Wednesday, November 5, 2014

সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হক’এর ১৩২তম জন্মজয়ন্তী পালিত

পাইকগাছায় সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হক’এর ১৩২তম জন্মজয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স.ম বাবর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ কামরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, অবঃ অধ্যাপক রমেন্দ্র নাথ সরকার, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বানু ডলি, প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশ, সমাজসেবা অফিসার দেবাশিষ সরদার, শেখ মনিরুল ইসলাম ও কাজী জামানউল্লাহ।

বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান, দাউদ শরীফ, মুনসুর আলী, এ্যাড. শফিকুল ইসলাম কচি, রনজিৎ সরদার, প্রানকৃষ্ণ দাশ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রভাষক মাদুসুর রহমান মন্টু।

উল্লেখ্য, সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হক ১৮৮২ সালের ৪ নভেম্বর খুলনা জেলার পাইকগাছার গদাইপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা কাজী আতাউল হক মুক্তরী পাস করে খুলনার ফৌজদারী আদালতে আইন ব্যবসা করতেন। কাজী ইমদাদুল হক পারিবারিক পরিবেশে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের পর খুলনা জেলা স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হন।

১৮৯৬ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৮৯৮ সালে এফএ পাস করেন। কলিকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে তিনি পদার্থবিদ্যা ও রসায়নশাস্ত্রে অনার্স নিয়ে ডিগ্রি ক্লাসে ভর্তি হন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে তিনি পাস কোর্সে বিএ পাস করেন। ১৯০৩ সালে তিনি বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসে নির্বাচিত হয়ে কলকাতা মাদ্রাসায় অস্থায়ী শিক্ষক নিযুক্ত হন। ১৯০৬ সালে আসামের শিলংয়ে শিক্ষা বিভাগের ডিরেক্টর অফিসের উচ্চমান সহকারী পদে যোগ দেন। ১৯০৭ সালে ঢাকা মাদ্রাসার শিক্ষক পদে নিয়োজিত হন। ১৯১১ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ভূগোলে প্রভাষক নিযুক্ত হন। ১৯১৪ সালে তিনি ঢাকা বিভাগে মুসলিম শিক্ষার সহকারী স্কুল পরিদর্শক নিযুক্ত হন। ১৯১৭ সালে তিনি কলকাতা টিচার্স ট্রেনিং স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদে যোগদান করেন। ১৯২১ সালে ঢাকা মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি প্রথম সচিব নিযুক্ত হন।

শিক্ষা বিভাগের কাজে গভীর দায়িত্ববোধ, অসামান্য দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তির স্বীকৃতি স্বরূপ তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তাকে ১৯১৯ সালে খান সাহেব ও ১৯২৬ সালে খান বাহাদুর খেতাবে ভূষিত করেন।

১৮৯৬ সালে কাজী ইমদাদুল হক স্কুলে পড়াকালীন কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৯০৩ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ আখি জল প্রকাশিত হয়। নবী কাহিনী ও কামারের কান্ড তার শিশুতোষ গ্রন্থ। তিনি শিক্ষক নামে মাসিক প্রত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। সাহিত্য সৃষ্টি হিসেবে তার সর্বশ্রেষ্ট কৃত্তি আব্দুল্লাহ উপন্যাস।

১৯১৮ সালে কঠিন অন্ত্রপাচারে কাজী ইমদাদুল হক হাসপাতালে থাকাকালীন তিনি আব্দুল্লাহ উপন্যাস রচনা করেন। উপন্যাসে ৪১ পরিচ্ছেদে ৩০ পরিচ্ছেদ রচনা করেন বাকী অংশটুকু খসড়া রেখে মারা যান। পরে কাজী আনারুল কাদিরের দায়িত্বে ৩১ থেকে ৪১ পরিচ্ছেদের খসড়া অংশটি নিয়ে উপন্যাসটির পূর্ণাঙ্গ রুপদান করেন। ১৯২৬ সালের ২০মে তিনি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন। কলকাতার গোবরা কবর স্থানে তার মায়ের কবরের পাশে তার কবর দেওয়া হয়। ইমদাদুল হকের মৃত্যুর পর আব্দুল্লাহ উপন্যাস গ্রন্থাগারে প্রকাশিত হয়।

পাইকগাছায় প্রতিদ্বন্দ্বী চক্রের ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে এমপি নূরুল হকের সংবাদ সম্মেলন

