Thursday, November 16, 2017

পাইকগাছায় আবারো সড়ক দুর্ঘটনা; আহত ৩

পাইকগাছায় সড়ক দুর্ঘটনায় দু’সহোদরসহ ৩ জন মারাত্মক আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে গদাইপুরের মানিকতলা নামক স্থানে। আহত নসিমন চালকের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বুধবার পাইকগাছায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চাঁদখালী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিহত ও তার স্ত্রী আহত হওয়ার ঠিক পরদিনই আবারো ঘটলো সড়ক দুর্ঘটনা। থামছেই না অবৈধ যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল!


জানা যায়, উপজেলার মেলেক পুরাইকাটি গ্রামের মৃত গৌর দাশ সাধুর পুত্র পাইকগাছা বাজারের ব্যবসায়ী সুবোল চন্দ্র সাধু ও তার ভাই শশাংক সাধু বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

পথিমধ্যে মানিকতলা নামক স্থানে পৌছালে, আগে থেকে মোটরচালিত কয়েকটি ভ্যান (সিমেন্ট বোঝাই) রাস্তার উপর থেমে থাকায় হঠাৎ মোটরসাইকেল থামাতে গেলে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন দু’ভাই। 

এ সময় বিপরীত দিক থেকে একটি নসিমন এসে পার্শ্ববর্তী দোকান ঘরে আঘাত করলে নসিমন চালক গোপালপুর গ্রামের নুর ইসলাম গাজীর পুত্র ইমরান গাজী আহত হয়।

স্থানীয়দের সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। নসিমন চালকের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।

সিসি ক্যামেরার আওতায় পাইকগাছা থানা

অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পাইকগাছা থানা এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। বৃহস্পতিবার দিনভর ওসি আমিনুল ইসলামের তদারকিতে থানা ভবনের চারিপাশে এবং আবাসিক এলাকায় কমপক্ষে ১৬টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। 


এর আগে উপজেলা পরিষদ ও পৌর ভবনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও এর আওতায় আনা হয়নি থানা এলাকা। অবশেষে গোটা থানা এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আসায় উপজেলার প্রশাসনিক ও আইন শৃংখলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সমূহ প্রযুক্তিগত নিরাপত্তার আওতায় চলে এসেছে।

থানার সিসি ক্যামেরা স্থাপন প্রসঙ্গে এএসআই শরিফ আল মামুন জানান, থানার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি যারা কর্মরত রয়েছি আমরা সবাই স্ব স্ব দায়িত্ব পালনে অধিক দায়িত্বশীল হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, থানার চারিপাশে সীমানা প্রাচীর না থাকায় নিরাপত্তা ঝুকি নিয়েই থানার সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। দেশের অভ্যন্তরীন সন্ত্রসী ও অপরাধীদের অপরাধের ধরণ ও কৌশল প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। এ জন্য গোটা থানা এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে থানার সবধরণের নিরাপত্তা ঝুকি কমার পাশাপাশি থানা অভ্যন্তরে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।