Tuesday, November 12, 2013

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

অনিবার্য কারনবশত পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা-২০১৩ স্থগিত। পরবর্তীতে গণমাধ্যমে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ভর্তি পরীক্ষার নতুন সময় সূচি জানানো হবে।


বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল ও সুন্দরবনের দূষণ

রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করলে সুন্দরবনের পরিবেশ দূষিত ও বিনষ্ট হবে, এমনকি দীর্ঘ সময়ে তা বনের জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ফেলবে, এ বিষয়ে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে। অন্য পক্ষে, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সরকার মনে করে, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি করবে না এবং সে কারণে এটি স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোনো পরিবর্তন আনার প্রয়োজন নেই। পরিবেশ বিনষ্ট হতে পারে, এরূপ প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দুটি পরস্পরবিরোধী মত যখন সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, তার পরিণতি যে কখনো সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে, সে উদাহরণ দেশে-বিদেশে বিদ্যমান। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন বা ফুলবাড়ীতে উন্মুক্ত কয়লাখনি প্রকল্প কিংবা কানাডায় নিউ ব্রন্সউইকে তেল-গ্যাসবিরোধী আন্দোলনগুলো সেসবের সাক্ষ্য বহন করে। সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি কারও কাম্য নয়, তাই পারস্পরিক আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে একদিকে পরিবেশবিদ ও সাধারণ জনগণ এবং অন্যদিকে প্রকল্প বাস্তবায়নকারীদের মধ্যে সমঝোতা হওয়া বাঞ্ছনীয়।

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করলে পরিবেশ দূষিত হয়, তা সর্বজনস্বীকৃত বৈজ্ঞানিক সত্য। তবু বিশ্বে কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় সবচেয়ে বেশি। কয়লাদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব মেনে নিয়েই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী চালু রয়েছে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু থাকবে, কিন্তু কোনো দূষণ হবে না, এটি অবাস্তব চিন্তা। তাহলে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে এত বিতর্ক কেন? এর কারণ হলো, রামপাল সাধারণ কোনো স্থানে অবস্থিত নয় বরং এটি বিশ্বের অনন্য অভয়ারণ্য এক ও একক সুন্দরবনের অতি নিকটে অবস্থিত এবং এখানে প্রস্তাবিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উদ্ভূত দূষক বনভূমিটির জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে বলে পরিবেশবিদেরা আশঙ্কা করছেন। বিশ্বখ্যাত যে সুন্দরবন বাংলাদেশের প্রকৃতির সবচেয়ে বড় সম্পদ, তার পরিবেশকে বিপজ্জনকভাবে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া থেকে বিরত রাখতে পরিবেশবিদদের দাবি ধীরে ধীরে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে।

পরিবেশবিদদের দাবি, কয়লা পোড়ানোর কারণে উদ্ভূত দূষণ বাতাস, পানি ও মাটিতে—সব ক্ষেত্রেই বিস্তার লাভ করবে। কয়লা পোড়ানো থেকে উদ্ভূত এসব মৌলিক দূষণ ছাড়াও সুন্দরবনের মধ্যে পশুর নদ দিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া কয়লাবাহী জাহাজ চলাচলের সময় নদীর দূষণ ঘটবে। এ ছাড়া ড্রেজিং, শব্দ, ফ্লাডলাইট ও আনুষঙ্গিক অপরাপর উপাদানগুলো সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিপন্থী। অন্য পক্ষে, সরকার দাবি করছে, বাতাস, পানি ও মাটির দূষণ রোধকল্পে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, তাই তা বিপজ্জনক পর্যায়ে যাবে না। সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে পশুর নদপথে কয়লাবাহী জাহাজ নদে কোনো দূষণ করবে না। বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করে আনুষঙ্গিক কোনো দূষণ ঘটবে না।
 

