Friday, November 24, 2017

পাইকগাছায় ৩২ দলীয় দাবা টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় ৩২ দলীয় রাজ-মিতুলী দাবা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে বনানী সংঘ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী টুর্নামেন্টের  উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স. ম. বাবর আলী। টুর্নামেন্টে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের ১৮টি জেলার ৩২টি দল এবং আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ের দাবাড়ুবৃন্দ  অংশগ্রহণ করেন।


প্রতিযোগিতা শেষে সন্ধ্যায় বনানী সংঘের সভাপতি অধ্যাপক জিএমএম আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সংঘের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মোজাফফার হাসান, কাউন্সিলর শেখ মাহবুবুর রহমান রঞ্জু, জি,এম, ইমান আলী, এ্যাড. শফিকুল ইসলাম কচি, জাতীয় পর্যায়ের দাবাড়ু শেখ মোঃ খায়রুল ইসলাম, শেখ মঈন উদ্দীন, ফয়সাল হোসাইন, আবুল বাশার, ইমদাদুল হক ও সঞ্জয় সানা।

কপিলমুনি কাঁচা বাজারে শীতের সবজির উত্তাপ

শীত নামলেও পাইকগাছার কপিলমুনি কাঁচা বাজার এখনও গরম। বাজারে পর্যাপ্ত শীতকালীন সবজির সরবরাহ থাকলেও কাঁচা তরি-তরকারির দামের উত্তাপ এখনও কমেনি। তাছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি মনিটরিং না থাকায় বছরের প্রায় সিংহভাগ সময় কাঁচা বাজার থাকে চড়া।


পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বিক্রেতারা কম দামে কাঁচা পণ্য আমদানি করলেও খুচরা বাজারের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দর-দামের তোয়াক্কা না করে বরং ইচ্ছেমত বাজার নিয়ন্ত্রন করছে বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের।

এ ব্যাপারে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচা তরকারি যে দামে কিনতে হয় তার উপর ভিত্তি করেই আমরা মূল্য নির্ধারণ করে থাকি। কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক আবুবকর জানান, কাঁচা তরকারি বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। সে ক্ষেত্রে পরিবহন খরচসহ দাম একটু বেশি পড়ে যায়।

কপিলমুনি হাটের দু'দিন রবি ও বৃহস্পতিবার কাঁচা মালের পাইকারি বাজারে এত পরিমান কাঁচা তরি-তরকারি আমদানি হয় যে, দক্ষিণাঞ্চলের বাজারগুলোর চাহিদা মেটাতে এই কপিলমুনি বাজারের উপর নির্ভর করেন ব্যবসায়ীরা। সে ক্ষত্রে কপিলমুনি খুচরা বাজারের অবস্থা এমনটি হওয়া অযৌক্তিক, বলছেন ক্রেতারা। 

বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচাঝাল ১০০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০, আলু ২০, বেগুন ৪০, মুলা ৩৫, পালন ২৫, রসুন ৬০, পাতাকপি ৩০, ফুলকপি ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও খুলনা থেকে তিন মাসে বারো শ' কোটি টাকার চিংড়ি রপ্তানি

জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা প্রতিকূলতায় চলতি মৌসুমে জেলার চিংড়ি ঘের গুলোতে আশানুরুপ চিংড়ি উৎপাদন না হলেও চলতি অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে খুলনা থেকে ১১শ’ ৮৪ কোটি টাকার হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে। গেল অর্থ বছরের একই সময়ে রপ্তানির পরিমান ছিল ১ হাজার ৮৩ কোটি টাকা। একদিকে উৎপাদন হ্রাস অন্যদিকে নভেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে দক্ষিণাঞ্চলের হিমায়িত বাগদা ও গলদার দাম প্রতি পাউন্ডে কমেছে দেড় থেকে দু’ডলার পর্যন্ত।


সূত্র জানায়, অপরিকল্পিতভাবে চাষাবাদের কারণে উন্নত বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় দক্ষিণাঞ্চলে বাগদা ও গলদার উৎপাদন তুলনামূলকভাবে কম। এরপর প্রাকৃতিক দুর্যোগ,কথিত ভাইরাসের সংক্রমণ সহ নানা কারণে প্রায় প্রতি বছরই দক্ষিণাঞ্চলের চিংড়ি খামার মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। একারণে চাষীদের সিংহভাগই জড়িয়ে পড়ছেন ঋণের জালে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, চিংড়ি চাষে পরিকল্পনাহীনতা, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার অভাব ও অসাধু ব্যবসায়ীরা এজন্য দায়ী।

