Thursday, October 16, 2014

গাজী হ্যাচারী বন্ধন ব্রান্ড ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ৩য় খেলায় কে.কে.এস.পি’র জয়লাভ

পাইকগাছায় সুন্দরবন স্পোর্টিং ক্লাব আয়োজিত গাজী হ্যাচারী বন্ধন ব্রান্ড ক্লাব কাপ ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ৩য় দিনের খেলায় কপিলমুনির কে.কে.এস.পি জয়লাভ করেছে। 

বৃহস্পতিবার বিকালে পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ফুটবল ময়দানে অনুষ্ঠিত খেলায় কপিলমুনির কে.কে.এস.পি ২-১ গোলের ব্যবধানে খুলনা বয়রা তরুন সংঘ’কে পরাজিত করে।

পৌরসভার ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের রাস্তাগুলো চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে

পাইকগাছা পৌরসভার ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা যাতায়াত করছেন সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে।

সরেজমিন দেখা গেছে, ৫নং ওয়ার্ডস্থ সরল গ্রামের পেট্রোল পাম্পের সামনের পুকুরের পূর্ব-পাড়ের ইটের সলিং রাস্তার ইট উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। উক্ত রাস্তার একটু সামনে (পূর্বদিকে) এগিয়ে জনৈক আঃ রহিমের পুকুর পাড় সংলগ্ন রাস্তার ইট উঠে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বছরের পর বছর ধরে রাস্তাটির এ বেহাল দশা হওয়া সত্বেও সংস্কারের ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষ নীরব।

একই ওয়ার্ডের আল-আমিন মসজিদ সংলগ্ন ইটের রাস্তাটিরও একই হাল। প্রায় ৩/৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তায় বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে চলাচল করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে এলাকাবাসী জানান।

এছাড়া এফ, রহমান মহিলা কলেজের (পূর্বদিকে) সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন ইটের রাস্তাটি একদিকে যেমন সরু তেমনি ইট উঠে গিয়ে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারী আবাসন প্রকল্পসহ স্থানীয় কয়েকশ’ এলাকাবাসী প্রতিনিয়ত এ ভাঙাচুরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে।

এদিকে, ৬নং ওয়ার্ডের বাতিখালী গ্রামের কোর্ট সংলগ্ন রাস্তাটি অদ্যবধি সংস্কার না করায় চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ইট উঠে গিয়ে নড়বড়ে হয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে ভীষণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

একই ওয়ার্ডের কোর্ট মসজিদ সংলগ্ন আবাসিক এলাকায় ঢোকার রাস্তাটিরও বেহাল অবস্থা। ইটের সলিং উঠে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ৬ নং ওয়ার্ডের এ ইটের রাস্তা দু’টি একটু ভারী বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায়। সে সময় যাতায়াত করতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।

রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেলিম নেওয়াজ’এর সাথে কথা হলে জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, পরিষদের মাসিক সভায় বারবার এই রাস্তা দু’টির কথা উল্লেখ করা সত্বেও রাস্তা মেরামত বা নির্মাণের ব্যাপারে কোন কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। তিনি এ ব্যাপারে Voice of Paikgacha'য় বেশি বেশি করে লেখালেখি করার অনুরোধ জানান।

এ প্রসঙ্গে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, বাজেট অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে রাস্তা সংস্কার কাজ করা হচ্ছে।

পাইকগাছায় ফেনসিডিল উদ্ধার

পাইকগাছা থানা পুলিশ পরিত্যাক্ত অবস্থায় ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের এ.এস.আই সুকুমার শিবসা ব্রিজের পূর্বপাড় থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে এগুলো উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় থানায় মাদক আইনে অজ্ঞাতনামাদের নামে মামলা হয়েছে।

পাবলিক পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০ করা হচ্ছে

সব ধরনের পরীক্ষায় পাস নম্বর বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে ‘ঢালাও’ পাসের পর শিক্ষার মান নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার মধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছে। শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান (এনআইখান) বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এন আই খান বলেন, সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিয়েই পাবলিক পরীক্ষায় পাস নম্বর বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে পাস নম্বর ৩৩ নেই। শিক্ষা পরিবারের সবাইকে নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করব। সেখানে সবার মতামত নিয়ে পর্যায়ক্রমে পাস নম্বর বাড়ানো হবে। 
 
পরীক্ষার পাস নম্বর ৩৩ থেকে বাড়িয়ে কত করা হচ্ছে সে বিষয়ে তিনি বলেন, পাস নম্বর ৩৩ থেকে বাড়িয়ে ৪০ করার চিন্তা ভাবনা চলছে।

এ বিষয়ে যুক্তি দেখিয়ে শিক্ষা সচিব বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আগের চেয়ে ‘অনেক উন্নত’ হয়েছে। এখন ১০০ জন ছেলে-মেয়ের মধ্যে ৯৮ জন স্কুলে ভর্তি হয়। পাসের হার বেড়েছে, জিপিএ-৫ বাড়ছে। আমাদের স্ট্যান্ডার্ড আর একটু বাড়ানো দরকার। স্কুল কলেজে বর্তমানে একশ নম্বরের পরীক্ষায় পাস করতে পেয়ে হয় ৩৩। নজরুল বলেন, পরীক্ষার পাস নম্বর বাড়ালে শিক্ষার ‘স্ট্যান্ডার্ড একটু বাড়বে।

চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। জিপিএ-৫ পায় ৭০ হাজার ৬০২ জন। আর এসএসসি ও সমমানে পাসের হার ছিল রেকর্ড ৯১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

ঢালাও পাসে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দাবি করেন, শিক্ষার মান বেড়েছে বলেই পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা তৈরি হয়ে শতভাগ পাসের কাছাকাছি যেতে পারলে আমাদের কোনো অসুবিধা নাই।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ফল বিপর্যয়ের পর পাসের হারের বিষয়টি সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় আসে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরাও পরীক্ষার পাস নম্বর বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন।

তবে এ বিষয়ে নতুন বিতর্ক এড়াতে ‘ভেবেচিন্তে আলোচনা করেই’ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।