Tuesday, November 18, 2014

পাইকগাছার ৩৪টি‘সহ খুলনা জেলায় ১৭.৬৬% প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

আকাশের নিচে ৪১ হাজার শিশু


খুলনা জেলার ১৮৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৪১ হাজার শিশু ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, অস্থায়ী চালাঘর আর খোলা আকাশের নিচে পড়াশোনা করছে। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ওই ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ আর ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, দুই বছরেরও অধিক সময় ধরে মহানগরীসহ খুলনার নয় উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, অস্থায়ী চালাঘর আর খোলা আকাশের নিচে বসেই পাঠদান চলছে এমন সরকারি ও সদ্য জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৮৬টি।

এগুলোর মধ্যে মহানগরীতে রয়েছে ৬টি, পাইকগাছায় ৩৪টি, কয়রায় ১৯টি, ডুমুরিয়ায় ৩৬টি, তেরখাদায় ১৩টি, দাকোপে ১৯টি, দিঘলিয়ায় ৯টি, বটিয়াঘাটয় ৩৮টি ও রূপসায় ১২টি।

এ হিসাব অনুযায়ী খুলনায় ১৭.৬৬ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যবহারের অনুপযোগী। আর এ বিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত রয়েছে অন্তত প্রায় ৪১ হাজার শিশু। এসব শিক্ষার্থী এ রকম নানা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে লেখাপড়া করছে।

পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সম্পর্কে ‘আজাদ বার্তা’ ২১তম সংখ্যায় প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ

পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শুভেন্দু কুমার বাহাদুর মনিরামপুর থেকে শাস্তিমূলক বদলী মাথায় নিয়েই পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। উর্দ্ধতন কর্মকর্তার পরামর্শ ছিল এই প্রতিবন্ধী খামখেয়ালী শিক্ষককে একটু বুঝিয়ে শুনিয়ে যাতে চাকুরীর নিয়ম কানুন মেনে চাকুরী করে সে দিকে যেন একটু সহানুভুতির দৃষ্টি দেওয়া হয়।

এরপর পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদানের পরই সে স্কুলে থাকা নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করে। প্রধান শিক্ষক উর্দ্ধতন কর্মকর্তার পরামর্শে তাকে সহানুভুতির সহিত বুঝানো সত্বেও বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ সহজভাবে ত্যাগ করেনি। এরপরই একটার পর একটা অঘটন ঘটিয়েই চলেছে। এর পেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক কয়েকজন শিক্ষককে তাকে বুঝাতে বলেন। প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ পালন করতে গেলে অন্য শিক্ষকগণ তার কাছ থেকে চরমভাবে অপমানিত হন।

যখন আর কোন পথ খোলা থাকলো না তখন বাধ্য হয়ে তাকে শোকজ করতে হয়। এরপর তার বেয়াদবির মাত্রা আরও বেড়ে যায়। যার প্রেক্ষিতে তাকে আরও শোকজ করতে হয়। একটি বাদে সে অন্য কোন শোকজের জবাব দেয়নি। এই সময় তার অশোভনীয় আচরন মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। প্রধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষক (মাত্র দুই জন বাদে) তার বদলী চায়। তারই একটি খসড়া কাগজ প্রধান শিক্ষকের টেবিল থেকে চুরি করে পালায় এই শিক্ষক।

এই কাগজ নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক স্থানীয় ‘আজাদ বার্তা’ পত্রিকার সম্পাদকের কাছে গেলে তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক, বানোয়াট, অবাস্তব, ভিত্তিহীন, সম্পুর্ণ মিথ্যা ও প্রতিহিংসামূলক সংবাদ পরিবেশন করে। ঐ সম্পাদকের কমিউনিটির বাইরে অন্য কমিউনিটির কেউ পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসলে তার বিরুদ্ধে তিনি এ ধরনের অবাস্তব, কল্পিত, বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করে আসছেন। আমরা এই বানোয়াট, নোংরা, অবাস্তব সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি এবং ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।

পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এখন কোন ট্রেড শিক্ষক নেই, সুতরাং এটা যে কল্পনাপ্রসূত এবং বানোয়াট তা শব্দ দুটি চয়নের মাধ্যমেই বোঝা যায়। আমাদের বিদ্যালয়ে বেসরকারি স্কুলের নিয়োগ পরীক্ষা হয়না বললেই চলে। তারপরও তা নিয়ে আবার কেস ! এতটা মিথ্যা, প্রতারণামূলক, নিচ সংবাদ যে, কেউ পরিবেশন করতে পারে তা আমাদের ভাবতেও লজ্জা হয়।

গাছের ডাল কাটা যাবে না এমন কোন বিধান নেই। বিদ্যালয়ের ছাদ রক্ষার্থে বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী এসে বলেছিলেন ডাল কাটতে। যে দিক দিয়ে ডাল কাটা হয়েছিল সে দিকের ছাদ ভালো আছে। যেখানে উপরে ডাল আছে সেই ছাদের রড মরিচা ধরে নিচে ছাদ খসে পড়ছে। আজ তা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

ঐ সম্পাদক আসলে কি চান? প্রকৃতপক্ষে উনি চান স্কুলটি ধ্বংস হয়ে যাক ! বাস্তবে তাইই প্রতিয়মান হচ্ছে। স্কুলে কোন প্রাইভেট পড়ানো হয়না। অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া হয়। এই সম্পাদক কি প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে কোন থোজ-খবর রাখেন না?