প্রকৃতপক্ষে কয়লা পোড়ালে কী ধরনের দূষক নির্গত হয় এবং তা কীভাবেই বা পরিবেশকে দূষিত করে? কয়লা পোড়ালে বায়বীয়, কঠিন ও তরল—এই তিন প্রকৃতির দূষক নির্গত হয় এবং এগুলো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পরিবেশকে দূষিত করে। প্রথমত, কয়লা পোড়ালে কার্বন ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড ও সালফার ডাই-অক্সাইড—এ তিনটি বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয় এবং তা বাতাসে মিশে পরিবেশ বিনষ্ট করে। দ্বিতীয়ত, কয়লা পোড়ানোর কারণে উদ্ভূত ছাই মিহিদানাদার একটি কঠিন দূষক, যার ভেতর বেশ কিছু বিষাক্ত ভারী ধাতব পদার্থ যেমন পারদ, সিসা ও আর্সেনিক থেকে থাকে। বিশ্বব্যাপী বহু বছর ধরে কয়লার ব্যবহার (বিশেষ করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে) পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যে দূষণ ঘটিয়েছে, তার পরিণতিতে আবহাওয়ার তাপমাত্রা বেড়েছে, নির্গত গ্যাস জলীয় বাষ্পের সংস্পর্শে বিষাক্ত অ্যাসিড তৈরি করেছে, নির্গত ছাই পরিবেশ দূষিত করেছে।

রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সরকারপক্ষ বলছে, এটিতে ‘সুপারক্রিটিক্যাল টেকনোলজি’ ব্যবহার করা হবে, যার মাধ্যমে পোড়ানো কয়লা থেকে উদ্ভূত বিষাক্ত গ্যাস ও ছাইসমূহ বাতাসে ছড়ানোর আগেই বহুলাংশে আটকে দেওয়া যাবে। তবু যে পরিমাণ বিষাক্ত গ্যাস বাতাসে নির্গত হবে, তার একটি পরিমাপ দেওয়া হয়েছে। দেখানো হচ্ছে যে সুন্দরবন এলাকায় যেখানে সাধারণভাবে বাতাসে সালফার ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ৮ মাইক্রোগ্রাম, বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা পোড়ানোর পর তা নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি সময়ে বেড়ে দাঁড়াবে প্রতি ঘনমিটারে ৫৩ মাইক্রোগ্রাম; যা কিনা আবাসিক ও গ্রাম্য অঞ্চলে বাতাসে সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে কম (ইআইএ চূড়ান্ত রিপোর্ট, ২০১৩)। আর এখানেই পরিবেশবিদদের সুনির্দিষ্ট বিরোধিতা যে সুন্দরবন তো আবাসিক বা গ্রাম্য অঞ্চল নয়, বরং এটি অতিমাত্রায় প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যে ভরপুর পরিবেশ স্পর্শকাতর একটি এলাকা। তাই সুন্দরবনের জন্য আবাসিক ও গ্রাম্য এলাকার গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ গ্যাস মাত্রা গ্রহণ করা নেহাতই দায়িত্বহীনতার পরিচয় অথবা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সুতরাং সুপারক্রিটিক্যাল টেকনোলজি প্রয়োগের মাধ্যমে দূষিত পদার্থ বহুলাংশে কমিয়ে আনার যে ব্যবস্থাপনা, তা একটি সাধারণ এলাকার জন্য উপকার বয়ে আনতে পারে; কিন্তু তা সুন্দরবনের মতো পরিবেশ স্পর্শকাতর এলাকার জন্য যথেষ্ট নয়।

