পাইকগাছায় সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হক’এর ১৩২তম জন্মজয়ন্তী উদযাপিত
হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড.
স.ম বাবর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ কামরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা
কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক
মলঙ্গী, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, অবঃ অধ্যাপক রমেন্দ্র নাথ
সরকার, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বানু ডলি, প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ
দাশ, সমাজসেবা অফিসার দেবাশিষ সরদার, শেখ মনিরুল ইসলাম ও কাজী জামানউল্লাহ।
বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান, দাউদ শরীফ, মুনসুর আলী, এ্যাড. শফিকুল ইসলাম কচি, রনজিৎ সরদার, প্রানকৃষ্ণ দাশ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রভাষক মাদুসুর রহমান মন্টু।
উল্লেখ্য, সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হক ১৮৮২ সালের ৪ নভেম্বর খুলনা জেলার পাইকগাছার গদাইপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা কাজী আতাউল হক মুক্তরী পাস করে খুলনার ফৌজদারী আদালতে আইন ব্যবসা করতেন। কাজী ইমদাদুল হক পারিবারিক পরিবেশে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের পর খুলনা জেলা স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হন।
১৮৯৬ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৮৯৮ সালে এফএ পাস করেন। কলিকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে তিনি পদার্থবিদ্যা ও রসায়নশাস্ত্রে অনার্স নিয়ে ডিগ্রি ক্লাসে ভর্তি হন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে তিনি পাস কোর্সে বিএ পাস করেন। ১৯০৩ সালে তিনি বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসে নির্বাচিত হয়ে কলকাতা মাদ্রাসায় অস্থায়ী শিক্ষক নিযুক্ত হন। ১৯০৬ সালে আসামের শিলংয়ে শিক্ষা বিভাগের ডিরেক্টর অফিসের উচ্চমান সহকারী পদে যোগ দেন। ১৯০৭ সালে ঢাকা মাদ্রাসার শিক্ষক পদে নিয়োজিত হন। ১৯১১ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ভূগোলে প্রভাষক নিযুক্ত হন। ১৯১৪ সালে তিনি ঢাকা বিভাগে মুসলিম শিক্ষার সহকারী স্কুল পরিদর্শক নিযুক্ত হন। ১৯১৭ সালে তিনি কলকাতা টিচার্স ট্রেনিং স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদে যোগদান করেন। ১৯২১ সালে ঢাকা মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি প্রথম সচিব নিযুক্ত হন।
শিক্ষা বিভাগের কাজে গভীর দায়িত্ববোধ, অসামান্য দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তির স্বীকৃতি স্বরূপ তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তাকে ১৯১৯ সালে খান সাহেব ও ১৯২৬ সালে খান বাহাদুর খেতাবে ভূষিত করেন।
১৮৯৬ সালে কাজী ইমদাদুল হক স্কুলে পড়াকালীন কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৯০৩ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ আখি জল প্রকাশিত হয়। নবী কাহিনী ও কামারের কান্ড তার শিশুতোষ গ্রন্থ। তিনি শিক্ষক নামে মাসিক প্রত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। সাহিত্য সৃষ্টি হিসেবে তার সর্বশ্রেষ্ট কৃত্তি আব্দুল্লাহ উপন্যাস।