প্রাক্তন পিয়ন মোঃ নুরুল ইসলাম’এর ভাষ্য মতে, উনি নাকি তার একটি গোপনীয় বিষয়ে খুবই সাহায্য করতেন। ইদানিং তা না করায় মোঃ নুরুল ইসলাম সাহেবের উপর ক্ষেপে গিয়ে এই সংবাদ পরিবেশন করেছে।

একটি মিমাংসিত বিষয় নিয়ে তার লেখার একটাই কারণ, যাতে বিদ্যালয়ের সভাপতির সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন না ঘটে, স্কুল কোন রকম উপকৃত না হয়। বর্তমানে যে সকল শিক্ষক আছেন তারা কেউই জানেন না যে, উনি কখনও একটি কথা দিয়ে পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামান্যতম উপকার করেছেন। যেখানে বিদ্যালয়ের উপর অবিচারের বিরুদ্ধে পুরাতন, বর্তমান সকল ছাত্র এক কাতারে এসে দাড়িয়েছিল, উনি এখনও তার বিপক্ষে অবস্থান করছেন।

আসলে উনি কি চান? এটা সমস্ত অভিভাবক, বর্তমান ও পরাতন ছাত্র এবং বর্তমান শিক্ষকবৃন্দ বুঝতে অপারগ।

 

১ নভেম্বর ‘বাংলার খবর’-এ প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ ::


১ নভেম্বর ২০১৪ ‘বাংলার খবর’ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি ভিত্তিহীন, অবাস্তব, বানোয়াট ও প্রতিহিংসামূলক। এই পত্রিকার মাধ্যমে জানা যায়, শুভেন্দু কুমার বাহাদুর পরমানু শক্তি গবেষণা কেন্দ্র ও বাংলাদেশ পদার্থ বিজ্ঞান সমিতির একজন সদস্য। যে নাকি একটি দরখাস্তও সঠিকভাবে লিখতে পারে না, শেণীকক্ষে ক্লাস নিয়ন্ত্রন করে পাঠদান করতে পারে না, প্রশ্ন করতে পারে না, পরীক্ষার হলে ডিউটি দিতে পারে না, ভদ্র ভাবে কথা বলতে পারে না। পারে নিকৃষ্টতম মুখ খারাপ করতে, অভদ্র ব্যবহার করতে।

শুভেন্দু বাবু শিক্ষকদের মাঝে গল্প দিয়েছেন, টাকা দিয়ে সব হয়। ঐ সদস্যপদ কি তারই নমুনা?

অত্র বিদ্যাপিঠে কোনও কোচিং হয় না, যেটা হয় তা হয়তো তারা বোঝেনই না, কারণ বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে এ সমস্ত রিপোর্টার কোন ধারনা রাখে না। প্রধান শিক্ষকের অনুমতি সাপেক্ষে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বিধানের মধ্যেই অতিরিক্ত ক্লাস হয়।

শুভেন্দু কুমার বাহাদুর’কে কেউ বলে ’মানসিক প্রতিবন্ধী’, কেউ বলে ’পাগল’, কেউ বলে ’সাইকো’। আসলে তার সম্পর্কে একটি প্রবাদ বাক্যই যথেষ্ঠ ’জাতে মাতাল তালে ঠিক’। কোমলমতি ছাত্রদের সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে উদ্র্ধতন বিভিন্ন অফিসে পাঠিয়েছে। অভিভাবকবৃন্দ জানার পর চরমভাবে তার উপর আক্রোশে ফেটে পড়েছে।

উল্লেখ্য, যদি সুস্থ মস্তিষ্কের ব্যক্তি হতেন তবে, শ্রেণীকক্ষের ব্লাকবোর্ডে বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর’এর লেখা কবিতাকে ব্যাঙ্গ করে লিখতে ও বলতে পারতেন না, ’’বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবাই আমার ছাত্র, এই এলাকার যত বিবাহযোগ্য কন্যা আছে সব মেয়েরই আমি পাত্র।’’
 
অপু মন্ডল
প্রধান শিক্ষক
পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
পাইকগাছা, খুলনা।

পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রতিবাদলিপিটি হুবহু সংযুক্ত করা হল।