পাইকগাছায় আ’লীগ নেতা গাজী মোহাম্মদ আলী ও প্রতিদ্বন্দ্বী চক্রের ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন খুলনা-৬ পাইকগাছা কয়রার এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক। বুধবার সকালে পৌর সদরস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমপি নূরুল হক বলেন, সংসদ সদস্য হিসাবে বিগত ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল মেয়াদে নির্বাচনী এলাকার অভূতপূর্ব উন্নয়ন করা হয়। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে বর্তমান মেয়াদেও যাতে এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে না পারি এজন্য প্রতিদ্বন্দ্বী চক্ররা আমার অনুপস্থিতির সুযোগে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে চরম মিথ্যাচার করে চলেছে।

তিনি বলেন গত ২৬ অক্টোবর উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক গাজী মোহাম্মদ আলী নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা ছাড়াই মনগড়া, গঠনতন্ত্র পরিপন্থী, অগ্রহনযোগ্য আহবায়ক কমিটির সভা আহবান করেন। সভায় উপস্থিত ত্যাগী ও জৈষ্ঠ্য ও পদবঞ্চিত নেতৃবৃন্দ আহবায়কের নিকট কমিটি থেকে বাদ দেয়ার কারন জানতে চাইলে গাজী মোহাম্মদ আলী ও মোঃ রশীদুজ্জামান ঐদ্ধত্বপূর্ণ আচারণ করলে নেতাকর্মীরা তাদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়।

এসময় গাজী মোহাম্মদ আলী কমিটিতে থাকবো না মর্মে লিখিতভাবে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। এরপর ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় কিছু নেতাকর্মী লাঠি, সোটা নিয়ে মিছিল আকারে এসে তৃনমূল নেতাকর্মীদের মারপিট করে। এসময় আমি ও আমার বড় পুত্র মনিরুল ইসলাম নিজ গাড়িতে করে গাজী মোহাম্মদ আলীকে নিরাপদ স্থানে পৌছে দেই।

পরিস্থিতি শান্ত হলে এদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমি ও আমার পুত্র জরুরী চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভারতের কোলকাতায় যাই। চিকিৎসা শেষে ১ নভেম্বর খুলনায় ফিরে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত বানোয়াট, মিথ্যা খবর ও আহবায়কের কথিত সংবাদ সম্মেলন দেখে বিষ্মিত হই।

আ’লীগের কথিত আহবায়ক, সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাড. সোহরাব আলী সানা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা একত্রিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মনগড়া, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনয়নের চেষ্ঠা করছেন। অথচ ২০০৯ সালে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচনী এলাকায় তৃনমূলের সমর্থন সংগ্রহকালে আমাদের অনুপস্থিতিতে আমি ৩৮৭ এবং সোহরাব আলী সানা ৫৭ কাউন্সিলের সমর্থন পান।

সোহরাব আলী সানা নির্বাচিত হওয়ার গত ৫ বছরে তার কাজে আমার পক্ষের কোন নেতাকর্মী বাঁধা সৃষ্টি না করলেও বর্তমানে আমি যাতে সুষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারি সেজন্য আজ তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে মিথ্যার উপর নির্ভর করে আমাদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন এবং উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাহত করতে একের পর এক সাংবাদিক সম্মেলনের নামে মিথ্যাচার করছেন।

জেলা নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন বিগত ৬/৭ বছর জেলা আ’লীগের মিটিং সিটিং দূরে থাক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত ছিল না। এমনই অবস্থার প্রেক্ষাপটে গত ৩ আগষ্ট হঠাৎ করে জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহবান করা হয়। সভায় গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত না নিয়ে শুধুমাত্র তেরখাদা ও পাইকগাছা উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত করে শরফুদ্দিন বাচ্চু ও গাজী মোহাম্মদ আলীকে আহবায়কের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

পরে আহবায়ক গাজী মোহাম্মদ আলী পৌর বাজারস্থ সবুর হোটেলে স্থায়ীভাবে রুমভাড়া করে সোহরাব আলী গংদের সাথে মিলে সদস্য সংগ্রহের নামে বানিজ্য শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের সুযোগ পেয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে মোটা অংকের চাঁদা তোলেন। অথচ আমার সাথে আলোচনা না করলেও এ অনুষ্ঠানে আমি ৩০ হাজার ও ৩০ শে আগষ্ট বিশেষ বর্ধিত সভায় ২৫ হাজার টাকা প্রদান করি।