১৯১৮ সালে কঠিন অন্ত্রপাচারে কাজী ইমদাদুল হক হাসপাতালে থাকাকালীন তিনি আব্দুল্লাহ উপন্যাস রচনা করেন। উপন্যাসে ৪১ পরিচ্ছেদে ৩০ পরিচ্ছেদ রচনা করেন বাকী অংশটুকু খসড়া রেখে মারা যান। পরে কাজী আনারুল কাদিরের দায়িত্বে ৩১ থেকে ৪১ পরিচ্ছেদের খসড়া অংশটি নিয়ে উপন্যাসটির পূর্ণাঙ্গ রুপদান করেন। ১৯২৬ সালের ২০মে তিনি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন। কলকাতার গোবরা কবর স্থানে তার মায়ের কবরের পাশে তার কবর দেওয়া হয়। ইমদাদুল হকের মৃত্যুর পর আব্দুল্লাহ উপন্যাস গ্রন্থাগারে প্রকাশিত হয়।
বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান, দাউদ শরীফ, মুনসুর আলী, এ্যাড. শফিকুল ইসলাম কচি, রনজিৎ সরদার, প্রানকৃষ্ণ দাশ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রভাষক মাদুসুর রহমান মন্টু।
উল্লেখ্য, সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হক ১৮৮২ সালের ৪ নভেম্বর খুলনা জেলার পাইকগাছার গদাইপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা কাজী আতাউল হক মুক্তরী পাস করে খুলনার ফৌজদারী আদালতে আইন ব্যবসা করতেন। কাজী ইমদাদুল হক পারিবারিক পরিবেশে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের পর খুলনা জেলা স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হন।
১৮৯৬ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৮৯৮ সালে এফএ পাস করেন। কলিকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে তিনি পদার্থবিদ্যা ও রসায়নশাস্ত্রে অনার্স নিয়ে ডিগ্রি ক্লাসে ভর্তি হন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে তিনি পাস কোর্সে বিএ পাস করেন। ১৯০৩ সালে তিনি বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসে নির্বাচিত হয়ে কলকাতা মাদ্রাসায় অস্থায়ী শিক্ষক নিযুক্ত হন। ১৯০৬ সালে আসামের শিলংয়ে শিক্ষা বিভাগের ডিরেক্টর অফিসের উচ্চমান সহকারী পদে যোগ দেন। ১৯০৭ সালে ঢাকা মাদ্রাসার শিক্ষক পদে নিয়োজিত হন। ১৯১১ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ভূগোলে প্রভাষক নিযুক্ত হন। ১৯১৪ সালে তিনি ঢাকা বিভাগে মুসলিম শিক্ষার সহকারী স্কুল পরিদর্শক নিযুক্ত হন। ১৯১৭ সালে তিনি কলকাতা টিচার্স ট্রেনিং স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদে যোগদান করেন। ১৯২১ সালে ঢাকা মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি প্রথম সচিব নিযুক্ত হন।
শিক্ষা বিভাগের কাজে গভীর দায়িত্ববোধ, অসামান্য দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তির স্বীকৃতি স্বরূপ তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তাকে ১৯১৯ সালে খান সাহেব ও ১৯২৬ সালে খান বাহাদুর খেতাবে ভূষিত করেন।
১৮৯৬ সালে কাজী ইমদাদুল হক স্কুলে পড়াকালীন কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৯০৩ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ আখি জল প্রকাশিত হয়। নবী কাহিনী ও কামারের কান্ড তার শিশুতোষ গ্রন্থ। তিনি শিক্ষক নামে মাসিক প্রত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। সাহিত্য সৃষ্টি হিসেবে তার সর্বশ্রেষ্ট কৃত্তি আব্দুল্লাহ উপন্যাস।
১৯১৮ সালে কঠিন অন্ত্রপাচারে কাজী ইমদাদুল হক হাসপাতালে থাকাকালীন তিনি আব্দুল্লাহ উপন্যাস রচনা করেন। উপন্যাসে ৪১ পরিচ্ছেদে ৩০ পরিচ্ছেদ রচনা করেন বাকী অংশটুকু খসড়া রেখে মারা যান। পরে কাজী আনারুল কাদিরের দায়িত্বে ৩১ থেকে ৪১ পরিচ্ছেদের খসড়া অংশটি নিয়ে উপন্যাসটির পূর্ণাঙ্গ রুপদান করেন। ১৯২৬ সালের ২০মে তিনি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন। কলকাতার গোবরা কবর স্থানে তার মায়ের কবরের পাশে তার কবর দেওয়া হয়। ইমদাদুল হকের মৃত্যুর পর আব্দুল্লাহ উপন্যাস গ্রন্থাগারে প্রকাশিত হয়।