এবার দেখা যাক, তরল প্রকৃতির দূষকগুলোর সমস্যা। তরল প্রকৃতির দূষকের একটি উৎস আধুনিক ক্লিন কোল টেকনোলজি প্রয়োগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। সহজভাবে বলতে গেলে, কয়লা পোড়ানোর পর দূষিত বাতাস ও ছাইসমূহকে আটকে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় যে পানি ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়, তার বর্জ্য (ওয়েস্ট ওয়াটার) অন্য এক বিষাক্ত তরল দূষক হিসেবে তৈরি হয়। আর এই তরল দূষক নিয়ে যত বিপত্তি। অর্থাৎ রামপালে সুপারক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করে বায়ুদূষকগুলো আটকে দেওয়ার যে দাবি করা হচ্ছে, তা প্রকৃতপক্ষে অন্য এক তরল দূষকের জন্ম দেবে। আর তা কেবল এখানেই নয়, বরং এ সমস্য বিশ্বব্যাপী ক্লিন কোল টেকনোলজিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস-এ সম্প্রতি প্রকাশিত বেশ কয়েকটি রিপোর্টে তার প্রতিফলন দেখা যায়। নিউ জার্সির একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উন্নততর প্রযুক্তির (স্ক্রাবার) মাধ্যমে বিষাক্ত গ্যাস ও ছাই আবদ্ধ করার ব্যবস্থা প্রয়োগ করলে পাশের লোকালয় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যায় যে এ প্রযুক্তিতে যে পানি ও রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছে, তা ফেলতে হয়েছে পাশের নদনদীতে, যা কেবল নদনদীর পানিকেই দূষিত করেনি, বরং ভূগর্ভস্থ খাওয়ার পানিকে দূষিত করে তুলেছে। সেখানকার ভুক্তভোগী একজন বাসিন্দা বলছেন, ‘আমাদের বিষাক্ত বাতাসের পরিবর্তে এখন বিষাক্ত পানি সরবরাহ করা হচ্ছে মাত্র।’ ওই রিপোর্টে চার্লস ডুহিগ লিখছেন: যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী বহু কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বায়ুদূষণ কমানোর জন্য উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে বায়ুদূষণ কমেছে বটে, কিন্তু তার বিনিময়ে পানি বা তরল দূষণের জন্ম দিয়েছে। আর এই দূষিত পানিকে ট্রিটমেন্ট করে পরিপূর্ণভাবে পরিষ্কার করা যায় না।

রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পশুর নদ থেকে পানি নিয়ে ব্যবহার করা হবে আর ব্যবহারের পর যে পরিমাণ পানি নদেতে আবার ফেলে দেওয়া হবে, তার পরিমাণ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ১৫০ ঘনমিটার (ইআইএ চূড়ান্ত রিপোর্ট, ২০১৩)। এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে দূষিত বায়ু ও ছাই আটক করার কাজে ব্যবহূত স্ক্রাবার থেকে বের হওয়া দূষিত পানি। এই দূষিত পানি পশুর নদে পড়ে সোজা গিয়ে ঢুকবে সুন্দরবনের ভেতর। অন্য দূষক বিষাক্ত ধাতব পদার্থসংবলিত ছাই একটি কঠিন পদার্থ, যা বাতাসে নির্গত হওয়ার আগে তাকে বহুলাংশে আটকে রেখে জমা করা হবে। কিন্তু বাতাস থেকে আলাদা করে মাটিতে রাখলে তা যথেষ্ট দূষণ ঘটাতে পারে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রায় এক হাজার ৪০০ একর এলাকা ভরাট করার জন্য এ ছাই ব্যবহার করা হতে পারে (ইআইএ চূড়ান্ত রিপোর্ট, ২০১৩)। রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নকশা অনুযায়ী পশুর নদের তীরে বিদ্যুৎকেন্দ্রসংলগ্ন ছাই ফেলে দেওয়ার পুকুর (অ্যাশ ডিসপোজাল পন্ড) ও তার পাশে কয়লা স্তূপাকারে জমা রাখার স্থান (লোকাল স্টকইয়ার্ড) উভয়েই নদের পানিকে দূষিত করার সম্ভাব্য উপাদান। এখান থেকে কয়লা ও ছাই যথার্থ ব্যবস্থাপনার অভাবে সংলগ্ন পশুর নদের পানিকে দূষিত করবে, যা কেবল অল্প দূরত্ব পেরিয়ে সরাসরি সুন্দরবনে গিয়ে পৌঁছাবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর যে ইআইএ রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিবেশ ছাড়পত্র দিয়েছে, প্রকৃতপক্ষে তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। প্রকল্পবিরোধীরা বলছেন, রিপোর্ট প্রদানকারী সিইজিআইএস সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা এবং সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে তারা নিরপেক্ষভাবে পরিবেশে প্রভাব জরিপ না করে বরং সরকারি ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছে মাত্র। তদুপরি রামপালকে প্রকল্প স্থাপনের স্থান হিসেবে নির্বাচন ও ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে; উপরিউক্ত ইআইএ রিপোর্ট দেওয়ার আগে যা বিতর্কের মাত্রা বাড়িয়েছে মাত্র। একটি নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে পরিবেশ প্রভাব নিরূপণ করা না হলে তার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে। সরকারের পক্ষে দায়িত্বশীল ব্যবস্থাপনা হবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রামপালের পরিবর্তে সুন্দরবন থেকে নিরাপদ দূরত্বে নির্মাণ করা। সুন্দরবন বিশ্বনন্দিত অমূল্য বনাঞ্চল, যা কিনা বাংলাদেশকে প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যের শীর্ষে নিয়ে গেছে। কোনো ভুল সিদ্ধান্ত বা ব্যবস্থাপনার কারণে প্রকৃতির দেওয়া এই অনন্য উপহার ক্ষতিগ্রস্ত হোক, তা কারও কাম্য নয়।