প্রদানকৃত টাকা কাঙ্গালীভোজে খরচ না করে প্রায় ১৫/২০ হাজার টাকা তিনি উদবৃত্ত রেখে দেন। বিশেষ বর্ধিত সভায় জেলা নেতৃবৃন্দ কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে অনেক ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করে ইচ্ছামত তাদের পছন্দনীয় লোককে আহবায়ক পদে মনোনয়ন দেন।

তিনি বলেন সাবেক সংসদ সদস্য যাদেরকে নিয়ে বিগত দিনে ঘের দেখল, ঘাট দখল, টিআর কাবিখার খাদ্যশষ্য ভাগাভাগি বিক্রয়ের মহাউৎসবে লিপ্ত ছিলেন তাদেরকেই পুনরায় এডহক কমিটিতে অন্তভূক্ত করার মাধ্যমে আওয়ামী রাজনীতিকে কলুষিত করেছে।

গত ২৬ অক্টোবর কোন সভা না হওয়া সত্ত্বেও হরিঢালী ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার গোলাম মোস্তফাকে বহিষ্কার করা সম্পূর্ণ বানোয়াট ভিত্তিহীন মনগড়া উল্লেখ করে এমপি হক বলেন, গাজী মোহাম্মাদ আলী এলাকায় না এসে খুলনা সদরে বসে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দল চালানোর কৌশল আয়ত্ত করছেন যা আদৌ কাম্য ও গনতান্ত্রিক নয়।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি গাজী মোহাম্মদ আলীকে ষড়যন্ত্র পরিহার করে সরদার গোলাম মোস্তফার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার ও শান্তিপূর্ণভাবে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। আ’লীগের গণ ঐক্য কমিটি গঠনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে বলে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এসময় দলীয় নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পাইকগাছায় দুর্ধর্ষ 'বাবু গাইন'এর বিরুদ্ধে ধর্ষন চেষ্ঠার অভিযোগ

আহত গৃহবধু হাসপাতালে ভর্তি, থানায় মামলা, আটক ১


পাইকগাছায় বহু অপকর্মের হোতা দুর্ধর্ষ যুবনেতা বাবু গাইনের বিরুদ্ধে এবার ধর্ষন প্রচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সন্ধ্যায় সে এলাকার এক গৃহবধুকে ধর্ষনের চেষ্ঠা করে। আহত গৃহবধুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।

থানাপুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শান্তা গ্রামের ইয়াসিন শিকারীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২২) বসত ঘরের খাটের উপর শিশু সন্তানকে দুধ পান করাচ্ছিল। এসময় বাাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে গড়ইখালী গ্রামের কেসমত গাইনের পুত্র দুধর্ষ যুবনেতা বাবু গাইন ঘরের ভিতর প্রবেশ করে সৌর বিদ্যুতের আলো বন্ধ করে গৃহবধুর উপর ঝাপিয়ে পড়ে।

এসময় বাঁধা দিতে গেলে বাবু গাইন গৃহবধুকে বিবস্ত্র করে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্ঠা করে এবং গৃহবধুকে কিল, ঘুষি, মারপিট করে জখম করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে গৃহবধুর স্বামী ঘরে প্রবেশ করলে তাকে লাথি মেরে পাহারারত সহযোগিদের নিয়ে বাবু গাইন পালিয়ে যায়। ওই রাতেই আহত গৃহবধুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় গৃহবধু ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে বাবু গাইন, ভাই কামরুল গাইন, লুৎফর মোড়লের পুত্র রবিউল মোড়ল ও আমিন গাজীসহ ৪ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করে, যার নং-৬। তারিখ ৪/১১/১৪। এ ঘটনায় পুলিশ কামরুল গাইনকে গ্রেফতার করেছে।

উল্লেখ্য, দুর্ধর্ষ এ যুবনেতার চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ডে বিগত ৫ বছর এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে ওঠে। উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় তাকে গ্রেফতারের দাবী করা হয়। সাবেক এমপি’র ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন এ নেতা প্রশাসনের ধরা ছোয়ার বাইরে থাকলেও র‌্যাব একবার তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজি ও বন আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।

এ ব্যাপারে ওসি শিকদার আক্কাস আলী জানান, ধর্ষন চেষ্ঠার ঘটনায় ১ জনকে আটক করা হয়েছে এবং মূল আসামীকে গ্রেফতারের প্রচেষ্ঠা অব্যহত রয়েছে।