৩ বছরেও আঠারমাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার রাস্তা যানবাহন
চলাচলের উপযোগী হয়ে ওঠেনি। কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকির অভাব, জনপ্রতিনিধিদের
স্বদিচ্ছার ঘাটতি, রাজনীতিবিদদের অসহযোগিতা ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের গাফিলতিই রাস্তা মেরামত না হবার মূল কারণ বলে এলাকাবাসীর অভিমত।
এদিকে সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে জেলার পাইকগাছা, কয়রা এবং সাতক্ষীরার আশাশুনি ও তালা উপজেলার (অত্র সড়ক ব্যবহারকারী) ৫/৭ লাখ মানুষের জীবনযাত্রার মান মারাত্মকভাবে ব্যয়বহুল ও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। পাইকগাছার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডও স্থবির হয়ে পড়েছে।
এদিকে সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে জেলার পাইকগাছা, কয়রা এবং সাতক্ষীরার আশাশুনি ও তালা উপজেলার (অত্র সড়ক ব্যবহারকারী) ৫/৭ লাখ মানুষের জীবনযাত্রার মান মারাত্মকভাবে ব্যয়বহুল ও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। পাইকগাছার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডও স্থবির হয়ে পড়েছে।
ফাইল ফটো |
জানা গেছে, কপোতাক্ষ নদের উপচে পড়া পানি ও প্রবল বর্ষণে তালা ব্রীজ মোড়
থেকে কাচিঘাটা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তার সাড়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তা
পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় বাস মালিক সমিতি ২০১১ সালের ৯ আগস্ট থেকে
খুলনা-পাইকগাছা সড়কে সরাসরি যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। শুধু
যাত্রীবাহী বাস নয় ওই সময় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মাস ২ পর
পানি নেমে গেলেও রাস্তাটি সম্পূর্ণ ধসে যায়। সেই থেকে অদ্যবধি রাস্তাটি
ভাঙাচোরা রয়েই গেছে।
পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর বলেন, পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের এ ৩৩ কিলোমিটার রাস্তা অত্রাঞ্চলের মানুষের গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে। যাত্রীবাহী বাস, ঢাকাগামী পরিবহন, ট্রাক-পিকাপ, মাইক্রো-প্রাইভেটসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে আসছে ঝুঁকি ও দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে। আর ঢাকাগামী পরিবহনগুলো তো পাইকগাছায় ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছে সেই ২০১১ সালের আগস্ট মাস থেকে (যদিও মাঝে অল্প কিছুদিন সরাসরি চলাচল করেছিল)।
পাইকগাছা কলেজের অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল বলেন, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় এর প্রভাবটা গিয়ে পড়ছে আপামর জনসাধারণের উপর। সব ধরনের ব্যবসায় মন্দাভাব চলছে রাস্তার কারণে। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় পরিবহন খরচ বেশি, তাই তরিতরকারীসহ এখানকার প্রতিটি জিনিষপত্রের দামও বেশি।
ক্ষোভের সাথে এলাকাবাসি বলেন, খুলনা, ঢাকা তথা সারা দেশের সাথে সড়ক যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি যেন আমাদের মরণফাঁদ। ঢাকা থেকে তালায় এসে পরিবহন থেকে নেমে ভেঙে ভেঙে নসিমন-করিমনের ঝাঁকুনিতে পাইকগাছা পর্যন্ত পৌছাতে যে কি কষ্ট তা শুধু এ রাস্তায় যারা চড়েছেন তারাই বলতে পারবেন।
দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ঈদ-পূজায় অনেকে বাড়িতে আসতে পারেন না। যদিও সীমাহীন দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে যাত্রীবাহী বাস, এমনকি পরিবহন গুলোও সরাসরি ঢাকা-পাইকগাছা চলাচল শুরু করেছে।
পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর বলেন, পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের এ ৩৩ কিলোমিটার রাস্তা অত্রাঞ্চলের মানুষের গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে। যাত্রীবাহী বাস, ঢাকাগামী পরিবহন, ট্রাক-পিকাপ, মাইক্রো-প্রাইভেটসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে আসছে ঝুঁকি ও দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে। আর ঢাকাগামী পরিবহনগুলো তো পাইকগাছায় ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছে সেই ২০১১ সালের আগস্ট মাস থেকে (যদিও মাঝে অল্প কিছুদিন সরাসরি চলাচল করেছিল)।
পাইকগাছা কলেজের অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল বলেন, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় এর প্রভাবটা গিয়ে পড়ছে আপামর জনসাধারণের উপর। সব ধরনের ব্যবসায় মন্দাভাব চলছে রাস্তার কারণে। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় পরিবহন খরচ বেশি, তাই তরিতরকারীসহ এখানকার প্রতিটি জিনিষপত্রের দামও বেশি।
ক্ষোভের সাথে এলাকাবাসি বলেন, খুলনা, ঢাকা তথা সারা দেশের সাথে সড়ক যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি যেন আমাদের মরণফাঁদ। ঢাকা থেকে তালায় এসে পরিবহন থেকে নেমে ভেঙে ভেঙে নসিমন-করিমনের ঝাঁকুনিতে পাইকগাছা পর্যন্ত পৌছাতে যে কি কষ্ট তা শুধু এ রাস্তায় যারা চড়েছেন তারাই বলতে পারবেন।
দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ঈদ-পূজায় অনেকে বাড়িতে আসতে পারেন না। যদিও সীমাহীন দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে যাত্রীবাহী বাস, এমনকি পরিবহন গুলোও সরাসরি ঢাকা-পাইকগাছা চলাচল শুরু করেছে।