ড. বদরূল ইমাম, অধ্যাপক, ভূতত্ত্ব বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ডিসেম্বরে

টানা ৮৪ ঘণ্টা হরতালের কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এসব পরীক্ষা হতে পারে। সোমবার দুপুরে এ কথা জানিয়েছেন রাবি উপ-উপাচার্য চৌধুরী সরওয়ার জাহান। 

তিনি বলেন, নভেম্বরে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত থাকায় এ মাসে রাবির ভর্তি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে না। তবে এ বিষয়ে আগামী বুধবার রাবির ভর্তি পরীক্ষা কমিটির বৈঠক রয়েছে। ওই দিন ভর্তি পরীক্ষার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হতে পারে।

রাবির ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব এবং একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার এএইচএম আসলাম হোসেন জানান, হরতাল শেষে আগামী বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার রাবির ভর্তি পরীক্ষা নেয়া যেতো। কিন্তু আগামী শুক্রবার ঢাবি ও জবির ‘গ’ ইউনিটের পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ১৬ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা রয়েছে। এরপর ২৭ ও ২৮ নভেম্বর রয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। ৩০ নভেম্বর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। তাই এসময়ের মধ্যে রাবির পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না।’

উল্লেখ্য, ১০ থেকে ১৪ নভেম্বর রাবির ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু হরতাল দেয়ায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার ‘খ’ বিভাগের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছে ৫ হাজার ১২৮ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ১৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আআমস আরেফিন সিদ্দিক এবং ‘খ’ বিভাগের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এ ফল প্রকাশ করেন।

‘খ’ বিভাগে ২ হাজার ২৯৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়ে ৩৮ হাজার ৭৬৮টি। এরমধ্যে পরীক্ষার অংশ নেয় ৩৬ হাজার ৮৩৫ জন। বিভিন্ন কারণে ৮২ জনের ফল বাতিল করা হয়েছে। প্রতি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়ে ১৬টি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট- www.admission.eis.du.se.bd থেকে ফল জানা যাবে।

এছাড়া, মোবাইলের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল এবং সিটিসেল অপারেটরের মোবাইল ফোন থেকে du লিখে স্পেস দিয়ে kha লিখে স্পেস দিয়ে পরীক্ষার রোল লিখে ১৬৩২১ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি ম্যাসেজে ফল জানা যাবে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার পরীক্ষা চলাকালীন সময় বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটে। তবে কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ।

পাইকগাছায় উপজেলা ৪র্থ শ্রেণী সরকারি কর্মচারী সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন

পাইকগাছায় খাদ্য অফিসের জিএম শাহেদুজ্জামানকে সভাপতি, এলজিইডি’র হাবিবুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক ও ভূমি অফিসের শাহাজান মল্লিককে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা ৪র্থ শ্রেণী সরকারি কর্মচারী সমিতি গঠন করা হয়েছে।