বছরের এপ্রিলের দাবদাহ ও অতিবৃষ্টির ধকলে চিংড়ি খামারে দেখা দেয় মড়ক। যা প্রতিরোধে এখ নপর্যন্ত সরকারি বা বে-সরকারি পর্যায়ে কোন বিশেষ ভুমিকা রাখতে পারেনি। মূলত মার্চ-এপ্রিলে তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৬ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করে। আবহাওয়া অফিস চলতি বছরের জুন মাসে ৩৫৬ মিলিমিটার, জুলাই মাসে ৬৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে। আর সেপ্টেম্বর মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৮ দিনে ২৫ মিলিমিটার বেশি এবং অক্টোবর মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে ৮০ মিলিমিটার বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এছাড়া গেল বছরের ডিসেম্বরের ৩ দিনের মৃদু শৈত্য প্রবাহের সাথে চলতি বছরের জানুয়ারির তিন দিনের শৈত্য প্রবাহ ঘেরের চিংড়িতে বিরুপ প্রভাব ফেলে। শুর হয় মড়ক।

মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপ-পরিচালক প্রফুল্ল কুমার সরকারের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১১শ’ ৮৪ কোটি টাকা মূল্যের ১১ হাজার ৯৮৭ মেট্রিক টন হিমায়িত চিংড়ি বিদেশে রপ্তানি হয়। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৮৩ কোটি টাকা মূল্যের ১২ হাজার ৭৮২ মেট্রিক টন। জানাযায়,খুলনাঞ্চলের মোট ৪৩টি হিমায়িত খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বিদেশে চিংড়ি রপ্তানি করছে। রপ্তানিকৃত পণ্যের ৮৩ শতাংশই রপ্তানি হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নে।

সূত্র আরও জানায়, মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া থাকায় ইতোমধ্যে দু’টি হিমায়িত খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে র‌্যাপিড এ্যালার্ট (সতর্ক বার্তা) দেওয়া হয়েছে। হিমায়িত খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মডার্ণ সী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজার (বিক্রয়) সাইফুদ্দিন তনু জানান, হিমায়িত পণ্যের সবচেয়ে বেশী অংশ রপ্তানি হয় বেলজিয়াম, জার্মান, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডে। সূত্র আরো জানায়, বাগদার পর চলতি গলদা আহরণ মৌসুমে প্রকারভেদে হিমায়িত দাম নিম্নমুখি। আগস্ট-সেপ্টেম্বরের তুলনায় বর্তমানে প্রতি পাউন্ডে দাম কমেছে দেড় থেকে দু’ডলার পর্যন্ত। এরপর শুধুমাত্র ইউকেতে গলদা রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে ৭০ শতাংশ। এর জন্য সেখানকার মুদ্রার মাণ নিম্নমুখি হওয়ার পাশাপাশি এদেশের অসাধু ব্যবসায়ীরাই দায়ী।

ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যেও বছরের প্রায় সারাটা সময় জুড়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা ওজন ও গ্রেড ভাল করতে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করে থাকে। যা প্রতিরোধে প্রশাসনের পক্ষে মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করলেও প্রয়োজনের তুলনায় যা খুবই অপ্রতুল। এজন্য প্রশাসনের পক্ষে অবশ্য জনবল সংকট থেকে শুরু করে বরাবরই নানা সংকটকে সামনে আনা হয়।

চাষীদের দাবি, ঠিক যেখানে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ হয় প্রশাসন সেখানে কখনো অভিযান দেয়না। পুশ প্রথা চালু রাখতে স্থানীয় প্রশাসনের মাসোহারা গ্রহনের অভিযোগও সেই প্রথম থেকে। নানা কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চিংড়ির মূল্য হ্রাস, আমদানিতে অনাগ্রহ, উৎপাদন হ্রাস ও সর্বেপরি রপ্তানি কমেছে।

এমনটি চলতে থাকলে সম্ভাবনার মুখে থাকা চিংড়ি শিল্প হারিয়ে যেতে পারে। আর তা যদি হয়, শিল্পটির সাথে জড়িয়ে থাকা লাখ লাখ পরিবার উদ্বাস্তু হতে পারে। এমনটাই আশংকা করছেন চিংড়ির সাথে জড়িতরা।

ন্যাশনাল সী ফুডের প্রতিনিধি জানান, এক পাউন্ড ওজনের ৫ পিস হিমায়িত বাগদা চার মাসে আগে ১৩ ডলার মূল্যে বিক্রি হয়েছে। এখনকার মূল্য ১১ ডলার। এ সত্ত্বেও ন্যাশনাল সী ফুড তিন মাসে ৩০ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করেছে।

প্রসঙ্গত, খুলনা জেলায় চলতি মৌসুমে ২০ হাজার ৭০৬ হেক্টর জমিতে গলদা এবং ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে বাগদার উৎপাদন হয়েছে।

