢা.পা. রুটের পরিবহন গুলো পাইকগাছায় না এসে ঢাকা-তালা চলাচল করছিল।

পূজা এবং ঈদে পাইকগাছায় ফেরা এই রুটের ভুক্তভোগী যাত্রীদের জন্য সুখবর বটে !