গত রোববার কর্মচারী সমিতি ভবনে পঞ্চ বার্ষিক নির্বাচনে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যানরা হলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি সরোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি শেখ ইনসান আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন, কোষাধ্যক্ষ বাবুল চন্দ্র রায়, দপ্তর সম্পাদক তপন ঘোষ, প্রচার সম্পাদক আলেক গাজী, ক্রীড়া সম্পাদক নাদিম হোসেন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাতুয়ারা বেগম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক বাহারুল্লাহ, ত্রান বিষয়ক সম্পাদক নীলকোমল মন্ডল, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক কবির হোসেন, সদস্য জাহেদ আলী, নেছার আলী, কবির হোসেন, মোকছেদ আলী, শেখ শহিদ ও শহিদুল ইসলাম।

পাইকগাছা প্রেসক্লাবের প্রতিবাদ সমাবেশ সাময়িক স্থগিত

পাইকগাছা প্রেসক্লাবের প্রতিবাদ সমাবেশ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। থানার এসআই হারুন কর্তৃক সাংবাদিকদের সাথে অসাদাচারণ ও কটুক্তি করার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে প্রতিবাদ সমাবেশের আহবান করা হয়। পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে এ প্রতিবাদ সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পাইকগাছা থানার এসআই হারুন যোগদানের পর হতে বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের সাথে অসাদাচারণ ও কটুক্তি করার প্রতিবাদে সোমবার বিকালে প্রেসক্লাবের এক জরুরী সভায় এসআই হারুনের অপসারনের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

এ লক্ষ্যে প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করলে মঙ্গলবার সকালে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ সমাবেশ স্থগিত করা হয়। পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি গাজী সালাম জানান জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এসএম শফিউল্লাহর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।

পাইকগাছায় এমআররোধ প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় নিরাপদ মাতৃত্ব, অনাকাঙ্খিত গর্ভধারন ও অনিরাপদ এমআর রোধ প্রকল্পের দিনব্যাপী অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুশীলনের উদ্যোগ ও নেদারল্যান্ড দূতাবাসের সহায়তায় মঙ্গলবার সকালে উপজেলা

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শুকলাল বৈদ্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোমিনুর রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবুল ফজল।

সুশীলনের এমআর রোধ প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী দীপালী বিশ্বাস ও উপজেলা সমন্বয়কারী নাহিদ সুলতানার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক, জাহানারা বেগম। কর্মশালায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ৫৫ জন মাঠকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

পাইকগাছায় কৃষি কলেজ স্থাপনে ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ

অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত পাইকগাছায় কৃষি কলেজ স্থাপনে একনেক’র সভায় ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্ধ অনুমোদন হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনীতি নির্বাহী পরিষদ একনেকের সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয় বলে স্থানীয় এমপি এ্যাড. সোহরাব আলী সানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে ড়লে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় এমপি এ্যাড. সোহরাব আলী সানাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পাইকগাছা নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।

উল্লেখ্য বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতাগ্রহনের পর ২০১০ সালের ২৩ জানুয়ারী কয়রার এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইলা কবলিত পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায় একটি করে মহিলা কলেজ তীয়করণ একটি করে স্টেডিয়াম নির্মাণ ও পাইকগাছায় একটি কৃষিকলেজ স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন।

আগামী এক মাসের মধ্যে কৃষি কলেজ স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে সকল কার্যক্রম শুরু হবে বলে এমপি এ্যাড. সোহরাব আলী সানা জানান।

৫ গ্রামের মানুষের একমাত্র অবলম্বন উত্তর খেওনা সরকারী পুকুর

উপকূলীয় অঞ্চলের উপজেলা কয়রা। এ উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর খেওনা সরকারী পুকুরে মাইল তিনেক পাড়ি দিয়ে পানি নিতে আসেন গৃহবধূ শিল্পী। ওই পুকুর পাড়ে পিএসএফ (পন্ড স্যান্ড ফিল্টার) থেকে পানি নিতে তিনি ট্যাব ছেড়ে কলসি পাতিয়েই উঠে পড়েন উপরের টিউবওয়েল চাপতে। কলসি ভরার সাথে সাথেই নিচে নেমে চলে যাচ্ছিলেন বাড়িতে। গৃহবধূ শিল্পীর ন্যায় সেখানে আরও এসেছিলেন ছাত্রী সালেহা খাতুন ও সুমী পারভীনসহ অনেকে।