পাইকগাছার সালতা নদীর তালতলা ব্রিজের অসম্পূর্ণ এ্যাপ্রোচ সড়কে জনদুর্ভোগ

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সালতা নদীতে পাইকগাছার তালতলা-মাগুরখালী ব্রিজের কাজ প্রায় এক বছর আগে শেষ হলেও এ্যাপ্রোস সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় প্রতিদিন দু’পারের হাজার হাজার মানুষকে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এক পাশে পাইকগাছা, অপর পাশে ডুমুরিয়া। মাঝ দিয়ে সীমানা নির্ধারণী সালতা নদী। বিস্তীর্ণ জনপদের হাজার হাজার মানুষ জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন পার হয় এই নদী।


তবে স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর জাইকার অর্থায়নে ঐ এলাকায় ব্রিজ নির্মাণ হলেও সুফল আসেনি। দু’পারে উর্ধ্বমুখী এ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় নদী পারাপারে সমস্যা রয়ে গেছে সেই তিমিরে। বিশেষ করে দু’পারের সাধারণ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহন ও স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের যেন আজ আর অন্ত নেই। কোন প্রকার গাড়ি পারাপার তো দুরের কথা, সামান্য বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেল পার করতে নেমে উঁচু করে ব্রিজে তুলতে হয়। এছাড়া রোগীবাহী বাহন পারাপারে একমাত্র ভরসা এই ব্রিজই যেন কাল হয়ে দাঁড়ায়।

দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসী এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারসহ সরকারের বিভাগীয় উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


সূত্র জানায়, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের তালতলা ও ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নের কাঞ্চন নগর এলাকার সালতা নদীর উপর ২০১৪ সালের শেষের দিকে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন কোম্পানী জাইকার অর্থায়নে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। শম্ভুক গতিতে চলমান ব্রীজের কাজ চলতি বছর কোন রকম শেষ হলেও শেষ হয়নি এর এ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ। এপর্যন্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ্যাপ্রোচ সড়কে শুধু মাত্র বালু দিয়ে ফেলে রাখায় সমস্যা বেড়েছে বহুগুণে। আর ঠিক কবে নাগাদ শেষ হবে তাও জানা নেই কারো। এমন অবস্থায় নানা আশংকায় এলাকাবাসী রীতিমত আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর ধারণা, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের চরম খামখেয়ালীপনা ও সরকারের তদারকির অভাবই এর জন্য দায়ী। 

প্রসঙ্গত ব্রিজটি চালু হলে খুলনার পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, দাকোপ, সাতক্ষীরার তালাসহ বিস্তীর্ণ জনপদের সাধারণ মানুষের সরাসরি জেলা সদর খুলনার সাথে সড়ক যোগাযোগে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। লোনা পানির অবহেলিত দূর্গম জনপদের সাধারণ মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি নদীর এই অঞ্চলে একটি ব্রিজ বাস্তবায়ন।

খুলনা-পাইকগাছা প্রধান সড়কের বেহাল অবস্থায় জনপদের মানুষ আশা করেছিল সালতা ব্রিজটি চালু হলে অভ্যন্তরীণ রুটটি এঅঞ্চলের মানুষের বিভাগীয় সদর খুলনা পৌছাতে বিকল্প ভুমিকা রাখবে। তবে ব্রিজ নির্মাণ হলেও এ্যাপ্রোচ সড়কের জটিলতায় তাদের সে আশা শুরুতেই হোঁচট খেতে বসেছে। নদী পারাপারে বিকল্প ব্যবস্থা নাথাকায় বাধ্যতামূলক প্রতিনিয়ত নিত্যপ্রয়োজনীয মালামাল পরিবহনে বোঝাই ভ্যান, নসিমন-করিমন দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।

সর্বশেষ এলাকাবাসীকে বোকা বানাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান ব্রীজের শতভাগ কাজ শেষ না করে এটি উদ্ধোধন হওয়ার আগেই জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে যাতে ব্রিজ নির্মাণে শম্ভুক গতির জন্য এলাকাবাসী আন্দোলন-সংগ্রাম না করে। তবে শেষ রক্ষা হচ্ছেনা তাদের। দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসী সর্বশেষ আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের একজন।

--শেখ দীন মাহমুদ, কপিলমুনি, পাইকগাছা।

স্ট্যাচু অফ কপিলমুনি!

পাইকগাছার কপিলমুনি বাজারে প্রধান সড়কের উপর এই স্থানটিতে সব সময়ই দাড়িয়ে থাকে পাইকগাছা-খুলনা রুটের কোন না কোন বাস। ফলে সৃষ্টি হয় অসহনীয় যানজটের।


ফাইল ফটো

পাইকগাছা থেকে ছেড়ে আসা অন্য কোন বাস, দাড়িয়ে থাকা বাসটিকে ওভারটেক করার উপক্রম না করলে বাস ছাড়ার কোন লক্ষণ দেখা যায় না। পরের বাস ১০ মিনিট/ ২০ মিনিট/ ৩০ মিনিট যত দেরিতেই আসুক না কেন, কিছুই যেন আসে যায় না বাস শ্রমিকদের।