তারা জানান, এই পুকুরে পিএসএফ হওয়ায় এখন তারা নিরাপদ পানি পান করছেন, আগে তাদের পানির জন্য কষ্ট হত, এখন কিছুটা লাঘব হয়েছে। বহু দূর থেকে এসেও তারা যে নিরাপদ পানি পাচ্ছেন এটি তাদের জন্য সত্যিই আনন্দের বলেও উল্লেখ করেন তারা। এখন এ পুকুরের পানি ধরে রাখাই হবে তাদের নৈতিক দায়িত্ব এমন মন্তব্যও করেন কেউ কেউ।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ কয়রার মদিনাবাদ এলাকার ওই সরকারী পুকুরটি এভাবেই মানুষের সুপেয় পানি সমস্যার সমাধান দিচ্ছে। ওয়াটার এইড বাংলাদেশ ও বিগ লটারী ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর সেখানে তিন লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে সম্প্রতি পিএসএফ স্থাপন করায় ওই পুকুর থেকে প্রায় তিন হাজার মানুষের পানির চাহিদা পূরণ হচ্ছে। উত্তর খেওনা ছাড়াও খেওনা, বেজপাড়া, ১০ বেড়িয়া, রংকিনোকাটি ও পাটনিখালী গ্রামের মানুষ ওই পুকুরের পানি পান করেই জীবন ধারণ করে। পিএসএফ রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও রয়েছে একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি।

কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজব আলী সর্দার বলেন, বিগত আড়াই মাস আগে সেখানে পিএসএফ স্থাপন করায় এলাকাবাসীর সুপেয় পানির অভাব দূর হয়েছে। এখন এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া দিলে আরও ভাল হয়। এলাকার প্রতিটি জনগণই এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পরিবার প্রতি মাসে ৫ টাকা হারে দিতে রাজী হয়েছে। সে আলোকে মাত্র ৫ টাকার বিনিময়ে ওই পরিবারের প্রয়োজনমত পানি নিতে পারবে সারামাস। এ নিয়ম চালু থাকলে বেসরকারী সংস্থার প্রকল্প শেষ হলেও এলাকাবাসীর পানির চাহিদা মেটাতে কষ্ট হবে না বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় কৃষক মোঃ রজব আলী সরদার বলেন, আগেও এ পুকুর থেকে পানি নিয়ে মানুষ পান করত। কিন্তু এখন পিএসএফ বসানোর ফলে সুপেয় পানি পাচ্ছে। আগেও একটি পিএসএফ ছিল ওই পুকুরে। কিন্তু তা’ এলাকাবাসীর চাহিদা পূরণে ছিল অপ্রতুল। শেষ পর্যন্ত সেটি নষ্ট হয়েছিল।

কাপড় ব্যবসায়ী শমরেশ মিস্ত্রি বলেন, বিগত আড়াই মাস আগে উত্তর খেওনা সরকারী পুকুরে পিএসএফ স্থাপন করার মধ্যদিয়ে শুধু এলাকাবাসীর সুপেয় পানি চাহিদাই পূরণ হয়নি বরং এর মাধ্যমে এলাকার নারী-পুরুষের মধ্যে সচেতনতাও সৃষ্টি হয়েছে। জীবনের জন্যই পানির রক্ষণাবেক্ষণ জরুরী এমনটি এখন মনে করতে পারছেন এলাকাবাসী। আগে পানির জন্য লাইন দিতে হত, মারামারি হত, এখন আর তেমনটি হয় না। শৃংখলিতভাবে যে যার মত পানি নিয়ে যাচ্ছেন অনায়াসে।

পিএসএফ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ বলেন, ওই পুকুরের পানি ফিল্টার করে শুধু পানযোগ্যই করা হয় না, বরং পানি নেয়ার সময় যে পানি ওয়েষ্ট হয় সেগুলোও রিফাইন করে আবার পুকুরে ফেলা হয়। এতে একটু পানিও অপচয় হওয়ার আশংকা থাকে না।

সরেজমিনে পরিদর্শনকালে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের মানুষ ওই পুকুরের পানি দীর্ঘদিনযাবৎ পান করে আসছিল। পুকুরে পিএসএফ না থাকায় এলাকাবাসী সরাসরি পানি পান করায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হত। এজন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ৫বছর আগে একটি পিএসএফ দেয়। কিন্তু এত মানুষের চাপে সেটা নষ্ট হয়ে যায়। ওই পুকুরের দূষিত পানি পান করায় ওই এলাকার মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।

এ সকল বিষয় বিবেচনা করে রূপান্তর, ওয়াটারএইড ও বিগ লটারীর সহযোগিতায় পুকুরটির পাড় উঁচু করে, চারিপাশ দিয়ে ১৪ ইঞ্চি ইটের দেয়াল দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছে যাতে পাড় ভেঙে না যায়। নষ্ট পিএসএফটি সংস্কার করা হয়েছে। পাশে আরো একটি নতুন পিএসএফ স্থাপন করা হয়েছে। ২টি পিএসএফ এ ওঠা নামার সিঁড়ি করে দেয়া হয়েছে। এখন এলাকাবাসী নিরাপদ পানি পান করছে। বাঁধের উপরে ৬ ফুট চওড়া, উচ্চতা গড়ে ৫ ফুট নিচের অংশ চওড়া ১৮ ফুট। এছাড়া বাঁধের চার পাশে ১৪ ইঞ্চি উঁচু করে ইটের প্রটেকশন ওয়াল তৈরী করা হয়। যাতে পানি প্রবেশ করতে না পারে এবং দুর্যোগে পানির আঘাতে পুকুরের পাড় রা করতে পারে।

‘এ্যাডাপটিং ওয়াশ ফর কাইমেট চেঞ্জ’ এর আওতায় স্থাপিত পিএসএফ সম্পর্কে রূপান্তরের সূত্রটি জানায়, এতে তাদের মোট ব্যয় হয় ২ লাখ ৯৯ হাজার ১৯৪ টাকা। এছাড়া স্থানীয় জনগণের অনুদান ১০ হাজার ২৭ টাকা।

রূপান্তরের এ্যাডাপটিং ওয়াশ ফর কাইমেট চেঞ্জ প্রকল্পের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উত্তর খেওনা সরকারী পুকুরে পিএসএফ স্থাপন করায় তারা সহায়তা করলেও এখন পুরো পুকুরটিই স্থানীয় জনসাধারণ দেখভাল করছেন। অর্থাৎ এটিকে এলাকাবাসী তাদের নিজস্ব সম্পদ এবং নিজস্ব প্রয়োজনেই এর রক্ষণাবেক্ষণ করছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সুন্দরবন ও পরিবেশ রক্ষায় ক্রেল প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু

সুন্দরবনসহ অন্যান্য রক্ষিত এলাকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে দেশের চারটি অঞ্চলে শুরু হয়েছে কাইমেট রেজিলিয়েন্ট ইকোসিস্টেমস্ এ্যান্ড লাইভলিহুড্স (ক্রেল) প্রকল্প।

খুলনাঞ্চলে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার ৬টি উপজেলায়। এগুলো হচ্ছে খুলনার দাকোপ ও কয়রা, বাগেরহাটের মংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর।

ইউএসএইড বাংলাদেশ গত বছর থেকে ৫ বছর মেয়াদী এ কার্যক্রম শুরু করে। যা শেষ হবে ২০১৭ সালে। পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৩৬ মিলিয়ন ইউএস ডলার। ইউএসএইড বাংলাদেশ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় গতকাল সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।

ক্রেল প্রকল্পের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী এসএম জিয়াউল হক ছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন, হারজিয়া লিপি, মোঃ মিজানুর রহমান, জিনাত আরা আফরোজ, কায়েমুন নেছা, মোহতাসিম বিল্লাহ, মোঃ তৌহিদুর রহমান প্রমুখ।